ফের বাজি বিস্ফোরণ! ফের রক্তাক্ত শৈশব! দক্ষিণ ২৪ পরগনা ডায়মন্ড হারবারের মশাট এলাকায় বাজি বিস্ফোরণে জখম বছর দশেকের এক নাবালক সহ ৩ জন। স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সকাল ১১টা নাগাদ এলাকার এক জঙ্গলের মধ্যে বাজিগুলি দেখতে পায় আলমগির শেখ নামে পঞ্চম শ্রেণির ওই পড়ুয়া। বাজি নিয়ে খেলতে গিয়েই ঘটে বিস্ফোরণ।
জানা গিয়েছে, সামনেই সবেবরাত, তার আগে লোকচক্ষুর আড়ালে জঙ্গলের মধ্যে মজুত করে রাখা হয়েছিল কিছু নিষিদ্ধ শব্দবাজি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ডায়মন্ড হারবার থানার পুলিস। নাবালকের হাতে ও পায়ে গুরুতর আঘাত থাকায় তড়িঘড়ি তাকে উদ্ধার করে ভর্তি করা হয় ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে।
ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। মজুত করে রাখা নিষিদ্ধ বাজি থেকেই বিস্ফোরণ বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিসের। তবে কে বা কারা রেখে গেল নিষিদ্ধ শব্দবাজি? তা জানতে শুরু তদন্ত। এই ঘটনা আরও একবার উস্কে দিল এগরা, নীলগঞ্জের ভয়ানক স্মৃতি। ২০২৩ এর মে মাসে বেআইনি বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে এগরার খাদিকুল। মৃত্যু হয় মূল অভিযুক্ত ভানু বাগ সহ ১০ জনের। তার কিছুদিনের মধ্যেই কেঁপে ওঠে উত্তর ২৪ পরগনার নীলগঞ্জ। একের পর এক বিস্ফোরণের পরেও কেন তৎপর নয় প্রশাসন? তবে কি আজও বাজি কারখানাগুলিতে গোপনে তৈরি হচ্ছে নিষিদ্ধ শব্দবাজি? যার সন্ধান নেই পুলিসের কাছেও ? উঠছে প্রশ্ন।
এবার বাঙালির পাতে পড়তে পারে রুপোলি ইলিশ (Hilsa)। ডায়মন্ড হারবারে উঠল প্রায় ৮০ টন মাছ। প্রচুর ইলিশ জালে ওঠায় বেশ খুশি মৎস্যজীবীরা। ভোট দিয়েই মাছ ধরতে বেরিয়েছিলেন ডায়মন্ড হারবারের (Diamond Harbour) মৎস্যজীবীরা। জানা গিয়েছে, শনিবার ও রবিবার মিলিয়ে প্রায় ৮০ টন ইলিশ ঢুকেছে ডায়মন্ড হারবারে। পাশাপাশি গত কয়েক বছরের তুলনায় বেশ বড় সাইজের ইলিশও জালে ধরা পড়েছে।
প্রায় দু মাস গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়া নিষিদ্ধ ছিল মৎস্যজীবীদের। তারপর গত মাস থেকেই মাছ ধরতে গিয়েছিলেন মৎস্যজীবীরা। কিন্তু সেভাবে ইলিশের দেখা মেলেনি। ফলে লোকসানের মুখ দেখতে হচ্ছিল। অবশেষে ভোটের সময়ই ফের মাছ ধরতে গিয়ে জালে ইলিশ পড়ায় মৎস্যজীবী থেকে আড়ৎদার সবাই খুশি।
তবে মাছের দাম খুব একটা যে কমবে এমন আশার বাণী শোনাচ্ছেন না মৎস্যব্যবসায়ীরা। তাঁদের দাবি এখনও পাইকারি দর ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি। যা মধ্যবিত্তের নাগালের অনেকটাই বাইরে। তবে আগামী দিনে দাম কমতে পারে।
