সোমবার সাত সকালেই চাঞ্চল্য ছড়াল রাজধানী দিল্লিতে (Delhi)। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) বাসভবনের উপরে আচমকাই উড়তে দেখা গেল ড্রোন (Drone)। জানা গিয়েছে, সোমবার ভোর ৫টা নাগাদ রাজধানীতে ৭ নম্বর লোক কল্যাণ মার্গের বাসভবনের মাথায় ড্রোনটিকে উড়তে দেখা যায়। এই রহস্যজনক গতিবিধি নজরে আসতেই সঙ্গে সঙ্গে তদন্তে নেমেছে দিল্লি পুলিস।
সূত্রের খবর, সোমবার ভোর ৫ টা নাগাদ এক ড্রোন উড়তে দেখা যায়। এরপরেই আতঙ্কে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে যায় দিল্লি জুড়ে। ফলে এই ড্রোনের সন্ধানে তড়িঘড়ি তদন্তে নেমেছে পুলিস। জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা স্পেশ্যাল প্রোটেকশন গ্রুপের অফিসাররাই প্রথম এই ড্রোনটিকে চিহ্নিত করেন। এরপর খবর দেওয়া হয় দিল্লি পুলিসে। দ্রুত ৭ নম্বর লোক কল্যাণ মার্গে পৌঁছয় দিল্লি পুলিসের বড় টিম। এরপরেই দিল্লি পুলিস ড্রোনটিকে ট্র্যাক করতে অভিযান শুরু করে। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও ড্রোনের সন্ধান পাওয়া যায়নি।
ইতিমধ্যেই দিল্লি পুলিস এক বিবৃতিতে বলেছে, 'প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের উপরে একটি বস্তুর খবর পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু আশেপাশের এলাকায় ভালোভাবে তল্লাশি চালানো হলেও এ ধরনের কোনও বস্তুর সন্ধান পাওয়া যায়নি। এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল রুমের (ATC) সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছিল। তারা প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের কাছে এমন কোনও ড্রোনকে সনাক্ত করতে পারেনি।'
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ও তার সংলগ্ন এলাকা 'রেড নো ফ্লাই জোন' বা 'নো ড্রোন জোন'-এর মধ্যে পড়ে। ফলে সেই এলাকায় কীভাবে ড্রোন উড়ছে তা নিয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
দুষ্কৃতী হামলার মুখে রুশ (Russia) প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Putin)। রাশিয়ার আন্তজাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা (Drone Attack) হয়েছে। যদিও এই হামলায় কোনো ক্ষতি হয়নি ঐ দেশের প্রেসিডেন্টের। রুশ প্রশাসন জানিয়েছেন, সুস্থ রয়েছেন প্রেসিডেন্ট। তাঁর কোনও ক্ষতি হয়নি। ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধের আবহে ভলোদিমির জেলেনস্কির দেশই এই হামলার নেপথ্যে রয়েছে বলে দাবি করেছে রাশিয়া। যদিও ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে।
বুধবার ক্রেমলিনের তরফে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়, দু’টি মানববিহীন ড্রোন রুশ প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন ক্রেমলিনকে লক্ষ্য করে সেখানে এসে ধাক্কা মারে। পরে ওই ড্রোন দু’টিকে নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। মস্কোর মেয়র জানিয়েছেন, রুশ রাজধানীর উপর দিয়ে কোনও বিমান কিংবা ড্রোনকে উড়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে না।
বুধবার রুশ সমাজমাধ্যমে ড্রোন হামলার একাধিক ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে দেখা যাচ্ছে ক্রেমলিনের উপর আছড়ে পড়ছে দু’টি ড্রোন। আগুনের ঝলকানি মিলিয়ে যাওয়ার পর কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যাচ্ছে চারপাশ। রাশিয়ার তরফে বলা হচ্ছে, পুতিনকে হত্যা করতেই পরিকল্পিত ভাবে এই হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। এমনকি ‘সঠিক সময়ে প্রত্যাঘাত’ করা হবে বলেও ইউক্রেনকে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে ক্রেমলিনের তরফে। এই ঘটনার পর রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের তীব্রতার মাত্রা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
জলের তলায় পারমাণবিক (atomic bomb) হামলা চালানোর অত্যাধুনিক অস্ত্রের মহড়া চালাল পিয়ংইয়ং। সমুদ্রের তলায় পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম একটি বিশেষ ড্রোনের পরীক্ষামূলক মহড়া উত্তর কোরিয়ায় (North Korea)। এই অস্ত্রের হামলায় তেজস্ক্রিয় সুনামি ঘটবে বলে দাবি, উত্তর কোরিয়ার। তাই নতুন করে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে আন্তর্জাতিক মহলে।
