সম্পর্কে থেকে বেড়িয়ে আসার কথা স্পষ্ট জানাতেই প্রেমিকের হাতে খুন (Kill) হয় প্রেমিকা। অভিযোগ, একাধিকবার ছুরি মারা হয় প্রেমিকাকে। দক্ষিণ-পূর্ব দিল্লির (Delhi) বদরপুর এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিস সূত্রে খবর, চার বছর ধরে ওই তরুণী এবং অভিযুক্ত তরুণের মধ্যে সম্পর্ক ছিল। কিন্তু ওই কিশোরী সম্পর্ক থেকে বেড়িয়ে আসার কথা স্পষ্ট জানিয়ে দেন প্রেমিককে। এমনকি তরুণকে বিয়ে করতেও পারবে না বলে জানান তরুণী। এই কথা শোনার পর ওই তরুণ ক্ষিপ্ত হয়ে যান।
রবিবার, দুপুরে বদরপুর এলাকার মোলারবন্দে বন্ধুর বাড়িতে গিয়েছিল ওই তরুণী। সেখান থেকেই ওই তরুণীর পিছু নেয় অভিযুক্ত। তরুণীকে বন্ধুর বাড়ির বাইরে আসতে বলে অভিযুক্ত। অভিযোগ তরুণীকে বাড়ির বাইরে ডেকে এনে একের পর এক ছুরির আঘাত করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান অভিযুক্ত। তরুণীর ঘাড়ে এবং মাথায় ছুরি আঘাত মারার ফলে গুরুতর আহত হয়েছে। তাঁকে দিল্লি এইমসে ভর্তি করানো হয়।
তদন্তে নেমে এবং সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে ইতিমধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিস জানিয়েছে। পুলিস অভিযুক্তর বিরুদ্ধে উপযুক্ত ধারায় মামলা দায়ের করেছে।
নিজের বাড়িতে গলা কেটে খুন (Death) বৃদ্ধ দম্পতিকে। সোনা-গয়না-সহ আরো ৪ লক্ষ টাকা চুরি (Theft)। ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লিতে (Delhi)। রাজধানীর পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতদের নাম রাধেশ্যাম বর্মা বয়স ৭২ বছর এবং তাঁর স্ত্রী বীণা বয়স ৬৮ বছর।
সোমবার সকালে উত্তর-পূর্ব দিল্লির গোকালপুরী এলাকার বাড়ি থেকে উদ্ধার করা ওই বৃদ্ধ দম্পতির মৃতদেহ। পুলিস সূত্রে খবর, ৩৮ বছর ধরে বহুতলের বাড়ির নীচের তলায় থাকতেন ওই দম্পতি। ওই বাড়ির দোতলায় থাকেন তাঁদের ছেলে রবি রতন এবং তাঁর স্ত্রী ও তাঁদের ছ’বছরের সন্তান। কারোলবাগে দিল্লি গভর্নমেন্ট স্কুলের সহ-প্রিন্সিপাল ছিলেন রাধেশ্যাম। দিল্লি পুলিসের ডিসিপি জয় তির্কে জানান,ওই বৃদ্ধ দম্পতির মৃত্যুর খবর পাওয়া মাত্রই সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় পুলিসের একটি দল। পুলিস আধিকারিকেরা ঘটনাস্থলে এসে দেখেন, ঘর পুরো লন্ডভন্ড হয়ে রয়েছে। পরিবারের লোকেদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বাড়ি থেকে সোনাগয়না এবং নগদ সাড়ে ৪ লাখ টাকা চুরি গিয়েছে। রতন পুলিসকে জানিয়েছেন, রবিবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ বাবা, মাকে শেষবারের মতো দেখেছিলেন তিনি।
ইতিমধ্যে গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছেন পুলিস। এই খুনের ঘটনায় পুলিসের প্রাথমিক অনুমান অনুযায়ী, ডাকাতেরা দম্পতির বাড়িতে ডাকাতি করতে এসে খুন করেছেন।
মৃত্যু (Death) হল দিল্লির একই পরিবারের ৬ সদস্যের। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর-পূর্ব দিল্লির (Delhi) শাস্ত্রী পার্ক অঞ্চলে। ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিস (Police) দরজা ভেঙে ৬ জনকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করেন। পুলিস দেহগুলি উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা ওই ৬ জনকে মৃত ঘোষণা করেন। প্রাথমিক ভাবে দমবন্ধ হয়ে ওই ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে অনুমান। তবে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত করতে পুলিস দেহগুলি ময়নাতদন্তে পাঠায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই বাড়ির সদস্যদের ডাকাডাকি করলেও কেউ দরজা না খুললে তাঁরা পুলিসে খবর দেয়।
এক সংবাদমাধ্যম থেকে খবর, কার্বন মনোঅক্সাইড গ্যাসের কারণেই দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁদের। যে ঘরে ওই ৬ জন ঘুমোচ্ছিলেন, সেখানে একটি মশার ধূপ জ্বলছিল। অনুমান, ওই ধূপ থেকে বেরোনো বিষাক্ত গ্যাসের কারণেই মৃত্যু হয়েছে ওই ৬ জনের।
এই প্রসঙ্গে উত্তর-পূর্ব দিল্লি পুলিসের ডেপুটি কমিশনার বলেন, “রাতে ঘরের সমস্ত দরজা-জানালা বন্ধ ছিল। ছোট ঘরে জ্বলছিল মশার ধূপ। ফলে বিষাক্ত ধোঁয়ার কারণেই দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে সকলের। সকলেই ঘুমে অচেতন থাকায় ঘর থেকে বেরোনোর সুযোগ পাননি কেউই।”
পুত্রবধূকে প্রকাশ্য রাস্তায় ইট দিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ। অভিযোগ উঠেছে শ্বশুরের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লির প্রেমনগর এলাকায়। স্থানীয়রা কাজলকে উদ্ধার করলে তাঁর স্বামী প্রবীণ বধূকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। হাসপাতাল সূত্রে খবর, কাজলের মাথায় মোট ১৭টি সেলাই করা হয়েছে। ঘটনায় কাজলের বাবা-মা শ্বশুরের বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করেছেন।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার একটি ইন্টারভিউ দিতে যাওয়ার কথা ছিল কাজলের। ইন্টারভিউর জন্য রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময়ই পথ আটকে দাঁড়ান শ্বশুর। এই নিয়ে সামান্য কথা কাটাকাটিও হয় দু’জনের মধ্যে। এরপরই কাজল শ্বশুরকে পাশ কাটিয়ে চলে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাঁর শ্বশুর ইট দিয়ে কাজলের মাথায় একের পর এক আঘাত করে, এমনটাই অভিযোগ।
পুলিস সূত্রে খবর, স্বামীকে আর্থিকভাবে সহযোগিতা করতে চাকরির সিদ্ধান্ত নেন কাজল। এমনকি বিভিন্ন জায়গায় চাকরির আবেদনও করেছিলেন তিনি। এই বিষয়ে কোনও আপত্তি ছিল না স্বামী প্রবীণ কুমারেরও। কিন্তু এই কথা কাজলের শ্বশুর জানতে পেরেই পুত্রবধূকে প্রকাশ্য রাস্তায় ইট দিয়ে একের পর এক আঘাত করে মাথা ফাটিয়ে দেন। শ্বশুরের হাতে আক্রান্ত হয়ে কাজল পালানোর চেষ্টা করলে তাঁর পিছু পিছু ধাওয়া করেন শ্বশুর। স্থানীয় বাসিন্দারা কাজলকে উদ্ধার করে।
ফের শ্রদ্ধা-কাণ্ডের (Shraddha Murder Case) ছায়া দিল্লিতে। এবার এক মহিলাকে খুন করে দেহ ফ্রিজে লুকিয়ে রাখার অভিযোগ। কাঠগড়ায় দিল্লির (Delhi Incident) এক ধাবা মালিক। জানা গিয়েছে, অভিযুক্তর নাম শাহিল গেহলট। দিল্লির বাবা হরিদাস নগর থানা এলাকায় একটি ধাবা (Dhaba owner) রয়েছে অভিযুক্তর। গোপন সূত্রে পুলিস খবর পায়, ধাবার ভিতরে একটি দেহ লুকিয়ে রাখা। সেই খবর পেয়েই তল্লাশি অভিযানে নামে পুলিস। ধাবায় তন্নতন্ন করে খোঁজার পর অবশেষে ধাবার ভিতর থাকা একটি ফ্রিজের ভিতর থেকে মহিলার দেহ উদ্ধার করে পুলিস।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, মহিলাকে কাশ্মীরি গেট আইএসবিটির কাছে নিয়ে গিয়ে গাড়ির ভিতরে শ্বাসরোধ করে খুন করেন শাহিল। তারপর গাড়িতে করে সেই দেহ নিয়ে আসেন ধাবায়। সবার অলক্ষে ফ্রিজের ভিতর ওই দেহ লুকিয়ে রাখেন অভিযুক্ত। দেহটি লোপাটের চেষ্টা করলেও, ধরা পড়ে যান শাহিল।
জানা গিয়েছে, মহিলার বয়স ২৬, তিনি দিল্লির উত্তম নগরের বাসিন্দা। মহিলার সঙ্গে প্রণয় সম্পর্ক ছিল শাহিলের। কিন্তু মহিলা সম্প্রতি জানতে পেরেছিলেন যে, অন্য একটি মহিলার সঙ্গে নতুন সম্পর্কে জড়ান শাহিল। তাঁদের বিয়ের কথাবার্তাও চলছিল। এই প্রেমিকা সেই বিষয়টি জানতে পারার পরই তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুন করেন শাহিল।
মাঝরাতে এটিএম (ATM Break) ভেঙে টাকা চুরি করতে গিয়ে বিপত্তি। সাইরেন বেজে ওঠায় সতর্ক হয়ে যায় পুলিস। পুলিসের তাড়া খেয়ে দৌড়ে নর্দমায় ঝাঁপ মেরেও শেষরক্ষা হয়নি। তাঁকে ধরে ফেলেন এক পুলিসকর্মী। ঘটনাটি দিল্লির (Delhi Incident) বুরারি এলাকার। অভিযুক্তের নাম অর্জুন ওরফে পণ্ডিত। শুক্রবার রাত ২টো নাগাদ স্থানীয় একটি এটিএম মেশিন ভাঙতে গিয়েছিলেন তিনি। পরিকল্পনামাফিক যুবক প্রথমে সিসি ক্যামেরা খুলে নিয়েছেন। তারপর মেশিন ভাঙার চেষ্টা করেন। কিন্তু মেশিন ভাঙতে গেলেই আপৎকালীন সঙ্কেত হিসাবে সাইরেন বেজে ওঠে। সতর্ক হয়ে যায় পুলিস। দ্রুত এলাকার স্টেশন হাউস অফিসারের (SHO) কাছে এটিএম থেকে টাকা চুরির খবর যায়। তিনি চোরকে চিহ্নিত করে তাঁর পিছনে ধাওয়া করেন।
গ্রেফতারি এড়াতে একটি নর্দমায় ঝাঁপ মারেন যুবক। কিন্তু তাতে তিনি পার পাননি। পুলিসকর্মীও নর্দমায় ঝাঁপিয়ে যুবকের পা ধরে তাঁকে গ্রেফতার করেন। তাঁর থেকে উদ্ধার হয়েছে সিসি ক্যামেরা। এছাড়া যুবকের কাছে তালা ভাঙার বিভিন্ন যন্ত্রপাতিও ছিল বলে জানিয়েছে পুলিস। এটিএম থেকে কোনও টাকা হাতাতে পারেনি অভিযুক্ত।