
কিছুটা স্বস্তি পেলেন দিল্লির প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া (Manish Sisodia)। অবশেষে কিছুক্ষণের জন্য হলেও জেল থেকে মুক্তি পাবেন মণীশ সিসোদিয়া। অসুস্থ স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার জন্যই দিল্লির প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রীকে অন্তর্বর্তী জামিন দিল দিল্লি হাইকোর্ট (Delhi High court)। দিল্লি আবগারি দুর্নীতি মামলায় (Liquor Scam) গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে জেলবন্দি তিনি। কিছুদিন আগেই প্রভাবশালী তকমা দিয়ে তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ করা হয়েছিল। তবে এবারে তাঁর স্ত্রী-এর জন্য অন্তর্বর্তী জামিন পেলেন তিনি।
তবে আজ, ২ জুন দিল্লি হাইকোর্ট থেকে কিছু শর্তের কথা বলা হয়েছে। অর্থাৎ মণীশ সিসোদিয়ার স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার কিছু শর্ত রয়েছে। দিল্লি আদালত থেকে জানানো হয়েছে, আগামীকাল, ৩ জুন জেল হেফাজতে থাকাকালীন সময়ের মধ্যেই সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত, ৭ ঘণ্টা তাঁকে অন্তর্বর্তী জামিন দিয়েছে আদালত। এই সময়ে স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে পারবেন তিনি। তবে এই সময়ের মধ্যে মণীশ সিসোদিয়া মোবাইল, ট্যাব-সহ কোনও গ্যাজেট ব্যবহার করতে পারবেন না, ইন্টারনেটে সংযোগ করতে পারবেন না, এমনকি সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হতে পারবেন না বলেও আদালতের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আবগারি নীতি মামলায় অস্বস্তি বাড়ল দিল্লির প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়ার (Manish Sisodia)। মঙ্গলবার, ৩০ মে তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ করল দিল্লি হাইকোর্ট। চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি মাসে দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রীকে আবগারি নীতি মামলায় (Liquor Scam) গ্রেফতার করে সিবিআই। রাজধানী দিল্লিতে মদ নিয়ে নতুন নিয়ম তৈরির ক্ষেত্রে বিশেষ কয়েকজন ডিলারকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে এই আম আদমি পার্টির নেতার বিরুদ্ধে। আর এবারে তাঁর জামিনের আবেদনও খারিজ করল দিল্লি হাইকোর্ট (Delhi High Court)।
দিল্লি হাইকোর্টে প্রভাবশালী তকমা দিয়ে মণীশ সিসোদিয়ার জামিনের আবেদন খারিজ করল দিল্লি হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। বিচারপতি দীনেশ কুমার শর্মা এদিন মণীশ সিসোদিয়ার জামিন খারিজ করেছেন। বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, 'তাঁর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। তাঁকে জামিন দেওয়া হলে সাক্ষীদের প্রভাবিত করতে পারেন তিনি।' ফলে তাঁকে প্রভাবশালী তকমা দিয়ে তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ করেছেন বিচারপতি।
ফের ভূমিকম্প (Earthquake) অনুভূত হল জম্মু ও কাশ্মীরে (Jammu & Kashmir)। রবিবার ছুটির দিনে জম্মু ও কাশ্মীরের পাশাপাশি ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল দিল্লি (Delhi) ও আশেপাশের এলাকাগুলি। রিখটার স্কেলে জম্মু ও কাশ্মীরে ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল ৪.৯। এখনও অবধি কোনওরকম ক্ষয়ক্ষতি বা নিহতের খোঁজ মেলেনি।
