
নিজের নাম বদলে দুষ্কৃতিমূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়েছিলেন এক ব্যক্তি। কলকাতা বিমানবন্দর লাগোয়া অঞ্চল থেকে বৃহস্পতিবার ওই অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল বিমানবন্দর থানার পুলিস। পুলিস সূত্রে খবর, অভিযুক্ত উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। নাম ইমরান।কলকাতা বিমানবন্দর সংলগ্ন বিভিন্ন অঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরে দুস্কৃতিমূলক কাজ চালাচ্ছিলেন বলে অভিযোগ। শেষমেশ পুলিসের জালে ধরা পড়ল ওই দুস্কৃতি। ধৃতকে বৃহস্পতিবার ব্যারাকপুর আদালতে তোলা হয়।
পুলিস সূত্রে আরও খবর, কখনও মজিদ আনোয়ার আবার কখনো অনু তিওয়ারি, কোনও সময় ইমরান বিভিন্ন নাম ব্যবহার করে কলকাতা বিমানবন্দর লাগোয়া অঞ্চলে দুস্কৃতিমূলক কার্যকলাপ চালাতেন ধৃত ব্যক্তি। ১৭ অক্টোবর বিমানবন্দর থানা এলাকার মাইকেল নগরের বাসিন্দা এক বৃদ্ধ মহিলা বিমানবন্দর থানায় অভিযোগ করেন যে, সে রাস্তার ধার দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় এক ছিনতাইবাজ তাঁর গলায় থাকা সোনার হার ছিনিয়ে নিয়ে চম্পট দেন। এরপরেই তদন্তে নেমে মধ্যমগ্রাম এলাকা থেকে ওই ছিনতাইবাজকে আটক করে পুলিস। জিজ্ঞাসাবাদের সময় আটক ওই ছিনতাইবাজ তাঁর কর্মকাণ্ড স্বীকার করে নেন। জানা গিয়েছে, ধৃত ইমরান উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা হলেও দীর্ঘদিন ধরে মধ্যমগ্রাম অঞ্চলে গা ঢাকা দিয়েছিলেন। প্রাথমিক তদন্তে পুলিস জানতে পেরেছে ধৃত ছিনতাইবাজ পার্শ্ববর্তী থানা এলাকায় বহুবার এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। পুলিস ধৃতকে নিজেদের হেফাজতে চাওয়ার আবেদন করে আদালতে পেশ করে।
রাতের অন্ধকারে দুষ্কৃতীরা (Criminals) কেটে ফেলছে আম ও লিচু গাছ। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলার জলঙ্গি ব্লকের সাদিখান দেয়ার অঞ্চলের নওদা পাড়া গ্রামের মাঠ পাড়া এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় জলঙ্গি থানার পুলিস। এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে গোটা গ্রামে।
জানা গিয়েছে, লিচু সহ ১২ টি আম গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। এছাড়াও ফলধারী অনেক গাছপালাও কেটে দেওয়া হয়েছে। বাগান মালিক মতিউর রহমান মণ্ডল জানিয়েছেন, কারও সঙ্গে কোনো ঝামেলা নেই। গাড়ি চালিয়ে সংসার চালান তিনি। সকলের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রয়েছে। তবে কে বা কী কারণে এতো বড়ো ক্ষতি করল বুঝে উঠতে পারছিনা। তিনি আরও জানান, এই ঘটনার সঠিক তদন্ত করে দোষীদের শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
ব্যারাকপুরে (Barrackpore) সোনার দোকানে ডাকাতি করতে বাধা দেওয়ায়, দুষ্কৃতীদের (Criminal) হাতে খুন হয় ওই দোকান মালিকের ছেলে। এ ঘটনায় প্রায় দেড়দিন পর পুলিসের (Police) হাতে আটক ৩ অভিযুক্ত। তাঁদের মধ্যে ২ জনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিস। যদিও এ ঘটনায় পুলিসকে ফের তোপ দেন ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং।
পুলিস জানিয়েছে, এ ঘটনায় তল্লাশিতে নেমে পুলিস সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ৩ জনকে আটক করেছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর ২ জনকে গ্রেফতার করেছে। পুলিস জানিয়েছে, ওই দুই অভিযুক্তের নাম, সফি খান এবং জামসেদ আনসারি। পুলিস সূত্রে আরও খবর, ধৃতদের থেকে উদ্ধার হয়েছে ঘটনায় ব্যবহৃত একটি মোটরবাইক। এছাড়া সফিকে রহড়া থেকে এবং জামসেদকে বীরভূমের মূরারই থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে তদন্তকারীরা অফিসাররা।
ওদিকে ব্যারাকপুরে সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনার প্রতিবাদে আগামীকাল অর্থাৎ শনিবার ব্যারাকপুর ও পলতা স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা ২৪ ঘণ্টা দোকান বন্ধ রাখা এবং একটি প্রতিবাদ মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার সাংসদ অর্জুন সিং দাবি করেন, যেখানে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নেই, সেখানে নিজের ভি,ভি আইপি নিরাপত্তা নিয়ে লজ্জিত তিনি। শুক্রবার সকালে তিনি আরও বলেন, 'আমার নিরাপত্তা নিয়ে চলতে লজ্জা হয়। ব্যারাকপুরের সাংসদ হয়ে সাধারণ মানুষকে নিরাপত্তা দিতে পারছি না, আমি নিজে নিরাপত্তা নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছি! অপরাধীরা নিরাপত্তা পাচ্ছে। আর সাধারণ মানুষ গুলি খেয়ে মরছেন! জলজ্যান্ত একটি নিরীহ ছেলেকে মেরে দিলো!'
ফের শহরের বুকে অস্ত্র সহ গ্রেফতার এক কুখ্যাত দুষ্কৃতী (Criminal)৷ বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে বারুইপুরের (Baruipur) মল্লিকপুর এলাকায়৷ বেশ কিছুদিন ধরে অস্ত্র (Firing Arms) নিয়ে দাপাদাপি করার অভিযোগ ওঠছিল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। পুলিস জানিয়েছে, ধৃতের নাম মহম্মদ শাহাজাদা ওরফে শেখ সমীর৷ তাকে জেরা বেশ কিছু তথ্য পাওয়া গিয়েছে৷ এছাড়াও তার কাছ থেকে একটি পিস্তল ও দু রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করেছে পুলিস৷ এছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে আগেও বেশ কিছু ক্রিমিনাল রেকর্ড রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিস৷ তবে অভিযুক্ত কি কারণে প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে ঘোরাঘুরি করছিল তা খতিয়ে দেখছে পুলিস৷ পুলিস আরও জানায়, ধৃতের বিরুদ্ধে একাধিক থানায় একাধিক অভিযোগ রয়েছে৷ কোথা থেকে তিনি এই অস্ত্র পেয়েছিল তা খতিয়ে দেখছে পুলিস৷
বারুইপুর পুলিস জেলার অতিরিক্ত পুলিস সুপার জানায়, ধৃতের বিরুদ্ধে আর্মস অ্যাক্ট মামলা রুজু করা হয়েছে৷ ধৃতকে শুক্রবার বারুইপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়েছে৷ অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিস হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করেছে৷
ফের একবার আগ্নেয়াস্ত্র (firearms) উদ্ধার হল শিলিগুড়িতে (Siliguri)। ঘটনায় ইতিমধ্যে দু'জনকে গ্রেফতার (arrest) করেছে পুলিস। পুলিস (police) সূত্রে খবর, ধৃতরা রাজকুমার সাহানী এবং জলন্ধর সাহানী। দুজনেই শিলিগুড়ির বাসিন্দা। মঙ্গলবার ধৃতদের জলপাইগুড়ি আদালতে পেশ করা হবে। তবে সঠিক কী কারণে ধৃতরা আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ঘোরাফেরা করছিল তা অবশ্য এখনও জানা যায়নি। সেক্ষেত্রে পুলিস তদন্ত শুরু করেছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে কোথা থেকে ওই আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে আসা হয়েছিল এবং কী উদ্দেশ্য ছিল।
প্রসঙ্গত, গোপন সূত্রের খবরের ভিত্তিতে সোমবার রাতে শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিসের এসওজি এবং এনজেপি থানার পুলিস যৌথভাবে অভিযান চালায়। অভিযান চালানো হয় এনজেপি থানা এলাকার অধীন ক্যানাল রোড এলাকায়। অভিযান চালিয়ে দুই যুবককে গ্রেফতার করে পুলিস। তাদের হেফাজত থেকে বাজেয়াপ্ত হয় ৭.৬৫ এমএম ইম্প্রোভাইজড পিস্তল সহ তিনটি তাজা কার্তুজ। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিস।
অস্ত্র-সহ (Firearms) গ্রেফতার এক দুষ্কৃতী (Criminal)। বারুইপুর থানা (Baruipur) এলাকার কাটাখাল থেকে গ্রেফতার ইস্তেহার হোসেন ওরফে খরগোশ। গোপন সুত্রে খবর পেয়ে রবিবার গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে বমাল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিস। তার থেকে উদ্ধার হয়েছে তিনটি ওয়ান শাটার ও ১ রাউন্ড গুলি। কী কারণে এই অস্ত্র মজুত তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে, জানিয়েছে পুলিস। অভিযুক্তকে বারুইপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায় পুলিস।
এদিকে, পঞ্চায়েত ভোটের বোমাবাজি এবং অস্ত্র উদ্ধারে আতঙ্কের পরিবেশ জনমানসে। ইতিমধ্যে বাংলার একাধিক জেলায় বোমা ফেটে শিশুর মৃত্যুর পাশাপাশি জখমের ঘটনা ঘটেছে। একইভাবে প্রচুর তাজা বোমা এবং অস্ত্র উদ্ধারে বিরোধী আক্রমণের মুখে শাসক শিবির।
পঞ্চায়েত ভোটকে রক্তাক্ত করতে এখন থেকেই বোমা-বন্দুক-অস্ত্র মজুত করছে শাসক দল। এই অভিযোগে সরব বিরোধী শিবির। যদিও তৃণমূল সূত্রে খবর, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ পঞ্চায়েত ভোট করতে ইতিমধ্যেই জেলা এবং ব্লক স্তরে বার্তা পাঠানো হয়েছে।
আমি হলে মাথায় গুলি করতাম। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) এই মন্তব্য ঘিরে রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল ছিল তুঙ্গে। বিজেপি অভিযোগ করেছিল ট্রিগার হ্যাপি পুলিস বানাতে চাইছে তৃণমূল (TMC)। এবার এই মন্তব্যের বিরোধিতায় তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে এফআইআর করতে চেয়ে ব্যাঙ্কশাল আদালতের দ্বারস্থ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder)। তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি ধারায় মামলা বিজেপির (BJP) বঙ্গ সভাপতির। জোড়াসাঁকো থানা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে এফআইআর নিচ্ছে না। এই অভিযোগ জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ সুকান্ত। ১৫৬(৩) সিআরপিসি ধারায় আবেদন সুকান্ত মজুমদারের।
বিজেপি সভাপতির আইনজীবী জানান, এই ধারায় আবেদনকারীর ভূমিকা প্রধান। যখন কোনও থানা অভিযোগ নেয় না, তখন এই ধারায় আদালতের কাছে আবেদন করতে পারেন কোনও ব্যক্তি। তাঁর মন্তব্য, 'নবান্ন অভিযানের আয়োজন হয়েছিল রাজ্য সরকারের দুর্নীতির বিরোধিতায়। সেই অভিযানে পুলিসি পরিস্থিতি সামলানোর নাম করে যা ইচ্ছে করেছে। লাঠিচার্জ, টিয়ার গ্যাস-সহ পুলিসি অত্যাচারের শিকার বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। বিজেপি কর্মীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে। এখনো অনেকে অসুস্থ।'
সুকান্ত আইনজীবীর দাবি, 'অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন গুলি করে মারতাম। এটা ফৌজদারি মামলা। পুলিস ব্যবস্থা না নিলে, মানুষ কোথায় যাবে? তাই এফআইআর করার অনুমতি পেতে এই মামলা।' বিচারকের প্রশ্ন, 'আবেদন পত্রে যা দেখছি এটা নবান্ন অভিযান সংক্রান্ত তাই তো? ইনি কে? (সুকান্ত মজুমদার এর দিকে তাকিয়ে)?'
বিজেপির বঙ্গ সভাপতির আইনজীবীর জবাব, 'উনি বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।' এরপরেই সুকান্ত মজুমদারের আবেদনের বিরোধিতা করে সরকারি আইনজীবী। তিনি জানান, ওটা নবান্ন অভিযান ছিল না। পুলিসকে মারা হলো। সরকারি গাড়ি জ্বালানো হলো। রাস্তা বন্ধ করে মানুষের অসুবিধা করা হলো।
যদিও অভিষেকের মন্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে বঙ্গ বিজেপি সভাপতির অভিযোগ, 'পুলিসকে দিয়ে বিজেপি কর্মীদের মারধর করানো হয়েছে। পুলিসি এই অত্যাচারের মাস্টারমাইন্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।' দু'পক্ষের এই সওয়াল-জবাব শেষে রায়দান স্থগিত রেখেছে ব্যাঙ্কশাল আদালত।
রাজ্য বিজেপির সভাপতির এই পদক্ষেপকে খোঁচা দিয়েছে তৃণমূল। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, 'সায়ন্তন বসুর মন্তব্য কেন্দ্রীয় বাহিনীকে বলব বুক লক্ষ্য করে গুলি করুন, বিজেপির ট্রেনি রাজ্য সভাপতি ভুলে গেলেন? অনুরাগ ঠাকুরের গোলি মারো...ভুলে গেলেন? ভোটের সময় উত্তেজক ছবির সংলাপ মারবো এখানে লাশ পড়বে শ্মশানে ভুলে গেলেন? অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তুল্যমূল্য বিচার করে স্পষ্ট বলেছেন, পুলিস যেভাবে সংযম দেখিয়েছে, আমি হলে এই করতাম। পুলিস মার খেয়েও গুলি চালায়নি। বাম জমানায় শরিক দলকেও গুলি করা হয়েছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তো সংযমকে হাইলাইট করেছে।'
বিধানসভা ভোটের (Assembly vote) আগে রাস্তার আলোকিকরণের জন্য বিদ্যুতের খুটি বসানোর জন্য সিমেন্টের পিলার বসে। কিন্তু আজও সেই কাজ সম্পূর্ণ হয়নি। অন্ধকার নামলেই দুর্গাপুরের (Durgapur) কোকওভেন থানার অন্তর্গত করঙ্গপাড়া সংলগ্ন সঞ্জীব সরণীর মতো ব্যস্ততম রাস্তা আজও অন্ধকারে রয়ে গিয়েছে। আলোর অভাবে বেড়েছে দুর্ঘটনা (accident), বেড়েছে দুষ্কৃতী তাণ্ডব। ফলে অতিষ্ট এলাকাবাসী থেকে পথচারি।
দুর্গাপুর নগর নিগমের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে পড়ে সঞ্জীব সরণী। দুর্গাপুরে বন্ধ সংস্থা জেশপ কারখানা পড়ে এই রাস্তার ওপর এছাড়াও রাস্তার আশেপাশে রয়েছে ছোট মাঝারি বেশ কয়েকটি কারখানা। রয়েছে একটা বড় বসতি। ভগৎ পল্লী করঙ্গপাড়া সহ আশপাশ এলাকার বেশ কয়েক হাজার মানুষ সঞ্জীব সরণীর এই রাস্তা ব্যবহার করেন। দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতাল সহ বেশ কয়েকটি স্কুল থেকে শুরু করে কারখানার শ্রমিকরা এই রাস্তা ব্যবহার করেন। স্বাভাবিকভাবেই এই রাস্তা দুর্গাপুরের অন্যতম ব্যস্ততম রাস্তা। কিন্তু অন্ধকার নামলেই এই রাস্তা মৃত্যুফাঁদ হয়ে পড়ে। রাস্তায় আলো থাকে না, ফলে যেমন বাড়ে দুর্ঘটনার সংখ্যা ঠিক তেমনি দুষ্কৃতীদের উৎপাত শুরু হয়।
দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ হয়ে পড়ে থাকা জেশপ কারখানার ভেতর থেকে দামি গাছ ও ভেতরে থাকা লোহার যন্ত্রাংশ একটু একটু করে চুরি হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ। অর্থাৎ অন্ধকার নামলেই সঞ্জীব সরণীর গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তা কার্যত দুষ্কৃতীদের দখলে চলে যায় বলে অভিযোগ। স্থানীয়দের দীর্ঘদিনের দাবি মেনে গত বিধানসভা নির্বাচনের মাস তিনেক আগে সঞ্জীব সরণীর এই রাস্তার ওপর আলোকিকরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল দুর্গাপুর নগর নিগম। প্রতিশ্রুতিমাফিক রাস্তার একপাশে বিদ্যুতের খুটি বসানোর জন্য সিমেন্টের পিলারও তৈরি হয়েছিল, খোঁড়া হয়েছিল গর্ত। কিন্তু আজও বিদ্যুতের খুটি বসেনি ঐ সিমন্টের পিলারে। ফলে অন্ধকার নামলেই একই যন্ত্রণার মধ্যে দিন কাটছে এলাকার মানুষের। রাতের বেলায় অন্ধকার এই রাস্তা কার্যত মরণফাঁদ পথচারীদের কাছে। ফলে আজও মিথ্যে রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতির কোনও দাম নেই। কিন্তু কেন এই যন্ত্রনা?
এই প্রশ্নের উত্তরে জেলা বিজেপির সহ সভাপতি চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, গত বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের এই খাসতালুকে বিজেপি থাবা বসায়। দুর্গাপুর নগর নিগমের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে গত বিধানসভা নির্বাচনে ১১০ ভোটে লিড পায় বিজেপি। আর বন্ধ কারখানা থেকে যন্ত্রাংশ চুরি আর গাছ চুরির অবাধ কারবারে সায় আছে তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্বের। এর ফলে রাস্তার আলোকিকরণের বিষয়ে আর গা করেনি কেউ, আর এর জেরে মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে।
যদিও বিজেপির এই অভিযোগকে অস্বীকার করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। বিজেপির পায়ের তলাতে মাটি নেই তাই মন মতো যা পারছে বলে দিচ্ছে। তৃণমূল মানুষের স্বার্থে সবসময় কাজ করে। রাস্তায় আলোকিকরণের প্রতিশ্রুতি পূরণ হবে বলে আস্বস্ত করেন তৃণমূল নেতৃত্ব।