
ফের বিপাকে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো (Cristiano Ronaldo)। তবে এবারে কারণটা একেবারেই আলাদা। নিজের খেলা বা নিজের জন্য কোনও বিতর্কে জড়াননি তিনি। বিতর্কে জড়িয়েছেন নিজের প্রেমিকা জর্জিনা রদ্রিগেজের (Georgina Rodriguez) জন্য। একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট, আর যা নিয়েই শুরু হয়েছে জল্পনা। সৌদির নিয়ম (Saudi Arabian Law) ভাঙার অভিযোগ উঠেছে জর্জিনার বিরুদ্ধে। তবে কী এমন কাণ্ড ঘটালেন রোনাল্ডোর প্রেমিকা?
সৌদি আরবের আল নাসের ক্লাবে যোগ দিয়েছেন রোনাল্ডো। আর সেই থেকেই সৌদি আরবেই নিজের প্রেমিকা ও সন্তানদের নিয়ে বসবাস শুরু করেছেন তিনি। তবে সৌদি আরবে থাকতে গেলে কিছু আইন মেনে চলতে হয়। আর সেই আইনগুলোর মধ্যেই একটি আইনের বিরুদ্ধে কাজ করে বসলেন জর্জিনা। বিকিনি পরে ছবি পোস্ট করলেন তিনি। আর তাতেই শুরু হয়েছে সমালোচনা। সেদেশে নিয়ম রয়েছে, সেদেশের মহিলারা অর্ধনগ্ন পোশাক পরতে পারবেন না। আর সেটাই করে বসলেন রোনাল্ডোর গার্লফ্রেন্ড।
সমাজমাধ্যমে পোস্ট করা একগুচ্ছ ছবিতে দেখা গিয়েছে, নীল বিকিনি পরে স্যুইমিং পুলে পা ডুবিয়ে বসে রয়েছেন জর্জিনা। আর এই ছবিগুলিই বিপাকে ফেলেছে রোনাল্ডো-সহ জর্জিনাকে। ফলে তাঁর বিরুদ্ধে সেদেশের আইন ভাঙার অভিযোগ উঠে আসছে। তবে সৌদি আরব প্রশাসনের তরফে এখন পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি। পরবর্তীতে এই নিয়ে আরও বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন কিনা সেটাই এখন দেখার।
রোনাল্ডোর (Cristiano Ronaldo) সঙ্গে তাঁর প্রেমিকা জর্জিনার সম্পর্ক নাকি ইদানিং খুব একটা ভালো যাচ্ছে না। তাঁদের সম্পর্কে নাকি বিরক্তির মেদ জমেছে। রোনাল্ডো তাঁর প্রাক্তন প্রেমিকা, সুপারমডেল ইরিনার সঙ্গে সম্পর্ক শেষ করে ২০১৬ সাল থেকে জর্জিনার (Georgina Rodriguez) সঙ্গে সম্পর্কে রয়েছেন। দুই সন্তানও রয়েছে তাঁদের। লিভ ইন রিলেশনেই স্বচ্ছন্দ তাঁরা। তবে সম্প্রতি তাঁদের বিয়ে নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছিল। কিন্তু শোনা যাচ্ছে, একত্রবাস করলেও নাকি তাঁকে বিয়ে করতে চাইছেন না রোনাল্ডো।
গত বছর ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ছেড়ে আল নাসের ফুটবলে যোগ দিয়েছিলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। বর্তমানে সৌদি আরবের মধ্য-পশ্চিমে পুরো পরিবার নিয়ে থাকেন রোনাল্ডো। কিন্তু সেই দেশে অবিবাহিত হয়ে একত্রযাপন করা আইন বিরোধী। সেখান থেকেই প্রশ্ন উঠেছিল, তাহলে কী এবার বান্ধবীর সঙ্গে বিয়ে সারবেন রোনাল্ডো?
এই প্রসঙ্গে রোনাল্ডো কোনও মন্তব্য না করলেও পর্তুগিজ মিডিয়ার এক অনুষ্ঠানে বলা হয়েছে রোনাল্ডো 'বিরক্ত' হয়ে গিয়েছে। পর্তুগালে আরও গুঞ্জন, রোনাল্ডো বিয়ে করবেন না বান্ধবী জর্জিনাকে। খুব তাড়াতাড়ি নাকি তাঁরা বিচ্ছেদের পথ বেছে নেবেন। গুঞ্জন নিয়ে মুখ খোলেননি রোনাল্ডোর প্রেমিকা জর্জিনা।
বিশ্বকাপের পর মাঠে নেমে চোখে কালশিটে ফেললেন সিআর সেভেন (CR7)। না পড়ে গিয়ে নয়, বরং নাভাসের ঘুষিতে চোখের নীচে কালশিটে রোনাল্ডোর (Christiano Ronaldo)। প্যারিস সঁ জা-র বিরুদ্ধে সৌদি আরবে (Saudi Arab) প্রথম ম্যাচ ছিল রিয়াধ অলস্টারের। বৃহস্পতিবার সেই ম্যাচেই লিওনেল মেসির দল এবং রোনাল্ডোর (Messi-Ronaldo) দলকে মুখোমুখি খেলতে দেখা গিয়েছে। ম্যাচ চলাকালীন বল বাঁচাতে গিয়ে পিএসজির গোলরক্ষক কেলর নাভাস ঘুষি মারেন রোনাল্ডোর মুখে। মুহুর্তের মধ্যেই চোখের নীচে কালশিটে পড়ে যান এই পর্তুগিজ তারকার। যদিও রিয়াধ অলস্টার ম্যাচটি হেরে যায়।
একসময় এই দুই ফুটবলার রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে একসঙ্গে খেলতেন। আর সেই সহ-খেলোয়াড়ের ঘুষিতেই চোখের নীচ ফুলে যায় ক্রিশ্চিয়ানোর। তবে বলা বাহুল্য তিনি থেমে যাননি। এই অবস্থাতেই ম্যাচ সম্পূর্ণ করেন। দুটি গোলও করেন। ঘুষির জন্য পেনাল্টি পায় সৌদি আরব। সেখান থেকে একটি গোল করেন রোনাল্ডো। এরপর আরও একটি গোল করেন। এছাড়াও গোল করেছেন মেসি-এমবাপে। তবে পেনাল্টি পাওয়ার পরেও গোল করতে ব্যর্থ হন নেইমার। অলস্টারের গোলরক্ষক মহম্মদ আল ওয়েসিস তাঁর শট আটকে দেন। ৫-৪ গোলে ম্যাচ জিতল পিএসজি।
যদিও ঘুষি খাওয়ার পরও দু'জনকে একসঙ্গে মজা করতে দেখা গিয়েছে। আল নাসের এবং আল হিলাল-দুই দলকে মিলিয়ে তৈরি হয়েছিল রিয়াধ অলস্টার দলটি। সেই দলের অধিনায়ক হিসাবে খেলেছেন রোনাল্ডো। সৌদি আরবের ক্লাব আল নাসেরে সই করেন রোনাল্ডো। রবিবার এই দলের হয়ে ম্যাচ খেলবেন তিনি।
ছোট্ট একটা স্টেটমেন্ট। কিন্তু ঝড় তোলার জন্য ওইটুকু যথেষ্ট। দাবানলের চেয়ে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ল খবর। ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড (Manchester United) আর রোনাল্ডোর (Cristiano Ronaldo) সম্পর্কের ইতি ঘটে গেল। রেড ডেভিলসের পোশাকি স্টেটমেন্টে বলা হয়েছে, দুপক্ষের পারস্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতেই চুক্তি (mutual agreement) ভাঙার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিন্তু সত্যি কোনটা? পর্তুগিজ (Portuguese) মহাতারকা ক্লাব ছাড়লেন? না ছাড়তে বাধ্য হলেন? মুচমুচে তরজা ইংল্যান্ডের ট্যাবলয়েডে।
সবচেয়ে বড় কথা, বিশ্বকাপ অভিযানে নামার কয়েক ঘণ্টা আগে ক্লাবের তরফে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা। যা নিয়ে ইতিমধ্যে তোলপাড় পর্তুগাল শিবির থেকে শুরু করে রোনাল্ডো প্রেমীদের মধ্যে। প্রতিপক্ষ ঘানা নিয়ে অলোচনা কোথায়? আলোচনা যা, সবই ওই রোনাল্ডো নিয়ে। এটাই হয়তো কেরিয়ারের শেষ বিশ্বকাপ। কিন্তু শেষের লড়াইয়ের আগে বিতর্কে তিরবিদ্ধ ক্রিশ্চিয়ানো।
গত কয়েকদিন ধরেই ম্যান ইউ কোচের সঙ্গে সম্পর্কে চরম অবনতি হয়েছিল। টেন হাগের সিদ্ধান্ত না পসন্দ হওয়ায় কখনো ডাগ আউটে না ফিরে সোজা সাজঘরে ফিরে গিয়েছেন রোনাল্ডো। শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে ওঁকে নামানোই হয়নি পরের ম্যাচে। কখনো বিস্ফোরক ইন্টারভিউ দিয়েছেন সিআরসেভেন। বলে বসেছেন, তাঁর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়েছে। তাঁকে ক্লাব থেকে তাড়ানোর চেষ্টা চলছে। বোঝাই যাচ্ছিল, মধুচন্দ্রিমার পালা শেষ। কিন্তু বিশ্বকাপের মাঝে গাঁটছড়া ভাঙবে সেই আন্দাজ হয়ত কেউই করেননি।
মেগাস্টারের ইন্টারভিউ মোটেও ভালোভাবে নেয়নি ম্যানেজমেন্ট। ব্র্যান্ড ভ্যালু ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিল। লকাররুমে শৃঙ্খলা নিয়ে টানাটানি শুরু হয়ে যাবার উপক্রম। ম্যাঞ্চেস্টার ম্যানেজমেন্ট ব্যক্তি নয়, প্রতিষ্ঠান বড়, সেই রাস্তাই বেছে নিলো। কিন্তু প্রশ্ন একটাই। বিশ্বকাপের পর কোথায় যাবেন তিনি? মেজর সকার লিগ নাকি চেলসি নাকি আবার রিয়েল মাদ্রিদ? যাই হোক, দিনের শেষে ওল্ড ট্রাফোর্ড অতীত রোনাল্ডোর কাছে। দু'দফায় ৩১৫টি ম্যাচে ১৪৫ গোলের মালিক হয়তো শেষবারের মতো ম্যানচেস্টার ছাড়লেন।