নতুন বছরে প্রথম তুষারপাত দার্জিলিংয়ে। হাড় কাঁপুনি ঠাণ্ডা, তার উপর তুষারপাত। যদিও এই সময়ে ঘুরতে গিয়ে বেশ আনন্দ উপভোগ করছে পর্যটকেরা। মঙ্গলবার বেলা গড়াতেই তুষারপাতে ছেয়ে গিয়েছে দার্জিলিংয়ের একাধিক এলাকায়। উত্তর সহ দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়ার পরিবর্তনের কথা আগেই জানিয়েছিল আবহাওয়া দফতর। এবার সেই মতই উত্তরবঙ্গের কুইন অফ হিলসের একাধিক এলাকা ঢাকল বরফে।
জানা গিয়েছে, দার্জিলিংয়ের সিঙ্গলিলা ন্যাশনাল পার্কের অন্তর্গত টুমলিং, টংলু, মেঘমা সহ বিভিন্ন এলাকায় তুষারপাত। যার ফলে ওই এলাকার রাস্তায় জমেছে পুরু বরফের স্তর। উত্তরবঙ্গের কনকনে ঠাণ্ডা থাকলেও দার্জিলিংয়ের ক্ষেত্রে রয়েছে হাড় কাঁপানি শীত। এ ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবেই উচ্ছসিত পর্যটকরা। এর আগে দার্জিলিংয়ে গত বছর ডিসেম্বরেই বরফ পড়েছিল সান্দাকফু-ফালুট এলাকায়।
আবাহওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, মঙ্গলবারের মতো বুধবারেও দার্জিলিংয়ে ও উঁচু পার্বত্য় এলাকায় তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এবং পশ্চিমী ঝঞ্ঝার জেরে বৃষ্টিরও হতে পারে। হিমাঙ্কের নিচে নামতে পারে দার্জিলিংয়ের তাপমাত্রার পারদ। শুধু দার্জিলিং নয় সিকিম শিলিগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারেও বিরাজ করবে হাড়হিম করা ঠাণ্ডা।
রেড পান্ডার পরিবর্তে একজোড়া সাইবেরিয়ান বাঘ। শনিবার শনিবার সন্ধ্যায় এমিরেটস এর বিমানে কলকাতায় এসে পৌঁছয় এই বাঘ জোড়া। জানা গিয়েছে, এর মধ্যে একটি পুরুষ ও একটি মহিলা বাঘ রয়েছ। লারা এবং আকামাস। তবে তাদের স্থায়ী ঠিকানা কলকাতা চিড়িয়াখানা নয়। গন্তব্য দার্জিলিং চিড়িয়াখানা। কলকাতা বিমানবন্দর থেকে সড়কপথে অ্যানিম্যাল অ্যাম্বুল্য়ান্সে করে দার্জিলিংয়ের পদ্মজা নাইডু হিমালয়ান জুওলজিক্যাল পার্কের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হয়।
মূলত এক্সচেঞ্জ পদ্ধতিতেই এই বাঘ দুটিকে নিয়ে আসা হল এখান। ভারত থেকে দুটি লাল পান্ডা পাঠানো হয়েছে সাইবেরিয়াত। কাঠের বাক্সের মধ্যে করে নিয়ে আসা হয় এই দুটি বাঘকে। দু’জনেরই বয়স এক বছরের বেশি।
দার্জিলিংয়ে লাইনচ্যুত হয়ে পড়ল টয় ট্রেন। ঘুম স্টেশন ছাড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই দুর্ঘটনাটি ঘটে। যদিও হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি। তবে এর জেরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে যাত্রীদের মধ্যে। জানা গিয়েছে, শনিবার সকালে নির্দিষ্ট সময়েই যাত্রা শুরু করে টয় ট্রেনটি। ঘুম স্টেশন ছাড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই ট্রেনের ইঞ্জিন লাইনচ্যুত হয়। তারপরেই বিকট শব্দে থেমে যায় ট্রেনটি।
