Breaking News
Senior Citizen: কেউ আতঙ্কে, কেউ আবার দিব্যি আছেন, শহর কলকাতায় কেমন আছেন একাকী বয়স্করা?      cctv: ঘুমের ব্যাঘাত হওয়ায় মারধর! সিসিটিভি ফুটেজ দেখে গ্রেফতার বৃদ্ধার পরিচারিকা      Mamata: 'বাংলায় বিনিয়োগ করলে...' দুবাইয়ের মঞ্চ থেকে বিনিয়কারীদের পথ দেখালেন মমতা      Parineeti-Raghav:শনিবার সকাল ১০টা বাজতেই শুরু হল পরিণীতি-রাঘবের বিয়ের অনুষ্ঠান      Manish: শর্ত সাপেক্ষে জামিন পেলেন অনুব্রতর হিসেব রক্ষক মনীশ কোঠারি      Summon: পুর-নিয়োগ দুর্নীতিতে আরও ৩৪ পুর-কর্মীকে তলব, চাপে মদনের পুরসভা কামারহাটি      Anubrata: পিছল ইডির করা মামলা, মেয়ের মত অনুব্রতরও পুজো কাটতে চলেছে তিহারে      Court: আদালতে কিছুটা স্বস্তি রাজ্যের, সমবায় দুর্নীতির তদন্ত সিবিআইয়ে আস্থা সার্কিট বেঞ্চের      Nipah virus: নিপা আতঙ্ক এবার বাংলাতেও, বেলেঘাটা আইডিতে ভর্তি কেরল ফেরত পরিযায়ী শ্রমিক      Abhishek: ফের আদালতে ধাক্কা অভিষেকের, লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস মামলায় মিলল না বাড়তি সময়     

DilipGhosh

Dilip Ghosh: অমিত্রাক্ষর ছন্দে দিলীপ ঘোষ

প্রসূন গুপ্ত: গুঞ্জনে একটি কথা চালু আছে যে রাজ্য বিজেপিতে নাকি শুভেন্দু অধিকারী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের অতি কাছের মানুষ। অন্যদিকে নাড্ডা আসলে তাঁকে তদারকির দায়িত্ব থাকে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের। গুঞ্জনে কিছু আসে যায় না বিজেপির সর্বভারতীয় নেতৃত্বর, কারণ দলটি একেবারেই রেজিমেন্টেড বলেই কথিত আছে। তবে জেপি নাড্ডা যতই দলের সভাপতি হন না কেন, কোনও সমস্যা আসলে তখন অবশ্যই ডাক পড়ে প্রাক্তন সভাপতি অমিতের। এই কিছু দিন আগে মনিপুর নিয়ে যখন উত্তাল লোকসভা এবং বিরোধীরা প্রধানমন্ত্রীর জবাবি মন্তব্য চাইছে একই সাথে তারা হেরে যাবে জেনেও বর্তমান সরকারের উপর অনাস্থা প্রস্তাব এনেছে, তখনই প্রাথমিক সামাল দেওয়ার জন্য ডাক পড়লো অমিত শাহের। অমিত লোকসভায় মনিপুরকে মোটামুটি পাশে ঠেলে প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের গুণগান করলেন প্রায় দেড় ঘণ্টা। অমিত শাহ মানেই ড্যামেজ কন্ট্রোলার।

অমিত অসাধারণ বুদ্ধি ধরেন। অনেক বিশেষজ্ঞদের মতে লালকৃষ্ণ আদবানির থেকেও দ্রুত দলের নেতিবাচক দিককে ইতিবাচক করে তোলার বিষয়ে পারদর্শী। বাংলার সমস্যা নিয়ে যখনই দলের উচ্চ নেতাদের কেউ কথা বলতে চেয়েছেন তখনই সটান দিল্লি গিয়ে অমিতের সাথে বৈঠক করেছেন নিয়মিত যথা শুভেন্দু।

সম্প্রতি প্রাক্তন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ বেশ কিছুটা একঘরে। তাঁর সর্বভারতীয় সহ-সভাপতিত্ব গিয়েছে এবং পরিবর্তে পাননি কিছুই। দিলীপ যে কিছুটা ক্ষুব্দ ও বিষন্ন এবং একই সাথে প্রাক্তন আরএসএস করা বেশ কিছু বিজেপি নেতা তাঁর পাশে সে খবর বিলক্ষণ অমিতের কানে পৌঁছিয়েছে।

সম্প্রতি নাড্ডার কলকাতা সফরে দিলীপ তাঁর প্রতিটি বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বটে কিন্তু কোনও বিষয়ে টু শব্দটি করেননি। এ খবরটিও অমিত শাহের কানে গিয়েছে বলে খবর। তিনি দিলীপকে দ্রুত দিল্লিতে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেছেন। দিলীপ বৃহস্পতিবার দুপুর ৩ টের বিমানে দিল্লি চলে গিয়েছেন। সন্ধ্যার পর অমিত শাহের বাড়িতে তাঁর বৈঠক বলে সূত্রের খবর। এবারে প্রশ্ন কি কি হতে পারে? ১) দিলীপকে শান্ত করতে পারেন অমিত কিংবা ২) দিলীপের মন্ত্রিত্বের সুযোগ আসতে পারে অথবা ৩) তাঁকে ফের কোনও পদ দেওয়া যেতে পারে। তবে আজকেই সমাধান না হলেও অমিত্রাক্ষর ছন্দে যে দিলীপ ফিরবেন তা নিঃসন্দেহে বলে দেওয়া যায়।

a month ago
Dilip Ghosh: হীরক জয়ন্তীতে পা দিয়েও চিন্তায় দিলীপ

প্রসূন গুপ্ত: হীরক জয়ন্তীতে পা দিয়েও চিন্তায় দিলীপ ফের আলোচনায় বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ। ইদানিং দিলীপবাবুকে নিয়ে জল্পনা কমছেই না। শুধু তাঁর দল থেকেই নয় তৃণমূল কংগ্রেসীদের একটা অংশও দিলীপ ঘোষের অপসারণের সমালোচনা করছে। দিলীপ ঘোষ বর্ণময় চরিত্র। দলের মধ্যে তিনিই নিয়মিত জনতার সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন যদি এ রাজ্যে থাকেন। দিলীপবাবুর তৃণমূল বা অন্য বিরোধীদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য তৃণমূলের কেউই খুব একটা মাথা ঘামায় বরং মজাই পায়।

