সন্দেশখালির কুখ্যাত বেতাজ বাদশা শেখ শাহজাহানের সঙ্গে অপরাধ জগতের যোগসূত্র ক্রমশ বেড়েই চলেছে। ইডি হামলার পর থেকে শাহজাহানের নামে উঠে এসেছে একাধিক বিস্ফোরক অভিযোগ। আর্থিক তছরুপ থেকে দাদাগিরি। গান পয়েন্টে রেখে গ্রামের মহিলাদের সম্মানহানি থেকে মাছের ভেড়িও দখল গান পয়েন্টে রেখে। এবার শাহজাহানের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে আন্তর্জাতিক মাদক ব্যবসা, যা শুনলে চোখ কপালে উঠতে বাধ্য!
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী অবশ্য এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডিকেই একহাত নিলেন। জানালেন পশ্চিমবঙ্গ অবৈধ কারবারের জায়গা। শুনে কী হবে আমাদের? কুছ করকে দিখাও ইডি ভাই!
ইডি সূত্রে খবর আফগানিস্তান থেকে, পাকিস্তানের বন্দর শহর করাচি হয়ে তারপর মধ্য প্রাচ্য দুবাই হয়ে মাদক এসে পৌঁছত ভারতের পশ্চিম প্রান্ত গুজরাটে। সেখান থেকে সেই মাদক এসে পৌঁছত কলকাতা বন্দরে। এখানেই শেষ নয়, ২০২২ সালে আটক হয় প্রায় ৪০কেজি হেরোইন। নাম জড়ায় শাহজাহানের ডান হাত যিনি তাঁর মাদক ডিভিশনের দায়িত্বে ছিলেন সেই শরিফুল মোল্লার। শাহজাহান ও শিবু হাজরার ভেড়ির যৌথ দায়িত্বও পালন করতেন এই শরিফুল মোল্লাই। ঘটনায় গ্রেফতার হয় শরিফুলের ভাইও। এই অভিযোগকে কটাক্ষের সুরে বিঁধেছেন বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়। জানালেন, মাদক ধরা পড়ার পর থেকে শরিফুলের আজও কোনও হদিশ নেই।
বিরোধীদের অভিযোগ, মাদক ধরা পড়ার পর, শেখ শাহজাহানকে দেখা যায় রাজ্যের এক প্রভাবশালী মন্ত্রীর বাড়িতে। এক নয়, একাধিকবার আর তাই এবার শাহজাহান, শরিফুল ছাড়াও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্তাহ ইডির নজরে ওই প্রভাবশালী মন্ত্রীও। আর সন্দেশখালির বহিস্কৃত তৃণমূল নেতা শাহজাহানের এই মাদক ব্যবসা থেকে রাজ্যের মন্ত্রীর নাম জড়ানো, সব মিলিয়ে সরগরম বঙ্গের রাজনৈতিক মহল।
পাচারের আগেই ভারত-নেপাল সীমান্তে মাদক সহ গ্রেফতার দুইজন পাচারকারী। তল্লাশি চালিয়ে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ৫০ লক্ষ টাকার মাদক। পুলিস সূত্রে খবর, ধৃতরা হল মহম্মদ রহিম (২৫) ও মহম্মদ আতারুল (২৩)। দু'জনই বুড়াগঞ্জের কিলাঘাটার বাসিন্দা।
পুলিস জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে খড়িবাড়ি থানার অন্তর্গত পানিট্যাঙ্কি ফাঁড়ির পুলিস ও এসওজি যৌথ অভিযানে নামে। এরপর নেপাল সীমান্ত লাগোয়া পানিট্যাঙ্কি নিউ মার্কেটে সন্দেহজনক একটি বাইককে আটক করে পুলিস। তারপর আটক করা বাইটিকে তল্লাশি চালিয়ে বাইকের ভিতর থেকে উদ্ধার হয় ২৫৪ গ্ৰাম ব্রাউন সুগার।
পুলিসের অনুমান, ধৃতরা পানিট্যাঙ্কিতে মাদক বিক্রি করতে এসেছিল। কিন্তু তার আগেই পুলিস জালে ধরা পড়ে যায় মাদক সহ ওই দুই ধৃত। পুলিস ধৃতদের গ্রেফতার করে খড়িবাড়ি থানায় নিয়ে যায়। শুক্রবার ধৃতদের শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতের তোলা হয়।