
ফের করোনার (Coronavirus) গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। দেশজুড়ে করোনা (Covid-19) সংক্রমণের হার বেড়েই চলেছে। আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি মৃত্যু সংখ্যাও বাড়তে শুরু করেছে।
রবিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে নতুন করে ৮৩২ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এই মুহূর্তে করোনা রোগীর সংখ্যা ৯ হাজার ৪৩৩। তবে কিছুটা স্বস্তির খবর হল, করোনা সংক্রমণ প্রতিদিন বৃদ্ধি পেলেও মৃতের সংখ্যা খুবই কম। তবুও সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুসারে জানা গিয়েছিল, শুক্রবার দেশে কোভিডে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। ফলে এবারে কোভিড সংক্রমণ যাতে হাতের বাইরে না চলে যায়, তার জন্য তৎপর কেন্দ্রীয় সরকার। সূত্রের খবর, সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে অতিমারীর কেমন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তার জন্য মহড়ার আয়োজন করা হচ্ছে। এপ্রিল মাসের ১০ এবং ১১ তারিখে হাসপাতালগুলির মহড়ার দিন নির্দিষ্ট হয়েছে।
শনিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ এবং ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)-এর ডিরেক্টর রাজীব বহলের তরফে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। যেখানে রাজ্যগুলিকে কোভিডের বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে। আর সেই নির্দেশিকাতেই হাসপাতালে মহড়া আয়োজনের কথাও জানানো হয়।
আরও জানা গিয়েছে, সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি করোনার বেসরকারি হাসপাতালগুলিতেও মক ড্রিল করা হবে। আবার শ্বাসযন্ত্রের অন্যান্য রোগের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালগুলি কতটা প্রস্তুত, তা-ও যাচাই করে দেখা হবে ১০ ও ১১ এপ্রিল। প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র, হাসপাতালের বেড, আইসিইউ, অক্সিজেন পরিষেবার মতো খুঁটিনাটি বিষয়েও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিস্তারিত কথা বলে নেওয়া হবে।
শনিবারই জানা গিয়েছিল, দেশে দৈনিক করোনা সংক্রমণ ১৫০০ ছাড়িয়েছে। সঙ্গে করোনায় মৃত্যুও হয়েছে। দেশে ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস, অ্যাডিনো ভাইরাসের প্রকোপের মধ্যেই দৈনিক করোনা সংক্রমণও বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। ফলে নতুন করে আতঙ্কের সৃষ্টি করছে কোভিড।
করোনা আক্রান্তর সংখ্যা-বৃদ্ধি অব্যাহত। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুসারে গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ১ হাজার ৫৯০ জন নতুন করে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। যা গত ১৪৬ দিনে সবথেকে বেশি। এর ফলে সক্রিয় আক্রান্তর সংখ্যা দাঁড়াল ৮ হাজার ৬০১ জন। একদিকে ইনফ্লুয়েঞ্জা এইচ৩এন২-এর দাপট তো রয়েছেই, অন্যদিকে এখন করোনা আক্রান্তর সংখ্যাও বাড়তে শুরু করেছে। ফলে নতুন করে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে করোনা (Corona)।
শনিবার সকালে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুসারে, দেশে মোট কোভিড মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৫ লক্ষ ৩০ হাজার ৮২৪। শুক্রবারই ছয় জনের করোনায় মৃতের খবর এসেছে, এর মধ্যে মহারাষ্ট্রে ৩, কর্ণাটক, রাজস্থান ও উত্তরাখণ্ডে ১ জন করে মারা গিয়েছেন করোনায়। বর্তমানে প্রতিদিন পজিটিভিটি রেট ১.৩৩ শতাংশ ও সাপ্তাহিক পজিটিভিটি রেট ১.২৩ শতাংশ। শুক্রবার আক্রান্তর সংখ্যা দিয়ে দেশে মোট করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা হল ৪ কোটি ৪৭ লক্ষ ২ হাজার ২৫৭।
