বিয়ের করার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন প্রেমিকা, আর এই চাপ সৃষ্টি করার জন্যই তাঁকে খুন করলেন প্রেমিক সেনা জওয়ান (Army Officer)। এমনটাই অভিযোগ উঠে এল এক সেনা জওয়ানের বিরুদ্ধে। সূত্রের খবর, ঘটনাটি দেরাদুনের (Dehradun) ও ইতিমধ্যেই সেই অভিযুক্ত সেনা জওয়ানকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।
পুলিস সূত্রে খবর, ধৃত সেনা জওয়ানের নাম রমেন্দু উপাধ্যায় ও সে বিবাহিত। অন্যদিকে প্রেমিকা তথা নিহত মহিলার নাম শ্রেয়া শর্মা। তিনি নেপালের বাসিন্দা। রমেন্দুর দেরাদুনে পোস্টিং হওয়ার পর শ্রেয়াকেও সঙ্গে করে সেখানেই নিয়ে গিয়েছিল সে। এর পর একদিন তাকে 'লং ড্রাইভ'-এ নিয়ে গিয়ে এক নির্জন এলাকায় খুন করে বলে তদন্ত করে জানতে পেরেছে পুলিস।
পুলিস তদন্ত করে আরও জানতে পেরেছে, শনিবার রাতে দেরাদুনের রাজপুরে এক ক্লাবে যান তাঁরা। সেখানে তাঁরা মদ্যপান করেন ও এর পর লং ড্রাইভ-এ বেরিয়ে যান। রাত ১ টা ৩০ মিনিট নাগাদ রমেন্দু এক নির্জন জায়গায় যায়। এর পর এক হাতুড়ি দিয়ে একাধিকবার শ্রেয়ার মাথায় আঘাত করে খুন করে তাঁকে। খুন করার পর রাস্তার ধারে মৃতদেহ ফেলে চম্পট দেয় রমেন্দু।
প্রসঙ্গত, বিবাহিত হলেও প্রায় তিন বছর ধরে শ্রেয়ার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে ছিল রমেন্দু। জানা গিয়েছে, শ্রেয়ার সঙ্গে তার আলাপ হয় এক পানশালায়। এর পর দেরাদুনে তার পোস্টিং হয়ে গেলে তার সঙ্গে শ্রেয়াকে নিয়ে যায় সে। কিন্তু দেরাদুনে যাওয়ার পর থেকেই শ্রেয়া তাকে বিয়ে করার জন্য চাপ দিতে থাকেন বলে জানা গিয়েছে। আর তার জেরেই শ্রেয়াকে নির্মম ভাবে খুন করে রমেন্দু, এমনটাই পুলিসি তদন্তে উঠে এসেছে।
ভয়াবহ অগ্নিকান্ড (Fire)। একটি বহুতলে আগুন লাগার পর গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে (Blast) মৃত্যু (Death) চার শিশুর। এমনকি আগুনে ঝলসে গেলেন বেশ কয়েক জন। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) দেহরাদুনে। আগুন লাগার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে দমকল। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন দমকলকর্মীরা। আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় ভিতরে থাকা গ্যাস সিলিন্ডারগুলির বিস্ফোরণ ঘটেছে, এমনটাই অনুমান। জানা গিয়েছে, মৃত এই চার শিশুর নাম সোনম, ঋদ্ধি, মিষ্টি এবং সেজল। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এই আগুন লাগার ঘটনাটি ঘটেছে। সুরত রাম জোশী নামে এক ব্যক্তির বাড়িতেই ঘটেছে এই ঘটনা। তাঁর বাড়িতে মোট ছটি পরিবার ভাড়ায় থাকতেন। এমনকি বাড়ির নিচে একটি আসবাপত্রের দোকান ও একটি রেশন দোকান রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বহুতলের একটি ঘরে আগুন লাগে। পরে সেই আগুন খুব তাড়াতাড়ি ছড়িয়ে পড়ে। তারপরই বেশ কয়েকটি জোরালো বিস্ফোরণ হয়। দমকল সূত্রে খবর, কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হলেও বাঁচানো যায়নি চার শিশুকে। ওই চার শিশু ছাড়া আরও কয়েক জন আগুনে ঝলসে গিয়েছেন। মূলত শর্ট সার্কিট থেকেই আগুন লেগেছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। তবে কীভাবে আগুন লাগল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে, এমনটাই দাবি দমকলবাহিনীর।
মৃত্যুমুখ থেকে বেঁচে ফিরেছেন ভারতীয় ক্রিকেটার ঋষভ পন্থ। ৩০ তারিখ ভোরে দিল্লি থেকে উত্তরাখন্ডে নিজের বাড়িতে ফেরার পথে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন তিনি। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়ি ডিভাইডারে ধাক্কা মারে। গাড়িতে আগুন ধরে যায়। কোনওভাবে প্রাণে রক্ষা পান ঋষভ। এই মুহূর্তে দেরাদুনের ম্যাক্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন পন্থ। হাসপাতালের সামনে ভিড় জমিয়েছেন অসংখ্যা অনুরাগী। সকলের একটাই প্রশ্ন কেমন আছেন তাঁদের তরুণ ক্রিকেটার? সকলের মতোই ঋষভকে দেখতে এদিন দেরাদুনে পৌঁছে যান অনিল কাপুর ও অনুপম খের। তাঁরা জানালেন ঋষভের বর্তমান শারীরিক অবস্থা।
অনিল ও অনুপম জানান, আর পাঁচজন ভক্তের মতো তাঁরাও হাসপাতালের বাইরে গিয়ে অপেক্ষা করছিলেন। মুখে মাস্ক পরে থাকায় সেভাবে কেউ চিনতে পারেননি। কিন্তু একজন ডাক্তার তাঁদের চিনতে পেরে হাসপাতালের ভিতর নিয়ে যান। ঋষভের সঙ্গে দেখাও করেছেন বলে জানিয়েছেন। মন ভালো করতে হাসিয়েছেন ঋষভকে। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও কথাবার্তা হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানালেন অনিল ও অনুপম।
দুর্ঘটনার পর তাঁর অবস্থা কী? আগের তুলনায় ঋষভের পরিস্থিতি স্থিতিশীল। দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুক এই প্রার্থনা করেন তাঁরা। পন্থের শরীরের কোনও অংশই পুড়ে যায়নি। হাত বা পায়ের বা শরীরের কোনও হাড় ভাঙেনি তাঁর। পন্থের চিকিৎসার জন্য গঠন করা হয়েছে চিকিৎসকদের একটি দল।
উল্লেখ্য, যে চোট লেগেছে, তা সারতে অনেকটাই সময় লাগতে পারে। এমনটাই জানা গিয়েছে হাসপাতাল সূত্রে। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ়ে খেলার সম্ভাবনা কার্যত নেই। এমনকি, আইপিএলও তাঁর কাছে অনিশ্চিত।
খামারবাড়ি থেকে উদ্ধার এক মহিলা ও কেয়ারটেকারের মৃতদেহ (Deadbody)। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে দেরাদুনের (Dehradun) প্রেমনগর এলাকার এক খামারবাড়িতে (Farmhouse)। কীভাবে তাঁদের মৃত্যু হল তা খতিয়ে দেখছে পুলিস। প্রাথমিক অনুমান, বিষাক্ত কিছু খেয়েছেন তাঁরা। আর সেই বিষক্রিয়ার ফলেই মৃত্যু হয়েছে তাঁদের। যদিও ঘটনাস্থল থেকে কোনও সুইসাইড নোট মেলেনি।
জানা গিয়েছে, মৃত কেয়ারটেকার হলেন আতর সিং। আর ওই মহিলার নাম কৌশল্যা দেবী, যিনি হরিয়ানার বাসিন্দা। আতর এবং কৌশল্যা দু’জনেরই বয়স ৫০। ওই খামারবাড়িতে কর্মরত ছিলেন আতর। তিনি ওই খামারবাড়ির দেখাশোনা করতেন। তাঁর সঙ্গে ওই মহিলার কী সম্পর্ক, তা এখনও জানা যায়নি।
পুলিস সূত্রে খবর, কৌশল্যা আতরের সঙ্গে দেখা করতে হরিয়ানা থেকে দেরাদুনে গিয়েছিলেন। খবর পেয়ে খামারবাড়িতে পৌঁছয় পুলিস। দু’জনের নিথর দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না। এর পিছনে অন্য কোনও রহস্য রয়েছে কিনা তাও তদন্ত করে দেখছে পুলিস।