নেশার টাকা জোগার করতে ৮ মাসের পুত্র সন্তানকে বিক্রি করে দিলেন জন্মদাত্রী মা, এমনটাই অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার পানিহাটি গান্ধীনগর এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে খড়দহ থানার পুলিস। পুলিস অভিযুক্ত মাকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। এই ঘটনার পর থেকেই পলাতক পুত্রসন্তানের বাবা। তবে এই অমানবিক ঘটনায় সরব হয়েছে এলাকার বাসিন্দারা। পুলিস সূত্রে খবর, অভিযুক্ত ওই মায়ের নাম স্বাথী চোধুরী। পানিহাটি পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা।
এই ঘটনায় স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই অভিযুক্ত দম্পতি বিভিন্ন নেশার জিনিস বেচা কেনা করতো। এমনকি নিজেরাও সেই সমস্ত মাদক দ্রব্য সেবন করতো। তবে টাকার অভাবে নেশার জিনিসপত্র কিনতে না পারায় বিক্রি করে দিয়েছে বাচ্চাটিকে। প্রায় ২২ দিন আগে বাচ্চাটিকে বিক্রি করা হয়েছে, এমনটাই দাবি স্থানীয়দের।
এই ঘটনায় ওই অভিযুক্ত মা জানায়, বাড়িতে বিদ্যুতের ব্যবস্থা না থাকায় প্রতিনিয়ত কষ্ট পেতে হত বাচ্চাটিকে। তবে কোনওভাবেই আর্থিক দিক থেকে সাহায্য করেনি পরিবার। যার ফলেই তিনি এমন কাজ করেছেন বলে জানায়। ওই অভিযুক্ত মহিলা আরও দাবি করে, যাতে বাচ্চাটি ভালো করে খেয়ে পড়ে থাকতে পারে তার জন্য ২ লক্ষ টাকার বিনিময়ে বাচ্চাটিকে বিক্রি করে দেয়।
বেআইনি মাদক (Drug) বিক্রির প্রতিবাদ করয় স্থানীয়দের মারধরের (Beaten) অভিযোগ। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং (Canning) থানার অন্তর্গত তালদি পঞ্চায়েতের বয়েরসিং গ্রামে। ক্যানিং থানার পুলিস (Police) খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ক্যানিং মহকুমা হাসাপাতালে নিয়ে যায়। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় এলাকাবাসীরা অভিযোগ দায়ের করেছেন ক্যানিং থানায়। এই ঘটনার তদন্ত শুরু করছে ক্যানিং থানার পুলিস। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এলাকায় বেশ কিছু মানুষ অবৈধভাবে মাদক বিক্রি করে চলেছে। সেই মাদক কারবারি বন্ধ করায় প্রতিবাদ করেছিলেন এক স্থানীয়। তারপরেই অবৈধ মাদক বিক্রেতারা ওই ব্যক্তিকে মারধর করে। এমনকি মহিলাদেরও মরধর করে ওই মাদক বিক্রেতারা। শুধু তাই নয়, এই ঘটনায় আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। প্রথমে তাঁদের বেধড়ক মারধর করে তারপরে নখ দিয়ে তাঁদের শরীরেও আঘাত করে, এমনটাই অভিযোগ স্থানীয়দের।
ফের বেঙ্গল এসটিএফ-এর (STF) হাতে গ্রেফতার (Arrest) ২ মাদক (Drug) ব্যবসায়ী। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে নদীয়ার (Nadia) কালিগঞ্জ থানার পলাশী অঞ্চলে। ধৃতদের থেকে উদ্ধার হয়েছে দুই কোটি মূল্যেরও বেশি নিষিদ্ধ হেরোইন। এই বিষয়ে শনিবারই নদিয়ার কালিগঞ্জ থানায় এসটিএফ-র পক্ষ থেকে একটি নির্দিষ্ট এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। এমনকি এনডিপিএস আইনে কালিগঞ্জ থানায় একটি সুনির্দিষ্ট মামলাও রুজু করা হয়েছে। রবিবার অভিযুক্তদের কৃষ্ণনগরের এনডিপিএস আদালতে পেশ করা হয়েছে।
পুলিস সূত্রে খবর, ওই দুই অভিযুক্তর নাম গৌতম সরকার (৩৫), নারায়ণ রায় (২২)। অভিযু্ক্ত নারায়ণ রায়ের বাড়ি নদীয়ার কালিগঞ্জেই তবে অভিযুক্ত গৌতম সরকারের বাড়ি মুর্শিদাবাদের রেজিনগর থানার অন্তর্গত। বেঙ্গল এসটিএফ সূত্রে খবর, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার রাতে বেঙ্গল এসটিএফের একটি দল কালীগঞ্জ থানার অন্তর্গত পলাশী-করিমপুর রোডে অভিযান চালায়। সেই অভিযোনেই ধৃতদের কাছ থেকে ২ কেজি হেরোইন উদ্ধার করে এসটিএফ। তারপরেই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে এসটিএফ।
এসটিএফ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, দুই সপ্তাহ আগেই বহরমপুর বাসস্ট্যান্ডে পাঁচ কোটি টাকার মাদকসহ ঝাড়খন্ডের দুই মাদক পাচারকারীকে হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়। তারপর থেকে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করতেই এই তথ্য বাইরে আসে। সম্প্রতি, বেঙ্গল এসটিএফের একটি দল মুর্শিদাবাদের বহরমপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে দুই মাদক পাচারকারীকে গ্রেফতার করেছিল এবং তাদের কাছ থেকে ৪.৮ কেজি পরিমাণ হেরোইন উদ্ধার করে। এনডিপিএস আইনের অধীনে বহরমপুর থানায় একটি নির্দিষ্ট মামলা শুরু হয়েছিল এবং মামলাটি বেঙ্গল এসটিএফের দ্বারা তদন্তও করা হচ্ছে।
অ্যান্টি ড্রাগ ডে (Anti Drug Day) উপলক্ষ্যে রাজ্যের (State) বিভিন্ন জেলায় শুরু হয়েছে মিছিল। শুধুমাত্র আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থেই নয়, অবসাদগ্রস্থ মানুষজন যারা কোনওভাবে মাদকাসক্ত হয়ে পড়েছেন তাঁদেরকে সমাজের মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগী কলকাতা (Kolkata) পুলিস। কেন, কিভাবে, কোন কারণের জন্য সমাজের সুস্থ স্বাভাবিক মানুষ মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছেন? প্রথমে সেই কারণটাকেই খুঁজে বের করে পুলিস। তারপর ওই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে নেশামুক্তি কেন্দ্রের মাধ্যমে সুস্থ স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে দেওয়ার কাজ করছে পুলিস।
এমনকি মাদক বিরোধী অভিযানেও সামিল হয়েছে কলকাতা পুলিস কর্তারা। এবার থেকে সমাজকে আগামী দিনে মাদক মুক্ত করে সুস্থ ও স্বাভাবিক ছন্দে ফিরিয়ে দিতে শুধু কলকাতাই নয় রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় শুরু হয়েছে অ্যান্টি ড্রাগ ডে মিছিল। এমনকি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য মাদক মুক্ত সমাজ গড়ে তোলার লক্ষ্যে রাজ্যের পুলিস প্রশাসন অগ্রগণ্য ভূমিকা গ্রহণ করে চলেছে। সোমবার কলকাতা পুলিসের পক্ষ থেকে বডিগার্ড লাইনে মাদক বিরোধী দিবস উপলক্ষে এক অনুষ্ঠান হয়েছিল। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে এমনটাই জানালেন কলকাতা পুলিসের কমিশনার, বিনীত কুমার গোয়েল।
