প্রথম দফায় ভোট মিটতেই উঠে আসছে একাধিক জায়গায় বোমা উদ্ধারের ঘটনা। শনিবার বোমা উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দিনহাটার পুটিমারি এলাকায়। অভিযোগ, গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার রাতভর দিনহাটার বিভিন্ন এলাকায় বোমাবাজি করে তৃণমূল এবং বিজেপি। এরপর এদিন সকালে উদ্ধার হয় দুটি তাজা বোমা। বোমা উদ্ধারের ঘটনায় আতঙ্কে রয়েছে এলাকার মানুষ।
জানা গিয়েছে, এদিন ফনি বর্মন নামে এক ব্যক্তির বাড়ির সামনে থেকে উদ্ধার হয় দুটি তাজা বোমা। ঘুম থেকে ওঠার পর ফনি বাবুর বাড়ির লোকেরা উঠোনে একটি বোমা দেখতে পায়। পরবর্তীতে খোঁজাখুঁজির পর বাড়ির নিকটবর্তী আর এক ঝোপে অপর একটি বোমা তাঁর প্রতিবেশীর নজরে পড়ে। এরপর খবর দেওয়া হয় পুলিসকে। খবর পেয়ে দিনহাটা থানার পুলিস ঘটনাস্থলে গিয়ে বোমা দুটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
রাজ্য ও কেন্দ্রের দুই মন্ত্রীর বিবাদ মঙ্গলবার রাতে দেখেছে দিনহাটাবাসী। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ ও কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের মধ্যে ঝামেলা গড়ায় হাতাহাতিতে। একে অপরের দিকে তেড়ে যান বলে অভিযোগ। সেই ঘটনার রেশ বুধবারও রয়েছে। আজই দুপুরে দিনহাটা পৌঁছবেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। মঙ্গলবার রাতের ঘটনা নিয়ে উদ্বিগ্ন রাজ্যপাল। তিনি পুলিসের কাছ থেকে গোটা ঘটনার বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়েছেন। পাশাপাশি নিজেও কোচবিহারে যাচ্ছেন। কলকাতা বিমানবন্দর থেকে বিমানে বাগডোগরা পৌঁছবেন। সেখান থেকে গাড়িতে কোচবিহারের দিনহাটা যাবেন বলে সূত্রের খবর।
রাজ্যপালের দিনহাটা যাওয়া প্রসঙ্গে ফেসবুকে বার্তা দিয়েছেন উদয়ন গুহ। তিনি লিখেছে, মাননীয় রাজ্যপাল মহোদয় শুনলাম আপনি দিনহাটা আসছেন। নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে অবশ্যই নিয়ে আসবেন। রাজ্যপাল এসে জেলা পুলিস সুপারের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন। এমনই প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে।
গতকালের ঘটনায় ৪৫ বিজেপি কর্মী, নেতৃত্বদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে। গতকাল রাতে ঝামেলা মিটলেও পরিস্থিতি যথেষ্ট উত্তপ্ত। রীতিমতো রাজনৈতিক উত্তেজনার আঁচ পাওয়া যাচ্ছে এলাকায়। পুলিসও ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছে। পরিকল্পিতভাবে ঘটনা ঘটানো হয়েছে। বুধবার সকালে নিজের বাড়িতে সাংবাদিকদের সামনে আরও একবার এই অভিযোগ করেন উদয়ন গুহ। সমস্ত ঘটনার জন্যই বিজেপিকে দায়ী করল উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী। বিজেপি এলাকায় ভোটের আগে উত্তেজনা তৈরি করতে চাইছে। এমন অভিযোগ তৃণমূলের। বিজেপিও একই অভিযোগ আনছে রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে।
প্রচার পর্ব শেষ হতেই ফের অশান্ত কোচবিহারের (Cooch Behar) দিনহাটা (Dinhata)। বৃহস্পতিবার রাতে দিনহাটায় তিন বিজেপি (BJP) কর্মীকে গুলি করার অভিযোগ তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনায় জখম আরও এক বিজেপি কর্মী। অভিযোগের তীর তৃণমূলের দিকে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসকদল তৃণমূল।
দিনহাটা ২ নম্বর- ব্লকের বামনহাট ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের কালমাটি এলাকার ঘটনা। ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে সাহেবগঞ্জ থানার পুলিস। হামলা চালানোর ঘটনার সঙ্গে জড়িত এক দুষ্কৃতীকে পুলিসের হাতে তুলে দিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারাই। বিজেপির অভিযোগ, প্রচার শেষে প্রার্থী রাজু বর্মণের বাড়ির সামনে কর্মীরা বসে ছিলেন। বাইকে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা আসে। তাঁদের লক্ষ্য করে বোমা, গুলি ছুঁড়তে থাকে। আহত কর্মীদের দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
খবর পেয়ে রাতেই হাসপাতালে যান বিজেপির কোচবিহার জেলা কমিটির সদস্য জয়দীপ ঘোষ। তৃণমূলের দিকে অভিযোগ তোলেন তিনি। তৃণমূলের জেলা সভাপতি অভিজিৎ ভৌমিক জানিয়েছেন, এই ধরনের ঘটনা কাঙ্খিত নয়। যেভাবেই ঘটনাটি হোক, তা ঘৃণা করি। এই ঘটনায় যারা যুক্ত, তাদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে জেলে পুরে দেওয়া উচিত।
রাজ্যপালের (Governor) সফরের মধ্যে ফের দিনহাটায় (Dinhata) অশান্তি। ওকরাবাড়িতে কংগ্রেস প্রার্থীর (Congress Candidate) বাড়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজির অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বোমা ছোড়ায় একটি ঘরে আগুন লেগে যায় বলে অভিযোগ কংগ্রেস প্রার্থীর পরিবারের। স্থানীয় বাসিন্দা ও দমকলের একটি ইঞ্জিনের সাহায্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
শনিবার সকালে সার্কিট হাউজে বিরোধী নেতাদের সঙ্গে দেখা করেন রাজ্যপাল। শনিবার রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে আসেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকও। এরপর বেসরকারি হাসপাতালে যান। রাজনৈতিক হিংসা নিয়ে মানুষের অভিযোগও শোনেন তিনি। এরপরই দিনহাটার অশান্ত এলাকা পরিদর্শনের কথা আছে রাজ্যপালের। পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার পর কোচবিহারে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। সম্প্রতি ৬ বার গুলি চলেছে। অশান্ত দিনহাটা, শীতলখুচি। শনিবার দিনহাটার উপদ্রুত এলাকা ঘুরে দেখতে পারেন রাজ্যপাল।
শুক্রবার রাতে কোচবিহারে এসেই রাজ্যপাল জানিয়ে দেন, হিংসা বরদাস্ত করা হবে না। যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শুক্রবার কোচবিহার যাওয়ার পথে ফোনে সরাসরি অভিযোগ শোনেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এরপর সরাসরি নির্বাচন কমিশনকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।
বাংলায় আর কোনও হিংসার ঘটনা বরদাস্ত নয়। পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election) নিয়ে কোনও অশান্তি চলবে না। কোনও ঘটনার কথা কানে এলেই যথাযথ পদক্ষেপ নেবেন। শনিবারই অশান্ত দিনহাটা (Dinhata) ও সন্ত্রাস কবলিত এলাকায় পৌঁছেছেন রাজ্যপাল (Governor)। মানুষ চাইলে তাঁর গাড়ি থামিয়ে অভিযোগ করতে পারেন। শুক্রবার কোচবিহারের সার্কিট হাউজে গিয়ে এমনই জানালেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।
এর আগে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং ও ভাঙড়ে নিজে গিয়ে এলাকা পরিদর্শন করেন রাজ্যপাল। উত্তরবঙ্গে পৌঁছেই গ্রাউন্ড জিরো রিপোর্টে আস্থা রাখার কথা বলেছিলেন রাজ্যপাল। শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যপাল জানান, তিনি খবর পেয়েছেন, কোচবিহারে হিংসার ঘটনা ঘটেছে। ইতিমধ্যেই পুলিশ আধিকারিক ও জেলাশাসকদের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। নিজে ওই এলাকা ঘুরে দেখতে চান বলেও জানিয়েছেন রাজ্যপাল।
রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস বলেন, 'পুরো পরিস্থিতির উপর নজর রাখছি। কোচবিহারের বিভিন্ন জায়গায় হিংসার খবর পেয়েছি। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন সফর বাতিল করেছি। শুক্র ও শনি কোচবিহারে আছি। এলাকার প্রকৃত পরিস্থিতি ঠিক কী, সেটা দেখতে চাই।' রাজনৈতিক অশান্তিতে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাঁদের পরিবারের সঙ্গেও দেখা করতে চান বলে জানান রাজ্যপাল। এছাড়া শনিবার সকালে দিনহাটায় নিহত বিজেপির কর্মীর পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
পঞ্চায়েত নির্বাচনে অশান্তির অভিযোগ জানাতে রাজভবনে পিস রুম খোলা হয়েছে। তা নিয়ে শাসকদল কটাক্ষ করলেও রাজ্যপাল থামেননি। শুক্রবার সার্কিট হাউজে তিনি বলেন, শান্তি ফেরাতে কোচবিহারের মানুষের সঙ্গে থাকবেন তিনি।
ভাঙড়, ক্যানিংয়ের (Canning) পর এবার দিনহাটা (Dinhata)। উত্তরবঙ্গ সফরেই কোচবিহার যেতে পারেন রাজ্যপাল (Governor) সিভি আনন্দ বোস (C. V. Ananda Bose)। রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটকে কেন্দ্র করে গত ২৪ ঘণ্টায় বারবার উত্তপ্ত হয়েছে উত্তরবঙ্গের এই জনপদ। সেই অশান্ত এলাকা এবার দেখতে যেতে পারেন রাজ্যপাল। জেলা তৃণমূল সূত্রে দাবি করা হয়েছে, রাজ্যপাল আসলে, তাঁরাও দেখাবেন এলাকার আসল চেহারাটা। যদিও রাজ্যপাল কখন কোচবিহার যাবেন, সেই ব্যাপারে এখনও কিছু স্পষ্ট করেনি রাজভবন।
কখনও তৃণমূল-বিজেপি, আবার কখনও তৃণমূলে গোষ্ঠী কোন্দলে পঞ্চায়েত ভোটের আগে উত্তপ্ত হয়েছে কোচবিহারের দিনহাটা। সোমবার রাত থেকে বুধবার ভোর পর্যন্ত বারে বারে এলাকায় গুলি চলার অভিযোগ উঠেছে। এরমধ্যে মঙ্গলবারের ঘটনায় এক তৃণমূল কর্মী মৃত্যু ঘিরে চড়েছে রাজনৈতিক রং। জলপাইগুড়ির জনসভা থেকে তৃণমূল নেত্রী অভিযোগ করেছেন, সীমান্ত পার করিয়ে বাংলাদেশের দুষ্কৃতীদের এ দেশে আনা হচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে রাজ্যপালের কোচবিহার সফর ঘিরে শুরু হয়েছে জল্পনা। যদিও সিভি আনন্দ বোসের যা উত্তরবঙ্গ সূচি তাতে কোচবিহারের কোনও উল্লেখ নেই। ইতিমধ্যেই মৃত তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে রাজ্যপালকে যাওয়ার অনুরোধ করেছে জেলা তৃণমূল। তবে মুর্শিদাবাদ না দিনহাটা, কোথায় যাবেন রাজ্যপাল, তা এখনও ঠিক হয়নি।
মঙ্গলবার রাতে ফের গুলি চলল দিনহাটায় (Dinhata)। ওইদিন সকালেই এক তৃণমূল (TMC) কর্মীর মৃত্যু হয়। এদিন রাতেও তৃণমূল কর্মীর দিকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠল বিজেপির (BJP) বিরুদ্ধে। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ওই কর্মীকে কোচবিহারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
জানা গিয়েছে, যে তৃণমূল কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন, তিনি গীতালদহ-১ পঞ্চায়েতের বিদায়ী প্রধান বিজলী খাতুনের ভাই শাহানুর হক। মঙ্গলবার রাতে তিনি নির্বাচনী প্রচার সেরে বাড়ি ফিরছিলেন। অভিযোগ সেইসময়ই তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। পেটে গুলি লাগে শাহানুরের। তাঁকে গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে চিকিৎসকেরা তাঁকে কোচবিহারে স্থানান্তরিত করার পরামর্শ দেন।
বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তৃণমূল প্রার্থীদের চিহ্নিত করে তাঁদের উপর হামলা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের। সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি।
মঙ্গলবার সকালে দিনহাটায় (Dinhata) খুন এক তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) কর্মী। ঘটনায় সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ৮ জনকে আটক করা হয়েছে। শাসক দলের অভিযোগ, বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই কাজ করেছে। পুলিস জানিয়েছে, গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হওয়া তৃণমূল কর্মীর নাম বাবু হক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোমবারই কোচবিহারে নির্বাচনী সভা করেছিলেন। তার ঠিক পরের দিন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী খুন হওয়ায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে দিনহাটার জারি ধরলা গ্রামে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। সেসময় কয়েকজন দুষ্কৃতী এক তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে ঢুকে গুলি চালাতে শুরু করে। ঘটনাস্থলে বাবু হক নামে এক কর্মীর মৃত্যু হয়। এখনও অবধি গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন আরও ৬ জন। এ নিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আবহে গত ১৯ দিনে ১১ জন পঞ্চায়েতের বলি হল।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিস। ঘটনার পর থেকেই পুরো এলাকা থমথমে।
ফের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের কনভয়ের উপর হামলার অভিযোগ। অভিযোগ সেই তৃণমূলের দিকে। যদিও তা অস্বীকার করছে তৃণমূল কংগ্রেস। কোচবিহারের দিনহাটায় এই ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনা। শনিবার জেলার বেশ কয়েকটি গ্রাম পঞ্চায়েতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কার্যত জিতেই গিয়েছে তৃণমূল। এদিন দিনহাটার দু'নম্বর ব্লকে মনোনয়ন পরীক্ষার কাজ চলছিল। সেই কাজ দেখতে যাওয়ার পথে তাঁর গাড়ির উপর আক্রমণ হয় বলে অভিযোগ নিশীথের। অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন রাজ্যের উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ।
বিজেপির অভিযোগ ব্লক অফিসে মনোনয়ন পরীক্ষার কাজে বাধা দিয়েছিল তৃণমূল। সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখতেই বিডিও অফিসের দিকে যাচ্ছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। নিশীথের অভিযোগ মাঝপথে তাঁর কনভয়ের উপর হামলা চালানো হয়। এমনকী বিজেপি কর্মীদের মারধরও করা হয়। ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
নিশীথের এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী উদয়ন গুহ। পাল্টা তিনি জানিয়েছেন, পঞ্চায়েতে হার নিশ্চিত জেনে নিজের লোক দিয়েই নিজের কনভয়ে হামলা চালিয়েছেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী। তৃণমূল উপর দোষ চাপিয়ে নাটক করছেন বলেও অভিযোগ উদয়নের।
দিনহাটায় মায়ের সামনে বাড়িতে ঢুকে বিজেপি (BJP Leader) নেতাকে খুনের অভিযোগ। পুলিস জানিয়েছে, ওই বিজেপি নেতার নাম প্রশান্ত রায় বসুনিয়া। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত (Dead) বলে ঘোষণা করেন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে দিনহাটার (Dinhata) শিমুলতলা এলাকায়।
উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী তথা বিধায়ক উদয়ন গুহ জানিয়েছেন, এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরেই এই খুন। অসামাজিক কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। জানা গিয়েছে, প্রশান্ত বিজেপি মন্ডল সভাপতি ছিলেন। এলাকার সংগঠনের কাজে সক্রিয় ছিলেন।
পরিবারের দাবি, শুক্রবার সকালে বাড়িতে খাটে বসেছিলেন প্রশান্ত। সেই সময় কয়েকজন যুবক ঘরে ঢুকে তাঁকে গুলি করেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
মঙ্গলবার রাতে দম্পতির দেহ উদ্ধারে (murder) চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দিনহাটার (Dinhata) উত্তর বড় শাকদল এলাকায়। স্থানীয়দের অভিযোগ, পারিবারিক বিবাদের জেরেই খুন। পুলিস (police) সূত্রে জানা যায়, দিনহাটা উত্তর বড়শাকদলের ধুবারঘাট এলাকায় এক ব্যক্তি ও তাঁর স্ত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। মৃতরা হলেন বাবু সরকার ও চন্দনা বর্মন। খবর পেয়ে রাতেই সেখানে পৌঁছয় সাহেবগঞ্জ থানার পুলিস। উপস্থিত হন মহকুমা পুলিস আধিকারিক প্রদীপ সরকার-সহ অন্যান্য পুলিস আধিকারিকরা। মৃতদেহ (deadbody) দুটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় সাহেবগঞ্জ থানায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মাঝে মধ্যেই মৃতদের সঙ্গে পারিবারিক বিবাদ লেগে থাকত ভাই-ভাইপোদের। মঙ্গলবারও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কিছু বিষয় নিয়ে ঝামেলা, অশান্তি হয়। এরপর মঙ্গলবার রাতেই স্বামী-স্ত্রীর জোড়া মৃতদেহ উদ্ধার হয়। সংশ্লিষ্ট এলাকায় ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে এই মৃত্যু নিয়ে। আদতে আত্মহত্যা নাকি খুন, তা নিয়ে পুলিস তদন্ত শুরু করেছে। তবে ঘটনার পর থেকেই পলাতক মৃতদের পরিবারের লোকজন। তাঁদের খোঁজে সাহেবগঞ্জ থানার পুলিস।