
সমুদ্রের চড়ে ধাক্কা লেগে উল্টে গেল দুটি ট্রলার (Trawlers)। তবে এই ঘটনায় কোনও হতাহতের খবর এখনও পর্যন্ত মেলেনি। ট্রলারে থাকা মৎস্যজীবীরা সুরক্ষিত। বুধবার সন্ধ্যার সময় ট্রলার দুটি ফিসিং করে ফিরছিল। ঠিক তখনই দীঘার (Digha) মোহনাতে ঢোকার মুখে চড়ায় ধাক্কা লেগে উল্টে যায় দুটি ট্রলার। ইতিমধ্যেই সেই ট্রলার দুটিকে উদ্ধার করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
জানা গিয়েছে, ওই উল্টে যাওয়া দুটি ট্রলারের নাম একটি অন্নদাময়ী এবং অপরটি শিবানী। ওই দুটো ট্রলারে প্রায় ৩০ জন মৎস্যজীবী ছিলেন। তাঁরা সুস্থভাবে শঙ্করপুরের কাছে পাড়ে উঠেছেন। আরও জানা গিয়েছে, চলতি মাসের ১৫ তারিখ থেকে ব্যান্ড পিরিয়ড শেষ হওয়ার পরেই মৎস্যজীবীরা ইলিশের সন্ধানে পাড়ি দিয়েছিলেন সমুদ্রে। তবে বুধবার ঝড় হওয়ার সাথে সাথে প্রচন্ড বৃষ্টি চলতে থাকায় ট্রলার গুলি নিয়ে মৎস্যজীবীরা একসঙ্গে দীঘা মোহনায় ঢোকার চেষ্টা করছিল। তখনই সমুদ্রের চড়ায় ধাক্কা লেগে উল্টে যায় ট্রলার দুটি। ট্রলারে থাকা স্থানীয় মানুষ এবং অন্যান্য মৎস্যজীবীরা সাঁতরে পাড়ে উঠে গেলেও ট্রলার দুটি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়ে গিয়েছে।
দীঘা ফিশারম্যান অ্যাসোসিয়েশন পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রত্যেকটি ট্রলারের তৈরীরখরচ প্রায় ৮০ থেকে ৯০ লক্ষ টাকা। দীঘা মোহনায় ডেইজিং-এর কাজ না হওয়ার জন্য মূলত এই দুর্ঘটনা বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
দীঘায় (Digha) বেড়াতে এসে তিন তলা ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যু (Death) এক পর্যটকের (Tourist)। শুক্রবার রাতে নিউ দীঘার একটি বেসরকারি হোটেলে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। ঘটনাটি ঘিরে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে সৈকত শহরে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত পর্যটকের নাম অর্পণ মিত্র (৫১)। তাঁর বাড়ি পাটুলি, বৈষ্ণব ঘাট, কলকাতা- ৯৪ এলাকায়। বৃহস্পতিবার পরিবার এবং বন্ধু-বান্ধব সহ দীঘায় বেড়াতে আসেন ওই পর্যটক। এরপর শুক্রবার রাত ১০ টা নাগাদ হোটেলের ব্য়ালকনিতে বসার সময় অসাবধানতাবশত ছাদ থেকে পড়ে যান তিনি। পরিবারের সদস্যরা এবং হোটেল কর্মীরা আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে তড়িঘড়ি দীঘা রাজ্য সাধারণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
খবর পেয়ে দীঘা মোহনা কোস্টাল থানার পুলিস মৃত উদ্ধার করে কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য পাঠায়।
ফের জাতীয় সড়কে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনা (Bus accident)। দুটি সরকারি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিক সূত্রে খবর। ফলে দুর্ঘটনায় জখম বেশ কয়েকজন। ঘটনাটি ঘটেছে দীঘা (Digha) নন্দকুমার ১১৬ বি জাতীয় সড়কে মারিশদা বাসস্ট্যান্ডের কাছে। ঘটনাস্থলে আসে মারিশদা থানার বিশাল পুলিস বাহিনী। যদিও এই দুর্ঘটনায় কোনও গুরুতর হতাহতের খবর নেই বলেই জানিয়েছেন ওই থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক।
ঘটনায় আহতদের স্থানীয় ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় জাতীয় সড়ক দীর্ঘক্ষণ অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছিল। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মারিশদা থানার বিশাল পুলিস বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং ঘাতক দুটি বাসকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে রাস্তা থেকে। এরপর যানজট কিছুটা হলেও স্বাভাবিক হয়েছে।
উদ্বোধনের এক মাসের মাথায় বন্ধ হয়ে গেল কাঁথি-দিঘা মেরিন ড্রাইভ (Contai-Digha Marine Drive)। মেরামতির কারণে প্রশাসনিক নির্দেশে এই সিদ্ধান্ত। পূর্ব মেদিনীপুর (East Midnapur) পর্যটনে নতুন পালক জুড়েছিল এই মেরিন ড্রাইভ। সমুদ্রের তীর ধরে কাঁথি-দিঘা পৌছনোর এই রাস্তা ১৪ সেপ্টেম্বর উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী (CM Mamata)। ওই পথে থাকা সবক'টি পর্যটনস্থল ছুঁয়ে গিয়েছে এই মেরিন ড্রাইভ। খুব অল্প সময়ের মধ্যে কাঁথি-দিঘা পৌছনোর এই রাস্তা জলোচ্ছ্বাসের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত। মূলত মন্দারমনি এবং শঙ্করপুরের মাঝের রাস্তা মেরামত করছে সেচ দফতর।
পাশাপাশি চলছে ক্ষতিগ্রস্ত সমুদ্র বাঁধ সারাইয়ের কাজ। ফলে রাস্তাটি চলাচলের অনুপযুক্ত হয়েছে। পর্যটকদের অসুবিধার মুখে পড়তে হয়েছে। প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, বঙ্গোপসাগরে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণেই মেরিন ড্রাইভের রাস্তা সম্পূর্ণভাবে তৈরি করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। তবে তা শীতকালের মধ্যেই সম্ভব হয়ে যাবে। এবিষয়ে পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি বলেন, 'ওখানে কাজ চলছে। রাস্তা বন্ধের জন্য বোর্ড লাগানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কেন লাগানো হয়নি, জানতে চেয়েছি। এখন ওই রাস্তা বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাস্তার কাজ সম্পন্ন হলেই রাস্তা খুলে দেওয়া হবে।'
সুজিত সাহা: পুজো পুজো গন্ধ মেখে ভ্রমণ পিপাসু বাঙালির মন ছোটে একটু ভিন্ন স্বাদের আশায়। রাস্তাঘাট, মাঠময়দান, হোটেল, রেস্তোরাঁ, কলকাতার, চতুর্দিকে রঙবেরঙ মানুষের ভিড়। আর বাড়ির সামনে পুজো হলে তো কথাই নেই। নিজের বাড়িতে ঢুকতেও বাঁশের ব্যারিকেডে লাইন। শহর বা শহরতলিতে সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে রাস্তার দু'পাশে লাল শালু জড়ানো সস্তার বিরিয়ানি হাড়ির সিন্থেটিক আতরের গন্ধ চারদিকে। নাভিশ্বাস এক শ্রেণির মানুষের। সারা বছরের কর্মব্যস্ততার মাঝে ছুটিকে একটু অন্য স্বাদে অনুভব করার চেষ্টা, তাঁরা মনে করে পুজোর সময় কলকাতাকে। ওরে বাবা রক্ষা করো।
বাঙালির দিপুদা; দিঘা, পুরী, দার্জিলিং তো আছে। সঙ্গে জুড়ে গিয়েছে বকখালি, টাকি, হিমাচল প্রদেশ, কাকদ্বীপ আরও কত নাম! যার যেখানে মন চায়, আমাদের ছুটি ছুটি চল নেব লুটি ওই আনন্দ ঝর্নায় বলতে বলতে চলে যায়। আমার একটা ছোট ভ্রমণপিপাসু দল আছে, যারা আগে থেকে ঠিক করে রেখেছিল পুরীর জন্য। একাধিকবার যাওয়া সত্বেও সময়টা অন্যভাবে অতিবাহিত করতে এবারের যাত্রা। পুরী পৌঁছলাম সপ্তমীর ভোরে। আলো-আঁধারির ভোরে টোটোয় চেপে এগোতেই সূর্য উঁকি মারল সমুদ্রের বুক চিড়ে। আলো বাড়ার সঙ্গেই বালুকাবেলায় ছুটে আসা ঢেউগুলো ঝিকমিক করে মিলিয়ে যাচ্ছে। আবার আর একটা ঢেউ ছুটে আসার জন্য তৈরি।
আমি এই সূর্যোদয়ের মাঝে সুবিশাল জলরাশির সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে কখন হারিয়ে ফেলেছি জানি না। সম্বিত ফিরল দেখি আমার এক বন্ধু একতাল বালি নিয়ে ঢিবি করছেন।দৃশ্য দেখে হাসলাম বটে, সবাই যে যার নিজের মতো করে সময়ের সঙ্গে কথা বলছে। সমুদ্রে স্নান, ঘোরাঘুরি, অনাবিল আড্ডা, খাওয়া-দাওয়া, কখন যে তিন দিন কেটে যাবে টের পাব না। দশমীর দিন আবার দুরন্ত এসে ঠেকবে শিয়ালদহে। একাদশী থেকে আবার সেই আগের জীবন, থোর বড়ি খারা আর...।
পুজোর আগেই কি ভাসবে দুই বঙ্গ? আবহাওয়া দফতর সূত্রে পাওয়া খবরে এমনটাই আশঙ্কা করা হচ্ছে। পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে (Bay of Bengal) সৃষ্ট নিম্নচাপ ঘনীভূত হয়ে আরো গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। যার জেরে দক্ষিণবঙ্গের (South Bengal) উপকূল এলাকা জুড়ে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর। সেইসঙ্গে সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকা জুড়ে দফায় দফায় বৃষ্টি সকাল থেকে শুরু হয়েছে। দীঘায় সমুদ্র উত্তাল হয়ে ওঠায় পর্যটকদের সমুদ্রস্নানের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। স্নানের ঘাটগুলিকে চারপাশ থেকে দড়ি দিয়ে ব্যারিকেড করে দেওয়া হয়েছে।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তী থানার ঝড়খালি কোস্টাল থানার উদ্যোগে মাইকিং-এর মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রবল আশঙ্কা রয়েছে সুন্দরবনের উপকূলবর্তী এলাকায়। তাই ঝড়খালি কোস্টাল থানার ওসি প্রদীপ রায় সহ পুলিসকর্মীরা সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকায় মৎস্যজীবীদের নিষেধ করছেন।
এছাড়াও আজ সকাল থেকেই হাওয়া দফতর সুত্রে খবর জানা গিয়েছে, মেঘলা আকাশই থাকবে সারাদিন এবং ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনাও প্রবল। তাছাড়াও লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে মালদা, দুই দিনাজপুর, ঝাড়গ্রাম, বর্ধমান, জলপাইগুড়ি প্রভৃতি জায়গায়। জানানো হয়েছে, বজ্রবিদ্যুত সহ ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। হাওয়া দফতর সুত্রে জানা গিয়েছে, আজ ১১ই সেপ্টেম্বর কলকাতার তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ৩১ ডিগ্রি ও সর্বনিম্ন ২৭ ডিগ্রির কাছাকাছি থাকবে। বজ্রবিদ্যুত সহ ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে কলকাতাতেও।
দিঘার (Digha) উত্তাল সমুদ্রে তলিয়ে যাওয়া পর্যটককে (Tourist) উদ্ধার করলেন স্থানীয় যুবক, নুলিয়া ও সিভিল ডিফেন্সের (Civil Defence) কর্মীরা। বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপের জেরে আজ সকাল থেকে উত্তাল রয়েছে দিঘার সমুদ্র। আর সমুদ্রে প্রশাসনের নজরদারি এড়িয়ে নামতে গিয়ে তলিয়ে গেলেন এক পর্যটক। তাঁকে উদ্ধার (Rescue) করে দিঘা রাজ্য সাধারণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। যদিও তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল। এই যুবকের নাম সুপ্রকাশ মণ্ডল বলে জানা গিয়েছে। বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায়।
এদিন সকাল থেকেই প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে উপকূলে। গার্ডওয়াল ছাপিয়ে উপকূলে আছড়ে পড়ছে বড় বড় ঢেউ। আগেই এই সময় উত্তাল সমুদ্রে নামতে বারণ করা হয়েছিল। স্থানীয় নিরাপত্তা বাহিনীর পক্ষ থেকে বারবার মাইকিংও করা হয়েছে। কিন্তু এরই মধ্যে স্নান করতে নেমে তলিয়ে যান ওই পর্যটক। সবার চোখের সামনেই তিনি ঢেউয়ের তোড়ে অনেক দূরে চলে যান। সঙ্গে সঙ্গে এই দৃশ্য দেখে দৌড়ে আসেন সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা। আসেন নুলিয়ারাও। জলে ঝাঁপ দেন স্থানীয় কয়েকজন যুবকও। তাঁদের প্রচেষ্টায় ওই যুবককে উদ্ধার করে ডাঙায় তোলা সম্ভব হয়। তাঁকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে।
ওই যুবককে বাঁচিয়ে এখন হিরো এলাকারই ছেলে সৈকত। দেখুন, তাঁকে নিয়ে কেমন উচ্ছ্বাস। শুনুুন তাঁর কথা। সকলেই তাঁর মুখ খেকে শুনতে চাইছে উদ্ধারের সেই কাহিনী। জীবন হাতে নিয়ে জলে সে কীভাবে ঝাঁপ দিলেন, সে কথা শুনুন তাঁর মুখ থেকেই।