দমদম জংশনের প্ল্যাটফর্ম নম্বর ৫-এর ব্যালাস্টলেস ট্র্যাকের মজবুতীকরণ এবং রক্ষণাবেক্ষণের দরুণ আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার থেকে ৭ মে পর্যন্ত ট্রাফিক ব্লক করা হয়েছে। রেলওয়ের তরফে জানানো হয়েছে, যার জন্য মোট ৪৮০ ঘণ্টা ট্রাফিক ব্লকের প্রয়োজন হবে। তার জন্য আগামী ২০ দিন বেশ কয়েকটি ট্রেনের ক্ষেত্রে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বেশ কিছু ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। দেখে নিন কোন কোন ট্রেন রয়েছে বাতিলের তালকায়-
৩০৩৫১ ও ৩০৩১৩ মাঝেরহাট-বারাসত
৩৩১১ বারাসত-হাসনাবাদ
৩০৩২২ হাসনাবাদ-বিবাদী বাগ
৩০১৪৫ বিবাদী বাগ-কৃষ্ণনগর সিটি জংশন
৩০৩৫৭ মাঝেরহাট-মধ্যমগ্রাম
৩০৩৫৮ মধ্যমগ্রাম-মাঝেরহাট
৩০৩৬১ মাঝেরহাট-হাসনাবাদ
৩৩২৮২ হাসনাবাদ-দমদম জংশন
৩৩২৩১ দমদম জংশন-ব্যারাকপুর
৩৩২৩২ ব্যারাকপুর-দমদম জংশন
৩৩২৭১ দমদম জংশন-গোবরডাঙ্গা
৩৩৬৮৬ গোবরডাঙ্গা-শিয়ালদহ
৩০৩৩৩ মাঝেরহাট-হাবরা
৩০৩৩২ হাবরা-মাঝেরহাট
৩০৩৫৩ মাঝেরহাট-দত্তপুকুর
৩০৩১৪ দত্তপুকুর- মাঝেরহাট
৩৩৪৩৫ শিয়ালদহ-বারাসত
৩১২২৩ শিয়ালদহ-ব্যারাকপুর
৩০১১৬ ব্যারাকপুর-বিবাদী বাগ
৩০১১৩ বিবাদী বাগ-ব্যারাকপুর
৩১২৪২ ব্যারাকপুর- শিয়ালদহ
৩০৩১২ বারাসত-মাঝেরহাট
আর যে যে ট্রেনগুলির যাত্রাপথ সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে, সেগুলি হল-
৩০৩৪৬ বনগাঁ জংশন-মাঝেরহাট লোকাল দমদম ক্যান্টনমেন্টেই যাত্রা শেষ করবে। ৩০৩৪৪ বনগাঁ জংশন-মাঝেরহাট এবং ৩০৩২৪ হাসনাবাদ-মাঝেরহাট লোকাল বারাসতে সংক্ষিপ্ত যাত্রা শেষ করবে। ৩০১৪২ গেদে-মাঝেরহাট লোকাল যাবে রানাঘাট পর্যন্তই। ৩০৭১১ লক্ষ্মীকান্তপুর-মাঝেরহাট লোকাল বালিগঞ্জ অবধিই চলবে।
অন্যদিকে ৩০৩৩১ মাঝেরহাট-হাবরা লোকাল বারাসত থেকে সংক্ষিপ্ত যাত্রা শুরু করবে। ৩০৩১১ মাঝেরহাট-বারাসত লোকাল দমদম ক্যান্টনমেন্ট থেকে সংক্ষিপ্ত যাত্রা শুরু করবে। কর্ড লাইন হয়ে চলবে এই ট্রেনগুলি ৩০৩১৭ মাঝেরহাট-দত্তপুকুর লোকাল বালিগঞ্জ থেকে সংক্ষিপ্ত যাত্রা শুরু করবে ও পথ পরিবর্তন করে আপ কর্ড লাইন হয়ে চলবে।
দমদমে ঝুপড়িতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। শনিবার দুপুরে অমরপল্লীর বস্তিতে লাগে আগুন। যদিও আগুন লাগার কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। তবে প্রাথমিক অনুমান, ৪০ টারও বেশি সিলিন্ডার ব্লাস্ট করেছে। প্রথমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় দমকলের দশটারও বেশি ইঞ্জিন। পৌঁছন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুও। যদিও এখনও পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অপরিচিত চার ব্যক্তিকে এলাকায় ঢুকতে দেখা যায়। তারপরেই বস্তিতে লাগে আগুন। ওই চার ব্যক্তিকে খাল ধারের পথ ধরে বেরিয়ে যেতে দেখা যায়। গ্য়াস সিলিন্ডার ব্লাস্ট করে আগুন লেগেছে বলেই অনুমান করা হচ্ছে। আর সেখান থেকে আগুন ছড়িয়েছে আশেপাশে। আগুনে পুড়ে ছাই বস্তির একাধিক বাড়ি-ঘর। সর্বহারা হয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছে সেখানকার স্থানীয়রা।
