প্রসূন গুপ্তঃ সুখের দিনের বন্ধু এবং দুঃখে পলায়নের কথা তো চিরকালীন। রাজনীতিতে এর যোগ সবচাইতে বেশি। ৭৭-এ বামেরা মোটেই পূর্বতন কংগ্রেসীদের তাদের দলে নিয়ে নেয়নি, কারণ এটা তাদের ট্র্যাডিশন নয়। কিন্তু ২০১১-তে তৃণমূল আসার আগে থেকেই বাম দলগুলি থেকে গুন্ডা, বদমাস অথবা সমাজবিরোধীরা চেষ্টা করলো নতুন দলে আসার জন্য। শুধু তারাই নয়, নেতাদেরও জার্সি বদল শুরু হলো। ওই সময়ে তৃণমূলে প্রবল ক্ষমতা সম্পন্ন ছিলেন মুকুল রায়। তিনি বাঁধন ছাড়া এই দলকে আশ্রয় দিয়েছিলেন দলে। প্রতিবাদ এসেছিলো ভীষণভাবে, কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয় নি। তাঁর এই প্রয়াসকে পাথেয় করে কমতি যাননি অন্য নেতারাও। যথা আপাতত জেলে থাকা বালু মল্লিক।
আজকে মমতা বন্দ্যেপাধ্যায় বুঝতে পারছেন কি সর্বনাশটি সংগঠিত হয়েছে। হাতে গরম প্রমাণ সন্দেশখালি। এরা সব সুখের পায়রা। এদেরই এক দল তৃণমূলে পাত্তা না পেয়ে বিজেপিতে চলে গিয়েছিলো। বলতে গেলে বিজেপির কর্মী সমর্থকদের বেশিরভাগটাই প্রাক্তন সিপিএম। বাম থেকে রাম। এছাড়াও এমন বহু যুবক বা মধ্যবয়সী ২০১১-র পরে তৃণমূলে এসেছে। এরা জানেই না বা জানতে ইচ্ছুক নয় যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি প্রচন্ড লড়াই লড়েছিলেন সিপিএমের বিরুদ্ধে। অনেকেই নিজেদের আখের গোছাতে দল করছে। অবিশ্যি তৃণমূলের প্রবল শক্তির মধ্যে একটি দুর্বল স্থান সোশ্যাল নেটে তাদের ভূমিকা। যেখানে বিজেপি তুমুল শক্তিশালী বা শূন্যে থাকা সিপিএমও। দেখা গিয়েছে কয়েক মাস আগে তৃণমূল একটি আইটি সেল খুলেছে। চেষ্টা করছে তারা প্রচার করতে দলের, কিন্তু সুখের পায়রা এখানেও ঢুকে পড়েছে। তারা কমিটিতে না থাকলেও দাবি করছে তারা নাকি প্রচুর প্রচার করছে দলের হয়ে। আসলে কিছুই নয়। ওই জানান দিতে যে 'আমি দিদির লোক'।
গতকাল দলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় হঠাৎ জানালেন যে, আগামী ১০ মার্চ সকল ১১ টাতে ব্রিগেডে মহা সমাবেশ। এদিকে ওই দিন সন্ধ্যায় মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গলের ম্যাচ। কাজেই একদল ওই যুবকরা বেজায় ক্ষুব্ধ। তারা পোস্ট করে দলেরই সমালোচনা করছে। এই নব্য তৃণমূলীদের কতটা ভরসা করা যায় তা নিশ্চিত ভাবনার।
শনিবার ইন্ডিয়া-পাক ম্যাচের পর, রবিবার তিলোত্তমায় মহারণ। ময়দানে ডুরান্ড ফাইনালে কলকাতা ডার্বির ম্যাচ। বৃহস্পতিবার মোহনবাগান ফাইনালে উঠতেই টিকিট কাটার হিড়িক শুরু হয়ে যায়। ক্লাবের সামনে টিকিট কাটার জন্য ভিড় জমতে থাকে। রোদ ,বৃষ্টি মাথায় নিয়ে লাইনে ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়েও টিকিট না পাওয়ার অভিযোগ উঠছিল।
ডুরান্ডে অনলাইনে টিকিট কাটা যায় না , তাই ভরসা অফলাইন। এদিকে দুই ক্লাবই টিকিট ‘সোল্ড আউট’ এর নোটিস ঝুলিয়ে দিয়েছে। এর জেরে ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ ও দেখান ইস্ট-বাগান সমর্থকেরা। আজ সকাল ১০টা থেকে দুপুর ৩টে পর্যন্ত বিক্রি হবে কিছু টিকিট। ফার্স্ট কম ফার্স্ট সার্ভ ভিত্তিতে টিকিট বিক্রি হবে। আজও চিত্রটা একই হয় কিনা সেটাই দেখার।
এদিকে, ১৯ বছর পর ডুরান্ড কাপের ডার্বিতে মুখোমুখি ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান। পারদ চড়ছে। খৈয়ের মতো উড়ে গিয়েছে টিকিট ক্লাবের দাবি এমনটাই। কিন্তু সমর্থকেরা তা মানতে নারাজ। আজ বিকেল ৩ টা পর্যন্ত কিছু টিকিট পাওয়া যাবে।
প্রসূন গুপ্ত: মাঝে মাঝে জমজমাট খবর উধাও হয়ে যায় আবার এমন ভাবে কখনও ফিরে আসে যার দিশা পাওয়া মুশকিল হয়ে যায়। এখন বার্তা হলো, দুটি বড় প্রেস্টিজ গেম রয়েছে, ধূপগুড়ি এবং রবিবারের সন্ধ্যায় ইস্টবেঙ্গল মোহনবাগানের ডুরান্ড কাপ ফাইনাল। যদিও দুটিকেই খেলা বলা উচিত নয়, বিশেষ করে ধূপগুড়ি উপনির্বাচন। তবে বলতেই হয় ১৯৬৬ অবধি পশ্চিমবঙ্গের যে কোনও ভোট ছিল খুবই স্পোর্টিং অর্থাৎ ভোটে হারজিত তো থাকেই কিন্তু তা বলে ভোট কেন্দ্রে লড়াই গন্ডগোল বা জিতে দেখে নেওয়ার আক্রোশ কোনও দলের ছিল না। বরং দেখা যেত ভোটের দিন সকাল থেকে যে যার টেন্টে গিয়ে বসতো এবং যারা বুথ এজেন্ট তারা বুথে ঢুকে পাশাপাশি বসে এক প্রকার গল্পগুজব করতো। সময়ে চা আসলে বা খাবার আসলে একেবারে ভাগাভাগি করে খেত। পরে ভোটের ফল বেরোলে জয়ী প্রার্থী পরাজিতের বাড়িতে গিয়ে চা খেয়ে আসত। সেসব দিন স্বপ্নের। অন্যদিকে ৬০, ৭০ বা ৮০র দশকের দর্শক মানেই ভয়ঙ্কর উগ্র বিশেষ করে ইস্টবেঙ্গলের। খেলা শুরু থেকেই উত্তেজনা এবং খেলা শেষে 'বাড়ি যাবো কি করে' পরিস্থিতি দাঁড়াতো। ব্যাপারটা যেন দুই দেশের যুদ্ধ।
আজ সেই দিন গিয়েছে। আজকের ভোট মানেই জিততেই হবে। প্রচার ইত্যাদির উপর ভরসা না রেখে যে ভাবেই হোক প্রার্থীকে জেতাও। আর ভাগাভাগি করে খাওয়া দাওয়া তো কবেই বিদায় নিয়েছে। দুপুরে কোনও বুথে ঢুকলে দেখা যায় যে কোনও একটি দলের এজেন্ট লাঞ্চ সারছে অন্য জনের দেখাই নেই। এই সংস্কৃতি জোরদার হয় বাম আমলে। আজকে তার কপি বিদ্যমান। পক্ষান্তরে ইস্টমোহনের সেই উগ্র দর্শক আজ আর নেই। তবে এটা ঠিক যে আজকের দিনেও ট্রাক বা বাস ভাড়া করে দলীয় পতাকা লাগিয়ে মাঠে আসে দর্শকরা। খেলা চলাকালীন হৈচৈও রয়েছে কিন্তু খেলা শেষে দেখা যায় যে যার মতো বাড়ি চলে যাচ্ছে এবং এলাকায় এলাকায় ইলিশ চিংড়ির দেখাও পাওয়া যায় না। কর্পোরেট যুগ, টিভি বা ইন্টারনেট খুললেই বিদেশী খেলা দেখা যায়, কাজেই সময় কোথায় ?
