
রাতের অন্ধকারে দুষ্কৃতীরা (Criminals) কেটে ফেলছে আম ও লিচু গাছ। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলার জলঙ্গি ব্লকের সাদিখান দেয়ার অঞ্চলের নওদা পাড়া গ্রামের মাঠ পাড়া এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় জলঙ্গি থানার পুলিস। এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে গোটা গ্রামে।
জানা গিয়েছে, লিচু সহ ১২ টি আম গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। এছাড়াও ফলধারী অনেক গাছপালাও কেটে দেওয়া হয়েছে। বাগান মালিক মতিউর রহমান মণ্ডল জানিয়েছেন, কারও সঙ্গে কোনো ঝামেলা নেই। গাড়ি চালিয়ে সংসার চালান তিনি। সকলের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রয়েছে। তবে কে বা কী কারণে এতো বড়ো ক্ষতি করল বুঝে উঠতে পারছিনা। তিনি আরও জানান, এই ঘটনার সঠিক তদন্ত করে দোষীদের শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
ব্যারাকপুরে (Barrackpore) সোনার দোকানে ডাকাতি করতে বাধা দেওয়ায়, দুষ্কৃতীদের (Criminal) হাতে খুন হয় ওই দোকান মালিকের ছেলে। এ ঘটনায় প্রায় দেড়দিন পর পুলিসের (Police) হাতে আটক ৩ অভিযুক্ত। তাঁদের মধ্যে ২ জনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিস। যদিও এ ঘটনায় পুলিসকে ফের তোপ দেন ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং।
পুলিস জানিয়েছে, এ ঘটনায় তল্লাশিতে নেমে পুলিস সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ৩ জনকে আটক করেছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর ২ জনকে গ্রেফতার করেছে। পুলিস জানিয়েছে, ওই দুই অভিযুক্তের নাম, সফি খান এবং জামসেদ আনসারি। পুলিস সূত্রে আরও খবর, ধৃতদের থেকে উদ্ধার হয়েছে ঘটনায় ব্যবহৃত একটি মোটরবাইক। এছাড়া সফিকে রহড়া থেকে এবং জামসেদকে বীরভূমের মূরারই থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে তদন্তকারীরা অফিসাররা।
ওদিকে ব্যারাকপুরে সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনার প্রতিবাদে আগামীকাল অর্থাৎ শনিবার ব্যারাকপুর ও পলতা স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা ২৪ ঘণ্টা দোকান বন্ধ রাখা এবং একটি প্রতিবাদ মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার সাংসদ অর্জুন সিং দাবি করেন, যেখানে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নেই, সেখানে নিজের ভি,ভি আইপি নিরাপত্তা নিয়ে লজ্জিত তিনি। শুক্রবার সকালে তিনি আরও বলেন, 'আমার নিরাপত্তা নিয়ে চলতে লজ্জা হয়। ব্যারাকপুরের সাংসদ হয়ে সাধারণ মানুষকে নিরাপত্তা দিতে পারছি না, আমি নিজে নিরাপত্তা নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছি! অপরাধীরা নিরাপত্তা পাচ্ছে। আর সাধারণ মানুষ গুলি খেয়ে মরছেন! জলজ্যান্ত একটি নিরীহ ছেলেকে মেরে দিলো!'
