
অনলাইনে অর্ডার করা জিনিস ডেলিভারি করতে এসেই ঘটে গেল এক বড় বিপদ। ডেলিভারি করতে গিয়ে পোষ্য কুকুরের (Dog Attack) তাড়া, আর তার থেকে বাঁচতেই তিনতলা থেকে ঝাঁপ দিলেন সেই ডেলিভারি বয়। ঘটনাটি হায়দরাবাদের (Hyderabad)। পোষ্য কুকুরের আক্রমণে ডেলিভারি বয়ের জখম হওয়ার ঘটনা এই প্রথম নয়। এর আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে। ইতিমধ্যেই সেই কুকুরের মালিকের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
পোষ্য রাখতে অনেকে যেমন পছন্দ করেন, তেমনি অনেকে আবার প্রাণীদের দেখে ভয়ও পান। ফলে দুটোই স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু হায়দরাবাদের ঘটনাটি নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে পুরো এলাকা জুড়ে। জানা গিয়েছে, রবিবার হায়দরাবাদের পঞ্চবতী কলোনির শ্রীনিধি হাইটস অ্যাপার্টমেন্টের একজন অনলাইনে মাদুর অর্ডার করেছিলেন। সেই মাদুর দিতে গিয়ে যখন কলিং বেল বাজান ডেলিভারি বয়, তখন ঘর থেকে বেরিয়ে আসে ডোবারম্যান প্রজাতির এক পোষ্য কুকুর। এরপর অচেনা ব্যক্তিকে দেখে কুকুরটি চিৎকার করতে শুরু করে। তখন তার হাত থেকে বাঁচতে ডেলিভারি বয়টি তিনতলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে দেন।
Meet one more incident today in Hyderabad's Manikonda Panchvati Colony. The @amazon Delivery boy came to deliver an order of a mattress.. At this time, the door was open when the Doberman dog suddenly jumped out of fear and jumped from the third floor. pic.twitter.com/ca5UfBwRLV
— Telangana Gig and Platform Workers Union (@TGPWU) May 21, 2023
এই ঘটনার পরই সেখানে আশেপাশের লোকেরা ছুটে আসেন ও রাইদুরগাম থানার পুলিসও ঘটনাস্থলে গিয়ে পৌঁছয়। এরপর তাঁকে তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলেই জানা গিয়েছে। সেই পোষ্য কুকুরের মালিকের বিরুদ্ধে ভারতীয় পেনাল কোড ২৮৯-এর অধীনে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আবার তেলঙ্গানা গিগ অ্যান্ড প্ল্যাটফর্ম ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের তরফে দাবি করা হয়েছে, সেই পোষ্য কুকুরের মালিককেই ডেলিভারি বয়ের সমস্ত রকমের চিকিৎসার খরচ দিতে হবে।
ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনায় (Accident) মৃত্যু হল এক খাবার ডেলিভারি (Delivery Boy) বয়ের। পুলিস জানিয়েছে, ওই যুবকের নাম অভিজিৎ দাস। তাঁর এই অকালমৃত্যুর ঘটনায় রহস্যের অভিযোগ পরিবারের। ঠিক কী কারণে হল এই ভয়াবহ পথদুর্ঘটনা!
