বছরের প্রথম দিনে রেল লাইনে ফাটলের জেরে ট্রেন চলাচলে বিঘ্ন। ঘটনাস্থল হাওড়া-ব্য়ান্ডেল মেইন লাইনের শেওড়াফুলি। সোমবার সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ শেওড়াফুলি স্টেশনের কাছেই ছাতুগঞ্জ এলাকায় ৬ নম্বর লাইনে পেট্রোলিং করার সময় ফাটল দেখতে পান রেল কর্মীরা। তারপর থেকে বন্ধ শেওড়াফুলির ৬ নম্বর মেন লাইনে ট্রেন চলাচল।
এরপর ডাউন লাইনে শেওড়াফুলি স্টেশনে বেশ কয়েকটি ট্রেন দাঁড়িয়ে পড়ে। শুধু শেওড়াফুলি নয়, বৈদ্যবাটি, ভদ্রেশ্বর, চন্দননগর সহ একাধিক স্টেশনে হাওড়া গামী বিভিন্ন ট্রেন দাঁড়িয়ে পড়ে। যদিও বর্ধমানগামী আপ লাইন দিয়ে ট্রেন চালু ছিল। পরিস্থিতি সামাল দিতে অতি দ্রুততার সঙ্গে পরিষেবা স্বাভাবিক করার জন্য মেরামতির কাজ শুরু হয়। সকাল আটটা থেকে রেল লাইনে রেলের পাত বদল করার কাজ শুরু হয়। কাজ শেষ হওয়ার প্রায় ঘন্টা চারেক বাদে শেওড়াফুলি থেকে ধীরে ধীরে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করা হয়।
১২ নভেম্বর, দীপাবলির দিন মুক্তি পেয়েছে 'টাইগার ৩'। সলমান খানের বহু প্রতীক্ষিত ছবি টাইগার ৩ দেখার জন্য মুখিয়ে ছিলেন তাঁর অনুরাগীরা। প্রথম দিনেই ৪৪ কোটির ব্যবসা করেছে এই সিনেমা। জানা গিয়েছে, তাঁর ছবি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাওয়ার পরই দর্শকদের উন্মাদনা ছিল তুঙ্গে। কিন্তু তাঁদের এই উচ্ছ্বাস মুহূর্তের মধ্যেই আতঙ্কের পরিবেশে পরিণত হয়। সম্প্রতি এক ভিডিও ভাইরাল হতে শুরু হয়েছে, যেখানে দেখা গিয়েছে, ছবিতে এন্ট্রি নিচ্ছেন ভাইজান, আর সেসময়ই প্রেক্ষাগৃহের মধ্যেই শুরু হয় বাজি ফাটানো। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন দর্শকরা। অনেকে বেড়িয়েও যান প্রেক্ষাগৃহ থেকে। ঘটনাটি মহারাষ্ট্রের নাসিক জেলার মালেগাঁওয়ের একটি সিনেমাহলের। ভিডিও ভাইরাল হতেই কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে প্রশাসন। অভিযোগ দায়ের করা হলে, আটকও করা হয় ২ জনকে।
Salman Khan Fans bursted fire crackers inside the cinema hall in Malegaon which caused stampede like situation.
— Rishi Bagree (@rishibagree) November 13, 2023
pic.twitter.com/LA0uaye96z
বিগত কয়েক বছর ধরেই সলমানের খানের ছবি বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়েছে। কিন্তু টাইগার ৩ নিয়ে আশাবাদী ছিলেন অনুরাগীরা। ফলে এই ছবির মুক্তি নিয়ে উন্মাদনা ছিল তুঙ্গে। কিন্তু অনুরাগীদের এমনই উন্মাদনা যে, প্রাণ সংশয়ের মধ্যে পড়তে হয় অনেককেই। আচমকা হলের মধ্যে তুবড়ি, রকেট জ্বালানোর ফলে সেখানে আগুন লেগে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু তেমনটা না ঘটলেও হলের মধ্যেই হুড়োহুড়ি পড়ে যায় যায়। সেই ভিডিও এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। সংবিধানের ১১২ ধারায় চবনী পুলিস স্টেশনে প্রেক্ষাগৃহ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হওয়ার পাশাপাশি দুই ব্যক্তি আটকও হয়। এবার সেই প্রেক্ষিতেই মুখ খুললেন ‘টাইগার’ সলমান।
এদিন নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে ভাইজান লেখেন, "আমি 'টাইগার ৩' চলাকালীন প্রেক্ষাগৃহের মধ্যে আতসবাজি ফাটানোর কথা শুনলাম। এটি অত্যন্ত বিপজ্জনক। নিজেদের ও অন্যদের জীবন বিপদে না ফেলে বরং সকলে মিলে সিনেমাটা উপভোগ করুন। সাবধানে থাকুন।"
I'm hearing about fireworks inside theaters during Tiger3. This is dangerous. Let's enjoy the film without putting ourselves and others at risk. Stay safe.
