
ভুয়ো ড্রাইভিং লাইসেন্স (Fake Driving License) প্রদানের অভিযোগ উঠেছে এক বেসরকারি মোটর ট্রেনিং স্কুলের বিরুদ্ধে। মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলার কান্দি থানার মাধুনিয়া উলাপাড়ার ঘটনা। আর এই ভুয়ো লাইসেন্স নিয়ে কার্যত ব্যাপক বিভ্রান্তির মধ্যে পড়ে রয়েছেন কান্দি শহরের মাধুনিয়ার এক বাসিন্দা দেবাশিস হাজরা।
এই ঘটনায় দেবাশিস বাবুর অভিযোগ, গত দুই বছর আগে সে কান্দি থানার পেট্রোল পাম্প সংলগ্ন এলাকায় থাকা একটি বেসরকারি মোটর ট্রেনিং স্কুলে ভর্তি হয়েছিল। তবে দীর্ঘদিন ধরে স্কুলে ক্লাস ও মোটা টাকা দেওয়ার পরেও তাঁকে একটি ভুঁয়ো লাইসেন্স প্রদান করা হয় ওই মোটর ট্রেনিং স্কুলের পক্ষ থেকে। তাঁর দাবি, যদিও দুই বছর পর তিনি বুঝতে পারেন যে তাঁর লাইসেন্সটি ভুঁয়ো। এই বিষয়ে জানা মাত্রই তিনি ওই মোটর ট্রেনিং স্কুলে সঙ্গে যোগাযোগ করলে তাঁকে একাধিক রকমভাবে বিভ্রান্তি করার চেষ্টা করা হয় বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি।
পাশাপাশি এই ঘটনায় দেবাশিস হাজরা সঠিক বিচারের আশায় মুর্শিদাবাদ জেলা পরিবহন দফতরেও লিখিত অভিযোগ জানান। কিন্তু অভিযোগ জানিও কোনও সুরাহা মিলছে না পরিবহন দফতর থেকে। এমনকি বেসরকারি ওই মোটর ট্রেনিং স্কুলের পক্ষ থেকে উল্টে বলা হচ্ছে আবারো মোটা টাকা ঘুঁষ লাগবে। তারপরেই মিলতে পারে তাঁর আসল লাইসেন্স।
অন্যদিকে এই ঘটনাই ওই মোটর ট্রেনিং স্কুলের পক্ষ থেকে সম্পূর্ণ দোষ দেওয়া হচ্ছে মুর্শিদাবাদ জেলা পরিবহন দফতরকে। তাঁদের কথায় মুর্শিদাবাদ জেলা পরিবহন দফতর বর্তমানে দুর্নীতির আতুঁর ঘর তথা ঘুঘুর বাসাতে রূপান্তরিত হয়েছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে কান্দি শহর এলাকায় থাকা ওই মোটর ট্রেনিং স্কুলের এক শিক্ষক।
এবার বাড়িতেই ড্রাইভিং লাইসেন্স (Driving License) পৌঁছে দেবে রাজ্য সরকার। বৃহস্পতিবার বেলতলা পাবলিক ভেহিক্যালস ডিপার্টমেন্টে এই পরিষেবার উদ্বোধন করেন রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী (Transport Minister) স্নেহাশিস চক্রবর্তী।
এতদিন পর্যন্ত আবেদনকারীদের আঞ্চলিক পরিবহন দফতরের অফিস থেকে লাইসেন্স সংগ্রহ করতে হত। কিন্তু নতুন পরিষেবায় বাড়িতে বসেই কিউ আর কোড যুক্ত লাইসেন্স পাবেন আবেদনকারীরা। দেশের যে কোনও প্রান্তেই বৈধতা থাকবে ওই কার্ডের। এছাড়াও বর্তমানে যাঁদের পুরনো লাইসেন্স রয়েছে তাঁরাও নতুন কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
মন্ত্রী জানিয়েছেন, স্মার্ট কার্ডের মতোই ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং গাড়ির রেজস্ট্রেশনের কার্ড তৈরি হবে। কার্ডে থাকা কিউ আর কোড স্ক্যান করে গাড়ির যাবতীয় তথ্য জানতে পারবেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, যাঁদের কাছে পুরনো লাইসেন্স রয়েছে তাঁরা ২০০ টাকার বিনিময়ে নতুন স্মার্ট কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
আগামীদিনে নতুন স্মার্ট ড্রাইভিং কার্ড স্পিড পোস্টের মাধ্যমে পৌঁছে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।