অঙ্ক পরীক্ষা ভালো না হওয়ায় গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হল মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। চাঞ্চল্য়কর ঘটনাটি ঘটেছে দেগঙ্গার অম্বিকানগর এলাকায়। মৃতদেহের পাশ থেকে উদ্ধার হয়েছে সুসাইড নোট। জানা গিয়েছে, মৃত পড়ুয়ার নাম নাসিমা খাতুন। ঘটনায় শোকের ছায়া নেমেছে গোটা এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে দেগঙ্গা থানার পুলিস গিয়ে ঘরের দরজা ভেঙে মৃতদেহটি উদ্ধার করে।
মৃতার পরিবার সূত্রে দাবি, গতি বেড়াচাঁপা বীনাপানি বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী নাসিমার পরীক্ষার সেন্টার পড়েছিল চৌরাশী হাইস্কুলে। গতকাল বৃহস্পতিবার ছিল অঙ্ক পরীক্ষা। বাড়ি ফিরে নাসিমা তাঁর মাকে জানিয়েছিল পরীক্ষা ভালো হয়নি, যেমনটা আশা করেছিলাম। আজ অর্থাৎ শুক্রবার ভৌত বিজ্ঞান পরীক্ষা। সকাল থেকে ডাকিডাকি করেও ঘুম থেকে উঠছে না দেখে দরজা ভেঙে পরিবারের সদস্যরা দেখেন ঘরের মধ্যে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলছে নাসিমা। খবর দেওয়া হয় দেগঙ্গা থানার পুলিসকে। এরপর পুলিস মৃতদেহটি উদ্ধার করে বিশ্বনাথপুর গ্ৰামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মিড ডে মিল নিয়ে অভিযোগের যেন শেষ নেই। মিড ডে মিলের চাল স্কুলের শৌচালয়ে লুকিয়ে রাখার অভিযোগে শুক্রবার স্কুলের ২ শিক্ষককে তালাবন্দি করে বিক্ষোভ দেখান অভিভাবকরা। সেই রেশ রয়ে গিয়েছে শনিবারেও। স্কুলের শিক্ষকদের বদলির দাবিতে সরব অভিভাবকরা। ছবিটা দেগঙ্গার রাজুকবেড় অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের।
সময়মত স্কুলে আসেন না শিক্ষকরা। শিকেয় উঠেছে পঠনপাঠন। তাছাড়া দীর্ঘদিন ধরে দেওয়া হচ্ছে না মিড ডে মিল। তার উপর স্কুলের শৌচালয়ে লুকিয়ে রাখা হয়েছে মিড ডে মিলের চাল। এমনই অভিযোগে শুক্রবার স্কুলের ২ শিক্ষককে তালাবন্দি করে বিক্ষোভ দেখান অভিভাবকরা। ছবিটা দেগঙ্গার রাজুকবেড় অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। শুক্রবারের রেশ রয়ে গিয়েছে শনিবারেও। ক্ষোভে ফুঁসছেন অভিভাবকরা। অভিযোগ, মিড ডে মিলের চাল চুরি হচ্ছে। যত সংখ্যক মিড ডে মিল পরিবেশন করা হয়, তার থেকে বেশি সংখ্যা দেখানো হয় খাতায়-কলমে। তবে কী বিরোধীদের অভিযোগে শিলমোহর? প্রশাসনের একাধিক দফতরে অভিযোগ জানিয়েও মেলেনি সুরাহা। এখন স্কুলের শিক্ষকদের বদলির দাবি জানিয়েছেন অভিভাবকরা।
জানা গিয়েছে, বিদ্যালয়ের মোট ছাত্র সংখ্যা ৫০। খাতায় কলমে ৫০ জন ছাত্রছাত্রী থাকলেও কোনওদিন উপস্থিত থাকে ৮-১০ জন। কোনও দিন তারও কম। আর বর্তমানে শিক্ষকের সংখ্যা ২। তাও ২ শিক্ষকের মধ্যে নেই সুসম্পর্ক। সব মিলিয়ে চরম অব্যবস্থা দেখা দিয়েছে গোটা বিদ্যালয় জুড়ে। যদিও অভিযোগ সামনে আসতেই স্কুলের টিচার ইনচার্জের ঘাড়ে দায় চাপিয়েছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক।
তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষের। মিড ডে মিল নিয়ে অভিযোগের যেন শেষ নেই। প্রতিদিনই ভিন্ন ভিন্ন অভিযোগ উঠে আসছে। তবে শিক্ষাক্ষেত্রেই যদি দুর্নীতি হয় তাহলে শিশুরা কী শিখবে? অভিযোগের শেষ কোথায়? প্রশ্নগুলো থেকেই যায়।
