জাতীয় সঙ্গীত অবমাননা হয়েছে। বিজেপি বিধায়কদের বিরুদ্ধে কলকাতা পুলিসে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। ওই ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টেও এবার মুখ পুড়েছিল রাজ্য সরকারের। বিজেপি বিধায়কদের কোনওভাবেই গ্রেফতার করা যাবে না। মৌখিকভাবে নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। এবার জাতীয় সঙ্গীত অবমাননার তদন্তের উপর অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। রাজ্যের কাছে হলফনামা তলব করেছেন বিচারপতি। আগামী ১০ জানুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানি।
বিধানসভার ভিতরে জাতীয় সঙ্গীতের অবমাননা হয়েছে। এমন অভিযোগ বিজেপি বিধায়কদের বিরুদ্ধে। কোথায় জাতীয় সঙ্গীত বাজছিল? আর কোথায় তখন ওই বিধায়করা ছিলেন? তা খতিয়ে দেখা হয়নি। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে হেনস্থা করতে এই এফআইআর করেছে রাজ্যের শাসক দল। বিরোধী দল বিজেপির সঙ্গে প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে তৃণমূল। এদিন আদালতে বিজেপি বিধায়কদের তরফে আইনজীবীর এমন বক্তব্যই ছিল। বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর এজলাসে মামলার আবেদন করা হয়েছিল। বিচারপতি মৌখিকভাবে জানিয়ে দেন, কোনওভাবেই বিজেপি বিধায়কদের গ্রেফতার করা যাবে না। জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার বিষয় নিয়েও মন্তব্য করেছেন বিচারপতি।
উল্লেখ্য, ২৯ নভেম্বর তৃণমূল এবং বিজেপির জোড়া কর্মসূচি ছিল বিধানসভা চত্বরে। সে দিনই বিজেপি বিধায়কদের বিরুদ্ধে জাতীয় সঙ্গীতের অবমাননার অভিযোগ ওঠে। পরে তাঁদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়। এবার তাঁরা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন।
বিগত বেশ কয়েক মাসে বারবার সংবাদ মাধ্যমের পাতায় উঠে এসেছে বলিউড ও দক্ষিণী সিনেমা জগতের জনপ্রিয় মিউজিক কম্পোজার এবং গায়ক এআর রহমানের (AR Rahman) নাম। কখনও কনসার্ট করতে গিয়ে রাতের সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ায় মঞ্চে উঠে তাঁর গান থামিয়েছেন পুলিস। সম্প্রতি আবার তাঁরই কনসার্টে চরম অব্যবস্থার অভিযোগ উঠেছিল। এবার তাঁর বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ উঠল।
সম্প্রতি এক চিকিৎসকের দল সঙ্গীত জগতের এই তারকার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। সার্জনদের একটি অ্যাসোসিয়েশন এএসআইসিওএন, তাঁর বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ তুলেছেন। তাঁদের অভিযোগ ২০১৮ সালে গায়কের সঙ্গে একটি মিউজিক কনসার্টের চুক্তি হয়েছিল। একটি কনসার্ট করবেন বলে গায়ক না কি তাঁদের থেকে অগ্রিম ২৯ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন। কিন্তু তার পরিবর্তে কোনও অনুষ্ঠানে করেননি।
যদিও এই অভিযোগ শোনার পরেই পদক্ষেপ করেছেন গায়ক। পাল্টা সার্জনদের অ্যাসোসিয়েশনের বিরুদ্ধে মানহানের অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। একইসঙ্গে ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য ১০ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ চেয়েছেন।
আচার্য তথা রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে মানহানির নোটিস। প্রাক্তন উপাচার্যদের তরফে চার পাতার এই নোটিস পাঠানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, রাজ্যপালের কোনও এক বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতেই নোটিস পাঠানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, আচার্য ক্ষমা না চাইলে মামলার পথে হাঁটার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রাক্তন উপাচার্যরা।
বৃহস্পতিবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করেন প্রাক্তন উপাচার্যরা। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ওমপ্রকাশ মিশ্র, দেবনারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায়রা, আশুতোষ ঘোষেরা। তাঁদের অভিযোগ, বাংলার শিক্ষাকে ধ্বংস করছেন রাজ্যপাল আইন মেনে কিছুই করছেন না। প্রয়োজনে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলুন। তাঁদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগগুলো আনা হয়েছে, তারই প্রতিবাদ স্বরূপ মানহানির নোটিস পাঠানো হয়েছে তাঁকে।
সম্প্রতি,রাজ্যপাল জানিয়েছিলেন, সরকার মনোনীত উপাচার্যদের নিয়োগ করা যায়নি, কারণ তাঁরা কেউ দুর্নীতিগ্রস্থ, কেউ রাজনীতির খেলা খেলেছেন, কেউ আবার ছাত্রীদের হেনস্থা করেছেন। যা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয় রাজনৈতিক মহলে।
রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে আইনি নোটিস পাঠালেন উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য ওমপ্রকাশ মিশ্র। রাজ্যপালকে সাত দিনের মধ্যে লিখিত ভাবে ক্ষমা চাইতে বলেছেন তিনি। অন্যথায় করা হবে আইনি পদক্ষেপ।
সূত্রের খবর, ওমপ্রকাশের আইনজীবীর পাঠানো ওই নোটিসে বলা হয়েছে, গত ১ জুলাই রাত ১১টা ৫০ মিনিটে এক জনের কাছ থেকে একটি হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ মারফত জানতে পারেন, তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যপাল। সেই তথ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। সংবাদমাধ্যমেও প্রকাশিত হয়।
ওমপ্রকাশের আইনজীবীর পাঠানো নোটিশে বলা হয়েছে, এই অভিযোগ মিথ্যা। এতে ওমপ্রকাশের সম্মানহানি হয়েছে। তাই রাজ্যপালকে লিখিতভাবে ক্ষমা চাইতে হবে।
উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য ওমপ্রকাশের বিরুদ্ধে জমি হস্তান্তরে দুর্নীতি, শিক্ষক ও কর্মীদের বেতন বৃদ্ধি সংক্রান্ত বিষয়ে বেনিয়ম-সহ একাধিক অভিযোগের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যপাল। তদন্ত করবেন বর্তমান উপাচার্য রথীন বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিমান বসু (Biman Basu), মহম্মদ সেলিম (Md Salim) ও শতরূপ ঘোষের (Shatarup Ghosh) বিরুদ্ধে আগেই মানহানির মামলা করেছিলেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। এবার সেই মামলায় তিন বাম নেতাকে সমন পাঠাল নিম্ন আদালত। আগামী ১৩ জুন এই তিন নেতাকেই আদালতে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কেন কুণাল ঘোষ মামলা করেছিলেন? শতরূপের গাড়ি কাণ্ড ঘিরেই এই তরজার সূত্রপাত। সিপিএম নেতা শতরূপের ২২ লাখের গাড়ি নিয়ে নীতিগত প্রশ্ন তুলেছিলেন কুণাল। তার উত্তর দিতে আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে বসে সাংবাদিক বৈঠকে কুণালকে ব্যাপক আক্রমণ করেন শতরূপ। সেখানে বেশ কিছু বিতর্কিত কথাও বলেন তরুণ সিপিএম নেতা। সেই প্রসঙ্গেই শতরূপের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করেন কুণাল।
বিমান বসু ও মহম্মদ সেলিমের বিরুদ্ধে কেন মামলা করা হয়েছিল? সেই প্রসঙ্গে কুণাল বলেছিলেন, ওঁদের অনুমতিক্রমেই আলিমুদ্দিন থেকে শতরূপ সাংবাদিক বৈঠক করেছিলেন তাই ওঁদেরও দায় আছে। কুণাল প্রথমে ওই তিন বাম নেতাকে আইনি নোটিস পাঠান। কিন্তু সেই নোটিসের জবাব না পেয়েই আদালতে যান তিনি। আদালত আগেই কুণালের মামলা গ্রহণ করেছিল। সেই মামলার শুনানিতে সেখানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের মুখপাত্র। কুণাল বলেন, ‘আমি প্রথমেই মামলা করিনি। আগে ক্ষমা চাওয়ার জন্য চিঠি পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু সেই চিঠির জবাব না আসেনি। এখন দেখি কীভাবে সমন এড়িয়ে যান।’ আদালতের এই সমন প্রসঙ্গে শতরূপ বলেন, ‘চোর আগে নিজের মান প্রতিষ্ঠা করুক। তারপর তো মানহানির প্রশ্ন। আদালতে দেখা হবে।’
বিবাহ জীবনের সমস্যা নিয়ে ফের চর্চায় নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি এবং তাঁর স্ত্রী আলিয়া সিদ্দিকি। স্ত্রী আলিয়া সিদ্দিকির বিরুদ্ধে মানহানি মামলা দায়ের করেছেন অভিনেতা। নওয়াজউদ্দিনের বিরুদ্ধে অনেক আগেই গৃহহিংসার অভিযোগ করেছিলেন আলিয়া। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে এবার বউদির পাশে দাঁড়িয়ে বিতর্কে যোগ দিলেন তাঁর ভাই শামাস সিদ্দিকি।
স্ত্রী এবং ভাইয়ের এহেন অভিযোগের তীব্র জবাব দিতেই আলিয়া এবং শামাসের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করেন অভিনেতা নওয়াজউদ্দিন। সেই মামলার ক্ষতিপূরণ হিসেবে ১০০ কোটি টাকা দাবি করেন অভিনেতা। এই ক্ষেত্রে শামাস তাঁর দাদা নওয়াজউদ্দিনের গোপনীয় সকল তথ্য ফাঁস করে দিয়েছে বলে খবরে প্রকাশ। এক সংবাদমাধ্যমে আলিয়া ডিভোর্সের কথা জানান। এছাড়াও আলিয়া আরও বলেন, 'এই লড়াইয়ে তিনি শেষ পর্যন্ত লড়ে যাবে তার সন্তানদের নিজের কাছে রাখার জন্য।'
এক অনুষ্ঠানে জাভেদ আখতারকে (Javed Akhtar) নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন কঙ্গনা রানাউত (kangana Ranaut)। সেই বক্তব্যের ভিত্তিতে ২০২০ সালে তাঁর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা (Defamation Case) করেন বিখ্যাত লেখক তথা সুরকার জাভেদ আখতার। প্রায় আড়াই বছর ধরে সেই মামলা চলছে মুম্বইয়ের আন্ধেরি মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে। সেই মামলায় এবার আদালতে ধাক্কা খেলেন কঙ্গনা রানাউত। সাক্ষী হিসেবে বোনকে আদালতে পেশ করতে চেয়েছিলেন অভিনেত্রী, সেই আবেদন শুক্রবার খারিজ করে দিল মহামান্য আদালত।
ইতিমধ্যেই জাভেদ আখতার এই মামলায় দ্রুত শুনানির আবেদন করেন। অন্যদিকে কঙ্গনা রানাউত এই মামলায় তাঁর বোন রঙ্গোলিকে সাক্ষী বানানোর আনবেদন করেন। সেই আবেদন খারিজ করে আদালত। একই সঙ্গে আগামী ১৯ এপ্রিল থেকে এই মামলায় শুনানির নির্দেশ দেন। আদালত উক্ত দিনে সাক্ষী বক্সে হাজির থাকবে জাভেদ আখতার। তাঁর নিজের মামলা তিনিই শোনাবেন আদালতকে। এরপর কঙ্গনার উকিল তাঁকে পাল্টা জেরা করবেন। অর্থাৎ একদিকে প্রবীণ সুরকার অন্যদিকে অভিনেত্রী সমুখ সমরে দাঁড়াবেন।আদালতে শেষ পর্যন্ত কে সঠিক প্রমাণিত হয়, এখন সেইটাই দেখার।