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ অভিজিৎ এর সঙ্গে ছিল তার বন্ধু সন্তু। অভিজিৎ এর বাবা বিশ্বজিৎ দাস বলেছেন এদিন রাত ১ টা বাজার একটু আগে এই দুর্ঘটনা ঘটে। অভিযোগ সেই রাতে ছেলে অভিজিৎ খাবার ডেলিভারি করতে যাচ্ছিল। সেই সময় মধ্যমগ্রাম ওভারব্রিজে একটি মোটর সাইকেলে তিনজন মদ্যপ অবস্থায় তাঁকে ধাক্কা মারে। অভিজিৎ ছিটকে পরে রাস্তার উপর। ঠিক সেই সময় একটি লরি এসে তাঁকে ধাক্কা মারে বলে অভিযোগ তাঁর পরিবারের। গুরুত্বর আহত হয় অভিজিৎ। এই অবস্থাতে বারাসত হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে।
পরিবারের তরফে অভিযোগ, দুর্ঘটনা ঘটার আগে পর্যন্ত তাঁর সঙ্গে সন্তু বলে এক বন্ধু ছিল। হাসপাতালে নিয়ে আসা এবং বাড়িতে খবর দেওয়া পর্যন্ত সন্তুর অবস্থান ঠিকঠাক ছিল। এমনকি বারাসত হাসপাতালে সন্তু তার বাইকে করে অভিজিৎ এর বাবাকেও নিয়ে আসে। তারপর থেকেই পলাতক সন্তু। এমনকি তাঁর বাড়িতেও তালা মারা। বিশ্বজিৎ বাবুর অভিযোগ ছেলের মৃত্যুর পিছনে তাঁর বন্ধু সন্তুর হাত রয়েছে।
অন্যদিকে তিন মদ্যপ যুবকের একজন এই দুর্ঘটনায় আহত হয়। সেই একজন বর্তমানে বারাসত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বাকি দুজনকে পুলিস আটক করেছে বলে জানা যায়। অভিজিৎ দাস এর বাড়ি হৃদয়পুর সারদা সরণিতে। গত একসপ্তাহ আগেই পরিবারের অর্থনৈতিক অবস্থার সচ্ছল করতে জোমাটোতে কাজ নেয়, আর এই কাজই তাঁর প্রাণ কেড়ে নেবে তা কেউই বুঝতে পারেনি। তবে ছেলের মৃত্যু নিয়ে রহস্য রয়েছে বলে মনে করেন পরিবার। পুলিস চাইলে এই রহস্য বের করতে পারে বলে বিশ্বাস পরিবারের। শনিবার ছেলের মৃতদেহ বারাসত হাসপাতাল থেকে বাড়ি নিয়ে যাবে,এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোকের ছায়া পরিবারের মধ্যে। তবে এখনো বন্ধ সন্তুর কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি।
মর্মান্তিক! পার্সেল ডেলিভার করতে গিয়ে ভয়ানক দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয়ে প্রাণ হারালেন ৫৪ বছর বয়সী এক ডেলিভারি বয় (Delivery Boy)। সূত্রের খবর, এক বাড়িতে ডেলিভার করতে গিয়ে তাঁর ভ্যানগাড়ি চুরি করে পালাচ্ছিল এক চোর। সেসময় সেটি উদ্বার করতে গিয়ে ঘটল এই ভয়ানক কাণ্ড। ভ্যান উদ্ধার করতে গিয়ে ভ্যানের নীচেই আটকে পড়লেন তিনি, আর সেই অবস্থাতেই তাঁকে টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হল প্রায় ৮০০ গজ পথ। ঘটনাটি কার্ডিফের (Cardiff)।
জানা গিয়েছে, এই ৫৪ বছর বয়সী ডেলিভারি বয়ের নাম মার্ক ল্যাং। আর যার বিরুদ্ধে চুরি ও মার্ককে খুন করার অভিযোগ উঠেছে তার নাম ক্রিস্টোফার এলজিফারি। কার্ডিফের ব্যস্ত রাস্তায় দিনের প্রকাশ্য আলোয় এমন ঘটনা ঘটায় শিউরে উঠেছে শহরবাসী। সূত্রের খবর, একটি বাড়িতে পার্সেল ডেলিভার করতে গিয়ে যখন তাঁর সাদা রংয়ের রেনল্ট ভ্যান গাড়িটি চুরি হয়ে যাচ্ছিল, তখনই তিনি সেটি উদ্ধার করতে গিয়ে গাড়িতে ধাক্কা খেয়ে গাড়ির নীচেই আটকে যান ও ৮০০ গজ পথ সেই অবস্থায় ছেঁচড়ে নিয়ে যায়। এরপরেই গুরুতর জখম হয়ে প্রায় দু'সপ্তাহ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন মার্ক। তবে শেষরক্ষা হল না। ২৮ মার্চ তাঁর মৃত্যু হয়।
এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছে, সেদিন সেই ঘটনা ঘটার পর পুলিশকে এর খবর দেওয়া হয়েছিল ও ৩১ বছর বয়সী এলজিফারিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সূত্রের খবর, খুব শীঘ্রই তাকে কার্ডিভ ক্রাউন কোর্টে পেশ করা হবে।
অভিনেতা হৃত্বিক রোশনের (Hrithik Roshan) ভক্ত সংখ্যা অনেক। তাঁর অভিনয়ে, নাচের (Dance) মুভসে বুঁদ হয়ে আছে প্রজন্মের পর প্রজন্ম। হৃত্বিকের মতো তারকাকে কাছে পাওয়া খুব একটা সহজ নয়, তবে মুম্বইয়ের (Mumbai) বড় বড় রেস্তোরাঁর সামনে মাঝে মধ্যে এমন দু একজন তারকার সাক্ষাৎ পাওয়া যায়। সম্প্রতি প্রাক্তন স্ত্রী সুজেন ও বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে নৈশভোজে গিয়েছিলেন হৃত্বিক রোশন। সেই দিনের এমন এক ভিডিও ধরা পড়েছে ক্যামেরায়, যা দেখে নিন্দায় সরব হয়েছেন নেটিজেনরা (Social Media)।
ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, মুম্বইয়ের রেস্তোরাঁ থেকে বাইরে আসছেন হৃত্বিক রোশন। কালো ক্যাজুয়াল টি-শার্ট এবং নীল ডেনিম জিন্সে তাঁকে যথার্থই গ্রিক দেবতার মতো দেখাচ্ছিল বললে ভুল হবে না। অভিনেতার গ্ল্যামারে যেন নিস্তব্ধ হয়ে গিয়েছে রেস্তোরাঁ সংলগ্ন রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা সাধারণ মানুষ। সবাই হাঁ করে তাকিয়ে ছিলেন হৃত্বিকের দিকে। এমন সময় রেস্তোরাঁর বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা এক ফুড ডেলিভারি অ্যাপের ডেলিভারি বয়। সুযোগ পেয়ে অভিনেতাকে কাছে পেয়েই সেলফি ক্যামেরায় একটি ছবি তুলতে চায় সে। এমন সময় অভিনেতার বডিগার্ড তাঁকে একপ্রকার ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেন।
ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই নেটিজেনরা এই ঘটনার সমালোচনা করছেন। এক নেটিজেন লিখেছেন, 'বডিগার্ড যখন ওই ডেলিভারি বয়কে ধাক্কা দিচ্ছিলেন, হৃত্বিক তখন তাঁকে আটকানোর চেষ্টা করেননি। এই ঘটনা দুঃখজনক।'
অনলাইন অর্ডার ডেলিভারি করতে গিয়ে ঝামেলার পড়লেন দুই ডেলিভারি বয়। ক্রেতাদের খুচরো পয়সা দিতে না পারার অভিযোগে হেনস্থায় মুখে পড়তে হয় তাঁদের। নয়াদিল্লির রাজৌরি গার্ডেন এলাকার এই ঘটনায় পুলিস সূত্রে খবর, ডেলিভারি দু'জন বয়ের নাম অমন সিং এবং গুরুপাল সিং। শনিবার রাজৌরি গার্ডেনে অনলাইন অর্ডার ডেলিভারি দিতে গিয়েছিলেন ওই দুজন ডেলিভারি বয়। যে বাড়ির ঠিকানায় অর্ডার ডেলিভারি করার ছিল, সেই বাড়ির দরজা খোলেন তরুণ সুরি নামে এক ব্যক্তি। অর্ডার করা জিনিস হাতে পেতেই ডেলিভারি বয়দের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করতে থাকে। মোট ১ হাজার ৬৫৫ টাকার জিনিস অর্ডার ছিল, বাকি থাকা খুচরো পয়সা না থাকায় কারণে তারা দিতে পারেননি। একারণে ডেলিভারি বয়দের নানাভাবে হেনস্থা করা হয়।
ডেলিভারি বয়দের অভিযোগ, তাঁদের কাছে খুচরো পয়সা না থাকার কারণেই দুর্ব্যবহার করেছিলেন তরুণ। এমনকি বাড়ির মহিলারাও পর্যন্ত বাদ যায়নি এই ঝামেলা থেকে। ঝামেলায় কথাকাটাকাটি থেকে গায়ে হাতাহাতি শুরু হয়ে যায় ঘটনাস্থলে। অমন এবং গুরুপালের দাবি, তাদের মাথার পাগড়িও খুলে দেয় ক্রেতা পরিবারের সদস্যরা। তাদের অভিযোগে তরুণ সুরি ও তার পরিবার সদস্যের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন পুলিস।
আবার উল্টো অভিযোগ করে তরুণ সুরি। অভিযোগ, ডেলিভারি করতে এসে তার বাড়ির মহিলাদের সাথে কূটক্তি ভাষায় কথা বলা হয়। গোটা ঘটনাকে ঘিরে তদন্তে নেমেছেন পুলিস।
ঘরে বসেই প্রিয় রেস্টুরেন্টের খাবার মুহূর্তের মধ্যে পেয়ে যাচ্ছেন। যত টেকনোলজির উন্নতি হয়েছে, তত যেন অন্য সমস্যা বেড়েছে। কখনও ডেলিভারি বয়দের (Delivery Boy) গ্রাহকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার, বেশি টাকা নেওয়ার অভিযোগ। আবার কখনও খাবার সরবরাহকারীদের গায়ে হাত তোলা, খাবার দেরিতে দেওয়ার অভিযোগে অশান্তি। এবার একেবারে ডেলিবারি বয়ের বিরুদ্ধে ফোন চুরির অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে মুম্বইয়ের (Mumbai) একটি আবাসনে। অভিযুক্ত ডেলিভারি বয়ের নাম জয়রাম ইয়েজে। সিসিটিভি ফুটেজে (CCTV Footage) ধরা পড়েছে চুরির ঘটনা। এরপরই আটক করা হয় তাঁকে।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, সন্ধ্যা ৬.৪৫ নাগাদ মুম্বইয়ের একটি আবাসনে খাবার ডেলিভারি দিতে গিয়েছিলেন জয়রাম। মাথায় পরা ছিল হেলমেট। নির্দিষ্ট ফ্ল্যাটের সামনে গিয়ে কলিংবেল বাজাচ্ছেন তিনি। সেই ফ্ল্যাটের মালিক তাঁর থেকে খাবার নিয়ে টাকা মিটিয়ে দেন। এরপর ওই যুবক সিঁড়ির দিকে এগোতে গিয়ে আরেকটি ফ্ল্যাটের দরজার সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে পড়েন। দেখা যায় জুতোর র্যাকের উপর একটি মোবাইল ফোন রাখা ছিল।
এদিক-ওদিক ভালো করে দেখে সেটি তুলে নেন। এরপর পকেটে পুরে দ্রুত সেখান থেকে বেরিয়ে পড়েন। এই ফুটেজ প্রকাশ্যে আসতেই ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য।
জানা গিয়েছে, চুরি যাওয়া মোবাইল ফোনের মালিক ওই আবাসনের বাসিন্দা অপর্ণা বিনায়ন। তিনি জানিয়েছেন, ভুলবশত ফোনটি তিনি র্যাকের উপর রেখে ঘরে চলে যান। কিছুক্ষণ পরে তিনি ফোনের খোঁজ শুরু করেন। কোথাও খুঁজে না পাওয়ায় সিসিটিভি ফুটেজ দেখেন। তাতেই ধরা পড়ে আসল ঘটনা। স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করেন অপর্ণা। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে এবং সিসিটিভি ফুটেজের সূত্র ধরে ওই ডেলিভারি বয়কে গ্রেফতার করা হয়েছে।