এক সপ্তাহে দু'বার। ফরাক্কার পর এবার উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গায় বোমা বিস্ফোরণ। ঘটনায় আহত এক কিশোর। জানা গিয়েছে, তৃণমূল পার্টি অফিসের পিছনে পড়ে ছিল একটি ব্যাগ। সেই ব্যাগ খুলতেই বের হয় বোমা। আর সেই বোমাকে বল ভেবে খেলতে গিয়ে জখম হয় ওই কিশোর। রবিবার সকালে এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দেগঙ্গার কলসুরে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, আহত কিশোরের নাম আরমান গাজী (১২)। এদিন সকালে তৃণমূলের পার্টি অফিসের পিছনের রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল আরমান। সেই সময় তার নজরে আসে একটি ব্যাগ। সেই ব্যাগ খুলে বোমা হাতে নিয়ে বল ভেবে খেলতে শুরু করে। আর সেই বোমা ফেটেই জখম হয় কিশোর। বোমা বিস্ফোরণের শব্দ পেয়ে স্থানীয়রা ছুটে এসে দেখেন আহত অবস্থায় আরমান মাটিতে পড়ে রয়েছে। এরপর তাকে তড়িঘড়ি উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় বাদুড়িয়া ব্লকের রুদ্রপুর হাসপাতালে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিস।
পুলিস সূত্রে খবর, তৃণমূলের পার্টি অফিসের পিছনের বাগান থেকে আরও তিনটে তাজা বোমা উদ্ধার করা হয়েছে। তবে রাজ্যে একের পর এক বোমা বিস্ফোরণে শিশুর আহত হওয়ার ঘটনায় বেশ আতঙ্কিত রয়েছেন সাধারণ মানুষ।
আবাস যোজনার ঘর পেতে প্রতারণা শিকার হলেন এক মহিলা। ঘর দেওয়ার নাম করে ওই মহিলার কাছ থেকে কুড়ি হাজার টাকা নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে দেগঙ্গা ব্লকের কালিয়ানী এলাকায়। ঘটনায় আতঙ্কিত এলাকাবাসী।
জানা গিয়েছে, রবিবার সন্ধ্য়ায় ওই মহিলাকে বিডিও অফিস থেকে ফোন করে বলা হয় যে আপনার আবাস যোজনায় নাম এসেছে। তবে ঘরের টাকা পাওয়ার বিষয়ে আপনি পঞ্চায়েত সদস্য বা প্রধানকে বলবেন না। কারণ তাঁদেরকে বললে আপনার কাছ থেকে দশ, কুড়ি হাজার টাকা নিয়ে নেবে। এই বলে ওই মহিলাকে একটি সাইবার ক্য়াফে যেতে বলা হয়। এরপর ওই মহিলা সাইবার ক্য়াফে যাওয়ার পর তাঁকে কুড়ি হাজার টাকা একটি নির্দিষ্ট অ্য়াকাউন্টে পাঠাতে বলা হয়।
২২ দিন আগে ওই মহিলার স্বামী মারা গেছেন। যার ফলে একদিকে ভাঙাচোরা বাড়ি অন্যদিকে স্বামী মারা যাওয়ার শোকে তিনি কিছু না ভেবেই ওই নির্দিষ্ট অ্য়াকাউন্টে কুড়ি হাজার টাকা পাঠান। তারপর থেকেই বন্ধ হয়ে যায় ওই ভুয়ো বিডিও অফিস থেকে আসা ফোন নম্বর। এরপর থানায় অভিযোগ নিয়ে গেলে অভিযোগকারী ওই গৃহবধূকে বারাসত সাইবার ক্রাইম দফতরে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে পুলিসের পক্ষ থেকে।
অভিযোগকারী গৃহবধূর দাবি, অচেনা এক ব্যক্তি তাঁকে সরকারি ঘর পাইয়ে দেওয়ার নাম করে ফোন করে। এরপর এক লক্ষ ২০ হাজার টাকা দেওয়ার বিনিময়ে অনলাইনের মাধ্যমে কুড়ি হাজার টাকা নিয়ে নেওয়া হয়। তারপর থেকে তাঁর ফোন সুইচ অফ। তাঁর সঙ্গে আর যোগাযোগ করা যায় নি। অবশেষে অসহায় মহিলা প্রতারিত শিকার হয়ে দেগঙ্গা থানার পুলিসের দ্বারস্থ হয়।
রাজ্য়ে আবারও ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে মৃত্য়ু হল এক যুবকের। হাসপাতালের বিরুদ্ধে উঠেছে গাফিলতির অভিযোগ। জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম সরিফুল ইসলাম (২৪)। দেগঙ্গার কুমরুলী গ্ৰামের বাসিন্দা। কিন্তু হাসপাতাল থেকে মৃত্য়ুর কারণ হিসেবে ডেঙ্গির বদলে সেফটিসেমিয়া উল্লেখ করা আছে। পরিবারের একমাত্র পুত্র সন্তান সরিফুলের মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছে তাঁর পরিবার।
পরিবার সূত্রে খবর, প্রথমে সরিফুলের মা ও বোন ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়। তারপর সুস্থ হওয়ার আগেই ডেঙ্গি আক্রান্ত হয় সরিফুল নিজেই। শনিবার তাঁর জ্বর আসলে প্রথমে তাঁকে বিশ্বনাথপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে রক্তের রিপোর্ট করালে এনএসওয়ান পজিটিভ আসে বলে পরিবারের দাবি।
রবিবার সকালে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় বারাসত জেলা হাসপাতালে। রবিবার সন্ধ্যায় বারাসত হাসপাতালে মৃত্য়ু হয় সরিফুল ইসলামের। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ডেঙ্গির সমস্ত রিপোর্ট আটকে রেখে দিয়ে মৃত দেহ দেওয়ার সময় ডিসচার্জ সার্টিফিকেটে মৃতুর কারণ হিসেবে সেফটিসেমিয়া উল্লেখ করায় ক্ষোভ মৃত যুবকের পরিবার পরিজনদের। বাড়ির একমাত্র রোজগেরে যুবকের মৃত্যুতে অসহায় হয়ে পড়েছে তাঁর পরিবার।
রাতের অন্ধকারে মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে প্রাণে মারার হুমকি (Threat)। দুই যুবকের কাছ থেকে দুটি দামি মোবাইল (Mobile) ফোন নিয়ে চম্পট দিল দুষ্কৃতীরা। শনিবার, এই ঘটনাটি ঘটেছে দেগঙ্গার সোহাই এলাকায়। জানা গিয়েছে, ওই দুই যুবকের নাম আবিদ হোসেন ও মহম্মদ সাই হোসেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বেশ আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। দেগঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগ পেয়ে ইতিমধ্য়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
ওই দুই যুবক জানিয়েছে, শনিবার রাতে দেগঙ্গার সোহাই এলাকায় বেলিয়াঘাটা-ঈছাপুর রোড দিয়ে পায়ে হেঁটে বাড়ি ফিরছিলেন দুই যুবক। অভিযোগ, সেই সময় দুটি মোটরবাইকে চার দুষ্কৃতী হেলমেট পড়া অবস্থায় তাঁদের পথ আটকে মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এরপর দুটি মোবাইল ফোন নিয়ে চম্পট দেয় ওই চার দুষ্কৃতীরা। এখন দুই যুবকের দাবি, তাঁরা যেন তাঁদের ফোনটা ফিরে পায়। এই পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে দেগঙ্গা থানার পুলিস।
পঞ্চায়েত নির্বাচন মিটলেও রাজ্যের জেলায় জেলায় উদ্ধার (Recovery) হয়ে চলেছে বোমা (Bomb)। শনিবার মুর্শিদাবাদের সালার (Salar) থানার অন্তর্গত খাঁড়েরা গ্রামে এই ঘটনাটি ঘটেছে। খাঁড়েরা গ্রামের ক্যানেল পাড় ও উপসাস্থ্য কেন্দ্র থেকে মোট ১৪ টি বোমা উদ্ধার করেছে সালার থানার পুলিস। বোমাগুলিকে উদ্ধার করে তা নিষ্ক্রিয় করার জন্য পুলিস খবর দেয় বোম স্কোয়াডকে। কিছুক্ষণ পর ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বোম স্কোয়াডের আধিকারিরা এবং উদ্ধার করা বোমাগুলিকে নিষ্ক্রিয় করে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। কে বা কারা এই বোমা গুলি মজুত করেছে তাও খতিয়ে দেখছে পুলিস (Police)।
একইভাবে শনিবার উত্তর ২৪ পরগণার দেগঙ্গা (Deganga) হরিণখোলার একটি পরিত্যাক্ত দোকানেও উদ্ধার হয়েছে একটি তাজা বোমা। বোমাটি উদ্ধার করে দেগঙ্গা থানার পুলিস। বোম স্কোয়াডের পক্ষ থেকে ওই বেমাটিকেও ইতিমধ্যেই নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। তবে কে বা কারা বারবার এই ধরনের বোমা মজুত করে চলেছে তার তদন্ত শুরু করেছে দেগঙ্গা থানার পুলিস। ঘটনাকে ঘিরে বেশ চাঞ্চল্য এলাকায়।
দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে মারধরের ঘটনায় ইতিমধ্যেই উত্তেজনা ছড়িয়েছে মালদহে। আর এই ঘটনার মধ্যেই মালদহের (Malda) হরিশচন্দ্রপুর হাসপাতাল এলাকার পিছনদিকে একটি ইটভাটা সংলগ্ন ধানক্ষেত থেকে তিনটি তাজা বোমা (Bomb) উদ্ধার হয়েছে। যদিও বোমাগুলি উদ্ধার করেছে হরিশচন্দ্রপুর থানার পুলিস (Police)। এমনকি ওই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছে বোম স্কোয়াডের আধিকারিকরাও। উদ্ধার হওয়া বোমাগুলি নিষ্ক্রিয় করা হবে। বর্তমানে ওই এলাকা পুলিসের কড়া নজরদারিতে রয়েছে। এমনকি কে বা কারা বোমাগুলি ওই এলাকায় রেখেছে তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
অন্যদিকে, উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গায় (Deganga) উদ্ধার হয়েছে তাজা বোমা। জনবহুল এলাকায় রাস্তার পাশেই পড়েছিল বোমাটি। ঘটনার চাঞ্চল্য এলাকায়। এই ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শী এক স্থানীয়র দাবি, তিনি শনিবার সকালে ওই রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন। ঠিক সেই সময়ই তিনি এই বোমাটিকে দেখতে পান। তবে বেমাটিকে প্রথমে দেখে তাঁর দড়ির বাণ্ডিল মনে হলেও পরে তিনি বুঝতে পারেন ওটা বোম। আর তারপরেই তড়িঘড়ি করে বাকি এলাকাবাসীদের খবর দেন এবং পুলিসকেও জানান।
তৃণমূলের (TMC) সঙ্গে সিপিআইএম (CPIM) ও আইএসএফের (ISF) সংঘর্ষ, বোমাবাজি। এই বোমাবাজির ফলে ৫ জন তৃণমূল কর্মী আহত (Injured) হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গা (Deganga) থানার অন্তর্গত আমুলিয়া পঞ্চায়েতের বোড়ামাড়ি এলাকায়। সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দেগঙ্গা থানার পুলিস (Police)। পুলিস আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যায়। এমনকি ঘটনাস্থল থেকে বেশ কিছু তাজা বোমাও উদ্ধার করে পুলিস।
তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের অভিযোগ, শুক্রবার সকালে মসজিদ থেকে নামাজ পড়ে বাড়ি ফেরার সময় তাঁদের উপর হামলা চালায় সিপিআইএম ও আইএসএফ কর্মীরা। তারপরেই শুরু হয় বেধড়ক মারধর এবং বোমাবাজি। এই ঘটনায় আহতও হয়েছেন ৫ জন তৃণমূল কর্মী, এমনটাই অভিযোগ করছে শাসক দলের কর্মীরা।
পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election) মুখে ফের উত্তপ্ত দেগঙ্গা (Deganga)। ভোটের প্রচার চলাকালীন তৃণমূলের মিছিলে বোমা মারার অভিযোগ উঠল। ঘটনায় মৃত্যু হয় ১৭ বছরের এক তরুণের। মৃতের নাম ইবরাম হোসেন। মৃত তরুণ এক তৃণমূল সমর্থকের ভাইপো বলে জানা গিয়েছে। সিপিএম এবং আইএসএফ-এর বিরুদ্ধে বোমা মারার অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। উল্লেখ্য, মঙ্গলবারই দেগঙ্গার আরও দুই জায়গায় অশান্তির ঘটনা ঘটে। বোমা হামলারও অভিযোগ উঠেছে।
জানা গিয়েছে, দেগঙ্গার শোয়াইসেতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের গাঙার্টি গ্রামে প্রচার চালাচ্ছিলেন তৃণমূলের সমর্থকরা, মিছিলও চলছিল। অভিযোগ, ঠিক সেইসময় মিছিলকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়া হয়। গুরুতর জখম অবস্থায় একাদশ শ্রেণির ওই পড়ুয়াকে দেগঙ্গা ব্লকের বিশ্বনাথপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু, চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
নিহতের কাকা তৃণমূলের সমর্থক বলে জানা গিয়েছে। তাঁর দাবি, মিছিল করে যাওয়ার সময় সিপিএম ও আইএসএফ সমর্থকরা বোমা ছোড়ে। তখন তাঁর ভাইপো ছিল মিছিলে। দোষীদের কঠোর শাস্তি দাবি করেছেন তিনি।
বারাসত-হাসনাবাদ শাখার ট্রেনের (Train) সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী (Suicide) হন এক সিভিক ভলেন্টিয়ার। বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে দেগঙ্গা (Deganga) থানার বারাসত-হাসনাবাদ শাখার ভাসিলা-হাড়োয়া রোড ষ্টেশনের মাঝে বনবিবি তলায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছয় দেগঙ্গা থানার পুলিস (Police)। শুক্রবার ভোরে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বারাসত নিয়ে যাওয়া হয় রেল পুলিসের তরফে। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
পুলিস সূত্রে খবর, মৃত ওই যুবকের নাম ডেভিড দেবনাথ(৩২)। তিনি দেগঙ্গা থানার সিভিক ভলেন্টিয়ার ছিলেন। বৃহস্পতিবার রাতে বারাসত-হাসনাবাদ শাখার ভাসিলা-হাড়োয়া রোড ষ্টেশনের মাঝে বনবিবি তলায় শেষ ডাউন ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দেন ওই যুবক।
মৃতের পরিবার সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে সাইকেল নিয়ে বার হন ডেভিড। রাতে বাড়ি ফিরছে না দেখে তাঁর স্ত্রী ফোন করেন। কিন্তু সেই মুহূর্তে স্থানীয় এক ব্যক্তি ডেভিডের ফোনটি ধরে আত্মহত্যার কথা জানান। তারপরেই ঘটনাস্থলে যায় পুলিস।
ভুয়ো পুলিসের (Fake police) পরিচয় নিয়ে প্রকাশ্য় বাজারে ঘুরে বেড়াচ্ছিল একদল ব্যক্তি। আর সেখান থেকেই এক স্বর্ণকারকে অপহরণ করার ছবি প্রকাশ্যে আসে। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে দেগঙ্গা (Deganga) থানার বেড়াচাঁপা এলাকায়। অপহরণের দৃশ্য বন্দী হয়েছে সিসিটিভি (Cctv) ক্যামেরায়। অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করেছে দেগঙ্গা থানার পুলিস। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে খবর, মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা হীরা জয়ওয়াল (৩৫) বেড়াচাঁপায় দোকান ঘড় ভাড়া নিয়ে সোনা ও রুপো গালানোর কাজ করেন। রবিবার বিকেল তিনটে নাগাদ একটি দামি চারচাকা গাড়িতে পাঁচজন ব্যক্তি পুলিস পরিচয় দিয়ে ওই স্বর্ণকারের দোকানে ঢুকে ব্যাগে করে সোনা রুপো নিয়ে স্বর্ণকারকে তুলে নিয়ে চলে যায়। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা পুলিস আটক করেছে ভেবে দেগঙ্গা থানায় খবর নেন। এরপর দেগঙ্গা থানা থেকে জানানো হয় তারা বা অন্য কোনো থানার পুলিস বেড়াচাঁপায় কাউকে আটক করেননি। তারপরেই ব্যবসায়ী সমিতি থেকে লিখিত অভিযোগ জানানো হয় থানায়।
এদিন দেগঙ্গা থানায় অভিযোগ পাওয়ার পরেই পুলিস তৎপর হতেই রাতের মধ্য়েই ফিরে আসে স্বর্ণকার। এরপর দেগঙ্গা থানার পুলিস স্বর্ণকারকে দেগঙ্গা থানায় নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। আদৌ কি ভুয়ো পুলিস পরিচয় না কি অন্য কোনও ব্যবসায়িক কারণে তাঁকে অপহরণ করা হয়েছিল তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে দেগঙ্গা থানার পুলিস।
সাইকেল চোরকে (Cycle Theft) হাতেনাতে ধরে মারধর (Beaten) করার ঘটনা। ওই চোরকে পিলারে বেঁধে মারধর করে পুলিসের (Police) হাতে তুলে দেন উত্তেজিত জনতা। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে দেগঙ্গা (Deganga) থানার অন্তর্গত দেগঙ্গা বাজার এলাকায়। ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে দেগঙ্গা থানার পুলিস। অভিযুক্তকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিস।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সোমবার সকালে দেগঙ্গা বাজারে এক ছাত্রীর সাইকেল চুরি করার সময় হাতেনাতে ধরা হয় ওই চোরকে। তারপরেই অভিযুক্ত যুবককে ধরে একটি পিলারে দড়ি দিয়ে বেঁধে মারধর করা হয় স্থানীয়দের পক্ষ থেকে। স্থানীয়দের দাবি, বেশ কয়েকদিন ধরেই সাইকেল চুরির ঘটনা ঘটে চলেছে। তবে টিউশন পড়তে আসা ছাত্রছাত্রীদেরই সাইকেল বেশি পরিমাণে চুরি হয়ে যেত। তবে সোমবার এই ঘটনার অবসান ঘটল।
মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনা (Accident)। বালি বোঝাই লরির ধাক্কায় মৃত্যু (Death) হল এক যুবকের। শুক্রবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে দেগঙ্গা (Deganga) থানার অন্তর্গত বেড়াচাঁপা-হাড়োয়া রোডের গড়পাড়া এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিস (Police)। পুলিস মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠায়। ইতিমধ্যেই ঘাতক লরিটিকে আটক করেছে পুলিস। তবে ঘটনার পর থেকেই পলাতক লরির চালক। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। পুলিস সূত্রে খবর, মৃত যুবকের নাম স্বপন মণ্ডল (২৪)।
এই ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, শুক্রবার সকালে মোটরবাইক চেপে হাড়োয়া রোড ষ্টেশনে ট্রেন ধরতে যাচ্ছিলেন ওই যুবক। তখনই গড়পাড়া এলাকায় সামনে থেকে আসা একটি মোটরবাইকের ধাক্কায় রাস্তায় ছিটকে পড়েন সে। আর ঠিক সেই সময়ই পিছন দিক থেকে আসা একটি দ্রুতগতির বালি বোঝাই ট্রাক পিষে দিয়ে চলে যায় ওই যুবককে। তাঁদের দাবি, ঘটনার পরেই খবর দেওয়া হয় পুলিসে। তারপরেই স্থানীয়রা সঙ্গে সঙ্গে গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে বিশ্বনাথ পুর গ্ৰামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানেই ওই যুবককে মৃত বলে ঘোষণা করেন হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা।
সাইকেল চোর (Theft) সন্দেহে এক যুবককে গণধোলাই (Beaten)। গণধোলাই দিয়ে ওই যুবককে পুলিসের (Police) হাতে তুলে দিল উত্তেজিত এলাকাবাসী। এই ঘটনাটি ঘটেছে দেগঙ্গার (Deganga) মানিকপুর এলাকায়। রক্তাক্ত অবস্থায় ওই যুবককে উদ্ধার করে বিশ্বনাথপুর গ্ৰামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিস। চিকিৎসার পর অভিযুক্ত যুবককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে দেগঙ্গা থানার পুলিস।
এলাকাবাসীদের অভিযোগ, মঙ্গলবার মানিকপুর এলাকায় এক ব্যাক্তির সাইকেল চুরি করে পালায় ওই যুবক। তখনই এলাকাবাসীদের হাতনাতে ধরা পড়ে অভিযুক্ত যুবক। তখনই অভিযুক্ত যুবককে গাছে বেঁধে গনধোলাই দেয় উত্তেজিত এলাকাবাসী। তারপরেই ঘটনাস্থলে দেগঙ্গা থানার পুলিস পৌঁছায় এবং রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে বিশ্বনাথ পুর গ্ৰামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায় চিকিৎসার জন্য।
অভিযোগকারী ওই ব্যক্তি জানান, ওই যুবক বাড়ির মধ্যে ঢুকে সিঁড়ির তলা থেকে সাইকেলটি চুরি করে। সাইকেল চুরি করে রেলগেট দিয়ে পালানোর সময় গ্রামের কয়েকজন সাইকেলটি চিনতে পেরে তাকে সাইকেল সম্বন্ধে প্রশ্ন করে। তখন ওই যুবক সবাইকে বলে ওই সাইকেলটি তার। তারপরে এলাকাবাসীরাই চোরকে সাইকেল সহ ধরে বাড়িতে নিয়ে আসে।