অন্যদিকে দিলীপবাবু এই প্রতিবেদককে জানিয়েছিলেন যে, তাঁর তৃণমূল দলের নেতাদের সঙ্গে ভালোই সম্পর্ক কিন্তু যখনই রাজনীতির প্রসঙ্গ আসে তখন তিনি ছেড়ে কথা বলেন না। অবিশ্যি তৃণমূলের মুখপাত্ররাও দিলীপবাবুর সমালোচনা কোর্ট দ্বিধা করে না। একটি যেন অম্লমধুর সম্পর্ক। এমনটিই হওয়া উচিত জানিয়েছিলেন কুনাল ঘোষ। সেই দিলীপ ঘোষকে এক প্রকার অপসারণ করাতে সমস্ত দলের মানুষ কিন্তু দিলীপের পাশেই দাঁড়িয়েছে। এই মুহূর্তে দিলীপবাবু পদহীন। কেউ কেউ বলছে হয়তো কেন্দ্রের মন্ত্রী হতে পারেন কিন্তু মন্ত্রিত্বতো ২০১৯-এ দিলীপবাবু শ্রদ্ধার সঙ্গে নাকচ করেছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন, সংগঠনের মানুষ আমি, মন্ত্রী হয়ে কি হবে। এখন যদি তাঁকে মন্ত্রিসভায় নিয়েই আসা হয় তবে ১০ মাসে তিনি কিই বা করতে পারবেন? সম্প্রতি দলের বর্তমান সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন যে, দিলীপদাকে নিয়ে যাই অসন্তোষ হোক না কেন তাতে দলের ক্ষতি হবে না।

কিন্তু এই প্রশ্ন আসছে কেন? দিলীপ ঘোষ কি ব্রাত্য? তিনি ছাড়া আর কোনও নেতা কি অসংযমী কথাবার্তা বলেন না, প্রশ্ন দিলীপ ঘনিষ্ঠদের।  আমল দিচ্ছেন না সুকান্তবাবু। বাস্তব ঘটনা এই যে, সাম্প্রতিক পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপির ১৬ শতাংশ ভোট কমেছে। এর নির্ণয় অনুযায়ী আসন্ন লোকসভা ভোটে বিজেপির ১৮ আসন কমে ৩/৪ টি আসনে দাঁড়াতে পারে। কি ভাবনা রয়েছে কেন্দ্রের অথবা রাজ্য দলের? অন্যদিকে দলেরই এক ছোট নেতা সন্ময় বন্দোপাধ্যায় তার সোশ্যাল মিডিয়াতে জানিয়েছেন যে, হয়তো কেন্দ্রে সুকান্ত মজুমদার মত্রী হতে পারেন এবং রাজ্য সভাপতি হতে পারেন শুভেন্দু অধিকারী। এই বার্তা কি নাড্ডারও? দিলীপবাবু মঙ্গলবার ৬০-এ পা দিলেন অর্থাৎ ডায়মন্ড জুবিলী বা হীরক জয়ন্তী। তাঁর জন্য কোন হীরা অপেক্ষা করছে সেটাই দেখার।

2 months ago
Dilip Ghosh: আসছে মন্ত্রিত্ব নাকি শাস্তি? দিলীপ ঘোষ নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে

প্রসূন গুপ্তঃ এই প্রতিবেদন লেখার আগে দু'দিন ধরে প্রচুর ফোন পাচ্ছি যে, দিলীপ ঘোষের গল্পটা কি? অথবা এটা কি শাস্তি হলো, হলে কেন হলো ইত্যাদি। এছাড়া তিনি কি মন্ত্রী হচ্ছেন কেন্দ্রে, গোছের প্রশ্নও আছে। এখানে সাংবাদিকের সূত্র তেমন কাজ করছে না কাজেই একেক মিডিয়ায় একেক বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এর মাঝে কোনটি সত্যি আর কোনটি নয় ধরা মুশকিল। এক জায়গায় তো লেখা হলো রাজ্য দলের চাপেই দিলীপ ঘোষকে সরিয়ে দেওয়া হলো, আবার একই সঙ্গে বলা হচ্ছে তিনি কেন্দ্রের ক্যাবিনেট মন্ত্রী হচ্ছেন।

১৯৮০-তে বিজেপি দল গঠন হওয়ার পর বহু নেতা কেন্দ্রে এবং রাজ্যে সভাপতি বা দায়িত্বপূর্ণ পদে এসেছেন। বাম জমানায় বিষ্ণুকান্ত শাস্ত্রী থেকে শুরু করে রাহুল সিনহা অবধি এ রাজ্যে বহু সভাপতি এসেছেন। কিন্তু যাঁরাই দায়িত্বে এসেছেন তারা অবশ্যই সংঘ পরিবারের ইচ্ছাতেই এসেছেন বলেই জানা যায়। মূলত আরএসএস করা নেতারাই ভারত তথা রাজ্যগুলির সভাপতি হয়েছেন। দিলীপ ঘোষও ব্যতিক্রম নন। তিনি প্রধানত সংঘ পরিবারের প্রচারক ছিলেন। জীবনের বেশি সময়ে তিনি আদর্শগত ভাবে প্রচারক ছিলেন বলেই তাঁর মুখ থেকে শোনা। একটা সময়ে তিনি আন্দামানে দীর্ঘদিন কাজ করেছিলেন বলে এই প্রতিবেদককে জানিয়েছিলেন।

তিনি বলেছিলেন যে, যা সংঘ বলেছে তার অন্যথা করি নি কখনও। আত্মত্যাগের কারণে বিবাহও করেননি বলে জানা যায়। তাঁর কোনও দাবি নেই, দল যখন রাজনীতিতে আসতে বলেছে তখনিই তার বিজেপিতে প্রবেশ। ভোটে দাঁড়ালেন এবং ২০১৬-তে জিতেও আসলেন। ওই সময়েই তাঁকে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য দলের সভাপতি করা হয়। বলা যেতে পারে ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে এবং ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে এ রাজ্য থেকে যথাক্রমে ১৮ টি এবং ৭৭টি আসন বিজেপি পায়। শোনা যায় তাঁকে ২০১৯-এ কেন্দ্রে ক্যাবিনেট মন্ত্রী পদ নেওয়ার আবেদন ছিল কিন্তু দিলীপবাবু তা গ্রহণ করেননি।