অগ্নিকাণ্ডের পর পুড়ে যাওয়া প্রত্যেকটি বস্তির মানুষজনকে অ্যাম্বুলেন্সে করে পরপর নিয়ে আসা হয়েছে রবীন্দ্রভবনে। ঝুপড়ির বাসিন্দাদের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে জল ও খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ছোট্ট শিশুদের জন্য় দুধের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মুড়ি, বিস্কুট, পাউরুটি সবটাই ব্যবস্থা করা হয়েছে। ভিটে-মাটি হারিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছে ঝুপড়িবাসীরা।
দমদমে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড। জানা গিয়েছে, শনিবার দুপুরে অমর পল্লীতে বস্তিতে আগুন লাগে। ঘটনাস্থলে দমকলের ৭টি ইঞ্জিন। আগুন লাগার কারণ এখনও স্পষ্ট নয়।
বিস্তারিত আসছে...
ঠাকুর বিসর্জন দিতে গিয়ে জলে তলিয়ে গেলেন দুই বন্ধু। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে দমদমের নাথেরবাগান ঘাটে। জানা গিয়েছে, মৃত দু'জন হলেন, সৌমজিৎ ব্যানার্জি (২৫) এবং বিশাল বিশ্বাস (২৬)। দুইজনের বাড়ি পুরুলিয়ায়। কর্মসূত্রে কলকাতায় থাকতেন ওই দুই যুবক। রবিবার সকালে উদ্ধার তাঁদের মৃতদেহ।
জানা গিয়েছে, গতকাল অর্থাৎ শনিবার মাঝরাতে ঠাকুর বিসর্জন দিতে গঙ্গায় এসেছিলেন চার বন্ধু। বিসর্জনের পর গঙ্গার ঘাটে বসেই আড্ডা দিচ্ছিলেন তাঁরা। সেই সময় হঠাৎ জলে পড়ে যান সৌমজিৎ। আর তাঁকে বাঁচতে গিয়ে আরেক বন্ধু বিশালও পড়ে যান জলে। তাতেই মৃত্য়ু হয় ওই দুই বন্ধুর। এরপর খবর দেওয়া হয় পুলিসকে। তারপর তড়িঘড়ি শুরু হয় তল্লাশি অভিযান। এরপর দুই বন্ধুকে জল থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
তবে মাঝরাতে কেন ঠাকুর বিসর্জন দিতে এসেছিল চারবন্ধু, কীভাবে জলে পড়ে গেল দু'জন? যা নিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন। চার বন্ধুর মধ্য়ে জীবিত বাকি দুই বন্ধুকে জিজ্ঞাসাবাদের করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
প্রসূন গুপ্তঃ লোকসভা বটে দমদম। স্বাধীনতা উত্তর যুগে এই দমদম যে কত ঘটনার সাক্ষী তা আর বলে দিতে হয় না। ড.বিধান রায়ের আমলে দমদম ছিল একেবারে কংগ্রেসের নিজের জমি। দমদম লোকসভায় যারা তখন ভোটার ছিল তাদের সিংহভাগই ছিল ওপার বাংলা থেকে আসা উদ্বাস্তু। ড.রায় তাদের পুনর্বাসন দিয়েছিলেন। নামমাত্র টাকায় জমি দিয়েছিলেন বসবাসের জন্য এবং চাকরি ও কন্ট্রাক্টারি করার সুযোগ করেও দিয়েছিলেন। কিন্তু ড.রায়ের মৃত্যুর পরে ধীরে ধীরে এই দমদম হয়ে উঠলো কমিউনিস্টদের চারণ ভূমি। ৭০ দশকের মধ্যভাগ থেকে সিপিএম একেবারে দখলদারি নিয়ে নিলো দমদমের। এই লোকসভার অন্তর্গত বিধানসভাগুলি ও পুরসভা দখলে এলো মার্কসবাদীদের। বলা হতো লালদুর্গ। ১৯৮৫-তে ইন্দিরা নিধনের পরে একবার দমদমে যেতে কংগ্রেসের আশুতোষ লাহা। ব্যাস ফের দমদম হাতছাড়া হয় সেই ১৯৯৯ তে, যে বার বিজেপির তপন শিকদার এখন থেকে জেতেন। তারপর ২০০৯-এ পরিবর্তনের হাত ধরে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী সৌগত রায় পরপর তিন বার জিতেছেন এই আসন থেকে। অর্থাৎ লালদুর্গের পতন হয়।
এবারে লোকসভা নির্বাচন এসে গিয়েছে। প্রার্থী ওই প্রবীণ সৌগতবাবুই। ২০১৪ এবং ২০১৯ এর মোদী হাওয়াতে পরিবর্তিত হয় নি দমদমের মুড। প্রশ্ন এবারে কি হবে?
বৃদ্ধ হলেও সৌগতবাবু এখনও দৌড়ে বেড়ান এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে। বিভিন্ন এলাকার মানুষকে তিনি যেমন সময় দেন তেমনই মানুষও তাঁকে কাছে পায়। কাজেই প্রাথমিক ভাবে জয় নিয়ে যে খুব একটা টেনশনে তিনি এমনটি বলা যাবে না কিন্তু ১৩ বছর ক্ষমতায় আছে তৃণমূল অতএব বিপরীত হাওয়া যে বইবে না এমন গ্যারান্টি কোথায়? এবারে এখানে সিপিএমের জাঁদরেল প্রার্থী সুজন চক্রবর্তী এবং বিজেপির প্রার্থী প্রাক্তন তৃণমূলের শীলভদ্র দত্ত। শীলভদ্র এলাকার বাসিন্দা। প্রথম রাজনীতি কংগ্রেসের হাত ধরে পরে মুকুল রায়ের হাত ধরে তৃণমূলে। পরে মুকুল দল ছাড়লে শীলভদ্রও দল ছাড়েন। বিজেপির হয়ে ২০২১ এর ভোটে পরাজিত হন।
অন্যদিকে সুজন চক্রবর্তীর দল আজ শূন্যে পরিণত হলেও ওজনদার প্রার্থী তিনি। তিনি যে এই ভোটের অন্যতম ফ্যাক্টর তা আর বলে দিতে হয় না। কাজেই সুজনের প্রাপ্তি ভোট, হয় বিজেপিকে অথবা তৃণমূলকে জেতাবে তা বলাই বাহুল্য। সুজন ভোট নিদারুন কম পেলে শীলভদ্রের লাভ এবং বেশি পেলে ফের সৌগত।
প্রকাশ্য দিবালোকে খুন হয়েছিলেন তৃণমূল কর্মী সমর্থক নয়ন সাহা। তাঁর মৃত্যুর পর ২২ দিন কেটে গিয়েছে। অবশেষে এই ঘটনায় প্রথম কাউকে গ্রেফতার করল দমদম থানার পুলিস। জানা গিয়েছে, ঘটনাতে মূল অভিযুক্ত স্বপন মাকাল ওরফে বিদেশকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাঘাট থেকে গ্রেফতার করে দমদম থানার পুলিস।
ধৃতকে ১০ দিনের পুলিসি হেফাজতের আবেদন জানিয়ে মঙ্গলবার ব্যারাকপুর আদালতে তোলা হবে। ধৃত বিদেশকে হেফাজতে নিয়ে পুলিস সন্ধান চালাবে ঘটনার সঙ্গে যুক্ত বাকি অভিযুক্তদের, এমনটাই খবর। কেন নয়ন সাহাকে খুন করা হল? এর নেপথ্যে কার বা কাদের ষড়যন্ত্র কাজ করছে? এই সবটাই পুলিস খতিয়ে দেখবে বলে জানা যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, নয়ন সাহার খুনের ঘটনায় প্রাথমিকভাবে অভিযোগ ওঠে দক্ষিণ দমদম পুরসভার ৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ঊষা দেবনাথের স্বামী অভি দেবনাথ ও তার ঘনিষ্ঠ কর্মীদের বিরুদ্ধে। অবশেষে এক জন গ্রেফতার হল। তবে যেভাবে দিকে দিকে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব জেঁকে বসেছে, তাতে এই খুনে কোন রহস্য উদ্ঘাটিত হয় তদন্তে, সেদিকেই তাকিয়ে রাজ্য রাজনীতি।
দমদম জ্যোতিনগরের পাশে এক যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারকে ঘিরে চাঞ্চল্য। বৃহস্পতিবার সকালে দেহটি দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয়দের অভিযোগ, নেশার স্বর্গরাজ্য হয়ে উঠেছে এলাকাটি। মৃত যুবকের পরিচয় এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিস এসে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠায়।
স্থানীয় বাসিন্দারের অভিযোগ, দমদম জ্যোতিনগর সংলগ্ন ক্যান্টনমেন্ট এলাকাটি নেশার স্বর্গরাজ্য হয়ে উঠেছে। যার ফলে ক্রমাগত অসামাজিক কাজ বেড়েই চলেছে। এদিন কেউ বা কারা ওই যুবককে খুন করে এখানে ঝুলিয়ে দিয়েছে বলেই অনুমান স্থানীয়দের।
দিনের পর দিন এলাকায় নেশার আঁতুরঘর হয়ে উঠলেও পুলিসের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে সরব এলাকাবাসী। আর এখানেই প্রশ্ন উঠছে, খাস শহরের বুকে দিনের দিন পর এই ধরণের অসামাজিক কাজ চলতে থাকলেও প্রশাসন নীরব কেন? যা নিয়ে পুলিসের বিরুদ্ধ উঠেছে একাধিক প্রশ্ন।
সংক্রান্তির সকাল থেকে মেঘাচ্ছন্ন আকাশ। চারিদিক কুয়াশায় ঢেকেছে। বেলা বাড়লেও ঘন কুয়াশার আস্তরণে ঢেকে রয়েছে কলকাতার অধিকাংশ এলাকা। যার জেরে সোমবার ভোর রাত থেকে কলকাতা বিমানবন্দরে বিমান পরিষেবা ব্যাহত হয়। একাধিক বিমান ওঠানামায় দেরি করছে। এদিন রাত আড়াইটা নাগাদ দৃশ্যমানতা ২৫ মিটারে নেমে আসে। এরপর ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ দৃশ্যমান্যতা বেড়ে ১৫০ মিটার হয়। এর ফলে কলকাতা বিমানবন্দরে একাধিক বিমান ওঠা নামায় বিলম্ব হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই বিপাকে পড়েছেন যাত্রীরা। যদিও সকাল আটটা নাগাদ দৃশ্যমানতা বেড়ে ৩০০ মিটার হয়েছে। বেলা বাড়তেই ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিকের দিকে এগোচ্ছে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, এই সপ্তাহের মাঝামাঝি সময়ে আবহাওয়া পরিবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে। একটা ছোট্ট স্পেলেই বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। মূলত জানুয়ারি মাসের ১৮ এবং ১৯ তারিখ, এই দু'দিন হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে রাজ্যে। বিশেষ করে উত্তরবঙ্গের দুই জেলা দার্জিলিং এবং কালিম্পং-এর উচু জায়গায় বরফ পড়তে পারে।
তবে হাওয়া অফিস জানিয়েছে, সকালের দিকে কুয়াশা থাকলেও বেলায় পরিষ্কার আকাশ। রাতের তাপমাত্রা এদিনও কমতে পারে বলে দাবি করা হচ্ছে।
প্রসূন গুপ্ত: পুজো উৎসব বলতে নানান পুজোর ছবি আমাদের বিভিন্ন মিডিয়াতে উঠে আসে। পুজো পরিক্রমাতে তার তথ্য পাওয়া যায়।কিন্তু শুরুর ইতিহাস শুভ নাকি অশুভ তার হদিস কেউ রাখে কি? ফাটাকেষ্টর পুজো উদ্বোধন করতে একবার স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধার্থশঙ্কর রায় এসেছিলেন, জানে কজন? তখন এই রীতি ছিলই না। কালীপুজো মানে দাদাভাইদের পুজো নাকি এলাকার মাস্তানদের তা নিয়ে বিতর্ক আছে। আসলে সেই রঘুডাকাতের কালীপুজো থেকেই এই এক অদ্ভুত ধারণা জনমানসে আছে। ছন্নছাড়া ক্লাব তার ব্যতিক্রম নয়। যদিও মাস্তানদের পুজো বিষয়টি পুজোকর্তারা তীব্র বিরোধিতার মধ্যে রেখেছে।