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ২ হাজার বোতল ফেনসিডিল সহ ৩ পাচারকারীকে গ্রেফতার করল পুলিস। মঙ্গলবার সকালে ভীমপুর থানার অন্তর্গত ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকার ঘটনা। পুলিস জানিয়েছে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযানে নেমে ৩ পাচারকারী সহ বহুমূল্যের নিষিদ্ধ কাশির সিরাফ ঊদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে ধৃতদের নাম, ধৃতদের নাম সজল হালদার, কৃষ্ণ মন্ডল, এবং আবু বক্কর মন্ডল। আজ অর্থাৎ মঙ্গলবারই ধৃতদের কৃষ্ণনগর দায়রা আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে সূত্রের খবর। অভিযুক্তদের হেফাজতে নিয়ে এ ঘটনায় কারা জড়িত আছে তা জিজ্ঞাসাবাদ করে দেখা হবে বলে পুলিস সূত্রের খবর।
পুলিস সূত্রের খবর, মঙ্গলবার আনুমানিক সকাল ৬টা নাগাদ হগোপন সূত্রে পাচারের খবর পায় পুলিস। খবর পেয়ে অভিযানে নেমে পড়ে কর্তব্যরত পুলিসকর্মী। সেসময় নাকা চেকিংয়ে ভীমপুর থানার অন্তর্গত শাকদা বাস স্ট্যান্ড ছেড়ে নতুন পাড়া এলাকার কাছাকাছি দুটি চারচাকা গাড়িকে পুলিসের সন্দেহ হয়। এরপর গাড়ি দুটিকে থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ ও তল্লাশি চালিয়ে ২০০০ বোতল ফেনসিডিল সহ তিনজনকে গ্রেফতার করে নদীয়ার ভীমপুর থানার পুলিস। পাশাপাশি পুলিস জানিয়েছে, ধৃতদের থেকে পাওয়া ফেনসিডিলের বাজার মূল্য প্রায় ৩ লক্ষ টাকা। এছাড়া ধৃতরা সবাই নদিয়ার করিমপুরের বাসিন্দা। অভিযুক্তরা কোথা থেকে ফেনসিডিল পাচার করছিল, এবং কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল সেটাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিস।
সম্প্রতি প্রথম বর্ষের এক পড়ুয়ার মৃত্যুর জেরে প্রশ্নের মুখে পড়েছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা। প্রশাসনিক চাপে যা নতুন করে সাজাতে এখন ব্যস্ত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এই অবস্থায় এবার ক্যাম্পাসের মধ্যে মাদক ঠেকাতে নতুন ভাবনার কথা জানালেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ।
তাঁর দাবি, যাদবপুরের মূল গেটে বসানো হবে এমন এক প্রযুক্তি, যাতে চট করে মাদক নিয়ে ঢোকা আটকানো যাবে। তিনি জানিয়েছেন, ভারতের মাদক বিরোধী আইন মেনেই এই ব্যাপারে ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মূলত দেশের বিমানবন্দর গুলিতে যে যন্ত্রের সাহায্য নেওয়া হয়, সেই ধরণের যন্ত্র যাদবপুরে বসানোর ভাবনা করেছেন অস্থায়ী উপাচার্য।
গত ৯ অগাস্টের ঘটনার পর যাদবপুর ক্যাম্পাস নিয়ে বিস্তর অভিযোগ উঠছে। অভিযোগ উঠেছে, ক্যাম্পাসের মধ্যে মাদক সেবনের। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেনমঞ্জু বসু জানিয়েছিলেন, আর কোনও ভাবেই মদ ও মাদক নিয়ে ক্যাম্পাসে আসা যাবে না। ধরা পড়লে কড়া সাজা দেওয়া হবে।
একটি বহুমূল্য লাক্সারি গাড়ি সহ বেঙ্গল এসটিএফের (STF) হাতে গ্রেফতার (Arrest) দুই মাদক (Drug Smuggler) পাচারকারী। রবিবার ভোরে ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের (Malda) বৈষ্ণবনগরে জাতীয় সড়কের উপর। অভিযুক্তদের গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার বাজারমূল্যের মোট ঊনিশ কোটি টাকার হেরোইন। ধৃতদের বিরুদ্ধে বৈষ্ণবনগর থানায় মাদক আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। ধৃতদের ১৪ দিনের পুলিসি রিমান্ডের নেওয়ার আবেদন জানিয়ে মালদহের চিফ জুডিসিয়াল কোর্টে পেশ করা হয়েছে।