— Salman Khan (@BeingSalmanKhan) November 13, 2023
কালীপুজোর রাতে খোদ হাসপাতাল চত্বরের মধ্যেই শব্দবাজি ফাটানোর অভিযোগ। অভিযোগ একদল জুনিয়র ডাক্তারের বিরুদ্ধে। রবিবার রাতের এই ঘটনায় কলকাতার নীলরতন সরকার হাসপাতালের।
অভিযোগ, রাত ১০টার কিছু পরে এই ঘটনা ঘটেছে। যদিও তাদের বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তাঁদের পাল্টা দাবি, হাসপাতালে বাজি নিষিদ্ধ, তা তাঁরা জানতেন না। এমনকী, তাঁরা শব্দ বাজি নয়, ফাটিয়েছেন সবুজ বাজি। এই ব্যাপারে খোঁজ নিচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বিষয়টির তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, হাসপাতালের লেডি ডক্টর্স হস্টেলের সামনে শব্দবাজি ফাটাতে দেখা যায় বেশ কয়েকজনকে। পরে জানা যায়, তাঁরা এই হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তার। ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া গিয়েছে বাজির প্যাকেটও। যদিও এইগুলিকে সবুজ বাজি বলেই পাল্টা দাবি করেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এই ঘটনার পর তাঁরা জানিয়েছেন, হাসপাতালের মধ্যে বাজি ফাটানো যে নিষিদ্ধ, তা তাঁরা জানতেন না। হাসপাতালের মধ্যে কারা বাজি ফাটিয়েছেন, সেই ব্যাপারে খোঁজ নিচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এনআরএসের সুপার ইন্দিরা দের বক্তব্য, এই ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে তাঁরা জানাবেন।
দুর্গাপূজা শেষ হয়ে গেলেও উৎসবের মরশুম এখনও শেষ হয়নি। কিছুদিন পরই শুরু হবে দীপাবলি, ছটপুজো ইত্যাদি। আর এই উৎসবের মরশুমে বাজি ফাটানো হবে না, এমনটা হতেই পারে না। কিন্তু এবারে এই বাজি ফাটানোর ক্ষেত্রেই সময় বেঁধে দিল ছত্তিশগড় সরকার। জানা গিয়েছে, ছত্তিশগড় সরকারের তরফে নির্দেশিকা জারি করে জানানো হয়েছে, সে রাজ্যে দীপাবলিতে মাত্র দু'ঘণ্টার জন্য বাজি ফাটানো যাবে। এর অন্যথা হলেই কড়া পদক্ষেপও নেওয়া হবে বলে সূত্রের খবর।
ছত্তিশগড় সরকারের নির্দেশিকা অনুযায়ী, দিওয়ালি, ছটপুজো থেকে বড়দিন এবং ইংরেজি নববর্ষের দিন বাজি ফাটানোর নির্দিষ্ট সময় স্থির করে দিয়েছে ছত্তিশগড় সরকার। যেমন দিওয়ালিতে রাত ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত বাজি ফাটানো যাবে। ছটপুজোয় সকাল ৬টা থেকে সকাল ৮টা এবং বড়দিন ও ইংরেজি নববর্ষে দুপুর ১১টা ৫৫ মিনিট থেকে রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত বাজি ফাটানো যাবে। বাজি ফাটানোর অনুমতি দিলেও শব্দবাজি ফাটানোর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ছত্তিশগড় সরকার।
ছিল ৯০। এবার থেকে হবে ১২৫। রাজ্যে বাড়তে চলেছে শব্দবাজির মাত্রা। চলতি সপ্তাহে এই নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। ওই নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, এবার থেকে ১২৫ ডেসিবেল পর্যন্ত শব্দবাজি ফাটানো যাবে।
তবে একইসঙ্গে ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, সবুজ বাজি ছাড়া আর কোনও বাজি ফাটানো যাবে না। এবং বাজি ফাটাতে হবে বসতিহীন ফাঁকা জায়গায়। কিন্তু প্রশ্ন হল রাজ্যে সবুজ বাজি তৈরির কারখানা কোথায় ?