ছন্নছাড়া নামক অদ্ভুত নামের ক্লাবের জন্ম জরুরি অবস্থার সময়ে দমদম পার্কে। এলাকার বেকার নাকি বাউন্ডুলে কিছু তরুণ এই পুজোর জন্ম দেয়। ৪৫ বছর হয়ে গেলো প্রায়।ওই এলাকার সিপিএম কর্মীরা তখন অনেকেই এলাকার বাইরে, আবার যারা রয়েছে তারা কংগ্রেসি ছেলেদের মধ্যে মিশে রয়েছে। ওই বামদের কারুর কারুর মগজ থেকে এই পুজোর জন্ম। পুজোতে কিন্তু দলবাজি প্রাথমিক ভাবে ছিল না। নিজেদের পকেট থেকে যে যা পারে তাই দিয়ে প্রথম দু'বছর পুজো হয়েছিল। এরপর আসে ১৯৭৭। শুরু বাম জমানা। এবারেই খোলস থেকে বেরিয়ে রমরমা পুজো শুরু করে সিপিএমের যুব মহল। রাতারাতি ক্ষুদ্র পুজো বিশাল হয়ে যায়। ব্যবসায়ী থেকে প্রোমোটারদের কাছ থেকে টাকা আদায় করে ফুর্তি সহযোগে চলতে থাকে পুজো। নেতৃত্ব দেয় অজু, আর বুচু ( অসম্পূর্ণ নাম)। পুজোকে কেন্দ্র করে চাঁদার নাম কংগ্রেসি ছেলেদের বেধড়ক পেটানো হয়। এলাকায় ত্রাস হয় ওঠে অজু। মদ খেয়ে পেটানোটাই ছিল তার প্রধান কাজ এবং তার সঙ্গে তোলাবাজি। পরে অবিশ্যি অনেকেই এই পুজোতে যোগ দেয় এবং ত্রাস কমে হটাৎই অজু উধাও হয় যাওয়াতে। ২০০৯-এ অজুর মৃতদেহ পাওয়া যায় রাজ্যের বাইরে কোনও এক হিন্দিভাষী স্থানে।
এরপর দিন পাল্টায়। ক্ষমতায় আসে তৃণমূল। আপাতত তাদের হাতেই পুজো। এলাকার মানুষের কোনও সমস্যা নেই। চাঁদা তোলা হয় না। তবে স্মৃতিচারণে আশীষ দাস জানালেন, "আমাদের এই পুজো একেবারেই অরাজনৈতিক। ক্লাবঘর তৈরি করেছি আমাদের পয়সাতে।' ছন্নছাড়া আজ আর ছন্নছাড়া নেই বরং সাহিত্যিক অচিন্ত্য কুমার সেনগুপ্তের কবিতা হয় গিয়েছে।
সরকারি নার্সিং কলেজে ভর্তি করিয়ে দেওয়ার নামে লক্ষাধিক টাকার প্রতরণার অভিযোগ। দমদম থানার পুলিসের হাতে গ্রেফতার অভিযুক্ত। সূত্রের খবর, হাওড়ার সাঁকরাইলের বাসিন্দা শ্যামল ঘোষ তাঁর মেয়েকে সরকারি নার্সিং কলেজে ভর্তির জন্য চেষ্টা করছিলেন। সেসময় অভিযুক্তের সঙ্গে তাঁর আলাপ হয়। মেয়েকে কল্যাণী এইমস-এ নার্সিং-এ ভর্তির জন্য সাড়ে পাঁচ লক্ষ টাকাও দিয়ে দেন অভিযুক্ত প্রতারককে। এরপর আরও ৭৫ হাজার টাকা দেন। কিন্তু সময় পেরিয়ে গেলেও মেয়েকে ভর্তি করাতে পারেননি অভিযুক্ত। প্রতারণার ফাঁদে পড়েছেন বুঝতে পেরে অক্টবরের ৪ তারিখ নাগেরবাজার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন শ্যামল ঘোষ। গোটা ঘটনার তদন্ত ভার নেয় ব্যারাকপুর কমিশনারেটের গোয়েন্দা বিভাগ। বুধবার গভীর রাতে সৌপর্ন বন্দ্যোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে দমদম থানার পুলিস। বৃহস্পতিবার তাঁকে আদালতে তোলা হয়।