ফের শহরের বুকে অস্ত্র সহ গ্রেফতার এক কুখ্যাত দুষ্কৃতী (Criminal)৷ বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে বারুইপুরের (Baruipur) মল্লিকপুর এলাকায়৷ বেশ কিছুদিন ধরে অস্ত্র (Firing Arms) নিয়ে দাপাদাপি করার অভিযোগ ওঠছিল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। পুলিস জানিয়েছে, ধৃতের নাম মহম্মদ শাহাজাদা ওরফে শেখ সমীর৷ তাকে জেরা বেশ কিছু তথ্য পাওয়া গিয়েছে৷ এছাড়াও তার কাছ থেকে একটি পিস্তল ও দু রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করেছে পুলিস৷ এছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে আগেও বেশ কিছু ক্রিমিনাল রেকর্ড রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিস৷ তবে অভিযুক্ত কি কারণে প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে ঘোরাঘুরি করছিল তা খতিয়ে দেখছে পুলিস৷ পুলিস আরও জানায়, ধৃতের বিরুদ্ধে একাধিক থানায় একাধিক অভিযোগ রয়েছে৷ কোথা থেকে তিনি এই অস্ত্র পেয়েছিল তা খতিয়ে দেখছে পুলিস৷
বারুইপুর পুলিস জেলার অতিরিক্ত পুলিস সুপার জানায়, ধৃতের বিরুদ্ধে আর্মস অ্যাক্ট মামলা রুজু করা হয়েছে৷ ধৃতকে শুক্রবার বারুইপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়েছে৷ অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিস হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করেছে৷
ফের একবার আগ্নেয়াস্ত্র (firearms) উদ্ধার হল শিলিগুড়িতে (Siliguri)। ঘটনায় ইতিমধ্যে দু'জনকে গ্রেফতার (arrest) করেছে পুলিস। পুলিস (police) সূত্রে খবর, ধৃতরা রাজকুমার সাহানী এবং জলন্ধর সাহানী। দুজনেই শিলিগুড়ির বাসিন্দা। মঙ্গলবার ধৃতদের জলপাইগুড়ি আদালতে পেশ করা হবে। তবে সঠিক কী কারণে ধৃতরা আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ঘোরাফেরা করছিল তা অবশ্য এখনও জানা যায়নি। সেক্ষেত্রে পুলিস তদন্ত শুরু করেছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে কোথা থেকে ওই আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে আসা হয়েছিল এবং কী উদ্দেশ্য ছিল।
প্রসঙ্গত, গোপন সূত্রের খবরের ভিত্তিতে সোমবার রাতে শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিসের এসওজি এবং এনজেপি থানার পুলিস যৌথভাবে অভিযান চালায়। অভিযান চালানো হয় এনজেপি থানা এলাকার অধীন ক্যানাল রোড এলাকায়। অভিযান চালিয়ে দুই যুবককে গ্রেফতার করে পুলিস। তাদের হেফাজত থেকে বাজেয়াপ্ত হয় ৭.৬৫ এমএম ইম্প্রোভাইজড পিস্তল সহ তিনটি তাজা কার্তুজ। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিস।
অস্ত্র-সহ (Firearms) গ্রেফতার এক দুষ্কৃতী (Criminal)। বারুইপুর থানা (Baruipur) এলাকার কাটাখাল থেকে গ্রেফতার ইস্তেহার হোসেন ওরফে খরগোশ। গোপন সুত্রে খবর পেয়ে রবিবার গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে বমাল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিস। তার থেকে উদ্ধার হয়েছে তিনটি ওয়ান শাটার ও ১ রাউন্ড গুলি। কী কারণে এই অস্ত্র মজুত তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে, জানিয়েছে পুলিস। অভিযুক্তকে বারুইপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায় পুলিস।
এদিকে, পঞ্চায়েত ভোটের বোমাবাজি এবং অস্ত্র উদ্ধারে আতঙ্কের পরিবেশ জনমানসে। ইতিমধ্যে বাংলার একাধিক জেলায় বোমা ফেটে শিশুর মৃত্যুর পাশাপাশি জখমের ঘটনা ঘটেছে। একইভাবে প্রচুর তাজা বোমা এবং অস্ত্র উদ্ধারে বিরোধী আক্রমণের মুখে শাসক শিবির।
পঞ্চায়েত ভোটকে রক্তাক্ত করতে এখন থেকেই বোমা-বন্দুক-অস্ত্র মজুত করছে শাসক দল। এই অভিযোগে সরব বিরোধী শিবির। যদিও তৃণমূল সূত্রে খবর, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ পঞ্চায়েত ভোট করতে ইতিমধ্যেই জেলা এবং ব্লক স্তরে বার্তা পাঠানো হয়েছে।
আমি হলে মাথায় গুলি করতাম। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) এই মন্তব্য ঘিরে রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল ছিল তুঙ্গে। বিজেপি অভিযোগ করেছিল ট্রিগার হ্যাপি পুলিস বানাতে চাইছে তৃণমূল (TMC)। এবার এই মন্তব্যের বিরোধিতায় তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে এফআইআর করতে চেয়ে ব্যাঙ্কশাল আদালতের দ্বারস্থ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder)। তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি ধারায় মামলা বিজেপির (BJP) বঙ্গ সভাপতির। জোড়াসাঁকো থানা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে এফআইআর নিচ্ছে না। এই অভিযোগ জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ সুকান্ত। ১৫৬(৩) সিআরপিসি ধারায় আবেদন সুকান্ত মজুমদারের।
বিজেপি সভাপতির আইনজীবী জানান, এই ধারায় আবেদনকারীর ভূমিকা প্রধান। যখন কোনও থানা অভিযোগ নেয় না, তখন এই ধারায় আদালতের কাছে আবেদন করতে পারেন কোনও ব্যক্তি। তাঁর মন্তব্য, 'নবান্ন অভিযানের আয়োজন হয়েছিল রাজ্য সরকারের দুর্নীতির বিরোধিতায়। সেই অভিযানে পুলিসি পরিস্থিতি সামলানোর নাম করে যা ইচ্ছে করেছে। লাঠিচার্জ, টিয়ার গ্যাস-সহ পুলিসি অত্যাচারের শিকার বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। বিজেপি কর্মীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে। এখনো অনেকে অসুস্থ।'
সুকান্ত আইনজীবীর দাবি, 'অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন গুলি করে মারতাম। এটা ফৌজদারি মামলা। পুলিস ব্যবস্থা না নিলে, মানুষ কোথায় যাবে? তাই এফআইআর করার অনুমতি পেতে এই মামলা।' বিচারকের প্রশ্ন, 'আবেদন পত্রে যা দেখছি এটা নবান্ন অভিযান সংক্রান্ত তাই তো? ইনি কে? (সুকান্ত মজুমদার এর দিকে তাকিয়ে)?'
বিজেপির বঙ্গ সভাপতির আইনজীবীর জবাব, 'উনি বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।' এরপরেই সুকান্ত মজুমদারের আবেদনের বিরোধিতা করে সরকারি আইনজীবী। তিনি জানান, ওটা নবান্ন অভিযান ছিল না। পুলিসকে মারা হলো। সরকারি গাড়ি জ্বালানো হলো। রাস্তা বন্ধ করে মানুষের অসুবিধা করা হলো।
যদিও অভিষেকের মন্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে বঙ্গ বিজেপি সভাপতির অভিযোগ, 'পুলিসকে দিয়ে বিজেপি কর্মীদের মারধর করানো হয়েছে। পুলিসি এই অত্যাচারের মাস্টারমাইন্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।' দু'পক্ষের এই সওয়াল-জবাব শেষে রায়দান স্থগিত রেখেছে ব্যাঙ্কশাল আদালত।
রাজ্য বিজেপির সভাপতির এই পদক্ষেপকে খোঁচা দিয়েছে তৃণমূল। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, 'সায়ন্তন বসুর মন্তব্য কেন্দ্রীয় বাহিনীকে বলব বুক লক্ষ্য করে গুলি করুন, বিজেপির ট্রেনি রাজ্য সভাপতি ভুলে গেলেন? অনুরাগ ঠাকুরের গোলি মারো...ভুলে গেলেন? ভোটের সময় উত্তেজক ছবির সংলাপ মারবো এখানে লাশ পড়বে শ্মশানে ভুলে গেলেন? অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তুল্যমূল্য বিচার করে স্পষ্ট বলেছেন, পুলিস যেভাবে সংযম দেখিয়েছে, আমি হলে এই করতাম। পুলিস মার খেয়েও গুলি চালায়নি। বাম জমানায় শরিক দলকেও গুলি করা হয়েছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তো সংযমকে হাইলাইট করেছে।'
বিধানসভা ভোটের (Assembly vote) আগে রাস্তার আলোকিকরণের জন্য বিদ্যুতের খুটি বসানোর জন্য সিমেন্টের পিলার বসে। কিন্তু আজও সেই কাজ সম্পূর্ণ হয়নি। অন্ধকার নামলেই দুর্গাপুরের (Durgapur) কোকওভেন থানার অন্তর্গত করঙ্গপাড়া সংলগ্ন সঞ্জীব সরণীর মতো ব্যস্ততম রাস্তা আজও অন্ধকারে রয়ে গিয়েছে। আলোর অভাবে বেড়েছে দুর্ঘটনা (accident), বেড়েছে দুষ্কৃতী তাণ্ডব। ফলে অতিষ্ট এলাকাবাসী থেকে পথচারি।
দুর্গাপুর নগর নিগমের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে পড়ে সঞ্জীব সরণী। দুর্গাপুরে বন্ধ সংস্থা জেশপ কারখানা পড়ে এই রাস্তার ওপর এছাড়াও রাস্তার আশেপাশে রয়েছে ছোট মাঝারি বেশ কয়েকটি কারখানা। রয়েছে একটা বড় বসতি। ভগৎ পল্লী করঙ্গপাড়া সহ আশপাশ এলাকার বেশ কয়েক হাজার মানুষ সঞ্জীব সরণীর এই রাস্তা ব্যবহার করেন। দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতাল সহ বেশ কয়েকটি স্কুল থেকে শুরু করে কারখানার শ্রমিকরা এই রাস্তা ব্যবহার করেন। স্বাভাবিকভাবেই এই রাস্তা দুর্গাপুরের অন্যতম ব্যস্ততম রাস্তা। কিন্তু অন্ধকার নামলেই এই রাস্তা মৃত্যুফাঁদ হয়ে পড়ে। রাস্তায় আলো থাকে না, ফলে যেমন বাড়ে দুর্ঘটনার সংখ্যা ঠিক তেমনি দুষ্কৃতীদের উৎপাত শুরু হয়।
দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ হয়ে পড়ে থাকা জেশপ কারখানার ভেতর থেকে দামি গাছ ও ভেতরে থাকা লোহার যন্ত্রাংশ একটু একটু করে চুরি হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ। অর্থাৎ অন্ধকার নামলেই সঞ্জীব সরণীর গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তা কার্যত দুষ্কৃতীদের দখলে চলে যায় বলে অভিযোগ। স্থানীয়দের দীর্ঘদিনের দাবি মেনে গত বিধানসভা নির্বাচনের মাস তিনেক আগে সঞ্জীব সরণীর এই রাস্তার ওপর আলোকিকরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল দুর্গাপুর নগর নিগম। প্রতিশ্রুতিমাফিক রাস্তার একপাশে বিদ্যুতের খুটি বসানোর জন্য সিমেন্টের পিলারও তৈরি হয়েছিল, খোঁড়া হয়েছিল গর্ত। কিন্তু আজও বিদ্যুতের খুটি বসেনি ঐ সিমন্টের পিলারে। ফলে অন্ধকার নামলেই একই যন্ত্রণার মধ্যে দিন কাটছে এলাকার মানুষের। রাতের বেলায় অন্ধকার এই রাস্তা কার্যত মরণফাঁদ পথচারীদের কাছে। ফলে আজও মিথ্যে রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতির কোনও দাম নেই। কিন্তু কেন এই যন্ত্রনা?
এই প্রশ্নের উত্তরে জেলা বিজেপির সহ সভাপতি চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, গত বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের এই খাসতালুকে বিজেপি থাবা বসায়। দুর্গাপুর নগর নিগমের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে গত বিধানসভা নির্বাচনে ১১০ ভোটে লিড পায় বিজেপি। আর বন্ধ কারখানা থেকে যন্ত্রাংশ চুরি আর গাছ চুরির অবাধ কারবারে সায় আছে তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্বের। এর ফলে রাস্তার আলোকিকরণের বিষয়ে আর গা করেনি কেউ, আর এর জেরে মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে।
যদিও বিজেপির এই অভিযোগকে অস্বীকার করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। বিজেপির পায়ের তলাতে মাটি নেই তাই মন মতো যা পারছে বলে দিচ্ছে। তৃণমূল মানুষের স্বার্থে সবসময় কাজ করে। রাস্তায় আলোকিকরণের প্রতিশ্রুতি পূরণ হবে বলে আস্বস্ত করেন তৃণমূল নেতৃত্ব।
একেবারে যেন ফিল্মি কায়দা। হাসপাতালের (hospital) ভিতরে চলল গুলি। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে মেডিক্যাল পরীক্ষা করাতে নিয়ে আসা হয় হুগলি সংশোধনাগারের এক বিচারাধীন বন্দিকে। তখনই জরুরি বিভাগের সামনে চলে গুলি (shootout)। এমনই দুঃসাহসিক ঘটনা চুঁচুড়া (chuchura) ইমামবাড়া সদর হাসপাতাল চত্বরে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। একইসঙ্গে সদর হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই।
আহত বিচারাধীন বন্দি টোটন বিশ্বাস। শনিবার বেলায় ইমার্জেন্সি রোগীদের ভিড় ছিল। তখনই হুগলি (Hooghly) সংশোধনাগার থেকে হাসপাতালে মেডিক্যাল পরীক্ষা করতে আনা হয় কুখ্যাত দুষ্কৃতী টোটন বিশ্বাসকে। এদিন একটি প্রিজন ভ্যান এবং একটি টাটা সুমো গাড়ি এসে দাঁড়ায় হাসপাতালের ইমার্জেন্সি গেটের সামনে। টাটা সুমো গাড়িতে ছিল টোটন। এদিন ছিল তার চুঁচুড়া আদালতে (court) হাজিরার দিন। জানা গিয়েছে, আততায়ীরা সংখ্যায় ছিল তিনজন। মুখে মাস্ক পরে আগে থেকেই তারা হাসপাতালের ইমার্জেন্সি গেটের বাইরে বসে ছিল। এরপর পুলিস টোটন বিশ্বাসকে ইমার্জেন্সিতে নিয়ে যায়। মেডিক্যাল করিয়ে বেরনোর সময় ইমার্জেন্সির দরজাতেই তাকে লক্ষ করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। গুলি লাগে টোটন বিশ্বাসের বাঁ দিকের পেটে। ওই অবস্থায় ছুটে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে প্রিজন ভ্যানে উঠে প্রাণ বাঁচানোর চেষ্টা করে সে। ওদিকে আগ্নেয়াস্ত্র ফেলে সেখান থেকে পালায় দুষ্কৃতীরা। গুলির শব্দে কেঁপে ওঠে হাসপাতাল চত্ত্বর। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
রোগী, রোগীর আত্মীয়স্বজনরা যে যেদিকে পারেন, ছুটে পালানোর চেষ্টা করেন। খবর পাওয়া মাত্রই হাসপাতালে আসেন সিপি চন্দননগর কমিশনারেট অমিত পি জাভালগি, ডিসি হেড কোয়ার্টার নিধি রাণী, ডিসি চন্দননগর বিদিত রাজ ভুন্দেশ, এসিপি সদর মৌমিতা দাস ঘোষ, আইসি চুঁচুড়া অনুপম চক্রবর্তী সহ পুলিসের উচ্চ-পদস্থ আধিকারিকেরা।
পুলিস সূত্রে খবর, খুন, রাহাজানি, তোলাবাজি সহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে টোটন বিশ্বাসের নামে। মাদক পাচার সংক্রান্ত অভিযোগে গত বছর তিনেকের বেশি সময় সে রয়েছে জেলে। আর আগেও একবার রবীন্দ্র নগরে ঢুকে তাকে খুনের চেষ্টা চালিয়েছিল কুখ্যাত দুষ্কৃতী বিশাল দাস। বর্তমানে সেও জেলে বন্দি।
থমথমে মহেশতলা চত্বর। গতকাল ঠিক করা হয়, ক্লাবে এবছর মহিলা কমিটি গঠন করা হবে। আর এই সিদ্ধান্ত নিতেই ধুন্ধুমার মহেশতলা (Mahestala) চত্বর। আহত দুপক্ষের বেশ কয়েকজন। ঘটনায় পুলিস (police) তদন্তে নেমেছে।
মহেশতলা থানার (Mahestala police station) অন্তর্গত রায়পুরে যাত্রিক অ্যাথলেটিক ক্লাবে গতকাল সন্ধ্যাবেলায় ক্লাব কমিটি গঠন করা নিয়ে ক্লাবের মহিলা সদস্যদের একটি বৈঠক করা হয়। ক্লাবে মিটিং চলাকালীন সিদ্ধান্ত হয়, মহিলারাই এবছরের কমিটি পরিচালনা করবেন। এরপরই ক্লাব সদস্যদের মধ্যে শুরু হয় বচসা। শুরু হয়ে যায় হাতাহাতিও। ক্লাবের বেশকিছু সদস্যের অভিযোগ, ক্লাবের মধ্যে বচসা চলাকালীন ওই এলাকার বেশ কিছু দুষ্কৃতীরা হাতে বাঁশ ও হকিস্টিক নিয়ে এসে চড়াও হয়। বেশকিছু সদস্যদের মারধর শুরু করে তারা। ক্লাবে থাকা বেশ কিছু চেয়ারও ভাঙচুর করা হয়। ঘটনায় ক্লাব সদস্যদের বেশ কয়েকজন রক্তাক্ত হয়েছেন। আহতরা মহেশতলা থানার গেলে তাঁদেরকে চিকিৎসার জন্য বেহালা বিদ্যাসাগর হাসপাতালে (behala bidhyasagar hospital) পাঠানো হয়। ঘটনাস্থলে মহেশতলা থানার পুলিস।
ফের দিনহাটার (Dinhata) তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA) উদয়ন গুহের (Udayan Guha) নিশানায় পুলিস (Police)। সোমবার সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) একটি পোস্ট করেন উদয়ন গুহ। পোস্ট করে লিখেছেন, ‘দিনহাটার পুলিস? বড় অপরাধীদের ভক্ত। বাইক চালকদের যম। আমার ওপর আক্রমণের এক বছর হতে চলল। আক্রমণকারীদের চার্জশিট হল না।’ রাজ্য পুলিস সম্পর্কে শাসকদলের বিধায়কের এই পোস্ট ঘিরে ইতিমধ্যে আলোড়ন পড়েছে কোচবিহার(Coochbehar) জেলাজুড়ে।
যদিও গোটা বিষয়টি নিয়ে দিনহাটা থানার পুলিস কোনও মন্তব্য করতে চায়নি। ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের ফল বেরনোর পর দিনহাটা শহরে আক্রান্ত হন উদয়ন গুহ। দিনহাটা শহরের পাওয়ার হাউজ সংলগ্ন এলাকায় তাঁর হাত ভেঙে দেওয়া হয়। সেই ঘটনার মূল অভিযুক্ত অজয় রায় এখন বিজেপিতে। বেশ কয়েকজন এখনও দিনহাটা ছাড়া। বাকিরা জামিনে মুক্ত রয়েছে।
তবে সেই ঘটনার পর মূল অভিযুক্তরা গ্রেফতার (Arrest) না হওয়ায় পুলিসকে বার বার আক্রমণ করছেন উদয়ন। এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঘটনার চার্জশিট না দেওয়ায় এদিন ফের পুলিসকে নিশানা করলেন দিনহাটার বিধায়ক।
এপ্রসঙ্গে উদয়ন গুহকে তীব্র আক্রমণ করলেন কোচবিহার জেলা বিজেপির (BJP) সাধারণ সম্পাদক বিরাজ বোস। তিনি বলেন, উদয়ন গুহ হচ্ছেv কম্পার্টমেন্টাল বিধায়ক। তিনি দিনহাটায় একসময় যে ত্রাস করেছেন, তা গোটা বাংলার মানুষ জানেন। তাঁর চেয়ারের প্রতি যে লোভ আছে, এসব বলার পর দিদি তাঁর লোভ একেবারে নষ্ট করে দেবেন।
এই ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়েছে শাসকদল। উঠছে প্রশাসনের দিকে আঙুল।
কলকাতা হাইকোর্টে নজিরবিহীন ঘটনা। আইনজীবী অরিন্দম রায়ের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার নির্দেশ রেজিস্ট্রার জেনারেলকে। পাশাপাশি ওই আইনজীবীর কাজের তদন্ত করতে হবে বলে বার কাউন্সিলকে নির্দেশ বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চের।
হাইকোর্ট সূত্রে জানা গিয়েছে, আইনজীবী অরিন্দম রায় আদালত থেকে জামিন সংক্রান্ত মামলায় জামিন পেতে কৌশলে বিভিন্ন নথি পেশ করেন। একটি মামলাকে সামনে রেখে অন্য একটি মামলায় জামিন পান। বিষয়টি ডিভিশন বেঞ্চের নজরে আসে। বিচারপতি দেবাংশু বসাক মন্তব্য করেন, আইনজীবী আদালতকে বিভ্রান্ত করেছেন। এটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিতে গিয়ে উল্লেখ করেছে, ১) আদালতকে বিভ্রান্ত করার জন্য এর আগে বিচারপতি সৌমেন সেন এই আইনজীবীকে সতর্ক করেছিলেন। ২) একই কারণের জন্য বিচারপতি হরিশচন্দ্র তাঁকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছিলেন।
আদালত নির্দেশিকায় উল্লেখ করেছে, এরপরেও ওই আইনজীবীর সম্বিত ফেরেনি।
আদালতের নির্দেশ: ১) অরিন্দম রায়ের বিরুদ্ধে রেজিস্ট্রার জেনারেল ফৌজদারি আইনে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। ২) বার কাউন্সিলকে নির্দেশ, অরিন্দম রায়ের এই কাজের জন্য তদন্ত করবে এবং উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
রুশ সেনার আগ্রাসন আজ ২১ তম দিনে পৌঁছেছে। একের পর এক ইউক্রেনের শহর ধ্বংস করে চলেছে রাশিয়ান সেনা (Russia-Ukraine War) । এমতাবস্থায় রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে (Russian President Valadimir Putin) 'যুদ্ধপরাধী' বলে ঘোষণা করল আমেরিকার সেনেট। রিপাবলিকান সেনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম বিষয়টি প্রথম বলেন। আর তাঁর এই প্রস্তাবকে সমর্থন করলেন দলের দুই সেনেটর। তারপরই আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে রাশিয়ার সেনাবাহিনীর ভূমিকা নিয়ে তদন্ত চালানো হবে। বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যুদ্ধেও রুশ সেনাদের অপরাধ বিচার করে দেখা হবে বলে জানানো হয়।
এই প্রসঙ্গে ডেমোক্র্যাট সেনেটর চাক স্কামার বলেন, ইউক্রেনের উপর হওয়া রাশিয়ার নৃশংসতার দায়ভার প্রেসিডেন্ট এড়াতে পারবেন না। এবং তা নিশ্চিত করতেই তাঁরা ডেমোক্র্যাট-রিপাবলিকান দল নির্বিশেষে এই সভায় উপস্থিত হয়েছেন।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পোল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট মাতেউস মোরাউইকি, চেক প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্ট পেত্র ফিয়ালা ও স্লোভেনিয়ার প্রেসিডেন্ট জানেজ জানসা ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক করতে কিয়েভ যান। ওয়ারশ থেকে ট্রেনে করে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে জিয়েভ সফরে যান ন্যাটো জোটের তিন সদস্যদেশের প্রধানরা। এই সফর ঝুঁকিপূর্ণ ছিল।
প্রসঙ্গত, রুশ আগ্রাসনের একেবারে শুরু থেকে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি ইউক্রেনকে ন্যাটো সদস্যভুক্ত করার আবেদন জারি করেছিলেন। কিন্তু সদস্যপদ তো দূর, ইউক্রেনকে কেবলমাত্র অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করেই দায় সেরেছে ন্যাটো। এমনটাও অভিযোগ করেছিলেন তিনি। এবার মঙ্গলবার জাতির উদ্দেশে ভাষণে জেলেনস্কি জানিয়ে দিয়েছেন, ইউক্রেন আমেরিকার নেতৃত্বাধীন ন্যাটো গোষ্ঠীর সদস্য হবে না। আর তা দেশবাসীর মেনে নেওয়া উচিত। তাঁর এই বক্তব্যের পরই বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে তাহলে কি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট সমঝোতার পথে এগোচ্ছেন!
ইউক্রেনের দনবাস অঞ্চলে রাশিয়ার সামরিক অভিযান অবশেষে শুরুই হয়ে গেল। ইউরোপের এই সংঘাত বিশ্বকে কোন দিকে নিয়ে যাবে, সেটাই এখন লক্ষ্যণীয়।
ভরসন্ধ্যায় প্রকাশ্য রাস্তায় স্কুটি নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে এক মহিলাকে ইভটিজিং। প্রতিবাদ করায় ওই মহিলা সহ তাঁর দুই মেয়েকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর এবং শ্লীলতাহানির অভিযোগ। হাওড়ার দাসনগর থানা এলাকার নিউ মোল্লাপাড়ার ঘটনা।
ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিস। তবে অভিযুক্তরা সকলেই পলাতক বলে জানা গেছে। অভিযোগ, ২৫ থেকে ৩০ জনের দুষ্কৃতীদল সেখানে ছিল এবং তারা ধারালো অস্ত্র নিয়ে ওই মহিলাদের আক্রমণ করে। ওই মহিলা যখন রাতে স্কুটি নিয়ে আসছিলেন, সেই সময় প্রথমে তাকে ইভটিজিং করা হয় এবং তিনি এর প্রতিবাদ করেন। এরপর ওই মহিলা বাড়ি গিয়ে গোটা ঘটনার কথা জানান। তাঁর মেয়েরা সেখানে এসে ওই দুষ্কৃতীদের প্রতিবাদ জানায়। সেই নিয়ে গণ্ডগোলের সূত্রপাত।
অভিযোগ, ওই দুষ্কৃতীরা দুই নাবালিকা মেয়েকে অন্ধকার রাস্তায় টেনে নিয়ে যায় এবং তাদের সঙ্গে অশ্লীল আচরণ করে। এরপর ওই মহিলা এসে আবার এর প্রতিবাদ জানালে তাঁকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর করা হয়। মহিলা পালিয়ে গিয়ে পাশেই একটি অফিস ঘরে আশ্রয় নেন। জানা গেছে, ওই অফিসের এক কর্মীও দুষ্কৃতীদের মোকাবিলা করতে বেরিয়ে এলে তিনি সহ আরও কয়েকজনকে দুষ্কৃতীরা বেধড়ক মারধর করে।
গোটা ঘটনার কথা দাসনগর থানায় জানানো হয় বলে আক্রান্তদের দাবি। কিন্তু, দাসনগর থানা সূত্রে জানা গেছে, উভয় পক্ষেরই বেশ কয়েকজন আহত হয়। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।
এদিকে জখম মহিলার চিকিৎসা চলছে কলকাতায় একটি সরকারি হাসপাতালে।