অবিশ্যি এরপর সভাপতি হিসাবে ড. সুকান্ত মজুমদারকে নিয়ে আসা হয়। তারপর থেকেই কিন্তু দলে নানা গোষ্ঠী সমস্যা তৈরি হয়। বিজেপির ভোট কমতে থাকে। ৩৮% ভোট কমে এখন ২২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে কেন্দ্রও ভেদাভেদে বিরক্ত। সম্প্রতি দলের প্রশাসনিক দায়িত্ব থেকে দিলীপ ঘোষকে সরিয়ে দেওয়া হয়। শোনা যায় তিনি অন্য দায়িত্ব পেতে পারেন। কিন্তু বাস্তব সত্যি দিলীপ ঘোষের মতো বর্ণময় চরিত্র কমই দেখা যায় এবং অবশ্যই তাঁর মতো জনসংযোগ কম নেতারই ছিল এ রাজ্যে।

2 months ago


Dilip: সর্ব-ভারতীয় পদ খোয়ালেন দিলীপ, তবে কি কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় ঠাঁই! জল্পনা রাজনৈতিক মহলে

এখন তিনি কেবল সাংসদ। সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি পদ থেকে দিলীপ ঘোষকে সরিয়ে দেওয়া হল বলেই সূত্রের খবর। সূত্রের খবর, শনিবার সকালে সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা যে নতুন কমিটি ঘোষণা করেছেন, তাতে দিলীপের নাম নেই। বিজেপি সূত্রে খবর, অনেক সময় বেফাস কিছু মন্তব্য করে বসেন দিলীপ ঘোষ, যার জেরে অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে বিজেপি সহ বিজেপির বহু কর্মীদেরও। যে কারণেই এমন সিদ্ধান্ত বলে মনে করছেন বিজেপির একাংশ। যদিও দিলীপ ঘোষের মতে, সামনে লোকসভা নির্বাচন। সেজন্যই সমস্ত সাংসদদের দলীয় পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে, এবং তাঁরা যেন নির্বাচনী ক্ষেত্রে ঠিকভাবে দলীয় কাজগুলো সারতে পারেন ও সাংগঠনিক দিকেও নজর দিতে পারেন, সেজন্য এমন সিদ্ধান্ত বলে মনে করছেন দিলীপ ঘোষ।

একদা তিনি রাজ্যের রাজ্য বিজেপি সভাপতি পদ সামলাতেন, সে পদ যাওয়ার পর তিনি বিজেপির তরফে সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি পদে নিয়োগ হয়েছিলেন। শনিবারে জেপি নাড্ডার কমিটির পর তিনি কেবল মেদিনীপুরের সংসদ রইলেন। যদিও গুঞ্জন সোনা গিয়েছে দিলীপ ঘোষকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় আনতে পারে বিজেপি। যদিও তাতে এখনও কোনও শিলমোহর পড়েনি। ওদিকে জেপি নাড্ডার সর্বভারতীয় কমিটিতে বাংলা থেকে নেওয়া হয়েছে একমাত্র অনুপম হাজরা কে।

2 months ago
Explosion: 'মাথা নত করে বলছি, এ ঘটনায় আমি ক্ষমা চাইছি' এগরায় বিস্ফোরণ স্থলে মমতা

এগরায় (Egra) বিস্ফোরণ নিয়ে এবার ক্ষমা চাইলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) । শনিবার কপ্টারে করে এগরার ঘটনাস্থলে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান মমতা বন্দোপাধ্যায়। নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে আড়াই লক্ষ টাকা ও পরিবারের একজনকে হোমগার্ডের চাকরি দেওয়ার ঘোষণা করেন তিনি। সেই সঙ্গে  তিনি নিজেই ওই চেক তুলে দেন পরিবারে হাতে। পাশাপাশি বেআইনি বাজি কারখানা নিয়ে সরব হন তিনি। এগরায় শনিবার পৌঁছে মমতা বলেন, 'কেউ কেউ পয়সার লোভে বাজি কারখানা করছেন, আর অন্যরা মরছে।' যদিও এ প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) কটাক্ষ, 'তৃণমূল বোমা ফাটিয়ে মানুষ মারবে, আর দিদি প্যাকেজ দেবে।'

শনিবার এগরায় গিয়ে বাজি ব্যবসার জন্য ক্লাস্টার গড়ে দেওয়ার পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। পাশাপাশি তিনি বলেন, 'এখানে রাজনীতি করতে আসিনি, অনেকে এই ঘটনা নিয়ে রাজনীতির রং লাগিয়ে অন্য রূপ দেওয়ার চেষ্টা করেছেন, সেটা ঠিক করেননি।' শনিবার মমতা বন্দোপাধ্যায় সকলকে বেআইনি বাজি কারখানা বন্ধ করার কথা বলেন। নবান্নর তরফে বেআইনি বাজি কারখানা বন্ধের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে পূর্বেই। তার মধ্যেও বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে  প্রাণ হারিয়েছে ৫ জন, বজবজ ও মালদহে।

বারবার প্রশ্ন উঠেছে বেআইনি বাজি কারখানা নিয়ে, প্রশ্ন উঠছে পুলিস ও প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও। বারবার বাজি কারখানা বিস্ফোরণে প্রাণ হারিয়েছেন সাধারণ মানুষ। এদিন মমতা বন্দোপাধ্যায় সবুজবাজি তৈরির আবেদন করেন। তিনি এও জানান যে ফায়ারক্রাকার্স বানানো অবৈধ। তিনি এগরা থেকেই বললেন, 'আমার নলেজে আছে যে বাজি কারখানায় বাজি তৈরী হয়ে বর্ডার মারফত চলে যায় ওড়িশায়। বেআইনি বাজি কারখানার খবর থাকলেই পুলিসকে খবর দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন তিনি। কিন্তু এখানেই উঠছে প্রশ্ন। রাজ্যের সংশ্লিষ্ট দফতরের মন্ত্রীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বৈধ বাজি অর্থাৎ সবুজ বাজির সংখ্যা মাত্র ৭ টি। এছাড়া মমতা বন্দোপাধ্যায়য়ের নলেজে যখন বেআইনি বাজি কারখানার খবর ছিল, কেন আগে ব্যবস্থা নেওয়া হলো না। আগে ব্যাবস্থা নিলে হয়ত ১৬ টা তরতাজা প্রাণ বেচে যেত।

4 months ago


BJP: রাজ্য সংগঠনের চূড়ান্ত সমালোচনায় দিলীপ ঘোষ

প্রসূন গুপ্তঃ রবিবার বিজেপির রাজ্য কমিটির এক বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো। আয়োজিত হয়েছিল কলকাতার জাতীয় গ্রন্থাগারে। সভার আলোচনার মূল বিষয় ছিল, নরেন্দ্র মোদী সরকারের নবম বর্ষপূর্তি। রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার তাঁর বক্তব্যে জানান, সরকারের বর্ষপূর্তি এবং কাজের উন্নয়নের কথা জনগণের কাছে জানাতে হবে। আগামী ৩০ মে থেকে ৩০ জুন অবধি রাজ্যজুড়ে প্রচার অভিযানে নামবেন তাঁরা। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির রাজ্য পর্যবেক্ষক সুনীল বনশল। বনশল জানান, দলের মধ্যে ছ্যুৎমার্গ চলবে না। পরোক্ষে দলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে বোঝান বনশল। এই ভাবে চললে দল কড়া ব্যবস্থা নেবে, জানান বনশল।

পাশাপাশি বিধানসভার বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারী ধন্যবাদ জানান কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রীকে ১০০ দিনের কাজের টাকা আটকে দেওয়ার জন্য। অবশ্য সুর চড়া করে বক্তব্য রাখেন প্রাক্তন সভাপতি, সাংসদ দিলীপ ঘোষ। দিলীপবাবু বলেন যে, সংগঠনের ত্রুটি রয়েছে। নিচু তলার কর্মীদের সঙ্গে উচ্চ নেতাদের যোগাযোগ নেই মোটেই। তিনি বিভিন্ন সময়ে জেলায় জেলায় গিয়ে দেখেছেন যে প্রবল ক্ষোভ তৈরি হয়েছে কর্মীদের উপর। তিনি তাঁর বক্তব্যে কড়া বার্তা দেন। তাঁর ভাষণের বিরোধিতা করতে দেখা যায় নি। বিজেপি কর্মীদের অন্দরের কথা, দিলীপবাবু যখন দায়িত্বে ছিলেন তখন সংগঠন চাঙ্গা ছিল এবং এই সময়েই বিজেপির ভোট বাড়ে। গত লোকসভায় বিজেপি ১৮টি আসন জয় করে দিলীপের নেতৃত্বে। দিলীপবাবু 'চায়ের আড্ডা' যথেষ্ট জনপ্রিয় ছিল বলে দাবি দলের কর্মীদের।

অবিশ্যি এটাও বাস্তব যে বিজেপির ভোট বেড়েছিল মূলত সিপিএম তথা বামেদের ভোটেই। ২০১৬ তে বিজেপির ভোট এই রাজ্যে ছিল মাত্র ১০ শতাংশ, কিন্তু ২০১৯-এ তা বেড়ে হয়ে যায় ৩৯ শতাংশ। অন্যদিকে, বামেদের ভোট কমে দাঁড়ায় মাত্র ৭-৯ শতাংশ। কাজেই প্রশ্ন থাকে বাম ভোট কমে কি বিজেপিতে গেলো? খতিয়ে দেখছে দল যে কোনও কারণে ২০২১ ভোট পর থেকেই বিজেপির ভোট ক্রমশ ক্ষয়িষ্ণু হচ্ছে। সাগরদিঘিতে বিজেপির জামানত গিয়েছে এবং নদীয়া জেলায় সমবায় ভোট বিজেপি শূন্য হয়ে গিয়েছে যেখানে সিপিএমের ভোট বেড়েছে। কাজেই সুনীল বনশল দলের সংগঠনের উপর জোর দিচ্ছেন।

4 months ago
Dilip: কুড়মিদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জের, দিলীপ ঘোষের বাংলো ভাঙচুর আন্দোলনকারীদের

খড়্গপুরে (Kharagpur) দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) বাংলো ঘেরাও করলেন কুড়মি (Kurmi) আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষেরা। বাংলোর মেন গেট লাথি মেরে খুলে ফেলে বিক্ষোভকারীরা। এরপর  বাংলোর সামনে বাগানে ঢুকে ভাঙচুর চালায় বিক্ষোভকারীরা। নষ্ট করে ফুলের টব। উপড়ে দেয় বাগানের বহু গাছ। তাঁদের দাবি দিলীপ ঘোষকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে।

সম্প্রতি দিলীপ ঘোষের করা মন্তব্য নিয়ে অসন্তোষ ও বিতর্ক দানা বাধে কুড়মি সমাজ। কুড়মিদের করা বেফাঁস মন্তব্য ঘিরেই কুড়মিদের মধ্যে আরও বেশি ক্ষোভ জমা হয়েছিল। সেই ক্ষোভের প্রকাশ পাওয়া গেল বুধবার। ফলে দিলীপ ঘোষের সাময়িক বিপাকে পড়ে।

এদিনের বিক্ষোভে সামিল ছিলেন কুড়মি সমাজের শীর্ষ নেতা অজিত মাহাত। বিক্ষোভের সময় অজিতবাবু সাংবাদিকদের বলেন, 'দিলীপ ঘোষের সঙ্গে আমার সম্পর্ক ভালো ছিল। তিনি আরএসএসের ক্যাম্পে দীর্ঘদিন প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও কুড়মি সমাজের প্রতি এ ধরনের মন্তব্য তিনি কীভাবে করতে পারলেন? দিলীপবাবুকে ক্ষমা চাইতেই হবে। 

4 months ago
Mamata: 'বিরোধী জোট গঠনের বৈঠক হোক বিহারে', নীতীশকে পাশে বসিয়ে ঘোষণা মমতার