ভারতের ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি জানিয়েছে, সকাল ১১টা ২৩ মিনিট নাগাদ কম্পন অনুভূত হয়। কয়েক সেকেন্ডের জন্য স্থায়ী ছিল সেই কম্পন। সূত্রের খবর, পঞ্জাব এবং হরিয়ানার কিছু অংশও কেঁপেছে। চণ্ডীগড়ে কম্পন অনুভূত হয়েছে।
উল্লেখ্য, কেবল দেশ নয়, আফগানিস্তানের ফৈজাবাদে রবিবার সকালে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল রিখটর স্কেলে ৫.২। ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল আফগানিস্তানের ফৈজাবাদ থেকে ৭৯ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে, ভূপৃষ্ঠ থেকে ২২০ কিলোমিটার গভীরে।
ফ্রি-তে খাবার বা 'ফ্রি থালি' (Free Food) পাওয়ার লোভে খোয়াতে হল ৯০ হাজার টাকা। 'একটি থালি কিনলে আরেকটি বিনামূল্যে' এমন অফারের প্রলোভনে পড়ে সাইবার জালিয়াতির (Cyber Fraud) শিকার হলেন এক ব্যাঙ্ককর্মী। দক্ষিণ-পশ্চিম দিল্লির (Delhi) বাসিন্দা ওই মহিলা। ইতিমধ্যে গোটা বিষয়টি জানিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। বর্তমানে চারিদিকে প্রতারণার ছড়াছাড়ি। কয়েকদিন আগেই খবরে এসেছিল, ইউটিউবের লিঙ্কে ক্লিক করতেই হারাতে হয় টাকা। আর এবারে খাবারের নাম করেও প্রতারণার খবর প্রকাশ্যে এল।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতারিত সেই মহিলার নাম সবিতা শর্মা। তিনি পুলিসকে জানিয়েছেন, ফেসবুকে গিয়ে সেখানকার একটি খাবার সরবরাহকারী সংস্থার ওয়েবসাইটে ঢুকেছিলেন তিনি। ওই ওয়েবসাইটে যে নম্বর ছিল সেখানে তিনি ফোন করেন। কিন্তু সেই সময় কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। কিন্তু কিছুক্ষণ পরে তিনি একটি ফোন পান। ফোনে বলা হয় সাগর রত্ন রেস্তোরাঁ থেকে তিনি এই সুবিধাটা পেতে পারেন। তবে অফারটি পাওয়ার জন্য মহিলাকে একটি অ্যাপ ডাউনলোড করার পরামর্শ দেয় তারা।
এরপর তাদের কথা মতোই কাজ করতে গিয়েই ঘটে যায় দুর্ঘটনা। অ্যাপ ডাউনলোড করে পাসওয়ার্ড দিতেই ফোন হ্যাক হয়ে যায় তাঁর। এরপরই তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে পরপর ৪০ হাজার টাকা ও ৫০ হাজার টাকা উধাও হয়ে যায়। এই দেখেই বুঝতে পারেন তিনি যে, তাঁর সঙ্গে প্রতারণা হয়েছে। তিনি আরও জানান, প্রথমে ক্রেডিট কার্ড থেকে পেটিএম অ্য়াকাউন্ট ও সেখান থেকে টাকা প্রতারকদের অ্যাকাউন্টে যায়। ২ মে তিনি থানায় গোটা ঘটনা জানিয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে দিল্লি পুলিস।
'অপহরণ' (Kidnap) হওয়ার ১৭ বছর পর খোঁজ পাওয়া গেল 'নিখোঁজ' মহিলার। সূত্রের খবর, অপহরণ হওয়ার সময় সেই মহিলা ছিল কিশোরী, আর এখন তিনি ৩২ বছরের তরুণী। জানা গিয়েছে, ২০০৬ সালে ১৫ বছরের মেয়েকে অপহরণ করার অভিযোগে দিল্লির (Delhi) গোকালপুরী থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। আর সেই মহিলাকেই ১৭ বছর পর দিল্লির গোকালপুরীতে খুঁজে পাওয়া গিয়েছে বলে পুলিস সূত্রে খবর। তবে প্রশ্ন উঠছে, তিনি কি সত্যিই অপহরণ হয়েছিলেন নাকি স্বেচ্ছায় বাড়ি ছেড়েছিলেন?
ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিস শাহদরা রোহিত মীনা জানিয়েছেন, ২২ মে শীমাপুরি পুলিস তাঁকে খুঁজে পেয়েছে। সূত্রের খবর, নিখোঁজ মহিলাকে ১৭ বছর পর খুঁজে পাওয়া গিয়েছে, এটা সত্যিই আশ্চর্যকর। তবে এরপরের ঘটনাটি আরও অবাক করবে আপনাকে। সূত্রের খবর, সেই মহিলাকে খুঁজে পাওয়ার পর জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি জানান, ২০০৬ সালে তাঁকে বাড়ি থেকেই অপহরণ করা হয়েছিল। সম্প্রতি তিনি উত্তরপ্রদেশের চেরিধ গ্রামে দীপক নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে বসবাস করতেন। এরপর কোনও এক ঝগড়ার কারণে লকডাউনের সময় তিনি দিল্লি চলে আসেন ও গোকালপুরীতে একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।
গত সপ্তাহে দেশের শীর্ষ ব্য়াঙ্ক রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (RBI) বাজার থেকে ২০০০ টাকার নোট তুলে নেওয়ার ঘোষণা করেছে। আর এরপর থেকেই চারিদিকে হইহই পড়ে যায়। সাধারণ মানুষের চিন্তা ফের শুরু হয়। কীভাবে, কোথায় ২০০০ টাকার নোট এক্সচেঞ্জ বা বদল করা হবে, তা নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়। যদিও আরবিআই-এর তরফে ঘোষণা করা হয়েছে যে, ব্যাঙ্কে গিয়েই ২০০০ টাকার নোট নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত চেঞ্জ করা যাবে। তবে এই আবহে এক বিক্রেতা এমন এক কৌশল বের করলেন, যার ফলে তাঁর বিক্রিও বাড়বে ও সাধারণ মানুষের ২০০০ টাকার নোটও এক্সচেঞ্জ করা হবে। এই ছবি এখন সমাজমাধ্যমে ভাইরাল।
p style="text-align: justify; ">দেখা গিয়েছে, এক মাংস বিক্রেতা একটি নকল ২০০০ টাকার নোট দিয়ে লিখেছেন, তাঁর দোকানে ২০০০ টাকা দিয়ে ২১০০ টাকার মাংস কিনতে পারবেন সাধারণ মানুষ। এই ছবি সুমিত আগরওয়াল নামের এক ব্যক্তি শেয়ার করেছেন। এই ছবিটি শেয়ার করে ক্যাপশনে লিখেছেন, 'যদি মনে করেন আরবিআই স্মার্ট, তবে তার থেকেও বেশি স্মার্ট দিল্লির মানুষ।' নেটিজেনরাও দোকানদারের এমন বুদ্ধি থেকে অবাক। তবে অনেকেই তাঁর বুদ্ধির প্রশংসা করেছেন।If you think RBI is smart, think again cos Delhites are much smarter.