এসটিএফ সূত্রে খবর, ধৃত ওই দুই পাচারকারীর নাম প্রদীপ জাভিয়ার টির্কি (৪১), স্যামুয়েল লুনমিনলুন খুংসাই (২৯)। রবিবার ভোর রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মালদহের বৈষ্ণবনগরের জাতীয় সড়কে অভিযান চালায় এসটিএফের একটি দল। সেই সময়ই ঝাড়খণ্ডের রেজিস্ট্রেশন নম্বর বহনকারী মডেল এমজি হেক্টরের একটি চার চাকার গাড়ি করে দু'জন আসছিলেন৷ ঠিক তখনই সন্দেহের জেরে মালদহের বৈষ্ণবনগর থানার অধীনে ১৪ মাইল টোল প্লাজার কাছে এনএইচ-৩৪ এ তাদের আটকানো হয়। তারপর পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তল্লাশির পর এসটিএফের দল তাদের থেকে প্রায় ১০ কিলোগ্রাম হেরোইন উদ্ধার করে। এই ঘটনার পরেই গাড়ির মধ্যে থাকা দুজনকে গ্রেফতার করা হয়।
মাদক (Drugs) দ্রব্য় সহ পুলিসের হাতে গ্রেফতার হল এক মাদক পাচারকারী। রবিবার, গভীর রাতে এই ঘটনাটি ঘটেছে রায়গঞ্জ থানার অন্তর্গত শিলিগুড়ি (Siliguri) মোড়ে। পুলিস সূত্রে খবর, ধৃতের নাম লাড্ডু আলম। বাড়ি বিহারের আরারিয়া এলাকায়।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার গভীর রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শিলিগুড়ি মোড় এলাকায় নাকা তল্লাশি চালায় পুলিস। সেই সময় একটি বাসে তল্লাশি চালাতেই অভিযুক্ত লাড্ডু আলমের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ১০০ গ্রাম ব্রাউন সুগার। এরপরই তাকে গ্রেফতার করে রায়গঞ্জ থানার পুলিস। রবিবার কালিয়াচক থেকে বাসে চেপে বাড়ি ফেরার সময় মাদক সহ অভিযুক্তকে হাতেনাতে ধরে ফেলে পুলিস। পুলিসের অনুমান, মাদক দ্রব্য়গুলি পাচারের উদ্দেশ্য়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। কিন্তু পাচারের আগেই তল্লাশি অভিযান চালিয়ে মাদক সহ মাদক পাচারকারীকে গ্রেফতার করে পুলিস।
তবে কোথা থেকে এই মাদক নিয়ে আসা হচ্ছিল তা জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। পাশাপাশি এই মাদক পাচারের সঙ্গে আরও কেউ যুক্ত রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিস।
আগামী ২৬ শে জুন মাদকবিরোধী (Drugs) দিবস। শুক্রবার সেই বিরোধী দিবস উপলক্ষে বেহালায় (Behala) স্কুল পড়ুয়া এবং টলিউড শিল্পীদের নিয়ে পুলিসের উদ্যোগে মিছিল করা হয়। সেই উপলক্ষে এদিন কলকাতা পুলিসের সাউথ ওয়েস্ট ডিভিশনের উদ্যোগে বেহালা থানা থেকে একটি মিছিল করা হয়। বেহালা থানা থেকে শুরু হয়ে ম্যানটন হয়ে আবারো বেহালা থানায় এসে শেষ হয় সেই মিছিলটি। স্কুল পড়ুয়া এবং টলিউড শিল্পীদের নিয়ে এই মিছিলটি করা হয় পুলিসের উদ্যোগে। উপস্থিত ছিলেন ডিসি সাউথ ওয়েস্ট সৌম্য রায় সহ বেহালা, ঠাকুরপুকুর, সরশুনা, পর্ণশ্রী, হরিদেবপুর এবং তারাতলা থানার পুলিস আধিকারিকরা। এমনকি বাংলা সিরিয়ালের তারকারাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও সাউথ ওয়েস্ট ডিভিশনের বিভিন্ন থানা এলাকায় রমরমিয়ে চলছে সাট্টা খেলা। সাট্টা খেলায় আসক্ত হয়ে পড়ছে বহু মানুষ এই বিষয়ে ডিসি সাউথ ওয়েস্ট সৌম্য রায় কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, 'এই বিষয়ে খতিয়ে দেখা হবে।' তিনি আরও বলেন, 'এই বিষয়ে মানুষদের সচেতন করা হবে। এবং পদক্ষেপ নেওয়া হবে।'