বিহারেই হোক বিজেপি বিরোধী জোট গঠনের বৈঠক। নীতীশ-তেজস্বীকে পাশে বসিয়ে এই প্রস্তাব দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথমে ছোট একটা বৈঠক তারপরে সবাই মিলে বসে একটা বার্তা দেওয়া যে বিজেপি-বিরোধী সব দল এক। এভাবেই বিজেপি-বিরোধী জোট গঠনে উদ্যোগী হয়ে সরব হলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। এই সময় তাঁর পাশে হাসিমুখে দেখা গিয়েছে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার এবং ডেপুটি সিএম তেজস্বী যাদবকে।

তিনি জানান, 'বিজেপি খুব বড় হিরো হয়ে গিয়েছে, আমি চাই ওরা জিরো হয়ে যাক। নীতীশজি সবার সঙ্গে কথা বলছে, আমিও বলছি। সবাই মিলে বসে ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত নেবো।' এদিকে জোট ফর্মুলা প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'আমাদের মিশন, ভিশন পরিষ্কার। সবাই মিলে একসঙ্গে বসুক, তারপর সিদ্ধান্ত নেবো।' 

নবান্নে হওয়া এই বৈঠক প্রসঙ্গে বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ জানান, 'পরবর্তীকালে কারা কারা জেলে যাবে, জেলে গেলে তারপর কী হবে, সেসব নিয়ে বৈঠক।' সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, 'বিরোধীরা একজোট হতে চাইছে, এই সমীকরণে তৃণমূল কংগ্রেস নেই। আদানি-কাণ্ডে তৃণমূলের প্রতিবাদ দেখা যায়নি। এছাড়া দুই পড়শি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একে অপরের সঙ্গে দেখা করতেই পারে।'

5 months ago


Dilip: মুকুল রায় 'বেওয়ারিশ নেতা', মমতার থ্রেট তত্ত্ব উড়িয়ে সিএন ডিজিটালকে জানালেন দিলীপ ঘোষ

মণি ভট্টাচার্যঃ মমতা বন্দোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) করা মুকুল রায়কে (Mukul Roy) থ্রেট তত্ত্ব উড়িয়ে, মমতা বন্দোপাধ্যায়ের মন্তব্যের পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh)। বুধবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছিলেন মুকুল রায় বিজেপির বিধায়ক। মুকুল রায় প্রসঙ্গে তিনি একটি উল্লেখযোগ্য মন্তব্যও করেন, তিনি বলেন, 'ওকে হয়ত কেউ থ্রেট করেছে।' এরপরে এই প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে সিএন ডিজিটালকে জানালেন, 'মুকুল রায় কোন বাচ্চা ছেলে নয়, উনি বঙ্গ রাজধানীতে দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতি করছেন। কাউকে থ্রেট করে নিয়ে যাওয়া হবে এতটা বাচ্চা মুকুল রায় নন।' তিনি আরও বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রী হয়তো থ্রেট করে তাঁকে তৃণমূলে নিয়ে গিয়েছিলেন, এছাড়া বঙ্গ রাজনীতিতে ওনার গ্রহণযোগ্যতা কী আছে?'

এছাড়া মুকুল রায়ের অন্তর্ধান প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ এদিন স্পষ্ট বলেন, 'মুকুল রায়ের রাজনৈতিক কোন দাম এই মুহূর্তে বাংলায় নেই, তিনি এখন বেওয়ারিশ নেতা।' যদিও দিলীপ ঘোষ আরও বলেন, 'কখনও ওনার ছেলে বলছেন বাবা কিডন্যাপ হয়েছেন, কখনও উনি বলছেন আমি ঠিক আছি, আবার ওনার ছেলে বলছেন উনি নাকি অসুস্থ। পাল্টা মুকুল রায় বলছেন আমি সুস্থ, আমি বিজেপি করি। উনি একজন বিধায়ক উনি উনার ইচ্ছে মত দল করতে পারেন।'

রাজনৈতিক ঘটনাচক্রে ২০২১ সালে জুন মাসে, বিজেপিতে কেউ থাকতে পারবে না বলে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন তিনি। বর্তমানে মুকুল ফের দাবি করছেন, তিনি বিজেপির বিধায়ক, দলবদল প্রসঙ্গে সিএন-ডিজিটালকে বৃহস্পতিবার দিলীপ ঘোষ আরও বলেন যে, 'মুকুল রায় দীর্ঘ এক-দেড় বছর রাজনীতির বাইরে ছিলেন, কোনও ভাবেই সক্রিয় রাজনীতির মধ্যে ছিলেন না তিনি। তখন কে তাঁর খোঁজ নিয়েছে, তখন তাঁর খোঁজ নেননি কেউই।' দলবদল প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বৃহস্পতিবার সিএন-ডিজিটালকে আরও বলেন, 'মুকুল রায় যখন বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে গিয়েছেন। সেই সময় আমাদের বিজেপির মনবল নষ্ট করেছেন এবং বিজেপির অনেক অসম্মান করেছেন। এখন তাঁকে বিজেপিতে নেওয়া হবে কিনা! সে বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না। সে বিষয়ে বিজেপির উচ্চ কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেবে।'

5 months ago
Dilip: রাজ্যপালের প্রশংসায় পঞ্চমুখ দিলীপ ঘোষ! বলেন, 'রাজ ভবন রাজনীতির জায়গা নয়'

প্রসূন গুপ্ত: তিনি প্রাক্তন রাজ্য বিজেপি সভাপতি, তিনি বিজেপি সাংসদ। কঠিন সময়ে প্রথমে ২০১৬-তে খড়গপুর বিধানসভা থেকে জিতে বিধায়ক হন। আবার ২০১৯-এ মেদিনীপুর লোকসভা থেকে সাংসদও হয়েছেন দিলীপ ঘোষ। এটা বাস্তব তাঁর রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা ছিল না ২০১৪ পর্যন্ত। কিন্তু তারপর তাঁকে সংঘ পরিবার থেকে নিয়ে এসে দল সভাপতি করে। এক সময়ে মজা করে প্রশ্ন করা হয়েছিল, বিয়ে করেননি কেন? উত্তর এসেছিলো, সারাটা জীবন তো সংঘের প্রচারক হিসাবে কাজ করলাম, ফলে বিয়ের ভাবনাটাই আসেনি। এটাও বাস্তব তাঁর আমলে রাজ্য বিজেপি শক্তি বৃদ্ধি করেছিল। বঙ্গ বিধানসভায় ৩ থেকে ৭৭ আসন পাওয়া কম কথা নয়। কিন্তু সেই কাজটি করতে পেরেছিলেন দিলীপবাবু।

