প্রয়াত টলিউড বর্ষীয়ান অভিনেতা পার্থসারথি দেব। শুক্রবার রাতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্য়ুকালে অভিনেতা বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর। গত ৪০ বছর ধরে অভিনয়ের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। ২০০ টিরও বেশি সিনেমায় কাজ করেছেন তিনি। তাঁর এই মৃত্য়ুতে শোকস্তব্ধ গোটা টলিপাড়া।
জানা গিয়েছে, বিগত কয়েকদিন ধরেই শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন অভিনেতা পার্থসারথি দেব। গত ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় দক্ষিণ কলকাতার এমআর বাঙুর হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল অভিনেতাকে। দীর্ঘদিন ধরেই শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। দিনকয়েক আগে শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। সেই সঙ্গে বুকে সংক্রমণ আর নিউমোনিয়াও ধরা পড়ায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। কিন্তু শেষ রক্ষা আর হলো না।
২২ মার্চ অর্থাৎ শুক্রবার রাত ১১ টা ৫০ মিনিটে পরলোকে পাড়ি দেন বর্ষীয় অভিনেতা পার্থসারথি দেব। আর্টিস্টস ফোরামের প্রকাশিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, শনিবার দুপুর ১২ টায় টেকনিশিয়ান্স স্টুডিওতে তাঁকে শেষ শ্রদ্ধাঞ্জলী জানানো হবে।
সম্প্রতি সুপ্রীতি সাহা নামে এক পশুপ্রেমীকে বেধড়ক মারধর করেন প্রতিবেশী এক মহিলা।নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগ, এই নিয়ে দ্বিতীয়বার সুপ্রীতিকে মারধর করা হয়েছে। অভিযুক্ত পাপিয়া নন্দী এবং তার দুই মেয়ে ঐশিকা নন্দী ও ঈশিকা নন্দী ২০২৩-এর অগাস্ট মাসেও তাকে মারধর করে। এমনকি প্রাণে মারার হুমকিও দেয়। ঘটনাটি ঘটেছে হরিদেবপুরের চাঁদার ভিলেজ এলাকায়। কুকুরকে প্রতিদিন খাওয়ানোই তার অপরাধ, ২এমনটাই দাবি নির্যাতিতার।
বিষয়টি হরিদেবপুর থানার পুলিসকে একাধিকবার লিখিত অভিযোগ করেও কোনও লাভ হয়নি। এরপর নির্যাতিতার পরিবার মানবাধিকার কমিশনের মহিলা সেলের দ্বারস্থ হন। মহিলা সেলের প্রতিনিধিদের তরফে দোষীদের শাস্তির দাবিতে থানা ঘেরাও করা হয়। পুলিস এবিষয়ে কোনও পদক্ষেপ না করলে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেন তারা। এত বড় অপরাধের পরেও প্রশাসন নিশ্চুপ কেন, উঠছে প্রশ্ন।
প্রায় ৮ ঘণ্টা পর জিজ্ঞাসাবাদ শেষে দিল্লির ইডি দফতর থেকে বেরোলেন ঘাটালের তৃণমূল সাংসদ দীপক অধিকারী ওরফে দেব। বুধবার সকাল ১১টায় গরু পাচার মামলায় তলব করা হয়েছিল তাঁকে।
হাসিমুখেই রাজধানীর প্রবর্তন ভবন থেকে বেরোতে দেখা যায় দেবকে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, 'আমি হাসতে হাসতে গেছি, হাসতে হাসতে বেরোলাম। আমি একজন আইন মেনে চলা নাগরিক। যতবার ডাকবে ততবার আসবো। যত রকম ভাবে পারব সহযোগিতা করবো।' যদিও কোন মামলায় তিনি এদিন ইডির মুখোমুখি হলেন? সিএন-এর করা এই প্রশ্নের উত্তর তিনি এড়িয়ে গেলেন।