ফের বেঙ্গল এসটিএফ-এর (STF) জালে দুই মাদক পাচারকারী। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের (Murchidabad) বহরমপুর বাস স্টপেজের কাছে। ধৃতদের থেকে ৪ কিলো ৮০০ গ্রাম নিষিদ্ধ মরফিন (Drug Smugglers) উদ্ধার করা হয়েছে। যার বাজার মূল্য প্রায় ৫ কোটি টাকা। অভিযুক্ত ওই দু'জনকেই গ্রেফতার (Arrest) করা হয়েছে। অভিযুক্তদের বুধবার বহরমপুর নিম্ন আদালতে পেশ করা হয়। এমনকি এই নিষিদ্ধ মাদক পাচারচক্রের বিরুদ্ধে বিস্তারিত তদন্তও শুরু করেছে বহরমপুর থানার পুলিস। বেঙ্গল এসটিএফ সূত্রে খবর, ধৃত ওই দুই ব্যক্তির নাম গৌর সরকার (৩৫) এবং শেখ গোলাম (৬০)। তারা দু'জনেই ঝাড়খণ্ডের সাহেবগঞ্জের বাসিন্দা।
এসটিএফ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার বিকেলে একটি গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পশ্চিমবঙ্গের বিশেষ টাস্কফোর্সের একটি দল বহরমপুর বাস স্ট্যান্ড এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালায়। সেখানেই সন্দেহের জেরে ওই দু'জনকে আটক করে। তারপর তাদেরকে তল্লাশি করার পর উদ্ধার হয় ওই নিষিদ্ধ মাদক। যদিও এই বিষয়ে বেঙ্গল এসটিএফের তরফে বহরমপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এমনকি এনডিপিএস আইনের অধীনে একটি নির্দিষ্ট মামলা রুজু করে এই ঘটনার তদন্তও শুরু করে দিয়েছে বহরমপুর থানার পুলিস।
মুম্বইয়ে মাদক (Drugs) পাচারকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে বড় সাফল্য এনসিবির (NCB)। বাণিজ্যনগরীতে অভিযান চালিয়ে উদ্ধার (Rescue) ৫০ কোটির মাদক ছাড়াও ১ কোটির বেশি নগদ ও সোনার গয়না। এনসিবি সূত্রে খবর, শনিবার এই পাচারচক্রে (Trafficking) জড়িত অভিযোগে এক মহিলা-সহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে এনসিবি।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, অভিযুক্তের উপর নজরদারি করছিলেন এনসিবি-র আধিকারিকেরা। তাঁদের কাছে খবর ছিল, ওই খানের হেফাজতে বিপুল পরিমাণ মাদক রয়েছে। ডোংরি এলাকায় ওই অভিযুক্তের বাড়ির কাছে ফাঁদ পেতেছিল এনসিবির দলটি। সেখানে এ আলি নামে খানের এক সঙ্গীর কাছ থেকে ৩ কেজির মেফেড্রোন উদ্ধার হয়। এরপরে চলে খানের বাড়িতে তল্লাশি। সেখান থেকে আরও উদ্ধার হয় ২ কেজি মেফেড্রোন। এই দু’জনকে কাছ থেকে পাচারচক্রের আরও এক মহিলার নাম জানতে পারে এনসিবি। এএফ শেখ নামের এক মহিলা এলাকায় একটি সংস্থার সঙ্গে মাদক পাচারে জড়িত বলে অভিযোগ। শুক্রবার ওই মহিলার বাড়ি হানা দিয়ে সেখান থেকে আরও ১৫ কেজি মেফেড্রোন উদ্ধার হয়েছে। এ ছাড়া, ১ কোটি ১০ লক্ষ নগদ টাকা-সহ সোনার গয়নাও মিলেছে।
অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে নার্কোটিক ড্রাগস অ্যান্ড সাইকোট্রপিক সাবস্ট্যান্সেস আইনের উপযুক্ত ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পঞ্জাব (Punjab) সীমান্ত এলাকায় উদ্ধার মাদক (drugs)। বিএসএফ (BSF) সূত্রে খবর, একটি গমের ক্ষেত থেকে এক কিলোগ্রাম ওজনের হেরোইন (Heroin) পাওয়া গিয়েছে। রবিবার, পঞ্জাবের ফিরোজপুর জেলার কিলচে গ্রামে এই ঘটনাটি ঘটেছে।
বিএসএফ সূত্রে দাবি, প্রতিদিনের মতো সীমান্ত বরাবর টহল দিচ্ছিলেন বিএসএফ জওয়ানরা। সীমান্ত এলাকায় টহল দিতে গিয়ে হঠাৎ পঞ্জাব সীমান্তের নিকটবর্তী একটি গমের ক্ষেতের ভিতর মোজায় মোড়ানো প্যাকেট লক্ষ করেন তাঁরা। মোজায় মোড়ানো প্যাকেট দেখে তাঁদের সন্দেহ হয়।
সন্দেহ হওয়ায় পর্যবেক্ষণ করে দেখেন যে, ওই মোজার ভিতরে আসলে ভরা রয়েছে মাদক। ওই মোড়ানো মোজার ভিতর থেকে উদ্ধার হয় মাদক ভরা প্যাকেট। ওজন করে দেখা গিয়েছে যে, প্যাকেটের ভিতর এক কিলোগ্রাম ওজনের হেরোইন ছিল। কোথা থেকে কিভাবে এই মাদক এসেছে সে বিষয়ে কোনও তথ্য এখনও পাননি বলে জানান বিএসএফ-এর জওয়ানরা।
মুদির দোকানে বেআইনি মদ বিক্রির অভিযোগে গ্রেফতার গৃহবধূ। ধৃতের কাছ থেকে উদ্ধার লক্ষাধিক টাকার বেআইনি বিদেশী মদ (Wine)। ঘটনাস্থলে বারুইপুর থানার পুলিস(Baruipur Police)। জানা গিয়েছে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বারুইপুর থানার পিসি অফিসার রনি সরকারের টিম মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হানা দেয় পিয়ালি স্টেশন এলাকায়। পিয়ালি স্টেশন এলাকা থেকে বেআইনি মদ-সহ এক গৃহবধূকে গ্রেফতার করে পুলিস। ধৃতের নাম সুপর্ণা ঘোষ। পিয়ালি থানা এলাকারই বাসিন্দা সে। ধৃতর থেকে লক্ষাধিক টাকার বেআইনি বিদেশী মদ উদ্ধার করেছে বারুইপুর থানার পুলিস।
পিয়ালি স্টেশন এলাকারই একটি মুদি দোকান(GroceryShop) থেকে উদ্ধার হয় বিপুল পরিমানে বিদেশি মদ। যার বাজারমূল্য প্রায় লক্ষাধিক টাকা। পুলিস সূত্রের খবর, বেশ কয়েকদিন ধরেই পিয়ালির ওই এলাকায় বেআইনি ভাবে বিদেশী মদ বিক্রির অভিযোগ আসছিল। এরপরেই পুলিস এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করে অভিযুক্ত গৃহবধূকে। প্রাথমিকভাবে অনুমান আগামী দোল উৎসবে বিক্রির জন্যই বিপুল পরিমানে বিদেশী কোম্পানির মদ মজুত করেছিল ওই গৃহবধূ।
খড়গপুরে আন্তঃরাজ্য মাদক চক্রের হদিশ। মাদক পাচারকারী সন্দেহে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে বিশাখাপত্তনম পুলিস। জানা গিয়েছে, জানুয়ারি মাসের ২৩ তারিখ বিশাখাপত্তনমের একটি রেস্তোরাঁ থেকে চার মাদক সেবনকারীকে গ্রেফতার করে বিশাখাপত্তনম পুলিসের স্পেশাল ব্রাঞ্চের আধিকারিকরা। তাদের থেকে উদ্ধার হয় ৯৪ অ্যাম্পিউল নিষিদ্ধ মাদক। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে খোঁজ মিলেছে মাদক সরবরাহকারীর।
বিশাখাপত্তনম পুলিস জানতে পারে, বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য সরবরাহ করা হয় খড়গপুর শহর থেকে। নাম উঠে আসে খড়গপুর শহরের একটি ওষুধ দোকানের মালিকের ছেলের। এরপরই রেল শহরের মালঞ্চ এলাকায় বৃহস্পতিবার হানা দেয় পুলিস। গ্রেফতার করা হয় অনুপম অধিকারী নামে ওই ব্যক্তিকে। শুক্রবার দুপুরে ধৃতকে খড়গপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়। এরপর ট্রানজিট রিমান্ডে ধৃতকে বিশাখাপত্তনম নিয়ে যায় স্পেশাল ব্রাঞ্চের আধিকারিকরা।
জানা গিয়েছে, ধৃতের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। NDPS আইনেও মামলা রুজু করা হয়েছে ধৃতের বিরুদ্ধে। পুলিস সূত্রে খবর, ধৃত এই ব্যক্তির সঙ্গে আন্তর্জাতিক মাদকচক্রেরও যোগ থাকতে পারে।
আইনজীবীর মতানুসারে, ধৃত অনুপম অধিকারীকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়।
৩০৬ গ্রাম ব্রাউন সুগার-সহ (Drug Smuggling) শিলিগুড়ির কুখ্যাত পাচারকারীকে গ্রেফতার করলো এসওজি-বাগডোগরা থানার পুলিস। গোপন সূত্র খবর পেয়ে বাগডোগরা সংলগ্ন এক বেসরকারি ব্যাংকের সামনে এসওজি ও বাগডোগরা থানার পুলিস (Police) এক ব্যক্তিকে আটক করে। তাকে তল্লাশির পর সেই ব্যক্তির ব্যাগের ভিতর থেকে ৩০৬ গ্রাম ব্রাউন সুগার উদ্ধার হয়েছে। জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি শিলিগুড়ি (Siliguri) থেকে ব্রাউন সুগার পাচারের উদ্দেশে যাচ্ছিল।
৩০৬ গ্রাম ব্রাউন সুগারের আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় কয়েক লক্ষ টাকা। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত ব্যক্তির নাম মোহাম্মদ তামান্না, বাড়ি শিলিগুড়িতে। পুলিস অভিযুক্তকে প্রথমে আটক এবং পরে গ্রেফতার করেছে। মঙ্গলবার তাকে শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে তোলা হবে বলে জানা গিয়েছে।
এদিকে, শিলিগুড়িতে মাদক পাচারকারী গ্রেফতারের দিন তিনেক আগেই হাতির দাঁত-সহ তিন পাচারকারীকে গ্রেফতার করেছিল এসএসবি-বন দফতর। যৌথ উদ্যোগে লক্ষাধিক টাকার মূল্যের হাতির দাঁত উদ্ধার করা হয়েছিল। ফাঁসিদেওয়ার ঘোষপুকুর এলাকার বহুমূল্যের এই দাঁত পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার তিন। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে খরিবাড়ির ইন্দো-নেপাল সীমান্তে এসএসবির জওয়ানরা তিন জন সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে আটক করেন। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি জওয়ানরা তল্লাশি চালালে বহুমূল্যের দুটি হাতির দাঁত উদ্ধার হয়েছে।
২৮ কোটি টাকার কোকেন-সহ (Drug Smuggling) এক ব্যক্তি গ্রেফতার মুম্বই বিমানবন্দরে (Mumbai Airport)। সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, এক ব্যাগের নীচে লুকিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল ওই মাদক। সেই যাত্রীর কাছ থেকে প্রায় ৩ কেজি মাদক উদ্ধার করেছে আবগারি দফতর। পুলিস সূত্রে খবর, যে ব্যাগে করে কোকেন (Cocaine) নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, সেই ব্যাগে বেশ কয়েকটি স্তর ছিল। তার নীচে এমন ভাবে লুকিয়ে ওই কোকেন নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল যে, সন্দেহজনক লাগেনি। কিন্তু আবগারি দফতরের কাছে খবর ছিল, কোকেন পাচার হচ্ছে। তারপরই ওই যাত্রীকে মাদক-সহ গ্রেফতার করা হয়।
পুলিস জানিয়েছে গ্রেফতার হওয় ওই যাত্রীর দাবি, তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। এক ব্যক্তির সঙ্গে নেটমাধ্যমে তাঁর আলাপ হয়। তিনিই তাঁকে ব্যাগটি দিয়েছিলেন। যাত্রীর দাবি মতো পুলিস ওই ব্যক্তির সম্পর্কে তথ্য জোগাড়ের চেষ্টা চালাচ্ছে। গত সপ্তাহেও মুম্বই বিমানবন্দর থেকে ৪৭ কোটি টাকার মাদক বাজেয়াপ্ত হয়েছিল। সেই ঘটনায় দুই যাত্রীকে গ্রেফতার করে পুলিস। দুই যাত্রীর কাছ থেকে প্রায় ৫ কেজি মতো হেরোইন এবং ২ কেজি কোকেন উদ্ধার হয়েছিল।