উল্লেখ্য, এখনও পর্যন্ত দেশজুড়ে মোট ২২০.৬৫ কোটি কোভিড ভ্যাকসিনের ডোজ দেওয়া হয়েছে। মাঝে করোনার প্রকোপ কিছু কমলেও ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে কোভিড। তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ, করোনা থেকে বাঁচতে এখনও বিভিন্ন সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।
ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে করোনা ভাইরাস (Coronavirus)। দৈনিক সংক্রমণ ফের নতুন করে বেড়ে চলেছে। সূত্রের খবর, ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১০০০-এর বেশি করোনা আক্রান্তর সংখ্যা জানা গিয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুসারে, বুধবার দেশে মোট ১ হাজার ১৩৪ জন নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। নতুন করে করানো সংক্রমণ বাড়তে শুরু করলে প্রতিদিনের পজিটিভিটি রেট দাঁড়াল ১.০৯ শতাংশ ও সাপ্তাহিক পজিটিভিটি রেট ০.৯৮ শতাংশ।
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুসারে, মঙ্গলবার দিল্লিতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৮৩ জন, সোমবার আক্রান্ত হয়েছেন ৩৪ জন ও রবিবার এই সংখ্যা ছিল ৭২, শনিবারে আক্রান্তর সংখ্যা ছিল ৩৮। আর এবার দেশে আক্রান্তর সংখ্যা ১০০০-এর গণ্ডি পেরিয়ে গেল। ফলে এই সংখ্যা থেকেই বোঝা যাচ্ছে প্রতিনিয়ত করোনা আক্রান্তর সংখ্যা বৃদ্ধি অব্যাহত। দেশজুড়ে যখন ইনফ্লুয়েঞ্জা এইচ৩এন২ ভাইরাসের দাপট বেড়েই চলেছে, তার মধ্যেই করোনা আক্রান্তর সংখ্যা নতুন করে বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।
সূত্রের খবর, রাজধানীতে এখন পর্যন্ত মোট করোনা আক্রান্তর সংখ্যা দাঁড়াল ২০ লক্ষ ৮ হাজার ৮৭ জন। মৃত্যুর সংখ্যা ২৬ হাজার ৫২৪ জন। সক্রিয় আক্রান্তর সংখ্যা ২০৯। তবে জানা গিয়েছে, হাসপাতালে ভর্তি আক্রান্তর সংখ্যা মাত্র ১৭, বেশিরভাগই বাড়িতে আইসোলেশনে রয়েছেন। ফলে এর থেকে বোঝা যাচ্ছে, করোনা সংক্রমণ বাড়তে শুরু করলেও এর দাপট সেই আগের মত নেই। তাই এই খবরে কিছুটা স্বস্তি পেয়েছেন দিল্লিবাসী।
এই আবহেই দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সৌরভ ভরদ্বাজ জানিয়েছেন, দিল্লি হাসপাতালে ইনফ্লুয়েঞ্জা আক্রান্তের সংখ্যা খুবই কম। তবু এই বিষয়ে বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে।
একদিকে অ্যাডিনো (Adenoviruses), অন্যদিকে H3N2 ভাইরাসের দাপট। তার মধ্যে ফের দেশজুড়ে বাড়ছে দৈনিক করোনা সংক্রমণ (Corona Virus)। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে মোট ৮৪১ জন কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন। যা গত চার মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। যা হিসেব অনুযায়ী, এক মাসের আগের সংক্রমিতের থেকে প্রায় ছয় গুণ বেশি।
পাশাপাশি, সংক্রমণের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৩৮৯ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। কেরল, মহারাষ্ট্র, কর্নাটক এবং গুজরাটে কোভিড সংক্রমণের হার অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় বেশি। শনিবার সকালের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, দেশে এখনও পর্যন্ত মোট ৪,৪৬,৯৪,৩৪৯ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। বর্তমানে দেশে করোনা রোগীর সংখ্যা মোট সংক্রমণের ০.০১ শতাংশ। সুস্থতার হার ৯৮.৮০ শতাংশ। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৪ কোটি ৪১ লক্ষ ৫৮ হাজার ১৬১ জন।
দেশের ছয়টি রাজ্যে ইতিমধ্যে কেন্দ্র চিঠি পাঠিয়েছে করোনা সংক্রমণের সতর্কতা হিসেবে। কারণ, কেরল, মহারাষ্ট্র, কর্নাটক, গুজরাট, তেলেঙ্গানা এবং তামিলনাড়ুতে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে করোনা সংক্রমণ।
২৩ তারিখ থেকে শুরু চলতি বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষা (Madhyamik 2023)। ২৭ তারিখ সাগরদিঘি বিধানসভায় উপনির্বাচন থাকায় সেদিনের পরীক্ষাসূচি বদলেছে। এবছর প্রায় ৭ লক্ষ পরীক্ষার্থী (৬,৯৮,৬২৮ জন) পরীক্ষায় বসছে। টোকাটুকি এবং প্রশ্নপত্র ফাঁস বন্ধ করতে এবার কড়া পদক্ষেপ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের (Secondary Education Board)। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে এই তথ্য জানান পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে, প্রতি পরীক্ষাকেন্দ্রে পুলিস থাকবে, বসবে সিসি ক্যামেরা। কমবেশি সব জেলায় পৌঁছেছে প্রশ্নপত্র। রাজ্যের ৩৭৩টি থানার কড়া পুলিসি নজরদারিতে থাকছে প্রশ্নপত্র।
জানা গিয়েছে, শুধু পরীক্ষার্থীরা এবার পরীক্ষা কেন্দ্রের মধ্যে ঢুকতে পারবে। অভিভাবকরা যাতে পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকতে না পারে, সেই ব্যবস্থা করছে পর্ষদ। এদিন জানান মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সভাপতি। কোন পরীক্ষার্থীর কোথায় সিট পড়ছে পরীক্ষা কেন্দ্রের বাইরে ঝোলানো থাকবে সেই তথ্য। গত বছরের তুলনায় অনেক কমেছে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা। জানা গিয়েছে, ২০২২ সালে ১০ লক্ষ ৯৮ হাজার ৭৭৫ জন পরীক্ষা দিয়েছিল। নাম নথিভুক্ত করেও পরীক্ষায় বসছেন না অনেক পরীক্ষার্থী। পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমার সম্ভাব্য কারণ হিসেবে পর্ষদ সভাপতি করোনা অতিমারীকে দায়ী করেছেন।
করোনাকালে প্রস্তুতির অভাব, অফলাইন ক্লাসে পড়াশোনার সমস্যা এবং পঠনপাঠন বন্ধের মতো সমস্যাকে সম্ভাব্য কারণ হিসেবে ধরছেন পর্ষদ সভাপতি। পাশাপাশি অনেকে টেস্ট পরীক্ষায় পাশ করেনি, কেউ আবার ফর্ম ফিলআপ করেনি বলে জানান পর্ষদ সভাপতি। এবার রাজ্যব্যাপী প্রায় ২৯০০ পরীক্ষা কেন্দ্রে ৪০ হাজার পরীক্ষক নিয়োগ করেছে পর্ষদ। সব পরীক্ষা কেন্দ্রে সিসিটিভি আর ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে দেওয়া হবে অ্যাডমিট কার্ড। এদিন সংবাদ মাধ্যমকে জানান পর্ষদ সভাপতি।
নতুন বছরে বাংলায় করোনায় প্রথম মৃত্যু। বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ৭ জানুয়ারি করোনা আক্রান্ত এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু ট্যাংরার বাসিন্দা গিরিশ চন্দ্র দাসের। গিরিশবাবু দাস ট্যাংরা সেকেন্ড লেনের বাসিন্দা। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৫২ বছর। ৫ জানুয়ারি বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। গত বছর ২০ ডিসেম্বর করোনায় এই রাজ্যে শেষ মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে।
