
স্নেহাশিস চক্রবর্তী, পরিবহণ মন্ত্রী (পশ্চিমবঙ্গ সরকার): শোনা যাচ্ছিলো ২০২৪-কে কেন্দ্র করে অর্থাৎ আসন্ন লোকসভা ভোটের আগে বোধহয় মধ্যবিত্ত থেকে নিম্ন মধ্যবিত্তদের সুবিধা হবে কিন্তু তাঁর দিশা কোথায়? ৭ লক্ষ বাৎসরিক আয় থেকে কর ছাড়ের কথা বলা হচ্ছে অর্থাৎ যার মাসিক রোজগার ৫৮ হাজার টাকা, প্রশ্ন ক'জন এই রোজগারের অন্তর্ভুক্ত। দ্বিতীয়ত এটা তো প্রত্যক্ষ করের বিষয় কিন্তু পরোক্ষ কর তো তাকে দিতেই হচ্ছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম কমছে কি? প্রয়োজন তো ক্রেতার, কেনবার ক্ষমতা পাচ্ছে কি?
অর্থনীতির প্রশ্নে এই ডাইরেক্ট ও ইনডাইরেক্ট করই আমাদের অনেক সময়ে বোকা বানিয়ে দেয়। বাজেট অর্থনীতির প্রথম পাঠ, মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বাড়াতে হবে। যেকোনও শিল্পের ক্ষেত্রে উৎপাদন তখনই সার্থক হবে যখন ক্রেতার কেনার ক্ষমতা থাকবে। আমাদের প্রথম সংকট কিন্তু পেট্রোলিয়ামজাত বিষয়। করোনা আবহ থেকে যেভাবে পেট্রোলিয়াম সামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে, তা ভারতের ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব বলা যেতে পারে। এই মুহূর্তে শতাধিক টাকার বিনিময়ে লিটারপ্রতি পেট্রল পাওয়া যাচ্ছে, তথৈবচ ডিজেল এবং গ্যাস। উৎপাদিত দ্রব্য এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যেতেই দাম হু-হু করে বেড়ে যাচ্ছে পেট্রোলিয়াম সামগ্রীর কারণে। অথচ আজও আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশগুলিতে পেট্রোলিয়াম সামগ্রীর দাম ভারতের তুলনায় কম।
কাজেই মূল্যবৃদ্ধিতে লাগাম দেওয়া যাচ্ছে না। পরিবহণমন্ত্রী হিসাবে এটা আমার মস্ত মাথাব্যথার কারণ। সিগারেটের দাম বাড়লো, পাশাপাশি টিভির বা মোবাইলের দাম কমলো, এই দিয়ে কি পেট ভরবে? নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যবের মূল্যহ্রাস হলো কী? এছাড়া ১০০ দিনের কাজের বিষয় কোনও বার্তা কোথায়? ৩৮ হাজার শিক্ষকের নিয়োগের কথা বলা হচ্ছে, যেখানে ২ কোটি মানুষ কর্মের খোঁজে। কৃষকদের ক্ষেত্রে ছাড়ের বা অর্থলগ্নির কথা বলা হচ্ছে, কিন্তু কোন কোন ক্ষেত্রে পরিষ্কার নেই। আপাত দৃষ্টিতে জমজমাট বাজেট মনে হলেও ধোঁয়াশাই রয়ে গেলো বাজেট। (অনুলিখন: প্রসূন গুপ্ত)
ফের দাম বেড়েছে আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের (Crude Oil)। বিশ্ববাজারে (World Market) শনিবার ব্রেন্ট ক্রুড অয়েল ও ডব্লিউটিআই ক্রুড অয়েলের দাম রেকর্ডবৃদ্ধি নথিভুক্ত হয়েছে। WTI অপরিশোধিত তেলের দাম শনিবার ১.৮৮ শতাংশ বৃদ্ধির সঙ্গে ব্যারেল প্রতি ৭৯.৮৬ ডলারে ট্রেড করছে। অন্যদিকে, অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের আন্তর্জাতিক বাজার আদর্শ ব্রেন্টের দাম ১.৪৯ শতাংশ বৃদ্ধির সঙ্গে ব্যারেল প্রতি ৮৫.২৮ ডলারে লেনদেন করছে। এই বৃদ্ধির পর দেশের কয়েকটি শহরে পেট্রোল ও ডিজেলের (Petrol Diesel) দাম বাড়ানো হয়েছে। জেনে নিন, আজ কোন কোন শহরে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম পরিবর্তন হয়েছে।
চার মহানগরের মধ্যে দিল্লিতে প্রতি লিটার পেট্রোল-ডিজেল যথাক্রমে ৯৬.৭২ টাকা ও ৮৯.৬২ টাকা। কলকাতা প্রতি লিটার পেট্রোল ১০৬.০৩ টাকা, ডিজেল ৯২.৭৬ টাকা। চেন্নাইতে পেট্রোল ১০২.৬৩ টাকা, ডিজেল প্রতি লিটার ৯৪.২৪ টাকা। মুম্বইয়ে প্রতি লিটার পেট্রোলের দাম ১০৬.৩১ টাকা, ডিজেল ৯৪.২৭ টাকা।
এছাড়া অন্যান্য শহরের মধ্যে নয়ডায় প্রতি লিটার পেট্রোল ৯৬.৫৮ টাকা, ডিজেল ৮৯.৭৫ টাকা। গাজিয়াবাদে প্রতি লিটার পেট্রোল ৯৬.৫৮ টাকা, ডিজেল ৮৯.৭৫ টাকা।লখনউতে পেট্রোল ৯৬.৫৭ টাকা, ডিজেল প্রতি লিটার ৮৯.৭৬ টাকা। পাটনায় প্রতি লিটার পেট্রোল ১০৭.২৪ টাকা, ডিজেল ৯৪.০৪ টাকা। পোর্ট ব্লেয়ারে পেট্রোল ৮৪.১০ টাকা, ডিজেল প্রতি লিটার ৭৯.৭৪ টাকা।
নির্মলা সীতারমণের (Nirmala Sitharaman) বাজেট বক্তৃতা (Budget Speech) মোতাবেক অক্টোবরে পেট্রোল-ডিজেলে (Petrol-Diesel) লিটার প্রতি ২ টাকা অতিরিক্ত শুল্ক বসার কথা। কিন্তু উৎসব আবহে সেই সিদ্ধান্ত আপাতত স্থগিত রাখল মোদী সরকার। নভেম্বরে জ্বালানিতে অতিরিক্ত ২ টাকা করে কর বসবে। সম্প্রতি এক গেজেট বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছে অর্থ মন্ত্রক। পেট্রোল-ডিজেলে অতিরিক্ত কর ধার্য হবে আগামী পয়লা নভেম্বর। প্রসঙ্গত, গত বাজেট বক্তৃতায় নির্মলা জানান, ইথানল ও বায়ো-ডিজেলহীন পেট্রোল-ডিজেলে ১ অক্টোবর থেকে ২ টাকা অতিরিক্ত অন্তঃশুল্ক ধার্য হবে।
ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম জ্বালানি আমদানিকারক দেশ। আখের নির্যাস অর্থাৎ ইথানল ১০ শতাংশ হারে পেট্রলে মিশিয়ে দেওয়া হয়। এতে একদিকে আমদানির উপর নির্ভরতা কমে, তেমনই কৃষকদেরও বাড়তি আয়ের পথ খোলে। এদিকে, একটা সময় লাগামছাড়া ভাবে বাড়ছিল জ্বালানির দাম। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং করোনা পরবর্তী প্রভাবে সেঞ্চুরি ছাড়িয়ে গিয়েছে এই দুই পরিবহণ জ্বালানির দাম।
কিন্তু গত কয়েকমাস স্থিতাবস্থা বজায় রেখে একজায়গায় দাঁড়িয়ে পেট্রোল এবং ডিজেলের মূল্য। প্রাকৃতিক গ্যাস এবং জ্বালানি প্রসঙ্গে রাশিয়ার উপর নির্ভরতা কমাতে সম্প্রতি মার্কিন কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।
বিশ্ববাজারে পড়েছে তেলের দাম। এবার পেট্রোল-ডিজেল রফতানিতে কর কমাল কেন্দ্র। লিটার পিছু ৬ টাকা করে তেল রফতানিতে করের পরিমাণ কমাল কেন্দ্রীয় সরকার। একই সঙ্গে তেল উৎপাদনকারী সংস্থা এবং তেল পরিশোধনকারী সংস্থাগুলির উপর থেকেও উইন্ডফল করের বোঝা কমাল ভারত সরকার। তবে এতে আমজনতা সরাসরি লাভবান হবেন না। বুধবার অর্থাৎ ২০ জুলাই থেকেই নতুন নিয়মবিধি কার্যকর হবে।
ডিজেল এবং বিমানের জ্বালানিতে উইন্ডফল কর কমিয়েছে লিটারে ২ টাকা হারে। এর আগে দেশে উৎপাদিত অপরিশোধিত তেলে প্রতি টনে ২৩ হাজার ২৫০ টাকা কর নেওয়া হত। নতুন ঘোষণায় তা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে প্রতি টনে ১৭ হাজার টাকায়।