সম্প্রতি রাজ্যের একাধিক জায়গায় বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে ঘটনা ঘটেছিল। সেই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল একাধিক মানুষের। শুরু হয় পুলিশের ধরপাকড়। উদ্ধার হয়েছিল লক্ষাধিক কেজি বাজি। পুলিশকে এই ব্যাপারে কড়া নির্দেশ দিয়েছিলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীও।
তারপরেও শব্দবাজির মাত্রা বাড়ানোর ঘটনায় নানা মহল থেকেই প্রশ্ন উঠছে। ইতিমধ্যেই অনেকের অভিযোগ শব্দবাজি ব্যবসায়ীদের খুশি করতেই এই সিদ্ধান্ত। যদিও সরকারের অন্দরের খবর এই নির্দেশিকা দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের নিজস্ব নয়। এই ব্যাপারে রাজ্যের পরিবেশ দফতরের সঙ্গে কথা বলেই এবং আইনি দিক খতিয়ে দেখেই তৈরি করা হয়েছে।
দূষণ নিয়ন্ত্রণ পরিষদের যুক্তি, শব্দবাজির ক্ষেত্রে মাত্রা কত হবে, তা শীর্ষে আদালতের নির্দেশে তা নির্দিষ্ট ভাবে মাপা নেই। এতদিন চিকিৎসক দুলাল বসুর নেতৃত্বে তৈরি কমিটি রাজ্য শব্দবাজির মাপকাঠি ৯০ ডেসিবেলে বেধে রেখেছিল। সাধারণ মানুষের আশঙ্কা, এবার কালীপুজোতে যে চকোলেট বোমা লুকিয়ে বিক্রি করা হত, তা হয়তো এখন থেকে ফের প্রকাশ্যেই বিক্রি করা হবে।
দত্তপুকুরে বাজি বিস্ফোরণ কাণ্ড। অন্যতম অভিযুক্ত রমজান আলিকে গ্রেফতার করল দত্তপুকুর থানার পুলিশ। সোমবার তাঁকে বারাসত আদালতে পেশ করা হয়। বিচারক তাঁকে ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
মাসখানেক আগে দত্তপুকুরের নীলগঞ্জে বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় ৯ জন প্রাণ হারান। ঘটনার দিনই রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ দাবি করেন, বাজি কারবারিদের আশ্রয় দিয়েছিল আইএসএফ নেতা রমজান। বারাসত পুলিশ সুপারও জানান, তাঁর খোঁজ চালানো হচ্ছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কদম্বগাছি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে রমজানকে।
আদালতে রমজান আলির আইনজীবী সাইদুজ্জামান দাবি করেন, বিস্ফোরণের ঘটনার সঙ্গে তাঁর মক্কেলের কোনও সম্পর্ক নেই। মিথ্যা অভিযোগে তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে।
লক্ষ্য কুটির শিল্প বৃদ্ধি। অভুক্ত, দরিদ্র মানুষগুলোর মুখে একমুঠো অন্ন জোগানো। সেই কুটির শিল্প কি? 'বাজি হাব'। এর আগে এগরা, দত্তপুকুরের মতো বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের সাক্ষী থেকেছে বাংলা। তবে এটা বেআইনি নয়, উত্তর ২৪ পরগনার (North24Parganas) বনগাঁ মহকুমা চৌবেড়িয়া (Chowberia) এলাকায় একটি বাজি হাব তৈরির পরিকল্পনা করেছে খোদ প্রশাসন। চৌবেড়িয়া এলাকায় জেলা পরিষদের অধীনে থাকা ৮ একর জমিতে তৈরি হবে বাজি (Fire Crackers) হাব। সুরক্ষিতভাবে তৈরি হবে পরিবেশ বান্ধব সবুজ বাজি। মানুষের আগ্রহের কথা মাথায় রেখেই নাকি এই সিদ্ধান্ত। তবে এলাকার মানুষ ঠিক কী বলছেন, কী চাইছেন.. ঘুরে দেখল সিএন।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, বাজি কারখানা নিয়ে গ্রামবাসীদের সঙ্গে কোনও আলোচনাই হয়নি প্রশাসনের। পঞ্চায়েত অফিসে বসেই তৈরি হয়েছে বাজি হাব তৈরির ম্যাপ। এমনকি প্রশাসনিক কর্তারা এসেও জমি দেখে গিয়েছে। রীতিমতো আতঙ্কে ভুগছেন চৌবেড়িয়া গ্রামের মানুষ। তাঁরা কোনওমতেই চাইছেন না আরেক দত্তপকুর, এগরাকাণ্ড ঘটুক চৌবেড়িয়ার মাটিতে।
যমুনা-পার্বতী নদীর সংযোগস্থল এলাকাতেই বাজি হাব হওয়ার কথা। এলাকার মানুষদের প্রশ্ন, তাহলে বর্জ্য পদার্থ যাবে কোথায়? মৎস্যজীবীদের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন বাসিন্দারা। একইসঙ্গে গ্রামবাসীদের বক্তব্য, প্রয়োজনে জনমত তৈরি করে রোখা হবে বাজি হাব নির্মাণ। যে কোনও পদক্ষেপ নেওয়ার আগে গ্রামে সচেতনামূলক অভিযান প্রয়োজন ছিল বলে মনে করছেন তৃণমূল পরিচালিত বনগাঁ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য।