জানা গিয়েছে, শ্যামল ঘোষ মেয়েকে নার্সিং-এ ভর্তি করানোর জন্য অনেকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। সেসময় সোশ্যাল মিডিয়ায় দমদম নিবাসী এক মহিলার সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁর। ওই মহিলার মেয়ে ও শ্যামলবাবুর মেয়ে একই সঙ্গে মেডিক্যালে নিট পরীক্ষায় বসেছিলেন। ওই মহিলার কথা মত তিনি দমদমের বাসিন্দা সৌপর্ন বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। শ্যামলবাবুর অভিযোগ, সৌপর্ন তাঁকে বলেন তাঁর মেয়েকে সে সরকারি নার্সিং কলেজে ভর্তি করিয়ে দেবেন। তার জন্য ১২লক্ষ টাকা লাগবে। তিনি এই বিপুল পরিমাণ টাকা দিতে পারবেন না বলে জানান। এরপরে সাড়ে পাঁচ লক্ষ টাকায় সৌপর্ন রাজি হয়। তিনি চলতি বছরের জুলাই মাসের মধ্যেই সাড়ে পাঁচ লক্ষ টাকা দিয়ে দেন।
আরও অভিযোগ, ওই টাকা নিয়ে সৌপর্ন তাঁকে বলেন চলতি বছরের অগাস্ট মাসের মধ্যে তাঁর মেয়েকে কল্যাণী এইমস-এ ভর্তি করিয়ে দেবেন। এমনকি কল্যাণী এইমস-এর দ্বিতীয় তালিকায় তাঁর মেয়ের নাম আছে এমন একটি কাগজ তাঁদের দেখান। এরপরে চাপ দিয়ে আরও ৭৫ হাজার টাকা নেন ওই ব্যক্তি। কিন্তু সময় পেরিয়ে গেলেও তাঁর মেয়েকে সরকারি নার্সিং কলেজে ভর্তি করিয়ে দিতে পারেননি। বরং সুর পাল্টে যায় অভিযুক্তের। বেসরকারি নার্সিং কলেজে ভর্তি করিয়ে দেবেন বলে জানান। এরপরই প্রতারণার জালে জড়িয়ে পড়েছেন বুঝতে পেরে নাগেরবাজার থানার দ্বারস্থ হন।
পুলিস সূত্রে খবর, ধৃত সৌপর্ন এডু টেক ইন্ডিয়া নামে একটি সংস্থা খুলে এই প্রতারণার ফাঁদ পেতে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণা করতেন। এর জন্য তিনি কখনও মন্ত্রী আবার কখনও সরকারি আমলাদের ছবি ব্যবহার করতেন। যাতে তাঁর প্রতারণার ফাঁদে পড়েন অসহায় মানুষেরা।
প্রসূন গুপ্তঃ মহাভারতে জেনেছিলাম যে, অর্জুন পুত্র অভিমন্যু কৌরবদের চক্রবূহ প্রবেশের পথ জানতেন কিন্তু বেরোনোর পথ জানতেন না কাজেই তাঁর মৃত্যু হয়েছিল। আজকের কলকাতা শহরের বেশ কিছু পুজোতে একই হাল। দক্ষিণ কলকাতায় বিখ্যাত পুজোর মধ্যে অরূপ বিশ্বাস, ববি হাকিম, প্রয়াত সুব্রত মুখোপাধ্যায়, দেবাশিস কুমার ইত্যাদি হেভিওয়েট পুজোয় প্রবেশ প্রস্থানের পথ পরিস্কার হলেও এক একটি মন্ডপে দুর্গা দর্শনে সময় লাগে বিস্তর। তবে একটি বিষয় পরিষ্কার যে প্রায় কাছাকাছি পুজো হলেও তাঁদের এক মন্ডপ থেকে অন্য মন্ডপে যাওয়ার রাস্তা আটকাননি কেউই।
তাদের মধ্যে অবশ্যই প্রতিযোগিতা আছে এবং নিজেদের সেরা সাব্যস্ত করতে কেউ কাউকে জমি ছাড়েন না। কিন্তু ববি বা অরূপ কেউ অন্যের পুজো দেখা আটকান না। রেষারেষি কিন্তু উত্তর কলকাতার বড় পুজোতে নেই। সুজিত বসুর শ্রীভূমির পুজোয় ভীড় সবথেকে বেশি শহর কলকাতায়। যানযটের অভিযোগ মিডিয়ায় নিয়মিত হলেও মঙ্গলবার থেকে কড়া ব্যবস্থা নিয়েছে সুজিত। এখন ভিআইপি রোডের যানজট কন্ট্রোলে। কিন্তু ভীড় ভয়ঙ্কর।
ব্যতিক্রম দমদম পার্কে। দুর্গা পুজোর জন্য বিখ্যাত এই অঞ্চল। ৬-৭ টি পুজো, তরুন সঙ্ঘ, ভারত চক্র, নবারুন সর্বজনীন, যুবকবৃন্দ, তরুন দল ইত্যাদি। প্রতিটি পুজোর উদ্বোধক সুজিত বসু। কিন্তু রেশারেশি মাত্রাছাড়া। পুজোর ক'দিন দুপুর থেকেই গাড়ি নিয়ে এ অঞ্চলে প্রবেশ করা যায় না। তারপর ভিআইপি রোড দিয়ে প্রবেশ করলে প্রথমে যুবকবৃন্দ। প্রবেশ হলে এমন ভাবে প্রস্থানের পথটি রাখা হয়েছে যে অন্য মন্ডপে যাওয়ার পথ বহু সমস্যার। একই ফর্মুলা যশোহর রোড দিয়ে প্রবেশ করলে তরুন সঙ্ঘ। প্রবেশ আছে, দর্শন করুন তারপর বেরিয়ে আসা ফের যশোহর রোডে অর্থাৎ অন্য পুজোয় যেতে গেলে বহু ঘোরাপথে যেতে হবে। সর্বজনীন তো রাস্তা কেটে এমন ব্যবস্থা করেছে যে গাড়ি কেন সাইকেল নিয়ে চলাও দুস্কর। এ ছাড়া ভিআইপি রোড বা যশোহর রোড এতটাই যানজটের সংকটে পড়ছে যে সময় লেগে যাচ্ছে ফিরতে। সবথেকে ভয়ের বিষয় অসুস্থ মানুষ নিয়ে। এম্বুলেন্স ঢোকা বেরোনোর রাস্তা প্রায় অবরুদ্ধ। অথচ কোনও সময়েই এ নিয়ে প্রশাসনের মাথাব্যথা নেই।
মহালয়ার দিন থেকেই পুজো পরিক্রমা শুরু করে দিয়েছেন আপামর বাঙালি। কিন্তু তৃতীয়ার ভোরে সামনে এল দুর্ঘটনার খবর। মঙ্গলবার ভোর পাঁচটা নাগাদ দমদমের (DumDum) এক পুজোমণ্ডপে অগ্নিকাণ্ডের মতো ভয়াবহ ঘটনা ঘটে। নেতাজি সংঘ ক্লাবের সদস্যদের প্রথমে নজরে আসে মণ্ডপে আগুন (Fire) লাগার বিষয়টি। খবর পাঠানো হয় দমকলে। এক ঘণ্টার চেষ্টায় দমকলবাহিনী সম্পূর্ণ আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
তবে মণ্ডপের অধিকাংশ পুড়ে গিয়েছে। কার্যত উদ্যোক্তাদের মাথায় হাত। কীভাবে পুনর্নির্মাণ করা যাবে, তা নিয়ে চিন্তায় তাঁরা। কীভাবে অগ্নিকাণ্ড ঘটল, সে বিষয়ে কোনও ইঙ্গিত নেই বলে জানাচ্ছেন উদ্যোক্তারা। তদন্তে নেমেছে দমদম থানার পুলিস।
পুজো উদ্যোক্তাদের দাবি, বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল। তাহলে কী থেকে আগুন লাগলো, তাঁরা বুঝে উঠতে পারছেন না। দমদম থানার পুলিসকেও বিষয়টি জানানো হয়েছে বলে জানান উদ্যোক্তারা।
চিড়িয়ামোড়ে দমদম রোডে মিষ্টির দোকানে ভয়াবহ আগুন। সূত্রের খবর, সপ্তাহের শুরুতেই অর্থাৎ সোমবার সন্ধ্যায় দমদম রোডের উপর একটি মিষ্টির দোকানে আগুন লাগে। যার জেরে চাঞ্চল্য শুরু হয় গোটা এলাকায়।
সূত্রের খবর, দমদম রোডের উপর ওই দোকানে আগুন নেভাতে ইতিমধ্যেই দমকলের ২ টি ইঞ্জিন এসে পৌঁছেছে। এবং দমকলের ২ টি ইঞ্জিন ওই আগুন নেভানোর কাজ চালাচ্ছে। আপাতত ওই দোকানের সামনের দিকটা পুরোটা আগুন গ্রাস করে ফেলেছে। তবে এখন আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। পুলিস সূত্রে খবর, এই ঘটনায় মিষ্টির দোকানের এক কর্মী আহত হয়েছেন। তাঁকে আরজিকর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। দমদম রোডের মত ব্যস্ততম ও জনবহুল এলাকায় এরকম আগুন লাগার ঘটনায় রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