উল্লেখ্য, ডায়মন্ড হারবার জেলা পুলিসের মহেশতলা থানার উদ্যোগেও অ্যান্টি ড্রাগ ডে উপলক্ষে মিছিলের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছিল। মহেশতলা থানা থেকে মহেশতলার বাটা মোড় পর্যন্ত হয় এই মিছিলটি করা হয়।
মিছিলে উপস্থিত ছিল বিভিন্ন স্কুলের পড়ুয়ারা। উপস্থিত ছিলেন ডায়মন্ড হারবার জেলা পুলিস সুপার রাহুল গোস্বামী সহ অতিরিক্ত পুলিস সুপার হেডকোয়ার্টার অর্ক ব্যানার্জি এবং অতিরিক্ত পুলিস সুপার জোনাল পলাশ ঢালি সহ মহেশতলা থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক এবং আরও অন্যান্য পুলিস আধিকারিকরা। মিছিলের শেষে বাটা মোড়ে একটি সভার আয়োজন করা হয়। দুটি পায়রা উড়িয়ে এই সভার শুভ সূচনা করেন ডায়মন্ড হারবার জেলা পুলিস সুপার। এমনকি অ্যান্টি ড্রাগ ডে উপলক্ষে বিভিন্ন রকমের পথনাটিকাও করা হয় এই অনুষ্ঠানে।
হেরোইন (Druge) সহ দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার (Arrest) করল বেঙ্গল এসটিএফ (STF)। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) লালগোলা থানার অন্তর্গত পন্ডিতপুর এলাকায়। ধৃতদের থেকে উদ্ধার হয়েছে ৫২৫ গ্রাম হেরোইন। এই নিয়ে লালগোলা থানায় এসটিএফ অভিযোগ দায়ের করেছে। দুজনের বিরুদ্ধে লালগোলা থানায় এনডিপিএস আইনে একটি সুনির্দিষ্ট মামলা শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিস (Police)।
পুলিস সূত্রে খবর, ধৃত ওই দুই অভিযুক্তর নাম শেখ নেশারুল (২২), শেখ রাজেশ (২০)। দুজনে লালগোলা থানার অন্তর্গত নলদহরি ও গাবতলার বাসিন্দা। পুলিস সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে গোপন সূত্রের ভিত্তিতে, পশ্চিমবঙ্গের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের মালদহ ইউনিটের একটি দল লালগোলা থানার অন্তর্গত পন্ডিতপুর এলাকায় অভিযান চালায়। সেখানেই ওই দুই ব্যক্তির কাছে তল্লাশি চালানো হয়। আর তারপরেই ওই ব্যক্তির কাছ থেকে ৫২৫ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করে পুলিস। এই ঘটনার পরই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়।
আগামী ২৬ শে জুন মাদকবিরোধী (Drugs) দিবস। শুক্রবার সেই বিরোধী দিবস উপলক্ষে বেহালায় (Behala) স্কুল পড়ুয়া এবং টলিউড শিল্পীদের নিয়ে পুলিসের উদ্যোগে মিছিল করা হয়। সেই উপলক্ষে এদিন কলকাতা পুলিসের সাউথ ওয়েস্ট ডিভিশনের উদ্যোগে বেহালা থানা থেকে একটি মিছিল করা হয়। বেহালা থানা থেকে শুরু হয়ে ম্যানটন হয়ে আবারো বেহালা থানায় এসে শেষ হয় সেই মিছিলটি। স্কুল পড়ুয়া এবং টলিউড শিল্পীদের নিয়ে এই মিছিলটি করা হয় পুলিসের উদ্যোগে। উপস্থিত ছিলেন ডিসি সাউথ ওয়েস্ট সৌম্য রায় সহ বেহালা, ঠাকুরপুকুর, সরশুনা, পর্ণশ্রী, হরিদেবপুর এবং তারাতলা থানার পুলিস আধিকারিকরা। এমনকি বাংলা সিরিয়ালের তারকারাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও সাউথ ওয়েস্ট ডিভিশনের বিভিন্ন থানা এলাকায় রমরমিয়ে চলছে সাট্টা খেলা। সাট্টা খেলায় আসক্ত হয়ে পড়ছে বহু মানুষ এই বিষয়ে ডিসি সাউথ ওয়েস্ট সৌম্য রায় কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, 'এই বিষয়ে খতিয়ে দেখা হবে।' তিনি আরও বলেন, 'এই বিষয়ে মানুষদের সচেতন করা হবে। এবং পদক্ষেপ নেওয়া হবে।'