পরে রাজ্য বিজেপির সভাপতির পদ থেকে কেন্দ্রীয় বিজেপির সহ-সভাপতির পদ পান। শোনা গিয়েছে দ্বিতীয় মোদী সরকারে তাঁকে ক্যাবিনেটের দায়িত্ব নেওয়ার অনুরোধ করলে তিনি নম্রভাবে প্রত্যাখ্যান করেন। দিলীপ ঘোষ চিরকাল ভোরে উঠে নানা জায়গায় চায়ের আড্ডা জমান, তিনি বলেন জনমত বোঝার এটা একটা মোক্ষম কাজ। একইসঙ্গে মাঝে মধ্যে বিতর্কিত মন্তব্য করে খবরে থাকেন দিলীপ ঘোষ। যদিও লালু যাদব, অনুব্রত মন্ডল থেকে দিলীপ ঘোষের কটাক্ষ বিরোধীদের উদ্দেশে ক্রোধের থেকে মজাদায়ক বেশি।

এহেন দিলীপ ঘোষ ফের মুখ খুললেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের হয়ে। সম্প্রতি রাজ্যের বিরোধী নেতা রাজ্যপালের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। সেই মন্তব্যের উত্তরও দিয়েছেন কম কথা বলা উচ্চশিক্ষিত বোস। এবার দিলীপ ঘোষ রাজ্যপালের প্রভূত প্রশংসা করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, সিভি আনন্দ বোস উপযুক্ত মানুষ। পথে নেমে কাজ করেন রাজ্যপাল। দিলীপবাবু বলেন, 'রাজভবন রাজনীতির  জায়গা নয়।' 

6 months ago


Dilip: হাওড়ার পর অগ্নিগর্ভ রিষড়া, দিলীপ ঘোষের রাম নবমীর মিছিলে দুষ্কৃতী হামলার অভিযোগ

রিষড়ায় (Rishra) দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) রাম নবমীর মিছিলে দুষ্কৃতী হামলার (Attack) অভিযোগ। হাওড়ার পর এবার রিষড়ায় অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি রাম নবমীর মিছিলে। সূত্রের খবর, রবিবার রাম নবমীর মিছিলে পা মিলিয়েছিলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। অভিযোগ, আচমকাই একদল দুষ্কৃতী হামলা করে ওই মিছিলে। ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ। সূত্রের খবর, কোনরকমে কেন্দ্রের সশস্ত্র জওয়ান ও তাঁর দেহরক্ষী তাঁকে ওই পরিস্থিতি থেকে উদ্ধার করেন। ওই ঘটনায়, গুরুতর আহত হন বিজেপি বিধায়ক বিমান বোস। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।  এ ঘটনায় রিষড়ায় বিশাল পুলিস  বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

দু'দিন, ঘোর কাটেনি হাওড়ার শিবপুরের। শিবপুরে রামনবমীর মিছিলে হামলার অভিযোগে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে হাওড়া, শিবপুরের কাজীপাড়া। নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। মমতা বন্দোপাধ্যায় পুলিসের নিষ্ক্রিয়তা মেনে নিয়ে তদন্ত করা হবে জানান। রাজনৈতিক মহলে জোর কটাক্ষ শুরু হয়। রাজ্যপাল আশ্বাস দেন কমিটি ঘটনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তদন্তভার সিআইডি গ্রহণ করে। হাওড়ার শিবপুরের ঘটনার তিনদিনের মাথায় এমন ঘটনা  কি করে ঘটল? এ নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। প্রশ্ন উঠছে, কেন রাম নবমীর মিছিলে অতিরিক্ত পুলিসি নিরাপত্তা দেওয়া হলো না? ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিসবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। এখন পরিস্থিতি খানিকটা নিয়ন্ত্রণে।

6 months ago
Netaji: প্রসঙ্গ নেতাজিকে যোগ্য সম্মান! তেইশের সকালে বিজেপি-টিএমসির বাকযুদ্ধ, তপ্ত মাঘের বাংলা

নেতাজির ১২৬তম জন্মজয়ন্তীতে (Netaji Birthday) বাংলায় অব্যাহত রাজনৈতিক তরজা। দেশের এই বীর সন্তানকে কে যোগ্য মর্যাদা দিয়েছে? এই প্রশ্নে যুযুধান বিজেপি এবং তৃণমূল কংগ্রেস (BJP-TMC)। সোমবার প্রতিদিনের মতো প্রাতঃভ্রমণে বেড়িয়ে বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ বলেন, 'নেতাজিকে কেউ সম্মান দিলে বিজেপি দিয়েছে। দিল্লিতে তাঁর মূর্তি স্থাপন কে করলো, নরেন্দ্র মোদী। তোমরা ৭০ বছর করোনি কেন! নেতাজির নামে দোকান চলেছে, তাঁকে নিয়ে রাজনীতি হয়েছে। মোদীজি নেতাজিকে যোগ্য সম্মান দিয়ে তাঁকে প্রতিষ্ঠিত করে যুব সমাজের সামনে নিয়ে এসেছেন।'

যদিও বিজেপি তথা দিলীপ ঘোষকে পাল্টা আক্রমণ করেছে তৃণমূল। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানান, 'সাংসদ হিসেবে দিলীপ ঘোষ বা নতুন বিজেপি হয়েছে এমন কেউ, যারা সাংসদ বা সংসদে ছিলেন, তাঁরা একটা ভিডিও দেখাক যেখানে নেতাজির রহস্য উন্মোচনে কেন্দ্রের উপর চাপ তৈরি করেছে।'

তাঁর দাবি, 'নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে চিরকাল তৃণমূল সম্মান দিয়ে এসেছে, এটা কর্তব্য। নেতাজির পরিবারের সদস্যদের সাংসদ করে দেশের সংসদে পাঠিয়েছে দল। নেতাজির অন্তর্ধান রহস্য উন্মোচন রাজ্যের বিষয় নয়। মুখার্জি কমিশনের রিপোর্টের উপসংহার টেনে কী করেছে কেন্দ্র? রাজ্য তো সব ফাইল খুলে দিয়েছে। কেন্দ্র এখনও গুরত্বপূর্ণ ফাইল খোলেনি। এমন অভিযোগও রয়েছে। রেনকোজি মন্দিরে রাখা চিতাভস্ম এনে ডিএনএ টেস্ট কেন করা হচ্ছে না?'

8 months ago
ODI: ইডেনে দিলীপ ঘোষ, ভারত জিততেই আনন্দে আত্মহারা

প্রসূন গুপ্ত: বাংলার রাজনীতিতে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ এক বর্ণময় চরিত্র।  একদিকে রাজনীতির দৌড়ঝাঁপ যেমন থাকে আবার এই মানুষটি সকালে একেবারেই অন্য মুডে। প্রাতঃভ্রমণে বেড়িয়ে দলমত নির্বিশেষে চায়ের আড্ডায় বসে পড়েন এবং সেখানে শুনেছি রাজনীতির বিষয় থাকে কম, আড্ডাই বেশি। দিলীপ ঘোষ খুব সিনেমা প্রেমী নয় কিন্তু কখনও হয়তো দেখেও ফেলতে পারেন কোনও ছবি। দিলীপবাবুর রাজনীতির বাইরে প্রিয় বিষয় খেলাধুলা। এক সময়ে যখন তিনি সংঘ প্রচারক ছিলেন তখন শরীরচর্চা করেছেন, লাঠি খেলা থেকে অন্য খেলাতেও যোগ দিয়েছেন। ফুটবল ক্রিকেট তার প্রিয় খেলা হলেও ভারত অলিম্পিকে গেলে টেনশন নিয়ে সেই খেলাও দেখেন, যদি হাতে সময় থাকে। কিন্তু খেলা দেখাটা তাঁর কাছে অবসর যাপনের অন্যতম বিষয়। সম্প্রতি বিশ্বকাপ ফুটবল গেলো। রাতের খেলাগুলিতো দেখেছেন সময়ে পেলে বিকেলের খেলাও দেখতে কসুর করেননি দিলীপ ঘোষ।

এই প্রতিবেদককে একবার বলেছিলেন, আরে সকলেই তো দেখছি কোনও না কোনও দেশের সমর্থক। আমার ভালো লেগেছে এশিয়ার দলগুলিকে। গোড়া হিন্দুত্ববাদী কি তিনি? দিলীপের কথায় তা বিতর্ক ছড়ালেও খেলার বিষয় নিয়ে একেবারে নিরপেক্ষ। জানিয়েছিলেন, দেখবেন আগামী দিনে ইরান জাপান সৌদি আরবরা ফাইনাল রাউন্ডে খেলবে। এদের খেলাতেই নাকি মুগ্ধ ছিলেন দিলীপ ঘোষ।

ক্রিকেটেও দিলীপ ঘোষকে ভারতের হয়ে গলা ফাটাতে দেখা যায়। তিনি কপিল দেবের ভক্ত। কথায় কথায় বলেন আমি আর কপিল, যখন তখন দুধ খেয়ে হজম করতে পারি।কপিলের মূল শক্তি যে দুধে তা বলতে কসুর করেন না দিলীপ ঘোষ।

এহেন দিলীপ ঘোষ বৃহস্পতিবার ইডেনে গিয়ছিলেন ভারত আর শ্রীলংকার দ্বিতীয় একদিবসীয় ম্যাচ দেখতে। না মোটেই ক্লাব হাউসের ভিভিআইপি গ্যালারিতে নয় বরং একেবারে আম জনতার মাঝে বসে খেলা উপভোগ করলেন তিনি। ভারতীয় স্পিনার কুলদীপের বোলিংয়ে উচ্ছ্বসিত দিলীপ। কিন্তু পরে ভারত ব্যাট করতে নেমে দ্রুত তিন উইকেট হারানোতে ভয়ানক নার্ভাস হয়ে পড়েছিলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত রাহুল আর হার্দিকের খেলায় যেন স্বস্তি পেলেন তিনি। জয়ের স্ট্রোক নিতেই উচ্ছ্বাসে লাফালেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর পাশে বসে থাকা সবাই হয়তো বিজেপি সমর্থক নয়, কেউ বা তৃণমূলের কিংবা বাম সমর্থক। তারাও দিলীপকে প্রায় জড়িয়ে ধরলেন। মাঠে কি আর রাজনীতি থাকে? এখানে সকলেই ভারতকে ভোট দেবে।

8 months ago


Tripura: ত্রিপুরার ভোট প্রচারের দায়িত্বে সুকান্ত-শুভেন্দুরা

প্রসূন গুপ্ত: দিল্লি থেকে নির্দেশ এসেছে রাজ্য বিজেপির কাছে , যেতে হবে দ্বিতীয় বাঙালিদের রাজ্য ত্রিপুরাতে। আগামী ফেব্রুয়ারিতে ভোটের কথা চলেছে। নির্দিষ্ট দিন এখনও নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে না এলেও ২০২৩-এর গোড়াতেই ভোট ধরে নিয়ে এগোতে চাইছে কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব। গত ২০১৮ র বিধানসভা নির্বাচনে ক্ষমতায় এসেছিলো বিজেপি এবং তাদের স্থানীয় উপজাতি জোটসঙ্গী। ৫ বছর পূর্ণ কাজেই ফের নির্বাচনী দামামা বাজার আগেই প্রচারে নামতে চাইছে তারা।

গত বারের দায়িত্বে ছিলেন সুনীল দেওধর। ধুরন্ধর বুদ্ধি সুনীলের কাজেই নানান পরিকল্পনা করে এবং স্থানীয় কংগ্রেসকে ভেঙে ত্রিপুরায় টানা ৫ বার ক্ষমতায় থাকা বামফ্রন্টকে পরাজিত করেছিল বিজেপি | আপাতত ৪০টি কেন্দ্রে প্রচারের দায়িত্ব থাকছে পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির নেতাদের। ত্রিপুরা বাঙালির স্থান বললে ভুল বলা হবে। এক সময়ে স্বাধীনতার আগে ওপার বাংলার কুমিল্লার অংশ ছিল ত্রিপুরা। মূল ত্রিপুরাতে ত্রিপুরী উপজাতির বাস ছিল পরে দেশ বিভাগের পর ওপার বাংলা থেকে উদ্বাস্তুরা আসাতে সংখ্যাগুরু হয়ে যায় বাঙালিরা।

বর্তমানে ত্রিপুরায় বিপ্লব দেবকে সরিয়ে দীর্ঘদিনের  মানিক সাহাকে মুখ্যমন্ত্রী করেছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। পাশাপাশি বিশেষ দায়িত্বে আছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। এমনকি কলকাতা থেকে নেতাদের পাঠানো হচ্ছে আগরতলায়। আপাতত রাজ্যের সাংগঠনিক সাধারণ সম্পাদক আমিতাভ চক্রবর্তীর সঙ্গে কথাও হয়েছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বলেই খবর।

প্রচারের জন্য একটি তালিকা করা হয়েছে তাতে প্রধান নাম সুকান্ত মজুমদার , শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষ প্রমুখ। এছাড়াও অন্য নেতারাও যাবেন। শোনা গিয়েছে, শুভেন্দুদের প্রায় দেড় মাস সেখানেই আস্তানা গাড়তে হচ্ছে। অন্যদিকে বামফ্রন্ট ,কংগ্রেস একজোট হয়ে লড়বে কিনা এখনও ঠিক হয়নি। তবে তৃণমূল যে লড়াইতে আছে সে বার্তা পরিষ্কার | ত্রিমুখী বা চতুর্মুখী লড়াইতে আদতে লাভ বিজেপির, কাজেই তারা অপেক্ষা করছে তৃণমূল কী করে দেখতে।

9 months ago
Dilip Ghosh: নক আউটের অভিজ্ঞতাটা ছিল না ছোট দলগুলির, জানালেন দিলীপ ঘোষ

বিজেপির (BJP) সর্বভারতীয় সহ সভাপতি (Vice President) দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) চোখে কাতার বিশ্বকাপ (Qatar World Cup 2022)।

আমি খেলার ভক্ত। ছেলেবেলা থেকেই শরীরচর্চা বা ফুটবল খেলার অভ্যাস তো ছিলই। সংঘ করতে এসে তা আরও বেড়েছে। আমি বরাবরই ডিসিপ্লিন জীবনযাত্রায় বিশ্বাসী। আজকেও আমার শরীরে কোনও রোগ নেই। ইচ্ছা হলে এখনও মাঠে নেমে যেতে পারি, তাই খেলা দেখি এবং বিশ্বকাপ তো দেখতেই হবে।

প্রথমেই বলা ভালো, যাঁরা খেলা দেখেছেন নিশ্চয় লক্ষ্য করেছেন যে, ছোট দলগুলো অর্থাৎ এশিয়ার ও আফ্রিকার দলগুলো মন কেড়ে নিয়েছে। যদিও কথার কথা 'ছোট দল' এবং এই ছোটবড় কথাটা আমি বিশ্বাস করি না। কারণ যারা বিশ্বকাপের মূলপর্বে গিয়েছে তাদের খাটো করে দেখা মোটেই উচিত নয়। বিগত বিশ্বকাপে এরা যা পারফর্ম করেছে তার থেকে অনেক ভালো খেলেছে এই বছর। আমি তো বলবো ঊনিশ-বিশ। একটাই ফারাক অভিজ্ঞতা। সে বিষয়ে পরে লিখছি।

আমরা দেখলাম লিগের ম্যাচগুলোতে জাপান, ইরান, কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া থেকে তিউনেশিয়া, মরোক্কো, ক্যামেরুন, ঘানা ইত্যাদি দলগুলি নাস্তানাবুদ করে ছেড়ে দিয়েছে তথাকথিত সেরা দলগুলিকে। ইংল্যান্ড ছাড়া প্রতিটি ইউরোপ ও ল্যাটিন আমেরিকার দলগুলি কিন্তু এই এশিয়ান আর আফ্রিকান দলগুলির কাছে হেরেছে। আমি তো এদের খেলা ভুলবো না। আজ এরা পারলো না কিন্তু ফারাকটা কিন্তু সামান্যই। আগামীতে এরাই মাঠ কাঁপাবে।

এবারে আসি নক আউটের প্রসঙ্গে। লক্ষ্য করে দেখুন বেশির ভাগ ইউরোপ ও ল্যাটিন আমেরিকার দল প্রথম রাউন্ডে নিজেদেরকে সেভাবে মেলে ধরেনি। এবারে যেই নক আউট এরা উঠলো সে মুহূর্তেই নিজেদের খেলা সম্পূর্ণ পাল্টে ফেললো। এই একটি জায়গায় মার খেলো এশিয়া আফ্রিকা।

আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে কে কে কোয়ার্টার ফাইনাল যাবে ঠিক হবে এবং সেমিফাইনাল ঠিক হবে বৃহস্পতিবারের মধ্যে। শেষ পর্যন্ত ১৮ তে ফাইনাল। আমি ব্রাজিলের খেলার ভক্ত, কিন্তু আমাদের ছেলেবেলায় দেখা ব্রাজিল আজ কোথায়? কোথায় সেই স্কিল? ডজ ড্রিবলিং পাসিং বা বাইরে থেকে স্পটকিকে গোল করা কোথায়? এখন শুধু আলট্রা পাসিংয়ের খেল। ব্রাজিল চ্যাম্পিয়ন হোক চাই, কিন্তু নেইমার নাটক করা বন্ধ করে যদি খেলায় মন দেয় ভালো। তবে আর্জেন্টিনাকে কোপা জিততে দেখেছি। এবারে মেসি কিন্তু ক্যাপ জিততে মরিয়া ফলে মেসির খেলার দিকে নজর তো থাকবেই। সবশেষে বলি ইউরোপের ফুটবল আজ যে ভাবে খেলছে বিশেষ করে ফ্রান্স। ভাবতে হবে। (অনুলিখন: প্রসূন গুপ্ত) 

10 months ago