পুজোর মুখে ঝোড়ো ব্যাটিং করছে ডেঙ্গি। সময়ের সঙ্গে লাফিয়ে বাড়ছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা। বাড়তে মৃত্যুও। এই পরিস্থিতির মধ্যে ফের শহরে দুই ডেঙ্গি আক্রান্তের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। প্রথম জন, সিদ্ধার্থ বালা। বছর ২৫-এর ওই যুবক দমদম এলাকার উত্তর বাদরা দিল্লি রোড ইটালগাছার বাসিন্দা। মৃতের পরিবার সূত্রে খবর, গত ৯ অক্টোবর তাকে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার সকাল ৬ টা ১৫ মিনিট নাগাদ মৃত্যু হয় তাঁর। অন্যজন, অপর্ণা দাস। মৃতা বিদ্যাসাগর কলোনির বাসিন্দা। পরিবার সূত্রে খবর, এদিন ভোরে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে কেপিসি হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। বিগত ২৪ ঘন্টায় দুজনের ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল, সব মিলিয়ে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৬১।
ডেঙ্গি সংক্রমণে এক নম্বরে উত্তর ২৪ পরগনা। জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১২ হাজার। গত এক সপ্তাহে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৭৪৯ জন। পুর-এলাকার থেকে গ্রামাঞ্চলে সংক্রমণ বেশি। শহরাঞ্চলে আক্রান্ত ৭ হাজার ৭৩৭ এবং গ্রামাঞ্চলে ৩ হাজার ৯৬৮ জন। বিধাননগর পুর এলাকায় সবথেকে বেশি ২ হাজার ৬৭৫ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত। দ্বিতীয় স্থানে দক্ষিণ দমদম পুরসভা। আক্রান্ত ১ হাজার ২৩৬। সব মিলিয়ে পুজোর মুখে আশঙ্কার মেঘ জমাচ্ছে ডেঙ্গি তা বলাই বাহুল্য।
পুকুর থেকে একটি গলা কাটা মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য। শনিবার সকালে দমদম থানার সুভাষনগর এলাকার ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদেহটির নাম ও পরিচয় এখনও উদ্ধার করা যায়নি। সূত্রের খবর, স্থানীয়দের মারফত খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে দমদম থানার পুলিশ। ইতিমধ্যেই দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।
জানা গিয়েছে, শনিবার সকালে ফুল তুলতে গিয়েছিলেন স্থানীয় এক মহিলা। উনি আচমকাই দেখেন সুভাষনগর দুধপুকুরে কিছু একটা ভেসে রয়েছে। কী ভাসছে বুঝতে না পেরে নিজের স্বামীকে ডেকে আনেন। তারপর বাকিদের খবর দেন। তখনই স্থানীয়দের মারফত ফোন করা হয় থানায়। পুলিশ এসে মৃতদেহটিকে উদ্ধার করে।
যদিও সকাল বেলা এমন ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। স্থানীয়দের দাবি, এই ব্যক্তিকে খুন করে কেউ হয়ত এই পুকুরে ফেলে দিয়ে গেছে। যদিও এ ঘটনায় প্রাথমিক ভাবে একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।