ফের ডার্বির রং সবুজ-মেরুন (ATK Mohun Bagan)। আইএসএল ডার্বিতে শনিবার এটিকে মোহনবাগান জয় পেল ২-০ গোলে। বাগান শিবিরের দুই গোলদাতা স্লাভকো দামজানোভিচ ও দিমিত্রি পেত্রাতোস। লাল-হলুদকে (East Bengal) পরাজিত করে সুপার লীগের প্লে অফে পৌঁছে গেল জুয়ান ফেরান্দর দল।
আগামী ৪ঠা মার্চ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ওড়িশার মুখোমুখি হবে টিম এটিকে মোহনবাগান। এদিন শুরু থেকেই ছন্নছাড়া দেখাচ্ছিল দুই দলকেই। মিস পাস, মাঝ মাঠের ভঙ্গুর অবস্থা দেখা গিয়েছে। যদিও লাল হলুদের তুলনায় ধারে ও ভারে এগিয়ে ছিল মোহনবাগান। দ্বিতীয়ার্ধে খেলায় ফেরে মোহনবাগান। প্রথম গোলটি আসে ৬৮ মিনিটে। গ্যালারিতে তখন আপামর মোহন সমর্থকদের উচ্ছাস। যদিও আর পাঁচটা ডার্বির মতো উত্তাপ ছিল না শনিবার। টিকিটের জন্য হা হুতাশ সেভাবে চোখে পড়েনি।
উল্লেখ্য, টানা ৮ ডার্বিতে জয় পেল বাগান শিবির। এই পরাজয়ে খানিক প্রশ্নের মুখে পড়ে গেলো ইস্টবেঙ্গল কোচ স্টিভন কনস্টান্টাইনের ভবিষ্যৎ। ১৯ পয়েন্ট নিয়ে লীগ তালিকায় ১০ নম্বরে শেষ করল ইস্টবেঙ্গল।
পরপর ছ'বার বড় ম্যাচ মোহনবাগানের কাছে হারের মুখ দেখল ইস্টবেঙ্গল। যদিও রবিবারের ডুরান্ড কাপ ডার্বিতে গোটা নব্বই মিনিট ভালো খেলেছে ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু প্রথমার্ধের এক্সট্রা টাইমে ইস্টবেঙ্গলের সুমিত পাসির আত্মঘাতী গোলই বিপদ বাড়ায় লাল-হলুদ ব্রিগেডের। এদিন ৯০ মিনিট শেষে মোহনবাগানের পক্ষে ফল ১-০।
এই যুবভারতীতেই বছর তিনেক আগে শেষ ডার্বিতেও হারতে হয়েছিল লাল-হলুদ শিবিরকে। সেই ডার্বির পর গঙ্গা দিয়ে অনেক জল বইয়েছে। আইএসএল-এ মুখোমুখি হয়েছে এই দুই চির প্রতিদ্বন্দ্বী। কিন্তু ফল গিয়েছে মোহনবাগানের পক্ষেই। তবে এদিন ইস্টবেঙ্গলের খেলা দেখে কিছুটা হারের জ্বালা জুড়িয়েছে সমর্থকদের। অন্তত বল পজেশন থেকে গোল শটে মোহনবাগানের থেকে অনেকটাই এগিয়ে ছিল ইস্টবেঙ্গল। একাধিবার মোহনবাগানের গোলের কাছে ইস্টবেঙ্গলের আক্রমণ চলে গেলেও তিন কাঠি পার করতে পারেননি ইভান গঞ্জালেজরা।
রবিবার ইমামি ইস্টবেঙ্গলের অভিজ্ঞ কোচ স্টিভন কনস্ট্যান্টাইন দল গঠনে চমক দিয়েছিলেন। প্রথমার্ধে কারালাম্বোস কিরিয়াকু, ইভান গঞ্জালেজ, আলেক্স লিমা এবং এলিয়ান্দ্রো, এই চার বিদেশিকে দলে রেখেছিলেন তিনি। অপরদিকে, এটিকে মোহনবাগানের চার বিদেশি ছিলেন এফ পোগবা, জনি কাউকো, কার্ল ম্যাকহিউ এবং হুগো বুমোস। যদিও প্রথমার্ধে কিছু সময় ম্যাচে দাপট ছিল মোহনবাগানের। শুরু থেকেই আক্রমণের রাস্তায় হাঁটলেও ভাঙতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্স। ফুটবল সমালোচকরা বলছেন, এই অতিরিক্ত রক্ষণই কাল হয়েছে লাল-হলুদ শিবিরের। প্রথম ৪৫ মিনিট প্রত্যাশা জাগিয়েও অউন গোলে পিছিয়ে থেকেই খেলা শেষ করে লাল-হলুদ।
প্রসূন গুপ্ত: রবির সকালটা দিয়ে বোঝাই যাচ্ছে না দিনটি কেমন যাবে। একবার ঝিরঝিরে বৃষ্টি আবার ফের রোদ, ফলে দিনটি কেমন যাবে বোঝা দায়। রবিবার কিন্তু দমবন্ধ হওয়া খেলার দিন। একদিকে মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল। অন্যদিকে দুবাইতে এশিয়া কাপে ভারত পাকিস্তান মুখোমুখি। দু'দিকেই চিরশত্রুরা আজ ময়দানে, তাদের চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত। যদিও ডার্বি মানে বাঙালির আলাদা আবেগ আর ইন্ডিয়া-পাকিস্তান ম্যাচ মানে জাতীয়তাবাদ আবেগ।
এদিকে আজ, ২৮ অগাস্ট ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস। তৃণমূল এবং কংগ্রেস দু'দলই দিনটি পালন করে। তবে একসময়ে যেহেতু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাত্র পরিষদের সম্পাদক ছিলেন তাই নতুন দল গড়ার পরেও এই দিনটি তাঁর দলও পালন করে। কংগ্রেস অফিসে আজ ছাত্র পরিষদের পতাকা উত্তোলন হয়েছে, এক সময়ে মহাজাতি সদনে কংগ্রেস পালন করতো দিনটি। অন্যদিকে মমতা করতেন মেয়ো রোডে।
আজ রবিবার, ফলে আগামীকাল তৃণমূল পালন করবে ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস। শহরে বিভিন্ন প্রান্তে দলীয় পতাকা দেখা যাচ্ছে তাদের। কিন্তু এসব ছাপিয়ে গিয়েছে লালহলুদ আর সবুজ মেরুন পতাকা। ধ্বজা উড়ছে শহর কলকাতা থেকে মফস্সল হয়ে গ্রামেও। আবার জাতীয় পতাকাও পতপত করে উড়ছে সারা রাজ্যে। জিততেই হবে চ্যালেঞ্জ রয়েছে দু'দিকেই।
যুবভারতীতে বহুদিন বাদে ডার্বি। শেষ ডার্বিতে আই লিগের প্রথম ম্যাচে মোহনবাগান জিতেছিল ২-১ গোলে করোনার কারণে দ্বিতীয় লিগ হয়নি। এ ছাড়াও আইএসএলে মোহনবাগান পর্যদস্তু করেছে ইস্টবেঙ্গলকে। এরফলে লালহলুদের তাগিদ থাকবে জেতার। কিন্তু সব দিক বিচার করে কিছুটা এগিয়ে ফের এটিকে মোহনবাগানই। ইমামির সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধলেও দল গুছিয়ে উঠতে পারেনি লাল-হলুদ। এবার লড়াই ঐতিহ্যবাহী ডুরান্ড কাপে। লিগ পর্যায়ের খেলতে দু'দলই খুব খারাপ খেলেছে সুতরাং আজকের ম্যাচে যেই জিতুক না কেন সামনের হার্ডলে অনেক কঠিন খেলা।
অন্যদিকে দুবাইতে এশিয়া কাপের ম্যাচে ভারত জিততে মরিয়া। দলনায়ক রোহিত শর্মার হাতে অস্ত্র অনেক আবার চিন্তা ফর্মহীন বিরাটকে নিয়েও। অন্যদিকে এই মুহূর্তে পাকিস্তানের বাবর আজম বিশ্বের অন্যতম সেরা, দলটাও চনমন করছে ফলে সেরাটাই দিতে হবে ভারতকে।
প্রসূন গুপ্ত: আগামিকাল অর্থাৎ রবিবার বাজারে যে আর পার্থ অনুব্রত থাকছে না, তা হলফ করে এখনই বলে দেওয়া যায়। অনেকদিন বাদে কলকাতা বিশেষ করে যুবভারতীতে ফের ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান মুখোমুখি হচ্ছে। তবে এই দল এখন শুধু নিজেদের নাম নিয়েই চলছে না। গায়ে লেগেছে কর্পোরেট তকমা। একটি ইমামি ইস্টবেঙ্গল, অন্যটি এটিকে মোহনবাগান। এই নাম নিয়েও বিস্তর বিতর্ক। মুখ্যমন্ত্রীর তত্ত্বাবধানে আপাতত ইস্টবেঙ্গল বাণিজ্যিক সাপোর্ট রয়েছে। অন্যদিকে দীর্ঘদিন ধরে সুপ্রাচীন ঐতিহ্যের মোহনবাগান ক্লাবের নামের আগে এটিকে বসায় প্রবল প্রতিবাদ।
ক্লাব সমর্থকরা ঐতিহ্যবাহী মোহনবাগান নামের আগে কিছু নাম থাক চাইছেন না। হয়তো এবারে সমাধানের পথ খুঁজতে চলেছে ক্লাব ম্যানেজমেন্ট। সেই দায়িত্ব নিয়েছেন স্বয়ং সঞ্জীব গোয়েঙ্কা। হয়তো এটিকে নাম বদলে মোহনবাগান এসজি হতে চলেছে। তবে এখনই নাম পরিবর্তন নয়, কিছু আইনি জটিলতা কাটিয়ে নাম পরিবর্তন হবে।
নাম ধাম পরের কথা, এখন প্রশ্ন একটাই, এটিকে নিজের নামে দু'বার আইএসএল জিতেছে। কিন্তু এটিকের সঙ্গে মোহনবাগান জুড়ে যাওয়ায় শতাব্দীপ্রাচীন ক্লাবের দেরাজে কোনও জাতীয় ট্রফি নেই। যদিও তারা আইএসএল-র মতো বড় টুর্নামেন্টে রানার্স হয়েছে। কিন্তু ট্রফি কোথায়। অন্যদিকে তথৈবচ ইস্টবেঙ্গল। শতাব্দীপ্রাচীন এই ক্লাবেরও আইএসএল পারফরম্যান্স তথৈবচ। কলকাতা ক্লাব ফুটবলের এত দৈন্যদশা এর আগে ১৯৭৯-তে একবার দেখা গিয়েছিল। তারপর বর্তমানে এই অবস্থা। আগের দিনে নামধাম স্পনসর নিয়ে দুই দলের সমর্থকরা মাথা ঘামাতো না। তারা চাইতো ডুরান্ড, রোভার্স, কলকাতা লিগের ট্রফি আসুক ঘরে। কিন্তু সে সব দিন গিয়েছে।
আজকের দর্শকরা বিশ্বকাপ থেকে বিদেশি ফুটবল দেখছে নিয়মিত। জাতীয় বা আন্তর্জাতিক টার্ফে প্রিয় দল বা ক্লাব প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। এটাই এখন বড় প্রত্যাশা ফুটবলপ্রেমী বাঙালির কাছে। ডুরান্ড কাপ কে পাবে তা নিয়ে ভাবনা নেই সমর্থকদের। কিন্তু অনেকদিন বাদে রবিবারের ডার্বি নিয়ে জল্পনা উত্তেজনা তুঙ্গে। অন্যদিকে টিকিটের জন্যও হাহাকার। যুবভারতীতে ১ লক্ষর বেশি দর্শক প্রবেশ করতে পারে। কিন্তু আগামীকালের ম্যাচে কিছু টিকিট দেওয়া হচ্ছে দর্শকদের। বেশি টিকিট বিক্রি হয়েছে অনলাইন আর বেশ কিছু ফ্রি টিকিট। এই ভাবেই রবিবারের যুবভারতী জমজমাট হবে বলাইবাহুল্য।