কাতার বিশ্বকাপ সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায়ের চোখে। খেলা দেখে কী লিখছেন তিনি
আহ কি খেলাটাই দেখলাম মঙ্গলবার রাতে! খেলা শুরু হয়েছিল আমাদের ঘড়ির রাত ১২.৩০-এ, শেষ হলো ঠিক ২.২০-তে। তারপর বাকি রাতটা আর ঘুম এলো না। স্বাভাবিক এরকম একটা স্বপ্নের ফুটবল ম্যাচ তাও সেমিফাইনাল এবং সঙ্গে মেসি সঙ্গে ৩টে অসাধারণ গোল ভাবতে ভাবতেই সকাল হয়ে গেলো। ফুটবল প্রেমীর চরিত্রের উপর প্রশাসনের আবরণ পরে এবার সকালে প্রশাসনিক কাজে বেরোতে হবে যে। হাওড়ার বাসিন্দা কাজেই ফুটবল আমাদের রন্ধ্রে-অণুতে। আমি কিন্তু খাঁটি ভারতীয় তারপর মোহনবাগানী কাজেই বিশ্ব ফুটবলে কোনও সুনির্দিষ্ট দলের সমর্থক নই। কিন্তু বিশ্বকাপ ফুটবল ভালো লাগে এবং অবশ্যই লাতিন আমেরিকার ফুটবলের স্কিল। আমার ভালো লাগার জায়গাটা নষ্ট হয়ে গিয়েছিলো ২০০২-এর পর। ওই শেষ বারের মতো ব্রাজিলের পায়ের কাজ দেখেছিলাম রোনাল্ডো,রবার্তো কার্লোসদের। তারপর একেবারেই ইউরোপিয়ান ঘরানার প্রেসিং ও পাসিং ফুটবল।
মঙ্গলবার রাতে ফের শিল্প ফায়ার এলো মেসি বাহিনীর হাত ধরে। ৩টি গোল, কোনটাকে কার আগে রাখবো এখনও বুঝতে পারছি না। সকলেই ধরে নিয়েছিল ব্রাজিলকে হারিয়েছে ক্রোয়েশিয়া কাজেই আর্জেন্টিনা আর কী করতে পারে। এছাড়া লাতিন আমেরিকার দলের চরিত্রই হচ্ছে ডিফেন্স আলগা রেখে আক্রমণে যাও। কিন্তু ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। ব্রাজিলের মতো আক্রমণে প্রথমে যায়নি আর্জেন্টিনা। আল্ট্রা ডিফেন্স রেখে খেলা শুরু করেছিল অর্থাৎ ক্রোটদের আক্রমণ করতে দাও পরে আলগা বল ধরে প্রতি-আক্রমণ। ডিফেন্স এবারে যথেষ্ট ভালো আর্জেন্টিনার। গোলে মার্টিনেজ, উইথড্রল স্টপার মাক্যালিস্টার একটু নিচ থেকে রড্রিগো দি'পল।
শুরুতে ডিফেন্সের পথে না গিয়ে ক্রমাগত আক্রমণ গেলো মড্রিচের দল। কিন্তু কিছুতেই বক্সের ভিতরে যেতে পারলো না। ৩০ মিনিট এভাবেই চলার পর হঠাৎ চলতি বল নিয়ে যাওয়ার পথে বক্সে ক্রোট গোলরক্ষক লিভাকোভিচ, আলভারেজকে ফাউল করে বসে, পেনাল্টি ১০০% | মেসি এসে বাঁ পায়ে গোলকিপারের বাঁদিকের কোন দিয়ে গোল করে এগিয়ে দেন দেশকে। এরপর ৫ মিনিটের মধ্যে ৮৬-র মারাদোনাকে মনে করিয়ে দিলো জুলিয়ান আলভারেজ। নিজেদের অর্ধ থেকে একই বল নিয়ে বুলডোজারের মতো ক্রোটদের পাশে রেখে একার কৃতিত্বে বুটের টো দিয়ে জালে বল জড়ান। আগামীতে মেসি চলে যাওয়ার পর নতুন সুপারস্টার পেয়ে গেলো আলভারেজকে। এরপর আরও একটি গোল হতে পারতো। দুটি গোল খেয়ে মদ্রিচ, পেরিসিচ, কোভাচিচরা খেলা থেকেই যেন বেরিয়ে গেলো। এমনিতেও এই বিশ্বকাপ এদের অনেকের শেষ বিশ্বকাপ।
ব্রাজিলের সঙ্গে খেলে এনার্জিটা ছেড়ে এসেছিলো কি? তৃতীয় গোল সেই ৮৬-র মারাদোনাকে মনে করিয়ে দিলেন মেসি। ডান দিক থেকে গতি বাড়িয়ে বিশ্বের অন্যতম সেরা ডিফেন্ডার জাস্কো গার্ডিওলকে ঘাড়ের কাছে রেখেই একের পর এক ইনসাইড আউটসাইড ডজ এবং লম্বা স্প্রিন্ট। একটা সময় গার্ডিওলকে ডজ করে পিছনে ফেলে বারের এক প্রান্তে গিয়ে ঠিকানা লেখা পাস বাড়ালেন আলভারেজকে। গোলমুখ খুঁজতে ভুল করেননি বছর বাইশের আলভারেজ। তিনি ঠিকানা লেখা পাস জালে জড়িয়ে বুঝিয়ে দিলেন বোঝালেন এবার আমি এসে গিয়েছি।
সেরা খেলা দেখলাম মঙ্গলবার মধ্যরাতে। তুলনাহীন, এবারে কাপ আর ঠোঁটের মধ্যে যতটুকু ফারাক রইলো রবিবাসরীয়তে। (অনুলিখন: প্রসূন গুপ্ত)
সেমি ফাইনালে (Semi Final) সম্ভবত বিপক্ষের জোনাল বা ম্যান মার্কিংয়ে পড়বেন না লিওনেল মেসি (Lionel Messi)। কাতার বিশ্বকাপ (Qatar World Cup 2022) সেমিফাইনালের দিন দুই আগে এই ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন ক্রোয়েশিয়ার (Argentina-Croatia) ফুটবলার ব্রুনো পেটকোভিচ। চলতি বিশ্বকাপের গ্রুপ লিগের ম্যাচ থেকেই দেখা গিয়েছে, আর্জেন্টিনার ১০ নম্বর জার্সিধারী খেলতে নামলেই, তাঁর গায়ে সেঁটে থাকে বিপক্ষ দলের ফুটবলার। তিনি বল ধরে দৌড়লে পিছনে বিপক্ষ দলের অন্তত তিন জন থাকেন। আর্জেন্টিনার আক্রমণের স্তম্ভ লিওনেল মেসিকে আটকানোই এযাবৎকাল বিপক্ষ কোচের কৌশল হয়ে এসেছে। কিন্তু সেই কৌশল ভেদ করেই এখনও পর্যন্ত সফল বিশ্ব ফুটবলের এলএম-১০। এবার চলতি বিশ্বকাপে স্বপ্নের ফর্মে থাকা মেসিকেই কিনা আটকানোর পরিকল্পনা নেই ক্রোটদের?
এই প্রশ্নের জবাবে ব্রুনো জানান, 'আমরা মনে করি মেসিকে শুধু আটকালে হবে না। গোটা দলকে আটকাতে হবে। আমরা মেসিকে আটকানোর কোনও পরিকল্পনা এখনও করিনি। সাধারণত আমাদের ডিফেন্সের কৌশলের কোনও এক বিশেষ ফুটবলারকে আটকানোর চেষ্টা থাকে না। আমরা গোটা দলকে আটকানোর পরিকল্পনা করি।'
ব্রুনোর আশঙ্কা শুধু মেসিকে আটকালে হিতে বিপরীত হতে পারে। তাই টিম আর্জেন্টিনার আক্রমণের অন্য স্তম্ভদের আটকাতে চায় ক্রোয়েশিয়া। খানিকটা সেই ইঙ্গিত দেন ব্রুনো।
কাতার বিশ্বকাপ তৃণমূল কাউন্সিলর অরূপ চক্রবর্তীর চোখে। খেলা দেখে কী লিখলেন তিনি
ধনী মহাদেশের মধ্যে প্রথম স্থানে নিঃসন্দেহে ইউরোপ। ব্রিটেন, জার্মানি, ফ্রান্স তো বটেই ইতালি, স্পেন, সুইৎজারল্যান্ড ইত্যাদি দেশও যথেষ্ট ধনী। কাজেই খেলাধুলার ক্ষেত্রে এরা দেদার খরচ করে থাকে। পক্ষান্তরে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর পূর্ব ইউরোপের অধিকাংশ দেশ বামপন্থার হাত ধরে। ব্যতিক্রম ছিল না যুগোশ্লোভিয়া। ৮০-র দশকে এই পূর্ব ইউরোপের দেশগুলিতে অর্থনৈতিক সংকট প্রবল ভাবে দেখা যায়। সাম্যবাদের নামে এই দেশগুলিতে চলতো রীতিমতো একনায়কতন্ত্র। যা কিছু সব বুঝে নেবে বামপন্থী দলগুলো বা কম্যুনিস্ট পার্টি। এলো ১৯৯১, সব ভেঙেচুরে গেলো। যুগোশ্লোভিয়ার অস্তিত্বই রইলো না। এর মধ্যে একটি দেশের জন্ম হলো ক্রোয়েশিয়া। দ্রুত বামপন্থা ছেড়ে তার ন্যাটোর অর্থাৎ আমেরিকার হাত ধরে ফেললো। ধীরে ধীরে বিশ্ব অর্থনীতিতে এবং বাণিজ্যে উন্নতি আসতে শুরু হলো। ক্রোয়েশিয়ার মূল সম্পদ শিপ বিল্ডিং। এছাড়া ফুড প্রসেসিং, মেডিসিন, আইটি, বায়ো-কেমিক্যাল এবং কাঠের ব্যবসায়ে দ্রুত উন্নতি করে বিদেশের সঙ্গে বাণিজ্য শুরু করলো। একইসঙ্গে গড়ে তুললো ফুটবল খেলার উন্নয়ন। ক্রোয়েশিয়াকে ইউরোপের উচ্চ মধ্যবিত্ত বলা হয়ে থাকে।
আসলে যুগোস্লাভিয়া ফুটবল দলটি যথেষ্ট শাক্তিশালী দল ছিল। ক্রোয়েশিয়ার জন্ম হওয়ার পর অধিকাংশ ফুটবলার চলে এসেছিলেন তাদের দেশে। পরবর্তীতে ক্রোয়েশিয়া বর্তমানে ইউরোপের নামি দল এবং গত বিশ্বকাপের রানার্স আপ। মাঝমাঠের মদ্রিচকে সোনার বল দেওয়া হয়েছিল। সেই ক্রোয়েশিয়া এবারে ব্রাজিলকে হারিয়ে আর্জেন্টিনার মুখোমুখি। কেমন খেলবে তারা?
এবারও তাদের দল যথেষ্ট শক্তিশালী। মাঝমাঠে মদ্রিচ ছাড়াও রয়েছেন ব্রুনো পেটকোভিচ, কোভাচিচ, ব্রোনেভিচ ইত্যাদি। তাদের ডিফেন্সও যথেষ্ট ভালো। গোলে বিশ্বমানের গোলরক্ষক লিভাকোভিচ ইতিমধ্যে পেনাল্টি বাঁচিয়ে প্রথমে জাপান পরে ব্রাজিলকে বিদায় করে দিয়েছে। এটা বাস্তব যে আর্জেন্টিনায় মেসি ডি'মারিয়ার মতো খেলোয়াড় আছে। কোচ ডালিচ জানিয়েছেন যে, আলাদা করে কারও পিছনে পুলিশম্যান মার্কিং করা হবে না। জোনাল মার্কিংয়ে থাকবেন সবাই, আর্জেন্টিনা কিন্তু এই দলকে উড়িয়ে দিতে পারে না। এ স্বত্বেও ম্যাচের রং বদলে দিতে পারে একজনই তিনি লিওনেল মেসি। গুরুত্বপূর্ণ খেলায় ভাগ্যনিয়ন্ত্রক মেসি ছাড়া আর বিশ্ব ফুটবলে আছে কে? (অনুলিখন: প্রসূন গুপ্ত)
পরপর দু'বার, কোয়ার্টার ফাইনাল (Quarter Final) থেকেই বিদায় ব্রাজিলের। ২০১৮-র পর কাতার বিশ্বকাপেও শেষ ৮-র গণ্ডি পেরোতে ব্যর্থ সেলেকাওরা (Brazil)। যদিও এবার প্রথম থেকেই হেক্সা অর্থাৎ ষষ্ঠবার বিশ্বকাপ জিততে মাঠে নেমছিল তিতের দল। গ্রুপ লিগ থেকে কোয়ার্টার ফাইনাল অবধি সাম্বা দৌড় মসৃণ হলেও, ব্রাজিলকে থমকে যেতে হয় শেষ আটে। শুক্রবার অতিরিক্ত সময়ে গোল করেও, সেই গোল ধরে না রাখতে পারার ব্যর্থতায় টাই ব্রেকারে ক্রোয়েশিয়ার (Croatia) কাছে হেরে কাতারকে বিদায় জানায় হলুদ-সবুজ জার্সি। আর বিশ্বকাপের এই ব্যর্থতার পরেই অবসর নিয়ে বড়সড় সম্ভাবনার কথা জানিয়ে দিলেন নেইমার (Neymar)।
শুক্রবার রাতের ম্যাচে এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামে ২-৪ গোলে পেনাল্টিতে হেরে যাওয়ার পর কান্নায় ভেঙে পড়েন ব্রাজিল ফুটবলের পোস্টার বয়। টিভি ক্যামেরা বারবার ধরছিল সেই দৃশ্য, সতীর্থ থিয়েগো সিলভা এসে তাঁকে থামানোর চেষ্টা করেন। পুরো হলুদ-সবুজ জার্সি বিশ্বাসই করতে পারছিল না যে, ব্রাজিল হেরে গিয়েছে। বিশ্বাসই অতিরিক্ত সময়ের ৩০ মিনিটে চার বছরের লড়াই শেষ।
এদিকে, কাতার বিশ্বকাপ নেইমারের তৃতীয় বিশ্বকাপ। এখনও পর্যন্ত ঠোটের সঙ্গে তাঁর কাপের দূরত্ব ঘোচেনি। এখনও ট্রফি অধরা থাকায় আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবস্রের ইঙ্গিত নেইমারের গলায়। এরপর তিনি আবার কবে ব্রাজিলের জার্সি পরবেন তা স্পষ্ট নয়।
অপরদিকে, ৬ বছরের সম্পর্ক ছিন্ন করে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিতেই ব্রাজিল কোচের পদ ছাড়লেন তিতে। শুক্রবার ম্যাচের পর সাংবাদিক বৈঠকে এসে নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানান ব্রাজিলের ঘরোয়া ফুটবলের অন্যতম সফল এই কোচ। তাঁর কোচিংয়ে ২০১৮ এবং ২০২২— দু’বারই বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছে ব্রাজিল।
ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের সামনে এসে তিতে বলেন, 'এই হার মেনে নেওয়া যন্ত্রণার। আমি এবার একটু শান্তিতে থাকতে চাই। আমাকে যতটুকু দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, তা শেষ হয়েছে। দেড় বছর আগেই বলেছিলাম বিশ্বকাপের ফল যা-ই হোক, আমি আর দায়িত্বে থাকব না। দু’রকম কথা আমি বলি না। কোনওরকম নাটক করে পদে থাকার ইচ্ছেও আমার নেই। যাঁরা আমাকে চেনে, তাঁরা জানে আমি এক কথার মানুষ।'
কাতার বিশ্বকাপ মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাসের চোখে! খেলা দেখে কী লিখছেন তিনি
আমি চিরকালই ব্রাজিলের ফ্যান। ব্রাজিল ছাড়া আর আছেটা কী? ছেলেবেলায় পড়াশোনার সঙ্গে কৃষ্ণনগরে ফুটবলও খেলতাম। পরে রাজনীতিতে আসি। আমাদের স্বদেশী করা পরিবার। আমার এক দাদুর ব্রিটিশের বিরুদ্ধে সংগ্রামের কারণে ফাঁসি হয়েছিল। ব্রিটিশদের সঙ্গে লড়াই শেষ কিন্তু ওদের ফুটবল খেলা রেখে গিয়েছিল বাঙালির মনে। আগে টিভি ছিল না, কিন্তু ব্রাজিলের খবর পেতাম ছেলেবেলায় খবরের কাগজের পাতায়। পড়তাম পেলের খেলার খবর। সেই থেকে কবে যে ব্রাজিলের ভক্ত হয় গিয়েছি, তা আজও স্মৃতিতে।
এবার বিশ্বকাপ নিয়মিতভাবে দেখা হয়নি, কারণ প্রথম দিকে লিগ পর্যায়ের খেলাগুলি পড়তো কাজের সময়ে। তখন তো দফতরের কাজ থাকতো দেখবো কী ভাবে? তবুও পরে এসে ক্লিপিংস দেখতাম। যাই বলুন লাইভ ফুটবল ছেড়ে বাসি ফুটবল দেখা কি এক? এটা অবশ্য সত্যি যে রাত আটটা বা বারোটার খেলা ছাড়ছি না। ছাড়বোই বা কেন ৪ বছরে বিশ্বকাপ আসে একবার মাত্র, এ খেলা ছাড়া যায়? তবে গভীর রাতে শোয়ার অভ্যাস, কিন্তু বিশ্বকাপের কল্যাণে বহুদিন আগেই সেই অভ্যাস রপ্ত করেছি। তাই এখনও রাত জাগছি।
সোমবারের দু'টি খেলাই দেখলাম। জাপান দুর্দান্ত খেলেও জিততে পারলো না স্রেফ অভিজ্ঞতার কারণে। ক্রোয়েশিয়ার সব বয়স্ক ফুটবলার, লুকা মদ্রিচের কী হাল! কিন্তু ওরা দাঁতে দাঁত চেপে টাই ব্রেকারের জন্য অপেক্ষা করলো এবং সেখানেই বাজিমাত করলো ক্রোটরা। কিন্তু দেখবেন আগামীতে এই জাপান অনেকদূর যাবে।
আমার আবার প্রিয় ব্রাজিল। সোমবার রাতের খেলায় খুঁজে পেলাম সেই পুরনো স্কিল, সেই দৌড়, সেই টাচ। মাঠজুড়ে শুধুই সাম্বা ঝড়। এসবের জন্যই তো ব্রাজিল বিশ্বসেরার খেতাব পেয়েছে চিরকাল। ৬ মিনিটের পরই প্রথম গোল, তারপর পেনাল্টিতে নেইমারের ঠাণ্ডা মাথায় জালে বল ঢোকানো, প্রথম অর্ধেই প্রতিপক্ষের জালে একের পর এক বল জড়িয়ে খেলা প্রায় শেষ করে দেওয়া। পরপর চারটি গোল, অনেক ব্রাজিল ফ্যান আবার ভেবে বসেছিল আটটি হলেও খারাপ হতো না। শেষে ফাউল করে স্পটকিক থেকে একটা পাস্ এবং সামান্য ত্রুটির জন্য ব্রাজিল একটা গোল খেয়ে গেলো। এরপর তো লাতিন আমেরিকার আরও এক দেশ। কোয়ার্টার ফাইনালে নেদারল্যান্ডসে বিরুদ্ধে তাঁদের দৌড়, টাচ দেখতেই হবে। (অনুলিখন: প্রসূন গুপ্ত)