— Sumit Agarwal 🇮🇳 (@sumitagarwal_IN) May 22, 2023
What an innovative way to increase your sales! 😅#2000Note pic.twitter.com/ALb2FNDJi0
কিছুদিন আগেই দিল্লির প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈনের (Satyendar Jain) ভগ্ন চেহারা প্রকাশ্যে এসেছিল। আর বৃহস্পতিবার খবরে উঠে এসেছে, তাঁকে দিল্লির (Delhi) দীন দয়াল উপাধ্যায় হাসপাতালে (Deen Dayal Upadhyay Hospital) ভর্তি করা হয়েছে। সূত্রের খবর, তিহাড় জেলের ওয়াশরুমে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পাওয়া যায় তাঁকে। তাঁর ভগ্ন চেহারার ছবি প্রকাশ্যে আসতেই সমালোচনা করে বলা হচ্ছিল, 'জেলের খাবার কি পছন্দ হচ্ছে না? ওজন কমে এ কী হাল তাঁর। তিনিই যে সেই আপ নেতা চেনাই যাচ্ছে না।'
বেআইনিভাবে আর্থিক লেনদেন করার ফলে আপ নেতা সত্যেন্দ্র জৈনকে গ্রেফতার করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। তারপর থেকে তিনি তিহাড় জেলেই বন্দি। তিহাড় জেলের ডিজি সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সকাল ৬ টা নাগাদ তিহাড় জেলের সেল নম্বর ৭ -এর ওয়াশরুম থেকে তাঁকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। কিছুদিন আগেই তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য। ফলে এক সপ্তাহের মধ্যে এই নিয়ে দু'বার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাঁকে। বর্তমানে সেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি।
ফের সকাল সকাল বোমা হামলার (Bomb Threat) হুমকি! সূত্রের খবর, সাউথ দিল্লির (South Delhi) এক বেসরকারি স্কুলে ইমেল মারফত হুমকি পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে সাউথ দিল্লির পুষ্প বিহারের অমৃতা নামক এক বেসরকারি স্কুলের ইমেলে এই হুমকি পাঠানো হয়েছে। এরপর সঙ্গে সঙ্গে স্কুল কর্তৃপক্ষ এই খবর পুলিসকে জানাতেই সেখানে উপস্থিত হয় দিল্লি পুলিস। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। এই হুমকি পাঠানোর পিছনে কে রয়েছে, কী তার কারণ, এই নিয়ে তদন্ত করছে দিল্লি পুলিস (Delhi Police)।
দিল্লি পুলিসের ডিসিপি সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, ১৬ মে, মঙ্গলবার সকাল ৬টা ৩৩ মিনিট নাগাদ এই হুমকি মেল স্কুলের ইমেলে পাঠানো হয়েছে। সেখানে উল্লেখ রয়েছে, বোমা বিস্ফোরণে উড়িয়ে দেওয়া হবে স্কুল। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়। ডিসিপি জানিয়েছেন, এই ঘটনার পরই স্কুলে বম্ব ডিসপোজাল টিম পাঠানো হয়েছে। পুরো স্কুল খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত তেমন কোনও সন্দেহজনক বস্তুর সন্ধান পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, স্কুলে বোমা হামলার হুমকি দেওয়ার মতো ঘটনা এই প্রথম নয়। এর আগে ১২ মে-তেই দিল্লির মথুরা রোডে