প্রায় কয়েক মাসের ব্যবধানে রাজ্যের একাধিক বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ। রক্তাক্ত হয়েছে দত্তপুকুর, এগরা, চম্পাহাটি। এই অবস্থায় চৌবেড়িয়ায় সরকারি উদ্যোগে বাজি হাব করা কতটা যথাযথ, প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরাও।
দত্তপুকুরে বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। এই আবহেই আসানসোলের বার্নপুর থেকে বিপুল বাজি উদ্ধার করল পুলিস। এই বিপুল পরিমাণে বাজি মজুতের আদেও অনুমতি ছিল কি না তা খতিয়ে দেখতে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
দত্তপুকুরে বিস্ফোরণের ঘটনায় ইতিমধ্যেই নীলগঞ্জ ফাঁড়ির ওসিকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এছাড়াও একাধিক পদক্ষেপ করা হয়েছে। তার পর থেকেই নড়েচড়ে বসেছে রাজ্য পুলিশ।
জানা গিয়েছে, দত্তপুকুরের ঘটনার পরেই খবর পেয়ে বার্নপুরের রামবাঁধ এলাকায় একটি গুদামে তল্লাশি অভিযান চালায় হীরাপুর থানার পুলিশ। সেখান থেকেই উদ্ধার হয় বিপুল পরিমাণে বাজি। পলাতক ওই গুদামের মালিক।
কে এই কেরামত আলি ? রবিবার দত্তপুকুরে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের পর কারখানার মালিকের খোঁজেই এখন জোর তল্লাশি চলছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ দাবি করেছে, এগরার ঘটনার পর বেআইনি বাজি তৈরির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল কেরামতকে। কিন্তু জামিন হয়ে যায়।
গত মে মাসে পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার ঘটনার পর মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ছ দফা নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল। পাঠানো হয়েছিল রাজ্যের ১৮ জেলায়। নির্দেশিকা তৈরির পাশাপাশি পুলিশকে আরও সতর্ক হতেও নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু রবিবারের দত্তপুকুর ফের তা ভুল প্রমাণ করল।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, আলুবোম তৈরির জন্য বিখ্যাত ছিল নীলগঞ্জের এই বাজি কারখানা। জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর কেরামত তাঁর ব্যবসার বৃদ্ধি করেছিল। প্রথমে একটি বাড়িতে কাজ হত। পরে আরও তিন-চারটি বাড়ি নেওয়া হয়েছিল। তাঁদের দাবি, এমন বিস্ফোরণ আগেও হয়েছে। তবে, তা চুপিসারেই রয়ে গিয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে সিআইডি। প্রাথমিক তদন্তে ঘটনাস্থল থেকে বিস্ফোরক মজুতের প্রমাণও পাওয়া গিয়েছে। ঘটনাস্থলে রয়েছে বম্ব স্কোয়াডও। এখনও ঘটনাস্থলে বিস্ফোরক রয়েছে কীনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এগরার পর এবার দত্তপুকুর (Dattapukur)। তিন মাস পর আবারও বেআইনি বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ (Firecracker Factory blast)। ঘটনাটি ঘটেছে বারাসত লাগোয়া দত্তপুকুর থানার অন্তর্গত নীলগঞ্জ ফাঁড়ির নীলগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মোষপোল পশ্চিমপাড়া অঞ্চলের একটি বাজি কারখানায়। এখনও অবধি ৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। আহত অবস্থায় ৯ জনকে জন বারাসত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁদের মধ্যে মৃত্যু হয় এক জনের। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় দত্তপুকুর থানার পুলিস। পুলিসকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয়রা। প্রশ্ন উঠছে এগরার ঘটনার পরও কেন পদক্ষেপ করল না প্রশাসন?
জানা গিয়েছে, রবিবার সকালে আচমকাই বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। অভিযোগ, একটি দোতলা বাড়িতে মজুত করে রাখা হত বাজি। বিস্ফোরণে প্রায় ধূলিসাৎ হয়ে গিয়েছে বাড়িটি। আশপাশের বহু বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। স্থানীয়দের বিস্ফোরক দাবি, বাজি কারখানার মালিকরা শসকদলের সমর্থক হওয়ায় কেউ ভয়ে কিছু বলতেন না। এই কারখানার পিছনে প্রশাসনের মদত ছিল বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
প্রশাসনের নাকের ডগায় বাজি কারখানা চললেও পুলিস কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলেই অভিযোগ। বিস্ফোরণস্থলে কোথাও ৫০ মিটার, কোথাও ১০০ মিটার দূরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে দেহাংশ। ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, রথীন ঘোষ এবং সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। এছাড়াও রবিবার সন্ধেবেলা উত্তরবঙ্গ থেকে ফিরেই বিস্ফোরণস্থলে পৌঁছে যান রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস।
বাজি কারখানায় (Cracker Factory) ভয়াবহ বিস্ফোরণ (Blast)। এই ঘটনায় আগুনে ঝলসে মৃত্যু হল ৮ জনের। শনিবারের ঘটনাটি তামিলনাড়ুর (Tamilnadu) কৃষ্ণগিরি জেলার। জানা গিয়েছে, মৃতদের মধ্যে ৩ জন মহিলা ছিলেন। কৃষ্ণগিরির পাজায়াপেট্টাইতে ওই বাজি কারখানায় আচমকাই এদিন বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে, কারখানার একাংশ ভেঙে পড়ে। এমনকি বিস্ফোরণের তীব্রতায় কারখানার কাছে থাকা একটি হোটেলও ভেঙে পড়ে। ঘটনায় অনেকেই আহত হয়েছেন। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই দুর্ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। মৃতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণাও করেছেন তিনি।
Deeply saddened by the tragic mishap at a cracker factory in Krishnagiri, Tamil Nadu, resulting in the loss of precious lives. My thoughts and prayers are with the families of the victims during this extremely difficult time. May the injured recover soon. An ex-gratia of Rs. 2…
— PMO India (@PMOIndia) July 29, 2023
সূত্রের খবর, শনিবার ভোরে ওই বিস্ফোরণ ঘটে কৃষ্ণগিরি এলাকার একটি বাজি কারখানায়। মুহূর্তে আগুন ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। আশপাশের বাড়ির বিভিন্ন অংশে আগুন লেগেছে বলে জানা যায়। বিস্ফোরণের তীব্রতায় আশপাশের একাধিক হোটেল এবং বাড়ি ভেঙে পড়ে। সেগুলোর নীচে অনেকেই আটকে পড়েন। তাঁদেরকে ভেতর থেকে কোনওক্রমে বের করেন উদ্ধারকারী বাহিনীর সদস্যরা। আহতদের দ্রুত নিকটবর্তী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। যদিও ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৮ জনের। অন্যদিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন ১২ জন।
কী কারণে এই বিস্ফোরণ ঘটল তা খতিয়ে দেখছে পুলিস। বিস্ফোরণের খবর পাওয়া মাত্র ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিস এবং দমকল। তবে স্থানীয়রা জানিয়েছেন, কারখানায় বিস্ফোরণের পর দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছিল। স্থানীয়রাই প্রথমে মৃতদের উদ্ধারের কাজে হাত লাগান। তারপর আসে পুলিস ও দমকল।
মৃতদের পরিবার পিছু ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ এবং দুর্ঘটনায় আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। এর পাশাপাশি এই বিস্ফোরণে আহত ও নিহতদের পরিবারের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা জানিয়েছেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম.কে স্ট্যালিনও।
