বিজেপি (BJP) প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে। তিহাড় (Tihar) জেল থেকে বেরিয়ে বললেন তৃণমূল সাংসদ (MP) দোলা সেন (Dola Sen)। শুক্রবার তিহাড়ে অনুব্রত মণ্ডল ও সুকন্যা মণ্ডলের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন বোলপুরের সাংসদ অসিত মালও। এদিন জেল থেকে বেরিয়ে দোলা সেন জানান, সুস্থ আছেন অনুব্রত ও সুকন্যা। তাঁর অভিযোগ, বাবা-মেয়েকে অকারণে আলাদা রাখা হয়েছে। সুকন্যা তো রাজনীতিতেই ছিলেন না। কিন্তু অনুব্রতকে চাপ দেওয়ার জন্য গ্রেফতার করা হয়েছে সুকন্যাকে। এরপরই বিজেপির 'প্রতিহিংসা'-র রাজনীতি নিয়ে সরব হন তিনি।
এদিন, সকাল ১১টা নাগাদ তিহাড়ে যান দোলা এবং অসিত। বেশ কিছু সময় সেখানে ছিলেন তাঁরা। অনুব্রতর পাশে যে দল আছে, সেই বার্তা দিতেই দলের উচ্চ নেতৃত্বের অনুমোদনেই তিহাড়ে যান দোলারা। এমনই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
বৃহস্পতিবারই গরুপাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলের কন্যা সুকন্যার জামিনের আর্জি খারিজ করে দেয় দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত। অনুব্রতের জামিনের আবেদন নিয়ে মামলার শুনানিও স্থগিত হয়ে যায়। সোমবার থেকে আদালতে গরমের ছুটি। আগামী এক মাসে এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা কম। গোটা জুন মাসও তিহাড়েই কাটবে অনুব্রত ও সুকন্যার।
কাতার বিশ্বকাপ তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ দোলা সেনের চোখে। খেলা দেখে কী লিখছেন তিনি
খেলা দেখেছি, দেখছি এবং দেখবো। এটা বিশ্বকাপ, চার বছরে একবার হলেও আমি ইউরোপিয়ান বা কোপার খেলা সুযোগ পেলেই দেখি। কাজেই আজকের মাঠের খেলোয়াড়রা আমার অপরিচিত নয় মোটেই। প্রতিটি খেলা দেখেছি, কাজের জন্য বা সংগঠনের জন্য যদি মিস যায় তবে পরে হাইলাইটে দেখে নিয়েছি। এবার বিশ্বকাপ কিন্তু বিকল্পহীন। কাকে সেরা বলবেন? হয়তো কেউ তো নিশ্চই চ্যাম্পিয়ন হবে কিন্তু কিছুতেই সেরা বলতে পারবো না। আমার প্রিয় বাজিল, বেশ খেলেছে কিন্তু টুর্নামেন্ট জুড়ে এবং ব্রাজিল মানে শুধু নেইমার নয়। দেখবেন পরের ফিফা টুর্নামেন্টে দারুণ খেলবে ব্রাজিল। আমি নিজে রোনাল্ডোর ফ্যান কিন্তু ওঁরা হেরে গেলো স্রেফ কোচের গোয়ার্তুমির জন্য। কোয়ার্টার ফাইনালে কেউ রোনাল্ডোকে বসিয়ে রেখে খেলতে নামে? ব্রুনো ফার্নান্দেজ বা রামোস নিশ্চয় ভালো কিন্তু এঁরা মূলত রোনাল্ডো নির্ভর। নিচ থেকে পেপে অজস্র বল ভাসিয়ে দিয়েছে কিন্তু মরোক্কোর ডিফেন্স ভেঙে হেড করার লোক কোথায়?
সেই রোনাল্ডো তো শেষ পর্যন্ত নামলেনই তখন সিআর-৭-কে গার্ড করার জন্য আলাদা ব্যস্ততা এসে গেলো। আমি বলবো অসাধারণ মরোক্কো, তৃতীয় বিশ্বের দেশ আফ্রিকার এই মরোক্কো কী খেলাটাই না খেললো! এবার সব উলটপালট করে দিয়েছে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলি। আফ্রিকার দল তো বটেই তা ছাড়া ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ড, পর্তুগাল ইত্যাদি দেশগুলিতে ওই আফ্রিকা থেকে মাইগ্রেট করা মানুষের বংশধর। যেমন এমব্যাপে, কিন্তু উত্তর আফ্রিকার এই মরোক্কোকে কিন্তু অগ্রাহ্য করা যাবে না। ওরা শুধু পর্তুগাল নয় প্রতিটি দলকে বেগ দিয়েছে এবং ফ্রান্সকেও দেবে। আমি মরোক্কোর মতো তৃতীয় বিশ্বের দারিদ্র ইসলামিক দেশের ভক্ত হয়ে গেলেও পরের খেলায় প্রিয় এমবাপের দিকেই সমর্থন থাকবে।
মনে করি ইংল্যান্ড ও ফ্রান্সের খেলা সামনে সমানে হয়েছে। ফারাক যেটা তিনি এমবাপে। শনিবার রাতে ওকে একেবারে বোতলবন্দি করার চেষ্টা করেছিল ইংল্যান্ড ফলে ওদের ২ নম্বর জার্সির রাইট ব্যাক একেবারেই ওভারল্যাপে যায়নি। আক্রমণকে গোলে পরিণত করার ফর্মুলা এখন ফ্রান্সের থেকে ভালো কেউ জানে না। দুটি গোল কিন্তু তারই ফসল। প্রথম গোলটিতো দারুন শট থেকে পাওয়া। ইংল্যান্ড প্রথমে ফাউলের কারণে পেনাল্টি পেলেও দ্বিতীয়ার্ধে ফের পেনাল্টিকে আমি সমর্থন করি না। ওটা কি সত্যি পেনাল্টি ছিল? তবুও চেয়েছি ফ্রান্স জিতুক, শত ব্রিটিশ শাসন তো আর ভুলে যেতে পারি না। আরেকটি দল নিয়ে না বললে অন্যায় হবে, ক্রোয়েশিয়া। দুর্দান্ত মিডফিল্ড, পেনাল্টি শুটে ওস্তাদ কাজেই আর্জেন্টিনাকে ভেবে খেলতে হবে। (অনুলিখন: প্রসূন গুপ্ত)