ফের বেঙ্গল এসটিএফ-এর (STF) জালে দুই মাদক পাচারকারী। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের (Murchidabad) বহরমপুর বাস স্টপেজের কাছে। ধৃতদের থেকে ৪ কিলো ৮০০ গ্রাম নিষিদ্ধ মরফিন (Drug Smugglers) উদ্ধার করা হয়েছে। যার বাজার মূল্য প্রায় ৫ কোটি টাকা। অভিযুক্ত ওই দু'জনকেই গ্রেফতার (Arrest) করা হয়েছে। অভিযুক্তদের বুধবার বহরমপুর নিম্ন আদালতে পেশ করা হয়। এমনকি এই নিষিদ্ধ মাদক পাচারচক্রের বিরুদ্ধে বিস্তারিত তদন্তও শুরু করেছে বহরমপুর থানার পুলিস। বেঙ্গল এসটিএফ সূত্রে খবর, ধৃত ওই দুই ব্যক্তির নাম গৌর সরকার (৩৫) এবং শেখ গোলাম (৬০)। তারা দু'জনেই ঝাড়খণ্ডের সাহেবগঞ্জের বাসিন্দা।
এসটিএফ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার বিকেলে একটি গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পশ্চিমবঙ্গের বিশেষ টাস্কফোর্সের একটি দল বহরমপুর বাস স্ট্যান্ড এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালায়। সেখানেই সন্দেহের জেরে ওই দু'জনকে আটক করে। তারপর তাদেরকে তল্লাশি করার পর উদ্ধার হয় ওই নিষিদ্ধ মাদক। যদিও এই বিষয়ে বেঙ্গল এসটিএফের তরফে বহরমপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এমনকি এনডিপিএস আইনের অধীনে একটি নির্দিষ্ট মামলা রুজু করে এই ঘটনার তদন্তও শুরু করে দিয়েছে বহরমপুর থানার পুলিস।
মুম্বইয়ে মাদক (Drugs) পাচারকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে বড় সাফল্য এনসিবির (NCB)। বাণিজ্যনগরীতে অভিযান চালিয়ে উদ্ধার (Rescue) ৫০ কোটির মাদক ছাড়াও ১ কোটির বেশি নগদ ও সোনার গয়না। এনসিবি সূত্রে খবর, শনিবার এই পাচারচক্রে (Trafficking) জড়িত অভিযোগে এক মহিলা-সহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে এনসিবি।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, অভিযুক্তের উপর নজরদারি করছিলেন এনসিবি-র আধিকারিকেরা। তাঁদের কাছে খবর ছিল, ওই খানের হেফাজতে বিপুল পরিমাণ মাদক রয়েছে। ডোংরি এলাকায় ওই অভিযুক্তের বাড়ির কাছে ফাঁদ পেতেছিল এনসিবির দলটি। সেখানে এ আলি নামে খানের এক সঙ্গীর কাছ থেকে ৩ কেজির মেফেড্রোন উদ্ধার হয়। এরপরে চলে খানের বাড়িতে তল্লাশি। সেখান থেকে আরও উদ্ধার হয় ২ কেজি মেফেড্রোন। এই দু’জনকে কাছ থেকে পাচারচক্রের আরও এক মহিলার নাম জানতে পারে এনসিবি। এএফ শেখ নামের এক মহিলা এলাকায় একটি সংস্থার সঙ্গে মাদক পাচারে জড়িত বলে অভিযোগ। শুক্রবার ওই মহিলার বাড়ি হানা দিয়ে সেখান থেকে আরও ১৫ কেজি মেফেড্রোন উদ্ধার হয়েছে। এ ছাড়া, ১ কোটি ১০ লক্ষ নগদ টাকা-সহ সোনার গয়নাও মিলেছে।
অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে নার্কোটিক ড্রাগস অ্যান্ড সাইকোট্রপিক সাবস্ট্যান্সেস আইনের উপযুক্ত ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