ফাটলের জেরে মেট্রো বিভ্রাট কলকাতায় (Kolkata)। সূত্রের খবর, কলকাতায় ময়দান মেট্রো (Metro) স্টেশনের ডাউন লাইনে ফাটল (Cracked) দেখা গিয়েছে। যা নজরে আসতেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এমজি রোড থেকে টালিগঞ্জ অবধি মেট্রো চলাচল। সূত্রের খবর, রবিবার বিকেল ৪টে থেকেই বন্ধ ওই স্টেশনের মেট্রো চলাচল। মেট্রোরেল সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই ময়দানে ডাউন লাইনে মেরামতের কাজ শুরু হয়েছে। রবিবার মেট্রোর একাংশ বন্ধ থাকায় সমস্যায় পড়েছেন যাত্রীরা।
মেট্রো লাইনে রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলার জন্য সম্প্রতি বেশ কয়েকটি শনিবার এবং রবিবার আংশিক ভাবে মেট্রো পরিষেবা বন্ধ রাখা হত। কিছু সময়ের জন্য দুর্ভোগে পড়তেন যাত্রীরা। শুক্রবার মেট্রো রেলের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়, রক্ষণাবেক্ষণের কাজ প্রায় শেষের পথে। এর মধ্যেই এ বার মেট্রোর লাইনে ফাটল দেখা গেল।
গত বেশ কয়েক দিন ধরেই নির্ধারিত সময়ে মেট্রো পরিষেবা পাওয়া যাচ্ছে না বলে ক্ষোভপ্রকাশ করেছিলেন যাত্রীদের একাংশ। দেরিতে মেট্রো চলার অভিযোগ জানিয়েছেন অনেক যাত্রীই। পাশাপাশি গত কয়েক দিনে শনি এবং রবিবা কয়েক ঘণ্টার জন্য মহানায়ক উত্তমকুমার স্টেশন থেকে কবি সুভাষ পর্যন্ত মেট্রো পরিষেবা বন্ধ ছিল। তার জেরে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা।
মনি ভট্টাচার্য: 'একটা দুটো পয়সা পেলে বিকিয়ে দেব দেশও।' কবি শঙ্খ ঘোষের লাইনটা এই বেআইনি বাজি (FireCracks) কারখানায় (Fireworkshop) অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যুর সময়ে বড্ড প্রাসঙ্গিক। কারণ কেবল পুলিস (Police) ও প্রশাসনের (Administration) মদতে গোটা রাজ্যে রমরমিয়ে চলছে বেআইনি বাজির ব্যবসা ও কারখানা। শুধু তাই নয় শুনলে আঁতকে উঠবেন পশ্চিমবঙ্গে আইনি বাজি কারখানা নেই বললেই চলে। চারিদিকে যত বাজি কারখানা আছে তাঁর সিংহভাগই বেআইনি। সিএন ডিজিটালকে সংশ্লিষ্ট দফতরের মন্ত্রীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী রাজ্যে মোট বৈধ বাজি কারখানা মাত্র ৭টি। কিন্তু সূত্রের খবর, রাজ্যে প্রকৃত বাজি কারখানার সংখ্যা আরও অনেক গুণ বেশি। কিন্তু তা সবই অবৈধ। পূর্বেও এই বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে। এবার সেটা সীমা ছাড়িয়েছে। এরপরেও কীভাবে! কাদের মদতে বেআইনি বাজি ব্যবসা রমরমিয়ে চলছে সে প্রশ্নই উঠছে?
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, বাজি একপ্রকার নিষিদ্ধ। সব বাজি নিষিদ্ধ না হলেও পশ্চিমবঙ্গে যে ধরণের বাজি তৈরী হয় তা সবই প্রায় বেনিয়মে তৈরী ও নিষিদ্ধ। তবে আইনি বাজি কি নেই? ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুনালের নিয়ম অনুযায়ী, সবুজ বাজি অর্থাৎ পরিবেশবান্ধব বাজি কেবলমাত্র আইনি বাজি। কিন্তু কি এই সবুজ বাজি! সিএসআইআর এর অনুমোদিত এই বাজি কোনওভাবেই বেরিয়াম নাইট্রেট নামক বিষাক্ত যৌগ দিয়ে তৈরী হবে না। পাশাপাশি কার্বন ব্যবহার করতে হবে আর্সেনিক ও অন্যান্য যৌগের বদলে। ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুনালের নিয়ম অনুযায়ী, এই বাজির আওয়াজ ৯০ থেকে ১০০ থেকে ডেসিবেলের মধ্যে হতে হবে। যেখানে সাধারণ বাজির আওয়াজ ১৭০ থেকে ২০০ ডেসিবেল হয়। ন্যাশনাল পলিউশন কন্ট্রোল বোর্ডের থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, গোটা দেশে সফল, শ্বাস ও স্টার এই তিন প্রজাতির সবুজ বাজি হয়। ওই সূত্র অনুযায়ী, আমাদের রাজ্যে যত বাজি বিক্রি হয় সবই প্রায় বেআইনি উপায়ে তৈরী।
বৈধ বাজি বা অবৈধ বাজি এগুলো হয়ত অনেকেই জানেন, কিন্তু অবৈধ বাজি কারখানা কোনটা? আর বৈধ বাজি কারখানাই বা কোনটা? এগরার পর বজবজ, পরের দিনই মালদহে। পরপর এই বাজি কারখানা বিস্ফোরণে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১৬ জনের। এগরা বিস্ফোরণের পরেই খোঁজ নিয়ে জানা গিয়েছে, ওই এগরার বাজি কারখানার মালিক ভানু বাগ, বাজির দোকানের ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে বাজি কারখানা চালাচ্ছিলেন। প্রশ্ন উঠছে কীভাবে এত বড় একটা অপরাধ দীর্ঘদিন ধরে চলছে, আর পুলিসের কাছে খবর নেই? এগরার বিস্ফোরণের দিন, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পুলিস সুপার অমরনাথ কে জানিয়েছেন, ভানুর কারখানা অবৈধ। এ বিষয়ে সিএন-ডিজিটালের তরফে পুলিস সুপারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। জানতে চাওয়া হয় ওই জেলায় ক'টি বৈধ বাজি কারখানা আছে? এ বিষয়ে কিন্তু কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি পুলিস সুপার অমরনাথ কে। যদিও তদন্তে নেমে এগরা থেকেই প্রায় ৫০ কেজি বাজি ও মশলা উদ্ধার করেছে পুলিস।
এখানেই শেষ নয়, ন্যাশনাল পলিউশন কন্ট্রোল বোর্ড বলছে, সবুজ বাজি তৈরির সমস্ত নিয়ম মেনে, এনফোর্সমেন্ট, পিইএসও, সিএসআইআর, দমকল সহ রাজ্যের সমস্ত নিয়ম মেনে বাজি কারখানা তৈরী করলে ওই কারখানার লাইসেন্স পাওয়া যায়। সেক্ষেত্রে বেশ কিছু নিয়ম মানতে হবে ওই কারখানাকে। ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুনালের নিয়ম অনুযায়ী, সবুজ বাজি তৈরী ব্যবসা হলেও, সেটি ছোট ব্যবসা অর্থাৎ ছোট কোনও কটেজে বা ছোট ঘিঞ্জি জায়গায় এই কারখানা করা যাবে না। বাজির কারখানা হতে হবে খোলা মেলা জায়গায়। এছাড়া বিস্ফোরক মজুতের ক্ষেত্রে পলিউশন কন্ট্রোল বোর্ডের নিয়ম, কোনও কারখানায় বা দোকানে কোনও ভাবেই ১৫ কেজির বেশি বিস্ফোরক বা বাজির মশলা মজুত করা যাবে না। দাহ্য যৌগগুলির মধ্যে পটাশিয়াম নাইট্রেট, সালফার ও চারকোল রয়েছে যা বিভিন্ন মিশ্রণে বিস্ফোরক হিসেবে কাজ করে। এখন প্রশ্ন উঠছে এই নিয়ম মেনে সবুজ বাজি তৈরির কারখানা এ রাজ্যে ক'টি আছে?
এ উত্তর জানতে সিএন-ডিজিটালের তরফে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ পলিউশন কন্ট্রোল বোর্ডের চেয়ারম্যান কল্যাণ রুদ্রের সঙ্গে। তিনি উত্তর দেন নি। যোগযোগ করা হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ পলিউশন কন্ট্রোল বোর্ডের মেম্বার সেক্রেটারি রাজেশ কুমারের সঙ্গে, তিনি এর দায় ঠেলেছেন চেয়ারম্যানের দিকে। বুধবার সংশ্লিষ্ট দফতর অর্থাৎ জলসম্পদ অনুসন্ধান ও উন্নয়ন মন্ত্রী মানস রঞ্জন ভুঁইয়ার সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়। তিনি বলেন,"ঠিক এই মুহূর্তে রাজ্যে ৭টি বৈধ বাজি কারখানা রয়েছে। যেখানে ২০ টি কারখানা সরকারের কাছে অনুমোদন চেয়েছিল।" তিনি আরও জানান, 'যে কারখানাগুলি বিস্ফোরক মজুতের অনুমতি পেয়েছে সেই কারখানাগুলিকেই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বাকি কারখানাগুলির অনুমোদন নিয়ে তদন্ত চলছে।'
এগরা, বজবজ, মালদহে রাজ্যের তিন জায়গায় বাজি বিস্ফোরণের পর নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। এখনও অবধি উদ্ধার করা হয়েছে দেড় লক্ষ কেজি বাজি ও বাজির মশলা। এখন প্রশ্ন, রাজ্যে এত অবৈধ বাজির কারখানা রমরমা, সে খবর কেন পুলিসের কাছে নেই? কেন আগে সতর্ক হল না পুলিস? কেন সামান্য নিয়ম ভেঙে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক মজুত করছে কারখানা গুলি? এ অনিয়ম-বেআইনি কারখানায় বিস্ফোরণে ১৬ টি তরতাজা প্রাণের মৃত্যুর দায় কার?
গোটা ঘটনায় অবশ্য বেজায় চটেছেন রাজ্য পুলিসের ডিজি। মঙ্গলবার জেলার পুলিস সুপারদের নিয়ে বৈঠকে সুপারদের ধমক দেন এবং জানতে চান জেলায় কোথায় কোথায় বাজি কারখানা আছে, সেখবর কেন পুলিসের কাছে থাকছে না? আসলে পুলিস সবই জানে। এমনটা নিজস্ব বক্তব্য নয়, এমন দাবি করেছে এগরার স্থানীয়রা। স্থানীয়দের অভিযোগ ছিল, পুলিস প্রতিমাসে টাকা পেত ভানুর থেকে। টাকা পৌঁছে যেত স্থানীয় নেতৃত্বের কাছেও। তাহলে কী দাঁড়াল! পুলিস এবং প্রশাসনের মদত ছাড়া দীর্ঘদিন ধরে এত বড় অপরাধ করা কোনওভাবেই সম্ভব নয়। এ কথা মানছেন রাজনৈতিক ও পুলিস মহলও। এবার শঙ্খ ঘোষের কবিতার লাইনের সঙ্গে কিছু মিল কি খুঁজে পাচ্ছেন?
এগরা, বজবজের পর মালদহ (Maldah)। এবার মালদহের বাজির গুদামে বিস্ফোরণের (Firecrackers blast) জেরে আগুন (Fire) ধরে যায়। অগ্নিদগ্ধ হয়ে ২ শ্রমিকের মৃত্যু (Death) হয়েছে। সূত্রের খবর, এ ঘটনায় এখনও অবধি ২ জন গুরুতর আহত অবস্থায় মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনাস্থলে দমকলের আটটি ইঞ্জিনের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
সূত্রের খবর, মালদহের ইংরেজবাজার পুরসভার নেতাজি পুরবাজার এলাকায় মঙ্গলবার সকাল ৬টা ৪৫ মিনিট নাগাদ বিস্ফোরণ হয়। এই বিস্ফোরণের পর ওই গুদামে আগুন লেগে যায়। এখন দমকলের ইঞ্জিন ওই আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে বলে খবর।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই বাজির গুদাম ঘিরে একাধিক বাজির দোকানও ছিল। মঙ্গলবার সকালে গুদামের সামনে গাড়ি থেকে কার্বাইড নামানো হচ্ছিল। সেই কার্বাইড অসাবধানতায় নীচে পড়ে যায়। তার পরেই হয় বিস্ফোরণ।
বিস্ফোরণের ফলে গুদামে আগুন ধরে যায়। দাহ্য পদার্থ মজুত থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে চারপাশে। ঘটনাস্থলে বাজির এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। তিন জন শ্রমিককে আশঙ্কাজনক অবস্থায় নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। হাসপাতালেই মৃত্যু হয় আরও ১ শ্রমিকের।
ফের অবৈধ বাজি কারখানায় (Cracker Factory) আগুন (Fire) লেগে মৃত্যু (Death) হল এক ব্যক্তির। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার দুপুরে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরা ১ নং ব্লকের আর বি সি গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত পুরন্দা গ্রামে। প্রথমে আহত ২ জনকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে হাসপাতালে (Hospital)।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বহুদিন ধরে ওই এলাকায় একটি অবৈধ বাজি খারাখানা চালাচ্ছিলেন দুর্গাপদ জানা ও তাঁর বাবা নারায়ণ চন্দ্র জানা। ঘটনার সময় নারায়ণচন্দ্র জানা আতশবাজি তৈরি করছিলেন। হঠাৎই অসাবধানতাবশত আগুন লেগে যায়। ছেলে দুর্গাপদ জানা ও স্ত্রী গৌরী জানার গায়ে আগুন লেগে যায়।
এলাকাবাসী দেখতে পেয়ে দমকলে ফোন করলে ২ টি দমকল ইঞ্জিন এসে আগুন নেভায়। গুরুতর আহত অবস্থায় দুর্গাপদ ও গৌরীকে এগরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা দুর্গাপদকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। গৌরী এখনও গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন। এই ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে।