লোকসভা ভোটের মুখে ফের বাড়ল রান্নার গ্যাসের দাম। শুক্রবার থেকেই সিলিন্ডার পিছু ২৪ টাকা বাড়ল বাণিজ্যিক রান্নার গ্যাসের দাম। এর আগে গতমাসের ১ তারিখে কেন্দ্রীয় সরকারের অন্তর্বর্তীকালীন বাজেটের দিন রান্নার গ্যাসের দাম বেড়েছিল। এর ফলে কলকাতায় ১৯ কেজি বাণিজ্যিক গ্যাসের দাম হল ১৯১১ টাকা। গতমাসে ১৯ কেজি বাণিজ্যিক গ্যাসের দাম ছিল ১৮৮৭ টাকা।
তার আগে জানুয়ারি মাসে বাণিজ্যিক গ্যাসের দাম ছিল ১৮৬৯ টাকা। এ নিয়ে চলতি বছরে সিলিন্ডার পিছু বাণিজ্যিক রান্না গ্যাসের দাম বেড়েছে ৪২.৫০ টাকা। তেল বিপণন সংস্থাগুলির তরফে জানানো হয়েছে, বিশ্ব বাজারে অপরিশোধিত তেলের দামের নিরিখেই এই মূল্যবৃদ্ধি করা হয়েছে। তবে ১৪ কেজির এলপিজি সিলিন্ডারের দাম অপরিবর্তিতই থাকছে।
কেন্দ্রীয় বাজেট পেশের দিনই একলাফে বেড়ে গেল রান্নার গ্যাসের দাম। গোটা দেশেই এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডারের দাম বেড়েছে। লোকসভা নির্বাচনের আর মাত্র কয়েকমাস বাকি রয়েছে। তার আগে আজই অন্তর্বর্তী বাজেট পেশ মোদী সরকারের। এই দিনই বাড়ল রান্নার গ্যাসের দাম।
আজ ১ ফেব্রুয়ারি থেকে বেড়ে গেল ১৯ কেজি বাণিজ্যিক সিলিন্ডারের দাম। কলকাতা-সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আজ বৃহস্পতিবার থেকেই বাণিজ্যিক গ্যাস সিলিন্ডারের দাম বেড়েছে। কলকাতায় ১৯ কেজির বাণিজ্যিক এলপিজি সিলিন্ডারের দাম বেড়ে হয়েছে ১১৮৭ টাকা। ১ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাত থেকে নতুন এই দাম কার্যকর করা হয়েছে। গত মাসে এই দাম ছিল ১,৮৬৯ টাকা। অর্থাৎ, কলকাতায় বাণিজ্য়িক সিলিন্ডারের দাম বাড়ল ১৮ টাকা করে।
তবে বাণিজ্যিক সিলিন্ডারের দাম বাড়লেও এখন বাড়িতে ব্যবহৃত ১৪.২ কেজির এলপিজি সিলিন্ডারের দাম বাড়ানো হচ্ছে না। সুতরাং সেদিক থেকে বড়সড় স্বস্তি গৃহস্থ পরিবারের।
এবার থেকে রান্নার গ্যাসে চালু হল নতুন নিয়ম। দিতে হবে বায়োমেট্রিক তথ্য। অর্থাৎ নির্দিষ্ট অ্যাপের মাধ্যমে গ্রাহকদের নিজের আঙ্গুলের ছাপ বা ফেস স্ক্যান দিতে হবে। অন্যথায় রান্নার এলপিজি সিলিন্ডারে আর মিলবে না ভরতুকি। এই নিয়ম চালু করতে চলেছে ইনডেন। একই নিয়ম প্রযোজ্য উজ্বলা যোজনার ক্ষেত্রেও। কেন্দ্রীয় সরকারের নয়া সিদ্ধান্ত ঘিরে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে।
ইনডেন সংস্থার পক্ষ থেকে তাদের গ্রাহকদের জন্য বায়োমেট্রিক আইডেন্টিফিকেশন চালু করছে। এবার থেকে গ্রাহকদের নিজেদের মোবাইলে ইনডেন অ্যাপ ডাউনলোড করতে হবে। বাড়িতে গ্যাস সবারাহ করতে আসা ডেলিভারিমানকে ইন্ডেন অ্যাপার দ্বারা গ্রাহকদের নিজের আঙ্গুলের ছাপ বা ফেস স্ক্যান দিতে হবে। গ্যাস সরবরাহের ক্ষেত্রে ডিস্ট্রিবিউটরদের মাধ্যমে এই বায়োমেট্রিক আইডেন্টিফিকেশন সংগ্রহ করবেন তারা। তারপর গ্রাহকদের সেই তথ্যকে সংস্থা নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে আপলোড করবে।
সূত্রের খবর, ৩১শে ডিসেম্বরের মধ্যে এই বায়োমেট্রিক পদ্ধতির মাধ্যমে গ্রাহক দের আঙ্গুলের ছাপ ও ফেস স্ক্যানারের কাজ সম্পূর্ণ করার প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। জানা গিয়েছে, প্রাথমিকভাবে ইন্ডেনের গ্রাহকদের মধ্যে যাঁরা প্রধানমন্ত্রী উজ্বলা যোজনা প্রকল্পের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত আছেন, তাঁদের প্রথমে বায়োমেট্রিক আইডেন্টিফিকেশন চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এই গ্যাস সরবরাহকরি সংস্থা। তারপর বিভিন্ন ধাপে বাকি গ্রাহকদের ডিজিটাল পরিচয় সংগ্রহ করা হবে।
এই নতুন সিদ্ধান্তের কারণ কী? সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অনেক সময় দেখা গিয়েছে যখন ডেলিভারিমান গ্যাস দিতে বাড়িতে যান, তখন দেখা যায় যে যাঁর নামে সিলিন্ডার বুকিং রয়েছে তিনি বাড়িতে নেয়। তাঁর জায়গায় অন্য কোনঅ ব্যক্তি সেই গ্যাস নিচ্ছেন। তাই এই বায়োমেট্রিক আইডেন্টিফিকেশন থাকলে সঠিক গ্রাহককে গ্যাসের সরবরাহ করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সংস্থা। তবে এত কম সময়ে এই কাজ কীভাবে সম্ভব বা কীভাবে বায়োমেট্রিক আইডেন্টিফিকেশন সংগ্রহ করবে ডিস্ট্রিবিউটররা সেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
মাসের শুরুতেই ফের ধাক্কা। উৎসবের মরশুমে ফের বৃদ্ধি করা হল রান্নার গ্যাসের দাম (LPG Gas Price)। কিন্তু গৃহস্থের কাজে ব্যবহৃত রান্নার গ্যাস নয়, বাণিজ্যিক গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে। একধাক্কায় ১০০ টাকা বৃদ্ধি (Price Hike) করা হয়েছে ১৯ কেজি সিলিন্ডার অর্থাৎ বাণিজ্যিক গ্যাসের দাম। ১ নভেম্বর তেল বিপণন সংস্থাগুলি সারা দেশে বাণিজ্যিক গ্যাসের দাম একলাফে ১০০ টাকা বৃদ্ধি করেছে। তবে ১৪.২ কেজি গ্যাস সিলিন্ডারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। উল্লেখ্য, গত দুই মাসে বাণিজ্যিক এলপিজি সিলিন্ডারের জন্য এটি দ্বিতীয় মূল্যবৃদ্ধি। আজ অর্থাৎ ১ নভেম্বর থেকেই এই মূল্যবৃদ্ধি কার্যকর হবে।
বাণিজ্যিক গ্যাস সিলিন্ডারের দাম বৃদ্ধির পর দিল্লিতে ১৯ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের নতুন দাম দাঁড়াল ১৮৩৩ টাকা। কলকাতায় বাণিজ্যিক গ্যাসের দাম হল ১৯৪৩ টকা, মুম্বইতে ১৭৮৫ টাকা ও বেঙ্গালুরুতে ১৯১৪.৫০ টাকা ও চেন্নাইতে ১৯৯৯.৫০ টাকা। ১৯ কেজি রান্নার গ্যাস হোটেল, রেস্তোরাঁয় সাধারণত ব্যবহার করা হয়। ফলে উৎসবের মরশুমে বাণিজ্যিক গ্যাসের দাম বাড়ায় হোটেলের খাবারের দাম বাড়ারও সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও সস্তা হল রান্নার গ্যাসের দাম (LPG Gas)! কয়েকদিন আগেই দেশের মহিলাদের রাখির উপহার হিসেবে কেন্দ্রের তরফে গৃহস্থের কাজে ব্যবহৃত রান্নার গ্যাসের দাম ২০০ টাকা কমানো হয়েছিল। এর ফলে আম জনতার পকেটে চাপ কিছুটা হলেও কমেছে। আর এবারে কমল কমার্শিয়াল অর্থাৎ ১৯ কেজি এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডারের দাম। সূত্রের খবর, পাবলিক সেক্টর অয়েল মার্কেটিং কোম্পানিগুলি বাণিজ্যিক গ্যাসের দাম ১৫৮ টাকা কমালো। বাণিজ্যিক এলপিজি গ্রাহকদের (LPG Price Cut) স্বস্তি দিতেই বড়সড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
গত মাস অর্থাৎ অগাস্টে হোটেলে রান্নার জন্য ব্যবহৃত বাণিজ্যিক গ্যাস সিলিন্ডারের দাম ১০০ টাকা কমানো হয়েছিল। তার আগে জুলাইতে ১৯ কেজি ওজনের সিলিন্ডারের দাম বেড়েছিল ৭ টাকা। আর জুন মাসে ৮৩.৫০ টাকা কমেছিল বাণিজ্যিক সিলিন্ডারের দাম। আর এই মাসে তা আবার কমানো হল। ফলে ১৪.২ কেজি গ্যাস সিলিন্ডারের দাম কমানোর পরই ফের নতুন মাসের শুরুতেই ১৯ কেজি গ্যাস সিলিন্ডারের দাম কমায় বেজায় খুশি গৃহকর্ত্রী থেকে ব্যবসায়ী সহ সাধারণ মানুষ।
আজ অর্থাৎ ১ সেপ্টেম্বর থেকে দিল্লিতে ১৯ কেজি ওজনের রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডারের দাম হল ১৫২২.৫ টাকা। যেটা আগে ছিল ১৬৮০ টাকা। দাম কমায় কলকাতায় দাম দাঁড়াল ১৬৩৬ টাকা, মুম্বই ও চেন্নাইয়ে বাণিজ্যিক সিলিন্ডারের দাম কমে হল যথাক্রমে ১৪৮২ টাকা ও ১৬৯৫ টাকা।
রাখি উৎসবের (Rakhi) আগেই মধ্যবিত্তের জন্য সুখবর। এলপিজি সিলিন্ডারের (LPG Cylinder) দাম একধাক্কায় ২০০ টাকা কমানোর সিদ্ধান্ত মোদী সরকারের। মঙ্গলবার, ২৯ অগাস্ট এক্স অ্যাকাউন্টে এই সুখবর দেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ (Nirmala Sitaraman)। এই সিদ্ধান্তে বেজায় খুশি বাড়ির গৃহিনীরা।
এবারে গ্যাসের দাম কমে যাওয়ার পর জানা গিয়েছে মহিলাদের মতামত। যে সময় বাজারে দাম বেড়েই চলেছে, সে সময় দাম হ্রাস পাওয়ায় বাড়ির মহিলাদের মত, 'কিছুটা দাম কমায় একটু স্বস্তি পাওয়া গেল। আগে কিছু খেতে গেলে ভাবতে হত। তবে, মোদী সরকারের এই সিদ্ধান্তে বাড়ির মহিলারা বেশ খুশি।' তাঁদের দাবি, এই দাম কমার ধারাটা বজায় থাকুক। আবার অনেকে জানিয়েছেন, 'সংসার চালাতে মাস পয়লা থেকেই বাজেট ধার্য থাকে মধ্যবিত্তের। গ্যাসের দাম বাড়লে সেই বাজেটে কাটছাঁট করতে হয়। তাই এই দাম কমার ধারা বজায় থাকলে আগামী উৎসবের মরশুমে অনেকটা সুরাহা পাবে মধ্যবিত্ত শ্রেনীর', এমনটাই মত আম আদমির।
পূর্বতন টুইটার তথা বর্তমান সামাজিক মাধ্যম এক্স অ্যাকাউন্টে মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ লেখেন, 'ওনাম এবং রাখী বন্ধন উৎসব উপলক্ষে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা সব রান্নার গ্যাসের দাম ২০০ টাকা কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মা-বোনেদের এই স্নেহ উপহার দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ধন্যবাদ।'
সামনেই লোকসভা ভোট (Loksabha Election)। আর সেই নির্বাচনী পরীক্ষায় বসার আগেই এক বড় সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। রান্নার গ্যাসের দাম কমানোর সিদ্ধান্তে অনুমোদন দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। প্রতিটি রান্নার গ্যাস (এলপিজি) সিলিন্ডারের দাম ২০০ টাকা কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। আর যাঁরা প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা প্রকল্পের সুবিধাভোগী, তাঁদের ক্ষেত্রে ২০০ টাকা থেকে বেড়ে ৪০০ টাকা ভর্তুকি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। অর্থাৎ উজ্জ্বলা প্রকল্পের আওতায় থাকা গ্রাহকদের রান্নার গ্যাস কেনার ক্ষেত্রে ৪০০ টাকা কম দিতে হবে।
২৯ অগাস্ট, মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর গৃহস্থের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত রান্নার গ্যাসের দামের কথা ঘোষণা করলেন। তিনি জানিয়েছেন, মধ্যবিত্তদের অনেকটা স্বস্তি দিতেই মোদী সরকারের এমন সিদ্ধান্ত। এরপর তিনি আরও জানিয়েছেন, কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে উপকৃত হতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনার অধীনে থাকা প্রায় ৯ কোটি গ্রাহক। কারণ তাঁদের ২০০ টাকা থেকে বেড়ে ৪০০ টাকা ভর্তুকি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। বছরে ১২টি করে সিলিন্ডারে ভর্তুকি ৪০০ টাকা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। ১ সেপ্টেম্বর থেকেই এই নতুন নিয়ম কার্যকর হতে চলেছে বলে সূত্রের খবর।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর মোদীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে আরও জানিয়েছেন, 'দেশের সমস্ত মহিলাদের জন্য এটাই রাখি বন্ধনের উপহার। প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা প্রকল্পের আওতায় ৭৫ লক্ষ মহিলা ফ্রি-তে রান্নার গ্যাসের কানেকশনও পাবেন।'
ক্রমবর্ধমান মূল্যবৃদ্ধির মধ্যে সাধারণ মানুষের জন্য খানিক স্বস্তির খবর। বিশেষ করে হোটেল, ক্যাটারিং ব্যবসায়ীদের জন্য স্বস্তি। মাসের শুরুতেই সস্তা হল বাণিজ্যিক এলপিজি সিলিন্ডারের (LPG cylinder price) দাম। ১৯ কেজি বাণিজ্যিক এলপিজি সিলিন্ডারের দাম এক ধাক্কায় একেবারে ৯৯.৭৫ টাকা কমানো হয়েছে। অর্থাৎ প্রায় ১০০ টাকা দাম কমেছে। যদিও এতে গৃহস্থের খুশি হওয়ার কারণ নেই। রান্নার গ্যাসের দাম অপরবর্তিত রয়েছে। ফলে দিল্লির পাইকারি বাজারে বাণিজ্যিক এলপিজি সিলিন্ডারের দাম দাঁড়াল ১,৬৮০ টাকা। অন্যদিকে, কলকাতায় ১৯ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের দাম দাঁড়িয়েছে ১,৮০২.৫০ টাকা। মুম্বই ও চেন্নাইয়ে দাম হয়েছে যথাক্রমে ১,৬৪০.৫০ টাকা এবং ১,৮৫২.৫০ টাকা।
উল্লেখ্য, গত জুলাই মাসে ১৯ কেজি বাণিজ্যিক এলপিজি সিলিন্ডারে দাম ৭ টাকা বাড়ানো হয়েছিল। তবে তার আগে এপ্রিল, মে ও জুন মাসে দাম কমানো হয়। এই মাসে প্রায় ১০০ টাকা দাম কমল। দেশের তেল বিপণন সংস্থাগুলির দেওয়া তথ্য অনুসারে, ১ অগাস্ট থেকে কলকাতায় ১৯ কেজি বাণিজ্যিক সিলিন্ডারের দাম কমানো হয়েছে। সরকারি তেল কোম্পানিগুলি প্রতি মাসের প্রথম দিকে এলপিজি সিলিন্ডারের দাম পরিবর্তন করে। গত মাসেও বাণিজ্যিক গ্যাস সিলিন্ডারের দাম পরিবর্তন করা হয়েছে। গার্হস্থ্য গ্যাস সিলিন্ডারের দামে অবশ্য তখনও কোনও হেরফের হয়নি। গত বেশ কয়েক মাস ধরেই ঘরোয়া গ্যাস সিলিন্ডারের দাম রয়েছে অপরিবর্তিত।
মাসের শুরুতেই দুঃখের খবর। এবারে দাম বাড়ল বাণিজ্যিক রান্নার গ্যাসের (Commercial LPG Gas) দাম। অয়েল মার্কেটিং সংস্থার (Oil Marketing Companies) তরফে জানানো হয়েছে সিলিন্ডার প্রতি রান্নার গ্যাসের দাম ৭ টাকা করে বাড়ানো হয়েছে। এর ফলে বাণিজ্যিক রান্নার গ্যাস বা ১৯ কেজি সিলিন্ডারের দাম দাঁড়াল ১৭৮০ টাকা। তবে বাড়িতে ব্যবহৃত ১৪ কেজি রান্নার গ্যাসের দামে কোনও পরিবর্তন হয়নি।
এর আগের তিন মাসে দাম কমেছিল বাণিজ্যিক এলপিজির গ্যাসের দাম। এপ্রিল, মে ও জুন মাসে এর দাম কমেছিল। তবে মার্চ মাসে এই সিলিন্ডারের দাম কিছুটা বেড়েছিল। ১লা জুন অয়েল মার্কেটিং সংস্থাগুলি বাণিজ্যিক এলপিজির দাম ৮৩ টাকা কমিয়েছিল। এর পরে দিল্লিতে এর দাম ১৭৭৩ টাকা হয়ে গিয়েছিল। মে মাসে বাণিজ্যিক এলপিজির দাম ১৭১.৫০ টাকা কমানো হয়েছিল। এপ্রিলেও এলপিজির দাম কমানো হয়েছিল ৯২ টাকা।
কিন্তু এবারে ৭ টাকা দাম বাড়ানোর পর দিল্লিতে ১৯ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ১৭৭৩ থেকে ১৭৮০ টাকা হল। আবার কলকাতায় ১৯০২ টাকা, মুম্বইয়ে ১৭৪০ টাকা ও চেন্নাইয়ে বাণিজ্যিক গ্যাসের দাম দাঁড়াল ১৯৫২ টাকা।
ভর্তি গ্যাস সিলিন্ডার (Gas cylinder), কিন্তু গ্যাস নেই। সিলিন্ডার থেকে বের হচ্ছে জল। শুনতে অবাক লাগলেও এমন ঘটনা ঘটেছে খড়িবাড়ির (Kharibari) বিহারমোড়ের বর্মন পরিবারে। বিরল ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
জানা গিয়েছে, দিন কয়েক আগে খড়িবাড়ির একটি অনুমোদিত ডিসট্রিবিউটারের কাছ থেকে নতুন ভর্তি সিলিন্ডার নেয় গ্রাম পঞ্চায়েতের কর্মী মানিক বর্মন৷ নতুন ভর্তি সিলিন্ডার প্রথম চার-পাঁচ দিন ঠিকঠাক চললেও শনিবার সকালেই সামনে আসে বিপত্তি। হঠাৎ করে গ্যাস বন্ধ হয়ে যায়। শত চেষ্টা করেও মানিকবাবুর স্ত্রী ওভেনে আগুন জ্বালাতে পারছিলেন না। এরপর ডাক পরে মানিকবাবুর। গ্যাসের সিলিন্ডারের ওজন দেখে বোঝার উপায় নেই যে, ওই সিলিন্ডার খালি৷ সিলিন্ডার নাড়ালেই ভেসে আসছিল ঠিক জলের মতো ছলছল শব্দ।
অবশেষে সিলিন্ডারের মুখের কাছে একটি কাঠি দিয়ে চাপ দিতেই গড় গড়িয়েবেরিয়ে এল জল। তখন সকলের চক্ষু চড়কগাছ। বর্তমানে ১৪.২ কেজি গ্যাসের দাম ১১৫৬ টাকা। এত টাকা দিয়ে অবশেষে জল কিনতে হবে! তার উপর রয়েছে গৃহস্থের হয়রানি। অগত্যা মানিকবাবু জল ভর্তি সিলিন্ডার নিয়ে ডিস্ট্রিবিউটারের কাছে এসে সমস্ত ঘটনা খুলে বলেন। ডিস্ট্রিবিউটর সিলিন্ডার ওজন করে উপযুক্ত টাকা গ্রাহককে ফেরত দিয়ে দেন। ডিস্ট্রিবিউটরের প্রতিনিধি অশোক জয়শোয়াল বলেন, ঘটনাটি বিরল। গ্যাস কোম্পানিকে বিষয়টি জানানো হবে এবং এক্ষেত্রে গ্রাহককে উপযুক্ত টাকা ফেরত দেওয়া হয়।
সাধারণ মানুষের জন্য স্বস্তির খবর। মাসের প্রথমেই খুশির খবর। ফের কমানো হল রান্নার গ্যাসের দাম (LPG Cylinder)। ১ মে থেকেই ১৯ কেজি বাণিজ্যিক গ্যাসের দাম কমানো হল ১৭১.৫০ টাকা। এর আগেও বাণিজ্যিক গ্যাসের দাম কমানো হয়েছিল। এবার ফের একধাক্কায় অনেকটাই কমানো হলো দাম। এতে সাধারণত হোটেল-রেস্তরাঁতেগুলোতে অনেক সুবিধা হবে। তবে গৃহস্থে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম অপরিবর্তিতই রয়েছে। ফলে গ্যাসের দাম কমলেও মধ্যবিত্তের ঘরে স্বস্তি নেই। ১৪.২ কেজি গ্যাসের দাম (Price) একই রয়েছে।
রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলির বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, আজ থেকে দিল্লিতে বাণিজ্যিক গ্যাসের দাম দাঁড়াল ১৮৫৬.৫০ টাকা। মুম্বইয়ে ১৯ কেজি গ্যাসের সিলিন্ডারের দাম হল ১৮০৮.৫০ টাকা। ১৭১ টাকা দাম কমায় বাণিজ্যিক গ্যাসের দাম কলকাতায় হল ১৯৬০.৫০ টাকা ও চেন্নাইয়ে ২০২১.৫০ টাকা। তবে বাড়িতে রান্নার কাজে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম অপরিবর্তিত থাকায় কলকাতায় তার দাম ১১২৯ টাকা।
মেটিয়াবুরুজে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে (Cylinder Blast) আহত কমপক্ষে ২২ জন। অত্যাধিক বার্ন ইনজুরি (Burn Injury) নিয়ে ২ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনাস্থলে গিয়েছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। তিনি কথা বলেন প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে। মেয়র জানান, 'পুরসভার ১৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে ইলেকট্রিক ওয়্যার থেকে আগুন লাগে। সেখান থেকে তড়িঘড়ি গ্যাস সিলিন্ডার ব্লাস্ট হয়েছে। যারা আগুন নেভাতে গিয়েছিল তাঁরা অগ্নিদগ্ধ হয়েছে। মোট ২২ জন জখম হয়েছেন, একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।'
তিনি জানা, চিকিৎসক জানিয়েছে, অধিকাংশকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হবে। এই দুর্ঘটনায় দু'জন শিশুও গুরুতর আহত। জানা গিয়েছে, এরপর তিনি এসএসকেএম হাসপাতালে যান জখমদের দেখতে।
গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে ভয়ঙ্কর অগ্নিকান্ড (Fire Incident)। আগুনে পুড়়ে মৃত (Death) সত্তর বছরের এক বৃদ্ধা এবং জখম বহু মানুষ। নাগাল্যান্ডের (Nagaland) ডিমাপুর জেলার বার্মা ক্যাম্পের পূর্ব ব্লকে এই ঘটনাটি ঘটেছে। এলাকার বহু ঘরবাড়ি আগুনে পুড়ে গিয়েছে। আগুন লাগায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
রবিবার দুপুর ১২টা নাগাদ এই আগুন লাগার ঘটনাটি ঘটে। আগুন লাগার ফলে এলাকার বহু মানুষের নানা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এমনকি এলাকার খড়ের তৈরি প্রচুর বাড়ি ছিল, আগুন ছড়িয়ে সেই সমস্ত বাড়িগুলি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। যার ফলে প্রচুর মানুষ মাথার উপরে ছাদ হারিয়েছে। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, অগ্নিকান্ডের ফলে ঘরবাড়ি হারিয়ে উদ্বাস্তু হয়ে পড়েছেন ৯০০ জন বাসিন্দা। আগুন লাগার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় দমকল কর্মীরা। তিন ঘণ্টা ধরে আগুন নেভানোর চেষ্টার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। স্থানীয় বাসিন্দা সূত্রে খবর, অগ্নিকান্ডের জেরে লক্ষ লক্ষ টাকার সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এমনকি কয়েক জন এখনও পর্যন্ত নিখোঁজ বলে দাবি করেছেন এলাকাবাসীরা।
দমকল সূত্রে খবর, গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে ওই এলাকায় আগুন লেগেছিল। আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে এলাকার আশপাশে তা ছড়িয়ে পড়ে।
বস্ত্র কারখানার কম্প্রেসার সিলিন্ডার (Cylinder) ফেটে (Blast) মৃত্যু (Dead) হল কারখানার মালিকের। রবিবার সকালে, ঘটনাটি ঘটেছে দেগঙ্গা থানার নূরনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের মুক্তারপুর গ্রামে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম বরুণ ঘোষ (৩৬)। তাঁর বাড়ি দেগঙ্গার নূরনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের নুরনগর ঘোষপাড়ায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নূরনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের মুক্তারপুর গ্রামে বরুণের একটি কম্পিউটার চালিত এমব্রয়ডারি কারখানা আছে। শনিবার সারারাত ওই কারখানায় একজন কর্মচারী কাজ করেছেন। ভোরবেলা ওই কর্মচারী মেশিন বন্ধ করে চলে যান। পরে সকালবেলা কারখানার মালিক বরুণ নিজে যান, ওই মেশিন চালাতে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, কারখানা খোলার কিছুক্ষণ পরই একটা বিকট আওয়াজ হয়।
আওয়াজ শুনে গ্রামের লোকজন ওই কারখানায় যান। তাঁরা দেখেন মেশিনের কম্প্রেসার সিলিন্ডার ফেটে গিয়েছে। পাশে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে বরুণ। স্থানীয়রাই তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে বারাসত হাসপাতালে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি হলে পরে সেখান থেকে আরজিকর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়ার আগেই মৃত্যু হয় বরুণের। বরুণের মৃত্যুতে শোকাহত গোটা এলাকা।
একদিকে মুদ্রাস্ফীতি, অন্যদিকে মধ্যবিত্তের হেঁশেলে আগুন। মাসের প্রথমেই রান্নার গ্যাসের দাম বাড়ল (LPG Cylinder Price Hike)। বৃদ্ধি পেল ১৪.২ কেজি ও ১৯ কেজি বাণিজ্যিক এলপিজি সিলিন্ডারের (Commercial LPG Cylinder) দাম। ১৪.২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ৫০ টাকা বেড়েছে। তেমনই বাণিজ্যিক এলপিজি সিলিন্ডারপিছুও মূল্যবৃদ্ধি ধার্য করা হয়েছে। এককথায়, কলকাতায় এলপিজি রান্নার গ্যাসের দাম বেড়ে হল ১ হাজার ১২৯টাকা।
হোলির আগে মুদ্রাস্ফীতির স্রোত। ঘরোয়া রান্নার গ্যাসের দাম বৃদ্ধি ১লা মার্চ থেকে ধার্য করা হল। অঞ্চলের ভ্যাট এবং পরিবহণ খরচের উপর নির্ভর করে এলপিজি সিলিন্ডারের দাম রাজ্য থেকে রাজ্যে পরিবর্তিত হয়। এটি অপরিশোধিত তেলের দামের ভিত্তিতেও গণনা করা হয়। বিশ্বব্যাপী অপরিশোধিত তেলের দামের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে খুচরা বিক্রেতারা প্রতি মাসের শুরুতে এলপিজি সিলিন্ডারের দাম সংশোধন করে। এলপিজি সিলিন্ডার এখন দিল্লিতে ১ হাজার ১০৩ টাকায় পাওয়া যাবে। বাণিজ্যিক সিলিন্ডারের দামও বেড়েছে। ৩৫০ টাকা দাম বেড়ে ২১১৯.৫০ টাকা হয়েছে।
মুম্বইতে এলপিজি সিলিন্ডারটি ১০৫২.৫০ টাকার পরিবর্তে ১১০২.৫ টাকায় বিক্রি হবে। চেন্নাইতে ১০৬৮.৫০ টাকার পরিবর্তে ১১১৮.৫০ টাকা হল। বুধবার থেকে কলকাতায় বাণিজ্যিক এলপিজি সিলিন্ডার পাওয়া যাবে ২২২১.৫০ টাকায়। মুম্বইতে এর দাম এখন থেকে ২০৭১.৫০ টাকা হয়েছে। চেন্নাইতে ১,৯১৭ টাকার সিলিন্ডার এখন ২২৬৮ টাকায় পাওয়া যাবে।
প্রসঙ্গত, এমনিতেই নিত্য প্রয়োজনীয় নানা জিনিসের দাম বৃদ্ধির জেরে নিম্ন-মধ্যবিত্ত শ্রেণি খরচ জোগাতে হিমশিম খাচ্ছে। তারমধ্যেই আবারও গ্যাসের দাম বৃদ্ধিতে সমস্যা বাড়ল সাধারণ মানুষের।