নেশার ট্যাবলেট (Drug Tablets) সহ গ্রেফতার (Arrest) এক মহিলা। সোমবার রাতে কালচিনি থানার পুলিস আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) জেলার ভুটান সীমান্তবর্তী সেন্ট্রাল ডুয়ার্স এলাকা থেকে ওই মহিলাকে গ্রেফতার করে। অভিযুক্ত মহিলাকে মঙ্গলবার সকালে জলপাইগুড়ি কোর্টে পেশ করেছে পুলিস (Police)। পুলিস সূত্রে খবর, অভিযুক্ত ওই মহিলার নাম প্রীতি লামা। অভিযুক্ত কালচিনি ব্লকের সেন্ট্রাল ডুয়ার্স এলাকার বাসিন্দা।
পুলিস আরও জানিয়েছে, সোমবার রাতে গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে কালচিনি থানার পুলিস সেন্ট্রাল ডুয়ার্স এলাকায় অভিযান চালায়। অভিযান চালিয়ে ওই এলাকারই বাসিন্দা প্রীতি লামাকে গ্রেফতার করে এবং তার কাছ থেকে প্রচুর নেশার ট্যাবলেটও উদ্ধার করে পুলিস।
এ বিষয়ে কালচিনি থানার ওসি টিএন লামা জানান, অভিযুক্ত মহিলা নিজের দোকান থেকেই নেশার ট্যাবলেট বিক্রি করতো। সোমবার অভিযান চালিয়ে মহিলাকে হাতেনাতে ধরা হয়েছে। মহিলার কাছ থেকে প্রায় ১ হাজার পিস নেশার ট্যাবলেট উদ্ধার হয়েছে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে এনডিপিএস আ্যক্টে মামলাও দায়ের করা হয়েছে। এমনকি এই ঘটনার তদন্তও শুরু হয়েছে।
শাহরুখের (Shah Rukh Khan) থেকে ২৫ কোটি টাকা দাবি করেছিলেন সমীর ওয়াংখেড়ে (Sameer Wankhede)। নয়তো আরিয়ানের কেরিয়ার ধ্বংস করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছিল। এমনটাই দাবি করা হয়েছে সিবিআইয়ের এফআইআর-এ। ২০২১ সালের অক্টোবরে প্রমোদতরী থেকে শাহরুখ পুত্র আরিয়ানকে মাদক কাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করেছিল নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (NCB)। এরপর আরিয়ানকে গ্রেফতার করা হলেও পরে তিনি জামিন পেয়ে যান। কিন্তু সেখানেই শেষ নয় এই ঘটনা। এই মামলায় এখন নতুন মোড় এসেছে।
সিবিআইয়ের এফআইআর-এ দাবি করা হয়েছে, আরিয়ানকে এই মামলা থেকে বাঁচানোর জন্য খান পরিবারকে ধমকিয়ে ২৫ কোটি টাকা দাবি করা হয়েছিল। নয়তো তাঁকে ফাঁসিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল এনসিবির। এমনটাই অভিযোগ সিবিআইয়ের। আরিয়ানের মাদক মামলার সময় এনসিবি জোনাল ডিরেক্টর ছিলেন সমীর ওয়াংখেড়ে। তাঁর অধীনস্থ আধিকারিক ও কেপি গোসাবি এই ঘুষ নেওয়ার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এই নিয়ে তদন্তও করছে সিবিআই।
সিবিআই আরও দাবি করেছে, ২৫ কোটি টাকা চাওয়া হলেও প্রথমে ১৮ কোটি টাকা দেওয়া হয়। এই ১৫ কোটির ৫০ লক্ষ টাকা আগাম দেওয়া হয়েছিল কেপি গোসাভিকে। তারপরেও বাকি টাকা তুলতে ফাঁসানো হয় আরিয়ানকে। খান পরিবারের বিরুদ্ধেও নেতিবাচকতা ছড়ানো হয়। তবে আদৌ খান পরিবার তাঁদের টাকা দিয়েছে কিনা তা নিয়ে ধোঁয়াশায় প্রত্যেকেই।
পঞ্জাব (Punjab) সীমান্ত এলাকায় উদ্ধার মাদক (drugs)। বিএসএফ (BSF) সূত্রে খবর, একটি গমের ক্ষেত থেকে এক কিলোগ্রাম ওজনের হেরোইন (Heroin) পাওয়া গিয়েছে। রবিবার, পঞ্জাবের ফিরোজপুর জেলার কিলচে গ্রামে এই ঘটনাটি ঘটেছে।
বিএসএফ সূত্রে দাবি, প্রতিদিনের মতো সীমান্ত বরাবর টহল দিচ্ছিলেন বিএসএফ জওয়ানরা। সীমান্ত এলাকায় টহল দিতে গিয়ে হঠাৎ পঞ্জাব সীমান্তের নিকটবর্তী একটি গমের ক্ষেতের ভিতর মোজায় মোড়ানো প্যাকেট লক্ষ করেন তাঁরা। মোজায় মোড়ানো প্যাকেট দেখে তাঁদের সন্দেহ হয়।
সন্দেহ হওয়ায় পর্যবেক্ষণ করে দেখেন যে, ওই মোজার ভিতরে আসলে ভরা রয়েছে মাদক। ওই মোড়ানো মোজার ভিতর থেকে উদ্ধার হয় মাদক ভরা প্যাকেট। ওজন করে দেখা গিয়েছে যে, প্যাকেটের ভিতর এক কিলোগ্রাম ওজনের হেরোইন ছিল। কোথা থেকে কিভাবে এই মাদক এসেছে সে বিষয়ে কোনও তথ্য এখনও পাননি বলে জানান বিএসএফ-এর জওয়ানরা।
বুধবার রাতে মুর্শিদাবাদের ফরাক্কায় সন্দেহভাজন তিনজনকে প্রথমে আটক করে ফরাক্কা থানা। তারপর তল্লাশি চালিয়ে তাঁদের থেকে উদ্ধার হয় ৪০ গ্রাম ব্রাউন সুগার। মাদক উদ্ধারের পরেই তাদের গ্রেফতার করে ফরাক্কা থানায় নিয়ে আসে পুলিস। জানা গিয়েছে, ধৃতদের নাম অভিষেক ভাস্কর, মোহাম্মদ আমির খান, নবীন রজক।
প্রত্যেকের বাড়ি বিহারের ভাগলপুরে। ধৃতদের হেফাজতে পাঠিয়েছে জঙ্গিপুর আদালত। আর এই ঘটনায় আরও কে কে জড়িত রয়েছে, তা তদন্ত করছে ফরাক্কা থানার পুলিস।
একই রাতে কোথাও দেড় কোটি টাকার গাঁজা পাচার (Smuggling) রুখলেন। আবার কোথাও পুরোনো ঘটনার অভিযুক্তদের জেরা করে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার করলেন বিলাসবহুল গাড়ির সঙ্গে বিপুল টাকার নিষিদ্ধ মাদক (Drug)। কোথাও কলকাতা পুলিসের এসটিএফ, আবার কোথাও বিধাননগর কমিশনারেটের এসটিএফ।
পুলিস জানিয়েছে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মঙ্গলবার রাতে সার্ভে পার্ক থানা এলাকার বাইপাসের অজয়নগর মোড়ে অভিযানে যায় পুলিস। একটি এসইউভি গাড়ি থামিয়ে তার ভিতর থেকে ১২৫ কেজি গাঁজা উদ্ধার করেন কলকাতা পুলিসের এসটিএফ। মঙ্গলবার রাতেই, ওই গাড়ির চালক বরকত খান ওরফে ইমরানকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দারা। প্রাথমিকভাবে পুলিসের অনুমান, ওড়িশা থেকে ওই গাঁজা পাচার করা হচ্ছিল দক্ষিণ শহরতলীতে। গাড়ির সিটের ভিতরে ওই মাদক ১০টি ব্যাগে ভরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে জানায় পুলিস।
পাশাপাশি গত ১৬ই মার্চ বিধাননগরের নাওভাঙা নামক জায়গায় গোপন খবরের ভিত্তিতে তল্লাশি চালিয়ে বেঙ্গল এস টি এফ-র হাতে ধরা পড়েছিল মেহতাব বিবি এবং মোমিন খান নামক দুই ড্রাগ ব্যবসায়ী। সঙ্গে মিলেছিল বহুমূল্যের নিষিদ্ধ মাদক হিরোইন। এই ঘটনার তদন্ত চলাকালীন, মঙ্গলবার গভীর রাতে বেঙ্গল এস টি এফ-র তদন্তকারী অফিসারদের কাছে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। রাতেই ওই এলাকায় আবার তল্লাশি চালিয়ে মেলে দুইটি বিলাসবহুল গাড়ির হদিশ। দুইটি গাড়িতেই পাওয়া যায় প্রচুর পরিমাণ নিষিদ্ধ মাদক (হেরোইন )। হাফ কিলো ওজনের মাদকের একটি ব্যাগ ছাড়াও, তিরিশ হাজারের উপর ক্ষুদ্র পুরিয়া পাওয়া যায় গাড়িতে। যার মোট ওজন দেড় কিলোগ্রাম।
