২ জুন ওড়িশার বালাসোরের বাহানাগা বাজারের কাছে লাইনচ্যুত হয় করমণ্ডল এক্সপ্রেস (Coromondel Express Accident)। তারপর ২ সপ্তাহ পেরিয়েও থামেনি আর্তনাদ। বেসরকারি হিসেবে বলছে কমপক্ষে ২৮৮ জনের মৃত্যু হয়েছে এই দুর্ঘটনায়। খবর পেয়ে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের সওয়ারিদের বাড়ির লোক ছুটে গিয়েছিলেন ঘটনাস্থলে। অনেকেই মৃতদেহ সনাক্ত করে বাড়ি নিয়ে গিয়েছিলেন। আবার কিছু মৃতদেহ এতটাই ছিন্ন বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে যে সেই দেহ সনাক্ত করা অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ভারতীয় রেলওয়ে আগেই জানিয়েছিলেন, করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় মৃতদেহ দাবি করতে হলে ডিএনএ পরীক্ষা করা বাধ্যতামূলক। এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার অবশ্য আরও একটি কারণ রয়েছে। এই পরিস্থিতির সুযোগ নিতে চাইছেন কিছু অসাধু ব্যক্তি। দেখা গিয়েছে, ক্ষতিপূরণের লোভে একটি মৃতদেহর জন্য প্রায় ৮ জন দাবিদার এসে হাজির হচ্ছে। এই পরিস্থিতি সামাল দিতেই তাই রেল কর্তৃপক্ষ এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
আবার এই নিয়মে সমস্যায় পড়েছেন অনেকে। দেখা গিয়েছে, অনেকেই মৃতদেহ সনাক্ত করে ফেলেছেন। কিন্তু ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্ট না আসায় সেই মৃতদেহ বাড়ি নিয়ে যেতে পারছেন না। অনেক ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, সেই ডিএনএ পরীক্ষার ফলাফল আসতে ১২ দিনও সময় লেগে যাচ্ছে। সব মিলিয়ে এখনও করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় মৃতদেহ সনাক্তকরণের সমস্যা কাটেনি।
শুক্রবার সন্ধ্যায় মর্মান্তিক দুর্ঘটনার সাক্ষী হয়েছে গোটা দেশ। ওড়িশার কাছে বালেশ্বরে করমণ্ডল এক্সপ্রেস (Coromondel express accident), মালগাড়িতে ধাক্কা মেরে লাইন থেকে ছিটকে যায়। প্রায় ২০টি কামরা দেশলাই বাক্সের মতো এদিক ওদিক উল্টে পড়ে। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় মৃতের সংখ্যা ২৮৮ জন। জখম হয়েছেন অন্তত ৯০০ জন। এই ঘটনায় মুখে খুললেন অভিনেতা সোনু সুদ (Sonu Sood)। তাঁর বক্তব্য সরকারের উদ্দেশেই।
তিনি সামাজিক মাধ্যমে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। সোনু বলছেন, 'ওড়িশাতে একটি দুঃখজনক ঘটনা ঘটেছে, পুরো দেশ এই সময় শোকে। আমরা দুঃখপ্রকাশ করছি, টুইট করছি কিন্তু কিছুদিন পরে নিজের জীবনে ব্যস্ত হয়ে পড়ব। কিন্তু তাঁদের পরিবারের কী হবে। অনেকে হয়তো রুটি অর্জন করতে বেরিয়েছিলেন, মজদুর- শ্রমিক, তাঁদের পরিবার তো শেষ হয়ে গেল। আমার মনে হয় না তাঁরা আর উঠে দাঁড়াতে পারবেন। তাঁরা যা ক্ষতিপূরণ পাবেন, হয়তো দু-চার মাসে শেষ হয়ে যাবে। আহতরা ক্ষতিপূরণ পাবেন কিন্তু তাও হয়তো শেষ হয়ে যাবে।'
Heartbroken by the news of the train tragedy in Odisha. Heartfelt deepest condolences 💔🙏
— sonu sood (@SonuSood) June 3, 2023
Time to show our support and solidarity for the unfortunates. 💔#OdishaTrainAccident 🇮🇳 pic.twitter.com/ZfuYYp8HK9
সোনু বলছেন, 'যার কাঁধ ভেঙে গিয়েছে, পা বাদ চলে গিয়েছে তাঁরা কী আর উঠে দাঁড়াতে পারবে? সরকার খুব ভালো কাজ করছে। কিন্তু আমার মনে হয় সরকারের একটি স্কিম আনা উচিৎ। যাতে এমন দুঘটনায় আহতদের প্রত্যেক মাসে নির্দিষ্ট অর্থ একাউন্টে ঢোকে। যে পরিমাণ অর্থ সরকার দিক না কেন প্রত্যেক মাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা পেলে সেই মানুষদের সুবিধা হবে।'