
বারাসত-হাসনাবাদ শাখার ট্রেনের (Train) সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী (Suicide) হন এক সিভিক ভলেন্টিয়ার। বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে দেগঙ্গা (Deganga) থানার বারাসত-হাসনাবাদ শাখার ভাসিলা-হাড়োয়া রোড ষ্টেশনের মাঝে বনবিবি তলায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছয় দেগঙ্গা থানার পুলিস (Police)। শুক্রবার ভোরে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বারাসত নিয়ে যাওয়া হয় রেল পুলিসের তরফে। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
পুলিস সূত্রে খবর, মৃত ওই যুবকের নাম ডেভিড দেবনাথ(৩২)। তিনি দেগঙ্গা থানার সিভিক ভলেন্টিয়ার ছিলেন। বৃহস্পতিবার রাতে বারাসত-হাসনাবাদ শাখার ভাসিলা-হাড়োয়া রোড ষ্টেশনের মাঝে বনবিবি তলায় শেষ ডাউন ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দেন ওই যুবক।
মৃতের পরিবার সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে সাইকেল নিয়ে বার হন ডেভিড। রাতে বাড়ি ফিরছে না দেখে তাঁর স্ত্রী ফোন করেন। কিন্তু সেই মুহূর্তে স্থানীয় এক ব্যক্তি ডেভিডের ফোনটি ধরে আত্মহত্যার কথা জানান। তারপরেই ঘটনাস্থলে যায় পুলিস।
মণিপুরে (Manipur) আতঙ্কবাদীদের (Terrorists) গুলিতে মৃত্যু (Death) হল এক বিএসএফ (BSF) কমান্ডো বাহিনীর জওয়ানের। মঙ্গলবার ভোরে মণিপুরে এই ঘটনাটি ঘটেছে। ফোন করে এই খবরটি বিএসএফ কমান্ডোর মৃত্যুর খবরটি তাঁর পরিবারকে জানানো হয়।
জানা গিয়েছে, মৃত ওই জওয়ানের নাম রঞ্জিত যাদব (৩৬)। তিনি ভাটপাড়া পুরসভা ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের সুুকিয়া পাড়া এলাকার ২২ নম্বর গলির বাসিন্দা। মঙ্গলবার ভোরে দেশের জন্য গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন তিনি। বিএসএফ কমান্ডো রঞ্জিত যাদবের মৃত্যুর খবর পেয়ে তাঁর পরিবার, বন্ধুবান্ধব এবং এলাকা সহ শোকে ভেঙে পড়েছে।
মৃত জওয়ানের পরিবারের লোকজনদের কাছ থেকে জানা গিয়েছে, কমান্ডো রঞ্জিত যাদব ২০০৯ সালে বিএসএফ-এ যোগদান করেন। তিনিই বাড়ির একমাত্র ছেলে। সরকারের কাছে তার পরিবারের একটাই আবেদন, তাঁদের বাড়িতে আয় এবং উপার্জন একমাত্র রঞ্জিত যাদব করতেন। তাই পরিবারের কাউকে যদি একটা চাকরি দেওয়া হয় তাহলে তাঁদের পরিবারটা রক্ষা পাবে।
ভারত-নেপাল (India-Nepal Border) সীমান্তের পানিট্যাঙ্কিতে দেখা মিলল এক অজ্ঞাতপরিচয় যুবকের মৃতদেহ (Deathbody)। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে পানিট্যাঙ্কি শিমূলতলা এলাকায় টুকরিয়া ফরেস্টে। ঘটনাস্থলে আসে খড়িবাড়ি থানায় পুলিস। অপরিচিত যুবকের অস্বাভাবিক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছ।
স্থানীয় সূ্ত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে পানিট্যাঙ্কি শিমূলতলা এলাকায় টুকরিয়া ফরেস্টের মধ্যে একটি গাছে এক অজ্ঞাতপরিচয় যুবকের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান স্থানীয় এক ব্যক্তি। খবর পেয়ে স্থানীয়রা ভিড় জমান ঘটনাস্থলে। খবর দেওয়া হয় খড়িবাড়ি পুলিসকে। তড়িঘড়ি খড়িবাড়ি থানার পুলিস এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠায়। মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে পুলিস গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। তবে এখনও পর্যন্ত মৃত ওই যুবকের পরিচয় পাওয়া যায়নি। মৃত যুবকের আসল পরিচয় জানার চেষ্টা করছে পুলিস।
জলে ডুবে মৃত্যু (Drowing Death) হল এক কিশোর লরি খালাসির। মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে বর্ধমান জেলার রায়না থানার বালির ঘাটে। খবর পেয়ে রায়না থানার পুলিস (Police) ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহটি উদ্ধার করেন। ঘটনার খবর শোনার পরে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েছে গোটা পরিবার। প্রাথমিক তদন্তে পুলিস জানিয়েছে, মৃত ওই কিশোরের নাম সাজিবুল শেখ (১৪)। সে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) জলঙ্গি থানার জড়তলার বাসিন্দা। স্নান করতে নেমেই ডুবে মৃত্যু হয় তার।
মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গবার দুপুরে সাড়ে বারোটা নাগাদ মা-বাবার সঙ্গে ফোন করে কথা বলে। তার ঠিক এক ঘণ্টার মধ্যেই এই ঘটনার কথা ফোন করে জানান লরির চালক। পরাবারের দাবি, গত এক সপ্তাহ আগেই বাড়ি থেকে খালাসির কাজে যায় সাজিবুল শেখ। এই প্রথম নয় গত দুই বছর ধরে লরির খলাসির কাজ করে চলেছে সে।
জানা গিয়েছে, অভাবের সংসার চালানোর জন্য পড়াশোনা তেমন ভাবে করতে পারেনি। তাই লরির খালাসির কাজ শুরু করে, পরিবারকে আর্থিকভাবে কিছুটা সাহায্য করার জন্য। অবশেষে সেই স্বপ্নও শেষ হয়ে গেলো নিমেষে। ইতিমধ্যেই মৃতের বাবা রাকিবুল শেখ ছেলের দেহ বাড়িতে ফেরাতে রওনা দিয়েছে বর্ধমানের উদ্দেশ্যে।
মদ, গাঁজা (Weed) বিক্রি করার প্রতিবাদ (Protest) করায় খুন (Death) হতে হল এক ব্যক্তিকে। খুনের অভিযোগ উঠেছে ওই ব্যক্তির ভাই ও ভাইয়ের বউয়ের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার ভোরে ঘটনাটি ঘটেছে বাগুইআটি (Baguiati) থানার অন্তর্গত আদর্শ পল্লী এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বাগুইআটি থানার পুলিস (Police) ও স্থানীয় কাউন্সিলর। স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে বাগুইআটি দেশবন্ধু নগর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা। এই ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয় বাগুইআটি থানায়। এমনকি এই ঘটনায় অভিযুক্ত ভাইয়ের বউ পূর্ণিমা মণ্ডলকে আটকও করেছে পুলিস। পুলিস সূত্রে খবর, মৃত ওই ব্যক্তির নাম রবিন মণ্ডল।
সূত্রের খবর, দীর্ঘদিন ধরেই বাগুইআটির শিমুলতলায় মদ এবং গাঁজার ব্যবসা চালাত ওই ব্যক্তির ভাই বিশ্বজিৎ মণ্ডল ও তার বউ পূর্ণিমা মণ্ডল। তবে এর আগে রবিন মণ্ডল একাধিকবার গাঁজা বিক্রির প্রতিবাদ করায় তাদের রোষের শিকার হয়েছিলেন। তবে সোমবার সেই বিবাদ চরমে পৌঁছয়। তারপরেই মঙ্গলবার ভোরে দাদা রবিন মণ্ডল ও তাঁর স্ত্রী অর্চনা মণ্ডলকে মারধর করতে শুরু করে অভিযুক্তরা। আরও জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় স্থানীয় মানুষজন রবিন মণ্ডলকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় দেশবন্ধু নগর হাসপাতালে। তারপরেই তাঁর মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসে।
আবারও পুকুর থেকে উদ্ধার (Rescue) এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্য়ক্তির মৃতদেহ (Deathbody)। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের (Mursidabad) ফরাক্কা থানার মহেশপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। এই এলাকার শিবনগর মাদ্রাসা সংলগ্ন একটি পুকুর থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার হয়েছে। ঘটনাস্থলে আসে ফরাক্কা (Farakka) থানার পুলিস। পুকুর থেকে দেহ উদ্ধারের ঘটনায় এলাকায় শোরগোল পড়ে যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকালবেলায় ওই এলাকার স্থানীয়রা পুকুরের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় একটি মৃতদেহ জলে ভাসতে দেখেন। এরপর খবর দেওয়া হয় থানায়। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পুলিস এসে মৃতদেহটি উদ্ধার করে। পুলিস দেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জঙ্গিপুর মহুকুমা হাসপাতালে পাঠায়। তবে এখনও পর্যন্ত মৃত ওই ব্যক্তির পরিচয়পত্র পাওয়া যায়নি। গোটা ঘটনা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
ফের বুনো দাঁতালের আক্রমণে (Elephant Attack) মৃত্যু (Death) হল বন্ধ চা বাগানের এক শ্রমিকের। রবিবার মধ্যরাতে ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) বানারহাট থানার অন্তর্গত দেবপাড়া চা বাগানে। খবর পেয়ে রাতেই বন দফতরের কর্মীরা ও বানারহাট থানার পুলিস (Police) এসে দেহটি উদ্ধার করে। সোমবার ময়না তদন্তের জন্য দেহটি জলপাইগুড়ি হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। ঘটনাকে ঘিরে হাতির আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। পুলিস সূত্রে খবর, মৃত শ্রমিকের নাম বিক্রম মুণ্ডা (৫১)। দেবপাড়া চা বাগানের সুখিয়া লাইনের বাসিন্দা।
জানা গিয়েছে, রবিবার রাতে নিজের ভাইয়ের বাড়ি থেকে নিজের বাড়িতে আসার সময় রাস্তায় হাতিটি বিক্রমকে আক্রমণ করে। হাতির আক্রমণের জেরে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই ব্যাক্তির। মৃতের আত্মীয় এবং স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, জঙ্গল লাগোয়া এই এলাকায় হাতির হানা নিত্যদিনের ঘটনা। কিন্তু তারপরেও গ্রামীণ রাস্তায় নেই কোনও পথবাতির ব্যবস্থা। রাস্তায় আলো থাকলে এই ঘটনা ঘটত না, দাবি স্থানীয়দের। তাঁদের দাবি, হাতিটি রাস্তার ধারে অন্ধকারের মধ্যে দাঁড়িয়ে ছিল। তখনই ওই ব্যক্তি হাতিটিকে দেখতে না পেয়ে হেঁটে যায়। পাশ দিয়ে আসার সময়ই হাতিটি তাঁকে আক্রমণ করে।
তবে এই ঘটনায় বন দফতরের সূত্রে জানা গিয়েছে, সরকারি নিয়ম মেনে মৃতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
সদ্যোজাত শিশুর মৃত্যুকে (Death) কেন্দ্র করে হাসপাতালে উত্তেজনা। ঘটনাটি ঘটেছে জয়নগর (Joynagar) থানার অন্তর্গত পদ্মেরহাট গ্রামীণ হাসপাতালে। অভিযোগ, হাসপাতালের (Hospital) বহির্বিভাগে নিয়ম মাফিক চিকিৎসক নেই। যথাযথ চিকিৎসার অভাবে প্রাণ হারায় সদ্যোজাত শিশু।
জানা গিয়েছে, শনিবার বারুইপুর থানার অন্তর্গত সীতাকুন্ডুর বাসিন্দা নুরবানু সরদার প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে পদ্মার হাট গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি হয়। এরপর রবিবার ওই মহিলা পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। জন্মের পর থেকে শিশুর শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে থাকে। সোমবার সকালে শিশুটির শারীরিক অবস্থার অবনতির কারণে মৃত্যু হয়।
পরিবারের অভিযোগ, রবিবার রাতে শিশুর শারীরিক সমস্যা দেখা দিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ও নার্স-এর কাছে জানানো হলেও সঠিক পরিষেবা পাওয়া যায়নি। সেই কারণে শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সকাল থেকে হাসপাতাল চত্বরে উত্তেজনা ছড়ায় শিশু মৃত্যুকে কেন্দ্র করে। পাশাপাশি পদ্মেরহাট গ্রামীণ হাসপাতালের বহির্বিভাগে নিয়ম মেনে চিকিৎসক না থাকার অভিযোগ একাধিক রোগীর। রোগীদের অভিযোগ, সকাল থেকে তাঁরা রোদের মধ্যে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকলেও নির্দিষ্ট সময়ে হাসপাতালে বহির্বিভাগে চিকিৎসক আসেনি।
ফের নদীতে স্নান করতে গিয়ে ডুবে মৃত্যু (Drowing Death) হল এক যুবকের। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) রানীনগর থানার অন্তর্গত কাতলামরি পাঠান পাড়াগ্রামে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় রানীনগর থানার পুলিস (Police)। স্থানীয়দের তৎপরতায় ইতিমধ্যেই দেহটি উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিস সূত্রে খবর, মৃত ওই যুবকের নাম উজ্জ্বল শেখ। তিনি কাতলামারি পাঠান পাড়াগ্রাম এলাকার বাসিন্দা। ঘটনাকে ঘিরে শোকের ছায়া নেমেছে গোটা এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় দিনের মতো সোমবারও ওই যুবক সহ তিন জনকে নদীতে স্নান করতে দেখা যায়। তবে স্নান করতে করতে হঠাৎ তাঁদের মধ্যে একজন ডুবে যায়। তারপরেই বাকি দুজন স্থানীয়দের খবর দেন এবং তারপরেই নদীতে খোঁজ চালানো হয় তাঁর। তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই তাঁর দেহ উদ্ধার করেন স্থানীয়রা।
মণি ভট্টাচার্য: করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনা হার মানিয়েছে গত ৪ দশকের ভয়াবহতাকেও। ছাপিয়ে গিয়েছে মৃত্যুর সংখ্যাও। এরপর করমণ্ডল এক্সপ্রেসকে অভিশপ্ত বলতে শুরু করেছে সাধারণ মানুষ। রেল সূত্রে খবর, এই দুর্ঘটনায় এখনও অবধি মৃতের সংখ্যা ২৭৫ জন। আহতের সংখ্যা দেড় হাজার ছাড়িয়েছে বলেই খবর। কিন্তু এই ২৭৫টি প্রানের মৃত্যুর দায় কার? এই দায় কি কেবল ঈশ্বরের? হয়ত নয়। হয়ত এর মধ্যে অন্তর্ঘাত রয়েছে, কিংবা রয়েছে রেলের গাফিলতি। এ বিষয়ে সন্দিহান প্রকাশ করেছে স্বয়ং রেলমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীও।
শুক্রবারের এই রেল দুর্ঘটনার পর সামাজিক মাধ্যমে বেশ কিছু ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা গিয়েছে বাহানাগা স্কুলে রাখা মৃতদেহের স্তূপে নিজের ছেলেকে খুঁজছেন বাবা। চারিদিকে স্বজনহারা কান্না। বাতাসে যেন মুহূর্তে মিশে গিয়েছিল রক্তের মাদকতা। এখনও ওই বিষাক্ত জায়গায় মুছতে পারেনি রক্তের ছাপ। ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মৃতদেহের কোনও ধর্ম ছিল না। কেবল লাশ হিসেবেই চিহ্নিত করা ছিল তাঁরা।
প্রাথমিক ভাবে মৃতদের সনাক্তকরণ নিয়েও চাপে আছে রেল। ঘটনার পরেই দুর্ঘটনার কারণ খুঁজতে তদন্তে নেমেছে রেলের সুরক্ষা কমিশনার। এরই মধ্যে রেল মন্ত্রী অস্বিনী বৈষ্ণব এ ঘটনায় সিবিআই তদন্ত শুরু করার সুপারিশ করেছেন। সেইমত সোমবার থেকেই মাঠে তদন্তে নেমে পড়ছেন সিবিআই। যদিও এই ঘটনায় আপাতত বেঁচে আছেন ওই দুই ট্রেনের ড্রাইভার ও গার্ডরা। ওদিকে সোমবারই খড়্গপুর ডিভিশনের রেল আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠকে বসছে সিবিআই।
প্রাথমিক ভাবে রেলের সিগন্যাল জনিত কারণ দেখালেও, রেলমন্ত্রীর দাবি ছিল এ ঘটনায় অন্য কোনও ষড়যন্ত্র আছে। উনি জানিয়েছিলেন সমস্তটা তদন্ত সাপেক্ষ, সময় হলে সমস্তটা প্রকাশ হবে। ঘটনাস্থলে এসে প্রধানমন্ত্রী মোদী জানিয়েছিল, এ ঘটনায় দোষীরা সাজা পাবে। যদিও এখনও অবধি স্বজন হারা মানুষ গুলোর কাছে দুষবার মত ঈশ্বর ছাড়া কেউই নেই।
বাহানাগা বাগ স্কুলে যেখানে মৃতদেহ রাখা ছিল সেখানে রক্তের ছাপ পুরো মুছতে পারছে না কতৃপক্ষ। ১৯৮১-র পর এতবড় দুর্ঘটনা দেখেনি রেল। স্বজনহারা মানুষগুলো এখনও খুঁজে বেড়াচ্ছে তাঁদের প্রিয়জনকে। কেউ কেউ হয়ত প্রিয়জনকে খুঁজে পেয়েছে কিন্তু খুঁজে পায়নি প্রিয়জনের হাত, কিংবা পা। কেউ কেউ প্রিয়জনের শরীরের নির্যাস টুকু পেয়েছে। তাতেই হয়ত তাদের শান্তি। সত্যি বলতে এত গুলো লাশ। একসাথে এত মৃত্যু অনেক দিন দেখেনি বাতাস। সেদিন যেন বাতাসে লাশের গন্ধ। দুর্ঘটনার পরের দিন সকালেই দেখছিলাম রেল লাইনে স্বজনের মৃতদেহ ঢেকে রেললাইনে বসে আছেন মহিলা। শোকতাপ হীন। এই মানুষগুলো যেন মৃত্যুর শোক কাটিয়ে ওঠে, ঈশ্বর ছাড়া অন্তত কাউকে পাক এ মৃত্যুতে দুষবার। এই কেবল প্রার্থনা।
তিন তলার ছাদ থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যু (Death) হল এক শিশুর (Child)। শনিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে চাকদহ (Chakdaha) থানার অন্তর্গত লালপুর বিবেকানন্দ পল্লী এলাকায়। ঘটনার পরে স্থানীয়রা ওই শিশুটিকে তড়িঘড়ি চাকদহ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। তবে শেষরক্ষা আর হল না। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই শিশুটিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছয় চাকদহ থানার পুলিস (Police)। মৃতদেহটি কল্যাণী জওহরলাল নেহেরু মেমোরিয়াল হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
পুলিস সূত্রে খবর, মৃত ওই শিশুটির নাম আযুষ্মান ঘোষ। বয়স সাড়ে তিন বছর। এই ঘটনার পর মৃতের পরিবার থেকে কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। প্রাথমিক তদন্তে পুলিস জানিয়েছে, ছাদ থেকে পড়ে গিয়েই ওই শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শান্তিপুর থানার ফুলিয়ায় ওই শিশুর পিসির বাড়ি। লোকনাথের পুজো উপলক্ষ্যে সেখানে যাওয়ার কথা ছিল তার। সেই কারণে তিন তলার ছাদে তাকে স্নান করাতে নিয়েগিয়েছিল তার মা। সেই সময়ই কোনও ভাবে সে মায়ের হাত থেকে বেরিয়ে যায়। ছাদের মধ্যে দৌড়তে গিয়েই ছাদ থেকে পড়ে যায় সে। তড়িঘড়ি তাকে চাকদহ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও শেষ রক্ষা হয়নি।
পুকুর থেকে উদ্ধার (Rescue) এক অজ্ঞাত অপরিচিত মহিলার (Woman) মৃতদহ। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের (Birbhum) রামপুরহাট পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের মাঝিপাড়ায়। ঘটনস্থলে রামপুরহাট থানার পুলিস এসে মৃতদেহটি (Deathbody) উদ্ধার করে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার সকালে পুকুরে একটি মৃতদেহটি ভাসতে দেখেন তারা। এরপর পুলিসে খবর দেয় স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় রামপুরহাট থানার পুলিস। ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিস মৃতদেহটি উদ্ধার করে। তবে উদ্ধার হওয়া ওই মহিলার কোনও পরিচয়পত্র জানাতে পারা যায়নি। বয়স আনুমানিক ৪০-৪২ বছরের। পুলিস অজ্ঞাত অপরিচিত ওই মহিলার পরিচয়পত্র খুঁজে বার করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। মৃতদেহটি উদ্ধারের পর ময়না তদন্তের জন্য রামপুরহাট গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গোটা ঘটনার পিছনে কে বা কি কারন রয়েছে তা জানতেই ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে রামপুরহাট থানার পুলিস।
খেলতে গিয়ে পুকুরে (Drowing) পড়ে মৃত্যু (Death) হল আড়াই বছরের শিশুর। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) গাইঘাটা (Gaighata) থানার অন্তর্গত বিষ্ণপুর সরদার পাড়ায়। সূত্রের খবর, জল থেকে দেহ উদ্ধার করে চাঁদপাড়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার ওই শিশুটিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরিবারের একমাত্র ছেলে ছোট্টো তনয়ের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে দেবনাথ পরিবার তথা বিষ্ণপুর এলাকায়। সূত্রের খবর, মৃত ওই শিশুর নাম তনয় দেবনাথ। তার বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা থানার ঘোজা হাসপুর এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জামাইষষ্ঠী উপলক্ষে মা রেবা দেবনাথের সঙ্গে গাইঘাটা থানার বিষ্ণপুর সরদার পাড়ায় মামা বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল ছোট্ট তনয়। পরিবারের সদস্যরা জানায়, শুক্রবার বিকেলে বাড়িতে একাই খেলছিল সে। খেলতে খেলতে কখন তনয় বাড়ির পাশের পুকুরের পাড়ে চলে যায় জানতে পারেনি পরিবারের সদস্যরা, এমনটাই দাবি।
মৃত শিশুর পরিবারের দাবি, শিশুটিকে অনেকক্ষণ খুঁজে না পেয়ে পুকুরের জলে খোঁজাখুঁজি করেন তার মা ও এলাকার কয়েকজন। হঠাত্ জলের নিচে থেকেই তনয়কে খুঁজে পান তাঁরা। তারপরেই শিশুটিকে তড়িঘড়িত তাকে উদ্ধার করে চাঁদপাড়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিত্সকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনা (Accident)। ট্রাক্টর এবং লরির মুখোমুখি সংঘর্ষের জেরে মৃত (Death) এক এবং গুরুতর আহত (Injured) ২৬ জন। শুক্রবার রাতে এই ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার (Bankura) কতুলপুর থানার অন্তর্গত মির্জাপুর এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় কোতুলপুর থানার পুলিস (Police)। আহত সকল ব্যক্তিদের স্থানীয় কোতুলপুর গ্রামীন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তড়িঘড়ি তাঁদের স্থানান্তরিত করা হয় বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতাল ও বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিকেল কলেজে। ঘটনার জেরে চাঞ্চল্য এলাকায়। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
বাঁকুড়া রাজ্য বালেশ্বরের ওই ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার মধ্যে দিয়ে বহমান। ঠিক সেই ঘটনা চলাকালীনই ভয়াবহ এক পথ দুর্ঘটনার সাক্ষী থাকলো বাঁকুড়ার কোতুলপুর। স্থানীয় সূত্রে খবর, বাঁকুড়া জেলার জয়পুর থানার অন্তর্গত ছাতিনা গ্রামের ২৭ জন ব্যক্তি একলোকি গ্রামে একটি ট্রাক্টারে করে বিয়ের দেখা শোনার জন্য গিয়েছিলেন। দেখাশোনা সেরে আসার পথেই বিপত্তি।
সূত্রে খবর, বিষ্ণুপুর থেকে জয়পুরমুখী একটি লরি সজরে ধাক্কা মারে সেই ট্র্যাক্টরটিকে। সেই ট্র্যাক্টরে থাকা ২৭ জন ব্যাক্তির মধ্য ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান এক ব্যক্তি, এবং গুরুতর আহত হয় বাকিরা। স্থানীয় সূত্রের খবর, ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে এক মহিলার। মৃত ওই মহিলার নাম চম্পা মুর্মু (৬০)।
তীব্র তাপপ্রবাহের জেরে সানস্ট্রোক (SunStroke) হয়ে মৃত্যু (Death) হল এক মহিলার। এই ঘটনার পরই মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ (Raiganj) মেডিক্যালে নিয়ে আসা হয়। জানা গিয়েছে, মৃত ওই মহিলার নাম জয়ন্তী চৌধুরী। তিনি মালদার মোথাবাড়ি এলাকার বাসিন্দা।
পরিবার সূত্রে খবর, উত্তর দিনাজপুরের ইটাহারে ছেলের শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে এসেই অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই মহিলা। অসুস্থ হওয়ার ফলে প্রথমে তাঁকে হাতুড়ে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে কিছুক্ষণ পরে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে ইটাহার প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে ওই মহিলাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনার পর মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ মেডিক্যালে নিয়ে যাওয়া হয়।
তবে এই ঘটনায় রায়গঞ্জ মেডিক্যালের সহকারি সুপার অভিক মাইতি বলেন, 'বৃহস্পতিবার বিকেলে ওই মহিলাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। তবে ওই মহিলার মৃত্যুর আসল কারণটি ময়নাতদন্তের পরই জানা যাবে।'