এর জেরে যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অনেকেই রেলের গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন। তাঁদের বক্তব্য, যাত্রী নিরাপত্তার বিষয়টিকে সেভাবে গুরুত্ব দিচ্ছে না রেল। এদিকে এই ঘটনার পর অনেক যাত্রীই আর টয় ট্রেনে চাপতে পারেননি।
পুরো ঘটনাটিকে দুর্ভাগ্যজনক আখ্যা দিয়েছেন উত্তর পূর্ব রেলের জনসংযোগ আধিকারিক। তাঁর বক্তব্য, যাত্রীদের কাছে বিকল্প ট্রেনের কথা জানানো হয়েছিল। কিন্তু তাঁরা সেই আবেদনে সাড়া দেননি। যাঁরা ট্রেনে চড়তে পারেননি তাঁদের পুরো টিকিট ফেরত দেওয়া হবে বলে রেলের তরফে জানানো হয়েছে।
শনিবার রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু নৈশভোজে আমন্ত্রণ করেছেন সদস্য় দেশের রাষ্ট্রনেতাদের। কী থাকছে সেই নৈশভোজের মেনুতে। প্রকাশ্যে এসেছে সেই মেনু কার্ডও। তার মধ্যে জায়গা পেল বাংলার দার্জিলিংয়ের চা।
এদিন নৈশভোজে থাকছে ভারতীয় ছোঁয়া। জানা গিয়েছে, নৈশভোজের স্টার্টারে থাকছে পাত্রম। বিশেষ জায়গা করে নিয়ে মিলেট। থাকছে ঝাল চাটনি। মেন কোর্সে জায়গা করে নিয়েছে ভানবারনম। কেরালার লাল চাল ও উৎকর্ষ মাশরুম থাকছে। সঙ্গে থাকবে মুম্বইয়ের পাওভাজি, কাশ্মীরে বাকারখানি। শেষপাতে থাকছে, ইলাচি ফ্লেভারের হালুয়া ও মোরোব্বা।
নৈশভোজের পর অতিথিদের জন্য থাকবে কাশ্মীরের কাহওয়া, ফিল্টার কফি ও দার্জিলিং চা।
ভোট হয়েছিল শান্তিতে। গণনাতেও একই ছবি। রাজ্যের পঞ্চায়েত ভোটে ব্যতিক্রম হয়ে থাকল পাহাড়ের (Hill) দুই জেলা দার্জিলিং (Darjeeling) এবং কালিম্পং (Kalimpong)। গত শনিবার এই দুই জেলায় দ্বিস্তরীয় নির্বাচন হয়েছে। রাজ্য নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, এই দুই জেলা থেকে কোনও অভিযোগ এবং অশান্তির খবর পাওয়া যায়নি। এমনকী, জেলাওয়াড়ি ভোট শতাংশের নিরিখে বেশি ভোট পড়েছিল পাহাড়ের এই দুই জেলায়।
দার্জিলিঙের মোট পাঁচটি কেন্দ্রে গণনার কাজ চলছে। কালিম্পঙে চারটি গণনা কেন্দ্র রাখা হয়েছে। জেলা পরিষদ না থাকায়, দ্বিস্তরীয় ব্যালট পেপারের ভোটের ফলাফলে আসতে কিছুটা দেরি হবেই বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে ফল ঘোষণার আগেই পাহাড়ে শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন জিটিএ প্রধান অনীত থাপা। একই অনুরোধ তৃণমূল কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে আসা বিনয় তামাঙের। অনীত জানিয়েছেন, সবাইকে সংযত থেকে বিজয় উৎসব পালন করতে হবে।
পুকুরের জলের মধ্যে উদ্ধার (rescue) এক ব্যক্তি মৃতদেহ (Death)। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে দার্জিলিং (Darjeeling) জেলার শিলিগুড়ি মহাকুমার খড়িবাড়ি ব্লকের মহিপাল জোত গ্রামে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় খড়িবাড়ি থানার পুলিস। মৃতদেহ উদ্ধারকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত বক্তির নাম শরৎলাল সিংহ (৬৩)।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে মৃত ওই ব্যক্তিকে পুকুরের জলে ভেসে থাকতে দেখতে পায় বেশ কয়েকজন ব্যক্তি। এরপরে খবর দেওয়া হয় পুলিসকে। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় খড়িবাড়ি থানার পুলিস। স্থানীয়রা আরও জানিয়েছেন, বুধবার রাতে মদ্যপান করে পুকুরে গেলে জলে ডুবে মৃত্যু হয় ওই ব্যক্তির। এদিন সকালে স্থানীয়রা পুকুরে ডুবে থাকতে দেখে ভিড় জমান। পরে মৃতদেহকে উদ্ধার করে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পাঠানো হয়েছে ময়না তদন্তের জন্য। ঘটনার জেরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে এলাকায়।
দার্জিলিং (Darjeeling) যাওয়ার পথে হঠাৎই উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে (North Bengal University) রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Anand Bose)। উপাচার্যের সঙ্গে ঘণ্টাখানেক বৈঠক করেন তিনি। এরপর সেখান থেকে বেরোনোর সময় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন। তাঁকে কালো পতাকা দেখানোর চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ। এরপর সেখান থেকে দার্জিলিঙের উদ্দেশে রওনা দেন তিনি।
জানা গিয়েছে, ২৮ জুন ১৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের নিয়ে বৈঠকের ডাক দিয়েছেন রাজ্যপাল। সেই বৈঠকই বানচাল করার চেষ্টার অভিযোগ উঠছে। বৈঠকে আসতে বাধার দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। এমনকী, উপাচার্যদের উপর চাপ সৃষ্টি করারও অভিযোগ উঠছিল রাজ্যপালের বিরুদ্ধে। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য জানিয়েছেন, নিজেই সেসব খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন রাজ্যপাল।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayet Election) প্রাক্কালে দার্জিলিং (Darjeeling) পাহাড়ে বিজেপির উদ্যোগে গড়ে উঠল তৃণমূল বিরোধী মহাজোট (Alliance)। হাতে হাতে মিলিয়ে লড়ার সিদ্ধান্ত নিলেন একদা যুযুধান রাজনৈতিক নেতারা৷ মহাজোটে রয়েছে বিজেপি, বিমল গুরুংয়ের গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা, অজয় এডওয়ার্ডের হামরো পার্টি, জিএনএলএফ, সিপিআরএম এবং অখিল ভারতীয় গোর্খা লিগ।
এই মহাজোটের নাম দেওয়া হল ইউনাইটেড (সংযুক্ত) গোর্খা মঞ্চ'। রবিবার দার্জিলিঙের জিমখানা ক্লাবে বৈঠকের পর জোটের কথা ঘোষণা করেন দার্জিলিংয়ের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্ত৷ তিনি বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে এই মহাজোট গড়ে তোলা হয়েছে। দীর্ঘ ২ দশক পর পাহাড়ে পঞ্চায়েত ভোট হতে চলেছে। মহাজোটের সবকটি দলই বিজেপির পদ্ম প্রতীকে লড়বে।
এই জোটকে কটাক্ষ করেছে ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা। তাদের দাবি, জিএনএলএফ পঞ্চায়েত ব্যবস্থা ভেঙে ফেলেছিল। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা ক্ষমতায় থাকার সময় এই নির্বাচন করাতে চায়নি। এখন তারাই পঞ্চায়েত নির্বাচনপ জোট করছে। দার্জিলিংয়ের তৃণমূলের সভানেত্রী শান্তা ছেত্রীও এই জোটকে গুরুত্ব দিতে চাননি।
দক্ষিণবঙ্গ (North Bengal) যখন তাপে তপ্ত হয়ে যাচ্ছে, তখন উত্তরবঙ্গে বেশ কিছু জায়গায় শুরু হলো বৃষ্টি (Rain)। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস সত্যি করে বৃষ্টি শুরু হলো দার্জিলিং (Darjeeling), কালিম্পং-এর বেশ কিছু এলাকায়। বুধবার ওই এলাকার বেশ কিছু জায়গায় মাঝারি বৃষ্টিপাত হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
দক্ষিণবঙ্গে যখন তাপের জেরে জেরবার অবস্থা, তখন উত্তরবঙ্গের এই বৃষ্টিতে কিছুটা স্বস্তিতে উত্তরবঙ্গের বাসিন্দারা। এদিকে যেমন দক্ষিণবঙ্গ বৃষ্টির দিকে তাকিয়ে, তখন বৃষ্টি উপভোগ করছে উত্তরবঙ্গ। যদিও তেমনটাই পূর্বাভাস দিয়েছিল আবহাওয়া দফতর।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস ছিল, বুধবার থেকে আগামী শনিবার পর্যন্ত দার্জিলিং, কালিম্পং-সহ পাহাড়ি এলাকায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে। সেই সঙ্গে চলবে বজ্রপাত এবং শিলাবৃষ্টিও। সেই মোতাবেক বুধবার দুপুর থেকেই পাহাড়ের বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে। কালিম্পং জেলার ঝান্ডি, গরুবাথান-সহ বিভিন্ন এলাকায় শুরু হয় বৃষ্টি। তার ফলে এই গরমে স্বস্তি ফিরেছে উত্তরবঙ্গে। সিকিম আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা গোপীনাথ রাহা বলেন, ‘পূর্বাভাস অনুযায়ী বৃষ্টি শুরু হয়েছে। বৃষ্টিপাতের সঙ্গে শিলাবৃষ্টিও হবে পাহাড়-সহ সমতলে। আগামী কয়েকদিন এই বৃষ্টি চলবে দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি-সহ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায়।’ এরফলে তাপমাত্রা খানিকটা কমবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
বহুদিন পর রডোড্রেনড্রন ফুল-সহ বরফ দেখল দার্জিলিং (Darjeeling Tourism)। দার্জিলিং নাম শুনলেই কম বেশি সব বাঙালির মনেই একটু ভাব জাগে। তাও যদি দার্জিলিংয়ে বরফ (Snow Fall) পড়ে। কনকনে ঠাণ্ডা, তার মধ্যেও কাছাকাছি বরফের স্বাদ পেতে দার্জিলিং ছুটে যায় কিছু পাহাড়প্রেমী। আগামীকালই আবহাওয়া দফতর জানিয়েছিল, পাহাড়ে এখনি বৃষ্টি বন্ধ হচ্ছে না। এই বৃষ্টি চলবে বুধবার পর্যন্ত। দার্জিলিং, কালিম্পঙ-সহ (Darjeeling-Kalimpong) উত্তরের জেলাগুলিতে গত দু'দিন ধরেই বৃষ্টি হচ্ছে বলেই খবর।
রবিবার শীত মরশুমের বিদায়বেলায় শ্বেতশুভ্র বরফ দেখেছে দার্জিলিং। অর্থাৎ দার্জিলিং জেলার তথা পশ্চিমবঙ্গের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ সান্দাকফুর বাড়িঘর, রাস্তাঘাট, সবকিছুই ঢেকেছে বরফে। দার্জিলিংয়ের একটি বিস্তীর্ণ অঞ্চলজুড়ে রয়েছে সিঙ্গালিলা ন্যাশনাল পার্ক। মার্চ মাসের মাঝামাঝিতে সামান্য তাপমাত্রা বাড়লে সিঙ্গালিলার নিচের দিকে ফোটা শুরু হয় রডোড্রেনড্রন ফুল। নিয়মমতো টংলু, টুমলিং, ধোত্রে, রাম্মাম, সামানদেন, গোর্খে, শ্রীখোলা এলাকায় ফুটে থাকতে দেখা যায় লাল-সাদা রঙের ভীষণ রকম বিচিত্র এই রডোড্রেনড্রন ফুল।
এরপর মার্চের শেষের দিকে যখন আবহাওয়া আরও স্পষ্ট হয়, অর্থাৎ সামান্য ঠান্ডা কমলে সান্দাকফু, ফালুট এই এলাকাগুলিতেও কুড়ি থেকে ফুল ফুটতে শুরু করে। এবার আগেভাগে মার্চের শুরু থেকেই তাপমাত্রা হঠাৎই একটু বেড়ে যাওয়ায় শ্রীখোলা, গোর্খে, সামানদেন, টংলু, টুমলিং এলাকাগুলিতে রডোড্রেনড্রন ফুটতে শুরু করেছিল।
প্রকৃতির লীলায় মার্চের শেষে শীত মরশুমের বিদায় বেলায় সান্দাকফু-ফালুট, টংলু, টুমিলিং-সহ মানেভঞ্জনের নিকট দার্জিলিংয়ের বিস্তীর্ণ এলাকা ঢেকেছে বরফে। যার ফলে রডোড্রেনড্রন ফুল ফুটে থাকার পরে বরফের ছোয়ায় একই ঢিলে দুই পাখি পেয়েছেন দার্জিলিংয়ের আসা পর্যটকরা।
সান্দাকফুতে (Sandakphu) ফের তুষারপাত। যা দেখে আনন্দে আত্মহারা পর্যটকরা। দার্জিলিংয়ের (Darjeeling) অদূরে এই পর্যটন কেন্দ্রে মরশুমের তৃতীয়বার তুষারপাত (SnowFall) হলো বলে জানা গিয়েছে। আবহাওয়া (Weather) দফতর সূত্রে খবর, বিগত দু'দিন ধরে উত্তরবঙ্গে লাগাতার বৃষ্টিপাত চলছে। সে জন্যই হয়তো তুষারপাত সান্দাকফুতে।
দার্জিলিং, কালিম্পং সহ পাহাড়ে একটানা বৃষ্টি হচ্ছে। এখনই বৃষ্টি থামছে না উত্তরবঙ্গে। হাওয়া দফতর সূত্রে আরও খবর যে, আগামী আরও দু'দিন বৃষ্টি হবে পাহাড়ে। একই সঙ্গে শিলাবৃষ্টি হওয়ারও সম্ভাবনা থাকছে। চলতি মাসের ২০-২১ তারিখে পাহাড়ি এলাকা দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহারে একটু বেশি বৃষ্টি হবে। তবে আবহবিদদের মতে, এই বৃষ্টি চা চাষের জন্য উপকারী।
পশ্চিমবঙ্গের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ সান্দাকফু ( ৩৬৩৬ মি ), যা দার্জিলিং জেলার সিঙ্গলিলা ন্যাশনাল পার্কে অবস্থিত। সাধারণত দেশ-বিদেশ থেকে পর্যটকরা ট্রেকিংয়ে যান এখানে। আবহাওয়া পরিষ্কার থাকলে এই সান্দাকফু থেকেই কাঞ্চনজঙ্ঘা অর্থাৎ স্লিপিং বুদ্ধ রেঞ্জ স্পষ্ট দেখা যায়। তবে এবার শীতের বিদায়ে গোটা সান্দাকফুর বাড়ি-ঘর, রাস্তাঘাট সবই ঢেকেছে বরফে। ২৬ শে ফেব্রুয়ারি প্রথম তুষারপাত এবং ১৫ মার্চ সান্দাকফুতে তুষারপাত হয়। প্রচন্ড ঠান্ডা সহ্য করে আসা পর্যটকদের দাবি, 'তাঁরা তুষারপাত উপভোগ করেছেন।'
পড়শি সিকিমের তুষারপাতের একটু ছিটে কি দার্জিলিং পাবে? এই আশায় দলে দলে পর্যটকের দল যখন পাহাড়মুখী, তখন তাঁদের হতাশ করেছে হাওয়া অফিস। এখন আর তুষারপাত নয়, বরং বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে সিকিম -দার্জিলিংয়ে। এদিকে, সোমবার ঘন কুয়াশায় মোড়া ছিল পাহাড়ের আকাশ। মঙ্গলবার সেই কুয়াশা কেটে রোদ ঝলমলে। ফলে তাপমাত্রা আরো পতনের আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
তবে এই মুহূর্তে তুষারপাত না হলেও চলতি সপ্তাহে উত্তর থেকে পূর্ব সিকিমে সেই সম্ভাবনা রয়েছে। নাথুলা-সহ বিভিন্ন এলাকায় হালকা তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, দার্জিলিংয়ের সান্দাকফু, ফালুট-সহ বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত হবে। আপাতত তুষারপাতের কোনও সম্ভাবনা নেই বলেও জানানো হয়েছে। তবে ডুয়ার্স ও তরাই, সমতলে জাঁকিয়ে পড়বে ঠান্ডা। মালদহ, দুই দিনাজপুর, জলপাইগুড়ি এবং দার্জিলিঙের সমতলে ভারী কুয়াশা থাকবে সকালের দিকে। হাওয়ার বেগও থাকবে বেশি।
হর্ষ-বিষাদ, চাওয়া-পাওয়ার খাতাকে পিছনে ফেলে নতুন বছর ২০২৩-কে (New Year 2023) স্বাগত জানিয়েছে বিশ্ব। সেই পথের পথিক বাংলাও, বাঙালির পায়ের তলায় সর্ষে। তাই উৎসবকে আনন্দে পরিণত করতে বাঙালির (Bengal Festival) জুড়ি মেলা ভার। সেই প্রথা বজায় থাকলো ইংরেজি নববর্ষের প্রথম দিন। একে রবিবার, তার উপর শীতের কামড় কম। এই দুয়ের মিশেলে রবিবার ফেস্টিভ মুডে পাহাড়-সুন্দরবন। চিড়িয়াখানা, সায়েন্স সিটি, পিকনিক (Picnic), পাহাড়,সমুদ্র, জঙ্গল, কাশীপুর উদ্যানবাটিতে মানুষের ঢল। ২৫ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া উৎসবের সপ্তাহে এদিন ইতি পড়লো।
পয়লা জানুয়ারি তিথি মেনে কল্পতরু উৎসব পালিত হয় রাজ্যব্যাপী। তাই সকাল থেকে কাশীপুর উদ্যানবাটি, দক্ষিণেশ্বর-সহ রামকৃষ্ণের স্মৃতি বিজরিত একাধিক জায়গায় ভক্তদের ঢল নেমেছে। বেলুড় মঠও ছিল লোকারণ্য। পিছিয়ে ছিল না তারাপীঠ, দক্ষিণেশ্বর, লেক কালীবাড়ি, কঙ্কালিতলার মতো পীঠস্থানও। দেবী দর্শন এবং দেবী পুজোয় যোগ দিতে সকাল থেকেই এই জায়গাগুলোতে ভিড় জমিয়েছেন আম জনতা।
প্রচুর দর্শক সমাগম কলকাতার দর্শনীয় স্থানগুলোতে। ভিক্টোরিয়া থেকে চিড়িয়াখান, ইকো পার্ক, সায়েন্স সিটিতেও বেলা বাড়ার সঙ্গে বেড়েছে মানুষের ঢল। টাকি থেকে ঝাড়খালি, গাদিয়ারা থেকে দুর্গাপুর, রাজ্যের একাধিক পিকনিক স্পটেও ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতোন। নতুন বছরের প্রথম দিনে তাই ঠাকুরের বাণী মেনে একটাই কথা: সকলের চৈতন্য হোক।
দার্জিলিং থেকে সাগর (Hill to Sea), নতুন বছরকে (New Year 2023) স্বাগত জানাতে কোমর বেঁধেছে বাংলা (Bengal Festival)। বছরের শেষ দিন অর্থাৎ ৩১ ডিসেম্বর শনিবার। তাই এদিনেও ভিড় উপচে পড়েছে শহর এবং রাজ্যের একাধিক পর্যটনস্থলে (Tourist Place)। বাঙালি, অবাঙালি, পরিবার,পরিজন, হিন্দু,মুসলিম--সব মিলেমিশে একাকার। কারণ কথিত আছে ধর্ম যার যার, উৎসব সবার (Festival)। ২৫ ডিসেম্বর পরবর্তী সময়ে এই ৩১সে ডিসেম্বর এবং পয়লা জানুয়ারি ফেস্টিভ মুডে থাকে গোটা দেশ। বর্ষ বরণ উদযাপনের পরের দিন অফিস থাকলেও কুছ পরোয়া নেই। ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা থেকেই রাজপথে নামে মানুষের ঢল। এবার বছরের শেষদিন যেমন শনিবার, তাই সকাল থেকে মানুষের ভিড় পর্যটকস্থলগুলোতে।
কলকাতার ভিক্টোরিয়া, চিড়িয়াখানা কিংবা সায়েন্স সিটি যেমন আছে, তেমনই তালিকায় আছে পুরুলিয়ার সাহেব বাঁধ, দিঘা, দার্জিলিং এমনকি শান্তিনিকেতন। লোকে লোকারন্য উপরের উল্লিখিত জায়গাগুলোয়। শনিবার বেলা যত বেড়েছে, তত পাল্লা দিয়ে বেড়েছে মানুষের ভিড়। কেউ এসেছে পরিবারকে নিয়ে, কেউবা মনের মানুষকে নিয়ে। কেউ খাচ্ছেন গঙ্গার হাওয়া, কেউ সমুদ্র পাড়ে বসে নিচ্ছে সান বাথ। কেউ বা বাঘ, গণ্ডার দেখছেন, কেউ আবার পাহাড়ের কোলে নিজেকে সঁপে দিয়েছে। বছরের শেষ শনিবার এই দৃশ্য দেখা গিয়েছে দার্জিলিং-সাগরজুড়ে।
কোনওরকম উদ্বেগ, দুশ্চিন্তা ছাড়াই শুধু ছুটির দিন উপভোগ করতে এবং নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে গোটা বাংলা ভেঙে পড়েছে পর্যটন এবং দর্শনীয়স্থল গুলোতে।
রাজ্যে কমছে ডেঙ্গি (Dengue) আক্রান্তের সংখ্যা। শনিবারের রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন ৯৯০ জন। যেখানে শুক্রবার একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৯৪ জন। যদিও উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং (Darjeeling), কালিংপং (Kalimpong) নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ। গত বছরের তুলনায় এবছর সেখানে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ১৬ গুন বেশি।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, ২০১৭ সাল থেকে ২০২১ সালের মধ্যে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা দার্জিলিং- এ ছিল যথাক্রমে ১ হাজার ১৮, ৬৬০, ৭৭৭, ১০ এবং ১২০।সেই জায়গায় এই বছর ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১ হাজার ৯৯৬ প্রতি দিন। যা গত বছরের তুলনায় নিঃসন্দেহে ১৬ গুণ বেশি।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের দাবি, পাহাড়ে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ার কারণ হল, আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনা। এডিস ইজিপটাই মশা ৩০০ মিটারের বেশি উপরে উড়তে পারেনা। তাই পাহাড়ি জায়গায় এর দৌরাত্ম্য কিছুটা কম। কিন্তু পাহাড়ি জায়গার মানুষ ডেঙ্গি আক্রান্ত হচ্ছে এডিস আলবপিকটাস (albopictas) মশার কামড়ে। এই মশা ২০০০ থেকে ৩০০০ ফুট উচ্চতায় উড়তে পারে। এই মশা থেকে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে দার্জিলিং এবং কলিংপং-এ।