প্রসঙ্গত, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে খুব সস্তায় অপরিশোধিত রুশ তেল কিনতে শুরু করেছিল ভারতের সরকারি এবং বেসরকারি সংস্থাগুলি। অতিরিক্ত মুনাফার লোভে তেল শোধন করার পরে চড়া দামে তা বিদেশে রফতানি করা হচ্ছিল। ফলে টান পড়ছিল দেশীয় বাজারে। সেই কারণেই অতিরিক্ত কর চাপিয়ে দেশের বাজারে তেলের জোগান বাড়ানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। বুধবার কর কমানোর ঘোষণা করার পরেই লাফিয়ে বেড়েছে তেল সংস্থাগুলির শেয়ার। তবে আরও জানা গিয়েছে, প্রতি পনেরো দিন অন্তর কর ছাড়ের পরিমাণ পুনঃমূল্যায়ন করা হবে। ফলে ভবিষ্যতে আবার রফতানি ক্ষেত্রে কর বাড়ার সম্ভাবনা থাকবে।
হু হু করে বেড়েছে পেট্রোল, ডিজেলের দাম। তবে কিছুদিন আগেই কেন্দ্র এবং রাজ্যের তরফে সেই মূল্য কিছুটা কমানো হয়েছে। বলা চলে, বর্তমানে সেই দাম নাগালের মধ্যে না থাকলেও মানুষকে বর্ধিত মূল্যই দিতে হচ্ছে। এরই মধ্যে আবার কেরোসিন তেল মেশানোর অভিযোগে তোলপাড় নদিয়া জেলা।
নদিয়া জেলার কল্যাণী বুদ্ধ পার্ক সংলগ্ন এলাকায় একটি পেট্রোল পাম্পের ডিজেলে কেরোসিন তেল মেশানোর অভিযোগ ওঠে। ওই পেট্রোল পাম্প থেকে ডিজেল নেওয়া একাধিক ব্যক্তির অভিযোগ, ডিজেলে কেরোসিন তেল মেশানো রয়েছে। আর এই অভিযোগে শুক্রবার রাতে ওই পেট্রল পাম্পে প্রতিবাদ জানান একাধিক গ্রাহক। তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় কল্যাণী থানায়। ঘটনাস্থলে আসে পুলিস। কথা বলা হয় পেট্রোল পাম্পের মালিকের সঙ্গে।
গ্রাহকদের দাবি, কল্যাণীতে এত পেট্রোল পাম্প থাকতেও তাঁরা এই পাম্প থেকেই তেল নেন। কারণ, এই পেট্রোল পাম্পের সুনাম রয়েছে। কিন্তু কয়েকদিন যাবত দেখা যাচ্ছে, এই পেট্রোল পাম্পেরই তেল ভরে বড় গাড়ির সমস্যা দেখা দিচ্ছে। সন্দেহ হলে শুক্রবার বেলায় তেল নিয়ে যাচাই করতেই দেখা যায়, ব্যারেলের ডিজেলে কেরোসিন তেলের গন্ধ। আর এতেই হইচই কাণ্ড বেধে যায়। খবর পেয়ে একের পর এক ক্রেতা ভিড় জমান ওই পাম্পে এবং প্রতিবাদ জানান।
যদিও পেট্রোল পাম্পের মালিক জানান, এই বিষয়টি তাঁর জানা নেই। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কল্যাণী থানার পুলিস। অভিযোগ থাকলেও তা প্রমাণিত হয়নি এখনও।
রাজ্যপালের মন্তব্য অবান্তর, অবাঞ্ছিত। এভাবেই রবিবার জগদীপ ধনকরের সমালোচনায় সরব তৃণমূল কংগ্রেস। দলের সাংসদ সৌগত রায় বলেন, 'উনি ফাইল আটকে রাখছিলেন, কোনও সহযোগিতা করছিলেন না। তাই রাজ্য এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পাশাপাশি স্কুল সার্ভিস নিয়োগের সঙ্গে রাজ্যপালের কোনও সম্পর্ক নেই। তাই রাজ্যপালের এই মন্তব্যের আমি নিন্দা করছি।'
যদিও বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানান, এই মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সামনে অনেকগুলো কাজ ছিল। যার মধ্যে অন্যতম পেট্রোপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ করা। এসব কাজ না করে কে আচার্য হবে, সেই নিয়ে মন্ত্রিসভায় প্রস্তাব আনা হচ্ছে। কিন্তু তার আগে হাজার হাজার বেকার যুবকদের কাজ দিন। নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িতদের জেলে ঢোকান, মন্ত্রিসভা থেকে বরখাস্ত করুন। তাই আমার মনে হয়, রাজ্যপাল ঠিক কথাই বলেছেন।
এদিন বাগডোগরা বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে রাজ্যপাল বলেন, 'রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থা উদ্বেগজনক। আমি গোটা ঘটনায় খুব বিরক্ত। ২৫ জন উপাচার্যকে আইনের বিরুদ্ধে নিয়োগ করা হয়েছে। এঁরা স্বজনপোষণ এবং তোষামোদে যুক্ত। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের এক্সটেনশন আইন বহির্ভূত। কে আচার্য হবে, রাজ্যপালের এক্তিয়ার কাটছাঁট করা সংক্রান্ত কোনও নথি আমার কাছে এলে আমি খতিয়ে দেখব। সম্প্রতি এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি, সব দুর্নীতির চেয়ে বড়। এতে চাকরিপ্রার্থীদের ভবিষ্যৎ নষ্ট হয়েছে। এই ধরনের ঘটনা থেকে নজর ঘোরাতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।'
শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) অর্থনৈতিক অবস্থা একেবারে ভেঙে পড়েছে। এই বিধ্বস্ত শ্রীলঙ্কার পাশে দাঁড়িয়েছে বন্ধু দেশ ভারত (India)। স্বাধীনতার পর শ্রীলঙ্কা এই প্রথম আর্থিক সংকটের (financial crisis) মুখোমুখি। মাত্র একদিনের মতো পেট্রোল মজুত রয়েছে শ্রীলঙ্কায় (Sri Lanka)। কিছুদিন আগে এমনটাই জানিয়েছিলেন সদ্য দায়িত্ব নেওয়া প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংহে (Ranil Wickremesinghe)। রীতিমতো জ্বালানির জন্য হাহাকার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে দ্বীপরাষ্ট্রে। তারই মধ্যে দ্বিতীয়বার জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে। শ্রীলঙ্কাতে ব্যবহৃত অক্টেন ৯২ পেট্রোলের দাম ৪২০ টাকা প্রতি লিটার এবং ডিজেলের দাম ৪০০ টাকা প্রতি লিটার।
উল্লেখ্য, টুইট (Tweet) করে একথা জানিয়েছেন শ্রীলঙ্কার বিদ্যুৎমন্ত্রী (Minister of Power ) কাঞ্চনা উইজেসেকরা। তিনি বলেন, ভোর ৩ টে থেকে তেলের দাম পরিবর্তন হয়ে চলেছে। মন্ত্রিসভার অনুমোদনে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি পরিবহণ এবং অন্যান্য পরিষেবার মূল্যবৃদ্ধিতেও অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। প্রত্যেক ১৫ দিন পর অথবা প্রত্যেক মাসে তেলের দামে বদল হবে বলেও লেখেন তিনি।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে ভারত থেকে ডিজেল (Diesel) রফতানি করা হয়েছে শ্রীলঙ্কায়। ১২টি জাহাজের (Shipments) মাধ্যমে মোট ৪ লক্ষ মেট্রিক টন (400,000 Metric Tones) জ্বালানি তেল পাঠিয়েছে ভারত। জরুরি ভিত্তিতে খাবার, ওষুধ (Medicine), অত্যাবশ্যকীয় পণ্য কেনার জন্য ভারতের থেকে আর্থিক সহায়তাও নিয়েছিল শ্রীলঙ্কা।
এবার প্রথম বুধবার চেন্নাই (Chennai) থেকে ত্রাণসামগ্রী বোঝাই জাহাজ শ্রীলঙ্কায় পাঠালেন তামিলনাড়ুর (Tamilnadu) মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্টালিন। প্রথম ধাপে রয়েছে ৯,০০০ মেট্রিক টন চাল, ২০০ মেট্রিক টন গুঁড়ো দুধ এবং ২৪ মেট্রিক টন জীবনদায়ী ওষুধ। যার মোট ভারতীয়মূল্য ৪৫ কোটি টাকা।
রাজ্যবাসীর জন্য খানিক স্বস্তির খবর। পেট্রোল-ডিজেলের দামে ছাড় দিল রাজ্য। সোমবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে পেট্রোলের উপর থেকে ২.৮০ টাকা ও ডিজেলে ২.০৩ টাকার ছাড় ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জ্বালানি তেলের (fuel oil) দামে কিছুটা স্বস্তি দিতে উদ্যোগী কেন্দ্রীয় সরকার (Central Government)। শনিবারই ছাড় ঘোষণা করা হয় পেট্রোল (Petrol)-ডিজেলের (Diesel) শুল্কে (Excise Duty)। কেন্দ্র সরকারের পর এবার পেট্রোল-ডিজেলের উপরে শুল্ক কম করল রাজ্য সরকার। ফলে আমজনতাকে স্বস্তি দিতে রাজ্যে আরও সস্তা হতে চলেছে পেট্রোল-ডিজেল। এমনই মনে করছেন সাধারণ মানুষ।
পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, অন্য রাজ্যের থেকে বাংলায় ছাড় বেশি। তিনি বলেন, কেরলে পেট্রোলে ২.৪১ টাকা, মহারাষ্ট্রে পেট্রোলে ২.০৮ টাকা, রাজস্থানে ২.৪৮ টাকা ছাড় দেওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি এদিন সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেশকে ‘এজেন্সি রুল’ থেকে বাঁচাতে সিবিআই, ইডি-র মতো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির স্বায়ত্তশাসন চান। তিনি বলেন, এজেন্সিকে নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে দিতে হবে। সিবিআই এবং ইডির মতো সংস্থার কাজে হস্তক্ষেপ না করে শুধুই বেতন দেওয়ার কাজ করুক কেন্দ্র।
ইতিমধ্যে ১১০ টাকা পেরিয়ে গিয়েছে পেট্রোল-ডিজেলের দাম (Petrol-Diesel price hike)। গ্যাসের (Cylinder gas price hike) দাম রেকর্ড গড়ে হাজার টাকা ছাড়িয়েছে। আকাশছোঁয়া নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দামও । এমনকি প্রত্যেকদিনই বাড়ছে রান্নার তেল (Cooking oil), আলু থেকে শুরু করে শাক-সবজির দাম। তার মধ্যে গত আট বছরের রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ দেশের খুচরো মুদ্রাস্ফীতি (Retail inflation increase))। এতে সাধরণ মানুষ আরও শোচনীয় অবস্থার মধ্যে পড়তে চলেছে তাতে কোনও সন্দেহ নেই। বৃহস্পতিবার এপ্রিল মাসের খুচরোর মুদ্রাস্ফীতি সূচক প্রকাশ করা হয়। আর তাতে রীতিমত চক্ষুচড়কগাছ বিশেষজ্ঞদের।
রিপোর্ট বলছে, এপ্রিল মাসে দেশে খুচরোর মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭.৭৯ শতাংশে। এই নিয়ে টানা যেখানে মার্চ মাসেই ৬.৯৫ শতাংশ ছিল খুচরোর মুদ্রাস্ফীতির হার। উল্লেখ্য, গত বছর অর্থাৎ ২০২১ সালে এপ্রিল মাসে এই হার ছিল ৪.২৩ শতাংশ। এক বছরের মধ্যে তা প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি।
অন্যদিকে খাদ্যদ্রব্যের মুদ্রাস্ফীতির (Food inflation ) হারও ক্রমশ বাড়ছে। মার্চ মাসে এই হার ৭.৬৮ শতাংশ ছিল। সেখানে এপ্রিল মাসে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮.৩৮ শতাংশ। প্রকাশিত তথ্য বলছে গত এক বছর আগেও এই সময়ে খাদ্যদ্রব্যের মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল ১.৯৬ শতাংশ।
আরও ভয়ংকর হতে চলেছে পরিস্থিতি। এমনটাই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের (Reserve Bank of India)গভর্নর শক্তিকান্ত দাস। আরবিআইয়ের (RBI) বেঁধে দেওয়া দেওয়া মুদ্রাস্ফীতির ঊর্ধ্বসীমা ছিল ৬ শতাংশ। মুদ্রাস্ফীতি সেই সীমা গত চার মাস ধরেই অতিক্রম করে চলেছে। সম্প্রতি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক রেপো রেট(Repo rate ) বাড়িয়েছে। আর এই অবস্থায় খুচরোর মুদ্রাস্ফীতি বাড়ার কারণে জিনিসের দাম এখনই কমবে না বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
মঙ্গলবার দুটি উৎসব গেল। ইদ এবং অক্ষয় তৃতীয়া। কিন্তু কোনও খবরে তেমন খাওয়াদাওয়ার ছবি পাওয়া গেল না। যাবেটা কী করে, যা দাম! জানাচ্ছেন এক সিনিয়র সিটিজেন। পেট্রোলিয়াম সামগ্রীর দাম আকাশছোঁয়া, নিয়মিতহারে বেড়েই চলেছে। প্রধানমন্ত্রী দুষছেন রাজ্যকে, রাজ্য কেন্দ্রকে। এই ডুয়েলের মধ্যে নাজেহাল আমজনতা।
এটা তো বাস্তব, পেট্রোলিয়াম সামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধি মানেই সমস্ত নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের উপর তার প্রভাব পড়া। এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে কিংবা নিজের রাজ্যে এক জেলা থেকে অন্য জেলায় খাদ্যসামগ্রী ট্রান্সপোর্টের মাধ্যমে সচল থাকে। ফলে গোটা ভারতেই এই মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব পড়তে বাধ্য। আজ আলুর দাম কলকাতা ও নিকটবর্তী অঞ্চলে ৪০ টাকা কেজি, পেঁয়াজ ৩০ টাকা। এই দুটি সবজি নিত্য মানুষের পাতে পড়ে। দামের নমুনা যদি এই হয়ে যায়, তবে মানুষ খাবে কী? প্রতি বছর অদ্ভুত কারণে আলুর দাম আকাশচুম্বী হয়। এরপর নড়েচড়ে বসে সরকার। শেষ পর্যন্ত কোল্ড স্টোরেজ থেকে আলুর আগমন হয়।
শুধু আলু-পেয়াঁজ বলে নয়, প্রতিটি শাকসবজির দাম অসম্ভব রকম বেড়ে গিয়েছে। অন্যদিকে মাছপ্রিয় বাঙালির পাতে আজ মাছ কোথায়? তেলাপিয়া কিংবা নাইলনটিকা জাতীয় সস্তার মাছ যা কিনা অনেক বাঙালির অপছন্দ, তার দামও ২৫০ টাকা কেজি হয়েছে। পাশাপাশি দুধের দাম বেড়েছে। ফলে সেটাও একটা চাপ। কলকাতার বিভিন্ন বাজারে তবু কিছু সস্তার মাছ, তরিতরকারি পাওয়া গেলেও মফসসল বা গ্রামে দাম কিন্তু কম নয়। আজ থেকে ৭-৮ বছর আগে যে কোনও বিয়েবাড়িতে ক্যাটারার দিয়ে ভালো খাওয়াতে গেলে প্লেট প্রতি বড়জোর ৪০০ টাকা খরচ হত। আজ সাদামাটা প্লেটের মূল্য ৭০০ টাকায় গিয়ে পৌঁছেছে, মানুষ খাওয়াবে কী? মিষ্টির দাম দ্বিগুণ, কোথাও তিনগুণ হয়েছে। বাঙালির মিষ্টি খাওয়ার বাসনা গিয়েছে। রসনার স্বাদ, বাসনায় বাঁধা পড়েছে।
আরও দামী পেট্রোল-ডিজেল। নিয়ন্ত্রণহীনভাবে বেড়েই চলেছে জ্বালানি তেলের মূল্য। বুধবারের পর বৃহস্পতিবারও পেট্রোল-ডিজেলের দাম বৃদ্ধি জারি থাকল। এই মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব পড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দামে। বেড়ে যাচ্ছে গাড়িভাড়াও। লাগাতার পেট্রোল-ডিজেলের এমন দাম বাড়ায় কেন্দ্র সরকারের প্রতি ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন আপামর জনগণ।
বৃহস্পতিবার কলকাতায় এক লিটার পেট্রোলের দাম বেড়ে হয়েছে ১১৫.১০ টাকা এবং ডিজেলের দাম ৯৯.৮১ টাকা। অর্থাৎ লিটারে এদিন ডিজেলের দাম বেড়ে প্রায় সেঞ্চুরি ছুঁইছুঁই।
যদিও ভাড়া বাড়াছে না বলে দাবি করছেন এক ট্যাক্সি চালক। তিনি জানিয়েছেন, তেলের দাম বেড়ে চলেছে। এরপর রাস্তায় ট্যাক্সি নিয়ে বেরোনো বন্ধ হয়ে যাবে। এদিকে ভাড়া বাড়াচ্ছেন না মুখ্যমন্ত্রী। ভাড়া বেশি দিতে চাইছেন না যাত্রীরা। এভাবে চললে এই ব্যবসা বন্ধ করে দিতে হবে।
মধ্যবিত্ত থেকে শুরু করে আমজনতার নাভিশ্বাস ওঠার জোগাড়। একলাফে বহুগুণ বেড়ে যাচ্ছে গাড়ি ভাড়াও। সব মিলিয়ে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটের ফলাফল বেরোনোর পর থেকে প্রায় প্রতিদিনই কম-বেশি বাড়ছে জ্বালানির দাম। অন্যদিকে এর প্রতিবাদে ময়দানে নেমেছে কেন্দ্রীয় সরকার বিরোধী দলগুলি। রাজ্যে রাজ্যে চলছে বিক্ষোভ।
ফের বাড়ল পরিবহণ জ্বালানির (Fuel Price) দাম। গত ১৪ দিনে গড়ে প্রায় ৮ টাকা বেড়েছে পেট্রোল-ডিজেলের দাম। রবিবার লিটার প্রতি ৮৪ পয়সা বেড়েছে পেট্রোল এবং ডিজেলের দাম।কলকাতায় পেট্রোলের দাম ১১৩ টাকা ৩ পয়সা আর ৮০ পয়সা বেড়ে ডিজেলের দামও সেঞ্চুরি ছোঁয়ার পথে। রবিবার রাজ্যের পেট্রোল পাম্পে ডিজেলের দাম ৯৭ টাকা ৮২ পয়সা। শুধু শহর কলকাতা নয়, পরিবহণ জ্বালানির (Petrol-Diesel) দাম প্রতি রাজ্যেই ঊর্ধ্বমুখী।
এদিকে, শনিবার বেড়েছিল বাড়ল পেট্রোল-ডিজেলের দাম। প্রতি লিটারে এই দুই পরিবহণ জ্বালানির দাম ৮০ পয়সা বেড়েছে। শনিবার পর্যন্ত গত ১২ দিনে ৭ টাকা ২০ পয়সা বেড়েছে এই দুই পরিবহণ জ্বালানি। দিল্লি এবং চেন্নাই বাদে গোটা দেশেই পেট্রোলের দাম লিটারে ১১০ টাকা ছাড়িয়েছে। ডিজেলে প্রায় ১০০ ছুঁইছুঁই। কলকাতায় লিটার প্রতি পেট্রোলের দাম ১১২.১৯ পয়সা আর ডিজেল ৯৭.০২ পয়সা।
শেষ নভেম্বরে একপ্রস্থ দাম কমানো হয়েছিল এই জ্বালানির। ১০ মার্চের পর থেকে ফের ধাপে ধাপে বাড়ছে পেট্রোল-ডিজেলের দাম। এদিকে, শেষ বৃহস্পতিবার বেড়েছে জ্বালানির দাম। দশ দিনে নয়বার বৃদ্ধি পেয়েছে পেট্রোল-ডিজেলের দাম। লাগাতার পেট্রোল-ডিজেলের দাম বাড়ায় কেন্দ্র সরকারের প্রতি ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন আপামর জনগণ।
বৃহস্পতিবার কলকাতায় লিটার প্রতি ৮০ পয়সা করে বেড়েছে ডিজেলের দাম। আর ৮৩ পয়সা করে বেড়েছে পেট্রোলের দাম। যার জেরে বৃহস্পতিবার কলকাতায় এক লিটার পেট্রোলের দাম বেড়ে হয়েছিল ১১১.৩৫ টাকা এবং ডিজেলের দাম ৯৬.২২ টাকা।
একদিকে পরিবহণ জ্বালানির (Petrol-Disel) দামবৃদ্ধি, অপরদিকে রান্নার গ্যাসের দামবৃদ্ধি। এই আবহেই এবার বাণিজ্যিক এলপিজি (Commercial LPG) গ্যাসের দাম বাড়ল ২৫০ টাকা। সিলিন্ডারপিছু আড়াইশো টাকা দাম বেড়ে কলকাতায় ১৯ কেজি বাণিজ্যিক এলপিজি সিলিন্ডারের দাম বেড়ে হয়েছে ২,৩৫১ টাকা। এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, প্রতি মাস পয়লায় গ্যাস সিলিন্ডারের দাম পর্যালোচনা করে নির্ধারণ করা হয় দাম।
জানা গিয়েছে, মার্চে এক ধাক্কায় ১০৫ টাকা দামবৃদ্ধির পর বাণিজ্যিক এলপিজি সিলিন্ডারের দাম দু’হাজার পেরিয়ে গিয়েছিল। তবে বাড়িতে ব্যবহার করা এলপিজি সিলিন্ডারের দাম আর বাড়েনি। রান্নার গ্যাসের দাম বেড়েছিল দিন কয়েক আগেই। মার্চে শেষবার সিলিন্ডারপ্রতি ৫০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছিল দাম। বর্তমানে গৃহস্থ রান্নায় ব্যবহৃত ১৪.২ কেজির ভর্তুকিহীন সিলিন্ডারের দাম প্রায় ৯৫০ টাকা।
অপরদিকে গত ৯ দিনে ১০ বার বেড়েছে পরিবহণ জ্বালানি অর্থাৎ পেট্রোল-ডিজেলের দাম। যদিও শুক্রবার এখনও পর্যন্ত এই জ্বালানির দামবৃদ্ধির সম্ভাবনা নেই বলেই খবর।
ফের বাড়ল জ্বালানির দাম। দশ দিনে নয়বার বৃদ্ধি পেল পেট্রোল-ডিজেল এর দাম। লাগাতার পেট্রোল-ডিজেলের দাম বাড়ায় কেন্দ্র সরকারের প্রতি ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন আপামর জনগণ।
বৃহস্পতিবার কলকাতায় লিটার প্রতি ৮০ পয়সা করে বেড়েছে ডিজেলের দাম। আর ৮৩ পয়সা করে বেড়েছে পেট্রোলের দাম। যার জেরে আজ,বৃহস্পতিবার কলকাতায় এক লিটার পেট্রোলের দাম বেড়ে হয়েছে ১১১.৩৫ টাকা এবং ডিজেলের দাম ৯৬.২২ টাকা।
ফের বাড়ল জ্বালানির দাম। নয় দিনে আটবার বৃদ্ধি পেল পেট্রোল-ডিজেল এর দাম। লাগাতার পেট্রোল-ডিজেলের দাম বাড়ায় কেন্দ্র সরকারের প্রতি ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন আপামর জনগণ।
বুধবার কলকাতায় লিটার প্রতি ৮০ পয়সা করে বেড়েছে ডিজেলের দাম। আর ৮৪ পয়সা করে বেড়েছে পেট্রোলের দাম। যার জেরে আজ,বুধবার কলকাতায় এক লিটার পেট্রোলের দাম বেড়ে হয়েছে ১১০.৪৬ টাকা এবং ডিজেলের দাম ৯৫.৩৭ টাকা।
শোভাবাজার পেট্রোল পাম্পের এক কর্মী জানান, প্রতিদিন উত্তরোত্তর বেড়েই চলেছে জ্বালানির দাম। এর জেরে মানুষজন খুবই কম আসছেন। ব্যবসায় ক্ষতি হচ্ছে। আগামীদিনে এমন চলতে থাকলে ব্যবসার অবস্থা খুবই খারাপ হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
পেট্রোল ভরতে আসা এক বাইক আরোহী জানান, এভাবে দাম বাড়তে থাকলে তাঁদের পক্ষে অসম্ভব হয়ে উঠছে। তিনি ডেলিভারি বয় হিসেবে কাজ করেন। যে টাকা মুনাফা হয় তা সবটাই বাইকে তেল ভরতে গিয়ে চলে যায়। সরকারের উচিত সাধারণ মানুষের কথা চিন্তাভাবনা করা।
উল্লেখ্য, লাগাতার মূল্যবৃদ্ধি প্রসঙ্গে মঙ্গলবার নির্মলা সীতারমন বলেন, রাশিয়া- ইউক্রেনের যুদ্ধের প্রভাবেই এ দেশে জ্বালানির দাম বাড়ছে। দুই দেশের সংঘর্ষে পরোক্ষভাবে প্রভাব পড়ছে জ্বালানির উপর। এমনকি নাভিশ্বাস উঠেছে দিল্লি এবং মুম্বইবাসীরও। দিল্লিতে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম বেড়ে যথাক্রমে ১০১.০১ এবং ৯২.২৭ টাকা। আর মুম্বইয়ে বেড়ে হয়েছে পেট্রোল ১১৫.৮৮ টাকা এবং ডিজেল ১.০০.১০টকা।