দিল্লিতে ইডির দফতরে ঢোকার আগেও তিনি বলেছিলেন, আমি কোনও চুরি করিনি, তাই ভয় পাইনা। ইডি যতবার তলব করবে ততবার আসব। তবে যদি শ্যুটিংয়ে বড় কিছু কাজ থাকে তাহলেই এই না আসার কথা জানাব। অর্থাৎ ইডির সঙ্গে সহযোগিতার বার্তা দিয়েছেন অভিনেতা দেব।
এর আগে ২০২২-এর ১৫ ফেব্রুয়ারি, গরুপাচার মামলায় দেবকে নিজাম প্যালেসে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। কয়েক মাসের ব্যবধানে ২২ জুন এই মামলাতেই দেবকে দিল্লিতে জিজ্ঞাসাবাদ করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এর প্রায় দেড় বছর পর ফের দেবকে তলব করল তারা।
রাজনীতিতে ফিরতেই ইডির ডাক পেলেন ম।চলতি মাসের ২১ শে ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে ইডির সদর দফতরে হাজির থাকতে বলা হয়েছে অভিনেতা দেবকে। ইডি সূত্রে খবর, গরু পাচার কাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য় তলব করা হয়েছে ঘাটালের সাংসদকে।
বৃহস্পতিবার ইমেল মারফত অভিনেতা দেবকে হাজিরা দেওয়ার নোটিশ পাঠানো হয়েছে বলে সূত্রের খবর। সামনেই লোকসভার নির্বাচন। তার আগেই দেবকে ফের গরু পাচার মামলায় ডেকে পাঠাল ইডি। এর আগে ২০২২ সালে দেবকে গরু পাচারকাণ্ডে দেবকে তলব করেছিল সিবিআই। কলকাতায় সিবিআইয়ের দফতর নিজাম প্যালেসে তাঁকে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সিবিআই। এছাড়াও ২০২৩ সালে দেবের বিরুদ্ধে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছিল। আর সেই অভিযোগ করেছিলেন বিজেপি বিধায়ক তথা অভিনেতা হিরণ। তাঁর অভিযোগ, গরু পাচারকাণ্ডে ধৃত এনামুল হকের কাছ থেকে পাঁচ কোটি টাকা নিয়েছেন ঘাটালের সাংসদ।
প্রসূন গুপ্তঃ রাজনৈতিক জটিলতা কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না তৃণমূল নেতৃত্বের। কখনও ইডি বা সিবিআই, কখনও সন্দেশখালি অথবা দলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবস্থান। এরই উপর অভিনেতা, সাংসদ দেবের রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ার আভাস। সম্প্রতি বাজেট অধিবেশনে দেব লোকসভায় বলেই ফেলেন যে, আগামীতে যেন তাঁর কেন্দ্র ঘাটালের উন্নয়নের দিকে নজর দেয় সরকার। কারণ নাকি তাঁকে আর পাওয়া যাবে না।
এখানে প্রশ্ন ১) ফের বর্তমান সরকারই যে ফেরত আসবেন, তা দেব কি পরোক্ষে জানিয়ে দিলেন? ২) তিনি কি আর রাজনীতিতে থাকতে চাইছেন না? এর পরেই দেব সংবাদ তুষের আগুনের মতো ছড়িয়ে পরে। যদিও বেশ কয়েকদিন ধরেই বেসুরো ছিলেন তিনি। শোনা গিয়েছে, দেবের এই অনাগ্রহের পর নাকি উত্তর-পূর্বের কোনও এক অমিত শাহ ঘনিষ্ঠ মুখ্যমন্ত্রী দেবকে ফোন করেন এবং বিজেপিতে যোগ দিতে অনুরোধ করেন। উত্তরে দেব কি জানিয়েছিলেন তা অবিশ্যি জানা যায় নি।
শোনা গিয়েছিল, আরও দুটি ঘটনা ১) কয়েক মাস আগে দেবের প্রোডাকশনের ছবি প্রজাপতি নন্দনে রিলিজ করতে দেওয়া হয় নি, এতে ভয়ঙ্কর ক্ষুব্ধ ছিলেন তিনি। তারপরেই দলের অতি অপছন্দের কোনও এক প্রচার মাধ্যমে তিনি উপস্থিত থেকে নাকি এমন সব ছবি তুলে প্রকাশ করেন যাতে দল খুশি হতে পারেনি। ২) তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যাওয়া মিঠুন চক্রবর্তীকে নিজের ছবিতে নেওয়া এবং তাঁর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা, দলের একাংশের আপত্তি ছিল। এসব কারণ বাদেও তাঁর কেন্দ্র ঘটালে কোনও এক নেতা নাকি দেবকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন। কাজেই সব মিলিয়ে অভিমানী দেব নাকি আর রাজনীতিতে থাকবেন না শোনা যাচ্ছিলো।
শনিবার দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, দেবের সঙ্গে নিজের অফিস ক্যামাক স্ট্রিটে দীর্ঘ সময় ধরে আলোচনা করেন এবং সেখান থেকে বেরিয়ে দেব চলে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে। সবশেষে মধুরেণ সমাপয়েৎ। দেব ফের প্রার্থী হচ্ছেন ঘটালে।
তবে একটি কথা না বললেই নয়, তৃণমূল দল চলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে এবং তাঁর ছবি বহন করেই দলের এতো শক্তিবৃদ্ধি, তা সত্বেও দেব কে নিয়ে এতো ভাবনার কি আছে? উত্তর বোধহয় জানা থাকলেও কেউ মুখে আনবেন না তৃণমূলের।
সমস্ত জল্পনার অবসান। দলেই থাকছেন দেব। সূত্রের খবর, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে অভিনেতা সাংসদ দেব জানিয়েছেন দল যেখানে দাঁড়াতে বলবে সেখানেই দাঁড়াবেন তিনি।দীর্ঘ ৫o মিনিটের বৈঠকে মিলল সমাধান সূত্র। এমনটাই খবর ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে।
শনিবার বিকেলে ক্যামাক স্ট্রিটে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকের পর সেখান থেকে বেরিয়ে সোজা কালীঘাটে গেলেন দলের তারকা সাংসদ দেব। সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে কথা বলেছেন বলে খবর। বেশ কয়েকমাস যাবৎ ঘাটাল লোকসভার একাধিক নেতার সঙ্গে মনোমালিন্য শুরু হয় সাংসদ দেবের। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর বাড়িতে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা বৈঠকে কড়া ভাষায় জেলা তৃণমূলের একাধিক নেতাকে সতর্ক করেন।
সূত্রের খবর, সেই বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, 'দেব ভালো ছেলে, ওকে কেন বিরক্ত করছেন।' গত ৩ রা ফেব্রুয়ারি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাশাসকের কাছে চিঠি পাঠিয়ে ঘাটাল লোকসভার অন্তর্গত তিনটি প্রতিষ্ঠানের পরিচালন সমিতি থেকে ইস্তফা দেন দীপক অধিকারী ওরফে দেব। জল্পনা শুরু হয় এবার কি তাহলে রাজ্যসভা? লোকসভা অধিবেশনের শেষ দিনে দেবের সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট একাধিক জল্পনা উসকে দেয়। কেউ কেউ বলতে শুরু করেন এবার আর রাজনীতি নয়, একেবারে অভিনেতা দেবকেই দেখা যাবে।
যদিও সূত্রের খবর, ৫০ মিনিটের বৈঠকে দলের বেশ কিছু সমস্যা নিয়ে এদিন আলোচনা করেছেন দেব। সেই আলোচনা চলাকালীন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেব জানিয়েছেন, নির্বাচনে লড়াই করতে রাজি তিনি। বৈঠক শেষে হাসি মুখেই বেরিয়ে যান দেব।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আবারও সঙ্গীত শিল্পী অদিতি মুন্সির স্বামী তথা বিধাননগর পুরসভার কাউন্সিলর দেবরাজ চক্রবর্তীকে তলব করল সিবিআই। পাশাপাশি কলকাতা পুরসভার ১০১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তকেও তলব করল সিবিআই। আজ বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে ওই দুই তৃণমূল নেতাকে সিবিআই দফতর নিজাম প্য়ালেসে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নাম জড়িত থাকায় এর আগেও তৃণমূলের ওই দুই নেতার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই। গতবছর অদিতি মুন্সির স্বামী দেবরাজ চক্রবর্তীর বাড়িতে হানা দিয়েছিলেন সিবিআই-এর আধিকারিকেরা। এমনকি অদিতি মুন্সির গানের স্কুলেও তল্লাশি চালিয়েছিল সিবিআই। তল্লাশি চালিয়ে নিয়োগ সংক্রান্ত কয়েকটি নথিপত্র উদ্ধার করা হয়েছিল। সেই নথির সূত্র ধরেই আবারও সিবিআই তলব করল কাউন্সিলর দেবরাজ চক্রবর্তীকে।
তারপর প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ তৃণমূল কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তর বাড়িতেও তল্লাশি চালায় সিবিআই। সেখান থেকেও কিছু নথি ও কাগজপত্র উদ্ধার করা হয়েছিল। সেগুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছিল সিবিআধিকারিকের তরফে।
রাজ্যে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনা নিয়ে বারবার আঙ্গুল উঠছে রাজ্যের নিরাপত্তা ব্যবস্থার দিকে। সোমবার গভীর রাতে ঘটে যাওয়া এক ঘটনা নিয়ে হরিদেবপুরের বড়দা সরণিতে চাঞ্চল্য ছড়ায়। মঙ্গলবার সকালে রাস্তায় নর্দমার পাশে এক ব্যক্তির মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন এলাকাবাসী।
জানা যায়, মৃত ব্যক্তির নাম ফাল্গুনী দত্ত। তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত ছিলেন। সূত্রের খবর, সোমবার রাতে বিয়ে বাড়ির নিমন্ত্রণে গিয়েছিলেন ফাল্গুনী বাবু। তবে মঙ্গলবার সকালেই তাঁর দেহ উদ্ধার হয় হরিদেবপুরের বড়দা সরণির রাস্তার ধরে নর্দমার পাশ থেকে। স্থানীয় বাসিন্দারা হঠাৎ সকালে উঠেই সেখানে ফাল্গুনী বাবুর মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। এরপরেই ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়।
তবে বছর ৫৬-এর ফাল্গুনী বাবুর এমন আচমকা মৃত্যুর তদন্তভার নিয়েছে হরিদেবপুর থানার পুলিস। দেহ উদ্ধার করে তা পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্যও। তবে, এই মৃত্যু ঘিরে একটা জল্পনা যেমন থেকে যাচ্ছে, তেমনই ওই এলাকার নিরাপত্তা বলয় নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির ঘরের সামনে বিতর্কিত পোস্টার। পোস্টারে লেখা ভিসিকেই কটাক্ষ করে নানারকম কৌতুকমূলক লাইন। লেখা রয়েছে, 'তোরা যে যা বলিস ভাই, আমার চেয়ার খানি চাই।' এমনকি তাতেই কার্টুনের মাধ্যমে এক ব্যক্তির চেয়ার আটকানোর ছবি ছাপিয়ে লেখা, 'আমায় ছেড়ে যাস না প্লিজ, আমায় ছেড়ে যাস না।' পাঁচিলে, দেওয়ালের বিভিন্ন জায়গায় এই ছবি ছাপিয়েছে কেউ বা কারা। আর তা নিয়েই ফের তৈরি হল বিতর্ক।
প্রসঙ্গত, যাদবপুরের ভিসি কে? তা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে রীতিমত অচলাবস্থা চলছেই। গত বছর ডিসেম্বরের ২৮ তারিখেই জুটার তরফে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কাছে একটি চিঠি মারফত জানতে চাওয়া হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কে! এই চিঠির উত্তরে রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু জানিয়েছিলেন, দুটি চিঠি পেয়েছেন তিনি। একটি রাজ্যপালের ও একটি বিকাশ ভবনের। এরপর এখন কে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য তার জন্য আইনি পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে। সুতরাং এখান থেকেই স্পষ্ট হয়েছিল, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কে সে বিষয়ে কিন্তু কোনও স্পষ্ট উত্তর রেজিস্ট্রারের কাছেও নেই। ঘটনাকে 'অভূতপূর্ব' বলেই মন্তব্য করেছিলেন জুটার সেক্রেটারি পার্থপ্রতিম রায়। এবার ভিসির ঘরের সামনে পোস্টার বিতর্কে সেই অচলাবস্থাকেই টেনে আনলেন তিনি।
এদিকে যাকে নিয়ে গত ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। যখন রাজ্যপাল তাঁকে অপসারণ করেন যাদবপুরের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্যের পদ থেকে। সেই বুদ্ধদেব সাউ এবার পোস্টার বিতর্কে সুর চড়ালেন। তিনি বললেন, যাঁরা এই কাজ করেছেন, এতে তাঁদের মনুষ্যত্ব, তাঁদের চরিত্র কেমন তা বোঝা যাচ্ছে।
তবে এর জেরে একমাত্র সমস্যার মুখে পড়তে হবে পড়ুয়াদেরই। উপাচার্য কে তা না জানা গেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বহু কাজও যেতে পারে আটকে। আর এহেন পরিস্থিতির মধ্যেই এবার এই সব পোস্টার রহস্য। কে বা কারা এই পোস্টার লাগিয়েছে, তা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি।
রাজ্যপালের অপসারণ নির্দেশ অগ্রাহ্য করেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে হাজির বুদ্ধদেব সাউ। আচার্যের অনুমতি ছাড়াই হচ্ছিল যাদবপুরে সমাবর্তন। তাই কি সরতে হল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউকে! এই নিয়ে জল্পনা ছিল তুঙ্গে। শনিবার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস অপসারণ করেন বুদ্ধদেব সাউকে। ফলে সমাবর্ত নিয়ে জটের মধ্যেই অপসারিত হলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য। তবে রাজ্যপালের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা জানিয়ে মধ্যরাতে নির্দেশিকা দিল রাজ্য শিক্ষা দফতর। এই নিয়ে এখন জোর চর্চা শুরু হয়েছে রাজ্য–রাজনীতিতে। রবিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে হওয়ার কথা সমাবর্তন। তার আগের সন্ধ্যায় এই কড়া সিদ্ধান্ত নিয়ে আলোড়ন ফেলে দিয়েছেন রাজ্যপাল।
রাজ্য উচ্চ শিক্ষা দফতর নির্দেশিকা দিয়ে জানিয়েছে, এই অপসারণ রাজ্যপাল করতে পারেন না। যেহেতু মামলা সুপ্রিম কোর্টে রয়েছে। এছাড়া যাদবপুরকে একটি চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে এই অপসারণ অবৈধ। এছাড়া ওই চিঠিতে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রাথমিক রায়ও উল্লেখ করা হয়েছে।
রাজভবন থেকে শনিবার উপাচার্যকে জানিয়ে দেওয়া হয়, তাঁকে তাঁর কর্তব্য থেকে অব্যাহতি দেওয়া হল। এর পরেই প্রশ্ন উঠছে, রবিবার কি আদৌ যাদবপুরে হবে সমাবর্তন? সে প্রশ্নের উত্তর ইতিমধ্যেই পেয়ে গেছেন সকলে। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, অপসারণের খবর পেয়েই সমাবর্তন অনুষ্ঠান নিয়ে রাতেই বৈঠকে বসেছেন ইসির সদস্যরা। রাজ্যপালকে আম্রন্ত্রণ জানানো নিয়েও আলোচনা হয় বৈঠকে।
অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউকে অপসারনের খবর প্রকাশ্যে আসতেই তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে টুইট করেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। রাজ্যপালের সিদ্ধান্তকে স্বেচ্ছাচারিতা বলেও মনে করছেন শিক্ষাবিদদের একাংশ।
শ্যুটিং করতে গিয়ে গুরুতর আহত হলেন বলিউড অভিনেতা অজয় দেবগন (Ajay Devgn)। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন অনুরাগীরা। খুব শীঘ্রই প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে চলেছে রোহিত শেট্টি পরিচালিত ছবি 'সিঙ্ঘম এগেইন'। আর এই ছবির জন্য শ্যুটিং করতে গিয়েই দুর্ঘটনার কবলে পড়লেন অভিনেতা।
এক জাতীয় বিনোদন সংস্থার খবর অনুযায়ী, অজয় দেবগন একটি অ্যাকশন দৃশ্যের শ্যুটিং সারছিলেন যখন ভুলবশত তাঁর মুখে এসে আঘাত লাগে। চোখে গুরুতর চোট পান তারকা অভিনেতা। আচমকা ওই দুর্ঘটনা ঘটায় থামিয়ে দিতে হয় শ্যুটিং। সেটেই ডেকে আনা হয় চিকিৎসককে। তবে জানা গিয়েছে, চোট পাওয়া সত্ত্বেও ফের শ্যুটিং শুরু করেন তিনি। প্রাথমিক চিকিৎসার পরে খানিক বিশ্রাম নিয়েই সেটে ফেরেন তিনি। তার পরে ফের পুরোদমে শুরু হয় শ্যুটিং।
রোহিত শেট্টি ও তাঁর টিম আপাতত ব্যস্ত 'সিঙ্ঘম এগেইন' ছবির শ্যুটিংয়ে। অ্যাকশনে ভরপুর এই ছবি। 'সিঙ্ঘম' ফ্র্যাঞ্চাইজির এই ছবির জন্যও অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন তাঁর অনুরাগীরা। জানা যাচ্ছে, সম্ভবত পরবর্তী বছরের স্বাধীনতা দিবসের আবহে বিশালাকারে মুক্তির জন্য তৈরি হচ্ছে এই ছবি।
প্রসূন গুপ্ত: বিশ্বকাপ শেষ হয়ে গিয়েছে বেশ কয়েক ঘন্টা হয়ে গিয়েছে। বিজয়ী অস্ট্রেলিয়া তাদের দেশে চলে গিয়েছে। শোনা গেলো বিজয়ী দলের জন্য সেরকম কিছু হৈচৈ হলো না তাদের দেশে। আসলে ষষ্ঠবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর নতুন করে কি আর আনন্দ করবে? এতো কাপ যেটা একরকম নিয়মই হয়ে গিয়েছে। কাঁটাছেঁড়ার পালাও শেষ। এবারে প্রচার মাধমের কাছে আর এখনই খেলার কিছু নেই যদিও টি ২০ শুরু হচ্ছে ওই অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গেই কিন্তু তাতে বিশ্বজয়ীদের খুব একটা কেউ নিয়ে , ভারতীয়দের তো প্রায় নেইই। কি হবে আর ওই ম্যাচ নিয়ে, ধারণা যেমন দর্শকদের স্বাভাবিক ভাবে মিডিয়ারও। কিন্তু এতো কাণ্ডের পর একটি ঘটনা সোশ্যাল নেটওয়ার্কে সারা জাগিয়েছে , কপিল দেব কিংবা ধোনিকে ফাইনালে মাঠে দেখা গেলো না কেন ?
জানা গেলো ১৯৮৩ বিশ্বকাপের অধিনায়ক তথা ভারতের সর্বকালের সেরা অলরাউন্ডার কপিল দেবকে আমন্ত্রণ জানানো হয় নি। কপিল নিজেই তা সোশ্যাল নেটে জানিয়েছেন। কিন্তু এমন ভুল হলো কেন ? জানা যাচ্ছে যা, কপিলকে ইচ্ছাকৃত ভাবেই নিমন্ত্রণ জানানো হয় নি। কিন্তু এই দুঃসাহস হলো কি করে প্রশ্ন উঠেছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি থেকে। যতটুকু গুঞ্জনে জানা গেলো তা, সম্প্রতি যৌন হেনস্তার প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় সরকারের সাংসদের বিরুদ্ধে যে প্রতিবাদ তুলে অবস্থান করেছিল আমাদের কুস্তির খেলোয়াড়রা, তাঁদের পাশে দাঁড়িয়ে সমর্থন করেছিলেন কপিল দেব কাজেই গোঁসা তো হতেই পারে । অথবা আরও একটি বিষয় তো ছিলই। কপিল বরাবরই কংগ্রেস ঘনিষ্ঠ। ইন্দিরা রাজীব নারসিমার সঙ্গে অতি সুসম্পর্ক ছিল। এতেই কি কোপ পড়লো আমন্ত্রণে ? অবিশ্যি ধোনি এলেন না কেন ? তাঁকেও কি আমন্ত্রণ জানানো হয় নি ? গুঞ্জনে, তিনি নাকি বিজেপির প্রচার করতে চান নি গত ঝাড়খন্ড নির্বাচনে, অন্যটি কপিলকে আমন্ত্রণ জানানো হয় নি বলেই নাকি তিনি আসেন নি। রাজনীতিটি কি ভয়ঙ্কর ভাবেই ছিল বিশ্বকাপে ?
বলিউড তারকারা নয়, এবারে মহাদেব বেটিং অ্যাপ মামলায় নাম জড়িয়ে পড়েছে ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেলের (Bhupesh Baghel)। মহাদেব বেটিং অ্যাপের কর্মকর্তারা ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেলকে ৫০৮ কোটি টাকা দিয়েছেন, এমনটাই দাবি ইডি আধিকারিকদের। এবারে এই মামলায় নাম না করেই ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। 'ভগবান মহাদেবকেও ছাড়লেন না', এমনটাই বলতে শোনা গেল প্রধানমন্ত্রীকে।
শুক্রবার ভোটমুখী ছত্তিশগড়ে নির্বাচনী সমাবেশে ভাষণ দিতে কংগ্রেসকে আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, 'ওরা ভগবান মহাদেবের নামও ছাড়ল না।' মোদীর সংযোজন, 'নিজেদের কোষাগার পরিপূর্ণ করতে ছত্তিশগড়ের মানুষের থেকে টাকা লুটেছে কংগ্রেস সরকার। আমরা সবাই জানি কীভাবে সেই টাকা শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে পৌঁছচ্ছে।'
আবার প্রধানমন্ত্রী মোদীর সমাবেশের আগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি একটি সাংবাদিক সম্মেলন করেন। সেখানে তিনি ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেলকে ৫০৮ কোটি টাকার কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী বাঘেলকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করে বলেন, 'বেটিং অ্যাপের টাকাগুলি নির্বাচনী প্রচারে ব্য়বহার করা হচ্ছে। কংগ্রেস হাওয়ালা অপারেটরদের সাহায্য নিয়ে ছত্তিশগড়ে নির্বাচন লড়ছে। আমাদের নির্বাচনী ইতিহাসে কখনও কেউ এমন দেখেননি। ক্ষমতায় বসে সাট্টা খেলা হচ্ছে।'
নিজের বাড়িতেই এক তরুণীকে খুন করার অভিযোগ উঠল তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে। এরপর ওই যুবকও বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। ঘটনাটি ঘটেছে হরিদেবপুরের সোদপুর রামকৃষ্ণপল্লিতে। অভিযুক্তের অবস্থা আশঙ্কাজনক। রবিবার রাত সওয়া ১০টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে।
জানা গিয়েছে মৃত তরুণীর নাম কৃষ্ণা দে। এক বছর আগে তাঁর সঙ্গে বিয়ে হয় শুভেন্দু দাস নামে এক যুবকের। পেশায় তিনি অটোচালক। বিয়ের পর থেকেই একাধিক বিষয়ে দুজনের মধ্যে সমস্যা হচ্ছিল। পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, সেকারণেই কৃষ্ণাকে খুন করেছে শুভেন্দু। তাঁকে বেশ কয়েকবার কোপানো হয়েছে। গলাতেও আঘাত করা হয়।
দুজনের মধ্যে রেজিস্ট্রি ম্যারেজ হলেও কৃষ্ণার বাড়ির তরফে এই বিয়ে মেনে নেয়নি। বিচ্ছেদের মামলাও চলছিল বলে জানা গিয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে হরিদেবপুর থানার পুলিশ।
অবশেষে অপেক্ষার অবসান। আর কিছুক্ষণ পরেই শুরু হবে বহু প্রতীক্ষিত ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ (INDvsPAK World Cup 2023)। শনিবার দুপুর ২ টো থেকেই শুরু হবে মহারণ। ভারত-পাকের বহু প্রতীক্ষিত ম্যাচকেই দেখার জন্য মুখিয়ে থাকেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। বাঙালিদের জন্য এই দিনটি আরও বিশেষ। একে আজ মহালয়া, তার মধ্যে ভারত-পাক বিশ্বকাপ ম্যাচ। এককথায় জমজমাট শনিবার। আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে এই ম্যাচটি হবে। তবে এই মহারণ শুরু হওয়ার আগেই রয়েছে এক বড় চমক। মহাযুদ্ধ শুরু হওয়ার আগেই প্রি-ম্যাচ অনুষ্ঠানে পারফর্ম করতে চলেছেন সংগীতশিল্পী অরিজিৎ সিং, শঙ্কর মহাদেবন ও সুখবিন্দর সিং। ইতিমধ্যেই আহমেদাবাদে এসে পৌঁছেছেন অরিজিত। তাঁকে বলতে শোনাও গিয়েছে, তাঁর খিদে পেয়েছে। কিন্তু কোন গান গাইবেন তিনি, তা নিয়ে তিনি কিছু জানাননি সংবাদমাধ্যমে।
বিসিসিআই-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, শনিবার বেলা সাড়ে ১২টায় অরিজিৎ সিংয়ের পারফরম্যান্স শুরু হবে। তবে অনুষ্ঠান শুরু হতে কিছুটা বিলম্ব হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। শুধুমাত্র অরিজিৎ সিং নয়, এই অনুষ্ঠানে গান গাইবেন সুখবিন্দর সিং এবং শঙ্কর মহাদেবনও। ফলে আর কিছুক্ষণের মধ্যেই শুরু হবে অরিজিত, সুখবিন্দর ও শঙ্করের পারফরম্যান্স। ইতিমধ্যেই নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে উপচে পড়েছে ভিড়। উৎসবের মরশুমের মাঝেই ভারত-পাক ম্যাচ নিয়ে মাতোয়ারা ক্রিকেটপ্রেমীরা। আবার তার আগেই অরিজিত-শঙ্করের পারফরম্যান্সের জন্যও উন্মাদনা তুঙ্গে। ভারত-পাক বিশ্বকাপের প্রি-ম্যাচ অনুষ্ঠান লাইভ দেখতে পাবেন স্টার স্পোর্টস নেটওয়ার্কে। আবার ডিজনি হটস্টারেও লাইভ সম্প্রচার করা হবে ম্যাচটি।