এক ৭০ বছরের বৃদ্ধাকে ধর্ষণের অভিযোগ। অভিযোগ উঠেছে তাঁরই পুরনো বাড়ির মালিকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) ধানবাদে। ঘটনার তদন্তে সুদামহিদ (Sudamdih police) থানার পুলিস (Police)। জানা গিয়েছে, নির্যাতিতা বৃদ্ধা ধানবাদের সুদামদিহ এলাকার বাসিন্দা। তিনি চোখে দেখতে পান না।
নির্যাতিতার ছেলের অভিযোগ, অভিযুক্তর বাড়িতে এক সময় ভাড়া থাকতেন তাঁরা। কয়েক মাস আগেই সেই বাড়ি ছেড়ে সুদামদিহ এলাকায় চলে এসেছেন। সোমবার সুদামহিদ এলাকায় নিজের বাড়িতে একাই ছিলেন ওই মহিলা। সেই সময়ই বাড়িতে ঢুকে পড়েন ৫৫ বছরের ওই অভিযুক্ত ব্যক্তি। বাড়িতে ঢুকে ওই মহিলাকে নির্যাতন করেন, এমনটাই অভিযোগ। এই ঘটনার পরেই বুধবার থানায় ৫৫ বছরের ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতার আত্মীয়রা।
সুদামদিহ থানার অফিসার-ইন-চার্জ প্রদীপ রানা জানান, অভিযোগ করার পর থেকেই ফেরার ওই ব্যক্তি। পুলিস ঘটনার তদন্ত শুরু করছে। নির্যাতিতা এবং তাঁর পরিবারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
ঝাড়খন্ডের ধানবাদের (Dhanbad) ব্যাঙ্ক মোড় এলাকায় একটি অভিজাত বহুতলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড (Fire)। এখনও অবধি পাওয়া খবর অনুযায়ী, আগুনে মৃত্যু (Death) হয়েছে ১৪ জনের। যাদের মধ্যে ৩ শিশু রয়েছে। আগুনে দগ্ধ হয়ে আরও অন্তত ১৮ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মৃতদের দেহ ধানবাদ মেডিক্যাল কলেজে রাখা হয়েছে। বুধবার সকালে দেহগুলির ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। মঙ্গলবার সন্ধের এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে প্রাণহানির জন্য শোকপ্রকাশ করেছেন এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে মৃতদের পরিবারকে দু’লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে। আর আহতদের জন্য ৫০ হাজার টাকা করে মঞ্জুর করা হয়েছে।
এর আগে, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন ধানবাদের ওই অ্যাপার্টমেন্টে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি টুইট করে বলেছেন, " অত্যন্ত হৃদয় বিদারক ঘটনা। দুর্ঘটনায় আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করছে জেলা প্রশাসন। কীভাবে আগুন লাগল তা স্পষ্ট নয়। আমি নিজে উদ্ধারকার্যের উপর নজর রাখছি।’’
এসএসপি ধানবাদ সঞ্জীব কুমার জানিয়েছেন, ঘটনার সময় ওই অ্যাপার্টমেন্টে বিয়ের অনুষ্ঠানে বেশ কয়েকজন জড়ো হয়েছিল। কীভাবে আগুন লাগল তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
মধ্যরাতে ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) এক বেসরকারি নার্সিংহোমে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড (Fire)। আগুনের কারণে মৃত্যু (Death) অন্তত পাঁচ জনের। যাঁদের মধ্যে রয়েছেন দু’জন ডাক্তার। পাশাপাশি একটি পোষ্য কুকুরও পুড়ে মারা গিয়েছে বলে খবর। মর্মান্তিক এই ঘটনা শুক্রবার রাতে ধানবাদ (Dhanbad) ব্যাঙ্ক মোড় এলাকার এক বেসরকারি হাসপাতালের।
জানা গিয়েছে, শনিবার সকাল পর্যন্ত চলেছে উদ্ধারকাজ। বেশ কিছুক্ষণের চেষ্টায় আগুন নেভানো সম্ভব হয়েছে। তবে ততক্ষণে কালো ধোঁয়ায় শ্বাসরোধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে হাসপাতালের মালিক তথা চিকিৎসক বিকাশ হাজরা, তাঁর স্ত্রী চিকিৎসক প্রেমা হাজরা এবং পরিচারিকা তারা দেবীর। এছাড়া মারা গিয়েছেন নার্সিং হোমের মালিকের ভাগ্নে সোহান খামারি। মোট ৫ জনের দেহ উদ্ধার করেছে পুলিস। আর সেই আগুনে দগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় এক পোষ্যেরও। আগুন লাগার ঘটনায় কয়েক জন আহতও হয়েছেন।
পুলিস সূত্রে খবর, শুক্রবার রাতে হঠাৎই ওই হাসপাতালের স্টোর রুমে আগুন লাগে। আর হাসপাতালটি বাড়ির একটি অংশ জুড়ে ছিল। ফলে গোটা বাড়িতেই দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে আগুন। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে যায় ঝাড়খণ্ড পুলিস এবং দমকলবাহিনী। তবে আগুন লাগার সঠিক কারণ এখনও জানা যায়নি। অগ্নিকাণ্ডের কারণ জানতে তদন্ত করছে পুলিস।
রাতের অন্ধকারে রমরমিয়ে চলছে গবাদি পশু পাচারের চক্র (Cow smuggling ) । ধানবাদের (Dhanbad) ঝাড়খণ্ড (Jharkhand) বেঙ্গল বর্ডারে বড় আকারে চলছে এই পাচার চক্রের খেলা। সূত্রের খবর, পশু পাচারকারীরা এখন ঝাড়খণ্ড থেকে বাংলায় দিনের আলোতেও প্রবেশ করছে।
কন্টেইনার-সদৃশ যানবাহনে পশুদের এমনভাবে বোঝাই করা হয় যাতে কারোর সন্দেহ না হয়। এবং দিনের আলোতে বা রাতের অন্ধকারে যানবাহনগুলি খুব সহজেই ঝাড়খণ্ড-বাংলার সীমান্ত অতিক্রম করে। একই ভাবে মঙ্গলবার গবাদি পশু বহনকারী একটি পিক আপ ভ্যান রাতের অন্ধকারে বিহার থেকে ঝাড়খণ্ড বর্ডার পার হয়ে ব্যারিকেট ভেঙে বাংলায় ঢুকে পড়ে।
কিছু দিন আগে সিএন-এর খবরের পর এই বর্ডারে ব্যারিকেট লাগিয়ে দিয়েছিল ধানবাদ প্রশাসন। আর আজ, মঙ্গলবার ওই ব্যারিকেট ভেঙে বাংলায় ঢুকে পড়েছে পাচারকারীর গাড়ি।
যদিও এই বর্ডারে কোনও ঝাড়খণ্ড পুলিস থাকে না বলে জানা গিয়েছে। সীমান্ত থেকে কিছু মিটার দূরে বাংলার পুলিস মোতায়েন রয়েছে নিরাপত্তার স্বার্থে।
ডাকাতি (Robbery) করতে আসা দুষ্কৃতীদের (robber) সঙ্গে পুলিসের (police) সংঘর্ষ। ঘটনাস্থলে পুলিসের গুলিতে মৃত (dead) ১ ডাকাত। গ্রেফতার (injured) করা হয় আরও একজনকে। মঙ্গলবার সকালে আসানসোলের (Asansol) ধানবাদের মট কুড়িয়া রোডে এক বেসরকারি গোল্ড লোনের অফিসে এমনই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ডাকাতি করতে এসে পুলিসের এনকাউন্টারেই মৃত্যু হয় এক ডাকাতের। ঘটনাটি ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। সূত্রের খবর, বেশ কিছুদিন ধরেই ওই এলাকায় ডাকাতির ঘটনা ধারাবাহিকভাবে চলছিল। আতঙ্কিত হয়ে উঠেছিলেন এলাকাবাসীরা। মঙ্গলবার সকালে সেইরকমই এক ডাকাত দল একটি বেসরকারি গোল্ড লোন সংস্থায় ডাকাতি করতে আসে। ঠিক সেই সময় প্ৰস্তুত ছিল ব্যাঙ্ক মোড় থানা ওসি পি কে সিং। স্থানীয় মারফৎ খবর পেয়ে বাহিনী পায়ে হেঁটে এসেই ঘটনাস্থল ঘিরে ধরে। পুলিসের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাত দল পালানোর চেষ্টা করলে, শুরু হয় গুলির লড়াই। তাতেই মৃত এক ডাকাত।
ঘটনাস্থল থেকে বেশ কিছু আগ্নেয়াস্ত্রও উদ্ধার হয় বলে পুলিস সূত্রে খবর।