
বিয়ের (Marriage) আগের দিন রাতে মদ্যপান (Drinking) করেই বিপত্তি ঘটাল এক যুবক। মদ্যপ অবস্থায় নিজেই বিয়ে করতে যেতে ভুলে গেলেন তিনি। ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের (Bihar) ভাগলপুরের সুলতানগঞ্জ গ্রামে।
স্থানীয় এক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত সোমবার ওই যুবকের বিয়ে ছিল। কিন্তু তার আগের দিন রাতে অর্থাৎ রবিবার বন্ধুদেরকে সঙ্গে নিয়ে মদ্যপান করেন তিনি। তার পর মদ্যপ অবস্থাতেই এক বন্ধুর বাড়িতে ঘুমিয়ে পড়েন। পরের দিন সকালে মদের ঘোর এতটাই বেশি ছিল যে, তিনি ঘুম থেকে উঠতেই পারেননি। পাত্রীপক্ষ তাঁর জন্য দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষা করলেও তিনি বিয়ে করতে আসেননি।
মঙ্গলবার, তাঁর চেতনা ফিরতেই তড়িঘড়ি পাত্রীপক্ষের বাড়ি পৌঁছন ওই যুবক। কিন্তু পাত্রী তখন তাঁকে বিয়ে করতে অস্বীকার করেন। পাত্রী জানান, তিনি এমন এক জনের সঙ্গে সারাজীবন কাটাতে পারবেন না। যে এতটা দায়িত্বজ্ঞানহীন। পাত্রীর পরিবার ওই যুবকের পরিবারের কাছে বিয়ের খরচও ফেরতের দাবি জানালে দু’পক্ষের মধ্যে মারামারি শুরু হয়। খবর পেয়ে পুলিস ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি মোকাবিলা করে।
কল আছে কিন্তু কলে জল নেই। প্রায় দু'বছর আগে এসেছিল পানীয় জলের (Drinking Water) লাইন। কিন্তু দুর্ভাগ্য এখনও সেই কলের লাইনে জল আসেনি। বাঁকুড়া (Bankura Village) দু'নম্বর ব্লকের জুনবেদিয়া গ্রাম, যে গ্রামে লকডাউনের আগে পানীয় জলের লাইন আসে। সেই লাইনে এখনও পর্যন্ত একফোঁটা জলের দেখা পায়নি গোটা গ্রামবাসী। গ্রামবাসীদের ভরসা মাত্র একটি টিউবওয়েল। দাবি, পানীয় জলের জন্য গাড়ির তেল পুড়িয়ে প্রতিদিন দেড় কিলোমিটার দূরে যেতে হয়। গরমের প্রবল তাপ-উত্তাপ মাথায় করে এপ্রকার বাধ্য হয়ে যেতে হয় খাবার জল আনতে।
অভিযোগ, 'বহুবার প্রশাসনকে দরখাস্ত দেওয়া হলেও তারা এই ব্যাপারে কোনওরকম ব্যবস্থা নেয়নি। গ্রামের প্রতি ঘরে কলের লাইন থাকা সত্ত্বেও সেই লাইনে জলের কোনও ব্যবস্থা নেই। এছাড়াও গ্রামে একটা পুকুর পর্যন্ত নেই। বাড়ির মহিলা সদস্যদের স্নান করতে দূর-দূরান্তে যেতে হয়। পানীয় জলের সংঙ্কটে ভুগছে বাঁকুড়ার এই গ্রাম।' গ্রামবাসীদের একটাই দাবি, পানীয় জলের ব্যবস্থা না করলে তারা ভোট বয়কট করবে। সামনেই পঞ্চায়েত ভোট তার আগেই বাঁকুড়ায় জলের সমস্যা। এবার দেখার প্রশাসন এব্যাপারে কী ব্যবস্থা নেয়।
পানীয় জলের দাবিতে বালতি-কলসি নিয়ে পথঅবরোধ। সারেঙ্গা থেকে ব্রাহ্মণডিহা যাওয়ার রাস্তায় কাশীবনে পথঅবরোধ। অন্যদিকে নামখানা ব্লকের শিবরামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রাজনগর অতি পাড়া এলাকাতেও পথ অবরোধ। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুরু হয় এই অবরোধ। খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছয় পুলিস। অবরোধকারীদের বুঝিয়ে পুলিস অবরোধ তুলে দেয়।
কল আছে জল নেই দীর্ঘ এক বছর ধরে অকেজো অবস্থায় পড়ে রয়েছে জলের কল। টাইম কল থাকলেও সেই জলের কল থেকে পড়ে না জল। গ্রামের মহিলাদের তাই বাধ্য হয়ে প্রায় দুই কিলোমিটার দূর থেকে জল আনতে হয়। স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রায় দু মাসেরও বেশি সময় ধরে পড়ছে না জল। পরে একটি সাব মার্সিবল থেকে পাইপ লাইন করে ওই জলের ট্যাপ করা হয়েছিল। রাস্তার কাজ চলাকালীন ওই পানীয় জলের ট্যাপের পাইপ ভেঙে যায়। যার ফলেই এই সমস্যায় পড়তে হচ্ছে এলাকাবাসীদের।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বারংবার প্রশাসনের কাছে দরখাস্ত করেও মিলছে না কোনও সুরাহা। এমনকী গ্রামবাসীরা নিজেদের উদ্যোগে একবার সারিয়েছিলেন ওই কলগুলি। তাদের দাবি, ভোট আসে ভোট যায় নেতাদের দেওয়া প্রতিশ্রুতিও বরাবরই চাপা পড়ে যায়। তাই এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে জলের কল সংস্কার করতে হবে।
এই নিয়ে সারেঙ্গা পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি শেখর রাউত জানান, দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে।
পানীয় জলের (water) হাহাকার। তবুও নেই কারও হুঁশ, বাধ্য হয়ে পানীয় জলের দাবিতে রাস্তা অবরোধ স্থানীয়দের। ঘটনাটি নদিয়া (Nadia) জেলার চাকদহের। প্রায় ৭ ঘণ্টারও বেশি সময় রাস্তা অবরোধ থাকার পর শিমুরালি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান (Panchayat Pradhan) এবং পিএইচই-এর আধিকারিক এসে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁদের কাছে তিনদিনের সময় নিয়ে জল দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেন। তাঁদের আশ্বাসে অবশেষে আন্দোলন উঠে যায়। কিন্তু রয়ে গেল আরও একটি জট। কারণ, ওই রাস্তা অবরোধ, আন্দোলন বা পানীয় জলের দাবি রেখেছিলেন পাশের গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দারাও। কিন্তু ওই পঞ্চায়েতের প্রধান ঘটনাস্থলে না আসায় ক্ষোভ উগড়ে দিলেন বাসিন্দারা।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন যাবৎ চাকদহ (Chakdaha) থানার অন্তর্গত শিমুরালি গ্রাম পঞ্চায়েত ও রাউতারি গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনস্থ এলাকার পানীয় জলের সমস্যা রয়েছে। বারবার স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান এবং সংশ্লিষ্ট দফতরে জানিয়েও কোনও লাভ না হওয়ায় অবশেষে রাস্তা অবরোধ করেন গ্রামবাসীরা। এদিকে, পানীয় জলের দাবি রেখেছিল রাউতারি গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দারাও। কিন্তু ওই পঞ্চায়েতের প্রধান ঘটনাস্থলে আসেননি।
গত শনিবার পথ অবরোধের পর প্রশাসন প্রতিশ্রুতি দেয় তিনদিনের মধ্যে পানীয় জলের ব্যবস্থা করবে এলাকায়। সেইমত মঙ্গলবার রাতে ও বুধবার সকালে অল্প পরিমাণে ব্যবহারের জল কলে আসলেও তারপর থেকে আর জল আসছে না বলে অভিযোগ। একইভাবে এলাকায় পানীয় জলের সমস্যা রয়েই গেল বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। এমনকি, জলের অভাবে শাকসবজি কিনছেন না এলাকাবাসীরা।
সন্ধ্যা হলেই স্কুল (school) চত্বরে বসে মদ ও জুয়ার আসর। প্রতিদিন একই ঘটনা দেখে চরম সমস্যায় পড়েছেন স্কুলের শিক্ষকরা (teacher)। ঘটনাটি উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর (Ishlampur) ব্লকের দাড়িভিট প্রাথমিক বিদ্যালয়ের।
স্কুল কর্তৃপক্ষ থেকে জানা গিয়েছে, প্রতিদিন সন্ধ্যায় স্কুল চত্বরে মদ ও জুয়ার আসর বসে। এতে স্কুলের পরিবেশ নষ্ট করার অভিযোগ উঠছে কিছু অসাধু ব্যক্তির বিরুদ্ধে। সকালে স্কুল খুলতে আসলে স্কুল চত্বরের মধ্যে এদিক ওদিক ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকে মদ ও বিয়ারের বোতল, চিপসের প্যাকেট সহ নানান সামগ্রী। যা প্রতিদিন স্কুলের শিক্ষক বা স্কুলের রাঁধুনিদের পরিষ্কার করতে হয়। একটি শিক্ষা কেন্দ্রে বারবার একই ঘটনায় পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত স্কুলের শিক্ষকরা। এর আগেও একাধিকবার প্রশাসনের দ্বারস্থ হলে কিছুদিন বন্ধ থাকার পর আবার মদ ও জুয়ার আসর বসতে শুরু করে স্কুল প্রাঙ্গনে। যা নিয়ে চরম সমস্যায় পড়েছেন স্কুলের শিক্ষকরা।
তাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে বাঁচাতে ইসলামপুর থানার পুলিসের দ্বারস্থ হবেন বলেও এবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। এবং এই ঘটনায় ইসলামপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হবে বলেও জানানো হয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে। অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। এখন দেখার প্রশাসনের তত্পরতা।
প্রদীপ সাউ নামে কুমোরটুলির এক শেয়ার ব্যবসায়ীর (Share Trader) রহস্যজনক মৃত্যু (Mysterious Death)। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার হেয়ার স্ট্রিট থানা এলাকার আব্দুল হামিদ স্ট্রিটের একটি নাইট ক্লাবে (Night Club) আসেন তিনি। সেখানে তিনি তাঁর বন্ধুদের সঙ্গে মদ্যপান (Drinking) করছিলেন। এরপর যখন তিনি লিফটে (Lift) করে নিচের তলায় নামতে যান, তখনই দুর্ঘটনা ঘটে। তিনি লিফট থেকে পড়ে যান। তাঁর মাথায় আঘাত লাগে। প্রবল রক্তক্ষরণ হতে থাকে। সঙ্গে সঙ্গে খবর পেয়ে ছুটে আসে নাইট ক্লাব কর্তৃপক্ষ। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
অন্যদিকে, মৃতের পরিবারের অভিযোগ, ব্যবসায়িক শত্রুতার জেরেই তাঁকে খুন করা হয়েছে। হেয়ার স্ট্রিট থানার পুলিস তদন্তে নেমেছে। পুলিসের আধিকারিকরা ইতিমধ্যেই নাইট ক্লাব কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলা শুরু করেছেন। প্রতিদিন যেমন ১২ টার সময় উনি কাজে বেরন, তেমনই বেরিয়েছিলেন। সাধারণত রাত সাড়ে ১০ টার সময় উনি ফিরে পড়েন। কিন্তু কাল সাড়ে ১০ টার পরেও ফেরেননি। ১১ টা বেজে যাওয়ার পরেও না ফেরায় উনাকে বারবার ফোন করা হয়। কিন্তু উনি ফোন রিসিভ করেননি। জানালেন মৃতের স্ত্রী। খুনের আশঙ্কা করছেন মৃতের ছেলে ও ভাই।