এদিকে, ওমিক্রনের নতুন উপপ্রজাতি উদ্বেগের কারণ হতে চলেছে। এমনটাই আশঙ্কা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার। চিনের করোনা পরিস্থিতি এখনও উদ্বেগজনক। ইংরাজি নতুন বছরে সে দেশে সংক্রমণ বাড়ার ইঙ্গিত দিয়েছিল একটি মার্কিন সংস্থা। লন্ডনের এক গবেষণা সংস্থার দাবি, জানুয়ারির শেষ দিকে চিনে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ছুঁতে পারে ২৫ হাজার। ২৩ জানুয়ারি করোনায় মৃত্যুর হার শিখর ছুঁতে পারে।
রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী ও সিপিআইএম নেতা অশোক ভট্টাচার্য: একেবারেই খবরের কাগজ ও টেলিভিশনে নতুন করোনার উৎপাত সম্বন্ধে অবগত হলাম। যদিও অনেকেই বলতে পারেন বিষয়টি এখনও ধোঁয়াশা। কিন্তু আমি বলবো ধোঁয়াশার উপর ছেড়ে রাখলে হবে না। ২০১৯-এর শেষে যখন আমাদের কাছে খবর এসেছিলো যে বিদেশে নতুন একটি সংক্রমণ এসেছে 'করোনা' আমাদের দেশজ প্রশাসন কিন্তু সতর্ক হয়নি। বরং আমেরিকার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এসে দিব্বি ঘুরে গেলেন ভারতে। অন্যদিকে তখন ইউরোপে ছড়িয়ে পড়েছিল এই সংক্রমণ এবং ঘোষিত হয়েছিল এটি মারণ রোগ। দেশ যখন সজাগ হলো তখন অনেকটাই ছড়িয়েছে সংক্রমণ। সময়টা ২০২০-র মার্চ-এপ্রিল।
সে সময়ে আমি শিলিগুড়ির মেয়রের দায়িত্বে। রাতারাতি প্রচন্ড চাপ এসে পড়ে পুর এলাকায়। তার মধ্যে কেন্দ্রীয় এবং রাজ্যভিত্তিক লকডাউনে কীভাবে অঞ্চলে অঞ্চলে ঘুরে কাজ করতে হয়েছিল তা আজ বেশ মনে পড়ছে। তবে এটাও ঠিক যে বহু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এগিয়ে এসেছিলো প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে।
মৃত্যু তো কম হয়নি দেশজুড়ে। আমাদের রেড ভলান্টিয়ার্সরা দুর্দান্ত পরিষেবা দিয়েছিল। ওদের কাজ সব থেকে কঠিন ছিল। যাই হোক ২০২২-এ এসে বিশেষ করে শারদ উৎসবের আগেই বেশ খানিকটা নিশ্চিন্ত হতে পেরেছিলাম। কিন্তু ফের কেন করোনার রক্তচক্ষু আসছে?
রাজ্যের একদা পৌরমন্ত্রী এবং শিলিগুড়ির মেয়র ছিলাম বলে আজকের নতুন প্রজাতি বিএফ-৭-কে উড়িয়ে দিতে পারি না। আমাদের দায়িত্ব থাকছেই। অনেকেই বলছেন চীন থেকে সরবরাহ হচ্ছে এই নতুন বিএফ-৭ র করোনা। আমি বলবো শুধু চীনের দিকে তাকিয়ে থাকলে হবে না। এখন বিদেশ থেকে বিশেষ করে পূর্ব এশিয়া থেকে যারাই এদেশে বিমান বা অন্যভাবে আসছে তাদের দিকে নজর দেওয়া উচিত। কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্য সরকারকেও দায়িত্ব নিতে হবে। কাগজেই দেখলাম বিদেশ থেকে আগত কয়েকজনের মধ্যে এই সংক্রমণ দেখা গিয়েছে। ভয়ের বিষয়। কোনও এক সংস্থা আবার বলছে, দেড় মাস লক্ষ্য রাখতে হবে। আমি বলবো বিশেষজ্ঞদের নজর রাখা উচিত। হচ্ছে হবে ইত্যাদি শব্দ কিন্তু স্বাস্থ্যকর নয়। সামনে মকর সংক্রান্তিতে লক্ষ মানুষের ভিড় হয় গঙ্গাসাগরে, তাদের জন্য সতর্কতা নিতে হবে। আবার আরও একটি যুদ্ধ, সত্যিই চাইছি না। (অনুলিখন: প্রসূন গুপ্ত)
চিনে সংক্রমণ (Covid19) ছড়ানো করোনার নতুন উপপ্রজাতি যাতে ভারতে সংক্রামক না হয়, সেই লক্ষে কোভিড ঠেকাতে আরও কড়া পদক্ষেপ মোদী সরকারের (Modi Government)। অন্য দেশ থেকে যারা ভারতে নামছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে আরও সাবধান হওয়ার নীতি গ্রহণ করছে কেন্দ্র। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, অবিলম্বে বিশ্বের ছয় দেশ থেকে ভারতে আসা যাত্রীদের উপর জারি হবে নতুন বিধি (Strict Restriction)। ওই দেশগুলি থেকে আসা যাত্রীদের কোভিড পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ বাধ্যতামূলক করছে মোদী সরকার। সম্প্রতি স্বাস্থ্য মন্ত্রকের বিশেষ রিপোর্টে উদ্বিগ্ন বিশেষজ্ঞরা। জানা গিয়েছে, গত ২ দিনে বিদেশ থেকে ভারতে আসা ৩৯ পর্যটকের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গিয়েছে। ভারত মহাসাগর সংলগ্ন জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, হংকং, তাইল্যান্ড এবং সিঙ্গাপুরে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। পিটিআই জানিয়েছে, এই ৬টি দেশ থেকে আসা পর্যটক অথবা এই দেশ ঘুরে দেশে ফেরা যাত্রীরা নেগেটিভ রিপোর্ট নিয়েই ভারতে ঢুকবে আগামী সপ্তাহ থেকেই চালু হতে পারে এই নতুন নিয়ম।
চিনে সংক্রমণ (Covid19) ছড়ানো করোনার নতুন উপপ্রজাতি যাতে ভারতে সংক্রামক না হয়, সেই লক্ষে কোভিড ঠেকাতে আরও কড়া পদক্ষেপ মোদী সরকারের (Modi Government)। অন্য দেশ থেকে যারা ভারতে নামছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে আরও সাবধান হওয়ার নীতি গ্রহণ করছে কেন্দ্র। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, অবিলম্বে বিশ্বের ছয় দেশ থেকে ভারতে আসা যাত্রীদের উপর জারি হবে নতুন বিধি (Strict Restriction)। ওই দেশগুলি থেকে আসা যাত্রীদের কোভিড পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ বাধ্যতামূলক করছে মোদী সরকার।
সম্প্রতি স্বাস্থ্য মন্ত্রকের বিশেষ রিপোর্টে উদ্বিগ্ন বিশেষজ্ঞরা। জানা গিয়েছে, গত ২ দিনে বিদেশ থেকে ভারতে আসা ৩৯ পর্যটকের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গিয়েছে। ভারত মহাসাগর সংলগ্ন জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, হংকং, তাইল্যান্ড এবং সিঙ্গাপুরে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। পিটিআই জানিয়েছে, এই ৬টি দেশ থেকে আসা পর্যটক অথবা এই দেশ ঘুরে দেশে ফেরা যাত্রীরা নেগেটিভ রিপোর্ট নিয়েই ভারতে ঢুকবে আগামী সপ্তাহ থেকেই চালু হতে পারে এই নতুন নিয়ম।
ফের চোখ রাঙাচ্ছে করোনাভাইরাস। চিনে নতুন করে কোভিড ১৯ সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। শুধু চিন নয়, আমেরিকা,জাপান, জার্মানি, দক্ষিণ কোরিয়া, ব্রাজিলেও করোনার কেস বাড়তে শুরু করেছে। ফের করোনার গ্রাফ ঊর্দ্ধগামী হতেই সজাগ হতে শুরু করেছে ভারতও। নতুন করে নির্দেশিকা জারি করেছে ভারত সরকার। প্রত্যেকটি বিমানবন্দরে করা হচ্ছে র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট। আর তাতে করোনোভাইরাস ভারত এবং অন্য দেশের নাগরিক মিলিয়ে ৩৯ জন বিমানযাত্রীর রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্র মারফত খবর, চিনে কোভিড সংক্রমণ বাড়ার পরেই বিমানবন্দরে বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের কোভিড পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়। আর তা শুরু হয়েছে মাত্র দু’দিন হয়েছে। আর তাতে মোট ৩৯ জনের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে।
আগামী বৃহস্পতিবার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাবেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য। ইতিমধ্যেই করোনার ওমিক্রন ভেরিয়েন্টের নয়া সাবভেরিয়েন্ট বিএফ.৯ ধরা পড়েছে এই দেশেই। ফলে করোনার নতুন রূপ ভারতের জন্য কতটা বিপজ্জন হতে পারে, সেই নিয়ে নতুন করে আলোড়ন তৈরি হয়েছে। চিকিত্সাবিজ্ঞানীরা প্রতিনিয়ত এই বিষয়ে সতর্কবার্তা দিচ্ছেন। উল্লেখ্য, জানা গিয়েছে, জানুয়ারি শেষে ভারতে বাড়তে পারে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা।
চিনের (China) করোনা (Covid-19) পরিস্থিতি ক্রমাগত খারাপ হচ্ছে। জিরো-কোভিড বিধি শেষ হওয়ার পর ফের বৃদ্ধি পেয়েছে চিনের করোনা সংক্রমণ (Coronavirus)। উদ্বেগ বাড়াচ্ছে কোভিড গ্রাফ। যদিও চিন সরকার সে কথা মানতে নারাজ। এই পরিস্থিতিতে সে দেশের স্বাস্থ্য দফতরের এক শীর্ষ আধিকারিক বিস্ফোরক দাবি করে বসলেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, সরকার সঠিক তথ্য পরিবেশন করছে না। চিনের একটি শহর থেকেই প্রতিদিন প্রায় ৫ লক্ষেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন।
চিনের একটি সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, শুক্রবার কিংডাও শহরে এক দিনে ৪ লক্ষ ৯০ হাজার থেকে সাড়ে ৫ লক্ষ মানুষ কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। এর থেকেই স্পষ্ট, সেখানকার করোনা পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ জায়গায় পৌঁছেছে। জানা গিয়েছে, ওই শহরের জনসংখ্যা ১ কোটি। বিশেষজ্ঞদের মতে, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই সেই শহরের সংক্রমণ ১০ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে।
ফের যেন ২০২০ ও ২০২১ এর ভয়াবহ চিত্র ফিরে এল চিনে। আইসিইউ-তে বেডের আকাল। চারপাশে মানুষের হাহাকার। রোগী সামাল দিতে গিয়ে নাজেহাল পরিস্থিতি হাসপাতালগুলির। শ্মশানগুলিতেও বাড়ছে ভিড়। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, ওষুধের দোকানগুলিতেও মিলছে না প্রয়োজনীয় ওষুধ।
উল্লেখ্য, চিনের স্বাস্থ্য কমিশনের দেওয়া শনিবারের করোনা রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় চিনে নতুন আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ১৩০ জন। তবে কারও মৃত্যু হয়নি করোনার নয়া সংক্রমণে। জিয়াংজ়ি প্রদেশে ৩ কোটি ৬০ লক্ষ মানুষের বাস। আগামী মার্চের মধ্যে প্রদেশের মোট জনসংখ্যার ৮০ শতাংশ মানুষ সংক্রমিত হতে পারেন বলে আশঙ্কা করছে প্রশাসন। গত কয়েক দিনের মধ্যে জিয়াংজ়িতে ১৮ হাজার মানুষ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। যাঁদের মধ্যে ৫০০ জন গুরুতর বলে প্রশাসন সূত্রে খবর।
প্রসূন গুপ্ত: বর্ষশেষে (Year End) দেশবাসী যখন একটু পিকনিক বা নানান বেড়ানোর পরিকল্পনা করছে, তখনই মার্কিন মুলুক থেকে এলো এক ভয়াল বার্তা। ফিরছে করোনা (Corona India), কয়েক মাসে বিশ্ব তথা ভারতে মানুষ ভুলতেই বসেছিল কোভিড সংক্রমণকে। এই তো মঙ্গলবারের করোনা বার্তায় সুখের খবর ছিল, পশ্চিমবঙ্গে প্রায় তিন বছর বাদে 'শূন্য'। সম্প্রতি কলকাতার আইডি (Beleghata ID) হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেলো খাঁ খাঁ করছে করোনার জন্য রাখা বেডগুলি। একটিও ওই গোত্রীয় রোগী নেই সেখানে। তারপর কেন এই বার্তা ?
আমেরিকার করোনা বিশেষজ্ঞ এরিক ফাইসন-ডিং জানাচ্ছেন, করোনা বোমার বিস্ফোরণ ঘটেছে। ভয়ঙ্কর ভাবে চীনের মাধ্যমে ফের ফিরে আসছে এই ছোয়াঁচে রোগটি যা এর আগে নানান রূপে ফিরে এসেছিলো | এ বিষয়ে সারা বিশ্বকে সতর্ক বার্তা দিয়েছে আমেরিকার ওই স্বাস্থ্য সংস্থা। তাদের বক্তব্য-
* করোনা বিধি শিথিল করতেই প্রবলভাবে বেড়েছে করোনা সংক্রমণ এবং সেটি চীনে।
* সেখানকার হাসপাতালে প্রচুর রোগী উপচে পড়ছে | মর্গে দেহ জমছে স্তরে স্তরে।
* আসন্ন ৩মাসে চীনে ৬০% এবং বাকি বিশ্বে ১০% মানুষ সংক্রামিত হতে পারেন করোনার এই নব্য ঢেউয়ে।
* চীন যেভাবেই হোক সরকারি ভাবে বার্তা দিচ্ছে না | কিন্তু মৃত্যু হতে পারে কয়েক লক্ষের।
* কেন্দ্রের কাছে সতর্ক বার্তা পাঠানো হয়েছে।
কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে সতর্কবার্তা আসার সঙ্গে সঙ্গে স্বাস্থ্য দফতর সতর্ক হতে পত্র দিয়েছে বিভিন্ন রাজ্যকে। এখন প্রশ্ন উঠেছে বারবার চীন থেকেই কেন এই সংক্রমণ আসছে।
বিশেষজ্ঞ মহল জানাচ্ছে সেখানকার জিং পিং সরকার বিশ্বের সাথে কোথাও একটা প্রতারণা করছে। এই সরকার নিজের দেশেও এর আগে এবং এবারেও নাকি নির্মম ব্যবহার করছে রোগীদের সঙ্গে। প্রতিবাদে ঝড় উঠেছে সেখানে। প্রশ্ন এমনও উঠেছে , এই সংক্রমণ কি চীনের অন্দরে থাকা বিশেষ বিশেষজ্ঞদের সৃষ্টি ? যাই হোক না কেন সামনে ক্রিসমাস ফলে লোকারণ্য হতে পারে ভারতের বিভিন্ন শহর কাজেই দ্রুত সতর্কতার জন্য বুধবার কেন্দ্রী স্বাস্থ্যমন্ত্রী বৈঠক ডেকেছেন। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা 'হু' এখনও এই বিষয়ে মতামত দেয়নি।
প্রসঙ্গত, জ্বর হলেই সঙ্গে সঙ্গে প্যারাসিটামল নয়। চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার উপর জোর দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
সাংবাদিক (Journalist) গ্রেফতারের (Arrest) প্রতিবাদ জানিয়ে সকাল থেকেই সরগরম নেটপাড়া (Social Media)। এবার আরও এক বিশিষ্ট সাংবাদিক রানা আয়ুবের (Rana Ayyub) নামে চার্জশিট দাখিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ED)। তাঁর বিরুদ্ধে আর্থিক প্রতারণার (Money Laundering Case) অভিযোগ এনেছে ইডি।
অভিযোগ, করোনার সময় মানুষকে দান করার নামে জনগণের থেকে অর্থ সংগ্রহ করেছিল রানা আয়ুব। সব মিলিয়ে তাঁর তহবিলে ২.৬৯ কোটি টাকা জমা পড়েছিল। সেই অর্থের বেশিরভাটাই তিনি নিজের এবং তাঁর আত্মীয়দের ব্যক্তিগত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তরিত করেন। এমনটাই চার্জশিটে অভিযোগ ইডির।
ইডি জানিয়েছে আয়ুবের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি, তথ্য প্রযুক্তি (সংশোধন) আইন এবং কালো টাকা আইনের বিভিন্ন ধারায় গাজিয়াবাদের এক থানায় ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১-এ একটি এফআইআর দায়ের হয়েছে। সেই এফআইআর-এর ভিত্তিতে আর্থিক তছরূপের তদন্ত শুরু হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ফেব্রুয়ারিতে এই মামলার তদন্তে তাঁর সম্পত্তি ‘ফ্রিজ’ করা হয়েছিল। ইডি বলেছে, আয়ুব ফরেন কন্ট্রিবিউশন (নিয়ন্ত্রণ) আইনের অধীনে অনুমোদন ছাড়াই বিদেশী অনুদান পেয়েছিলেন। এক্ষেত্রে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ও এফডি সংক্রান্ত একাধিক বিষয় তুলে ধরে মানুষের সঙ্গে তিনি প্রতারণা করেন, অভিযোগ ইডির।
আজ মহাপঞ্চমী। বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসবে মেতে উঠেছেন সকলে। তার মধ্যেই সুখবর দেশের করোনা (Coronavirus) গ্রাফে। কিছুটা স্বস্তি মৃত্যুসংখ্যার ক্ষেত্রে। তবে এখনও সামান্য চিন্তায় রাখছে পজিটিভিটি রেট (Positivity Rate)। দেশের পজিটিভিটি রেট ১.২৩ শতাংশের কাছাকাছি।
শুক্রবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় (Coronavirus) সংক্রমিত হয়েছেন ৩ হাজার ৯৪৭ জন। যা বৃহস্পতিবার ছিল ৪ হাজার ২৭২। সংক্রমণ নিম্নমুখী তা স্পষ্ট। রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশের সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৩৯ হাজার ৫৮৩ জন। এখনও পর্যন্ত দেশে ৪ কোটি ৪০ লক্ষ ১৯ হাজার ০৯৫ জন করোনামুক্ত হয়েছেন।
বর্তমানে সুস্থতার হার (Recovery Rate) ৯৮.৭৩ শতাংশ। দেশে করোনা টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে ২১৮ কোটি ৫২ লক্ষের বেশি। গত ২৪ ঘণ্টাতেই ৩৪ লক্ষ ২১ হাজার বেশি মানুষ টিকা পেয়েছেন। টিকাকরণের পাশাপাশি করোনা রোগী চিহ্নিত করতে জোর দেওয়া হচ্ছে টেস্টিংয়েও। গতকাল দেশে ৩ লক্ষ ২০ হাজার ৭৩৪ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।
উৎসবের মরসুমে ফের ঊর্ধ্বমুখী দেশের দৈনিক করোনা সংক্রমণের (Coronavirus) গ্রাফ। কিছুটা স্বস্তি মৃত্যুসংখ্যার ক্ষেত্রে। তবে এখনও সামান্য চিন্তায় রাখছে পজিটিভিটি রেট (Positivity Rate)। দেশের পজিটিভিটি রেট ১.৩৫ শতাংশের কাছাকাছি। বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় (Coronavirus) সংক্রমিত হয়েছেন ৪ হাজার ২৭২ জন। যা বুধবার ছিল ৩ হাজার ৬১৫। সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী তা স্পষ্ট।
রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশের সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৪০ হাজার ৭৫০ জন। আগের দিনের থেকে অনেকটাই কমেছে এই অ্যাকটিভ কেস। একদিনে মৃত্যু হয়েছে ২৭ জনের। যা বুধবারও ছিল ৩২। ফলে মৃত্যুসংখ্যা যা কমেছে তা রিপোর্ট থেকেই স্পষ্ট। এখনও পর্যন্ত দেশে ৪ কোটি ৪০ লক্ষ ১৩ হাজার ৯৯৯ জন করোনামুক্ত হয়েছেন।
বর্তমানে সুস্থতার হার (Recovery Rate) ৯৮.৭২ শতাংশ। দেশে করোনা টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে ২১৮ কোটি ১৭ লক্ষের বেশি। গত ২৪ ঘণ্টাতেই ২১ লক্ষ ৬৩ হাজার বেশি মানুষ টিকা পেয়েছেন। টিকাকরণের পাশাপাশি করোনা রোগী চিহ্নিত করতে জোর দেওয়া হচ্ছে টেস্টিংয়েও। গতকাল দেশে ৩ লক্ষ ১৬ হাজার ৯১৬ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনার আওতায় আরও তিন মাস বিনামূল্যে রেশন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে মোদী সরকার। এই সংক্রান্ত সরকারি বিজ্ঞপ্তি আর কয়েকদিনের মধ্যে জারি হওয়ার সম্ভাবনা। এমনটাই কেন্দ্রের এক সূত্রের খবর। করোনা অতিমারীর সময় থেকে বিনামূল্যে পরিবারপিছু ৫ কেজি খাদ্যশস্য প্রদানের ঘোষণা করেছিলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। এই প্রকল্পখাতে গত দু'বছরে ৩ লক্ষ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। আরও তিন মাস এই রেশন প্রদানের মেয়াদবৃদ্ধি হলে ৪৫ হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত সরকারি কোষাগার থেকে বেরোবে। এমনটাই অর্থ মন্ত্রক সূত্রে খবর।
মূলত, আর্থিক এবং সামাজিক ভাবে পিছিয়ে থাকা মানুষের সুরাহা দিতে করোনা কালে এই প্রকল্প মোদী সরকারের মাস্টার স্ট্রোক ছিল। লকডাউন এবং করোনার ফলে কাজ হারানো বহু পরিবার এই রেশনে দু'বেলা ভরপেট খেতে পেয়েছে। তাই উৎসবের মরশুমে আরও একবার এই প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ার সম্ভাবনা। এমনটাই মোদী সরকার সূত্রে খবর।
এদিকে অর্থ মন্ত্রকের একটি সূত্রের দাবি, রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বজুড়ে অপরিশোধিত তেলের দাম বেড়েছে। সে কথা সম্প্রতি আমেরিকাকে বলেছেণ বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। এই পরিস্থিতিতে ভর্তুকি আছে এমন প্রকল্প চালানো কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়ছে। তবে জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইনে এই প্রকল্পের আওতায় ৮০ কোটির বেশি মানুষ উপকৃত হয়েছে।