Breaking News
Abhishek Banerjee: বিজেপি নেত্রীকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগ, প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনের      Convocation: যাদবপুরের পর এবার রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সমাবর্তনে স্থগিতাদেশ রাজভবনের      Sandeshkhali: স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন 'সন্দেশখালির বাঘ'...      High Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের      Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে জমি দখল তদন্তে সক্রিয় সিবিআই, বয়ান রেকর্ড অভিযোগকারীদের      CBI: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ! তদন্তে সিবিআই      Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?     

DraupadiMurmu

Prime Ministers Museum: নাম বদলে গেল নেহরু মিউজিয়ামের, অনুমোদন দিলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু

নাম পরিবর্তন করা হল নেহরু মেমোরিয়াল মিউজিয়াম অ্যান্ড লাইব্রেরির (Nehru Memorial Museum and Library)। এর নামকরণ (Nehru Museum Renamed) করে নয়া নাম হল 'প্রাইম মিনিস্টার্স মিউজিয়াম অ্যান্ড লাইব্রেরি' (Prime Ministers' Museum and Library)। রাজধানীর বুকে তিন মূর্তি মার্গে অবস্থিত NMML-এর নাম পাল্টে রাখা হল PMML। আর এবারে এই সিদ্ধান্তে অনুমোদন দিলেন দেশের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু।

এই বিশ্ববিখ্যাত প্রতিষ্ঠানের নাম বদলে ফেলার পরিকল্পনা অনেকদিন আগে থেকেই শুরু করেছিল মোদী সরকার। আর এবারে এতে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু তাঁর অনুমোদনও দিয়ে দিয়েছেন। ফলে এবার থেকে দিল্লিতে গিয়ে আর নেহরু মিউজিয়াম বললে হবে না, বলতে হবে প্রধানমন্ত্রী মিউজিয়ামে যাব। প্রসঙ্গত, এই সোসাইটির ভাইস প্রেসিডেন্ট তথা প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং-এর নেতৃত্বে এক বিশেষ বৈঠকের আয়োজন করা হয়। সেখানেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, ১৫ অগাস্ট অর্থাৎ ৭৭ তম স্বাধীনতা দিবসের দিন থেকে 'নেহরু মেমোরিয়াল মিউজিয়াম ও লাইব্রেরি'র নাম হবে 'প্রাইম মিনিস্টারস মিউজিয়াম ও লাইব্রেরি'।

তবে কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তে সরব হয়েছে কংগ্রেস। স্বাধীনতার ইতিহাসে এভাবে নেহরুকে মুছে ফেলা যায় না। তাঁর অবদান যুব সমাজের কাছে সবসময় স্মরণীয় হয়ে থাকবে। এমনই দাবি করেছেন বিরোধী দলের নেতারা।

8 months ago
President: একদিনের সফরে কলকাতায় রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু

একদিনের সফরে কলকাতায় রাষ্ট্রপতি। আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার তিলোত্তমায় পা রাখার কথা ছিল রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর। বৃহস্পতিবার সকালেই কলকাতা বিমানবন্দরে নামেন তিনি। সূত্রের খবর, কলকাতা বিমানবন্দর থেকে তিনি রাজভবনের উদ্দেশে  রওনা দিয়েছেন। এরপর কয়েকটি নির্ধারিত কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে বিকেলের ফ্লাইটেই দিল্লি ফিরে যাবেন রাষ্ট্রপতি। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত নির্দিষ্ট কিছু জায়গার যানচলাচলে নিয়ন্ত্রণ থাকবে আজ।

বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত হাডকো থেকে সায়েন্স সিটি পর্যন্ত ইএম বাইপাসের একাংশে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে। বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে  সিআইটি রোড বা এপিসি রায় রোড থেকে এজেসি বোস রোডের দিকে রাস্তা। মা ফ্লাইওভারেও যান চলাচলে নিয়ন্ত্রণ আনা হবে এই সময়। পার্কসার্কাস কানেক্টর বদলে ব্যবহার করা যেতে পারে, রোড-পার্কস্ট্রিট কিংবা শেকস্‌পীয়র সরণি।

সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ১১টা ১৫ পর্যন্ত এবং বেলা ১টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত লাভার্স লেন, রেড রোড, খিদিরপুর রোডে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে।  এর পর বেলা সাড়ে ১২টা থেকে ১টা ৪৫ পর্যন্ত সিজিআর রোড (পশ্চিম), সিজিআর রোড (পূর্ব), গার্ডেনরিচ রোড (পশ্চিম), গার্ডেনরিচ রোড (পূর্ব), আকরা রোড (পূর্ব) এবং এসপ্ল্যানেড র‌্যাম্পে যান চলাচলে নিয়ন্ত্রণ থাকবে। দুপুর ২টো ৪৫ থেকে ৩টে ১৫ পর্যন্ত এজেসি র‌্যাম্প এবং খিদিরপুর র‌্যাম্প বন্ধ থাকবে।

8 months ago
Delhi Services Bill: খর্ব কেজরীওয়ালের ক্ষমতা! আইনে পরিণত হল দিল্লি অর্ডিন্যান্স বিল

বাদল অধিবেশনে (Monsoon Session) লোকসভা (LokSabha) ও রাজ্যসভা (RajyaSabha), সংসদের দুই কক্ষেই পাশ হয়েছে দিল্লি অর্ডিন্যান্স বিল বা দিল্লি সার্ভিসেস বিল (Delhi Services Bill)। এবারে এই বিলে সই করলেন দেশের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi Murmu)। অর্থাৎ তিনি সই করেছেন জাতীয় রাজধানী অঞ্চল দিল্লি (সংশোধনী) বিলে। ফলে দিল্লি সার্ভিসেস বিলটি এখন আইনে পরিণত হল। এবার থেকে দিল্লির আমলা নিয়োগ, বদল থেকে শুরু করে রাজধানীর সমস্ত প্রশাসনিক কাজ হবে কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে।

চলতি বছরের বাদল অধিবেশনে একাধিক বিলের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে যে বিলগুলি রাজ্যসভা ও লোকসভা থেকে পাশ হয়েছে সেগুলি হল 'গর্ভমেন্ট অব ন্যাশনাল ক্য়াপিটাল টেরিটরি অব দিল্লি (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল', 'ডিজিটাল পার্সোনাল ডেটা প্রোটেকশন বিল', 'দ্য রেজিস্ট্রেশন অব বার্থস অ্যান্ড ডেথস (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল', 'জন বিশ্বাস (বিধান সংশোধন) বিল'। আজ, শনিবার এই চারটি বিলেই সই করলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। ফলে এগুলো এখন আইনে পরিণত হয়েছে।

গত ১ অগাস্ট স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ লোকসভায় পেশ করেন 'গর্ভমেন্ট অব ন্যাশনাল ক্য়াপিটাল টেরিটরি অব দিল্লি (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল'। এরপর এটি ৭ অগাস্ট রাজ্যসভায় পাশ করা হয়। উচ্চকক্ষে ১৩১ ভোট পেয়ে পাশ করা হয় বিলটি। এই বিপক্ষে ভোট দেয় ১০২ জন। তবে এটি এখন আইন হয়ে যাওয়ায় দিল্লির প্রশাসিনক ক্ষমতা এখন থেকে কেন্দ্রের অধীনে।

যদিও এই বিলের প্রথম থেকেই বিরোধীতা করেছে দিল্লির আম আদমি পার্টি সরকার। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তকে 'অসাংবিধানিক' বলে উল্লেখ করেছেন দিল্লির মুখ্য়মন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল। তবে এত বিতর্কের মাঝেও বিল পাশ হয়ে আইনে পরিণত হল।

9 months ago


Budget: বিশ্বের পঞ্চম অর্থনীতি ভারত, ২০৪৭-র মধ্যে দারিদ্রতা দূরীকরণ: রাষ্ট্রপতি

মঙ্গলবার বাজেট অধিবেশনের সূচনা করলেন রাষ্ট্রপতি (President of India) দ্রৌপদী মুর্মু (Droupadi Murmu)। রাষ্ট্রপতি এদিন সকালে একটি আনুষ্ঠানিক শোভাযাত্রার মাধ্যমে সংসদ ভবনে পৌঁছন। গত জুলাইয়ে দায়িত্ব নেওয়ার পর রাজ্যসভা এবং লোকসভা সদস্যদের যৌথ সভায় রাষ্ট্রপতি মুর্মুর এটিই প্রথম ভাষণ।

