বলিউডের 'চাঁদনী' অর্থাৎ শ্রীদেবী (Sridevi) এবং বনি কাপুরকে (Boney Kapoor) নিয়ে কম আলোচনা হয়নি দর্শকমহলে। সকলের অন্তরালে লুকিয়ে বিয়ে করেছিলেন তাঁরা। প্রথম কন্যা জাহ্নবী শ্রীদেবীর গর্ভজাত হলে সামাজিক ঘোষণা করেছিলেন তারকারা। সেই থেকেই গুঞ্জন বিয়ের আগেই নাকি অন্তঃসত্ত্বা হয়েছিলেন শ্রীদেবী। এমনকি অভিনেত্রী ও পরিচালক জুটির কন্যা জাহ্নবীকেও এমন কথা বয়ে বেড়াতে হয়। এই গুজবে কতটা সত্যতা রয়েছে? এই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন বনি কাপুর।
আমার দ্বিতীয় বিয়ে, শ্রী-এর সঙ্গে শিরডিতে হয়েছিল। আমরা ২ জুন বিয়ে করেছিলাম। আমরা একে অপরের সঙ্গে শপথ নিয়েছিলাম। সেখানেই রাত কাটিয়েছিলাম। পরবর্তী জানুয়ারিতে ওর অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার বিষয়টি সামনে আসে। তখন আমাদের কাছে আর কোনও উপায় ছিল না সামাজিক বিয়ে করা ছাড়া। আমাদের আসল বিয়ে হয়েছিল শিরডিতে ২ জুন। কিন্তু সাধারণ মানুষের জন্য আমাদের বিয়ে হয়েছিল ১৯৯৭ সালের জানুয়ারি মাসে। তাই জন্যেই অনেকে বলে জাহ্নবীর জন্ম হয়েছিল বিয়ের আগে।'
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি শ্রীদেবীর মৃত্যু নিয়েও সরব হয়েছেন বনি। তিনি বলেছেন, 'শ্রীদেবীর মৃত্যু স্বাভাবিক নয়। দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল শ্রীদেবীর।' পরিচালক এও বলেছেন, শ্রীদেবীর মৃত্যুর পর অনেক কিছু সইতে হয়েছে তাঁকে। স্ত্রীয়ের অস্বাভাবিক মৃত্যুর জন্য প্রায় ২৪ থেকে ৪৮ ঘন্টা জেরা করা হয় তাঁকে। এমনকি লাই ডিটেক্টর টেস্টও করা হয়েছিল তাঁর।
অকালেই প্রয়াত হয়েছিলেন বলিউডের 'চাঁদনী' শ্রীদেবী (Sridevi)। আজও সেই মৃত্যু ভুলতে পারেননি হিন্দি সিনেমার দর্শকেরা। দুবাইতে আত্মীয়ের বিয়েতে অংশ নিতে গিয়েছিলেন শ্রীদেবী। পরিবারের সবাই বিয়ের শেষে মুম্বই ফিরে এলেও শ্রীদেবী সেখানেই থেকে গিয়েছিলেন। অভিনেত্রীর স্বামী বনি কাপুর (Boney Kapoor) ভারতে ফায়ার এসেও আবার দুবাই গিয়েছিলেন স্ত্রীকে পঞ্চম বিবাহবার্ষিকীর সারপ্রাইজ দিতে। কিন্তু ঘটে গিয়েছিল অপ্রত্যাশিত ঘটনা। হোটেল রুমের বাথরুমে মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল শ্রীদেবীকে। ঘটনার সময় সেই হোটেল রুমে একমাত্র বনি কাপুর ছিলেন। ফলে দুবাই পুলিস এবং শ্রীদেবী ভক্তদের নজর গিয়েছিল তাঁর দিকে।
এত বছর স্ত্রীয়ের মৃত্যু নিয়ে কোনও কথা না বললেও এই প্রথম মুখ খুললেন বনি কাপুর। এক সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেছেন, 'মৃত্যু স্বাভাবিক ছিল না; দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল। আমি ঠিক করেছিলাম এই বিষয়ে কথা বলব না। কারণ প্রায় ২৪ থেকে ৪৮ ঘন্টা আমি অনবরত এই বিষয়েই কথা বলে গিয়েছি তদন্ত চলাকালীন জিজ্ঞাসাবাদে। এমনকি অফিসারেরা আমাকে বলেছিল, আমাদের এই প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতেই হবে, কারণ ভারতীয় মিডিয়া চাপ দিচ্ছে।'
বনি কাপুর সাক্ষাৎকারে আরও বলেছেন, 'আমাকে সমস্ত পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে। এমনকি লাই ডিটেক্টর টেস্টও করা হয়েছিল। পরে তদন্তের রিপোর্টে পরিষ্কার লেখা হয় ওই মৃত্যু দুর্ঘটনায় হয়েছে।' শ্রীদেবীর মৃত্যুর জন্য বনি তাঁর জীবনযাপনকে দায়ী করেছিল। অভিনেত্রী নাকি নিজেকে পর্দায় সুন্দর দেখানোর জন্য 'ক্র্যাশ ডায়েট' করতেন। বিয়ের পর থেকেই নাকি শ্রীদেবী বহুবার অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলেন। চিকিৎসক বলেছিলেন, শ্রীদেবীর রক্তচাপ কম। একথা জানা সত্বেও নাকি শ্রীদেবী পর্যাপ্ত পরিমাণে লবণ খেতেন না।'
অকালেই প্রয়াত হয়েছেন বলিউডের 'চাঁদনী' শ্রীদেবী। কিন্তু শ্রীদেবী (Sridevi) প্রসঙ্গ এখনও বর্তমান। তাঁকে নিয়ে চর্চা চলবে লম্বা সময়কাল পর্যন্ত। এই যেমন রাখি পূর্ণিমায় ঘুরে ফিরে আসে শ্রীদেবীর প্রসঙ্গ। প্রায়শই অনেকের মুখে শোনা যায়, প্রথমে দাদা ভেবে কাউকে রাখি বেঁধেছেন, পরবর্তীতে তাঁকেই বিয়ে করেছেন। এই ঘটনার উদাহরণ খোদ শ্রীদেবী এবং বনি কাপুরের (Boney Kapoor) সম্পর্ক।
আসলে বলিউডের এই দুই তারকার সম্পর্ক এক সরলরেখায় আসার আগে তাঁদের মাঝে আরও একজন ছিলেন। তিনি আর কেউ নন মিঠুন চক্রবর্তী। শোনা যায়, সিনেমার সেটে মিঠুনের প্রেমে পড়েছিলেন শ্রীদেবী। তখন অবশ্য অভিনেতা মিঠুন, যোগিতা বালির সঙ্গে বিবাহে রয়েছেন। কিন্তু তাতে কি! প্রেম তো আর এত কিছু মেপে হয় না। দুই তরফেই নাকি হৃদয় আদান প্রদান হয়েছিল। শ্রীদেবী সবকিছু করতে পারতেন মিঠুনের জন্য। এদিকে শ্রীদেবীর জীবনে তখন বনি কাপুর এসেছিলেন পরিচালক হিসেবে। মিঠুন হঠাতই বনির সঙ্গে শ্রীদেবীর সম্পর্ক নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন।
এদিকে নিজেকে প্রমাণ করতে মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন শ্রীদেবী। এমন সময় রাখির দিন বনি কাপুরকে রাখি পরান শ্রীদেবী। কিন্তু কথায় আছে, 'জন্ম-মৃত্যু-বিয়ে তিন বিধাতা নিয়ে'। অচিরেই শ্রীদেবী বুঝতে পারেন, মিঠুন কিছুতেই যোগিতা বালির সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ করবেন না। ধীরে ধীরে শ্রীদেবীর মন গলেছিল বনিতে। লুকিয়ে বিয়ে করেছিলেন দু'জনে। তাঁদের বড় মেয়ে জাহ্নবীর জন্মের পরেই সম্পর্কের কথা ঘোষণা করেন তাঁরা।
বাংলা সিনেমা জগতের পরিচালকেরা ইদানিং পিরিয়ড ড্রামা নিয়ে কাজ করতে চাইছেন। এরকম বেশ কিছু প্রজেক্টের ঘোষণা করেছেন নানা পরিচালকেরা। এই তালিকায় রয়েছে জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত পরিচালক শুভ্রজিৎ মিত্রর ছবি দেবী চৌধুরানী (Devi Chowdhurani)। বেশ কিছুমাস আগেই এই ছবির ঘোষণা করেছিলেন পরিচালক। ছবিতে নাম ভূমিকায় অভিনয় করবেন শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করবেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, সব্যসাচী চক্রবর্তী, অর্জুন চক্রবর্তী সহ অন্যান্য অভিনেতারা।
কিন্তু ঘোষণা হয়ে গেলেও ছবির শ্যুটিং শুরু হয়নি এখনও। তাহলে কী কোনও কারণে পিছিয়ে গেল সিনেমার শ্যুটিং। পরিচালক এক সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন। শ্যুটিংয়ের জন্য জায়গা নির্বাচন করা এখন সবচেয়ে কঠিন কাজ। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখা উপন্যাস 'দেবী চৌধুরানী' অবলম্বনে তৈরী হবে সিনেমার চিত্রনাট্য। কিন্তু তখনকার সময় আর এখনকার সময় এক নয়, তাই লোকেসান খুঁজতেই বেগ পেতে হচ্ছে পরিচালককে।
বর্তমানে পুরুলিয়া, বীরভূম ও ঝাড়খণ্ড ঘুরে ছবির শ্যুটিংয়ের জন্য উপযুক্ত স্থান খুঁজছেন পরিচালক। গভীর জঙ্গলেই ২৫০ বছর আগের আবহ তুলে ধরতে চাইছেন পরিচালক। কিন্তু ঝুঁকিও আছে অনেক। গহীন জঙ্গলের অধিকাংশ জায়গায় কেউটে-গোখরোর বাস। জঙ্গলের মধ্যে দিয়া যাওয়ার রাস্তা নেই। ফলে শ্যুটিংয়ের অত জিনিসপত্র ও টিম নিয়ে যাওয়া সহজ কাজ হবে না। তাই পরিকল্পনা করেই পা ফেলতে চাইছেন পরিচালক।
বিশ্বকাপে ভারতীয় ব্যাটিংয়ে চার নম্বরে কে ? যুবরাজ সিংয়ের পর এই জায়গায় আর কোনও স্পেশালিস্ট নেই। দিন কয়েক আগেই নিজেই এই ইস্যুকে উসকে দিয়েছিলেন ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা। যা নিয়ে বিস্তর আলোচনাও চলছে। রবি শাস্ত্রী থেকে সুনীল গাভাসকর, প্রায় সবাই এই ব্যাপারে নিজের মতামত দিয়েছেন।
এবার ভারতীয় ব্যাটিং অর্ডারে চার নম্বর নিয়ে নিজের মতামত দিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন অধিনায়ক অ্যাব্রাহাম ডেভিলিয়ার্স। নিজের ইউটিউব চ্যানেলে এবিডি জানিয়েছেন, এই ভারতীয় দলে চার নম্বরে ব্যাট করতে পারেন, একজনই। তিনি বিরাট কোহলি। আইপিএলে বেঙ্গালুরুর একদা সতীর্থ উপর বিরাট ভরসাই দেখাচ্ছেন ডেভিলিয়ার্স।
এবিডির মতে, ভারতের পিচে কোহলিকে একটু নিচের দিকে রাখলেও কোনও ক্ষতি হবে না। বরং বিরাট রয়ে গেলে, শেষের দিকে ভারতের রান তুলতে অনেকটাই সুবিধা হবে। গত কয়েকদিন আগেই ভারতের মাটিতে এই বিশ্বকাপ কোহলির হবে বলেই বাজি ধরেছিলেন তিনি। এবার বিরাটকে চার নম্বরে পাঠাতেও অনুরোধ করলেন।
১৩ অগাস্ট ১৯৬৩, অর্থাৎ আজকের দিনেই তামিলনাড়ুতে জন্মেছিলেন শ্রী আম্মা ইয়াঙ্গের আয়াপ্পন। পরবর্তীকালে দুনিয়া যাকে চেনেন শ্রীদেবী (Sridevi) নামে। ছোট থেকেই ক্ষুরধার বুদ্ধি ও সৌন্দর্যের ধারে অসামান্য হয়ে উঠেছিলেন অভিনেত্রী। সিনেমার জন্য তাঁর প্রেমও সেই ছোটবেলা থেকেই। মাত্র ৪ বছর বয়সে সিনেমা জগতে ডেবিউ করেছিলেন। অভিনয় চর্চা করেছেন, একইসঙ্গে একাধিক দক্ষিণ ভারতীয় ভাষা শিখেছিলেন শ্রীদেবী। যা পরবর্তীকালে দক্ষিণ ভারতে তাঁর অভিনয়ের দরজা খুলে দিয়েছিল। তেলেগু-তামিল-মালায়ালম-কন্নড় বলতে পারতেন অনর্গল। পরে সেই তালিকায় যুক্ত হয় হিন্দি ভাষা।
১৯৭৬ সালে কে বালাচন্দরের সিনেমা 'মুন্ড্রু মুদিচ্চু' সিনেমা শ্রীদেবীর কেরিয়ারের টার্নিং পয়েন্ট ছিল। এরপর আর ঘুরে দেখতে হয়নি অভিনেত্রীকে। ৪ দশক ধরে প্রায় ৯০টি সিনেমায় অভিনয় করে ফেলেছেন তিনি। দক্ষিণী ভারতের ভক্তদের পাশাপাশি বলিউডেও তাঁর ভক্ত অগুন্তি। 'চাঁদনী' কে দেখতে সিনেমাহলে ভিড় জমাতেন দর্শক। সিনেমা যেমনই হোক, বক্স অফিসে হিট হয়ে থাকতেন অভিনেত্রী। ২০১৮ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রয়াত হন শ্রীদেবী।
তাঁর ৬০ তম জন্মদিনে তাই বিশেষ শ্রদ্ধার্ঘ গুগলের। সাইট খুললেই দেখা যাচ্ছ শ্রীদেবীর ডুডল। মুম্বইয়ের আর্টিস্ট ভূমিকা মুখার্জি এই বিশেষ আর্টটি তৈরী করেছেন। রঙিন ছবিতে তুলে ধরা হয়েছে শ্রীদেবীর জমানা।
বাংলা সিনেমা জগৎ ইদানিং পিরিয়ড ড্রামার দিকে ঝুঁকছে। পরিচালক শুভ্রজিৎ মিত্র (Subhrajit Mitra) বেশ কিছুদিন আগেই ঘোষণা করেছেন, বঙ্কিমচন্দ্র চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাস অবলম্বনে তৈরী হবে তাঁর পরবর্তী সিনেমা 'দেবী চৌধুরানী' (Devi Chowdhurani)। খবর আরও ছিল, মূল চরিত্রে দেখা যাবে শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় এবং প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে। গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় দেখা যাওয়ার কথা সব্যসাচী চক্রবর্তী, অর্জুন চক্রবর্তী, বিবৃতি চট্টোপাধ্যায় বং দর্শনা বণিককে। তবে খবর শোনা গিয়েছিল অতটুকুই। এরপর সিনেমার প্রগতি নিয়ে অন্ধকারেই ছিলেন দর্শক।
সম্প্রতি পরিচালককে এই নিয়ে প্রশ্ন করে হলে তিনি জানান, 'সিনেমার প্রি প্রোডাকশনের কাজ চলছে এখন। এটি বৃহত্তর মাপের পিরিয়ড ড্রামা তাই যথার্থ পরিকল্পনা এবং রিসার্চ প্রয়োজন। কোনও পরিচিত জায়গায় এই সিনেমার শ্যুটিং হবে না।' পরিচালক আরও বলেছেন, ইতিমধ্যেই দেবী চৌধুরানী সারা ভারতে মুক্তির জন্য প্রস্তব পেয়েছেন তিনি। এই নিয়ে নাকি ভাবনা চিন্তাও করছেন।পরিচালকের মতে, দেবী চৌধুরানী বাংলা সিনেমা জগতের উদাহরণ হতে চলেছে।
বাংলার সম্মান এবার বিশ্ব দরবারে। কান চলচ্চিত্র উৎসবে পোস্টার রিলিজ হতে চলেছে বাংলা সিনেমা দেবী চৌধুরানীর (Devi Chowdhurani)। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় (Prosenjit Chatterjee) নিজের সামাজিক মাধ্যমে একথা জানিয়েছেন। ইনস্টাগ্রাম একাউন্ট থেকে সিনেমার পোস্টারের ভিডিও আপলোড করেছেন 'প্রসেন ষ্টার'। জানা গিয়েছে, কান চলচ্চিত্র উৎসবেও (Cannes Film Festival) এই পোস্টার প্রকাশিত হবে। প্রসঙ্গত আন্তর্জাতিক দরবারে এই প্রথম কোনও সিনেমার পোস্টার মুক্তি পাবে।
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাসের উপর ভিত্তি করে দেবী চৌধুরানী সিনেমার পটভূমি তৈরী হয়েছে। নাম ভূমিকায় দেখা যাবে শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়কে। ভবানীর চরিত্রে অভিনয় করবেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করবেন সব্যসাচী চক্রবর্তী, অর্জুন চক্রবর্তী এবং বিবৃতি চট্টোপাধ্যায়। সিনেমাটি প্যান ইন্ডিয়ায় মুক্তি পেতে চলেছে। বাংলা, হিন্দি, তামিল, ইংরেজি, কন্নড় এবং মালায়ালম ভাষায় মুক্তি পাবে সিনেমাটি।
প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের পোষ্টে উল্লেখ রয়েছে সিনেমা মুক্তির সময়। চলতি বছরে দুর্গাপুজোতেই মুক্তি পেতে পারে সিনেমাটি। প্রসঙ্গত দেবী চৌধুরানী প্রথম ভারতীয় মহিলা স্বাধীনতা সংগ্রামী, যিনি ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন। ১৯৭৪ সালে টলিউডে মুক্তি পেয়েছিল, পরিচালক দীনেন গুপ্তের দেবী চৌধুরানী। মূল চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন সুচিত্রা সেন। বাংলার দর্শকের চোখে এখনও সুচিত্রা সেনের অভিনয় লেগে রয়েছে। এবার বড় পর্দায় শ্রাবন্তী সেই চরিত্র কতটা ফুটিয়ে তুলতে পারেন, সেইটাই দেখার।
এফএ কাপের (FA Cup Final) ফাইনালে পৌঁছনো অভ্যাস করে ফেলেছে রেড ডেভিলসরা। ব্রাইটনকে সাডেন ডেথে হারিয়ে আরও একবার ঐতিহ্যশালী এফএ কাপের ফাইনালে চলে গেল ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড (Manchester United)। এরিক টেন হ্যাগ আর কাপের মাঝে এখন পেপ গুয়ার্দিওলার ম্যান সিটি। ৩ জুন মুখোমুখি হবে দুই দল। অনেকেই ভেবেছিলেন ব্রাইটনকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দেবে মাঞ্চেস্টার। সেই ভাবনা কত বড় ভুল ছিল দেখালো ব্রাইটনের লড়াই। নির্ধারিত ৯০ মিনিট আর অতিরিক্ত সময়ে গোল হয়নি। এরপর টাই ব্রেকার। প্রথম পাঁচটা কিকেই গোল পায় দুটো দল। শেষপর্যন্ত সাডেন ডেথে গিয়ে ফাইনালের টিকিট পেলো টেন হ্যাগের দল। কিক নষ্ট করলেন ব্রাইটনের সোলি মার্চ। পরের শট গোলে পাঠিয়ে মাঞ্চেস্টারকে স্বস্তি দিলেন ভিক্টর লিন্ডেলফ।
এই নিয়ে ২১ বার এফএ কাপের ফাইনালে পৌঁছল ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের একদা দৈত্যর দল। লিগ টেবিলে চতুর্থ স্থানে রয়েছেন কাসিমেরো, মার্কাস রাশফোর্ডরা। তবে লিগ কাপের পর এফএ কাপের ফাইনালের টিকিট মুখে হাসি ফোটাবে ম্যান ইউ ম্যানেজমেন্টের। মেগা তারকা রোনাল্ডো বিদায়ের সময় বহু প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছিল কোচ আর ম্যানেজমেন্টকে। লিগে ব্যর্থ হলেও বাকি ঘরোয়া দুই টুর্নামেন্টে কিছুটা হলেও মুখরক্ষা হয়েছে। মরশুম শেষে মার্কশিট করতে বসলে প্রাপ্তি এটুকুই। আর এফএ কাপ ঘরে তুলতে পারলে তো সোনায় সোহাগা।
নদীর জলের উপর হেঁটে বেড়াচ্ছেন এক মহিলা! আর তা দেখে মহিলাকে ‘দেবী’ ভেবে পুজো জনসাধারণের। এমনই এক ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সমাজমাধ্যমে। ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের জবলপুর জেলায়। মহিলার জলে হেঁটে বেড়ানোর কথা শুনে নদীর তীরে ভিড় জমান স্থনীয়রাও। এমনকি ‘দেবী’ আবির্ভাবের খবর শুনে তদন্ত করতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিসও। তবে ঘটনাস্থলে পুলিস পৌঁছতেই উদঘাটন হয় ‘দেবীরহস্য’। জানা গিয়েছে, ওই মহিলার নাম জ্যোতি রঘুবংশী। তিনি নর্মদাপুরানের বাসিন্দা। কয়েকমাস আগেই তিনি বাড়ি থেকে চলে আসেন।
एमपी में बाबाओं की अपार सफलता के बाद पेश है अब अम्मा द ग्रेट, नर्मदा पर पैदल चलने का वायरल वीडियो#MadhyaPradeshNews #MadhyaPradesh #नर्मदा #Narmada pic.twitter.com/hB6l8PelXC
— Virendra Sharma (@VirendraSharmaG) April 8, 2023
স্থানীয় সূত্রে খবর, সোমবার নর্মদা নদীর তিলওয়ারা ঘাটে ওই মহিলাকে হাঁটতে দেখেন স্থানীয়রা। পরে মহিলাকে ‘মা নর্মদা’র রূপ মনে করে নদীর তীরেই ঢাক-ঢোল বাজিয়ে পুজো করতে শুরু করেন স্থানীয়রা।
পুলিস জানিয়েছে, নর্মদা নদীর জলস্তর কম থাকায় কোথাও কোথাও পায়ের গোছও ঠিক করে ডোবে না। জ্যোতি নর্মদা নদী পরিক্রমা করতে এসেছিলেন। তিনি নদীর এমন একটা জায়গায় দাঁড়িয়েছিলেন যেখানে জলস্তর কম। আর তা দেখেই স্থানীয়রা তাঁকে ‘দেবী’ বলে ভুল করে বসেন। পুলিস আরও জানায়, ইতিমধ্যেই ওই মহিলাকে বাড়ি ফেরানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ভারতের এক এক জায়গায় লুকিয়ে আছে এক এক রকমের অদ্ভুত কাহিনী। এমনই এক জায়গার নাম হল কেরলের (Kerala) কোল্লামের চাভারা (Chavara)। সেখানে এমন এক মন্দির রয়েছে যেখানে পুরুষরা মহিলা সেজে দেবীর পুজো করতে যান। ভারতে এমন অনেক মন্দির আছে, যেখানে মহিলাদের মন্দিরে প্রবেশ নিষেধ। তবে এটা একেবারেই উল্টো। এই মন্দিরের উৎসবে পুরুষরাই মন্দিরে যান মহিলা সেজে। কেরালার এই বিশেষ উৎসবের নাম চামায়ামভিলাক্কু (Chamayamvilakku)। জানা গিয়েছে, প্রত্যেক বছরের মার্চ মাসেই এই উৎসব হয়ে থাকে চাভারায়। মনে করা হয়, এই পুজো করলে সবার মনস্কামনা পূর্ণ হয়।
সূত্রের খবর, প্রত্যেক বছরের মার্চ মাসের ১৯ দিন ধরে এই উৎসব পালন করা হয়ে থাকে। উৎসবের শেষ দু'দিন পুরুষরা মেয়ে সেজে প্রথম দিন রাতে ও দ্বিতীয় দিন ভোরে দেবীর পুজো করেন। কথিত আছে, এতেই নাকি দেবী মা সন্তুষ্ট হন। উৎসবের শেষ দুই দিনে পুরুষরা দাঁড়ি-গোঁফ কেটে নতুন শাড়ি, গয়না, পরচুলা পরে একেবারে নারীর রূপ ধারণ করেন তাঁরা। আবার চুলে তাঁরা ফুলও লাগান। আবার এই উৎসবে ১০ বছরের কম বয়সী ছেলেরাও অংশগ্রহণ করে। তখন আবার এই উৎসবের নাম বদলে হয়ে কাক্কাভিলাক্কু। এটি আবার দিনের সময় পালন করা হয়ে থাকে।
তবে পুরুষদের মহিলা সেজে পুজো করার পিছনের কী তাৎপর্য রয়েছে, তা নিয়ে মানুষের কৌতূহলের শেষ নেই। স্থানীয়রা বিশ্বাস করেন, এখন যে জায়গায় মন্দির রয়েছে, সেই জায়গায় জঙ্গল ছিল। সেখানে কিছু ছেলে সেই জঙ্গলে গরু চড়াতে গিয়েছিল। সেখানেই একটি পাথরকে দেবী ভেবে তার সামনে নারকেল, ফুল দিয়ে মেয়ে সেজে পুজো করত। এরপর একদিন সেই ছেলেগুলির সামনে দেবী এসে দেখা করেছিলে। আর তারপর থেকেই সেখানে মন্দির তৈরি করে পুজো করা হয়।
আরও জানা গিয়েছে, এই উৎসবে যে পুরুষ সেরা মেকআপ করেন তাঁকে পুরস্কৃতও করা হয়। ভারতীয় রেলওয়ের অফিসার অনন্ত রুপানাগুড়ি একজন পুরুষের মহিলা সাজে ছবি ট্যুইটারে শেয়ার করে লিখেছেন, এই পুরুষ সেরা মেকআপ করায় তাঁকে পুরস্কৃত করা হয়েছে।
দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়ার (Manish Sisodia) পাশে দাঁড়িয়ে রবিবারই প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লেখেন একাধিক বিরোধী দলের নেতা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলোর (CBI) 'অতিসক্রিয়তা' নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন তাঁরা। সেই চিঠি পাঠানোর ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই এবার রাবড়ি দেবীর বাসভবনে (Rabri Devi Residence) সিবিআই অভিযান। ঘটনাচক্রে প্রধানমন্ত্রীকে পাঠানো চিঠিতে সই রয়েছে বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদবের (Tejaswi Yadav)।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, জমি বেচে চাকরি, এই অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে। ইতিমধ্যেই পাটনায় রাবড়ী দেবীর বাড়ির সামনে পুলিস মোতায়েন।
২০০৪-২০০৯ সাল পর্যন্ত লালুপ্রসাদ যাদব প্রথম ইউপিএ সরকারের রেলমন্ত্রী ছিলেন। সেই সময় বিহারের বহু যুবককে জমির বিনিময়ে রেলের গ্রুপ ডি পদে নিয়োগ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় অভিযোগের আঙুল ওঠে বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাবড়ী দেবী-সহ দুই কন্যা মিসা এবং হেমার বিরুদ্ধে।
সৌমেন সুর: অন্নপূর্ণাদেবী ছিলেন উস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ-র ছোট মেয়ে। তাঁর আসল নাম রোশনারা আলি। মহারাজা ব্রিজনাথ সিংয়ের রাজসভার প্রধান সঙ্গীতজ্ঞ ছিলেন উস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ। মহারাজা উস্তাদের মেয়ের নাম রাখেন অন্নপূর্ণা। যখন এই কন্যার জন্ম হয়, তখন সারাদেশজুড়ে চলছে দুর্ভিক্ষ। সনাতন ধর্মমতে অন্নপূর্ণাদেবী হলেন অন্নদাত্রী। তাই মহারাজা নাম দেন অন্নপূর্ণা। আলাউদ্দিন রাজার দেওয়া নাম বাদ দেননি। তাই তার নাম রওশন আরা অন্নপূর্ণাদেবী। ছোটবেলা থেকেই অন্নপূর্ণাদেবীর সংগীতের প্রতি আগ্রহ ছিল প্রচণ্ড। এ নিয়ে সংসারে প্রচণ্ড অশান্তিও হয়। সেই সময় রাজদাসী, দেবদাসী, বারাঙ্গনা ছাড়া কোনও সাধারণ নারী সংগীত পরিবেশন করবেন, এ কথা ভাবাই যেত না। অগত্যা আলাউদ্দিন মেয়েকে তালিম দিলেন না।
কিন্তু অন্নপূর্ণা লুকিয়ে লুকিয়ে ভাইয়ের তালিম দেওয়া দেখাতেন আর সেটি রেওয়াজ করতেন। পরে আলাউদ্দিন মেয়ের প্রতিভা দেখে, ওকে তালিম দেওয়া শুরু করলেন প্রথমে ধ্রুপদী কন্ঠসংগীতের তালিম, পরে সেতার শেখেন অন্নপূর্ণাদেবী। উস্তাদ আলাউদ্দিনের কাছে সংগীতের তালিম নিতে আসেন রবিশংকর। এখানে অন্নপূর্ণাদেবীর সঙ্গে রবিশংকরের আলাপ হয়, পরে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়। সেতার বাজনায় অন্নপূর্ণাদেবীর নাম সারা ভারতে ছড়িয়ে পড়ে। উস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ ভালবেসে আনন্দে অন্নপূর্ণাদেবীকে মুর্তিমতী সরস্বতী বলে আখ্যা দেন।
এর চেয়ে বড় পুরস্কার আর কি হতে পারে। ২০১৮ সালের ১৩ অক্টোবর তিনি মারা যান। আমাদের দুর্ভাগ্য, এই অসম্ভব প্রতিভাময়ী শিল্পীর ঠিকমতো মূল্যায়ন আমরা করে উঠতে পারলাম না। অন্নপূর্ণাদেবী ছিলেন প্রচার বিমুখ। পণ্ডিত রবিশংকরের সঙ্গে তাঁর বিবাহবিচ্ছেদ হয় ১৯৬২ সালে। এরপর থেকেই তিনি অন্তরালে নিভৃত জীবনযাপন করেন।
পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় সংগীতানুষ্ঠান করার প্রস্তাব নাকচ করে দেন। তবে বদ্ধ জীবনযাপনে তাঁর সাধনা থেমে থাকেনি। দেশের বহু প্রথম সারির শিল্পী তাঁর শিষ্য ছিলেন। যেমন পণ্ডিত নিখিল ব্যানার্জী, ওস্তাদ বাহাদুর খাঁ, ওস্তাদ আশিস খাঁন, পন্ডিত হরিপ্রসাদ চৌরাসিয়া প্রমুখ।
২৬শে জানুয়ারি ২০২৩ দেশের ৭৪তম প্রজাতন্ত্র দিবসের পাশাপাশি সরস্বতী পুজো (Saraswati Puja 2023)। বাংলার বিদ্যালয়ে সকাল থেকেই বাগদেবীর আরাধনা তুঙ্গে। অনেকে আবার এদিনকে বাঙালির ভ্যালেন্টাইন্স ডে-ও বলে। পড়ুয়া-কচিকাচাদের মধ্যে এই দিন অন্য উন্মাদনা। বৃহস্পতিবার হঠাৎই পুজোর সামগ্রি এবং মিষ্টি নিয়ে যোগমায়া দেবী (Jogmaya Devi College) কলেজে উপস্থিত হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। এদিন অন্য মুডেই পড়ুয়াদের সঙ্গে দেখা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীকে। দেবী সরস্বতী বন্দনায় ব্যস্ত ছিলেন তিনি। 'আকাশ ভরা সূর্য তারা গানে' গলা মেলান পড়ুয়াদের সঙ্গে।
ছাত্র-ছাত্রীদের আগামি, শিক্ষার আলোয় আলোকিত হোক, এদিন সেই প্রার্থনা করেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি এদিন স্ত্রী ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়ের নাচের স্কুলে খোশ মেজাজে ছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। দীক্ষা মঞ্জরীর সরস্বতী পুজো এবছর কুড়ি বছরে পদার্পণ করলো। সকাল থেকেই স্কুলে ছাত্রীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতোন। পুজোর শেষ দিকে সৌরভ অঞ্জলি দিলেন খোশ মেজাজে।
এদিকে, ওস্তাদ রশিদ খান নিজের বাড়িতে সরস্বতী পুজো আয়োজন করেছিলেন। উপস্থিত ছিলেন তাঁর পরিবার। এছাড়াও রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, ফিরহাদ হাকিম; বাণী বন্দনার আয়োজন করেছিলেন। বাংলার ছোট পর্দা এবং চলচ্চিত্রের পরিচিত মুখ চৈতী ঘোষাল এবং ইন্দ্রানী দত্তের বাড়িতেও ধুমধাম করে সরস্বতী পুজোর আয়োজন করা হয়েছিল।
সৌমেন সুরঃ অনেক নদীপথ পার হয়ে অবশেষে বেলায় ভাসতে ভাসতে লখিন্দরকে নিয়ে বেহুলা পৌছলেন বর্ধমানের নারকেলডাঙায়। এখানে তাঁর চোখে পড়ে একটা মন্দির। মন্দিরটি মা মনসার। মায়ের কাছে স্বামীর প্রাণ ভিক্ষা চাইলেন। মন্দিরের মা হলেন দেবী জগৎগৌরী। পুরানে আছে জগৎগৌরীই মা মনসা। দেবী জগৎগৌরি কিভাবে এখানে আবির্ভূত হলেন, সে ব্যাপারে একটা গল্প আছে।
নারকেলডাঙায় বর্ধিষ্ণু জমিদার নন্দী পরিবার। এই পরিবারের একজন ভক্তিময়ী মহিলা স্বপ্নে দেখলেন মা জগৎগৌরীকে। তিনি বলছেন, পুকুরে আমার মূর্তি পড়ে আছে। ওটা তুলে এনে আমাকে প্রতিষ্ঠা কর। নন্দী পরিবারের মেজকর্তা পুকুরে সারাদিন জাল ফেলেন, অবশেষে উদ্ধার করেন মাকে। তারপর ধুমধাম করে পুজো করে নিজের বাড়িতে জগৎগৌরীকে প্রতিষ্ঠা করেন। মা ফের স্বপ্নে দেখা দিয়ে বলেন, 'তোদের পাশেই এক ব্রাহ্মণ পরিবার আছে- সেখানে আমাকে প্রতিষ্ঠা কর।'
দুর্গাদাস বন্দ্যোপাধ্যায় নামে এক সৎ ব্রাহ্মণের বাড়িতে মা চলে আসেন। এরপর মা জগৎগৌরীর মাহাত্ম্য দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়ে। দেবী নারকেলডাঙায় শুধু থাকেন না। আশেপাশের গ্রামে তাঁর অবাধ বিচরণ। বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ এই দুই মাসে আশেপাশে গ্রাম দেখতে মা বেরিয়ে পড়েন। মাকে চতুর্দোলায় চাপিয়ে ঘোরানো হয় বেশ কয়েকটি গ্রাম। (চলবে)