মঙ্গলবার থেকে আগরতলায় (Agartala) শুরু হয়েছে উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলির পুলিস প্রধানদের ২৭ তম কনফারেন্স। ত্রিপুরা (Tripura) রাজ্যের রাজধানী আগরতলার প্রজ্ঞা ভবনে আয়োজিত দুই দিনব্যাপী এই কনফারেন্সে (Conference) প্রথম দিনের সূচনা পর্বে উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডঃ মানিক সাহা (Manik Saha), ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্য সচিব জে কে সিনহা। বিভিন্ন রাজ্য থেকে আগত পুলিসের উচ্চ আধিকারিকরা মুখ্যমন্ত্রী এবং মুখ্য সচিবকে স্বাগত জানান।
পরে মুখ্যমন্ত্রী উপস্থিত সংবাদমাধ্যমকে বলেন, 'প্রতিবেশী রাষ্ট্র মায়ানমার থেকে বিভিন্ন সময় নেশা সামগ্রী উত্তর-পূর্ব ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের প্রবেশ করছে। এরপর এগুলো বাংলাদেশের যাচ্ছে বেআইনিভাবে। আবার ত্রিপুরাতে অবৈধভাবে উৎপাদিত গাঁজা দেশের বিভিন্ন জায়গায় পাচার হচ্ছে। কী করে নেশা সামগ্রী পাচার বন্ধ করা যায়, এই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হবে। তিন বছর পর এ ধরনের বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে এবং ত্রিপুরা রাজ্যে ৩০ বছর পর এই কনফারেন্স হচ্ছে।'
কোভিড-সহ নানা কারণে মাঝে কিছু বছর এই বৈঠক হয়নি। বিভিন্ন রাজ্যের পুলিস প্রধানের পাশাপাশি অন্যান্য নিরাপত্তা এজেন্সির আধিকারিকরাও এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। এর ফলে নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া আরও গতিশীল হবে বলে আশা ব্যক্ত করেন মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রী ডঃ মানিক সাহা আরও বলেন, 'আগে উত্তর-পূর্ব ভারতের উগ্রবাদীদের বাড়বাড়ন্ত থাকলেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর চেষ্টায় এখন দেশের এই অঞ্চলের শান্তি বিরাজ করছে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর নেওয়া এক্ট-ইস্ট পলিসির কারণে উত্তর-পূর্বের প্রতিটি রাজ্য একই মালায় আবদ্ধ হয়ে গিয়েছে। আগে রাজ্যগুলির নিজেদের মধ্যে সমস্যা হত, এখন এগুলি নেই বললেই চলে। উগ্রবাদও নেই বললেই চলে। বাংলাদেশের কিছু কিছু এলাকায় এখন উগ্রবাদী রয়েছে। এই দিকেও রাজ্যগুলির পাশাপাশি কেন্দ্রের নজরদারি চলছে। নিজেদের মধ্যে ফিলগুড এবং অষ্টলক্ষ্মীর কথা বলা হয়েছিল তা বাস্তবায়িত হয়েছে।'
উত্তরপূর্বের বিভিন্ন রাজ্য দিয়ে অনুপ্রবেশ এবং রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ইস্যুতেও সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে কথা বলেন তিনি। জানান রোহিঙ্গা মাঝে মাঝে রাজ্য অনুপ্রবেশ করে এবং পুলিস বিভিন্ন সময়ে তাঁদের আটক করছে। পাশাপাশি অনুপ্রবেশ ইস্যুতে তিনি বলেন, রাজ্যের বেশিরভাগ আন্তর্জাতিক সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া হয়ে গিয়েছে। ছোট ছোট কিছু জায়গা বাকি রয়েছে নানা সমস্যার কারণে। এগুলোতেও যাতে দ্রুত বেড়া নির্মাণ করা যায় তার জন্য আলোচনা চলছে।