হারিয়ে যাওয়া ৪৫০ টি ফোন (Mobile) উদ্ধার। ডায়মণ্ড হারবার (Diamond Harbour) জেলা পুলিসের (Police) উদ্যোগেই সম্ভব হয়েছে এই কাজ। মোবাইলগুলি উদ্ধার করে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে প্রাপকের কাছে। জেলা পুলিসের উদ্যোগে শুক্রবার বিষ্ণুপুরে পৈলানে পুলিস সুপারের অফিস থেকে সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে তা জানানো হয়। পুলিস সুপারের অফিস থেকেই ডায়মণ্ড হারবার জেলা পুলিস সুপার রাহুল গোস্বামী নিজেই বেশ কিছু মোবাইল ফোন প্রাপকদের হাতে তুলে দিয়েছেন। এমনকি ওই সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিস সুপার হেডকোয়ার্টার অর্ক ব্যানার্জি সহ আরও অন্যান্য পুলিস আধিকারিকরা।
পুলিস সূত্রে খবর, ডায়মণ্ড হারবার জেলা পুলিসের উদ্যোগে এর আগেও হারিয়ে যাওয়া মোবাইল ফোন উদ্ধার করে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছিল মোবাইলের প্রাপকের হাতে। সেই ঘটনারই পুনরাবৃত্তি ঘটল শুক্রবার। বেশ কয়েকদিন ধরেই ডায়মণ্ড হারবার জেলা পুলিসের বিভিন্ন থানায় মোবাইল হারিয়ে যাওয়ার অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। আর হারিয়ে যাওয়া সেই সমস্ত মোবাইলের ডিটেলস নিয়েই মোবাইল গুলিকে উদ্ধার করা হয়। আর এই পুরো প্রক্রিয়ার নাম দেওয়া হয়েছে "প্রাপ্তি"।
তৃণমূল নেতাকে আটক করায় থানায় গিয়ে 'দাদাগিরি'র অভিযোগ তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে। আর এই ঘটনায় অভিযুক্ত মগরাহাট (পশ্চিম)-এর বিধায়ক গিয়াসউদ্দিন মোল্লাকে থানার বাইরে বসিয়ে ক্ষমা চাওয়ালেন ডায়মন্ড হারবারের এসডিপিও মিতুন দে। এসডিপিও-র সঙ্গে গিয়াসউদ্দিন মোল্লার তীব্র বকাবিতণ্ডার এক ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যে ভিডিও ঘিরে তুঙ্গে রাজনৈতিক চর্চা। ভাইরাল এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি সিএন পোর্টাল। এই ঘটনায় শোরগোল পড়তেই এক সংবাদ মাধ্যমকে সেই তৃণমূল বিধায়ক বলেছেন, 'তিনি এ বিষয়ে যা বলার দলীয় নেতৃত্বকে বলবেন।'
ঠিক কোন ঘটনা ঘিরে বিতর্কের সূত্রপাত। জানা গিয়েছে, রবিবার উস্থি থানার ভোলেরহাটে এক বৃদ্ধাকে খুন করে তাঁর ছেলে। আর এই খুনের ঘটনায় জয়ন্ত চৌধুরী নামে এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক মন্তব্যর অভিযোগ ওঠে। পুলিস তাঁকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। এই খবর চাউর হতেই দলবল নিয়ে থানায় সটান হাজির হন মগরাহাট পশ্চিমের তৃণমূল বিধায়ক গিয়াসউদ্দিন মোল্লা। থানায় গিয়ে পুলিসকর্মীদেরকে হুমকি ও শাসাতে থাকেন বিধায়ক বলে অভিযোগ। এমনকি থানার বাইরে বসে এসডিপিও-র সঙ্গেও বচসায় জড়ান বিধায়ক। যদিও থানায় এসে পুলিসের উদ্দেশে কটূক্তি, ধমক এবং 'দু পয়সার চাকর' বলে বিধায়কের কটাক্ষকে তীব্র সমালোচনার সুরে বিঁধেছেন এসডিপিও।
অভিযোগ, বিধায়ক নাকি থানা ভাঙচুরের হুমকি দিয়েছেন। থানার সিঁড়িতে বসে থাকা তৃণমূল বিধায়ককে মোটেই রেয়াত করেনি এসডিপিও। তৃণমূল বিধায়ক থানায় এসে পুলিশকর্মীদের শাসানোর ঘটনায় তাঁকে ক্ষমাও চাওয়ান এসডিপিও।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে স্থানীয় তৃণমূল যুব সভাপতি ইমরান হাসান জানান,'আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও যুবনেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পরিষ্কার বলেছেন পুলিস-প্রশাসন ও সরকারি আধিকারিকের উপরে দলের কোনও কর্মী কোনও কর্তৃত্ব ফলাবে না। দলের পক্ষ থেকে পুলিস মহলের কাছে আমি ক্ষমাপ্রার্থী। একটি নিন্দনীয় ঘটনা ঘটিয়ে ফেলেছেন বিধায়ক। আমাদের দল এই ধরনের ঘটনাকে সমর্থন করে না।'
বিজেপির মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি প্রদ্যুত বৈদ্য জানান,'তৃণমূল নেতার এই আচরণ নতুন কিছু নয়। কারণ সারা পশ্চিমবঙ্গ দেখেছে, পুলিস তৃণমূল বিধায়কদের দলদাস হয়ে গিয়েছিল। এখন পুলিস সক্রিয় হয়েছে, এটাই ওদের মাথাব্যাথার কারণ। পুলিসের এই উদ্যোগের জন্য ভারতীয় জনতা পার্টির পক্ষ থেকে তাঁদের ধন্যবাদ জানাই।'
সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী জানান,'তৃণমূলের ওই বিধায়ক ডায়মন্ডহারবারের এসডিপিও-সহ পুলিসকর্মীদের হুমকি ও গালিগালাজ করেছেন। মার্ডার কেসের আসামী তাকে গ্রেফতার করেছে সেই কারণে তৃণমূলের বিধায়ক ক্ষুব্ধ হয়েছেন। পুলিসকে দু-টাকার চাকরবাকর বলেছেন। ঠিকই করেছেন তো, এটাই তো পুলিসের প্রাপ্য।'
এখানকার সাংসদ (MP Abhishek Banerjee) সর্বভুক, কয়লা খান, বালি খান, গরু খান, মদের বোতল খান। স্কুলের ইউনিফর্মের টাকাও খান। চাকরি বেচেছেন এখানকার সাংসদ। ডায়মন্ড হারবারের (Diamond Harbour) সভা থেকেই এভাবেই নাম না করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তোপ দাগেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikary)। তিনি সুর চড়িয়ে বলেন, 'যারা বলছেন কেন কিছু হচ্ছে না তাঁরা অপেক্ষা করুন। মধু কোড়া দুর্নীতি করে পার পায়নি। মোদীজির একটা স্লোগান আছে না, না খাউঙ্গা, না খানে দুঙ্গা।'
এদিন তাঁর বক্তৃতায় পার্থ-অর্পিতার প্রসঙ্গ এসেছে। তিনি প্রসঙ্গের সরাসরি উল্লেখ করে বলেন, '১৫ অগাস্ট লালকেল্লার ভাষণ থেকে মোদীজি কী বলেছেন? গরিব খুঁজছে ছাদ, আমাদের দেশের নেতা কিনছে ফ্ল্যাট। মানে অপা সিন্ডিকেট, কলকাতা, দরজা খুললেই লাল বান্ডিল।' রাজ্যের কয়েকজন পুলিস কর্তাদের উদ্দেশেও এদিন সরব ছিলেন বিরোধী দলনেতা। তিনি দুই আইপিএসের নাম উল্লেখ করে বলেন, 'আপনাদের বিরুদ্ধে অবমাননার মামলা হাইকোর্টে দায়ের করব। ছাড়ার কোনও জায়গা নেই। ডিজির বিরুদ্ধেও অবমাননার মামলা দায়ের হবে। যত গাড়ির কাচ ভেঙেছে সরকারের থেকে ক্ষতিপূরণ আদায় করব। কী করে করতে হয় আমি জানি।'
এদিন ছিল সুপার শনিবার। হাইভোল্টেজ রাজনৈতিক ময়দানে ম্যাচ ছিল শুভেন্দু অধিকারী বনাম অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল সাংসদ এদিন সভা করেন কাঁথিতে আর শুভেন্দু অধিকারী সভা করেন ডায়মন্ড হারবারে। আর যুযুধান এই দুই নেতার বাকযুদ্ধের দিকে নজর ছিল বাংলার রাজনীতি।
শনিবারের বারবেলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বনাম শুভেন্দু অধিকারী (Abhsihek-Suvendu। না খেলার ময়দানে নয়, রাজনীতির ময়দানে। ৩ ডিসেম্বর অর্থাৎ শনিবার রাজ্যের শাসক এবং বিরোধী দলের (TMC-BJP) দুই নেতার জনসভায় তপ্ত হবে বাংলা রাজনীতি (Bengal Politics)। ইতিমধ্যে কাঁথিতে শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ির সামনে সভা করার অনুমতি তৃণমূলকে দিয়েছে হাইকোর্ট। একইভাবে ডায়মন্ডহারবার (Diamond Harbour) অর্থাৎ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ে সংসদক্ষেত্রে শনিবার শুভেন্দু অধিকারীর সভার অনুমতিও আদালত দিল বিজেপিকে।
শান্তিপূর্ণভাবে, শব্দবিধি মেনে ডায়মন্ড হারবার লাইট হাউসের মাঠে শুভেন্দু অধিকারীর সভার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট। শনিবার তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যখন শান্তিকুঞ্জ অর্থাৎ শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ির সামনে কলেজ মাঠে সভা করবেন, তখন তাঁরই লোকসভা এলাকাযর লাইট হাউসের মাঠে সভা করবেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। এদিকে, ফলতায় শুভেন্দু অধিকারীর সভার অনুমতি নিয়ে আপত্তি তোলে পুলিস। তখন ডায়মন্ড হারবারে কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ লাইট হাউস মাঠের আগাম অনুমতি নিয়ে নেয় বিজেপি।
বৃহস্পতিবার সেই মামলা শুনানির জন্য উঠলে বিচারপতি রাজশেখর মান্থা পুলিসের অনুমতি না দেওয়ার কারণ জানতে চান। রাজ্য জানিয়ে দেয় শুক্রবারই সকলেই অনুমতি দেওয়া হবে। এদিন সেই অনুমতি দেওয়ার কথা আদালতে জানায় সব পক্ষ।
ডায়মন্ড হারাবারে সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) সভার থেকে ৩০০ মিটার দূরে চললো গুলি (Firing)। কপাটহাট এলাকায় এক বিয়েবাড়িতে চলেছে গুলি। ঘটনায় স্বাভাবিক কারণেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে কপাটহাটে (Diamond Harbour)। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, কপাটহাট মোড়ে একটি অনুষ্ঠান বাড়িতে চলছিল বিয়ের অনুষ্ঠান। সেই সময় এক মদ্যপ যুবক বিয়ে বাড়িতে ঢুকে শূন্যে গুলি চালায়। ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন বিয়েবাড়ির অন্যরা।
গুলি চালিয়ে এলাকা থেকে চম্পট দেয় মদ্যপ যুবক। ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিস বাহিনী মোতায়েন করে উত্তেজনা স্বাভাবিক করা হয়েছে। এই ঘটনায় বাপ্পা গায়েন নামে একজনকে আটক করেছে পুলিস। স্থানীয়রা জানান, দুই হাতে দুটি বন্দুক নিয়ে ঢোকে অভিযুক্ত। মদ্যপ অবস্থায় প্রশ্ন করে, তাঁর পরিবারকে কেন নিমন্ত্রণ করা হয়নি বিয়েতে। এরপরেই আচমকা শূন্যে গুলি ছুড়ে পালায় সে।
জানা গিয়েছে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা ঘিরে পুলিসি ব্যস্ততার সুযোগ নিয়েই এই ঘটনা ঘটিয়েছে অভিযুক্ত। কে এই বাপ্পা এবং কন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত, তদন্ত করে দেখছে পুলিস।
মঙ্গলবার রাইপুরে সভা করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikary)। কার্যত পঞ্চায়েত ভোটকে (Panchayat Vote) সামনে রেখে আয়োজিত এই জনসভায় বিরোধী দলনেতা বলেন, 'পঞ্চায়েতে ভোট লুঠ করতে এলে ব্যালট নেবেন আর পুকুরে ফেলবেন। প্রস্তুত থাকুন, জোর লড়াই দিতে হবে। আর পথ দেখাবে উত্তরবঙ্গ, রাঢ় বঙ্গ আর বালু মাটি একসঙ্গে লড়বো। একদম শক্ত থাকুন, প্রস্তুত থাকুন।' এদিন তিনি ফের ডবল ইঞ্জিনের সরকার (Double Engine Government) তত্ত্বকে জাগিয়ে দেন।
শুভেন্দু অধিকারী নাম না করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেছেন। 'কয়লা চোর, গরু চোর, গুণধর ভাইপো' বলে আক্রমণ করেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর দাবি, 'আগামি দিনে রাষ্ট্রবাদী ডবল ইঞ্জিন সরকার পশ্চিমবঙ্গে তৈরি করার শপথ নিয়ে রাইপুরের মাটিতে আজকের কর্মসূচি সমাপ্ত করলাম।'
এদিকে, ডায়মন্ডহারবারে পঞ্চায়েত ভোটের আগে সাংগঠনিক বৈঠক করেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে পঞ্চায়েত ভোট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'ভোট যখনই ঘোষণা হবে তৃণমূল তৈরি। বিজেপি আগে প্রার্থী খুঁজে পাক। পঞ্চায়েত ভোট অবাধ, শান্তিপূর্ণ, উৎসবের মেজাজে হবে। গণতন্ত্রে মানুষ একপক্ষকে বর্জন করবে, একপক্ষকে গ্রহণ করবে।'
পাশাপাশি তাঁর মন্তব্য, 'দল প্রতি পদক্ষেপে চেষ্টা করছে অভিযোগ হলে ব্যবস্থা নিতে। রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার উপ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি। দাইহাট পুরসভার প্রধানের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিয়েছি। ব্লক বা টাউন সংগঠনে নেতৃত্ব নিয়োগে কারও বিরুদ্ধে একটা অভিযোগ এলে, সত্যতা প্রমাণ হলে আমরা পদে রাখছি না। ভালো মানুষকে, মানুষের কাজে লাগানো যেতে পারে। উন্নয়ন যাতে বাধাপ্রাপ্ত না হয় সেটাই আমরা সুনিশ্চিত করেছি। অর্থাৎ এটাই নতুন তৃণমূল।'
প্রেমিকার বাড়ির সামনে থেকে উদ্ধার প্রেমিকের ঝুলন্ত দেহ (hanging body)। ঘটনায় চাঞ্চল্য উস্থি (Ushti) থানার শিরাকোল ভান্ডারিপাড়ায়। মৃত (dead) যুবক বছর ২৪-র অয়ন মণ্ডল ফলতা থানার নিয়োগী হাটের বাসিন্দা। পুলিস (police) সূত্রে খবর, সোমবার সন্ধ্যায় বাজারে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বের হয় অয়ন। এরপর রাতে বাড়ি না ফেরায় তাঁকে ফোন করে পরিবারের লোকজন। ফোনে অয়ন জানান, রাতে তিনি বাড়ি ফিরবেন। কিন্তু রাতে আর বাড়ি ফেরেনি অয়ন। এরপর মঙ্গলবার সকালে পরিবারের লোকজন খবর পান তাঁদের ছেলের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে শিরাকোলে।
পরিবারের সদস্যরা জানায়, পেশায় কলের পাইপের কাজ করতেন অয়ন। বাবা মায়ের একমাত্র ছেলে ছিলেন তিনি। সম্প্রতি, শিরাকোল ভান্ডারী পাড়ার এক যুবতীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তিনি। অয়ন পরিবারের দাবি, সোমবার অয়ন তাঁর প্রেমিকার সঙ্গে শিরাকোল মোড়ে দেখা করতে যান। তখনই প্রেমিকার বাবা মা প্রকাশ্যে তাঁকে চড় মারেন। এমনটাই অয়ন তাঁর বন্ধুদের জানান। এরপর মঙ্গলবার সকালে প্রেমিকার বাড়ির সামনে থেকে অয়নের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।
অয়নের পরিবারের দাবি, প্রেমিকার বাড়ির লোকজন তাঁদের ছেলেকে খুন করে ঝুলিয়ে দিয়েছে। অন্যদিকে ঘটনায় অয়নের দেহ উদ্ধার করে ডায়মন্ড হারবার পুলিস মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় পুলিস। পাশাপাশি ঘটনায় অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে উস্থি থানার পুলিস।
সাতসকালেই পচাগলা মৃতদেহ (deadbody) উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য নিশ্চিন্তপুর (Nischintapur) বাজার এলাকায়। খবর পেয়ে কুলপি থানার পুলিস (police) পচাগলা দেহটিকে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে গিয়েছে। জানা যায়, মৃত বছর ৩৬-এর সুমিত বেরা, তাঁর বাবা সহদেব বেরা। তাঁরা ডায়মন্ড হারবার (Diamond Harbour) এলাকার বাসিন্দার। বর্তমানে ওই যুবকের সঙ্গে তাঁর বাবা মায়ের কোনও সম্পর্ক নেই। পারিবারিক সমস্যার জন্য বর্তমানে নিশ্চিন্তপুর বাজার এলাকায় একটি বাড়িতে ছিলেন তিনি। শুক্রবার সেই বাড়ির মধ্যে দুর্গন্ধ পাওয়া যায়।
স্থানীয়রা জানান, বাড়ির পাশে একটি টোটো গাড়ির স্ট্যান্ড রয়েছে। প্রতিনিয়ত বাড়ির বারান্দায় সুমিত চেয়ারে বসে থাকতেন। টোটো স্ট্যান্ডে থাকা টোটো গাড়ি ড্রাইভারদের সঙ্গে অল্প কথা বলতেন। কিন্তু হঠাৎ দিন ১৫ ধরে দেখা পাওয়া যায়নি তাঁর। এরপরই এই দুর্গন্ধ পান তাঁরা। তড়িঘড়ি সুমিতের বাবাকে খবর দেওয়া হয়। তিনি খবর পেয়ে কুলপি থানার প্রশাসনকে জানান।
খবর পেয়ে পুলিস প্রশাসনের সহযোগিতায় বাড়ির তালা ভেঙে ভিতরে ঢোকার পরে সুমিতের পচাগলা দেহ মেঝের মধ্যে পড়ে থাকতে দেখা যায়। বাড়ির মধ্যে লাইট এবং টেবিল ফ্যান চালু অবস্থায় ছিল। পুলিসের অনুমান, রাতে কোনওরকম দুর্ঘটনা ঘটেছিল সুমিতের সঙ্গে। তবে ঘটনার পরই তদন্তে নেমেছে পুলিস।