ইডির তলবে সাড়া দিলেন অভিনেতা তথা তৃণমূল সাংসদ দেব। গরু পাচার মামলায় আজ, বুধবার দেবকে তলব করেছিল ইডি। এই নিয়ে তৃতীয় বারের জন্য হাজিরা দিলেন দেব। দিল্লির ইডি দফতর অর্থাৎ প্রবর্তন ভবনে সকাল ১১টায় প্রবেশ করেন তিনি।
এর আগে যতবার তাঁকে তলব করা হয়েছে তিনি তদন্তে সহযোগীতা করেছেন। দেব নিজেও জানিয়েছেন, তাঁকে যতবার ডাকা হবে ততবারই তিনি হাজির হবেন। এর আগে ২০২২-এর ১৫ ফেব্রুয়ারি, গরুপাচার মামলায় দেবকে নিজাম প্যালেসে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। কয়েক মাসের ব্যবধানে ২২ জুন এই মামলাতেই দেবকে দিল্লিতে জিজ্ঞাসাবাদ করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এর প্রায় দেড় বছর পর ফের দেবকে তলব করল তারা।
দেব আগেই জানিয়েছিলেন, তিনি কোনও অন্যায় করেননি। তাঁর কোনও ভয় নেই। তদন্তের স্বার্থে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা যতবার তাঁকে ডাকবে ততবার তিনি যাবেন।
সীমান্তে দুটি গরু সহ এক ব্যক্তিকে (Cow Smuggling) গ্রেফতার (Arrest) করে এসএসবি (SSB)। ঘটনাটি ঘটেছে ভারত-নেপাল সীমান্তের বড় মনিরাম জোত এলাকায়। ধৃত ওই ব্যাক্তিকে নকশালবাড়ি থানার পুলিসের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার ধৃতকে শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়েছে। পুলিস সূত্রে খবর, ধৃত ওই ব্যক্তির নাম মহম্মদ ইসলাম (৬০)। অভিযুক্ত ছোট মনিরাম জোতের বাসিন্দা।
সূত্রের খবর, নকশালবাড়ির ভারত-নেপাল সীমান্তে বড় মনিরাম জোতে টহলদারি চালানোর সময় এক ব্যক্তিকে অবৈধভাবে ভারতে ঢুকতে দেখা যায়। ঠিক তখনই সন্দেহ হয় এসএসবি আধিকারিকদের। সন্দেহের জেরে তাঁরা অভিযুক্তর কাছে যায়। তারপরেই অভিযুক্তর থেকে ওই দুটি গরু উদ্ধার করা হয়। এসএসবি-র অনুমান, অভিযুক্ত ওই গরু দুটিকে পাচারের জন্য নিয়ে যাচ্ছিল।
গরুপাচার (Cow Smuggling) মামলার তদন্তে এবার আরও কঠোর পথে হাটল ইডি (ED)। সূত্রের খবর, অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি। ইডির দাবি, গত ৭-৮ বছরে নামে-বেনামে বিপুল টাকার সম্পত্তি করেছেন অনুব্রত মণ্ডল। কোনওটা প্রয়াত স্ত্রী ছবি মণ্ডলের নামে। আবার কোনওটা মেয়ে সুকন্যার নামে। বুধবার ইডি অনুব্রত,তাঁর স্ত্রী ও মেয়ের নামে থাকা সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে। ইডি সূত্রে খবর, অনুব্রতের ১১ কোটি টাকার স্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
এর আগে অনুব্রত মণ্ডলের ২৫টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হয়েছে। এর মধ্যে কিছু অ্যাকাউন্ট তাঁর মেয়ের নামেও ছিল। সেই অ্যাকাউন্ট এখন ইডির দখলে। জানা গিয়েছে, তাঁর হিসেবরক্ষক মনীশ কোঠারির ২৫ লক্ষ টাকাও বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। এর আগে সিবিআইও অনুব্রতের সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে। এবার সেই পথে হাঁটল ইডি।
এদিন ইডির বাজেয়াপ্ত তালিকায় আছে বিপুল পরিমাণ জমি। শিব-শম্ভু ও ভোলে ব্যোম রাইস মিল-সহ আরও অনেক সম্পত্তি। অনুব্রতের অস্থাবর সম্পত্তির দিকেও নজর ইডির।
গরু পাচার (Cow Smuggling) মামলায় ওমর শেখকে (Omar Shiekh) তলব ইডির (ED)। ইডির চার্জশিটে আগেই নাম ছিল এই ওমর শেখের। বোলপুর পুরসভার উপ-পুরপ্রধান ওমর শেখ অনুব্রতের ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। গরু পাচার মামলায় পূর্বেই অনুব্রত মণ্ডল, তাঁর কন্যা সুকন্যা মণ্ডল ও হিসাব রক্ষক মনীশ কোঠারীকে গ্রেফতার করেছে ইডি। বর্তমানে তাঁরা তিহার জেলে বন্দী।
এবার গরু পাচার মামলায় আরও এক অনুব্রত ঘনিষ্ঠকে তলবা করলো ইডি। একদিকে যখন অনুব্রতর গড় বীরভূমের অনুব্রত নেই, সে সময় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, ভাঙ্গন ইত্যাদি দলের চিন্তার কারণ বটে। সেই ভাঙ্গন, গোষ্ঠীকোন্দল রুখতে দলের তরফে মলয় ঘটক, পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক ও ফিরহাদ হাকিমকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তাঁরা নিজেরাও অবশ্য কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের নজরে আছেন। বেশ কিছুদিন আগে গরু পাচার মামলাতেই বারবার দিল্লি থেকে ডাক আসছিল সিউড়ির আইসি মোহাম্মদ আলির, তাঁর সম্পত্তি, ও বিভিন্ন নথি পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখতে চেয়ে তাঁকে বারবার তলব করা হয়। এবার গরু পাচারের বিভিন্ন তথ্য জানার জন্য অনুব্রত ঘনিষ্ঠ বোলপুর পুরসভার উপ-পুরপ্রধানকে তলব করা হয়েছে।
কয়লা পাচার (Cow Smuggling) মামলায় এবার বিপাকে কেন্দ্রীয় সংস্থা। কয়লা পাচার কাণ্ডের তদন্তে নেমে আগেই বিএসএফ (BSF) কমান্ড্যান্ট সতীশ কুমারকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই (CBI)। তখনই নাম উঠে এসেছিল আরও কিছু বিএসএফ আধিকারিকের নাম উঠে এসেছিল। এবার সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার আরও দুই কর্তা।
সিবিআই সূত্রের খবর, এই প্রথম সিআইএসএফের কোনো ইনস্পেক্টরকে গ্রেফতার করা হলো। গ্রেফতার করা হয়েছে ইসিএলের এক প্রাক্তন আধিকারিককেও। সিবিআই জানিয়েছে, প্রাক্তন ইসিএল কর্তার নাম সুনীল কুমার ঝা। পাশাপাশি আরও খবর, গ্রেফতার হওয়া সিআইএসএফ কর্তার নাম আনন্দ সিং।
সিবিআই সূত্রে খবর, এই দুই অভিযুক্ত ইসিলের প্রাক্তন কর্তা ও একজন সিআইএসএফ ইন্সপেক্টর দুজনেই টাকার বিনিময়ে পাচারকারীদের সাহায্য করেছিলেন।
গরু পাচার মামলায় বৃহস্পতিবার আসানসোল জেলে যাওয়ার শখে জল ঢেলেছে দিল্লির রাউস এভিনিউ কোর্ট। ইতিমধ্যে ওই কোর্টেই গরু পাচার (Cow Smuggling) কাণ্ডের চার্জশিট (Charge Sheet) দিয়েছে ইডি (ED)। বাবা ও মেয়েকে পূর্বেই গ্রেফতার করেছিল ইডি। এবার গরু পাচার মামলায় তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল এবং তাঁর কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। অভিযু্ক্ত হিসাবে তিন জনেরই নাম রয়েছে চার্জশিটে। দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে ওই চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছে। সেখানে অভিযুক্ত হিসাবে নাম রয়েছে অনুব্রতের হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিরও।
ইডির চার্জশিটে রয়েছে ভোলেব্যোম রাইস মিল, শিবশম্ভু রাইস মিল, এএনএম অ্যাগ্রোকেম ফুড সার্ভিস লিমিটেডের কথাও। তদন্তকারী সংস্থার দাবি, এই সংস্থাগুলির মাধ্যমে লাভবান হয়েছেন অনুব্রত। সংস্থার ডিরেক্টর পদে ছিলেন সুকন্যা। ভোলেব্যোম রাইস মিলের অংশীদারও ছিলেন তিনি।
অনুব্রত, সুকন্যা, মণীশ— তিন জনই এখন গরু পাচারকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে দিল্লির তিহাড় জেলে রয়েছেন। গত ২৬ এপ্রিল ইডির হাতে গ্রেফতার হন সুকন্যা। দিনভর জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। ইডি সূত্রে দাবি, সুকন্যা জিজ্ঞাসাবাদের সময় অসহযোগিতা করেছিলেন। তার পরেই ওই সন্ধ্যায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। একই মামলায় সাড়ে আট মাস আগে, গত বছরের ১১ অগস্ট গ্রেফতার হয়েছিলেন বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত। তাঁকে তখন গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। পরে তিনি ইডির হাতে গ্রেফতার হন।
গত বছরের অগস্টে অনুব্রত গ্রেফতার হওয়ার পরই সুকন্যাকে দিল্লিতে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। সূত্রের খবর, ওই সময় বিপুল সম্পত্তি নিয়ে কেষ্ট-কন্যাকে প্রশ্ন করা হয়। কিন্তু তদন্তকারীদের তিনি সদুত্তর দেননি। জানিয়ে দেন, ওই সব প্রশ্নের উত্তর তাঁর বাবা এবং হিসাবরক্ষক মণীশই দিতে পারবেন। ইডি সূত্রে খবর, ওই কারণেই অনুব্রত এবং সুকন্যাকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা ভেবেছে ইডি।
গরুপাচারকাণ্ডে (Cow smuggling Case) ফের তলব চালকল ব্যবসায়ীকে। বীরভূমের সাঁইথিয়ার ওই চালকল ব্যবসায়ী রবিন টিব্রেওয়ালকে ডেকে পাঠিয়েছে সিবিআই (CBI)। সোমবার তাঁকে নিজাম প্যালেসে হাজিরার দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী গোয়েন্দা সংস্থা। ব্যবসায়ীর সঙ্গে এনামুল হকের সংস্থার আর্থিক লেনদেন হয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর। সেই সংক্রান্ত জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এদিন ফের তাঁকে ডেকে পাঠিয়েছে সিবিআই।
এই নিয়ে দ্বিতীয়বার রবিন টিব্রেওয়ালকে তলব করল সিবিআই। এর আগেরবার তাঁকে জিজ্ঞসাবাদ করে সন্তুষ্ট হননি গোয়েন্দারা। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, গরু পাচারকাণ্ডের কিংপিন এনামুল হকের সংস্থা হক ইন্ডাস্ট্রির থেকে প্রচুর টাকা এই চালকল ব্যবসায়ীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে। সেই টাকা আবার বেরিয়েও গিয়েছে। গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, হক ইন্ডাস্ট্রির মাধ্য়মে বাংলাদেশেও চাল পাঠিয়েছিলেন রবিন টিব্রেওয়াল। কীভাবে রবিনের সঙ্গে এনামুল হকের পরিচয়? এত টাকা কীভাবে চালকল ব্যবসায়ীর অ্যাকাউন্টে এল? এই সংক্রান্ত সবটাই জানার চেষ্টা করছেন সিবিআই।
সিবিআই-এর ধারণা, হক ইন্ডাস্ট্রির থেকে চালকল ব্যবসায়ীর কাছে যে টাকা গিয়েছে তা গরু পাচারের টাকার সঙ্গে সম্পর্কিত। এনামুল হক নিজের কালো টাকা সাদা করতেই এই চালকল মালিকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠিয়েছেন। সূত্রের খবর, আর কিছু সময় পরই রবিন টিব্রেওয়াল হাজিরা দেবেন নিজাম প্যালেসে। এদিন, তাঁকে প্রয়োজনীয় নথি নিয়ে আসতে বলা হয়েছে বলে খবর।
ইডির হাতে গ্রেফতার অনুব্রত মণ্ডলের কন্যা সুকন্যা মণ্ডল। গরু পাচার মামলায় বেশ কয়েকবার তলব করা হয়েছিল অনুব্রত কন্যাকে। কিন্তু বিভিন্ন অছিলায় বারবার হাজিরা এড়িয়েছিলেন তিনি। এবার বুধবার ইডির হাতে গ্রেফতার অনুব্রত কন্যা সুকন্যা মণ্ডল। গত বছর ১১ই আগস্ট গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হয় বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। বাবার গ্রেফতারির ৮ মাসের মাথায় গ্রেফতার অনুব্রতর মেয়ে। ইতিমধ্যে তিহার জেলে বন্দি রয়েছেন অনুব্রত।
আসানসোল জেলে ফিরে আসার জন্য দিল্লি হাইকোর্টে দায়ের অনুব্রতর আবেদন নিম্ন আদালতে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এদিকে, বুধবার দিল্লিতে ইডির দফতরে হাজিরা দেন সুকন্যা। তাঁকে দফায় দফায় জেরার পরেই গ্রেফতারির সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় সংস্থা।
রবিবার সকাল থেকে সিবিআই (CBI) তল্লাশি (Raid) রাজ্যের বেশ কিছু জায়গায়। গরু পাচার (Cow Smuggling) মামলায় রাজ্যের তিন জেলায় তল্লাশি চালালো সিবিআই। সূত্রের খবর, রবিবার গরু পাচারকাণ্ডের মূল পান্ডা, এনামুল হকের সহযোগী ৫ জন কাস্টমস অফিসারের বাড়ি ও অফিসে তল্লাশি চালানো হয়। সিবিআইয়ের বেশ কিছু আধিকারিকরা সকাল থেকেই নেমে পড়েন তল্লাশি অভিযানে।
সিবিআই সূত্রে খবর, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, কলকাতায়, কিছু নির্দিষ্ট কাস্টমস অফিসারদের বাড়িতে চলে তল্লাশি। সূত্রের খবর, মোট ৬ জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে, এনামুল ঘনিষ্ঠ কাস্টমস অফিসারদের কাছ থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি বাজেয়াপ্ত করেছে সিবিআই। আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালতের অনুমতি নিয়ে, রবিবার রাজ্যের তিন জেলার, ৬ জায়গায় কাস্টমস অফিসারদের জিজ্ঞাসাবাদ ও তল্লাশি চালিয়েছে কেন্দ্র গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা।
ইনোভা গাড়িতে করে গরু পাচার(Cow Sumggling)! পুলিস ধাওয়া করতেই লাইট পোস্টে ধাক্কা গাড়ির। ঘটনায় আহত গাড়ির চালক। গাড়ির চালককে উদ্ধার করে সুভাষগ্রাম গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার(South 24 Parganas)সোনারপুর মোড় এলাকায়। ঘটনাস্থলে উপস্থিত সোনারপুর থানার(Sonarpur Police) পুলিস। গাড়িতে থাকা আর দুই ব্যক্তি পালতক। গাড়ির ভিতর থেকে তিনটি গরুকে উদ্ধার করে পুলিস। তিনটি গরুর মধ্যে একটির ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়।
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে একটি ইনোভা গাড়ি সোনারপুর মোড় থেকে রাজপুরের দিকে যাচ্ছিল। সোনারপুর থানার পিসি পার্টির সন্দেহ হওয়ায় ওই গাড়িকে ধাওয়া করে। পুলিসের গাড়ি ধাওয়া করছে দেখে সোনারপুরের বারেন্দ্রপাড়া শনি মন্দিরের কাছে একটি ইলেকট্রিক পোস্টে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা মারে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ইনোভা গাড়ির পিছনের সিট খুলে গরু পাচারের কাজ চলছে। গাড়িটিতে মোট তিনটি গরু ছিল। দুর্ঘটনায় একটি গরু ঘটনাস্থলেই মারা গিয়েছে, পুলিস সুত্রে খবর। বাকি দুটি গরুকে উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিসের অনুমান, পুলিসের সন্দেহ এড়াতেই ইনোভা গাড়িতে করে গরু পাচার করা হচ্ছিল।
ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারি। মঙ্গলবার সকাল ১১টা থেকে গরু পাচার-কাণ্ডে (Cow Smuggling Case) তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে ইডি (ED)। সেই জিজ্ঞসাবাদ পর্বের মধ্যেই সন্ধ্যার দিকে গ্রেফতার করা হয় মণীশকে (Manish Kothari)। এদিন জিজ্ঞাসাবাদের মধ্যে একাধিক প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেননি তিনি। মণীশ কোঠারিকে বসানো হয় অনুব্রতর মুখোমুখি। কিন্তু তাও সঠিক তথ্য তাঁর থেকে না পাওয়ায় গ্রেফতারের সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় সংস্থা। ইতিমধ্যে গরু পাচার-কাণ্ডে অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, বুধবার দিল্লির ইডি অফিসে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে অনুব্রত কন্যা সুকন্যা মণ্ডলকে। তাঁকেও বীরভূম তৃণমূল সভাপতির সামনে বসাতে পারে ইডি। গত সপ্তাহেই আইনি জট কাটিয়ে আসানসোল থেকে দিল্লিতে আনা হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলকে। প্রথম দফায় ৩ দিন এবং দ্বিতীয় দফায় ১১ দিন ইডি হেফাজতে অনুব্রত। এই হেফাজতে থাকা অবস্থায় গরু পাচার-কাণ্ডে অনুব্রতর ভূমিকা যাচাই করে নিতে চায় কেন্দ্রীয় সংস্থা। এই মামলায় এযাবৎকাল একাধিক ব্যক্তি গ্রেফতার হয়েছে। এঁদের প্রশ্ন করে বিশেষ করে মূল পাণ্ডা এনামূল হকের মুখে উঠে আসে অনুব্রতর নাম।
যে মামলায় তিনি গ্রেফতার, সেই গরু পাচার মামলার (Cow Smuggling Case) মূল পাণ্ডা এনামুল হককে চেনেন না অনুব্রত মণ্ডল। ইডি জেরায় এই চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন বীরভূম তৃণমূলের সভাপতি (Anubrata Mondal)। যদিও ইডি সূত্রে খবর, এনামুল (Enamul Haque) জেরায় অনুব্রত মণ্ডলের নাম বলেছে। কিন্তু অনুব্রত সেই এনামুলকে চেনেন না বলে দাবি করেন ইডি (ED Investigastion) কর্তাদের সামনে।
এনামুল অনুব্রতকে প্রোটেকশন মানি ও পাচারের কমিশন দিয়েছেন বলে ইডিকে জানিয়েছিল। সেই বিষয়ে রাজ্য রাজনীতির কেষ্ট মণ্ডলকে প্রশ্ন করা হলেই এনামুলকে চেনেন না বলে দাবি করেন তিনি। এমনকি তিনি কারও থেকে টাকা নেয়নি বলেও দাবি করেন অনুব্রত। তাহলে সায়গল ৫ কোটি টাকা প্রোটেকশন মানি দিতেন, সেটা কীসের টাকা? কেন সায়গল সেই টাকা দিতেন? সেই প্রশ্নের কোনও উত্তর দেননি অনুব্রত।
এদিকে, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির নজরে এবার সমবায় ব্যাঙ্কের ভুয়ো অ্যাকাউন্ট। কালো টাকা সাদা করতে সমবায় ব্যাংকে যে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছিল, সেই বিষয়ে তদন্ত শুরু করছে ইডি। খাদ্য দফতরের আধিকারিকদের যোগাযোগে সমবায় ব্যাংকে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে কালো টাকা সাদা করেছেন অনুব্রত। এই অভিযোগ তুলে সেই বিষয়ে ইডি আধিকারিকরা অনুব্রতকে জেরা করতে চলেছে।
আগামি সপ্তাহেই দিল্লিতে তলব করা হতে পারে সুকন্যা মণ্ডল (Sukanya Mondal) এবং মণীশ কোঠারিকে। জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে এই দু'জনের কাছে ফোন গিয়েছে। আগামি সপ্তাহেই তাঁদের হাজির হতে হবে দিল্লির ইডি দফতরে। এই মর্মে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। যদিও হাজিরার তারিখ ও সময় একদিন আগে জানিয়ে দেবে ইডি বলে জানা গিয়েছে। অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিকে ইডির (ED) নির্দেশ, 'আগে যেসব নথি জমা দিয়েছেন, সেই নথি নিয়ে হাজির হতে হবে দিল্লি।'
জানা গিয়েছে, অনুব্রত ঘনিষ্ঠ ১২ জনকে তৃণমূল নেতার মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করতে তালিকা তৈরি করেছে ইডি। সেই তালিকায় রাজ্য রাজনীতির কেষ্ট মণ্ডলের কন্যা সুকন্যা মণ্ডল-সহ মণীশ কোঠারি, তৃণমূল নেতা রাজীব ভট্টাচার্য, ব্যাবসায়ী মলয় পিট, সুকন্যার গাড়ির চালক তুফান মিদ্দা রয়েছেন। এছাড়াও তালিকাভুক্ত অনুব্রতর বাড়ির পরিচারক বিজয় রজক, অনুব্রত ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা কৃপাময় ঘোষ এবং তৃণমূল কাউন্সিলর বিশ্বজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায় রয়েছেন।
সম্ভবত আগামী সপ্তাহের শুরুতে এদের তলব করা হবে। প্রত্যেকের সঙ্গে অনুব্রতকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করবে ইডি। এমনটাই কেন্দ্রীয় সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, সায়গল হোসেনকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছে ইডি। যেখানে অনুব্রত মণ্ডলের গরু পাচারকারীদের সঙ্গে সরাসরি যোগসূত্র পাওয়া গিয়েছে। শনিবার জেরায় সেই সূত্র ধরে অনুব্রতকে জেরা করছে ইডি বলে খবর।
গরু পাচারে(Cow Smuggling) মদত রয়েছে স্থানীয়দের। এই খবরের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে গিয়ে আহত ৮ জন পুলিস। আহতদের মধ্যে থানার এসআই (SI), তিনজন কনস্টেবল এবং চারজন মহিলা কনস্টেবল রয়েছেন। ফাঁসিদেওয়া থানার এই ঘটনায় আহত পুলিসকর্মীদের উদ্ধার করে গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এমনকি পুলিসের উপর হামলার ঘটনায় দু'জনকে গ্রেফতারও করা হয়। ইতিমধ্যেই সমস্ত ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ফাঁসিদেওয়া(Phansidewa Police) থানার পুলিস।
জানা গিয়েছে, ভারত থেকে বাংলাদেশে গরু পাচার করার জন্যই বেশ কিছু বাংলাদেশি রাতের অন্ধকারে কাঁটাতার পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করে। সেই সময় ফাঁসিদেওয়া থানার পুলিসের হাতে ধরা পড়ে ওরা। সেদিন তাঁদের গ্রেফতার করে পরের দিন আদালতে পাঠানো হয়। পুলিসি তদন্তের জন্য বেশ কিছুদিনের জন্য হেফাজতেও নেওয়া হয় ধৃতদের। অবশেষে জিজ্ঞাসাবাদের পর বেশ কয়েকজনের নাম উঠে আসে এই গরু পাচার কাণ্ডে। ধৃতরা জানায়, ফাঁসিদেওয়ার কালু জোত ও ধনিয়া মোড় এলাকার বেশ কিছু পরিবার রয়েছে, যারা এই গরু পাচারের সঙ্গে সরাসরিভাবে যুক্ত। তাই শুক্রবার রাতে পুলিস সেই সমস্ত বাড়িতে হানা দেয়। পুলিসকে দেখে বাড়ির লোকেরা লাঠি, পাথর, রড নিয়ে পুলিসের উপরে আক্রমণ করেন। ফলে ফাঁসিদেওয়া থানার কর্মরত এসআই মোহাম্মদ ওয়াসিম সহ বেশ কয়েকজন কনস্টেবল আহত হয়েছেন।
এই ঘটনার জেরে তড়িঘড়ি খবর যায় থানায়। খবর পেয়ে বিশাল পুলিসবাহিনী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় এবং আহত এসআই-সহ সাত জন কনস্টেবলকে উদ্ধার করে ফাঁসিদেওয়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ফাঁসিদেওয়া থানার পুলিস।
গরু পাচার-কাণ্ডে (Cow Smuggling case) ইডির হাতে গ্রেফতার অনুব্রত মণ্ডলকে শুক্রবার আদালতে তোলা হয়। তিন দিনের ইডি হেফাজত (ED Custody) শেষে এদিন রউস অ্যাভেনিউ আদালতে তোলা হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস নেতাকে। আরও ১১ দিন ইডি হেফাজত মঞ্জুর আদালতের। এদিন শুনানি শেষে রায়দান কিছুক্ষণ স্থগিত রাখে আদালত। সেই সময় অনুব্রতর (Anubrata Mondal) আইনজীবী সংবাদ মাধ্যমকে জানান, 'কেন্দ্রীয় সংস্থার তরফে ১১ দিনের হেফাজতের আবেদন জানানো হলে, আমরা বিরোধিতা করি। এই গ্রেফতারি বেআইনি বলে সওয়াল করি। শেষ ৩ দিনে তদন্ত সেভাবে এগোয়নি, তাহলে আরও ১১ দিনের হেফাজতের কী দরকার? ৬০ দিনের বেশি গ্রেফতারি হয়ে গিয়েছে।'
জানা গিয়েছে অনুব্রতর তরফে আইনজীবী অভিযোগ করেন, 'আমরা যখন মক্কেলের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছি, তখন সিসিটিভিতে নজরদারি চলছে। ব্যক্তিগত ভাবে কথা বলা যাবে না? তিন দিনে জেরায় কিছু পাওয়া যায়নি। তিন দিনে ২ ঘণ্টা জেরা করা হয়েছে।'
এই সওয়ালের পর বিচারকের নির্দেশ,'যখন আইনজীবীরা দেখা করতে যাবেন, তখন সিসিটিভি রাখা যাবে না।' পাশাপাশি অনুব্রতর সঙ্গে আলাদাভাবে কথা বলেন বিচারক। তিনি জানতে চান আপনি কিছু বলবেন? অনুব্রত বলেন, 'না।' বিচারক জানতে চান আপনি হিন্দি ও ইংলিশ জানেন? হিন্দিতে বিচারকের কথা বুঝতে না পারায় ইডি বাঙালি অফিসারের সাহায্য নেয়। তখন অনুব্রত বলেন, 'আমি হিন্দি-ইংলিশ জানি না।' বিচারক বলেন, 'বাংলা জানেন?' অনুব্রত বলেন, 'হ্যাঁ জানি'।