
রাজনীতিক ফাহাদ আহমেদকে (Fahad Ahmed) বিয়ে করার পর অভিনেত্রী স্বরা ভাস্করের (Swara Bhaskar) জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু হয়েছে। ৬ মাসের মধ্যে মা হয়েছেন তিনি। গত ২৩ সেপ্টেম্বর কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছেন অভিনেত্রী। সদ্যজাতের নাম দিয়েছেন রাবিয়া রমা আহমেদ (Rabiyaa Rama Ahmed)। দেখতে দেখতে পৃথিবীতে ৬ দিন কাটিয়ে ফেলেছে সে। তাই স্বামী ও পরিবারকে নিয়ে মেয়ের 'ষঠি' উদযাপন করলেন তিনি। শুধু উৎসব নয় পরিবারে ধর্মীয় মেলবন্ধন বজায় রাখতে তৎপর তিনি। নিজের সামাজিক মাধ্যমেই তুলে ধরলেন মেয়ের ষষ্ঠী উদযাপনের তাৎপর্য।
অভিনেত্রী সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, বিয়ের পর থেকেই আমরা হিন্দু ও ইসলাম ধমের সাধারণ রীতি-রেওয়াজগুলো উদযাপন করছি। যাতে আমি আরও বেশি করে বিশ্বাস করেছি মানুষের মধ্যে যেকোনোওরকম বৈচিত্র থাকতে পারে, কিন্তু ভালোবাসার ভাষা সাধারণ। উত্তরপ্রদেশ ও বিহারে সন্তানের জন্মের ষষ্ঠ দিনটিকে উদযাপন করা হয়। যেখানে মা এবং সন্তান হলুদ রঙের পোশাক পরে এবং পিসি সন্তানের মা বাবার চোখে কাজল দেয় সন্তানকে কুনজর থেকে বাঁচাতে।'
অভিনেত্রী এই অনুষ্ঠানে নিজেই গান গেয়েছেন। বিশেষ করে পুত্রসন্তানের আগমন উদযাপন করার জন্য 'সোহার' নাম একটি বিশেষ গান গাওয়া হয়। নিজের কন্যাসন্তানের জন্য সেই গান গেয়েছেন অভিনেত্রী। ভিডিওতে মেয়ে রাবিয়াকে কোলে নিয়ে বসে থাকতে দেখা গিয়েছে ফাহাদকে। পরিবার পরিজনেরও উপস্থিতি ছিল সেইসঙ্গে।
জীবনের এক নতুন অধ্যায়ে পা দিলেন বলিউড অভিনেত্রী স্বরা ভাস্কর (Swara Bhaskar)। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে সকলকে অবাক করে দিয়ে রাজনীতিবিদ ফাহাদ আহমেদের সঙ্গে বিয়ে করেছিলেন। তারপর অনুষ্ঠান করে বিয়ে সেরেছিলেন। তার ঠিক দু'মাস পরেই জানা যায়, স্বরা অন্তঃসত্ত্বা। দীর্ঘ সময় সবুরের ফল অবশেষে মিষ্টি হল। কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছেন অভিনেত্রী। সামাজিক মাধ্যমে নিজেই সুখবর দিয়েছেন। একরত্তির সঙ্গে সঙ্গে বেশ কিছু ছবিও দিয়েছেন।
সোমবার সন্ধ্যে নাগাদ হঠাতই সামাজিক মাধ্যমে বেশ কিছু ছবি আপলোড করেন অভিনেত্রী। ছবিতে পাশে ছিলেন স্বামী ফাহাদ আহমেদ। আর স্বরার কোলজুড়ে ছিল বাড়ির ছোট্ট সদস্য। এই ছবিগুলি পোস্ট করে, অভিনেত্রী ক্যাপশনে লিখেছেন, 'আমাদের প্রার্থনা শোনা হয়েছে, আশীর্বাদ মঞ্জুর হয়েছে। গানের গুঞ্জন এবং রহস্যময় সত্যি।' ওই পোস্টেই স্বরা জানিয়েছেন মেয়ের নাম কী রেখেছেন। অভিনেত্রী লিখেছেন, 'আমাদের ছোট্ট মেয়ে রাবিয়া ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩-এ জন্মেছে।'
বলিউড তারকারা এই পোস্টের নিচে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন স্বরাকে। নেটিজেনরাও ভালোবাসা উজাড় করে দিয়েছেন। নতুন মা ও একরত্তি ভালো থাকুক, এই প্রার্থনাই করছেন সকলে।
দক্ষিণী ছবির জনপ্রিয় সঙ্গীত পরিচালক এবং অভিনেতা বিজয় অ্যান্টনি (Vijay Antony)। মঙ্গলবার তাঁর জীবনের অন্যতম শোকের দিন হল। মাত্র ১৬ বছরের মেয়েকে হারালেন তিনি। স্ত্রী ফাতিমা এবং দুই কন্যা মীরা এবং লারা-কে নিয়ে জমজমাটি সংসার ছিল। তাঁর বড় কন্যা মীরা প্রয়াত হয়েছে। জানা গিয়েছে, দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রী ছিল মীরা। বরাবরই সে পড়াশোনায় ভালো। এমনকি কিছুদিন আগেই পুরস্কার পেয়েছিল মীরা। কিন্তু মঙ্গলবার ভোর রাতেই হঠাৎ অঘটন।
চেন্নাইয়ের বাড়িতেই ছিলেন বিজয়, তাঁর স্ত্রী এবং মেয়েরা। মঙ্গলবার ভোর ৩টের দিকে ঘুম ভাঙে বিজয়ের। মীরার ঘরে ঝুঁকে দেখতে যান কী করছে মেয়ে। এমন সময় হতবাক বাবা। দেখেন নিজের ঘরে গলায় ওড়না দেওয়া অবস্থায় ঝুলন্ত মেয়ে। সংজ্ঞাহীন অবস্থায় তাকে হাসপাতালেও নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু তাতে কোনও লাভ হয়নি। চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এই ঘটনায় তদন্ত নেমেছে পুলিস। তাঁদের প্রাথমিক অনুমান, আত্মহত্যা করেছে মীরা। বেশ কিছুদিন ধরেই নাকি সে মানসিক অবসাদে ভুগছিল। তার দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট এলেই মৃত্যুর আসল কারণ বোঝা যাবে।
দাম্পত্য বিবাদের জের। স্ত্রী ও আট বছরের কন্যাকে খুন করে থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ স্বামীর। ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল বসিরহাটের (Basirhat) বাদুড়িয়ায়। আদৌ দাম্পত্য কলহের জেরেই এই ঘটনা, নাকি নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ রয়েছে, তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
জানা গিয়েছে, মৃত স্ত্রীর নাম মৌসুমী পাল। অভিযুক্ত স্বামীর নাম সঞ্জীব পাল। বসিরহাটের বাদুড়িয়া থানার রামচন্দ্রপুর গ্রামের দাসপাড়ার বাসিন্দা। স্থানীয়দের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই মৌসুমীকে পণের জন্য চাপ সৃষ্টি করতেন সঞ্জীব। যার জেরে অশান্তি লেগেই থাকতো। মৌসুমীর পরিবারের সদস্যরা জানান, মেয়ে সন্তান জন্মানোর পর থেকে আরও অত্যাচার শুরু করে মৌসুমীর উপর। যদিও পুলিসি জেরায় অভিযুক্ত স্বামী জানিয়েছেন, অবৈধ সম্পর্কের জেরেই তাঁদের মধ্যে প্রায়শই অশান্তি হতো। সেই অশান্তি চরম আকার ধারণ করে মঙ্গলবার রাতে।
বুধবার ভোররাতে স্ত্রী মৌসুমী ও বছর আটের কন্যাকে ঘুমের মধ্যেই কুপিয়ে খুন করেন বলে অভিযোগ। তারপর হাবড়া থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন সঞ্জীব। এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
কয়েক দশক ধরে গানের জগতকে সমৃদ্ধ করেছেন গায়ক কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ ওরফে কেকে (KK)। দেশজুড়ে তাঁর অগুন্তি ভক্ত। একবার সামনে থেকে গান শুনবেন বলে দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছুটে গিয়েছে কত ভক্ত। কিন্তু কলকাতায় অনুষ্ঠান করতে এসেই মর্মান্তিক পরিণতি ঘটে গিয়েছিল। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে অকাল প্রয়াণ হয়েছিল গায়কের। তিনি চলে গিয়েছেন, কিন্তু তাঁর আওয়াজ রয়ে গিয়েছে ভক্তদের মনে। তবু দিনের শেষে অভাববোধ তো রয়েই যায়।
গায়কের পরিবার এখনও ভুলতে পারেননি তাঁকে। বিশেষ করে কেকে কন্যা তামারা, মাঝেমধ্যেই বাবাকে নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে নানা পোস্ট করে থাকেন। কেকের জন্মদিনে বাবার স্মৃতিতে ডুব দিয়েছেন তিনি। সামাজিক মাধ্যমে ছোটবেলার একটি ছবি দিয়েছেন। একইসঙ্গে বাবার জন্য তাঁর ভাবনা-মনের কথা ব্যক্ত করেছেন।
তামারা তাঁর বাবার সঙ্গে ছোটবেলার একটি ছবি পোস্ট করেছেন বুধবার। ছবিতে দেখা গিয়েছে, মেয়েকে কোলে নিয়ে পিয়ানো বাজানো শেখাচ্ছেন তিনি। এই ছবি শেয়ার করে, তামারা লিখেছেন, 'শুভ জন্মদিন বাবা, তোমাকে কতটা ভালোবাসি তা বর্ণনাতীত। তোমাকে খুব মনে পড়ে। ধন্যবাদ অন্তত আমার স্বপ্নে আসার জন্য।'
আমির খানের (Amir Khan) প্রথম বিয়ের সন্তান ইরা খান (Ira Khan)। অন্যান্য তারকা সন্তানদের মতো তিনি অভিনয় জগতে পা দেননি। বরং বলিউড অভিনয় জগতের সমস্ত আলো থেকে তিনি দূরেই রেখেছেন নিজেকে। ইরার আগ্রহ একেবারে ভিন্ন দিকে। সাধারণ মানুষের মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে একটি সংস্থা খুলেছেন তিনি। সেই কাজেই ব্যস্ত থাকেন। অনেকেই জানতে চান, কেন হঠাৎ এই বিষয়ে আগ্রহ ইরার? তারকা কন্যাও আসলে একটা সময় মানসিক অবসাদের শিকার হয়েছেন। বারেবারে নিজের মানসিক সমস্যা নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন ইরা। এমনকি পরিবারকেও এর কারণ হিসেবে দায়ী করেছেন।
সম্প্রতি আবারও এই নিয়েই মুখ খুলেছেন ইরা। এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, 'মানসিক অবসাদ একটু জটিল। এটি আংশিক জেনেটিক, আংশিক মানসিক এবং আংশিক সামাজিক। আমার ক্ষেত্রে এটি আংশিক জেনেটিক। আমার পরিবারে বাবার ও মায়ের দিকে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে ইস্যু রয়েছে। আমার থেরাপিস্ট বলেন, আমার এই সমস্যা এসেছে আমার মা বাবার বিবাহ বিচ্ছেদের সময় থেকে।'
ইরা সেই সাক্ষাৎকারে আরও যোগ করেন, ' অনেক সিনেমা দেখে আমি এই ধারণা তৈরী করেছিলাম। আমি যখন ৮ কিংবা ১০ বছরের ছিলাম তখন মিথ্যে মিথ্যে হাসতাম আমার অনুভূতি চেপে রাখার জন্য। আমি যখন বেড়ে উঠলাম তখন খানিকটা ক্ষত বিক্ষত ছিলাম। কারণ আমি বিশ্বাস করতাম যে একমাত্র তাহলেই মানুষ আমাকে ভালোবাসবে। একপ্রকার বলা যায়, আমার ডিপ্রেশন আমি নিজেই নিশ্চিত করেছিলাম।'
বলিউড তথা টলিউড অভিনেত্রী বিপাশা বসু (Bipasha Basu)। অভিনেতা করণ গ্রোভারকে বিয়ে করে গত বছর স্বাগত জানিয়েছেন কন্যা সন্তানকে। এই কিছুদিন আগেই কন্যা (Daughter) দেবীর মুখেভাত দিয়েছেন। লাল বেনারসীতে রাঙাপরীর মতো দেখাচ্ছিল একরত্তিকে। কিন্তু তখনও নেটিজেনরা তখনও জানতেন না, ইতিমধ্যেই জীবনের জন্য কতটা লড়াই করতে হয়েছে একরত্তিকে। জানতেন না, মা হয়ে কতটা লড়তে হয়েছে বিপাশাকে।
সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে একটি লাইভ ইন্টারভিউতে অভিনেত্রী নেহা ধুপিয়ার সঙ্গে কথোপকথন করেছেন বিপাশা। সেইখানেই মেয়ে দেবীর স্বাস্থ্য নিয়ে এই তথ্য ভাগ করে নিয়েছেন অভিনেত্রী। তিনি বলেছেন, দেবীর জন্মের তিন দিনের দিন জানা গিয়েছিল তার হৃদযন্ত্রে দুটি ছিদ্র রয়েছে। চিকিৎসক তখন পরামর্শ দিয়েছিলেন একটু অপেক্ষা করতে। প্রত্যেক মাসেই স্ক্যান করে দেখতে বলা হয়েছিল, দেবীর হৃদযন্ত্রের ছিদ্র নিজে থেকেই বন্ধ হয়ে যায় কি না।
বিপাশা বলেন, 'ওইটুকু বাচ্চাকে সার্জারি করানো যায়! সেইসময় খুব কষ্ট হয়েছিল, বোঝা মনে হয়েছিল, বিরুদ্ধ মত এসেছিল মনে। দেবীর জন্মের প্রথম ও দ্বিতীয় মাসে স্ক্যান করে দেখা হয়েছে। তৃতীয় মাসে আমি প্রায় সকল চিকিৎসক এবং সার্জেনদের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। আমি নিশ্চিত ছিলাম যে দেবীকে সুস্থ করতেই হবে এবং দেবী সুস্থ হবেই। সঠিক সময়ে, সঠিক জায়গায় অপারেশন করানো জরুরি। ওর বয়স যখন তিন মাস, তখন ওপেন হার্ট সার্জারি হয়। করণ ওই সময় দেবীকে আইসিউতে দেখে একেবারে ভেঙে পড়েছিল। চারদিকে মনিটর, এবং ড্রেসিং করা বুকে আমার মেয়ে হিরোর মতো শুয়ে ছিল। দেবী সাহসী মনের এবং শক্তিশালী।'
অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় (Swastika Mukherjee) টলিউডের সীমানা পেরিয়ে বলিউডের ওয়েব সিরিজেও পদার্পণ করেছেন। ওমন সৌন্দর্যের ভক্ত অনেক। কখনও সৃজিত মুখোপাধ্যায় কখনও সুমন মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে অভিনেত্রীর নাম জড়িয়েছে। যদিও স্বস্তিকা অনেকবার বলেছেন, তাঁর সম্পর্কের স্টেটাস 'সিঙ্গেল'। অনেকেরই জানা, আবার অনেকের অজানা, খুব কম বয়সে সঙ্গীতশিল্পী সাগর সেনের ছেলে প্রমিত সেনকে বিয়ে করেছিলেন তিনি। যদিও স্বামীর সঙ্গে সংসার সুখের হয়নি।
স্বামীর সঙ্গে যখন আলাদা থাকা শুরু করেন, তখনই বুঝতে পেরেছিলেন তিনি অন্তঃসত্বা। এরপর জীবনে আসে মেয়ে অন্বেষা। সেই ছোট্ট মেয়েটি আজ বড় হয়েছে। বিদেশে পড়াশোনা করছে। বিয়ের এতবছর পর স্বস্তিকার ব্যর্থ বিয়ের জন্য আফসোস হয়? সম্প্রতি অভিনেত্রী এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, বিয়ে ভেঙে যাওয়া নিয়ে তাঁর মনে কোনও ক্লেদ নেই। বরং তিনি ভাবেন, বিয়ে না হলে মেয়েকে পেতেন না।
স্বস্তিকা 'সিঙ্গেল পেরেন্ট' হয়ে বড় করেছেন মেয়ে অন্বেষাকে। তিনি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, মেয়েই তাঁর ভালো থাকার কারণ। অভিনেত্রী এও বলেছেন, তাঁর জীবন সংগ্রামের চালিকা শক্তি মেয়ে অন্বেষা।
সুস্মিতা সেন (Sushmita Sen)। একসময় বিশ্বসুন্দরীর মুকুট উঠেছিল তাঁর মাথায়। অভিনয় জগতেও সুনাম অর্জন করেছেন তিনি। ব্যক্তিগত জীবনও গুছিয়ে নিয়েছেন নিজের মতো। মাতৃত্বের স্বাদ পেতে চেয়েছিলেন সুস্মিতা। মাদার টেরিজার দেখানো পথে দত্তক নিয়েছিলেন দুই কন্যাকে। বড় কন্যার নাম রেখেছিলেন রেনে। ছোট কন্যাটির নাম রেখেছেন আলিসা। সেই ছোট্ট মেয়েটির এখন বড় হওয়ার পালা।কিন্তু তার আগেই আলিসাকে দুনিয়া দেখতে নিয়ে গেলেন মা সুস্মিতা।
মেয়ে আলিসাকে নিয়ে প্যারিস গিয়েছেন সুস্মিতা। আইফেল টাওয়ার দেখে ছোট কন্যাটি তো খুব খুশি। মেয়ের সঙ্গে আনন্দ ভাগ করে নিয়েছেন সুস্মিতা। সামাজিক মাধ্যমে সেই ভিডিও শেয়ার করেছেন অভিনেত্রী। ক্যাপশনে লিখেছেন, পড়াশোনার জন্য বিদেশে যাওয়ার আগে আমার সোনার প্রথম ফ্রান্সের প্যারিস সফর।সময় কত তাড়াতাড়ি উড়ে যায়। আমি আমাদের এই নাচ সবসময় মনে রাখব।'
দুই মেয়েকেই মাতৃস্নেহে বড় করে তুলেছেন সুস্মিতা। তাঁদের সঙ্গে সময় কাটানো, একসঙ্গে ঘুরতে যাওয়া এমন অনেক মুহূর্তের সাক্ষী থেকেছেন নেটিজেনরা। মেয়ে আলিসার বিদেশ যাওয়ায় সুস্মিতার জীবনের আরও একটি অধ্যায়ের শুরু। নেটিজেনরাও অভিনেত্রীর বক্তব্যের সম্মতিতে বলছেন, 'সত্যিই সময় পেরিয়ে গিয়েছে কত তাড়াতাড়ি।'
বলিউড অভিনেত্রীদের মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছেন আলিয়া ভাট (Alia Bhatt)। মঙ্গলবারেই মুক্তি পেয়েছে আলিয়া ভাট অভিনীত সিনেমা 'রকি অউর রানী কি প্রেম কাহানি'-এর ট্রেলার। মুক্তি পেয়েছে সিনেমার একটি গান 'তুম ক্যায়া মিলে'। ট্রেলার এবং গান, দুটিতেই প্রশংসা পেয়েছেন আলিয়া। অভিনেত্রী আগেই জানিয়েছেন, মেয়ে 'রাহা'-এর জন্ম হওয়ার মাত্র চার মাসের মধ্যেই তিনি এই সিনেমার শ্যুটিংয়ে ফিরেছিলেন। মাতৃত্ব পালন করে অভিনয়ে ফেরার অভিজ্ঞতাকে কেমন? সেই নিয়েই এবার নিজের মন্তব্য দিলেন আলিয়া।
সম্প্রতি আলিয়াকে সামাজিক মাধ্যমের প্রশ্নোত্তর খেলায় এক ভক্ত ও নেটিজেন এই প্রশ্ন করেছেন। অভিনেত্রী উত্তরে বলেছেন, 'আমাকে ক্লান্ত কিন্তু তৃপ্ত দেখতে লেগেছে। নতুন মা হয়ে যেকোনও পেশায় ফেরা সহজ কাজ নয়। একই সময়ে অনেক অনুভূতি কাজ করে। শরীরের বড় পরিবর্তনগুলোর কথা আর বলছি না। আমি খুব ধন্য এবং সুবিধাপ্রাপ্ত যে আমার টিমের সদস্যরা আমাকে খুব সাহায্য করেছে।'
কাশ্মীরে এই গানের শ্যুটিংয়ে আলিয়ার সঙ্গে তাঁর কন্যা সন্তানও গিয়েছিল। কিভাবে সামলেছেন শ্যুটিং? উত্তরে আলিয়া বলেন, ভৈভবী ম্যাম (গানের কোরিওগ্রাফার) আমার নার্সিংয়ের সময় ম্যানেজ করে শ্যুটিংয়ের সময় ফেলেছিলেন। আমি যখন ফ্লোরে থাকতাম আমার মা এবং বোন আমার মেয়েকে সামলাতেন। কিন্তু আমার কন্যা রাহা প্রথমবার কাশ্মীরে গিয়ে নিজের চোখে পাহাড় দেখেছিল।'
দীর্ঘ ১১ বছরের অপেক্ষা। বিয়ের ১১ বছর পর দক্ষিণী অভিনেতা রামচরণ (Ram Charan) ও তাঁর স্ত্রী উপাসনার (Upasana) জীবনে এসেছে এক নতুন সদস্য। এত বছরের অপেক্ষার পর অবশেষে তাঁদের কোল আলো করে এসেছে কন্যাসন্তান। গত মঙ্গলবার সকালে কন্যা সন্তানের বাবা-মা হয়েছেন রামচরণ ও উপাসনা। ফলে তাঁদের পরিবারে এখন খুশির আমেজ। ধুমধাম করে তাঁদের বাড়িতেও স্বাগত জানানো হয়েছে। এবারে আজ, শুক্রবার নামকরণও করা হল রামচরণ ও উপাসনার মেয়ের। আজ ছিল তাঁদের মেয়ের নামকরণের অনুষ্ঠান। এদিন দাদু চিরঞ্জীবীই (Chiranjeevi Konidela) নাতনির নাম প্রকাশ করলেন। আর সেই নামেও রয়েছে বিশেষ চমক। ট্যুইট করে জানিয়েছেন তিনি নাতনির নাম রেখেছেন ক্লিন কারা কোনিডেলা (Klin Kaara Konidela)।
রামচরণের মেয়ের নাম প্রকাশ্যে আসতেই ধেয়ে আসছে একাধিক প্রশ্ন। নেটিজেনদের মনে প্রশ্ন জাগছে, এই নামের অর্থ কী? ফলে রামচরণের পরিবারের থেকেও সে বিষয়ে বিস্তারিত বলা হয়েছে। তাঁরা জানিয়েছেন, 'ললিতা সহস্রনাম' থেকে নাতনির নাম বেছে নিয়েছেন। রামচরণ একটি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট শেয়ার করেন, যেখানে লেখা রয়েছে, 'চেঞ্চু জনজাতির উপাস্যা ভৌরম্যা দেবীর আশীর্বাদে আপনাদের সকলের সঙ্গে আমাদের কন্যা ক্লিন কারার পরিচয় করাচ্ছি। এটি ললিতা সহস্রনাম থেকে নেওয়া হয়েছে। যার অর্থ, মানুষের মধ্যে আধ্যাত্মিক ভাব জাগ্রত করা।
রামচরণের কন্যার এমন নামকরণে খুশি তাঁর অনুরাগীরা। তাঁদের এই পোস্টে ধেয়ে এসেছে শুভেচ্ছা। কেউ কমেন্টে লিখেছেন, 'কী পবিত্র একটা নাম!' কেউ আবার লিখেছেন, 'এই সুখের কোনও সীমা নেই।'
রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য (Buddhadeb Bhattacharjee)। ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী) দলের দীর্ঘদিনের পলিটব্যুরোর সদস্য বর্তমানে শয্যাশায়ী। বুদ্ধদেব বাবুর কন্যা সুচেতনা ভট্টাচার্য লিঙ্গ পরিবর্তন করে 'সুচেতন' নামে পরিচিত হতে চান। এর জন্য আইনি পরামর্শ নিতে শুরু করেছেন প্রেসিডেন্সি কলেজের এই প্রাক্তনী৷ শংসাপত্রের জন্য যোগাযোগ করেছেন মনোবিদের সঙ্গেও।
৪১ বছর বয়সী সুচেতনা জানিয়েছেন, তাঁর এই সিদ্ধান্তে বাবা বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সম্পূর্ণ সমর্থন রয়েছে৷ তবে তাঁর পারিবারিক পরিচয় এই ক্ষেত্রে বড় কথা নয়। তিনি এটা করছেন এলজিবিটিকিউ আন্দোলনের অঙ্গ হিসেবে। একজন ট্রান্সম্যান হিসেবে প্রতি দিন তাঁকে যে সামাজিক হেনস্থার মুখোমুখি হতে হয়, তা তিনি বন্ধ করতে চান।
সুচেতনা (যিনি নিজেকে 'সুচেতন' বলেই পরিচয় দিতে চান) জানিয়েছেন, তিনি প্রাপ্তবয়স্ক। তাঁর এই সিদ্ধান্তে বাবা-মাকে টানার প্রয়োজন নেই। প্রেসিডেন্সির প্রাক্তন এসএফআই সংগঠক মনে করেন, নিজেকে যিনি মানসিক ভাবে পুরুষ মনে করেন, তিনিই পুরুষ। যেমন তিনি নিজেই৷ এখন তিনি সেটা শারীরিক ভাবেও পুরুষ হতে চান।
অভিনয় জগতে সুখবর। বাবা (Father) হলেন 'আরআরআর' খ্যাত অভিনেতা রামচরণ তেজা (Ramcharan Teja)। স্ত্রী উপাসনার (Upasana) সঙ্গে ফুটফুটে কন্যা সন্তানের আসার আনন্দ উদযাপন করছেন অভিনেতা। অভিনেতার স্ত্রী উপাসনা যে সন্তানসম্ভবা তা সকলেই জানতেন। অস্কারের মঞ্চেও রামচরণের সঙ্গে গিয়েছিলেন তাঁর স্ত্রী। স্পষ্ট বোঝা গিয়েছিল তাঁর স্ফীতোদর। ২০ জুন হায়দরাবাদের এক বেসরকারি হাসপাতালে তাঁদের কন্যাসন্তান হল। অভিনেতার বাবা চিরঞ্জীবী নাতনী জন্মানোর কিছু ঘন্টা আগেই গিয়েছিলেন তাকে স্বাগত জানাতে।
কিছুদিন আগেই বেসরকারি হাসপাতাল থেকে একটি ছবি আপলোড করে উপাসনা লিখেছিলেন, 'খুব তাড়াতাড়ি কিছু একটা আসছে।' উপাসনার বাড়ি থেকে কিছুদিন আগেই তাঁকে 'সাধ' দেওয়া হয়েছিল। উপাসনা সেই ছবি আপলোড করে সামাজিক মাধ্যমে লিখেছিলেন, 'এত ভালোবাসা পেয়ে আমি ধন্য।' অন্যদিকে সন্তান আসার আগেই বাড়িতে এসে গিয়েছে কাঠের তৈরী বিছানা। সেই ছবিও সামাজিক মাধ্যমে দিয়েছিলেন উপাসনা।
পাঁচ দিন আগে ১১ রামচরণ ও উপাসনার বিয়ের ১১ বছর পূর্ন হয়েছে। নেটিজেনদের প্রশ্ন কেন এত বছর পরে তাঁরা মা বাবা হওয়ার সিদ্ধান্ত কেন নিলেন তাঁরা? এক সাক্ষাৎকারে উপাসনাকে একই প্রশ্ন করে হলে তিনি উত্তর দেন, 'আমি আনন্দিত, খুশি এবং একই সময়ে গর্বিত যে আমি এমন সময়ে মা হয়েছি, যখন আমি হতে চেয়েছি। এমন সময় মা হইনি যখন সমাজ চেয়েছিল।'
দক্ষিণী সুপারস্টার প্রভু দেবার (Prabhu Deva) পরিবার আলো করে লক্ষ্মী (Daughter) এসেছে তাঁর ঘরে। এই খবর ভক্তদের সঙ্গে নিজেই ভাগ করে নিয়েছেন এই তারকা। সোমবার তিনি জানান, তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী হিমানী এক কন্যাসন্তানের জন্ম দিয়েছেন। ২০২০ সালেই প্রথম বিয়ের অবসান ঘটিয়ে হিমানীর সঙ্গে ঘর বেঁধেছিলেন এই নৃত্যশিল্পী তথা পরিচালক।
প্রভু নিজেই জানিয়েছেন, 'হ্যাঁ এটা সত্যি যে আমি এই বয়সে (৫০) এসে বাবা হয়েছি। আমি ভীষণ ভীষণ খুশি, এবং নিজেকে সম্পূর্ণ লাগছে।' নিজের কন্যাসন্তানের নাম এই প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত প্রকাশ্যে না আনলেও তাঁর ঘরে এই প্রথমবার লক্ষ্মী আসায় তিনি স্বাভাবিকভাবেই খুব আনন্দিত, এবং সেই আনন্দ তিনি লুকিয়েও রাখেননি। সেই সঙ্গে নিজেকেই একটি প্রমিস করেছেন তিনি।
কী সেই প্রমিস? প্রভু দেবা জানিয়েছেন, এখন থেকে যত বেশি সম্ভব সময় তিনি নিজের পরিবারকেই দিতে চান। তাঁর কথায়, 'আমি ইতিমধ্যেই আমার কাজের বোঝা কমিয়ে ফেলেছি। মনে হচ্ছিল শুধুই কাজ করছি, ছুটে বেড়াচ্ছি। এবার আর না। আমি এখন শুধুই পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে চাই।'
প্রথম পক্ষের বিয়েতে তিন পুত্রসন্তান ছিল প্রভুর। কার্যত সকলকে চমকে দিয়েই বছর তিনেক আগে দ্বিতীয়বার বিয়ে করেন তিনি। চেন্নাই ও মুম্বই মিলিয়ে দৌড়-ঝাঁপ করে কাজের মধ্যেই থাকতেন বেশিরভাগ সময়টা। তবে এবার হয়তো স্ক্রিনে তাঁর দেখা কমই মিলবে।
অভিনেত্রী বিপাশা বাসু (Bipasha Basu) মুম্বইবাসী কিন্তু তাঁর মনে যত্নে সঞ্চিত রয়েছে বাঙালি সংস্কৃতি। বিয়ে করেছেন অভিনেতা করণ সিং গ্রোভারকে। কন্যা সন্তান এসেছে তাঁদের জীবনে। মেয়েকে বাঙালি সংস্কৃতির আবহেই বড় করে তুলতে চাইছেন অভিনেত্রী। বিপাশা তাঁর মেয়ের নাম রেখেছেন দেবী (Devi)। ডাক নাম মিষ্টি। ছোট্ট মিষ্টির মুখেভাতের অনুষ্ঠান হয়েছে সম্প্রতি। সেই অনুষ্ঠানেও দেখা গিয়েছে বাঙালি সংস্কৃতি।
মেয়ের মুখেভাতের একটি ঝলক বিপাশা সামাজিক মাধ্যমে আপলোড করেছেন। সেই ভিডিওতে দেখা গিয়েছে ছোট্ট দেবীর মুখেভাতে তাকে লাল বেনারসি শাড়ি পরিয়েছেন বিপাশা। মাথায় পরিয়েছেন সাদা শোলার মুকুট। বিপাশার কন্যাটিকে লাল পোশাকে সত্যিই ছোট্ট দেবীর মতোই দেখতে লেগেছে। মুখেভাতে উপস্থিত ছিলেন বিপাশার পরিবারের ঘনিষ্ঠ সদস্যরা। দেবীকে মুখেভাত দিয়েছেন তার মামারবাড়ির দাদু।
মেয়ের মুখেভাত উপলক্ষ্যে বিপাশা পরেছিলেন লাল চুড়িদার। মাথায় খোঁপা এবং সিঁথিতে সিঁদুর দিয়ে বাঙালি ঐতিহ্য ধরে রাখতে চেয়েছেন বিপাশা। করণ পরেছিলেন সাদা পাঞ্জাবি-পাজামা। একেবারে বাঙালি নিয়মেই হয়েছে দেবীর মুখেভাতের অনুষ্ঠান। ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ পেতেই নেটিজেনরা প্রশংসায় ভরিয়েছেন।