কোরিয়ার একটি সংবাদমাধ্যম থেকে জানা গিয়েছে, অস্ত্র বহন এই ড্রোনের নাম রাখা হয়েছে ‘আনম্যানড আন্ডারওয়াটার নিউক্লিয়ার অ্যাটাক ক্র্যাফ্ট, হেইল’। আর এই ‘হেইল’ শব্দের অর্থ সুনামি। এই অস্ত্র পরীক্ষার সময় ৫৯ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে জলের তলায় ছিল ড্রোনটি। জলের তলায় প্রায় ৮০ থেকে ১৫০ মিটার গভীরতায় ছিল ড্রোনটি।
শুক্রবারই এই অস্ত্রের কথা প্রকাশ করেছে উত্তর কোরিয়া। তবে বেশ কয়েক বছর ধরেই বিভিন্ন সময় ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ঘুম কেড়েছে উত্তর কোরিয়া। তবে এবার এই দেশের হাতে এল নতুন অস্ত্র। জলের তলায় পারমাণবিক হামলা চালাতে সক্ষম এই ড্রোন। এমনকি ড্রোনের আঘাতে তেজস্ক্রিয় সুনামি ঘটবে বলে দাবি, উত্তর কোরিয়ার সরকারি সংবাদমাধ্যমের।
ফের পঞ্জাবে (Punjab) পাকিস্তানি ড্রোনের (Pakistani Drone) প্রবেশ। গুলি করে নামাল বিএসএফ (BSF)। বুধবার বিএসএফ-র তরফে বলা হয়, পঞ্জাবের গুরদাসপুরে পাকিস্তানের দিক থেকে আসা ড্রোনকে গুলি করে নামানো হয়েছে। ড্রোন থেকে উদ্ধার হল চারটি চিনা বন্দুক এবং তাজা কার্তুজ।
বিবৃতি জারি করে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বা বিএসএফ জানিয়েছে, ১৭ এবং ১৮ জানুয়ারির মধ্যরাতে বিএসএফের টহলদারি দল গুরদাসপুরের উঁচা তাকালা গ্রামে একটি ড্রোনের শব্দ পান। সঙ্গে সঙ্গে ড্রোন লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। এরপর শব্দের উৎস অনুসন্ধান করে তল্লাশি অভিযান শুরু হয়। সেখানে একটি কাঠের বাক্স পড়ে থাকতে দেখে বিএসএফ। ওই বাক্স থেকেই উদ্ধার করা হয় চিনে তৈরি চারটি পিস্তল, ৮টি ম্যাগাজিন এবং ৪৭ রাউন্ড গুলি।
এরপরই নিরাপত্তারক্ষীরা গোটা এলাকায় জোরদার তল্লাশি শুরু করে। উল্লেখ্য, এর আগেও পাকিস্তান থেকে ড্রোনের মাধ্যমে পঞ্জাবে অস্ত্রশস্ত্র এবং মাদকদ্রব্য পাঠানোর ঘটনা ঘটেছে। এই বছরের শুরুতেই পঞ্জাবের গুরদাসপুরে মাদক-ভর্তি ড্রোন উদ্ধার করেছিল সীমান্তরক্ষী বাহিনী। ফের একই গ্রামে আরেকবার ড্রোন প্রবেশ করানোর চেষ্টা ব্যর্থ করল বিএসএফ।
ফের ড্রোন (Pak Drone) ব্যবহার করে ওপার থেকে ভারতে পাচারের চেষ্টা অব্যাহত। উদ্ধার পাকিস্তানি ড্রোন। জানা গিয়েছে, বাজেয়াপ্ত সেই ড্রোন থেকে এক কেজি মাদক (narcotics) উদ্ধার হয়েছে। সোমবার ভারত-পাক সীমান্তে পঞ্জাবের (Punjab Border) গুরদাসপুর থেকে বিএসএফ (BSF) এই ড্রোন বাজেয়াপ্ত করেন।
বিএসএফ-র বক্তব্য, ‘‘গুরুদাসপুরের কসোয়ালে আমাদের ঘাঁটি থেকে ২ কিলোমিটার দূরে একটি পুরনো ভাঙাচোরা ড্রোন পাওয়া গিয়েছে। তার সঙ্গে ১ কেজি ওজনের হেরোইন উদ্ধার করা হয়েছে।’’
সোমবার দুপুরে স্থানীয় কৃষকদের চোখে এই ড্রোন পড়ে। খবর যায় বিএসএফ-এ, তারা এসে ড্রোনটি বাজেয়াপ্ত করে।
এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, বছর শেষেও পাক একটি ড্রোন ঢুকে পড়েছিল সীমান্ত এলাকায়। জানা গিয়েছে, ২০ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ পঞ্জাবের অমৃতসরের জেলার সীমান্তবর্তী অঞ্চলে ঢুকে পড়ে ড্রোনটি।
পঞ্জাবের (Punjab) অমৃতসরে (Amritsar) ভারত-পাক সীমান্ত এলাকায় একটি ড্রোনকে (shot down drone) গুলি করে নামাল বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ) (BSF)। সীমান্তের ওপার থেকে ড্রোনটি ভারতের ভূখণ্ডে ঢুকে পড়ে বলে বিএসএফ-র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭ঃ২০ মিনিটে ড্রোনটি ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশ করেছিল। বুধবার সকালে, সেনারা ভরপালের সীমান্ত ফাঁড়ি থেকে প্রায় ২০ মিটার দূরে পাকিস্তানের দিকে ড্রোনটি পড়ে থাকতে দেখেছিল।
এরপর কয়েক মিনিটের জন্য আকাশে উড়তে দেখা যায় ড্রোনটি। তখনই কর্তব্যরত জওয়ানরা সঙ্গে সঙ্গে গুলি করে নামিয়ে নেয়। ভারত-পাক সীমান্তের ওপার থেকে ড্রোনের আগমন এই প্রথম নয়। গত এগারো মাসে পাকিস্তান থেকে ভারতীয় ভূখণ্ডে ২২০টি ড্রোনের বেআইনি প্রবেশের ঘটনা ঘটেছে বলে বিএসএফ-র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। আর এই ঘটনা দেশের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলে মনে করছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী।