লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট শুরু। সকাল থেকেই উত্তপ্ত কোচবিহারের একাধিক এলাকা। ফের উত্তপ্ত সেই শীতলখুচি। শীতলখুচির ছোট শালবাড়ি এলাকায় সংঘর্ষে জড়াল তৃণমূল-বিজেপি। ওই এলাকার ২৮৬ নম্বর বুথের বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের হাতাহাতি হয়। দু’পক্ষের বেশ কয়েক জন ঘটনায় জখম হয়েছেন বলে খবর।
পাশাপাশি, শীতলকুচি ব্লকের গোসাইরহাট অঞ্চলের অন্তর্গত বড় ধাপের চাত্রার ২০১ নম্বর বুথে এক বিজেপি কর্মীকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। পরে ঘটনাস্থলে আসে বিশাল পুলিস বাহিনী এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। একই ছবি ধরা পড়েছে ১৩৯ নম্বর বুথেও।
প্রত্যেকবারই নির্বাচনের সময় খবরের শিরোনামে থাকে কোচবিহার। বিজেপি এবং শাসক শিবিরের মধ্যে চলছে অভিযোগ ও পালটা অভিযোগের পালা। তুফানগঞ্জ দুই নম্বর ব্লকের বারকোদালি দুই গ্রাম পঞ্চায়েতের ৯/২২৬ ও ৯/২২৭ নম্বর বুথে তৃণমূলের বুথ এজেন্টকে ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে। তৃণমূলের ভোটারদের ভোট দিতে না যাওয়ার হুমকি। এমনকি তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য কেও প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি, অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে সংশ্লিষ্ট এলাকায়।
ভরা বাজারে ব্য়বসায়ীকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছে এক যুবকের বিরুদ্ধে। গতকাল, বৃহস্পতিবার রাত দশটা নাগাদ তুফানগঞ্জ-১ নং ব্লকের মারুগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতের মারুগঞ্জ বাজারে ঘটনাটি ঘটেছে। খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে যায় তুফানগঞ্জ থানার বিশাল পুলিস বাহিনী। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ব্য়বসায়ীর নাম সজল সাহা (৩৫)। যদিও পুলিস আসার আগেই ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত।
প্রত্য়ক্ষদর্শী সূত্রে খবর, মারুগঞ্জ বাজারের ওপরেই মুদিখানার দোকান ব্য়বসায়ী সজলের। প্রতিদিনের মতোই রাতে কাজ সেরে দোকানের শাটার বন্ধ করছিলেন ওই ব্যবসায়ী। সেই সময় আচমকা এক যুবক ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাঁর মাথায় ও বুকে এলোপাথারি কোপাতে শুরু করে। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে রক্তাক্ত অবস্থায় দোকানের সামনেই লুটিয়ে পড়েন ওই ব্যবসায়ী। এরপর খবর দেওয়া হয় পুলিসকে।
এরপর রক্তাক্ত অবস্থায় ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্য়ু হয় তাঁর। গোটা ঘটনা ঘিরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে অন্যান্য ব্যবসায়ীদের মধ্যে। ইতিমধ্য়ে গোটা ঘটনার তদন্তের পাশাপাশি অভিযুক্তে খোঁজ শুরু করেছে পুলিস।
হিংসা কোনওভাবেই বরদাস্ত করা যাবে না। যে কোনও মূল্যে হিংসা দমন করা হবে। উত্তরবঙ্গে গিয়ে বার্তা দিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। কোচবিহারে তৃণমূল বিজেপি সংঘর্ষ জারি রয়েছে। গতকাল রবিবার কোচবিহারে হামলার ঘটনা ঘটেছে। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গাড়ির কাঁচ ভাঙা হয়।
ভোট যত এগিয়ে আসছে, তত উত্তেজনা বাড়ছে। কোচবিহারে নিশীথ প্রামাণিক বনাম উদয়ন গুহ চর্চা বাড়ছে বিভিন্ন মহলে। রবিবার সন্ধ্যার পরে একটি রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা দেখা যায়। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহর গাড়ির উপর হামলা হয়। ওই ঘটনায় বিজেপিকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
দিনহাটা থেকে কোচবিহারে যাচ্ছিলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী। ঘুঘুমারি এলাকায় তাঁর গাড়ি পৌঁছেছিল। সেই সময় বিজেপির একটি র্যালি চলছিল সেখানে। সেই র্যালির কিছু লোকজন মন্ত্রীর গাড়িতে হামলা চালায়। গাড়ির ভেঙে দেয়। এমনই অভিযোগ উদয়ন গুহর। ঘটনার পর থেকেই রাজনৈতিক অস্থিরতা শুরু হয়ে গিয়েছে। কয়েক সপ্তাহ আগেও কোচবিহারে রাজনৈতিক অস্থিরতা দেখা যায়। দিনহাটায় নিশীথ প্রামাণিক বনাম উদয়ন গুহ হাতাহাতি হয়ে গিয়েছিল। রাস্তার মধ্যেই কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী ও রাজ্যের মন্ত্রী এভাবে হাতাহাতি, ধাক্কাধাক্কি করবে। এটা কল্পনাও করা যায় না। তৃণমূল - বিজেপি কর্মী সমর্থকরাও মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি আয়ত্ত্বে আনতে গিয়ে মহকুমা শাসকের মাথা ফেটেছিল। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস গিয়েছিলেন সেখানে। হিংসা দমন করার জন্য বার্তা দিয়েছিলেন। বিস্তারিত রিপোর্টও তিনি চেয়েছিলেন প্রশাসনের কাছ থেকে। কিন্তু তারপরেও হিংসা একইভাবে চলছে। গতকাল রবিবারের ঘটনা তারই প্রমাণ। বলছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
এই অবস্থায় রাজ্যপাল ফের বার্তা দিলেন। জলপাইগুড়িতে ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করার জন্য রাজ্যপাল উত্তরবঙ্গে পৌঁছেছেন। বাগডোগরা বিমানবন্দরে সকালে তিনি নামেন। রাজ্যপাল বলেন, "আমরা যে কোনও মূল্যে হিংসাকে দমন করব। এটা লম্বা প্রক্রিয়া। কিন্তু আমরা এটা করব।" নির্বাচন এলেই কোচবিহার জেলায় একাধিক রাজনৈতিক সংঘর্ষের ঘটনা সামনে আসে। অতীতে এই ঘটনা একাধিকবার দেখা গিয়েছে। এবারও কি সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে? প্রশ্ন উঠছে।
বাইসনের হামলায় মৃত্যু এক। গুরুতর আহত আরও একজন। ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহার নিশীগঞ্জ ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের খোকো বাড়ি এলাকায়। জানা গিয়েছে, মৃতের নাম রমণী সরকার (৬৫)। বর্তমানে আহত ব্য়ক্তি মাথাভাঙ্গা মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল অর্থাৎ রবিবার সকালে থেকেই মাথাভাঙ্গা ২ ব্লকের নিশীগঞ্জ এলাকায় দুটি বাইসন দেখতে পায় স্থানীয়রা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান বন বিভাগের কর্মীরা। এরপরেই বাইসনের হামলায় ওই এলাকার দুইজন আহত হয়। তার মধ্যে রমণী সরকার বাড়ির পিছনে কাজ করছিল। সেই সময় পিছন দিক বাইসন এসে তাঁর উপর হামলা চালায়। এরপর তড়িঘড়ি তাঁকে প্রথমে নিশীগঞ্জ প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে অবস্থা অবনতি হওয়ার কারণে তাঁকে কোচবিহারের হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনাকে ঘিরে গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
ঘর থেকে উদ্ধার হল অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রীর ঝুলন্ত মৃতদেহ। বুধবার সকালে ঘটনায় চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে কোচবিহারের মাথাভাঙ্গা ১ নং ব্লকের পচাগড় গ্রাম পঞ্চায়েতের বাবুরটারি এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিস গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য় নিয়ে যায়
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, স্কুলে রেজাল্ট আনতে যাওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছিল ওই ছাত্রী। তারপর বেশ কিছুক্ষণ হয়ে যাওয়ায় পর সন্দেহ হওয়ায় ঘরে ঢুকে মেয়েকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান পরিবারের সদস্যরা। এরপর ওই নাবালিকাকে উদ্ধার করে তড়িঘড়ি মাথাভাঙ্গা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষনা করে। এই ঘটনার জেরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা এলাকায়। তবে কী কারণে ওই ছাত্রী এমন ঘটনা ঘটাল তা বুঝে উঠতে পারছেন না তার পরিবারের সদস্যরা।
রাস উৎসবে (Rash Yatra) দুই ফুলের খেলা। কোচবিহারের (Coochbehar) মদনমোহন রাস উৎসবের আমন্ত্রনপত্রে ঠাসা শাসক নেতা মন্ত্রীদের নাম। কিন্তু নাম নেই গেরুয়া শিবিরের নেতাদের। ফলে সরকারি মেলা অনুষ্ঠানে বিরোধী বঞ্চনার অভিযোগ উঠল।
রাসের রাশ যেন ধরল রাজনীতি। কোচবিহারের ঐতিহ্যবাহী মদনমোহন রাস উৎসবে ভেদাভেদের ছবি ফুটে উঠল। বিজেপির অভিযোগ, পুরসভা আয়োজিত মেলার আমন্ত্রণপত্রে রয়েছে একাধিক শাসক নেতা-মন্ত্রীর নাম। ফলে প্রশ্ন উঠছে, সরকারি উৎসবে কি বঞ্চিত বিরোধী দলের জনপ্রতিনিধিরা?
আমন্ত্রণপত্রে রয়েছে শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব থেকে শুরু করে বুলুচিক বরাইকের নাম। এদিকে বিজেপির অভিযোগ, কোচবিহারের বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক, কোচবিহার উত্তর, কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়কদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। পাল্টা পুরসভার চেয়ারম্যানের দাবি, জেলার গুরুত্বপূর্ণ সকলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। সময় মতো চিঠি পৌঁছে যাবে।
উৎসবের মেজাজেও রাজনীতির দুই ফুলের খেলা। কোচবিহারের রাস মেলার উদ্বোধন হওয়ার কথা রয়েছে ২৭ নভেম্বর। পুরসভা জেলার কাদের গুরুত্বপূর্ণ তালিকায় রাখল, তা নির্ভর করবে আমন্ত্রণপত্র পৌঁছনোর উপরই।
রাজ্য়ে বারংবার প্রশাসনের বিরুদ্ধে উঠে আসছে প্রশ্ন। জয়নগরের তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনার পর আমডাঙায় তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের খুন। একের পর এক তৃণমূল নেতার খুনে উত্তপ্ত বাংলা। সেই রেশ কাটতে না কাটতে কোচবিহারের বলরামপুরে খুন ছানা ব্যবসায়ী। বৃহস্পতিবার রাতে ছানা বিক্রি করে বাড়ি ফেরার পথে এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে। অভিযোগ, কুপিয়ে খুন করা হয়েছে ওই ছানা ব্য়বসায়ীকে। ঘটনায় পথ অবরোধে বিক্ষোভ স্থানীয়দের। পুলিস সূত্রে খবর, মৃত ব্য়বসায়ীর নাম সুব্রত ঘোষ (৩৫)। বাড়ি দিনহাটার নাজিরহাটে। খুনের ঘটনায় উত্তপ্ত কোচবিহারের দিনহাটা।
নিহতের পরিবার জানিয়েছে, গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার রাতে ছানা বিক্রি করে বাড়ি ফিরছিলেন ওই ব্য়বসায়ী। সেই সময় একদল দুস্কৃতী এসে হামলা চালায় তাঁর ওপর। গুরুতর আহত হয়ে ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় তাঁর। তারপর এদিন সকালে স্থানীয়রা ওই ব্য়বসায়ীকে মৃত অবস্থায় রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখেন বলে জানা গিয়েছে। এরপর খবর দেওয়া হয় তুফানগঞ্জ থানায়। খবর পাওয়া মাত্রই তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে তুফানগঞ্জ থানার পুলিস গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে এবং ময়নাতদন্তের জন্য় পাঠায়।
এই ঘটনার তদন্ত করে দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা। যদিও এখনও পর্যন্ত এই খুনের ঘটনার কিনারা খুঁজে পায়নি পুলিস। তবে কে কা কী কারণে খুন করা হয়েছে তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
কালীপুজোর পরের দিন অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যাক্তির মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য আলিপুরদুয়ারে। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে ফালাকাটা ব্লকের দলগাঁও ফরেস্টের এক নম্বর কম্পার্টমেন্টের সিকিয়া ঝোরা নদী সংলগ্ন এলাকায়। এখনও অবদি মৃত ব্যক্তির পরিচয় পাওয়া যায়নি। ঘটনাস্থলে জটেশ্বর ফাঁড়ির পুলিস গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, রাস্তার পাশ দিয়ে যাওয়ার পথে দেখতে পান অজ্ঞাত পরিচয় ওই ব্যক্তিকে। এরপর খবর দেওয়া হয় পুলিসকে। তবে মৃত ওই ব্যক্তিকে আগে কোনোদিন এলাকায় দেখা যায়নি বলে জানান স্থানীয়রা। মৃত ব্যক্তির পরিচয় জানার চেষ্টা করার পাশাপাশি এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
পাশাপাশি এদিন সাতসকালে কোচবিহার শহর সংলগ্ন শিবযজ্ঞ রোড সংলগ্ন এলাকায় ড্রেনের মধ্যে থেকে উদ্ধার এক ব্যক্তির মৃতদেহ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুন্ডিবাড়ি থানার পুলিস গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে কোচবিহার এম জে এন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। পুলিস সূত্রে খবর, উদ্ধার হওয়া মৃত ব্যক্তির নাম সঞ্জয় কর্মকার।
স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রতিদিনের মতো এদিন সকালে হাঁটতে বেরিয়ে তাঁরা দেখতে পান ড্রেনের মধ্যে ওই ব্যক্তির মৃতদেহ পড়ে রয়েছে। এরপর খবর দেওয়া হয় পুলিসকে। খবর পেয়ে পুন্ডিবাড়ী থানার পুলিস গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায়। এই পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুন্ডিবাড়ী থানার পুলিস।
মাথায় ভেঙে পড়ল সিলিং ফ্যান (Ceiling fan)। মুখে দগদগে ক্ষত। গোটা রাত যন্ত্রণায় কাতরেছে আহত ছাত্রী। যতবার মুখের ক্ষতটা চোখে পড়ছে তত যেন আতঙ্ক আরও বাড়ছে। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছিল কোচবিহার (Cooch Behar) মেখলিগঞ্জের (Mekliganj) উচলপুকুরী কৃষক উদ্যোগ উচ্চ বিদ্যালয় এখন আতঙ্কের অপর নাম। জানা গিয়েছে, বুধবার ক্লাস চলাকালীনই আচমকা সিলিং ফ্যান ভেঙে পড়ে একাদশ শ্রেণির দুই ছাত্রীর মাথায় (Injured Students)। আহত দুই ছাত্রীর নাম কৃত্তিকা বর্মন ও বর্ণালি রায়।
আহত ছাত্রী বর্ণালি রায় বলে, বিদ্যালয়ের ভঙ্গুর পরিকাঠামো। ক্লাসরুমে দীর্ঘদিন ধরে খারাপ অবস্থায় রয়েছে ফ্যান গুলো। স্কুল কর্তৃপক্ষকে বলেও কোনও লাভ হয়নি। এই দুর্ঘটনা আবারও ঘটতে পারে, যদি পরিচর্যা সঠিকভাবে না হয়। বর্ণালির প্রশ্ন, তার মুখের ক্ষতের দায় নেবে কে?
চোর পালালে বুদ্ধি বাড়ার মতো স্কুল কর্তৃপক্ষের টনক নড়েছে। আগে তো লিখিত অভিযোগ পাননি। এখন খারাপ ফ্যানগুলি সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় সাফাই দিতেই ব্যস্ত স্কুল ইনচার্জ সুশান্ত কুমার দে।
উল্লেখ্য, ঘটনার পর আহত দুই ছাত্রীকে উদ্ধার করে সঙ্গে সঙ্গে জামলদাহা প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। যেখানে বর্ণালিকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। বর্তমানে বাড়িতে রয়েছে বর্ণালি। তবে কৃত্তিকা বর্মন গুরুতর আহত হওয়ায় জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিস্ট হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
কার গাফিলতির মাসুল গুনছে পড়ুয়ারা? একের পর এক দুর্ঘটনা, একের পর এক ক্ষত! আর কবে হুঁশ ফিরবে স্কুল কর্তৃপক্ষের?
রাতের অন্ধকারে শ্যুট আউটের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল কোচবিহারের (Cooch Behar) খাগড়াবাড়ি সংলগ্ন মহিষবাথান এলাকায়। ১৭ নং জাতীয় সড়কের (National Highway) উপর থেকে উদ্ধার এক জমি ব্যবসায়ীর গুলিবিদ্ধ (shoot out) দেহ। তড়িঘড়ি উদ্ধার করে কোচবিহারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। জাতীয় সড়কের (NH 31) উপর এমন ঘটনায় আতঙ্কিত আশপাশের মানুষজন। সোমবার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান কোচবিহারের অতিরিক্ত পুলিস সুপার সহ উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা।
পুলিস সূত্রের খবর, সুশীল চন্দ্র দাস নামের ওই জমি ব্যবসায়ী পুন্ডিবাড়ি থানার অন্তর্গত খারিজা কাকড়িবাড়ি এলাকার বাসিন্দা। পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, রবিবার রাতে রাজারহাট এলাকা থেকে বাড়ি ফিরছিলেন ব্যবসায়ী। সেই সময় এই ঘটনাটি ঘটে। জমি বিবাদের জেরেই এই ঘটনা বলে অনুমান তাঁদের।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান কোচবিহারের অতিরিক্ত পুলিস সুপার কুমার সানি রাজ, ডিএসপি হেডকোয়ার্টার চন্দন দাস সহ অন্যান্য উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা। কে বা কারা ওই ব্যবসায়ীকে গুলি করেছে তার তদন্ত শুরু করেছে পুন্ডিবাড়ি থানার পুলিস।
আবারও রাজ্যে আত্মঘাতী বিএসএফ জওয়ান (BSF Jawan)। এবার ঘটনাস্থল কোচবিহারের (Cooch Behar) শীতলকুচি (Sitalkuchi)। বিএসএফ সূত্রে খবর, শুক্রবার ভোরে নিজের সার্ভিস রিভলভার থেকে বুকে গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী (Death) হয়েছেন তিনি। সহকর্মীরা তাঁকে উদ্ধার করে দ্রুত শীতলকুচি ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
জানা গিয়েছে, মৃত জওয়ানের নাম এন এম স্বামী। তাঁর বাড়ি অন্ধ্রপ্রদেশে। কোচবিহারের শীতলকুচি ব্লকের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের গাদোপোতায় ক্যাম্পে থাকতেন তিনি। অন্যান্য জওয়ানরা জানান, শুক্রবার ভোররাতে আচমকা গুলির শব্দ পান তাঁরা। তখনই দেখতে পান রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন এন এম স্বামী। তড়িঘড়ি উদ্ধার করে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলেও শেষরক্ষা হয়নি। পারিবারিক অশান্তির জেরেই এমন ঘটনা হতে পরে বলে আশঙ্কা করছেন সহকর্মীরা।
কিন্তু কেন এমন ঘটনা? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বিএসএফের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মাথাভাঙ্গায় পাঠানো হয়েছে। জওয়ানের ‘আত্মহত্যা’ নিয়ে বাহিনীর তরফে এখনও সরকারি ভাবে কিছু জানানো হয়নি। যদিও এ ঘটনা নতুন নয়। এর আগেও সেনা জওয়ানদের আত্মঘাতী হওয়ার খবর সামনে এসেছে।
বড়সড় সাফল্য অর্জন করল নিউ কোচবিহার আরপিএফের (RPF) স্পেশাল টীম। বহুমূল্যের হেরোইন (Brownsugar) সহ এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল আরপিএফ এর স্পেশাল টীম। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ওই ব্যক্তির নাম আব্দুল করিম। বাড়ি আসামের করিমগঞ্জ জেলার বাংলাদেশ সংলগ্ন বদরপুরে। তল্লাশি অভিযান চালিয়ে ওই ব্যক্তির কাছ থেকে প্রায় ৫ লক্ষ টাকার বাজার মূল্যের হেরোইন উদ্ধার হয়।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে আরপিএফের বিশেষ টিম আসাম থেকে নিউ কোচবিহার রুটের বিভিন্ন গাড়িগুলি নজরদারি শুরু করেন। এরপর নিউ কোচবিহারের রেলওয়ে স্টেশনের ওয়েটিং রুমে একজন ব্যক্তিকে সন্দেহের বসে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই সম্পূর্ণ বিষয়টি সামনে আসে। তারপর ওই ব্যক্তিকে তল্লাশি করতেই উদ্ধার হয় হেরোইন। সূত্রের খবর, অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি আসাম থেকে দশটি প্যাকেটে করে এই হেরোইন গুলি নিউ কোচবিহারের এক ব্যক্তির কাছে হ্যান্ডওভার করতে এসেছিলেন। আর তখনই আরপিএফের হাতেনাতে ধরা পরে যায় ওই ব্যক্তি।
তবে ওই ব্যক্তি কোন জায়গা থেকে এই ব্রাউন সুগার নিয়ে আসছিল এবং আর কারা কারা এই হেরোইন পাচার চক্রের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পারিবারিক বিবাদের জেরে গুলিবিদ্ধ (Shot) মহিলা। ঘটনায় গুরুতর জখম (Injury) হন ওই মহিলা। মঙ্গলবার সকালে কোচবিহার জেলার শীতলকুচির পাঠান টুলি এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটেছে। জানা গিয়েছে, আহত ওই মহিলার নাম রাশেদা বিবি। অভিযোগ, নিজেদের পরিবারের লোকই গুলি চালিয়েছে। গুলি চালানোর ঘটনায় ব্য়পক চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রত্যক্ষদর্শীরা ওই আহত মহিলাকে উদ্ধার করে প্রথমে তড়িঘড়ি পার্শ্ববর্তী শীতলকুচি ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। তবে সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য মাথাভাঙ্গা মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। আহত মহিলার ছেলে জানিয়েছে, এক আত্মীয়ের চাষের জমিতে তাঁদের ছাগল ঢুকে গিয়েছিল। সেই কারণে প্রথমে ঝামেলা শুরু হয়। তারপর তাঁদের আত্মীয়দের মধ্য়ে একজন গুলি চালায় এবং সেই গুলি গিয়ে লাগে রাশেদা বিবির গায়ে।
কিন্তু কিভাবে গুলি লাগলো আর ঠিক কি কারণে গুলি চালানো হয়েছিল, সেই বিষয়টি এখনও পরিষ্কার নয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে মোতায়েন রয়েছে শীতলকুচি থানার পুলিস। পাশাপাশি এই গোটা ঘটনাটির তদন্ত শুরু করেছে পুলিস প্রশাসন।
বাবাকে খুন (Dead) করে আত্মঘাতী ছেলে। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহারের (CoochBehar) মেখলিগঞ্জের কুচলিবাড়িতে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কুচলিবাড়ি থানার পুলিস। পুলিস মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতেল পাঠায়। ইতিমধ্যেই এই গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস (Police)। পুলিস সূত্রে খবর, মৃতদের নাম টফসুল হোসেন (৪৫) ও তার ছেলে আবু বক্কর দিদ্দিক সিদ্দিক (৩০)। তাঁরা কোচবিহারের শুক্টাবাড়ি এলাকার বাসিন্দা।
স্থানীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার এলাকার বাসিন্দারা স্থানীয় একটি স্কুলের বারান্দায় প্রথমে একটি ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান। এরপরেই বিদ্যালয়ের ভিতরে আর একটি দেহ রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখতে পান। স্থানীয়দের প্রাথমিক অনুমান, প্রথমে পিতাকে খুন করে ছেলে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
সূত্রের খবর, স্থানীয় ওই বিদ্যালয়ের জলট্যাঙ্কি তৈরির কাজেই তাঁরা বেশকিছুদিন ধরে কাজ করছিলেন। তাঁদের সঙ্গে আরও এক যুবক ছিল। এই ঘটনায় স্থানীয় এক বাসিন্দা শ্যামাপদ অধিকারী বলেন, 'ভোররাতে এক যুবক তার বাড়িতে ভয়ে পালিয়ে আসে। পরে তিনি ওই যুবকের কাছে জানতে পারেন স্কুলে ঘরের ভিতরে ছেলে তাঁর বাবাকে লাঠির আঘাতে খুন করেছে। আর এসবকিছু দেখার পর ওই যুবক স্কুলের জানলা খুলে পালিয়ে আসে।'
রাস্তার ধার থেকে এক ব্য়ক্তির মৃতদেহ (Dead) উদ্ধার (Rescue) ঘিরে চাঞ্চল্য় কোচবিহারে। শুক্রবার, এই ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহার (CoochBehar) জেলার তুফানগঞ্জ ২ নং ব্লকের রামপুর ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের জালধোয়া বালাবাড়ি এলাকায়। জানা গিয়েছে, মৃত ওই ব্য়ক্তির নাম ধনো বর্মন (৫৫)। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বক্সীরহাট থানার অধীন জোড়াই ফাঁড়ির পুলিস। মৃতের পরিবারের দাবি, খুন করা হয়েছে। এই ঘটনার পর আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকাবাসীদের মধ্য়ে।
মৃতের পরিবার জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে খাওয়া দাওয়া সেরে বাড়ির সবাই ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। তারপর কেউ বাড়িতে ঢুকে কিংবা ফোন করে ধনো বর্মনকে বাইরে ডেকে নিয়ে গিয়েছে বলে অনুমান। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে বক্সীরহাট থানার অধীনে জোড়াই ফাঁড়ির পুলিস এসে মৃতদেহ নিয়ে যেতে গেলে বাধা দেন স্থানীয়রা। মৃতের পরিবার ও স্থানীয়দের দাবি আগে এই ঘটনার তদন্ত করে দোষীদের গ্রেফতার করা হোক, তারপর এখান থেকে দেহ নিয়ে যেতে দেওয়া হবে।
অভিযোগ, এই নিয়ে পর পর দুইজনের মৃত্য়ুর ঘটনা ঘটল তুফানগঞ্জের জালধোয়া বালাবাড়ি এলাকায়। কিছুদিন আগেই একজন মারা গিয়েছেন এই এলাকায়। সেই ঘটনার পর আবারও রাস্তা থেকে উদ্ধার হল এক ব্য়ক্তির দেহ। খুনের অভিযোগ তুলছে এলাকার লোকজনেরা। তবে কে বা কারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত আছে তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোকের ছায়া নেমে এসেছে পুরো এলাকায়।