নতুন বছরে বাংলায় করোনায় প্রথম মৃত্যু। বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ৭ জানুয়ারি করোনা আক্রান্ত এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু ট্যাংরার বাসিন্দা গিরিশ চন্দ্র দাসের। গিরিশবাবু দাস ট্যাংরা সেকেন্ড লেনের বাসিন্দা। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৫২ বছর। ৫ জানুয়ারি বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। গত বছর ২০ ডিসেম্বর করোনায় এই রাজ্যে শেষ মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে।
এদিকে, ওমিক্রনের নতুন উপপ্রজাতি উদ্বেগের কারণ হতে চলেছে। এমনটাই আশঙ্কা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার। চিনের করোনা পরিস্থিতি এখনও উদ্বেগজনক। ইংরাজি নতুন বছরে সে দেশে সংক্রমণ বাড়ার ইঙ্গিত দিয়েছিল একটি মার্কিন সংস্থা। লন্ডনের এক গবেষণা সংস্থার দাবি, জানুয়ারির শেষ দিকে চিনে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ছুঁতে পারে ২৫ হাজার। ২৩ জানুয়ারি করোনায় মৃত্যুর হার শিখর ছুঁতে পারে।
দেশে ফের একবার বাড়ল করোনার দৈনিক সংক্রমণ। করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলিতে বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হয়েছে। চিনে প্রতিদিন প্রায় দশ লাখ মানুষ করোনা আক্রান্ত হচ্ছে বলে খবর। এই পরিস্থিতিতে ভারতে যাতে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে না পারে সে দিকে নজর রেখে একগুতচ্ছ নির্দেশিকা জারি করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
এদিকে, গত ২৬ তারিখ সোমবার, বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল এক বিদেশিনীকে। ভর্তির দিন থেকে ২৯ তারিখ পর্যন্ত প্রতিদিনই আরটিপিসিআর রিপোর্ট করা হয়। যেখানে তাঁর তৃতীয় রিপোর্টটি নেগেটিভ আসে বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। এরপরই তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে জানা গিয়েছে। ওই বিদেশী মহিলার শরীরে নতুন ভ্যারিয়েন্ট BF.7 জীবাণু বাসা বেঁধেছে কিনা, তা জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের পরই বোঝা যাবে। সেই রিপোর্ট পাওয়া যাবে সাত দিন বাদে।
উল্লেখ্য, ওই ব্রিটিশ মহিলা কুয়ালালামপুর থেকে কলকাতা হয়ে বুদ্ধগয়া যাচ্ছিলেন। রিপোর্ট পজিটিভ আসায় তাঁকে কলকাতা বিমানবন্দরেই আটকে দেওয়া হয়। ওই বিমানে থাকা বাকি যাত্রীদেরও পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
রাজ্যে সামান্য বাড়ল দৈনিক সংক্রমণ, তবে টানা ৪ দিন একই জায়গায় দৈনিক মৃত্যু। ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমিত ২৮৩ জন, মৃত এক। একদিনে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৮৫ জোন, সুস্থতার হার সামান্য কমে ৯৮.৮৮%। এই মুহূর্তে রাজ্যে পজিটিভিটি রেট ৩.৭১%। এদিকে, দেশজুড়ে শুরু হয়ে গিয়েছে উৎসবের মরসুম। দীর্ঘ দু'বছর করোনা মহামারীর (Coronavirus) দাপটে আনন্দ উৎসব থেকে দূরে থাকলেও, এবার সামান্য স্বস্তি। শুক্রবার দেশের দৈনিক সংক্রমণ ৬ হাজারের গণ্ডি টপকে গেলেও বৃহস্পতিবারের থেকে কমেছে সংক্রমিতের সংখ্যা। শনিবারও সেই ধারা বজায় রেখেছে দেশের কোভিড গ্রাফ। যদিও চিন্তার বিষয় অ্যাকটিভ কেসের ক্ষেত্রে। তবে ভয়ের কিছু নেই বলেই জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
শনিবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৫ হাজার ৭৪৭ জন। যা বৃহস্পতিবার ছিল ৬ হাজার ২৯৮ জন। রিপোর্ট অনুযায়ী, মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫ লক্ষ ২৮ হাজার ৩০২ জন। বর্তমানে দেশের দৈনিক পজিটিভিটি রেট ১.৮৯ শতাংশ।
রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশের সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৪৬ হাজার ৮৪৮ জন। শতকরা হিসেবে মোট আক্রান্তের ০.১১ শতাংশ। যা আগের দিনও ছিল সামান্য বেশি। এখনও পর্যন্ত দেশে ৪ কোটি ৩৯ লক্ষ ৫৩ হাজার ৩৭৪ জন করোনামুক্ত হয়েছেন। একদিনে কোভিডের কবল থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৫,৬১৮ জন।
রাজ্যে সামান্য বাড়ল করোনার দৈনিক সংক্রমণ (Covid 19)। একই জায়গায় দাঁড়িয়ে দৈনিক মৃত্যু। একদিনে সংক্রমিত ২৮০ জন, মৃত এক। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ (Corona Recovery) হয়েছেন ২০৩ জন, সুস্থতার হার ৯৮.৮৯%। রাজ্যে এই মুহূর্তে পজিটিভিটি রেট ৩.১৯% (Positivity Rate)। পুজোর দু'সপ্তাহ আগে বাংলায় করোনার এই সার্বিক গ্রাফ স্বস্তিতে রাখছে স্বাস্থ্য দফতরকে।
এদিকে, গত প্রায় ৩ বছর করোনা অতিমারি নিয়ে জেরবার গোটা বিশ্ব। ২০১৯ সালের পর থেকে মানুষ যতবার ভেবেছেন করোনা অতিমারির আতঙ্ক শেষ, ততবার নতুন রূপ ধারণ করে ফিরে এসেছে করোনা ভাইরাস। তবে এর শেষ কোথায়? কবে আবার স্বাধীনভাবে স্বতঃস্ফূর্তভাবে ঘুরতে পারবে সাধারণ মানুষ? কবেই বা কাটবে এই মহামারির আতঙ্ক? এই প্রশ্ন প্রায় অনেকদিন ধরে ঘুরপাক খাচ্ছে মানুষের মনে।
এবার করোনা অতিমারি নিয়ে আশার আলো জাগালেন WHO-এর প্র্রধান টেড্রস অ্যাডানম গেব্রিয়েসাস। এই করোনা আতঙ্ক না কি এবার সত্যিই শেষ হতে চলেছে? তিনি বললেন, গোটা বিশ্বে উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গিয়েছে করোনা মহামারীর দাপট। এটি অত্যন্ত ভালো লক্ষণ। এবার এই অধ্যায়ের শেষ হতে চলেছে বলেই মনে করছেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত বছর হু- এর প্রধান বিজ্ঞানী জানিয়েছিলেন যে, ২০২২ সালেই নাকি শেষ হতে চলছে করোনা মহামারী। এরপর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে পারবে মানুষ। পাশাপাশি এও বলেছেন, যদি মানুষ ফের অসতর্ক হয়ে যান, তাহলে ফের ভয়াবহ হতে পারে। যদিও এখন ভাইরাসের ক্ষমতা কিছুটা খর্ব হয়েছে। এখনই এই ভাইরাসের থেকে চিরতরে মুক্তি মিলবে না।
রাজ্যে একধাক্কায় সামান্য কমল করোনার (Covid-19) দৈনিক সংক্রমণ। একই রইল ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু। একদিনে সংক্রমিত (Coronavirus) ২২২ জন, মৃত তিন। রবিবার সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩২৫ জন, সুস্থতার হার ৯৮.৮৪%। এই মুহূর্তে পজিটিভিটি রেট (Positivity Rate) ২.৪৮%। পুজোর আগে সার্বিক করোনা চিত্রে স্বস্তিতে স্বাস্থ্য দফতর।
এদিকে, ফের কিছুটা নিম্নমুখী। দেশের দৈনিক সংক্রমণ রবিবারও কিছুটা কমলেও এখনই বিদায় নিচ্ছেনা করোনা মহামারী, এমনটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। পরপর দু’দিন দেশে এই মারণ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যাটা ১০ হাজারের কম। তবে ঊর্ধ্বমুখী দেশের মৃত্যুসংখ্যা। স্বস্তি অ্যাকটিভ কেস ও পজিটিভিটি রেটের ক্ষেত্রে।
রবিবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৯ হাজার ৪৩৬ জন। যা শনিবার ছিল ৯ হাজার ৫২০ জন। গতকালের তুলনায় কম। একদিনে মৃত্যু হয়েছে ৫৭ জনের। শনিবার যেখানে মৃত্যুসংখ্যা ছিল ৪১। ফলে মৃত্যুসংখ্যা যে ঊর্ধ্বমুখী, তা পরিসংখ্যান থেকে স্পষ্ট। রিপোর্ট অনুযায়ী, মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫ লক্ষ ২৭ হাজার ৭৫৪ জন। বর্তমানে দেশের সাপ্তাহিক পজিটিভিটি রেট ৩.৪০ শতাংশের কাছাকাছি।
রাজ্যে একধাক্কায় সামান্য বাড়ল করোনার দৈনিক সংক্রমণ। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় একই থাকল মৃত্যু। একদিনে রাজ্যে সংক্রমিত ২৮৩ জন, মৃত ৩। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩৪৬, সুস্থতার হার ৯৮.৮৪%। রাজ্যে এই মুহূর্তে পজিটিভিটি রেট বা আক্রান্তের হার ২.৯৪%। এদিকে, রাজ্যে শুক্রবার একধাক্কায় সামান্য কমেছিল করোনার দৈনিক সংক্রমণ, বেড়েছিল দৈনিক মৃত্যু। ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমিত হয়েছিল ২৩২ জন, মৃত ছিলেন তিন। একদিনে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছিলেন ৩৬৫ জন, সুস্থতার হার ছিল ৯৮.৮৩%। পজিটিভিটি রেট দাঁড়িয়েছিল ২.২৩%। পুজোর আগে সার্বিক এই করোনা চিত্র কিছুটা হলেও স্বস্তিতে রাখছে স্বাস্থ্য দফতরকে।
পাশাপাশিগত কয়েকদিনের করোনাগ্রাফে (Coronavirus) স্বস্তি মিললেও ফের টানা ঊর্ধ্বমুখী দেশের দৈনিক সংক্রমণ। শুক্রবার বুধবারের মতোই ১০ হাজারের গণ্ডি টপকে গিয়েছিল করোনা সংক্রমণ (Covid-19)। তবে এদিন মৃতের সংখ্যা বেড়েছে। স্বস্তি অ্যাকটিভ কেস (Active Case) ও পজিটিভিটি রেটের (Positivity Rate) ক্ষেত্রে।
শুক্রবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় সংক্রমিত হয়েছিলেন ১০ হাজার ২৫৬ জন। যা বৃহস্পতিবার ছিল ১০ হাজার ৭২৫ জন। গতকালের তুলনায় কম। একদিনে মৃত্যু হয়েছে ৬৮ জনের। বৃহস্পতিবার যেখানে মৃত্যুসংখ্যা ছিল ৩৬। ফলে মৃত্যুসংখ্যা যে ঊর্ধ্বমুখী, তা পরিসংখ্যান থেকে স্পষ্ট। রিপোর্ট অনুযায়ী, মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫ লক্ষ ২৭ হাজার ৫৫৬ জন।