কল আছে কিন্তু কলে জল নেই। প্রায় দু'বছর আগে এসেছিল পানীয় জলের (Drinking Water) লাইন। কিন্তু দুর্ভাগ্য এখনও সেই কলের লাইনে জল আসেনি। বাঁকুড়া (Bankura Village) দু'নম্বর ব্লকের জুনবেদিয়া গ্রাম, যে গ্রামে লকডাউনের আগে পানীয় জলের লাইন আসে। সেই লাইনে এখনও পর্যন্ত একফোঁটা জলের দেখা পায়নি গোটা গ্রামবাসী। গ্রামবাসীদের ভরসা মাত্র একটি টিউবওয়েল। দাবি, পানীয় জলের জন্য গাড়ির তেল পুড়িয়ে প্রতিদিন দেড় কিলোমিটার দূরে যেতে হয়। গরমের প্রবল তাপ-উত্তাপ মাথায় করে এপ্রকার বাধ্য হয়ে যেতে হয় খাবার জল আনতে।
অভিযোগ, 'বহুবার প্রশাসনকে দরখাস্ত দেওয়া হলেও তারা এই ব্যাপারে কোনওরকম ব্যবস্থা নেয়নি। গ্রামের প্রতি ঘরে কলের লাইন থাকা সত্ত্বেও সেই লাইনে জলের কোনও ব্যবস্থা নেই। এছাড়াও গ্রামে একটা পুকুর পর্যন্ত নেই। বাড়ির মহিলা সদস্যদের স্নান করতে দূর-দূরান্তে যেতে হয়। পানীয় জলের সংঙ্কটে ভুগছে বাঁকুড়ার এই গ্রাম।' গ্রামবাসীদের একটাই দাবি, পানীয় জলের ব্যবস্থা না করলে তারা ভোট বয়কট করবে। সামনেই পঞ্চায়েত ভোট তার আগেই বাঁকুড়ায় জলের সমস্যা। এবার দেখার প্রশাসন এব্যাপারে কী ব্যবস্থা নেয়।
পানীয় জলের দাবিতে বালতি-কলসি নিয়ে পথঅবরোধ। সারেঙ্গা থেকে ব্রাহ্মণডিহা যাওয়ার রাস্তায় কাশীবনে পথঅবরোধ। অন্যদিকে নামখানা ব্লকের শিবরামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রাজনগর অতি পাড়া এলাকাতেও পথ অবরোধ। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুরু হয় এই অবরোধ। খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছয় পুলিস। অবরোধকারীদের বুঝিয়ে পুলিস অবরোধ তুলে দেয়।
কল আছে জল নেই দীর্ঘ এক বছর ধরে অকেজো অবস্থায় পড়ে রয়েছে জলের কল। টাইম কল থাকলেও সেই জলের কল থেকে পড়ে না জল। গ্রামের মহিলাদের তাই বাধ্য হয়ে প্রায় দুই কিলোমিটার দূর থেকে জল আনতে হয়। স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রায় দু মাসেরও বেশি সময় ধরে পড়ছে না জল। পরে একটি সাব মার্সিবল থেকে পাইপ লাইন করে ওই জলের ট্যাপ করা হয়েছিল। রাস্তার কাজ চলাকালীন ওই পানীয় জলের ট্যাপের পাইপ ভেঙে যায়। যার ফলেই এই সমস্যায় পড়তে হচ্ছে এলাকাবাসীদের।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বারংবার প্রশাসনের কাছে দরখাস্ত করেও মিলছে না কোনও সুরাহা। এমনকী গ্রামবাসীরা নিজেদের উদ্যোগে একবার সারিয়েছিলেন ওই কলগুলি। তাদের দাবি, ভোট আসে ভোট যায় নেতাদের দেওয়া প্রতিশ্রুতিও বরাবরই চাপা পড়ে যায়। তাই এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে জলের কল সংস্কার করতে হবে।
এই নিয়ে সারেঙ্গা পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি শেখর রাউত জানান, দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে।
পানীয় জলের (water) হাহাকার। তবুও নেই কারও হুঁশ, বাধ্য হয়ে পানীয় জলের দাবিতে রাস্তা অবরোধ স্থানীয়দের। ঘটনাটি নদিয়া (Nadia) জেলার চাকদহের। প্রায় ৭ ঘণ্টারও বেশি সময় রাস্তা অবরোধ থাকার পর শিমুরালি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান (Panchayat Pradhan) এবং পিএইচই-এর আধিকারিক এসে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁদের কাছে তিনদিনের সময় নিয়ে জল দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেন। তাঁদের আশ্বাসে অবশেষে আন্দোলন উঠে যায়। কিন্তু রয়ে গেল আরও একটি জট। কারণ, ওই রাস্তা অবরোধ, আন্দোলন বা পানীয় জলের দাবি রেখেছিলেন পাশের গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দারাও। কিন্তু ওই পঞ্চায়েতের প্রধান ঘটনাস্থলে না আসায় ক্ষোভ উগড়ে দিলেন বাসিন্দারা।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন যাবৎ চাকদহ (Chakdaha) থানার অন্তর্গত শিমুরালি গ্রাম পঞ্চায়েত ও রাউতারি গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনস্থ এলাকার পানীয় জলের সমস্যা রয়েছে। বারবার স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান এবং সংশ্লিষ্ট দফতরে জানিয়েও কোনও লাভ না হওয়ায় অবশেষে রাস্তা অবরোধ করেন গ্রামবাসীরা। এদিকে, পানীয় জলের দাবি রেখেছিল রাউতারি গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দারাও। কিন্তু ওই পঞ্চায়েতের প্রধান ঘটনাস্থলে আসেননি।
গত শনিবার পথ অবরোধের পর প্রশাসন প্রতিশ্রুতি দেয় তিনদিনের মধ্যে পানীয় জলের ব্যবস্থা করবে এলাকায়। সেইমত মঙ্গলবার রাতে ও বুধবার সকালে অল্প পরিমাণে ব্যবহারের জল কলে আসলেও তারপর থেকে আর জল আসছে না বলে অভিযোগ। একইভাবে এলাকায় পানীয় জলের সমস্যা রয়েই গেল বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। এমনকি, জলের অভাবে শাকসবজি কিনছেন না এলাকাবাসীরা।