দিল্লির (Delhi) তরুণীর মৃত্যুর ঘটনার ভয়াবহতা এখনও কাটেনি। তার মধ্যেই ফের সামনে এল এমনই এক হিট-এন্ড-রান কেস। বর্ষবরণের রাতে সকলে যখন আনন্দে মেতে উঠেছিলেন, তখন নিজের কাজ নীরবে করছিলেন ডেলিভারি বয়রা। তেমনই এক ডেলিভারি বয় বাড়ি বাড়ি খাবার পৌঁছে দিতে বেরিয়েছিলেন সেদিন। রাস্তায় তাঁর বাইকের সঙ্গে একটি গাড়ির ধাক্কা লাগে। ঘটনাস্থলেই পড়ে যান তিনি। কোনওভাবে ওই ডেলিভারি বয়ের দেহ গাড়ির তলায় আটকে যায়। সেই অবস্থায় তাঁর দেহ প্রায় ২০০ মিটার টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যায় ঘাতক গাড়ি।
পুলিস সূত্রে খবর, ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। জানা গিয়েছে, ওই ডেলিভারি বয়ের নাম কৌশল যাদব। রবিবার রাত ১টা নাগাদ নয়ডার সেক্টর-১৪ এলাকার কাছে একটি উড়ালপুলের কাছে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
রাস্তায় এক প্রত্যক্ষদর্শীর নজরে পড়লে সঙ্গে সঙ্গে গাড়িটি থামান তিনি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, দুর্ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ২০০ মিটার দূরে একটি মন্দিরের কাছে গিয়ে চালক গাড়ি থামায়। কৌশলের মৃতদেহ ঘটনাস্থলে রেখে পালিয়ে যায়। রবিবার বেলা ১টায় কৌশলের ভাই অমিত তাঁকে ফোন করলে এক পথচারী ফোন ধরেন। এরপর তাঁর ভাইকে দুর্ঘটনার কথা জানান।
অমিত থানায় অভিযোগও দায়ের করেছেন। পুলিশ সূত্রের খবর, তাদের তরফে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজও খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছে পুলিস।
সংসার চালাতে নিজের কষ্টকে তুচ্ছ করে খাবার ডেলিভারি (Food Delivery) করে চলেছেন যুবক। আর ওই যুবকের সঙ্গে লিফটে (Lift) দেখা হয় আবাসনের এক বাসিন্দার। আর তাঁদের দুজনের মধ্যিকার কথোপকথন সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) ভাইরাল। ডেলিভারি বয়ের কথা শুনে, মন ভারাক্রান্ত আবাসিকের, সে কথাও ভাইরাল করেছেন ওই ব্যক্তি। এও বলেন, ডেলিভারি বয় থেকে শিক্ষা অর্জন করেছেন তিনি।
কী এমন ঘটেছিল? ওই যুবক যখন অর্ডার করা খাবার গ্রাহকের বাড়িতে পৌঁছে দিতে যায়, তখন লিফটে তাঁর সঙ্গে আলাপ হয় বাসিন্দা তারিক খানের। চোখ যায় যুবকের পায়ের দিকে। তারিক দেখতে পান, খালি পায়ে খাবার দিতে এসছেন। এর কারণ কী জানতে চাইলে যুবক বলেন, 'একটা দুর্ঘটনায় তাঁর পায়ে চোট লাগে। এতে তাঁর গোড়ালি ফুলে গিয়েছে। তাই ব্যাথার কারণে জুতো খুলে হাঁটছেন।'
তখন তারিক প্রশ্ন করেন, তাহলে কাজ না করে বিশ্রাম কেন নিচ্ছেন না? উত্তরে যুবক বলেন, 'গোটা পরিবার তাঁর উপর নির্ভরশীল। কাজ না করলে খাওয়া বন্ধ হয়ে যাবে।' এই জবাব শুনে আর কিছু বলতে পারেননি তারিক। লিফট থেকে বেরোনোর সময় যুবককে 'স্যার' বলে সম্বোধন করেন তারিক।