দিল্লি পাবলিক স্কুলেও বোমা বিস্ফোরণ করার হুমকি দেওয়া হয়েছিল। বলা হয়েছিল, ১২ মে ১১ টার মধ্যে সেই স্কুলে বিস্ফোরণ হবে। যদিও পরে জানা যায়, পুরো বিষয়টি ভুয়ো ছিল। এরপর জানা গিয়েছিল, সেই স্কুলেরই এক ছাত্রের ইমেল থেকে হুমকিতে ভরা মেল পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু পড়ুয়া এই ঘটনা অস্বীকার করে। তবে বারবার এমন বোমা বিস্ফোরণের হুমকির নেপথ্যে কার হাত রয়েছে ও আগের ঘটনার সঙ্গে এই ঘটনার কোনও যোগ রয়েছে কিনা তা খুঁজে বের করতে তৎপর দিল্লি পুলিস।
এবাের মহিলাদের (Women) সুরক্ষার্থে ও তাঁদের জন্য কমফরটেবল জায়গা করে দিতে এক বিশেষ পদক্ষেপ নিল দিল্লি সরকার (Delhi Government)। মহিলাদের জন্য এমন কিছু পার্ক তৈরি করা হচ্ছে, যেখানে শুধুমাত্র তাঁরাই থাকবেন। অর্থাৎ এই পার্কগুলোতে পুরুষদের প্রবেশ নিষেধ। রাজধানী দিল্লিতে এমন মোট ২৫০টি পার্ক তৈরি করা হবে, যেখানে মহিলারাই শুধুমাত্র যেতে পারবেন। এই পার্কগুলোর নাম দেওয়া হয়েছে 'পিঙ্ক পার্ক' (Pink Park)। জানা গিয়েছে, এই পদক্ষেপ দিল্লি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের অধীনে নেওয়া হয়েছে।
সূত্রের খবর, দিল্লিতে এমন পিঙ্ক পার্ক তৈরির জন্য কাজ শুরু হয়েছে। কোথায় তৈরি করা হবে এই পার্কগুলো, তার জন্য জায়গাও খোঁজা হচ্ছে। দিল্লি মিউনিসিপ্যালিটির ২৫০ টি ওয়ার্ডেই এই পার্কগুলো তৈরি করা হবে জানা গিয়েছে। দিল্লির ডেপুটি মেয়র আলে মোহাম্মদ ইকবাল জানিয়েছেন, তিনি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনিও তাঁর এই পদক্ষেপের সমর্থন করেছেন।
আরও জানা গিয়েছে, এই পিঙ্ক পার্কগুলোতে সিসিটিভি ক্যামেরা, টয়লেট, জিম থাকবে। আবার সেখানকার দেওয়ালগুলোতে গ্রাফিটিও আঁকা থাকবে। দিল্লির মাতা সুন্দরী রোডেও এরকম ধরনের একটি পার্ক আগে থেকই রয়েছে। যেখানে ১০ বছর পর্যন্ত শিশুরা প্রবেশ করতে পারে। আর এই ধাঁচেই মহিলাদের জন্যও এই বিশেষ পিঙ্ক পার্ক তৈরি করা হবে দিল্লিতে।
'দেশি গার্ল' যে এখনও বিদেশি হয়ে যাননি, তা ফের প্রমাণিত। তুতো বোন পরিণীতি চোপড়ার (Parineeti Chopra) বাগদানের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ইতিমধ্যেই দিল্লিতে এসে পৌঁছেছেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া (Priyanka Chopra)। কিন্তু দিল্লি বিমানবন্দরে (Delhi Airport) আসতেই ঘটে গেল এক অভাবনীয় ঘটনা। কোনও বলি তারকাদের দেখলেই সাধারণ মানুষ এগিয়ে আসেন ছবি তুলতে। আর এবারে চোখের সামনে প্রিয়াঙ্কা চোপড়াকে দেখতে পেয়ে নিজেকে সামলাতে পারেননি এক অনুরাগী। প্রিয়াঙ্কার কাছে ফোন নিয়ে কাছে গেলেই রীতিমতো ধাক্কা দেন প্রিয়াঙ্কার নিরাপত্তারক্ষী। আর এই দেখেই ক্ষুব্ধ নেটিজেনরা। কিন্তু প্রিয়াঙ্কার ব্যবহার দেখলে মুগ্ধ হবেন আপনি।
শনিবার দিল্লিতে পৌঁছেছেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। বোনের বাগদান অনুষ্ঠানের জন্য তিনি নিজের দেশে ফিরেছেন। বিমানবন্দরের সেই ভিডিও বর্তমানে সমাজমাধ্য়মে ভাইরাল। যেখানে দেখা গিয়েছে, প্রিয়াঙ্কাকে দেখতেই তাঁর সামনে কিছু ফ্যান চলে আসায় একজনকে ধাক্কা দেন তাঁর নিরাপত্তারক্ষী। কিন্তু প্রিয়াঙ্কা হাঁটতে হাঁটতে থেমে যান ও ধৈর্য ধরে দাঁড়িয়ে সেই ফ্যানের সঙ্গে ছবি তোলেন।
প্রিয়াঙ্কার এমন ব্যবহারে বেজায় খুশি নেটদুনিয়া। তাঁর প্রশংসায় পঞ্চমুখ নেটিজেনরা। নেটাগরিকরা কেউ বলেছেন, 'প্রিয়াঙ্কা খুবই দয়ালু।' অনেকের মতে, তিনি এত বড় অভিনেত্রী হয়েও তাঁর মধ্যে নেই বিন্দুমাত্র অহংকার। ফলে ভিডিওর কমেন্ট বক্স ভরে গিয়েছে নেটিজেনদের ভালোবাসায়।
অধিকাংশবারই দিল্লি (Delhi) থেকে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের আধিকারিকরা আসার পরই দেখা মিলেছে অটো সক্রিয়তার। এবার কি তবে তাই হতে চলেছে! সিবিআই সূত্রের খবর, বুধবার বিকালে দিল্লি থেকে কলকাতায় (Kolkata) এলেন সিবিআইয়ের (CBI) অতিরিক্ত নির্দেশক ডিএস শুক্লা ও যুগ্ম নির্দেশক ডিসি জৈন। এই দুই অফিসারের কলকাতায় আসার পরেই জল্পনা তৈরি হয়েছে, তাহলে কি নিয়োগ দুর্নীতি বা অন্য কোনও মামলায় ফের বড় কোনও অভিযানে নামতে চলেছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি? এদিন দিল্লি থেকে বিমানবন্দরে নেমে এই দুই সিবিআই কর্তা সোজা পৌঁছে যান নিজাম প্যালেসে। সেখানে এইসব তদন্তের সঙ্গে যুক্ত অফিসারদের সঙ্গে বৈঠক করছেন তাঁরা।
সম্প্রতি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বদল হয়েছে বিচারপতি, এরপরে রাজ্যের আবেদনে বদল হয়েছে সিবিআই তদন্তকারী অফিসার। নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তকারী অফিসার ছিলেন ধরমবীর সিং। তিনি স্বেচ্ছাবসরের আবেদন জানিয়েছেন সিবিআইয়ের কাছে। তারপর আদালতে কেন্দ্রীয় এজেন্সি বলে, কল্যাণ ভট্টাচার্যকে আইও করা হোক। হাইকোর্ট তাতে সায় দিয়েছে। এর আগে যখন দিল্লি থেকে সিবিআই অফিসাররা এসে কলকাতায় বৈঠক করেছিলেন তারপর দেখা গিয়েছিল জায়গায় জায়গায় পৌঁছে গিয়ে অভিযান চালাচ্ছেন তাঁরা। তারমধ্যে বড়ঞার জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়ির অভিযান মাইলফলক হয়ে রয়েছে।
বুধবারই আবার কোর্টে সিবিআই জানিয়েছে, জীবনকৃষ্ণ তাঁর যে দু’টি মাওবাইল পুকুরে ছুড়ে ফেলেছিলেন, যা তুলতে পাক্কা ৭৪ ঘণ্টা সময় লেগে গিয়েছিল কেন্দ্রীয় এজেন্সির তা থেকে অনেক তথ্য মিলেছে। এর আগেরবার শুধু জীবনকৃষ্ণর বাড়ি নয়। তেহট্টের বিধায়ক তাপস সাহার বাড়ি, নলহাটির তৃণমূল নেতা বিভাস অধিকারীর বাড়ি ও আশ্রমে তল্লাশিও হয়েছিল। এর মাঝে আরও নানান জায়গায় হানা দিয়েছিল কেন্দ্রীয় এজেন্সি। কালীঘাটের কাকুর বাড়ি থেকে শুরু করে ১২৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর পার্থ সরকারের বাড়ি ছিল সেই তালিকায়।
