আবারও সলমান খানকে (Salman Khan) খুনের হুমকি (Threat)। তবে এবার তারকার বাড়িতে ফোন করে নয়, একেবারে পুলিস কন্ট্রোল রুমে ফোন করে খুনের হুমকি দিলেন এক ব্যক্তি। নিজেকে 'রকি ভাই' বলে পরিচয় দিয়েছেন ওই ব্যক্তি। এই প্রথম নয় গত কয়েক মাস ধরেই লাগাতার হুমকি দেওয়া হচ্ছে ভাইজানকে। মুম্বই পুলিস ইতিমধ্যেই সন্দেহভাজন বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে। নতুন হুমকি ঘিরে আবারও কালো মেঘ ঘনাচ্ছে আকাশে।
সংবাদ সংস্থা 'এএনআই' টুইট করে লিখেছে, 'রাজস্থানের যোধপুর থেকে পুলিস কন্ট্রোল রুমে ফোন করে এক ব্যক্তি নিজেকে রকি ভাই বলে পরিচয় দিয়ে ৩০ এপ্রিল সলমান খানকে খুনের হুমকি দেয়।' এর আগেও যোধপুর থেকে এক যুবক একইরকম হুমকি দিয়েছিল সলমনকে যদিও পরবর্তীকালে মুম্বই ও রাজস্থান পুলিসের তৎপরতায় ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। সংবাদ সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই নতুন করে পাওয়া হুমকির তদন্ত শুরু করেছে মুম্বই পুলিস।
সলমানের পাশাপাশি পরিবারেরও নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। দিন কয়েক আগেই বিদেশ থেকে নতুন বুলেট প্রুফ গাড়ি আনিয়েছেন অভিনেতা। সলমানের ঘরে-বাইরে নিরাপত্তায় কড়া নজর রাখছে পুলিস। বন্দুক রাখার লাইসেন্সও মিলেছে। জনৈক রকি ভাইকে খুঁজতে মরিয়া হয়ে উঠেছে পুলিস।
বলিউড সুপারস্টার সলমন খানের (Salman Khan) কাছে বহুদিন ধরেই হুমকি ই-মেইল (Death Theat) আসছিল। অভিনেতার বাড়ি, তাঁর গতিবিধি মুড়ে ফেলা হয়েছে পুলিসি নিরাপত্তায়। এবার খুঁজে পাওয়া গেল হুমকি ই-মেইলের নেপথ্যর চক্রীকে। ইতিমধ্যেই মুম্বই পুলিস এবং যোধপুর পুলিস যৌথভাবে গ্রেফতার করেছে তাকে। তবে মুম্বই নগরী থেকে নয়, অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে যোধপুর থেকে। রিপোর্ট অনুযায়ী অভিযুক্ত ওই যুবক, সিধু মুসেওয়ালার বাবাকেও খুনের হুমকি দেয়।
এর আগে সলমনকে মারণ হুমকি দেওয়ার অভিযোগে মুম্বই পুলিস গ্যাংষ্টার লরেন্স বিষ্ণোই এবং গোল্ডি ব্রারকে গ্রেফতার করেছিল। কিন্তু এরপরও হুমকি ই-মেইল অব্যাহত থাকে। অভিনেতার অফিসে আবারও হুমকি ই-মেইল পাঠানো হয়। এরপরেই সলমন খানকে কড়া নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে। পুলিসও তৎপর হয়ে ওঠে এর সুরাহা করতে। ই-মেইল এর উৎসস্থল খুঁজতে গিয়ে দেখা যায় এই কার্যকলাপ করা হচ্ছে রাজস্থানের যোধপুর থেকে।
তিহার জেলে বসে বিষ্ণোই এক সাক্ষাৎকারে সে অভিনেতার জীবন শেষ করার হুমকিও দেয়। এই মর্মে ১৮ মার্চ অভিনেতার ম্যানেজার বান্দ্রা পুলিশ স্টেশনে অভিযোগ দায়ের করেন।
পুলিসের সামনেই ছোট পর্দার (TV Actress) জনপ্রিয় অভিনেত্রী নবনীতা দাসকে খুনের হুমকি (Murder Threat)। আর এই কাণ্ড শুধু দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখা নয়, বরং অভিযুক্তপক্ষকে ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে দিয়েছে পুলিস। নিমতা থানার (Nimta PS) এহেন ভূমিকায় সমালোচনা করে সরব অভিনেতা জিতু কামাল এবং তাঁর স্ত্রী অভিনেত্রী নবনীতা দাস। উস্তাদ রশিদ খানের পরিবার কলকাতা পুলিসের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ তুলেছে। সেই টানাপোড়েনে এবার ছোট পর্দার জনপ্রিয় দুই জিতু-নবনীতা একইভাবে পুলিসি হেনস্থার শিকার। এমন অভিযোগ সংবাদ মাধ্যমের সামনে করেছেন ওই তারকা দম্পতি। ব্যারাকপুর কমিশনারেটের অন্তর্গত নিমতা থানার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা। সংবাদ মাধ্যমের হাতে আসা এক ভিডিওবার্তায় যেখানে রীতিমতো পুলিসি হেনস্থা এবং তাঁদের সঙ্গে হওয়া কাণ্ডের জন্য অভিনেত্রীকে কাঁদতেও দেখা গিয়েছে। যদিও সেই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি সিএন ডিজিটাল। জানা গিয়েছে, কর্মসূত্রে বিরাটি থেকে মাঝেরহাটি হয়ে গন্তব্যে যাওয়ার পথেই এই কাণ্ড।
ঠিক কী হয়েছে এদিন নিমতা মাঝেরহাটি মোড়ে, যার রেশ এসে পৌঁছয় নিমতা থানা অবধি। সংবাদ মাধ্যমকে নিগৃহীত অভিনেত্রী নবনীতা জানান, 'দুপুর দেড়টা নাগাদ মাঝেরহাটি মোড়ে ডান পাশ দিয়ে একটা পন্যবাহী গাড়ি ঢুকে জোরে আমাদের গাড়িকে মেরে চলে যায়। আমি ডান পাশে বসে ছিলাম এবং পণ্যবাহী গাড়িকে দাঁড়াতে বলি। কিন্তু আমাদের কথা না শুনে ও বেড়িয়ে যায়। তখন সিগনালে গিয়ে আমার ড্রাইভার গাড়িটাকে ধরে, কিন্তু পণ্যবাহী গাড়ির ড্রাইভার আমাদের ড্রাইভারকে প্রায় পিষে বেড়িয়ে যেতে চায়। কিন্তু আমাদের ড্রাইভার সামনে গিয়ে কাঁচে মারলে ওরা উলটে বলে ওদের কাঁচে দাগ পড়েছে।'
তাঁর অভিযোগ, 'এরপর আমি প্রস্তুত ছিলাম যে থানায় আসতে হবে। কিন্তু নিমতা থানার এক পুলিসকর্তা আমাদের থানায় আসতে বাধা দেয়। উলটে বলেন আপনার ড্রাইভার যদি মেরে থাকে তাহলে কিন্তু ওকে লকআপে নিয়ে যাব। উলটে আমাদের বলে ঘটনাস্থলেই যা কথাবার্তা বলে নিন। কিন্তু আমি ওই প্রস্তাব ফিরিয়ে বলি থানায় গিয়ে জিডি করব। থানায় এসে আমাদের দু-আড়াই ঘণ্টা বসিয়ে রাখা হয়। তারপর থানা বলে দু'পক্ষই একটা করে জিডি করুন। এই সময় থানার বাইরে চিৎকার শুনে বেড়িয়ে গিয়ে দেখি আমার ড্রাইভারকে ওই পণ্যবাহী গাড়ির চালক-সহ তাঁর বন্ধুরা হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। আমরা গিয়ে যখন বলি কী হচ্ছে, উলটে আমাকে বলছে মেরে রেখে দেব, এখানে দাদাগিরি হচ্ছে!'
অভিনেত্রী জানান, 'এই ঘটনার সময় দু'জন পুলিস গোটা ব্যাপারটা শোনে। ওদের সামনেই ওই পন্যবাহী গাড়ির চালক ও তাঁর বন্ধুরা বলছে, তোদের দেখে নেব, মেরে দেব একবার বেরো এখান থেকে। পুলিসকে আমি বলি যে আপনাদের সামনে এটা কী হচ্ছে। এখানেই এসব হচ্ছে, বাইরে গেলে কী হবে?' এখানেই থামেননি অভিনেত্রী, নিমতা থানার বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ তুলে অভিনেত্রী জানান, 'প্রায় ৪ ঘণ্টা ধরে বসিয়ে রেখে আমাদের এফআইআর নেয় পুলিস। যদিও প্রথমে বলে আপনারা সাদা খাতায় সই করে যান, এফআইআর আপনাদের কাছে পাঠিয়ে দেব।'
এদিকে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা নাগাদ অভিনেত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে ঘাতক পণ্যবাহী গাড়ির চালক-সহ ৪ জনের এফআইআর দায়ের করে পুলিস। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৪,৫০৬,৩৪১-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। পাশাপাশি পণ্যবাহী গাড়ির চালককে গ্রেফতার করা হয়েছে। আটক একজন, একজন পুলিসের বিরুদ্ধে বিচারবিভাগীয় তদন্ত শুরু হবে, এমনটাই পুলিস সূত্রে খবর।