
বিবাহ জীবনের সমস্যা নিয়ে ফের চর্চায় নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি এবং তাঁর স্ত্রী আলিয়া সিদ্দিকি। স্ত্রী আলিয়া সিদ্দিকির বিরুদ্ধে মানহানি মামলা দায়ের করেছেন অভিনেতা। নওয়াজউদ্দিনের বিরুদ্ধে অনেক আগেই গৃহহিংসার অভিযোগ করেছিলেন আলিয়া। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে এবার বউদির পাশে দাঁড়িয়ে বিতর্কে যোগ দিলেন তাঁর ভাই শামাস সিদ্দিকি।
স্ত্রী এবং ভাইয়ের এহেন অভিযোগের তীব্র জবাব দিতেই আলিয়া এবং শামাসের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করেন অভিনেতা নওয়াজউদ্দিন। সেই মামলার ক্ষতিপূরণ হিসেবে ১০০ কোটি টাকা দাবি করেন অভিনেতা। এই ক্ষেত্রে শামাস তাঁর দাদা নওয়াজউদ্দিনের গোপনীয় সকল তথ্য ফাঁস করে দিয়েছে বলে খবরে প্রকাশ। এক সংবাদমাধ্যমে আলিয়া ডিভোর্সের কথা জানান। এছাড়াও আলিয়া আরও বলেন, 'এই লড়াইয়ে তিনি শেষ পর্যন্ত লড়ে যাবে তার সন্তানদের নিজের কাছে রাখার জন্য।'
এক অনুষ্ঠানে জাভেদ আখতারকে (Javed Akhtar) নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন কঙ্গনা রানাউত (kangana Ranaut)। সেই বক্তব্যের ভিত্তিতে ২০২০ সালে তাঁর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা (Defamation Case) করেন বিখ্যাত লেখক তথা সুরকার জাভেদ আখতার। প্রায় আড়াই বছর ধরে সেই মামলা চলছে মুম্বইয়ের আন্ধেরি মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে। সেই মামলায় এবার আদালতে ধাক্কা খেলেন কঙ্গনা রানাউত। সাক্ষী হিসেবে বোনকে আদালতে পেশ করতে চেয়েছিলেন অভিনেত্রী, সেই আবেদন শুক্রবার খারিজ করে দিল মহামান্য আদালত।
ইতিমধ্যেই জাভেদ আখতার এই মামলায় দ্রুত শুনানির আবেদন করেন। অন্যদিকে কঙ্গনা রানাউত এই মামলায় তাঁর বোন রঙ্গোলিকে সাক্ষী বানানোর আনবেদন করেন। সেই আবেদন খারিজ করে আদালত। একই সঙ্গে আগামী ১৯ এপ্রিল থেকে এই মামলায় শুনানির নির্দেশ দেন। আদালত উক্ত দিনে সাক্ষী বক্সে হাজির থাকবে জাভেদ আখতার। তাঁর নিজের মামলা তিনিই শোনাবেন আদালতকে। এরপর কঙ্গনার উকিল তাঁকে পাল্টা জেরা করবেন। অর্থাৎ একদিকে প্রবীণ সুরকার অন্যদিকে অভিনেত্রী সমুখ সমরে দাঁড়াবেন।আদালতে শেষ পর্যন্ত কে সঠিক প্রমাণিত হয়, এখন সেইটাই দেখার।
ডায়মন্ড হারবার আদালতের বিচারকের কাছ থেকে রিপোর্ট তলব কলকাতা হাইকোর্টের। ১৪ দিনের মধ্যে ওই রিপোর্ট হাইকোর্টে জমা করতে হবে। নির্দেশ বিচারপতি শুভাশিস দাশগুপ্তের।
উল্লেখ্য, ডায়মন্ড হারবার আদালতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করেন। ওই মামলা ডায়মন্ড হারবার আদালত থেকে অন্য আদালতে স্থানান্তরের জন্য কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন জানান শুভেন্দু অধিকারী। কলকাতা হাইকোর্টের পূর্ববর্তী নির্দেশ ছিল, হাইকোর্টে বিচারাধীন মামলার জন্য অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন না।
কিন্তু ডায়মন্ড হারবার আদালত শুভেন্দু অধিকারীকে লিখিত স্টেটমেন্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ জারি করে। এক্ষেত্রে নিম্ন আদালতের মন্তব্য ছিল, কলকাতা হাইকোর্ট অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নির্দেশ দিয়েছে, কিন্তু নিম্ন আদালতকে কোনও নির্দেশ জারি করেনি।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি দাশগুপ্তর নির্দেশ, কলকাতা হাইকোর্টে মামলা বিচারাধীন থাকা অবস্থায় নিম্ন আদালতের বিচারক কিভাবে এই নির্দেশ জারি করতে পারেন। এই বিষয়ে একটি রিপোর্ট তাঁকে কলকাতা হাইকোর্টের কাছে জমা দিতে হবে।
কঙ্গনা রানাউত (Kangna Ranaut) তারকা হতে পারেন। কিন্তু তিনি একটি মামলায় অভিযুক্তও বটে। সম্প্রতি মুম্বইয়ের এক আদালত এভাবে কটাক্ষ করেছেন বলিউডের কুইনকে। জাভেদ আখতারের (Javed Akhtar) দায়ের করা মানহানি মামলায় তাঁকে যাতে শারীরিক হাজিরা দিতে না হয়। এই আবেদন করে আদালতের (Mumbai Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিনেত্রী। কঙ্গনার সেই আবেদনও খারিজ করে দিয়েছে ক্ষুব্ধ বিচারক আরআর খান।
মঙ্গলবার বিচারক এই রায় দিলেও বৃহস্পতিবার প্রতিলিপি সংবাদ মাধ্যমের হাতে এসেছে। পেশাগত ব্যস্ততার কারণে তিনি কোর্টের তলবে হাজিরা দিতে পারবেন না। তাই অনুগ্রহ করে তাঁর শারীরিক হাজিরায় অব্যহতি দিক আদালত। এই মর্মেই আদালতে দ্বারস্থ হয়েছিলেন কঙ্গনার আইনজীবী।
কিন্তু এদিন ক্ষুব্ধ বিচারক বলেছেন,'নিজের মর্জি মতো চলছেন অভিনেত্রী এবং চেষ্টা করছেন মামলার শুনানিকেও সেই পথে চালাতে। তাই তাঁর কোনও অধিকার নেই অব্যাহতি পাওয়ার। অভিযুক্তকে আইনের শর্ত মেনেই চলতে হবে।'
বিচারক বলেছেন, 'তাঁর বিরুদ্ধে থাকা অভিযোগ খারিজে আদালতকে সহযোগিতার কোনও ইঙ্গিত দেয়নি অভিযুক্ত।' এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, নভেম্বর ২০২০-তে কঙ্গনার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করেন জাভেদ আখতার। বৈদ্যুতিন মাধ্যমে তাঁকে উদ্দেশ্য করে কটূক্তি করে তাঁর সম্মানহানি করেছেন কঙ্গনা। এই অভিযোগেই মামলা দায়ের করেন তিনি।