ফের দিল্লি মেট্রো (Delhi Metro) নিয়ে হইহই পড়ে গিয়েছে সারা দেশে। স্বল্পবসনায় তরুণী, হস্তমৈথুনের ইত্যাদি ঘটনার পর এবারে ফের ভাইরাল এক ছেলে-মেয়ের চুম্বন করার ভিডিও। বারবার দিল্লি মেট্রোতে এমন ঘটনা ঘটায় এর আগে অভিযোগ জানানো হলেও এমন ঘটনা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। ফলে এবারে দিল্লি মেট্রোযাত্রীদেরও ক্ষোভ বাড়তে শুরু করেছে। এই কাপলের ভিডিও ভাইরাল হতেই সারা দেশে ফের সমালোচনা শুরু। বিতর্কের মুখে পড়েছে দিল্লি মেট্রো রেল কর্পোরেশন।
বিগত কয়েকমাস ধরেই দিল্লি মেট্রো খবরের শিরোনামে। কখনও ভিডিওতে দেখা গিয়েছে উদ্ভট জামা-কাপড় মেট্রোতে চড়তে, কখনও দেখা গিয়েছে মেট্রোতেই নাচ করতে বা রিলস বানাতে। এবারে যুগলের চুম্বনের ভিডিও সমাজমাধ্যমে শেয়ার হতেই এই নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে। ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, মেট্রোতে নিচে বসে ওই ছেলে-মেয়ে, ছেলে বসে আছে আর কোলে মাথা দিয়ে শুয়ে আছে মেয়েটি। এবারে আশেপাশের মানুষদের দেখে, তাঁদের তোয়াক্কা না করেই একে অপরকে চুম্বন করতে ব্যস্ত। আর এই দৃশ্যই কেই একজন ক্যামেরাবন্দি করেছেন, আর সোশ্যাল মিডিয়ায় দিতেই তা ঝড়ের গতিতে ভাইরাল। নেটিজেনরা এখন দিল্লি মেট্রোকে কেউ 'ওয়ো' বলে ও আবার কেউ 'পর্ন হাব' বলে উল্লেখ করছেন।
একাধিকবার এই ঘটনার বিরুদ্ধে দিল্লি মেট্রো রেল কর্পোরেশনের কাছে অভিযোগ করা হলেও কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। ফলে এবারে জনতা ক্ষোভপ্রকাশ করেছে ও এইসব বিরুদ্ধে খুব শীঘ্রই পদক্ষেপ নিতে বলেছে।
সুকেশ চন্দ্রশেখর ও জ্য়াকলিন ফার্নান্ডেজের সম্পর্কের (Relationship) কথা কারোর অজানা নয়। সেই সম্পর্কের টানে সুকেশ জেল থেকে জ্য়াকলিন ফার্নান্ডেজের উদ্দেশ্য়ে একটি চিঠি লেখেন। বর্তমানে দিল্লি (Delhi) মাণ্ডোলি জেলে (Jail) বন্দি সুকেশ। তবে জেলে থেকে প্রিয়তমার কথা তাঁর সবসময় মনে পড়ে। তাই মাঝে মধ্য়ে তাঁর জন্য় চিঠি লেখেন।
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার তিনি তাঁর আইনজীবী অনন্ত মালিকের হাত দিয়ে জ্যাকলিনকে ওই চিঠি পাঠান সুকেশ। চিঠিতে সুকেশ জানালেন জ্যাকলিনকে বিরাট চমক দিতে চলেছেন। ১১ ই আগস্ট ওই দিন অভিনেত্রীর জন্মদিন। সেই দিনের অপেক্ষাতেই রয়েছেন সুকেশ। চিঠির প্রতিটি ছত্রে জ্যাকলিনের প্রতি ভালবাসা প্রকাশ করেছেন তিনি।
চিঠিতে সুকেশ জ্যাকলিনের উদ্দেশে লেখেন, 'মাই বেবি গার্ল, তোমাকে খুব ভালবাসি। তোমাকে জীবনে পেয়ে আমি ধন্য। আমি প্রতি মুহূর্তে তোমার কথাই ভাবি। আমি জানি, তুমিও আমাকে পাগলের মতো ভালবাসো। আমি অপেক্ষা করে আছি তোমার জন্মদিনের। তোমার জন্য বিরাট একটা চমক অপেক্ষা করে আছে। আমি নিশ্চিত, উপহারটা তোমার ভাল লাগবে। আমি আমার কথা রাখছি কিন্তু, তুমি শুধু নিজের হাসিটা অটুট রেখো। এখন দেখার জ্য়াকলিনের জন্মদিনে কী চমক আসতে চলেছে।
কে বলে পেশার পাশাপাশি শখ পূরণ হতে পারে না! পেশা ও শখ একসঙ্গে হতে পারে না, এই কথাকে ভুল প্রমাণ করে দিল দিল্লি পুলিস (Delhi Police)। কারণ সম্প্রতি এক ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, দিল্লি পুলিসের কিছু কর্মী দিল্লির সুন্দর আবহাওয়া উপভোগ করতে গানে মেতে উঠেছেন। এক পুলিস কর্মীর হাতে বন্দুকের বদলে দেখা গেল গিটার। আর অন্যরা বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র বাজাচ্ছেন। পুলিস কর্মীর গলায় গান শুনে মুগ্ধ। তবে গান তো সবাই করে, এই পুলিস কর্মীর কন্ঠস্বর সত্যিই প্রশংসনীয়। ফলে নেটাগরিকরাও তাঁর প্রশংসা করেছেন।
কয়েকদিন ধরে দিল্লিতে বৃষ্টি হওয়ায় বর্তমানে দিল্লির আবহাওয়া মনোরম। ফলে এই আরামদায়ক আবহাওয়াকে উপভোগ করতে গান-বাজনা করতে শুরু করেছেন। জানা গিয়েছে, যিনি গান করছেন তাঁর নাম রজত রাঠোর। তিনিই এই ভিডিও তাঁর ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করে লিখেছেন, যখন নিজের দায়িত্ব ও প্যাশনকে সমানভাবে কেউ ভালোবাসে।' ভিডিওতে তাঁকে সংগীতশিল্পী আতিফ আসলামের গান 'তেরে হোনে লাগা হুঁ' গাইতে দেখা যায়। নেটিজেনরা জানিয়েছেন, তাঁর কন্ঠস্বরের প্রেমে পড়ে গিয়েছেন তাঁরা।
দিল্লি মেট্রোতে (Delhi Metro) একের পর এক ঘটনা ঘটেই চলেছে। কিছুদিন আগেই এক তরুণীকে স্বল্পবসনায় দেখে আলোচনা শুরু হয়েছিল। এরপর চুম্বন, হস্তমৈথুন ইত্যাদির মতো ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। আর এবারে নাচ। রিলসের (Reels) নেশা কম বয়সী ছেলে-মেয়েদের মধ্যে এমনভাবে বেড়ে চলেছে যে, তাঁরা কিছুই মানছেন না। রাস্তা-ঘাট, ট্রেন-মেট্রো-বিমান, যেখানে পারছে সেখানেই রিলস বানানো শুরু করে দিচ্ছে। আর এর জন্য সমস্যায় পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষদের। এই তরুণীর মেট্রোতে নাচ ও রিলস বানানো দেখে ফের হইহই পড়ে গিয়েছে।
বেশ কয়েকদিন ধরেই দিল্লি মেট্রো চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, তরুণী মুখে মাস্ক লাগিয়ে মেট্রো যাত্রীদের সামনেই রিলস বানাতে ব্যস্ত। এক পঞ্জাবি গানে উদ্দাম নাচ করে চলেছেন তিনি। নিজেই তাঁর ইনস্টাগ্রাম থেকে এই ভিডিও শেয়ার করেছেন। আবার ক্যাপশনে লিখেছেন, 'হ্যাঁ আমি জানি মেট্রোতে নাচ রিলস করার অনুমতি নেই, তবুও আমি করছি। এটা আমার মেট্রোতে প্রথমবার।'
এরপর এই ভিডিও শেয়ার হতেই ঝড়ের গতিতে ভাইরাল। ধেয়ে এসেছে নেটিজেনদের কটাক্ষও। নেট দুনিয়ার একটা বড় অংশ এতটাই রেগে গিয়েছে যে, তাঁরা দিল্লি মেট্রোর ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টেও ট্যাগ করেছেন। আর এই ধরনের বিষয়ে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন।