Breaking News
Abhishek Banerjee: বিজেপি নেত্রীকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগ, প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনের      Convocation: যাদবপুরের পর এবার রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সমাবর্তনে স্থগিতাদেশ রাজভবনের      Sandeshkhali: স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন 'সন্দেশখালির বাঘ'...      High Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের      Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে জমি দখল তদন্তে সক্রিয় সিবিআই, বয়ান রেকর্ড অভিযোগকারীদের      CBI: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ! তদন্তে সিবিআই      Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?     

DACase

Narada Case: নারদা মামলায় আদালতে হাজিরা ফিরহাদ-শোভন-মদনের

নারদা মামলায় (Narada Case) আদালতে হাজিরা দিলেন কলকাতা পুরসভার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় (Sovan Chatterjee), কলকাতার মেয়র তথা মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim), কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র (Madan Mitra)। নারদা মামলায় আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি শুনানির দিন ধার্য করল ব্যাঙ্কশাল কোর্ট।

আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, আজ, বৃহস্পতিবার নারদা মামলায় হাজিরা দেওয়ার দিন ছিল। সেই মতো এদিন সকালেই আদালতে পৌঁছে যান রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র ও প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। এদিন কলকাতার নগর দায়রা আদালতে হাজিরা দিতে এসেই তিনজনকেই একই কথা বলতে দেখা যায়। বৃহস্পতিবার রাজ্যজুড়ে সিবিআই অভিযান নিয়েও তিন জনই মন্তব্য করেন ও জানান যে, সবের পিছনেই রয়েছে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র।

অন্যদিকে অভিযুক্তদের আইনজীবী অনিন্দ্য কিশোর রাউত দাবি করেন, 'নারদা মামলায় ববি হাকিমের কোনও যোগ নেই। মুকুল রায় মির্জা কে ৫ লাখ টাকা দিয়েছিলেন। এত বছর ধরে মামলা চলছে কোনও সঠিক রিপোর্ট নেই। সরকারি আইনজীবীরা লিখিতভাবে জমা দিন, আমরা রিপোর্ট জানাব।' ফের এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে ১৩ ফেব্রুয়ারি।

5 months ago
DA: ফের দু'মাসের অপেক্ষা, সুপ্রিম কোর্টে ১৫ মার্চ পর্যন্ত পিছলো ডিএ মামলার শুনানি

ফের সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) পিছিয়ে গেল বাংলার ডিএ বা মহার্ঘ ভাতা (DA Case) মামলার শুনানি। রাজ্যের হলফনামায় ত্রুটির কারণে ১৫ মার্চ পর্যন্ত শীর্ষ আদালতে পিছিয়েছে শুনানি। সোমবার বিচারপতি ডি মাহেশ্বরী এবং বিচারপতি হৃষীকেশ রায়ের ডিভিশনে বেঞ্চে এই মামলা ওঠে। বাংলার সরকারি কর্মীদের বহুদিনের প্রাপ্য এই বকেয়া মহার্ঘ ভাতা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ রায় দেবে দেশের সুপ্রিম কোর্ট। এই আশায় নতুন বছর থেকে বুকে আশা বাঁধতে শুরু করেন সরকারি কর্মীরা (Government Employee)। কিন্তু দু'মাস শুনানি পিছিয়ে যাওয়ায় ফের হতাশ হলেন তাঁরা।

ইতিমধ্যে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে রাজ্য। ৫ ডিসেম্বর থেকে শুনানি পিছিয়ে করা হয়েছিল ১৪ ডিসেম্বর। সেদিন দুই বাঙালি বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত এবং হৃষীকেশ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলা ওঠে। কিন্তু সরে দাঁড়ান বিচারপতি দত্ত।

ফলে নতুন করে বেঞ্চ পুনর্গঠন হয় এবং জানুয়ারির ১৬ তারিখ পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করে শীর্ষ আদালত। এদিনও পিছিয়ে গেল শুনানি। ফলে আরও ৬০ দিনের অপেক্ষা রাজ্যের লক্ষ লক্ষ সরকারি কর্মচারীর।

one year ago
Kunal: বিদেশ যাত্রার অনুমতি চেয়ে হাইকোর্টে কুণাল! সময় চাইলো সিবিআই

বিদেশ যাত্রার অনুমতি চেয়ে হাইকোর্টে মামলা কুনাল ঘোষের (Kunal Ghosh)। বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চে (Calcutta High Court) মামলা। ১০ তারিখ মামলার পরবর্তী শুনানি। তৃণমূল মুখপাত্রের আবেদন, '১০ দিনের জন্য সেমিনারে যোগ দিতে সিঙ্গাপুরে যাওয়ার অনুমতি দিক মহামান্য আদালত।' সারদা চিটফান্ড-কাণ্ডে (Sharada Case) জামিনে থাকা কুণালের বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে কোর্টের।

তাঁর পাসপোর্ট এখনও জমা রয়েছে কোর্টে। আজ মামলা ওঠে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চে। সিবিআই জানায়, তাঁকে বিদেশ যেতে দেওয়ার অনুমতি দেওয়ার সুযোগ আছে কিনা, সেটা লিখিত ভাবে জানাতে চায় এজেন্সি। তাই সময় চাওয়া হয়। ১০ জানুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি। এদিকে শীতকালীন অবসরের পর সোমবার থেকে ফের খুলেছে হাইকোর্ট। তাই রাজ্য রাজনীতির প্রেক্ষাপটে চলতে থাকা একধিক মামলার শুনানি এবং রায়ের দিকে তাকিয়ে আম আদমি।

one year ago


DA: বেঞ্চ থেকে সরলেন দুই বাঙালি বিচারপতি! সুপ্রিম কোর্টে ফের পিছলো ডিএ মামলার শুনানি

পিছিয়ে গেল সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) মহার্ঘ ভাতা বা ডিএ মামলার শুনানি। জানুয়ারিতে শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা। বুধবার যে দুই বাঙালি বিচারপতির বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল, তাঁরা বেঞ্চ থেকে সরে দাঁড়ানোয় পিছিয়ে যায় শুনানি। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন জাস্টিস দীপঙ্কর দত্ত (Justice Dipankar Dutta), পাশাপাশি শীর্ষ আদালতের বিচারপতি হিসেবে কাজ করছেন জাস্টিস হৃষীকেশ রায়। এই দুই বিচারপতির বেঞ্চেই এদিন ডিএ মামলার (DA Case) শুনানি ছিল। কিন্তু তাঁরা সরে দাঁড়ানোয় নতুন করে বেঞ্চ পুনর্গঠনের স্বার্থে পিছিয়ে গিএয়ছে শুনানি।

এদিন বেঞ্চ থেকে সরে দাঁড়ানোর যুক্তি হিসেবে বিচারপতি দত্ত বলেন, 'আমি আসায় কর্মীদের মধ্যে অতি উৎসাহ তৈরি হয়েছে। তাই এই মামলা আমি শুনবো না।' এই যুক্তিতে সহমত প্রকাশ করেন বিচারপতি রায়। ফলে আরও একবার ঝুলে রইল সুপ্রিম কোর্টে ডিএ মামলার ভাগ্য। জানা গিয়েছে জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে এই মামলার শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা।

সূত্রের খবর, রাজ্য সরকারের বকেয়া ডিএ-র দাবিতে ইতিমধ্যে কলকাতা হাইকোর্টের রায় সরকারি কর্মীদের পক্ষে গিয়েছে। যদিও হাইকোর্টের রায়ের বিরোধিতা করে শীর্ষ আদালতে দ্বারস্থ হয়েছে নবান্ন। তাদের যুক্তি, বকেয়া ডিএ দিতে গেলে রাজ্যের ঘাড়ে বিপুল বোঝা চাপবে। এই মুহূর্তে রাজ্যের সরকারি কর্মী সংগঠনের একাংশের মধ্যে বকেয়া ডিএ নিইয়ে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। পথে নেমে প্রতিবাদেও সরব হয়েছে তাঁরা।

পাশাপাশি আইনি পথে এই জটের সুরাহা খুঁজতে শীর্ষ আদালতের দিকে তাকিয়ে বাংলার সরকারি কর্মীরা।

one year ago
DA: আবেদনে ত্রুটি, রাজ্যের ডিএ মামলা গ্রহণই করল না সুপ্রিম কোর্ট! ফের ঝুলে মহার্ঘ ভাতা

ডিএ বা মহার্ঘ ভাতা (DA Case) মামলায় রাজ্যের আবেদন গ্রহণ করল না সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। আবেদনে ত্রুটি এই যুক্তি দেখিয়ে আবার নব্বই দিন পর আবেদন করতে নির্দেশ মমতা সরকারকে (Mamata Government)। কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতে স্পেশাল লিভ পিটিশন (SLP) দাখিল করেছিল রাজ্য। সেই আবেদনই ত্রুটির কারণে খারিজ করেছে সুপ্রিম কোর্ট।

এদিকে, প্রথম স্যাট এবং পরে কলকাতা হাইকোর্ট স্পষ্ট করে দিয়েছিল কেন্দ্রীয় হারে ডিএ সরকারী কর্মীকে দিতেই হবে। মে মাসে হাইকোর্ট রায় দিয়েছিল আগামি তিন মাসের মধ্যে বকেয়া মহার্ঘ ভাতা দিতেই হবে। কিন্তু সেই সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পরেও ডিএ নিয়ে কোনও উচ্চবাচ্চ্য করেনি নবান্ন। ফলে আদালত অবমাননার মামলা সরকারী কর্মী সংগঠনের তরফে করা হয়েছিল হাইকোর্টে। সেই মামলাতেও ধাক্কা খেয়েছিল রাজ্য সরকার।

কিন্তু ডিএ জটের জল ফের সুপ্রিম কোর্টে গড়ানোয় বিশ বাঁও জলে সরকারী কর্মীদের প্রাপ্য। এমনটাই মনে করছেন আইনজ্ঞরা। তবে এই টানাপোড়েনের শেষ দেখে ছাড়বেন সরকারী কর্মীরা, এমনটাই জানিয়েছে তাদের সংগঠন।

2 years ago


DA Case: ফের ঝুলে মহার্ঘ ভাতা! ডিএ মামলায় হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ, সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য

ডিএ বা মহার্ঘ ভাতা (DA Case) মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে রাজ্য (Mamata Government)। রাজ্যের দাবি, আদালত অবমাননার মামলা গ্রহণযোগ্য নয়। সোমবার শীর্ষ আদালতে (Supreme Court) এই মামলার শুনানি হতে পারে বলে সূত্রের খবর। চলতি বছর ২০ মে কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, তিন মাসের মধ্যে বকেয়া মহার্ঘ ভাতা মেটাতে হবে রাজ্য সরকারকে। অগাস্টে সেই ডেডলাইন পেরোলেও ৩১% হারে মহার্ঘ ভাতা এখনও পাননি সরকারী কর্মীরা।

সেই সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পরও ডিএ না দেওয়ায় হাইকোর্টে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করে সরকারী কর্মচারী সংগঠন। সেই মামলায় সরকারী কর্মী সংগঠনের পক্ষেই রায় দেয় হাইকোর্ট। জানিয়ে দেয় সরকারী কর্মীদের প্রাপ্য ডিএ দিতেই হবে। এবার হাইকোর্টের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গেল রাজ্য সরকার। শুক্রবার হাইকোর্টের বিচারপতি হরিশ টন্ডন এবং বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চে হলফনামা দিয়ে সে কথা জানান রাজ্যের আইনজীবী।

এদিকে, বকেয়া ডিএ-র দাবিতে রাজ্যের সরকারি কর্মচারী সংগঠনগুলির লড়াই দীর্ঘ। এ নিয়ে অতীতেও জল গড়িয়েছে কোর্টে। ইতিমধ্যে ডিএ নিয়ে রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য। কিন্তু রায় পুনর্বিবেচনা করার আর্জি খারিজ করেছে হাইকোর্টের বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চ।

2 years ago
CID: 'শুভেন্দু-সুজনের বিরুদ্ধে মিথ্যা বয়ান লিখতে চাপ সিআইডির', বিস্ফোরক চিঠি দেবযানীর মায়ের

সারদা-কাণ্ডে এবার রাজ্যের সিআইডির (Bengal CID) বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আনলেন অন্যতম অভিযুক্ত দেবযানী মুখোপাধ্যায় (Debjani Mukherjee)। রীতিমতো হাইকোর্টকে চিঠি লিখে তিনি বিহিত চেয়েছেন। সিআইডি ২৩ অগাস্ট দমদম জেলে এসে তাঁকে চাপ দিয়েছে। এবং বয়ানে লিখতে বলেছে শুভেন্দু অধিকারী এবং সুজন চক্রবর্তী(Suvendu-Sujan) সারদার (Sharada Case) থেকে ৬ কোটি টাকা করে নিয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টকে ৪ সেপ্টেম্বর পাঠানো দেবযানীর চিঠিতে উল্লেখ, '২৩ অগাস্ট সিআইডি জেরার নামে দমদমে জেলে এসে কিছু প্রশ্ন করেছে। শেষে তাঁরা জানতে চেয়েছে আমি কি জানতাম রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী সুদীপ্ত সেনের ছয় কোটি টাকা নিয়েছেন। কিন্তু আমি তাঁদের বলি এই তথ্য আমার জানা নেই। আপনারা বরং ওই দু'জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করুন। এরপরেই ওরা আমাকে বলে যেহেতু আমি অপরাধ প্রমাণের আগে ৮ বছর জেল খেটে নিয়েছি, তাই আমাকে সারদা-কাণ্ডের গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী করে দিতে পারেন।'


তিনি হাইকোর্টের উদ্দেশে চিঠিতে আরও লিখেছেন, 'আমি ওদের আমার কেস ডিটেইলস সম্বন্ধে জানতে চাইলে ওরা জানিয়েছিল এডিজি সিআইডির সঙ্গে কথা বলে আমার আইনজীবীর কাছে পাঠাবে। আমার বিরুদ্ধে শারদা সংক্রান্ত মোট ১১টি মামলা রয়েছে। কিন্তু আমার বিরুদ্ধে প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট জারি করেনি। তবে ওরা আবার সেই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করতে জেলে আসবেন।' 

হাইকোর্টের উদ্দেশে দেবযানীর আবেদন, 'পুরো বিষয়টা মহামান্য আদালতের কাছে রাখলাম। আশা করব কোর্ট যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন। যাতে আমি জেলের বাইরে বেরোতে পারি।'

দেবযানীর এই চিঠির মধ্যেই তাঁর মা শর্বাণী মুখোপাধ্যায় পৃথক একটি চিঠি পাঠিয়েছে সিবিআইকে। সেই চিঠিতে তিনি বিশেষ করে সিআইডি অফিসার অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়কে মেয়ের উপর মানসিক চাপ তৈরি করার জন্য কাঠগড়ায় তুলেছেন। শর্বাণী মুখোপাধ্যায় লেখেন, '২৩ অগাস্ট দমদম জেলে এসে ওসি সিট ভবানী ভবন ইনস্পেক্টর অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় আমার মেয়েকে মিথ্যা বয়ান লেখাতে চাপ দিয়েছেন। রাজ্যের বর্তমান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী দেবযানী মুখোপাধ্যায়ের সামনেই সুদীপ্ত সেনের থেকে ৬ কোটি টাকা নিয়েছেন। এই বয়ান না লিখলে আমার মেয়েকে আরও ৯টি মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হবে এই হুমকিও দেওয়া হয়েছে।' 


সিবিআইকে লেখা চিঠিতে দেবযানীর মা জানান, আমার মেয়ে শঙ্কিত। ৫ সেপ্টেম্বর ব্যাঙ্কশাল কোর্টে তোলার সময় তাঁর আইনজীবীর মাধ্যমে মেয়ে আমায় একটি চিঠি পাঠায়। সেই চিঠির প্রতিলিপি আমার এই চিঠির সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হল। আমার মেয়ের বক্তব্য তিনি শুভেন্দু অধিকারী বা সুজন চক্রবর্তীর সঙ্গে কোনওদিন সাক্ষাৎ করেনি। তাও শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে মিথ্যা বয়ান না লিখলে আমার মেয়েকে আরও মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।' 

2 years ago
Kunal Ghosh: সারদার আরও এক মামলায় বেকসুর কুণাল ঘোষ, 'প্রমাণ নেই', মন্তব্য বিচারকের

সারদার এক (সাঁতরাগাছি) মামলায় তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh) বিরুদ্ধে রাজ্য পুলিসের (police) আনা প্রতারণা ও বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগ খারিজ করল এমপিএমএলএ বিশেষ আদালত (court)। সোমবার এই ধারাগুলি সংক্রান্ত কুণালের কোনও অপরাধের প্রমাণ নেই বলে বিচারক মনোজ্যোতি ভট্টাচার্য (Manojyoti Bhattacharya) রায় দেন। তবে মামলার বাকি অংশের বিচার চলবে।

সূত্রের খবর, আপাতত কলকাতা হাইকোর্টের (Highcourt) একটি নির্দেশে এই মামলা আবার হাওড়া জেলা মুখ্য বিচারবিভাগীয় বিচারকের এজলাসে চলে যাচ্ছে। অন্যদিকে, কুণালের আইনজীবী অয়ন চক্রবর্তী বলেন,'কুণাল ঘোষের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত যা যা অভিযোগ রাজ্য পুলিসের সিট এনেছিল, আদালত তা খারিজ করেছে। মামলার সামগ্রিক বিষয় নিয়ে বিচার চলবে। আপাতত মামলা হাওড়া কোর্টে ফিরে যাচ্ছে।'

এদিকে, পুরনো এক মামলায় বিধাননগর এমপি-এমএলএ আদালতে (Bidhannagar MP MLA Court) তলব করেছিল অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal)। পয়লা সেপ্টেম্বর অর্থাৎ বৃহস্পতিবার তাঁকে হাজিরা দিতে হয় বিধাননগরের এই আদালতে। গোরু পাচার-কাণ্ডে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়ে এখন আসানসোল সংশোধনাগারে বন্দি বীরভূম তৃণমূলে সভাপতি। হাজিরার নির্দেশ অনুযায়ী দুর্গাপুর-আসানসোল কমিশনারেট সকাল ৬টা নাগাদ তাঁকে নিয়ে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিল। ১২টার আগেই এজলাসে তোলা হয় অনুব্রতকে। ২০১০ মঙ্গলকোট বিস্ফোরণ মামলার চার্জশিটে নাম রয়েছে অনুব্রতর। সেই মামলায় হাজিরা দিতেই আসানসোল থেকে এদিন তৃণমূল নেতাকে আনা হয়েছিল বিধাননগরের ময়ূখ ভবনের এই আদালতে।

2 years ago


DA: তিন মাসের মধ্যে দিতে হবে ডিএ, ডিভিশন বেঞ্চকে এই রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি নবান্নের

এবার রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ (DA) মামলায় নয়া মোড়। রাজ্য সরকার কলকাতা হাইকোর্টের (Highcourt) নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়েছে। বৃহস্পতিবারই তারা রিভিউ পিটিশন দাখিল করেছিল। এরপর শুক্রবার এই মামলায় রাজ্যের আবেদন গৃহীত হল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে (Division Bench)। 

তিন মাসের মধ্যে সরকারি কর্মীদের ডিএ-র দিতে গত ২০মে নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্টের বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চ। রায়ে জানানো হয়েছিল, আগামী তিন মাসের মধ্যে সরকারি কর্মীদের সকল বকেয়া ও মহার্ঘভাতা মিটিয়ে দিয়ে হবে। একইসঙ্গে জানানো হয়েছিল, ডিএ হল একজন সরকারি কর্মীর মৌলিক অধিকার।

সেই রায় কার্যকর করার চূড়ান্ত সময়সীমার দশ দিন আগেই ডিএ মামলায় নয়া মোড়। এদিকে কলকাতা হাইকোর্টের দেওয়া সময় শেষ হতে চললেও রাজ্য সরকার কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। ডিএ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্ট যে নির্দেশিকা দিয়েছিল রাজ্য সরকারকে, তা পালনের কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এমনটাই অভিযোগ মূল মামলাকারীদের।

এবার ফের হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ রিভিউ পিটিশনের মাধ্যমে আদালতের শরণাপন্ন নবান্ন। বৃহস্পতিবার ফের রিভিউ পিটিশন দাখিল করার পর এদিন সেই মামলা গৃহীত হয়েছে। এখন অপেক্ষা শুনানির দিনের।

2 years ago
Suvendu: 'সারদায় শুভেন্দুকে কেন ডাকছে না সিবিআই?' জানতে চেয়ে দায়ের জনস্বার্থ মামলা খারিজ হাইকোর্টের

শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikary) সারাদা মামলায় অভিযুক্ত, তাও তাঁর বিরুদ্ধ ব্যবস্থা নিচ্ছে না তদন্তকারী সংস্থা (CBI)। সেই সংক্রান্ত দায়ের জনস্বার্থ মামলা (PIL) খারিজ করল কলকাতা হাইকোর্ট। বুধবার প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ মামলাকারী রমাপ্রসাদ সরকারের আবেদন খারিজ করেছে। সারদা কর্তার চিঠিতে শুভেন্দু অধিকারীর নাম, তাও সিবিআই কোনও পদক্ষেপ গ্রহন করছে না রাজ্যের বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে। এই অভিযোগেই জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে। 

মামলাকারী আবেদন ছিল, সুদীপ্ত সেনের চিঠি নিয়ে শুভেন্দু অধিকারীকে তলব করুক সিবিআই। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, সুদীপ্ত সেনের চিঠিতে শুভেন্দু অধিকারীর নাম উল্লেখ রয়েছে। তাঁর কাছ থেকে টাকা নিয়েছে শুভেন্দু। একথাও উল্লেখ আছে চিঠিতে। আইনজীবী রমা প্রসাদ সরকারের দাবি, এরপরেও সিবিআই সারদা তদন্তে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না। তাই আদালত এই বিষয়ে উপযুক্ত নির্দেশিকা জারি করুক।

শুভেন্দুর আইনজীবীর দাবি, এই জনস্বার্থ মামলা গ্রহ যোগ্য নয়। কারণ আদালতের নির্দেশে সিবিআই তদন্ত করছে। প্রধান বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, 'আদালত মনে করছে না এবিষয়ে নতুন করে সিবিআইকে নির্দেশ দেওয়ার প্রয়োজন আছে। তাই আবেদনকারীর আবেদন খারিজ করা হল।'

2 years ago