ফের সন্দেশখালিতে প্রবেশের মুখে বাধাপ্রাপ্ত বিজেপি মহিলার প্রতিনিধি দল। বৃহস্পতিবার নিউটাউন থেকে বিজেপি মহিলা মোর্চার একটি প্রতিনিধি দল সন্দেশখালি যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কিন্তু রওনা দেওয়ার আগেই সন্দেশখালিতে ১৪৪ ধারার অজুহাত দিয়ে পুলিস তাঁদের নিউটাউনেই আটকে দেন।
এরপরেই বিজেপি মোর্চার দলের সদস্য়ের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়ে পুলিস। বিজেপি মহিলা মোর্চার দলের সদস্য় ও কর্মীদের টেনে হিঁচড়ে তোলা হয় প্রিজন ভ্য়ানে। ব্য়ারিকেডের মাধ্য়মে বাধা দেওয়া হয় তাঁদের। আটক করা হয় লকেট চট্রোপাধ্য়ায়, অগ্নিমিত্রা পল ও ভারতী ঘোষকে। ঘটনার জেরে নিউটাউন থানার সামনেই বসে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করে বিজেপি মহিলা মোর্চার প্রতিনিধি দল।
সম্প্রতি বিজেপি প্রতিনিধি দল সন্দেশাখালি ঢুকতে গিয়েছিলেন। কিন্তু ১৪৪ ধারা জারি থাকার কারণে কেউই যেতে পারেননি সন্দেশখালিতে। এখন ১৪৪ ধারা প্রশাসন তুলে নেওয়ার পর কেন বারংবার পুলিসি বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে ? কখনও সন্দেশখালি আবার কখনও ধামাখালি কিংবা বেড়মজুরে বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছেন।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat elections) ফলাফলের দিন ভয়াবহ পরিস্থিতি হয়ে উঠেছিল হরিণঘাটা (Haringhata) বিরোধী অঞ্চল। ভোটগণনার দিন হরিণঘাটা ব্লক উন্নয়ন আধিকারিকের কার্যালয় সংলগ্ন মহাবিদ্যালয়ে গণনা চলাকালীন বিজেপি প্রার্থীদের বার করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল প্রার্থীদের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগে ভোটগণনার দিন হরিণঘাটার বিরোধী ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের মাঝখানে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ (demonstration) দেখান বিজেপি সমর্থকেরা।
মঙ্গলবার, সন্ধে ন'টা থেকে পথ অবরোধ শুরু হয়। অবশেষে অবরোধ ওঠে রাত ১টা ১০ মিনিট নাগাদ। অভিযোগ, বিজেপির স্থানীয় নেতৃত্বের বাড়িতে ভাঙচুর চালায় দুষ্কৃতীরা। অভিযোগের তীর তৃণমূলের দিকে। এর পরেই উত্তেজিত জনতা রাস্তা অবরোধের পর ফের তৃণমূল কংগ্রেসের একাধিক নেতৃত্বের বাড়ি ভাঙচুর চালায় বলে জানা গিয়েছে। সমগ্র ঘটনাটি ঘটে কেন্দ্রীয় বাহিনী ও রাজ্য পুলিসের উপস্থিতিতে। তবে এলাকায় দফায় দফায় অশান্তির রূপ দেখে অনুমান করা যাচ্ছে এই অশান্তি চলবে বেশ কয়েকদিন।
সম্প্রতি ওই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় চাকদহ বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষ দেখতে পান রাস্তার মাঝখানে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেছে বিজেপি সমর্থকরা। এর পরেই তিনি কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং এই বিষয়টি নিয়ে সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, রাজ্যের অধিকাংশ পঞ্চায়েত বিজেপির দখলে এসেছিল। গণনায় জিতে যাওয়ার পরেই শাসক দল প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে তা বারবার রিকাউন্টিং করে তারা দখলে নিচ্ছে। অধিকাংশ জায়গায় দেখা গিয়েছে প্রার্থীদের মারধর করে গণনা কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়েছে শাসকদলের দুষ্কৃতীরা।
প্রশাসন দেখেও নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় বাহিনীকেও কাজে লাগানো হয়নি বলে অভিযোগ।
একটি পণ্যবাহী ট্রাকের ধাক্কায় গুরুতর আহত (injured) এক বৃদ্ধা। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলার কান্দি মহকুমার বড়ঞা ব্লকের অন্তর্গত কুলি চৌরাস্তা মোড় এলাকায়। পথ দুর্ঘটনার (Accident) পর রাস্তা অবরোধ করে পুলিসকে ঘিরে বিক্ষোভ (demonstration) দেখান গ্রামবাসীরা। ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকা জুড়ে।
জানা গিয়েছে, আসন্ন বকরি ইদের জন্য বাজার করতে এসেছিলেন ওই বৃদ্ধা মহিলা। সেই সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ওই মহিলাকে ধাক্কা মারে একটি পণ্যবাহী ট্রাক। গুরুতর জখম হন ওই মহিলা। আহত অবস্থায় ওই মহিলাকে প্রথমে কান্দি মহকুমা হাসপাতালে নিযে যাওয়া হয়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাঁর প্রাথমিক চিকিৎসা করেন এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন।
বড়ঞা থানার পুলিসকে ঘিরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন কুলি এলাকার বাসিন্দারা। পাশাপাশি হলদিয়া ফারাক্কা রাজ্য সড়ক এবং কান্দি সাঁইথিয়া রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে থাকেন তাঁরা। অবরোধ তুলতে রাস্তায় নামতে হয় বড়ঞা থানার বিশাল পুলিস বাহিনীকে। সামগ্রিক ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিস প্রশাসন।
ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ তুলে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ (Demonstration) চা বাগান শ্রমিকদের (Worker)। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর (North Dinajpur) জেলার চোপড়া থানার কাঁচাকালী এলাকায়। অভিযোগ, এলাকার এক যুবক চা বাগানের এক মহিলা শ্রমিককে ধর্ষণ করার চেষ্টা করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিদিনের মতো এদিনও চা বাগানে কাজ করতে আসেন এক মহিলা শ্রমিক। অভিযোগ, ঠিক সেই সময় এলাকার এক যুবক ওই মহিলাকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করে। মহিলার চিৎকার চেঁচামেচি শুনে বাগানের অন্যান্য শ্রমিকরা ওই যুবককে ধরে ফেলেন। এরপর ওই যুবক কোনও রকম ভাবে সেখান থেকে পালিয়ে যায়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এর আগেও ওই যুবক এমন অপরাধমূলক কাজকর্ম করার চেষ্টা করেছে। এছাড়াও একাধিক সমাজ বিরোধী কাজের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে ওই যুবক। এরপর ওই যুবকের শাস্তির দাবিতে কাঁচাকালী বাজারে রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বাগানের শ্রমিকরা। ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় চোপড়া থানার পুলিস। পুলিস আসার পর অবরোধ তুলে নেন শ্রমিকরা। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
ডাম্পারের (Dumper) ধাক্কায় জখম এক ছাত্রী (Student)। ঘটনার জেরে পথ অবরোধের পাশাপাশি মাঝ রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ (Demonstration) দেখান স্থানীয়রা। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়ির (Siliguri) আমবাড়ি চেউলিবাড়ি পাকা রাস্তায়। ঘটনায় এক ব্যক্তিকে আটক করেছে এনজেপি থানার পুলিস। এদিকে, ঘটনার পরই ওই ডাম্পার চালকের খোঁজ শুরু করেছে এনজেপি থানার পুলিস। ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে পুরো ঘটনার তদন্ত।
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে সপ্তম শ্রেণীর ওই ছাত্রী রিয়া রায় প্রাইভেট টিউশন থেকে আমবাড়ি চেউলিবাড়ি পাকা রাস্তা দিয়ে বাড়ি ফিরছিল। অভিযোগ, সেই সময় একটি ডাম্পার আচমকাই ওই ছাত্রীকে ধাক্কা মারে। গুরুতর জখম অবস্থায় ওই কিশোরীকে শিলিগুড়ির একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে।
অন্যদিকে, ঘটনার পরই এলাকা ছেড়ে চম্পট দেয় ওই ডাম্পার চালক। ঘটনার প্রতিবাদে আমবাড়ি চেউলিবাড়ি পাকা রাস্তা অবরোধ করে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। পরে অবশ্য পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। একইসঙ্গে ওই পথ দিয়ে চলাচলকারী ডাম্পারগুলি আটকে দেন তাঁরা। স্থানীয়দের অভিযোগ, ডাম্পারের দৌরাত্ম্য ক্রমেই বাড়ছে। দ্রুত পুলিস প্রশাসনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত।
গ্রামে উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র (Sub Health Center) তৈরী করার দাবিতে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ (Demonstration) দেখালেন গ্রামবাসীরা। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার সকালে মালদহের (Malda) চাঁচলে। বিক্ষোভে সামিল হন গ্রামের পুরুষ, মহিলা সকলেই।
শুক্রবার সকালে মালদহের চাঁচল-১ ব্লকের মতিহারপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র গড়ার দাবি নিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামের বাসিন্দারা। ঘটনাটি ঘটেছে মতিহারপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের আদিবাসী অধ্যুষিত পানপাড়া গ্রামে। বিক্ষোভে সামিল হন গ্রামের নারী, পুরুষ সকলেই। তারা রাস্তায় খড় জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান। এছাড়াও কাঁধে তীর-ধনুক ও হাতে ধামসা, মাদল বিক্ষোভ দেখায় তারা। এই বিক্ষোভের জেরে দীর্ঘক্ষণ যানজটের সৃষ্টি হয়। এরফলে আটকে পড়ে বহু মানুষ।
গ্রামবাসীদের দাবি, তারা দীর্ঘদিন ধরে উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র তৈরী করার কথা প্রশাসনকে জানালে তারা কোনও গুরুত্ব দেয়নি। তাই রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখানোর সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা।
তীব্র গরমে দীর্ঘদিন ধরে পানীয় জল সংকট এলাকায় (Waterproblem)। পানীয় জলের দাবিতে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালো (Demonstration) বাঁকুড়া (Bankura) জেলার বড়জোড়া ব্লকের অন্তর্গত খাঁড়ারী গ্রাম পঞ্চায়েতের নিরীশা গ্রামের মহিলারা। ফুলবেড়িয়া থেকে রামহরিপুর রাজ্য সড়কে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায়। অভিযোগ, পানীয় জলের সমস্যার কথা প্রশাসনকে বারংবার জানানো হলেও এখনও পর্যন্ত কোনো সুব্যবস্থা করে দেওয়া হয়নি প্রশাসনের তরফে।
শনিবার, সকাল থেকে গ্রামের মহিলারা দলবদ্ধ ভাবে মেটিয়া পাড়ার মোড় দীর্ঘক্ষণ পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায়। এর পর রাজ্য সড়কের মাঝে কলসি বালতি রেখে ও বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে। যতক্ষণ না পর্যন্ত সরকারি আধিকারিকরা এসে পানীয় জলের সুবিধা করে দিচ্ছে ততক্ষণ অবরোধ থেকে উঠবে না এমনটাই দাবি করেন ওই মহিলারা। পাশাপাশি আগামী পঞ্চায়েত ভোট বয়কট করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে তাঁরা। দীর্ঘক্ষণ ধরে পথ অবরোধ থাকার ফলে ভোগান্তির শিকার হয় বহু মানুষ।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায় বড়জোড়া থানার পুলিস। বিক্ষোভকারী মহিলাদের সাথে কথা বলেন তাঁদের অভিযোগের কথা শুনে ব্লক অফিসে জানানোর পর সরকারি অফিসার আসে ঘটনাস্থলে। এর পরে পুলিস ও সরকারি আধিকারিকরা বোঝানোর পরে পথ অবরোধ থেকে বিক্ষোভকারীরা উঠে যান। বড়জোড়া থানার পুলিসের তৎপরতায় যানবাহন চলাচল ফের স্বাভাবিক হয়। নিরীশা গ্রামের পাশাপাশি আরও বেশ কিছু গ্রাম রয়েছে যেখানে পানীয় জলের কারণে ভুগছে গ্রামবাসীরা। এখন দেখার বিষয় গ্রামের মানুষ প্রশাসনের কাছ থেকে কত শীঘ্রই পানীয় জলের সুবিধা পায়। সেই দিকেই তাকিয়ে গ্রামবাসীরা।
এক রোগীর (Patient) মৃত্যুকে (Death) কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল ক্যানিং (Canning) মহকুমা হাসপাতালে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের মাতৃমা বিভাগে ঘটে এই ঘটনাটি। চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে হাসপাতাল চত্বরে বিক্ষোভ (Demonstration) দেখান রোগীর পরিজনরা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তৈরি হয় হাসপাতাল চত্বরে। ভাঙচুরের চেষ্টাও চলে হাসপাতালে। ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ক্যানিং থানার পুলিস (Police) ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে খবর, ক্যানিং থানার দুমকি এলাকার বাসিন্দা অনিমা বিশ্বাস বৃহস্পতিবার সকালে প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। এদিন দুপুরে সিজারের মাধ্যমে একটি পুত্র সন্তানের জন্মও দেন তিনি। অপারেশানের পর তিনি সুস্থই ছিলেন বলে পরিবারের দাবি। কিন্তু বৃহস্পতিবার রাত এগারোটা নাগাদ অনিমার মৃত্যু হয় বলে হাসপাতালের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয় পরিবারকে।
এরপরেই মৃতার পরিবার পরিজনরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। সুস্থ রোগী কীভাবে মারা গেল সেই প্রশ্ন তুলে তাঁরা হাসপাতাল চত্বরেই বিক্ষোভ দেখান। চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ তোলেন তাঁরা। উত্তেজিত হয়ে হাসপাতালের নিরাপত্তা রক্ষীদেরকে মারধর করে হাসপাতালের ভিতরে ঢোকার চেষ্টাও করেন। এমনকি সামান্য ভাঙচুরও হয় হাসপাতালে।
পরে ঘটনাস্থলে ক্যানিং থানার পুলিস এসে দীর্ঘক্ষণের চেষ্টায় পরিস্থিতির সামাল দেয়। মৃতদেহ রাতেই পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয় হাসপাতালের পক্ষ থেকে। অন্যদিকে সদ্যজাত শিশুটির চিকিৎসা চলছে মাতৃমায়। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ক্যানিং থানার পুলিস।
জলের (Water) দাবিতে পথ অবরোধ। টাকি রোড (Taki Road) অবরোধ করে বিক্ষোভ (Demonstration) দেখালেন দেগঙ্গা ১ নং পঞ্চায়েতের চট্টলপল্লী এলাকাবাসী। অবরোধের জেরে বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিস। অভিযোগ, স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রশাসনকে জানিয়েও পানীয় জলের সমস্যার কোনও সুরাহা মেলেনি।
দেগঙ্গা ১ নং পঞ্চায়েতের চট্টলপল্লী এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে পানীয় জলের সমস্যা। ভুক্তভুগী স্থানীয় মানুষজন। যার কারণে বাধ্য হয়ে পুকুরের জলই ব্যবহার করতে হচ্ছে গ্রামবাসীদের। এরফলে বাড়ছে পেটের রোগ সহ বিভিন্ন রোগের প্রকোপ। এই গরমের মধ্যেও প্রতিদিন পানীয় জল আনতে যেতে হয় গ্রামবাসীদের অনেক দূর। বাধ্য হয়ে সোমবার টাকি রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান বাসিন্দারা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে দেগঙ্গা থানার পুলিস। বেশ কিছুক্ষণ অবরোধ চলার পর অবরোধ তুলে নেন বিক্ষোভকারীরা।
গ্ৰামবাসীদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে চলছে জলের সমস্যা। পানীয় জল কিনে খেতে হচ্ছে গ্রামবাসীদের। যা তাঁদের পক্ষে প্রতিনিয়ত সম্ভব নয়। যার জন্য ক্ষোভে ক্ষুব্ধ হয়ে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ জানিয়েছে গ্রামবাসীরা। তাঁদের দাবি পানীয় জলের সমস্যা না মিটলে আগামী দিন তাঁরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন। সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন, আদৌ কি হবে পানীয় জলের সমস্যার সমাধান? উত্তর অধরাই।
জলের (Water) দাবিতে পথ অবরোধ। টাকি রোড (Taki Road) অবরোধ করে বিক্ষোভ (Demonstration) দেখালেন দেগঙ্গা ১ নং পঞ্চায়েতের চট্টলপল্লী এলাকাবাসী। অবরোধের জেরে বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিস। অভিযোগ, স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রশাসনকে জানিয়েও পানীয় জলের সমস্যার কোনও সুরাহা মেলেনি।
দেগঙ্গা ১ নং পঞ্চায়েতের চট্টলপল্লী এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে পানীয় জলের সমস্যা। ভুক্তভুগী স্থানীয় মানুষজন। যার কারণে বাধ্য হয়ে পুকুরের জলই ব্যবহার করতে হচ্ছে গ্রামবাসীদের। এরফলে বাড়ছে পেটের রোগ সহ বিভিন্ন রোগের প্রকোপ। এই গরমের মধ্যেও প্রতিদিন পানীয় জল আনতে যেতে হয় গ্রামবাসীদের অনেক দূর। বাধ্য হয়ে সোমবার টাকি রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান বাসিন্দারা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে দেগঙ্গা থানার পুলিস। বেশ কিছুক্ষণ অবরোধ চলার পর অবরোধ তুলে নেন বিক্ষোভকারীরা।
গ্ৰামবাসীদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে চলছে জলের সমস্যা। পানীয় জল কিনে খেতে হচ্ছে গ্রামবাসীদের। যা তাঁদের পক্ষে প্রতিনিয়ত সম্ভব নয়। যার জন্য ক্ষোভে ক্ষুব্ধ হয়ে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ জানিয়েছে গ্রামবাসীরা। তাঁদের দাবি পানীয় জলের সমস্যা না মিটলে আগামী দিন তাঁরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন। সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন, আদৌ কি হবে পানীয় জলের সমস্যার সমাধান? উত্তর অধরাই।
রাস্তা তৈরির গাড়ির নিচে পড়ে মৃত্যু (Death) হল এক ব্যক্তির। ঘটনাটি ঘটে নদিয়ার (Nadia) হরিণঘাটার বড়জাগুলি মোড় সংলগ্ন ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে রাজলক্ষ্মী স্কুলের সামনে। ঘটনাস্থলে আসে হরিণঘাটার মোহনপুর পুলিসফাঁড়ির পুলিস (Police)। পুলিস মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায় হরিণঘাটা গ্রামীণ হাসপাতালে। আটক করা হয় ওই ঘাতক গাড়িকে। তবে ঘটনাস্থল থেকেই চম্পট দেয় গাড়ির চালক। যার জেরে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর বিক্ষোভ (Demonstration) দেখায় স্থানীয়রা। জানা গিয়েছে, মৃত ওই ব্যক্তির নাম রাজেন্দ্র নারায়ণ ভৌমিক (৬৫)। হরিণঘাটা পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা তিনি।
সূত্রের খবর, শনিবার সকালে হরিণঘাটার বড়জাগুলি মোড় থেকে সাইকেল নিয়ে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক দিয়ে বাড়ির দিকে ফিরছিলেন ওই ব্যক্তি। সেই সময়ই রাজলক্ষ্মী স্কুল সংলগ্ন এলাকাতে রাস্তায় কাজ চলাকালীনই অত্যাধুনিক জেসিবি জাতীয় একটি ভারী গাড়ির নিচে পড়ে তাঁর মৃত্যু হয়। এই ঘটনা দেখে ছুটে আসেন আশেপাশের লোকজন। আটক করা হয় ওই ঘাতক গাড়িটিকে। তারপরেই ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দেয় গাড়ির চালক। এরপরই স্থানীয়রা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের কাজ চলছে দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে। কিন্তু সেখানেই প্রশাসনের গাফিলতি রয়েছে, অভিযোগ স্থানীয়দের। ওই জাতীয় সড়কের কাজ যাঁরা করছেন তাঁরা ওই এলাকার মানুষের কথা ভাবছেন না। যার ফলে খুব সমস্যায় আছেন এলাকাবাসী। প্রতিনিয়ত ওই অঞ্চলের মানুষজন জীবনের ঝুঁকি নিয়েই এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করছে, এমনটাই জানাচ্ছেন তাঁরা।
স্থানীয়দের দাবি, ওই রাস্তার কাজ করার সংস্থাকে বারবার জানিয়েছিল সকালের দিকে কাজ বন্ধ রাখার জন্য। কারণ সকালের দিকে স্কুল কলেজ এবং অফিস আদালতে যাওয়ার জন্য জাগুলি মোর এবং তার আশেপাশে দিয়ে বহু মানুষ যাতায়াত করে। তাই ওই রাস্তায় দুর্ঘটনার ঝুঁকি থেকেই যায়। তাই তাঁদেরকে ওই সময় কাজ বন্ধ রাখার জন্য বারবার আবেদন করলেও এই আবেদনে কোনও কর্ণপাত করনি ওই নির্মাণ সংস্থা। যার ফলে রাস্তা অবরোধ করে স্থানীয়রা, এমনটাই দাবি তাঁদের।