চেক প্রজাতন্ত্রের এক মহিলার সঙ্গে জোর করে যৌন সম্পর্কের (Rape Attempt) অভিযোগে সঞ্জয় মালিক ওরফে সন্ত সেবক দাস জামিনের আবেদন করেন দিল্লি হাইকোর্টে (Delhi High Court)। আদালতে সঞ্জয়ের আইনজীবী জামিনের আবেদন বলেছিলেন, 'ওই মহিলা দীর্ঘ দিন আমার মক্কেলের সঙ্গে ছিলেন।' কিন্তু অভিযুক্তর এই যুক্তি খারিজ করে দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট। বিচারপতি (Justice) অনুপ জয়রাম ভাম্বানি স্পষ্ট ভাষায় জানান, 'কোনও মহিলা সঙ্গে থাকছে মানেই সে যৌন সম্পর্কেও রাজি, এমনটা নয়। একজন মহিলা যদি কোনও পুরুষের সঙ্গে থাকতে সম্মত হন, তা যতদিনের জন্য হোক না কেন তা কখনই যৌন সম্পর্ক স্থাপনের পূর্বশর্ত হতে পারে না।'
মহিলাদের উপর যৌন নির্যাতনের অনেক মামলার শুনানিতেই অতীতে এই ধরনের প্রশ্ন উঠে এসেছে। নির্যাতিতা আচরণের মধ্যে দিয়েই এই ধরনের অপরাধকে প্রশ্রয় দেন। এই বিষয়ে পিঙ্ক ছবির একটি কোর্টরুম সংলাপ খুব গুরুত্বপূর্ণ। 'নো মিনস, নো।'
পিঙ্ক ছবিতে আইনজীবী দীপক সেহগলের ভুমিকায় অমিতাভ বচ্চন জানিয়েছিলেন, তাঁর মক্কেল মিনাল অরোরা যদি সেদিন নিজের সম্ভ্রম বাঁচাতে অভিযুক্ত যুবককে খুন না করতেন, তাহলে তাঁকে নিশ্চিতভাবেই ধর্ষণের শিকার হতে হত। কোর্টরুম ড্রামার এই প্রশ্নের জবাব এদিন দিয়ে দিল দিল্লি হাইকোর্ট।
পাঁচ বছর ধরে প্রেমিকের সঙ্গে সহবাসের পর ধর্ষণের (Rape) অভিযোগ প্রেমিকার। অভিযোগ, দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্ক থাকার পরও বিয়ে করতে রাজি নয় প্রেমিক। বেঙ্গালুরুতে (Bengaluru High Court) বছরের পর বছর এক যুবক বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাঁর প্রেমিকার সঙ্গে সহবাস করেছেন। এই অভিযোগ তুলে প্রেমিকের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা দায়ের তরুণীর। তিনি বলেন, 'বিয়ে করার প্রস্তাব দিয়ে পাঁচ বছর ধরে সহবাসে ছিলেন প্রেমিক। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে এত বছরের সহবাস ধর্ষণযোগ্য।' কিন্তু এই অভিযোগ মানতে নারাজ কর্নাটক হাইকোর্ট। পাঁচ বছর ধরে সহবাস, মানে দুজনের সম্মতিতে (Consensual Sex) হয়েছে। এটা মোটেই ধর্ষণ নয়। এমনটাই হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ।
সংবাদমাধ্যমে খবর, বেঙ্গালুরুর একজনের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে সহবাসের অভিযোগ তোলেন তরুণী প্রেমিকা। পরে দুজনের সম্পর্ক ভাঙে। কিন্তু ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে প্রথমে নিম্ন আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তরুণী। সেই মামলার জল এখন হাইকোর্টে গড়িয়েছে।
এই মামলার রায়দানের সময় হাইকোর্টের বিচারপতি এম নাগাপ্রসন্ন জানান, 'এক-দুদিন নয় টানা পাঁচ বছর সহবাসে ছিলেন দুজনে। অর্থাৎ দ্বিপাক্ষিক সম্মতিতে এই ঘটনা। কাউকে জোর করে এতদিন সম্পর্কে ধরে রাখা যায় না। তাই আদালত এই মামলাকে ধর্ষণ বলতে রাজি নয়।' অভিযুক্ত কোর্টকে জানিয়েছিল, দু'জনের সম্মতিতেই তাঁরা সহবাস করতেন। কিন্তু ভিন্ন জাত বিয়েতে বাধার সৃষ্টি করে।