উল্লেখ্য, ড্রাগচেইন-এর একদম শেষে বিভিন্ন মাধ্যমে নেশাড়ুদের কাছে এই পুরিয়া-ই পৌঁছে যেত। উপরোক্ত দুই ধৃতকে নিয়ে বেঙ্গল এস টি এফ-র তদন্তকারী টিম আরও তল্লাশি চালাবে বলেই আপাতত খবর।
মুদির দোকানে বেআইনি মদ বিক্রির অভিযোগে গ্রেফতার গৃহবধূ। ধৃতের কাছ থেকে উদ্ধার লক্ষাধিক টাকার বেআইনি বিদেশী মদ (Wine)। ঘটনাস্থলে বারুইপুর থানার পুলিস(Baruipur Police)। জানা গিয়েছে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বারুইপুর থানার পিসি অফিসার রনি সরকারের টিম মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হানা দেয় পিয়ালি স্টেশন এলাকায়। পিয়ালি স্টেশন এলাকা থেকে বেআইনি মদ-সহ এক গৃহবধূকে গ্রেফতার করে পুলিস। ধৃতের নাম সুপর্ণা ঘোষ। পিয়ালি থানা এলাকারই বাসিন্দা সে। ধৃতর থেকে লক্ষাধিক টাকার বেআইনি বিদেশী মদ উদ্ধার করেছে বারুইপুর থানার পুলিস।
পিয়ালি স্টেশন এলাকারই একটি মুদি দোকান(GroceryShop) থেকে উদ্ধার হয় বিপুল পরিমানে বিদেশি মদ। যার বাজারমূল্য প্রায় লক্ষাধিক টাকা। পুলিস সূত্রের খবর, বেশ কয়েকদিন ধরেই পিয়ালির ওই এলাকায় বেআইনি ভাবে বিদেশী মদ বিক্রির অভিযোগ আসছিল। এরপরেই পুলিস এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করে অভিযুক্ত গৃহবধূকে। প্রাথমিকভাবে অনুমান আগামী দোল উৎসবে বিক্রির জন্যই বিপুল পরিমানে বিদেশী কোম্পানির মদ মজুত করেছিল ওই গৃহবধূ।
ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটের (Economic Crisis) মুখে পাকিস্তান (Pakistan)। ক্রমবর্ধমান মূল্যবৃদ্ধিতে জেরবার গোটা দেশ। বেড়ে গিয়েছে আটা-ময়দার দাম। একমুঠো আটার জন্য রীতিমতো লড়াই চলছে। বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডারও তলানিতে ঠেকেছে। এর মধ্যেই আরও বড় ধাক্কা পাকিস্তানের জন্য। এখন প্রয়োজনীয় ওষুধ পাওয়ার জন্যও কসরত করতে হচ্ছে সাধারণ মানুষদের। অর্থের অভাবে প্রয়োজনীয় ওষুধ (Medicine) এবং দেশে ওষুধ তৈরিতে প্রয়োজনীয় সামগ্রী আমদানি করার ক্ষেত্রেও প্রভাব পড়েছে। ওষুধ ও চিকিৎসাগত সরঞ্জামের ঘাটতির কারণে ডাক্তাররা অস্ত্রোপচার করতে প্রস্তুত নয়। পাশাপাশি অপারেশন থিয়েটারে মাত্র দু’মাসেরই অ্যানস্থেশিয়া করার সামগ্রী রয়েছে। এর ফলে হাসপালের কর্মীরা চাকরিহীন হয়েও পড়তে পারেন।
বর্তমানে ঋণের দায়ে ডুবেছে পাকিস্তান। এই বিপদ থেকে পাকিস্তানকে উদ্ধারের পথও দেখা যাচ্ছে না। একেবারে বিপর্যস্ত দেশ। জনসাধারণও নেই দেশের পাশে।আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল থেকে ঋণ পাওয়ার বিষয়ে এখনও নিশ্চয়তা পায়নি পাকিস্তান। ধীরে ধীরে আরও অন্ধকারে ডুবছে সে দেশ। এই অর্থনৈতিক সঙ্কটের ভয়াবহ প্রভাব পড়েছে চিকিৎসা ব্যবস্থাতেও।
উল্লেখ্য, এদিকে ইতিমধ্যেই তা দেশের বার্ষিক প্রবৃদ্ধির হার বা জিডিপি পার করে গিয়েছে। আগামী ৩১ মার্চের মধ্যেই পাকিস্তানকে ৪.৫ বিলিয়ন ডলারের ঋণ মেটানোর কথা। গোটা অর্থবর্ষে মোট ২২ বিলিয়ন ডলারের ঋণ মেটাতে হবে। যেখানে পাকিস্তানের ফরেক্স লেভেল বা বৈদেশিক মুদ্রা ভাণ্ডার ৩ বিলিয়নের নীচে নেমে গিয়েছে, সেখানে এই বিপুল পরিমাণ ঋণ মেটানো কার্যত অসম্ভব।