কনভেনশন অনুযায়ী, বছরের প্রথম সংসদ অধিবেশনের শুরুতে রাষ্ট্রপতি শপথ গ্রহণের পরপরই সেন্ট্রাল হলে দুই কক্ষের সদস্যদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন। সেখানে এক ভারত তৈরি করার বার্তা দেন রাষ্ট্রপতি।

দ্রৌপদী মুর্মু জানান, বর্তমান সময়ে ভারতের আত্মবিশ্বাস সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। বিশ্ব ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখছে ভারতকে। ভারত বিশ্বকে সমাধান খুঁজে দিচ্ছে। ২০৪৭ সালের মধ্যে দারিদ্রমুক্ত ভারত গড়বে এই সরকার। গত ৯ বছরে একাধিক ক্ষেত্রে উন্নয়নমূলক কাজের মাধ্যেমে বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতি হিসাবে উঠে এসেছে ভারত। চিন ও পাকিস্তান সীমান্তে শত্রুদের মোক্ষম জবাব দিয়েছে সেনা। আত্মনির্ভর ভারত আরও এগিয়ে যাবে আগামী দিনে। এছাড়া স্বনির্ভরতার উপর জোর দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি।

দরিদ্রদের পাশাপাশি মধ্যবিত্তদের উন্নতির উপরও জোর দিয়েছেন দেশের সংবিধান প্রধান। এমন একটি দেশ গড়বে যেখানে যুব ও মহিলারা সমাজ ও দেশকে পথ দেখাতে সামনে দাঁড়াবে।। অমৃতকালের ২৫ বছরের সময়কাল স্বাধীনতার স্বর্ণযুগ এবং একটি উন্নত ভারত গড়ার সময়।

জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিল করা থেকে শুরু করে তিন তালাক বাতিল পর্যন্ত সরকার গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানান তিনি। তিনি জোর দিয়ে বলেন, সবথেকে বড় পরিবর্তন ঘটেছে তা হল প্রত্যেক ভারতীয়র আস্থা শীর্ষে রয়েছে এবং ভারতের প্রতি বিশ্বের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তিত হয়েছে। দুর্নীতি বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

রাষ্ট্রপতির ভাষণের সময় অধিবেশনে ছিল না আপ এবং টিআরএস। জানা গিয়েছে, শ্রীনগর থেকে বিমান বিলম্ব করায় অধিবেশনে থাকতে পারেননি কংগ্রেস সাংসদরা।

one year ago
Akhil: রাষ্ট্রপতির উদ্দেশে মন্ত্রী অখিলের মন্তব্য, হাইকোর্ট মামলা! ক্ষমা চাইলেন মুখ্যমন্ত্রী

রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মূর্মূর (President Draupadi Murmu) উদ্দেশে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড় করেছেন মন্ত্রী অখিল গিরি (Akhil Giri)। এবার তাঁর বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করার আবেদন কলকাতা হাইকোর্টে (High Court)। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দায়ের ও দ্রুত শুনানির আবেদন। এই আবেদনে সাড়া দিয়ে মামলা দায়েরের অনুমতি দিলেন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। মন্ত্রী অখিল গিরিকে সরানো হোক মন্ত্রিত্ব থেকে সঙ্গে গ্রেফতার করার নির্দেশ দিক আদালত। যদিও অখিল গিরির মন্তব্য নিয়ে তোলপাড় শুরু হতেই নবান্নে (Nabanna) মুখ খোলেন মুখ্যমন্ত্রী (CM Mamata)।

এই মর্মেই মামলা দায়েরের আবেদন, যা গ্রহণ করেছে আদালত। এই প্রসঙ্গে মামলাকারী আইনজীবী বলেন, 'এই মন্তব্যের পর রাজ্য সরকার কোনও আইনি পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানি না। ও অবলীলায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। রাষ্ট্রপতি দেশের সাংবিধানিক প্রধান। সব সাংবিধানিক সংস্থার প্রধানে নিয়োগ কর্তা। তাঁকে উদ্দেশ্য করে এভাবে বলা, আদিবাসি সমাজের বিরুদ্ধে বলা, এগুলো এক ধরনের হেট স্পিচ।' 

রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর উদ্দেশে নন্দীগ্রামের সভায় ঠিক কী বলেছিলেন অখিল গিরি? তিনি বলেছিলেন,'আমরা তোমার রাষ্ট্রপতির চেয়ারকে সম্মান করি। তোমার রাষ্ট্রপতিকে কেমন দেখতে বাবা? আমরা রূপের বিচার করি না।' আর শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ করতে গিয়ে এভাবেই আলটপকা মন্তব্য করে বসেন অখিল গিরি। যদিও পূর্ব মেদিনীপুর তৃণমূলের এই নেতা ভুল বুঝতে পেরে বলেন, 'আমি দেশের সংবিধান এবং সংবিধানের রক্ষাকর্তা দেশের রাষ্ট্রপতিকে সম্মান করি। আমাকে নিয়ে যা বলা হয়েছে, সেই রাগে আমি এই মন্তব্য করেছি, আমি ক্ষমাপ্রার্থী।'

তারপর থেকেই বেড়েছে রাজনৈতিক উত্তাপ। ইতিমধ্যে রাজ্যের একাধিক জেলায় অখিল গিরির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে বিজেপি। তাঁর বরখাস্ত চেয়ে সোমবার রাজ ভবন অভিযান করে বিজেপি বিধায়করা। নেতৃত্বে ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

পাশাপাশি রাজ্যের আদিবাসী সমাজের তরফেও এদিন রাজ্যের একাধিক জায়গায় প্রতিবাদ মিছিল বের করা হয়েছিল। যদিও মুখ্যমন্ত্রী তাঁর মন্ত্রীর করা এই মন্তব্য সমর্থন করেননি। তিনি জানান,'রাষ্ট্রপতিকে অবমাননাকর মন্তব্য করা ঠিক হয়নি। আমি এই মন্তব্যের নিন্দা করি। আমি আমার মন্ত্রীর হয়ে ক্ষমা চাইছি। অখিল গিরিকে দল থেকে সতর্ক করা হয়েছে। দেশের রাষ্ট্রপতিকে আমরা সবাই সম্মান করি। এই ধরনের মন্তব্য যেন ভবিষ্যতে না করা হয়।'

one year ago


Queen: সোমবার দ্বিতীয় এলিজাবেথের শেষকৃত্য, শনিবার লন্ডন যাবেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর

সোমবার সদ্য প্রয়াত রানী এলিজাবেথের (Queen Elizabeth II) শেষকৃত্য অনুষ্ঠান। শনিবার সেই অনুষ্ঠানে (Funeral) যোগ দিতে ব্রিটেন (Britain) যাবেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (President Draupadi Murmu)। বুধবার এই তথ্য দিয়েছে কেন্দ্রীয় বিদেশ মন্ত্রক। মন্ত্রকের বিবৃতিতে বলা, 'রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের রাজত্বের ৭০ বছরে ভারত-ব্রিটেন সম্পর্ক নিবিড় এবং দৃঢ় হয়েছে। ভারতের তরফে প্রয়াত রানির প্রতি শ্রদ্ধা দেখাতে যাবেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। গত ৮ সেপ্টেম্বর স্কটল্যান্ডের বালমোরাল প্রাসাদে প্রয়াত হয়েছেন নবতিপর রানী। তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে গত ১১ সেপ্টেম্বর জাতীয় শোক পালিত হয়েছে ভারতে।'

জানা গিয়েছে, রানির শেষকৃত্যে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও আমন্ত্রণ পত্র পেয়েছেন। ১০ ডাউনিং স্ট্রিট থেকে এসেছে সেই আমন্ত্রণ পত্র। তবে সূত্রের খবর, এই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রীর ব্রিটেন সফরের সম্ভাবনা কম। তিনি সে সময়ে এসসিও বৈঠকে যোগ দিতে উজবেকিস্তানের সমরখণ্ডে থাকবেন। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে সেখানে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। তবে ২৭ সেপ্টেম্বর জাপানের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের শেষকৃত্যে যোগ দিতে পারেন প্রধানমন্ত্রী।

এদিকে, দ্বিতীয় এলিজাবেথকে শেষ বিদায় জানাতে সোমবার লন্ডনে হাজির থাকছেন প্রায় ১০০ জন রাজা-রানি এবং রাষ্ট্রনেতা। পশ্চিম লন্ডনের এক অজ্ঞাত স্থান থেকে তাঁদের  ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে আনতে করা হয়েছে বিশেষ বাসের ব্যবস্থা। কেবল মাত্র নিরাপত্তার কারণে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাকরঁ, ইজরায়েলি প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজগ এবং জাপানের সম্রাট নারুহিতোর জন্য আলাদা গাড়ির ব্যবস্থা থাকবে। এমনটাই ব্রিটেন সরকারকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে সে দেশের একাধিক সংবাদ মাধ্যম।

2 years ago
Jagdeep: ১৪তম উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকর, বড় চ্যালেঞ্জ রাজ্যসভায় বিরোধীদের সামলানো

দেশের ১৪তম উপরাষ্ট্রপতি (Vice President of India) হিসেবে শপথ নিলেন জগদীপ ধনকর। বৃহস্পতিবার তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (President Draupadi Murmu)। এদিন ধনকর হিন্দিতে শপথ নিয়েছেন। এই অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি ভবনে উপস্থিত ছিলেন বিদায়ী উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নায়ডু। যদিও জগদীপ ধনকরের (Jagdeep Dhankar) শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান বয়কট করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। বাংলার শাসক দলের কাছে আমন্ত্রণ গেলেও এই অনুষ্ঠানে গরহাজির ছিলেন লোকসভার নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন।


প্রসঙ্গত, গত ৬ অগস্ট উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধী জোট প্রার্থী মার্গারেট আলভাকে হারিয়ে বড় ব্যবধানে জয়লাভ করেন এনডিএ প্রার্থী ধনকর। এই ভোটদানে বিরত ছিল তৃণমূল কংগ্রেস। এনডিএ-র প্রার্থীর পক্ষে গিয়েছে ৫২৮টি ভোট, বিরোধী জোটের প্রার্থী আলভা পেয়েছেন ১৮২টি ভোট।

এদিকে, আগামি শীতকালীন অধিবেশন থেকে রাজ্যসভা পরিচালনার ভার ধনকরের উপর। সংবিধান মেনে দেশের উপরাষ্ট্রপতি রাজ্যসভার চেয়ারম্যান পদে নিযুক্ত হন। কিন্তু এই আগামি এই অধিবেশন বড় চ্যালেঞ্জের হতে চলেছে ধনকরের কাছে। কারণ এই মুহূর্তে সংখ্যাতত্বের বিচারে সংসদের উচ্চকক্ষে শাসক এবং সম্মিলিত বিরোধীর সাংসদ সংখ্যা প্রায় এক। এনডিএ জোটের সাংসদ সংখ্যা ১১৪ আর বিজেপি বিরোধীদের সাংসদ সংখ্যা ১০৭ জন। এই তালিকায় নাম নেই বিজেডি এবং ওয়াইএসআর কংগ্রেসের। কারণ রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মত, এই দুটি বল জাতীয় রাজনীতিতে নীরব থেকে বহুবার বিজেপিকে প্রছন্ন মদত জুগিয়েছে।

অনেক সময় সংসদে ভোটাভুটি থেকে ওয়াকআউট করে সুবিধা কোরে দিয়েছে শাসক এনডিএ-কে। তাই তাদের বিরোধীতা ছাড়াও রাজ্যসভায় ১০৭টি বিরোধী সাংসদের কণ্ঠ মোদী সরকারের কানে পৌঁছতে বাধ্য। এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। সেক্ষেত্রে বিরোধী হল্লা সামলে সুষ্ঠুভাবে রাজ্যসভা পরিচালনা এখন বড় চ্যালেঞ্জ হবে জগদীপ ধনকরের কাছে।

2 years ago