ঝোপ থেকে উদ্ধার মানুষের কঙ্কাল (Skeleton)। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা দাসপুর (Daspur) থানার জোৎকানুরামগড় এলাকায়। এই ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছে দাসপুর থানার পুলিস (Police)। পুলিস ঘটনাস্থলে গিয়ে কঙ্কালটি উদ্ধার করে। যদিও কঙ্কালের সঙ্গে থাকা কিছু জিনিসপত্র দেখে কঙ্কালটিকে শানক্ত করা গিয়েছে। তবে ওই কঙ্কালটি ফরেনসিককে পাঠানো হয়েছে কিনা তা এখনও জানা যায়নি। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দাসপুরের জোৎকানুরামগড় এলাকার একটি ঝোপে একটি লুঙ্গি ঝুলছে আর গাছের নিচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে মানুষের হাড়গোড়। এই দেখেই সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় দাসপুর থানায়। তারপরেই পুলিস গিয়ে উদ্ধার করে কঙ্কাল সহ লুঙ্গি ও টর্চ। স্থানীয় সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, কঙ্কালের সঙ্গে থাকা জিনিসপত্র দেখে দেহটিকে শনাক্ত করতে পেরেছে ওই ব্যক্তির পরিবারের লোকেরা।
স্থানীয়দের দাবি, মাস খানেক আগে অর্থাৎ ১ জুন রাতে এলাকা চিত্তরঞ্জন দোলই (৫৫) নামের এক ব্যক্তি বাড়িতে অশান্তি করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। তারপর থেকে অনেক খোঁজাখুঁজি করা হলেও তাঁকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। আজ অর্থাৎ ১৭ জুলাই সোমবার চিত্তরঞ্জ বাবুর বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে একটি ঝোপ থেকে চিত্তরঞ্জন বাবুর কঙ্কালটি উদ্ধার করা হয়।
ফের ড্রোন (Pak Drone) ব্যবহার করে ওপার থেকে ভারতে পাচারের চেষ্টা অব্যাহত। উদ্ধার পাকিস্তানি ড্রোন। জানা গিয়েছে, বাজেয়াপ্ত সেই ড্রোন থেকে এক কেজি মাদক (narcotics) উদ্ধার হয়েছে। সোমবার ভারত-পাক সীমান্তে পঞ্জাবের (Punjab Border) গুরদাসপুর থেকে বিএসএফ (BSF) এই ড্রোন বাজেয়াপ্ত করেন।
বিএসএফ-র বক্তব্য, ‘‘গুরুদাসপুরের কসোয়ালে আমাদের ঘাঁটি থেকে ২ কিলোমিটার দূরে একটি পুরনো ভাঙাচোরা ড্রোন পাওয়া গিয়েছে। তার সঙ্গে ১ কেজি ওজনের হেরোইন উদ্ধার করা হয়েছে।’’
সোমবার দুপুরে স্থানীয় কৃষকদের চোখে এই ড্রোন পড়ে। খবর যায় বিএসএফ-এ, তারা এসে ড্রোনটি বাজেয়াপ্ত করে।
এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, বছর শেষেও পাক একটি ড্রোন ঢুকে পড়েছিল সীমান্ত এলাকায়। জানা গিয়েছে, ২০ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ পঞ্জাবের অমৃতসরের জেলার সীমান্তবর্তী অঞ্চলে ঢুকে পড়ে ড্রোনটি।
এবার দুষ্কৃতী তাণ্ডবের হাত থেকে রক্ষা পেল না শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও। বিদ্যালয় (school) জুড়ে রাতভর দুষ্কৃতীদের তাণ্ডবের অভিযোগ। অভিযোগ পেয়েই বৃহস্পতিবারের দুপুরে বিদ্যালয় চত্বর সরজমিনে তদন্তে যান স্বয়ং দাসপুর থানার ওসি অমিত মুখোপাধ্যায়। ঘটনাটি দাসপুর (Dashpur) থানার সুরতপুর শ্রী অরবিন্দ শতবার্ষিকী বিদ্যামন্দির বিদ্যালয়ের। ঘটনার খবর জানাজানি হতেই এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
বিদ্যালয়ের তরফে শিক্ষক (teacher) শিক্ষিকাদের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার বিদ্যালয়ে ঢুকতেই দেখা যায় বিদ্যালয়জুড়ে ভাঙচুরের ছবি। নোটিস বোর্ড, মেয়েদের শৌচালয়, বিদ্যালয়ের বাগান সব জায়গাতেই ভাঙচুর, তছনছ কাগজপত্র। বিদ্যালয়ের এক সহকারী শিক্ষক অমিত বাবু জানান, 'তাঁদের প্রাথমিক অনুমান বুধবার রাতের অন্ধকারে এই তাণ্ডব চালিয়েছে কেউ বা কারা।' স্থানীয়দের থেকে জানা গিয়েছে রাতে এই বিদ্যালয়ের মধ্যে প্রবেশ করেছিল কয়েকজন বহিরাগত। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, এই কাজ তাদের হতে পারে।
এদিকে, ঘটনার পরই বিদ্যালয়ের তরফ থেকে দাসপুর থানায় অভিযোগ জানানো হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে দাসপুর থানার ওসি অমিত মুখোপাধ্যায় বিদ্যালয়ে গিয়ে সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখেন। দ্রুত ওই দুষ্কৃতকারীদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইননানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছে পুলিস। তবে রাতদুপুরে এমন দুষ্কৃতী হামলায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে।