
প্রসূন গুপ্তঃ অবশেষে তৃণমূল কংগ্রেসের সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন তাঁদের 'ইন্ডিয়া' জোটের অন্যতম সঙ্গী কংগ্রেসকে লোকসভা নির্বাচনে সঙ্গী হিসাবে চান। পরিষ্কার বার্তা এটাই যে, জোট ফর্মুলা মেনে তৃণমূল কংগ্রেসকে সাথী হিসাবে চান কিন্তু কোনও ভাবেই সিপিএমকে নয়। এবারে স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠতেই পারে যে সিপিএমও তো জোটের বিভিন্ন বৈঠকে গিয়েছে তবে কেন ছুৎমার্গ? অভিষেক এই বিষয়ে একটি কথায় জোর দিয়েছেন যে কংগ্রেসকে নিয়ে তাঁদের কোনও ছুৎমার্গ নেই, কিন্তু সিপিএমের সঙ্গেও জোট করার প্রশ্ন নেই।
অভিষেক এখন মোটামুটি তৃণমূল দলের দায়িত্বে আছেন। অনেক ক্ষেত্রেই তাঁর কথাই চূড়ান্ত হিসাবে গ্রহণীয় তা দলের কর্মী নেতাদের কাছে পরিষ্কার। পাঠকদের নিশ্চই মনে আছে মুম্বই বৈঠকের আগে রাহুল গান্ধীর সঙ্গে একেবারে ভোরে তাঁর দিল্লিতে বৈঠক হয়েছিল ১০ নম্বর জনপথে। বৈঠকের সারাংশ নানান মিডিয়া নানান ভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছে। অতি সক্রিয় কিছু পোর্টাল বা কংগ্রেসের কিছু বামঘেঁষা নেতা প্রমাণ করার চেষ্টা করেছিল যে, নেহাতই অভিষেকের আবেদনে রাহুল সারা দিয়েছেন। আদত ঘটনা তা মোটেই ছিল না। রাহুল এবং অভিষেক গোপন বৈঠকে জোট পদ্ধতি বা কেন্দ্রীয় এজেন্সির চাপ ইত্যাদি নিয়েই কথা বলেছিলেন। পরে তা কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খার্গের প্রেস বৈঠকে পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে।
এটা আমাদের আগের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছিল যে, সিপিএম তৃণমূলের জোট হওয়া অসম্ভব এবং ক্ষেত্র বিশেষে কংগ্রেসের সঙ্গেও জোট সম্ভব নয়। এরপরেই ঝোলা থেকে বিড়াল বের করে সিপিএম জানালো যে, তারা জোটের সমন্বয় কমিটিতে থাকছে না। শেষ বক্তব্যে বাকি শরিকরা যে বিরক্ত তা বলাই বাহুল্য। কংগ্রেসের একটা অংশ মনে করে সিপিএমের বর্তমান রাজনৈতিক শক্তি একেবারেই নামমাত্র। যতটুকু যা অবশিষ্ট তা রয়েছে কেরালায়। কাজেই পশ্চিমবঙ্গে খামোকা তাদের সাথে থেকে লাভ কি বরং তৃণমূলের সঙ্গে জোট করলে বিজেপির আসন কমবে এবং কংগ্রেসের আসন আসতে পারে অতএব সিপিএমের সঙ্গে দূরত্ব বাড়াও। অবিশ্যি রাজ্য কংগ্রেসে কৌস্তভ বাগচীর মতো কেউ কেউ আছেন যাঁরা মোটেই তৃণমূলের জোট চান না। কার্যক্ষেত্রে কৌস্তভেরই ডানা ছাটা পড়েছে। বার্তা অবশ্যই দিল্লির হাইকমান্ডের।
কোন ফর্মূলা এবং কত আসন নিয়ে ইন্ডিয়া জোট আগামী লোকসভা ভোটে লড়াই করবে, তা ঠিক হয়ে যাবে আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই। এমনটাই ইঙ্গিত তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। রাজনৈতিক মহলের মতে, লোকসভা ভোটের আগে পাঁচ রাজ্যে ভোট। সেই ভোটেও লড়াই করবে ইন্ডিয়া জোট।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, আসন রফা নিয়ে কংগ্রেসের সঙ্গে আলোচনা যেমন চলছে, তেমনই চলবে। রাজনৈতিক মহলের মতে, এই ইস্যুতে এখনও অনড় কংগ্রেস। তাই আসন সমঝোতা নিয়ে কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না ইন্ডিয়া। অভিষেকের দাবি, ঠিক সময়ে রফা সূত্র বেরিয়ে আসবে।
আগামী বছর মার্চ মাসের আগেই হয়তো ঘোষণা হতে পারে লোকসভা ভোটের দিন। বিরোধীদের আশঙ্কা, ২২ জানুয়ারি রামমন্দির উদ্বোধনের পরেই দেশে লোকসভা ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করা হতে পারে। কারণ, বিজেপি চাইবে রামমন্দির উদ্বোধনের ফায়দা তুলতে। অভিষেক মনে করেন, বিজেপি এই পথে হাঁটতে তাতে ইন্ডিয়া জোটের সুবিধা হবে।
ওবিসিকে তালিকা ভুক্ত করে অতি দ্রুত মহিলা সংরক্ষণ বিল আইনে পরিণত করার দাবি জানালেন কংগ্রেস সাংসদ সনিয়া গান্ধী। বুধবার লোকসভায় মহিলা সংরক্ষণ বিল বিতর্কে অংশ নিয়েছিলেন কংগ্রেস প্রাক্তন সভানেত্রী। সনিয়ার দাবি, দীর্ঘদিন ধরেই এই বিল নিয়ে নানা চর্চা হচ্ছে। এবার সময় এসেছে, এই বিলকে আইনে পরিণত করা।
এদিন লোকসভায় দাঁড়িয়ে আবেগে ভাসলেন সনিয়া। তিনি জানান, ভারতে মহিলাদের জন্য সংরক্ষণের প্রথম কাজ শুরু করেছিলেন ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এবং তাঁর স্বামী রাজীব গান্ধী। কিন্তু রাজ্যসভায় সাত ভোটে হেরে গিয়ে সেই বিল আটকে গিয়েছিল। পরবর্তী সময়ে এই বিল আইনে পাস করার চেষ্টা করেছে কংগ্রেস।
কংগ্রেস এখনও এই বিলকে সমর্থন করে বলেও জানান সনিয়া গান্ধী। একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে তাঁর অনুরোধ আর দেরি না করে এই বিল আইনে পরিণত করার সময় এসেছে। সনিয়ার পর এই বিলকে দ্রুত আইনে পাস করাতে সরকারের কাছে অনুরোধ করেন ডিএমকে নেত্রী কানিমোঝিও।
চলতি মাসের ১৯ তারিখ নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধন। তার জন্য সংসদের কর্মীদের জন্য পদ্ম ফুলের নকশা দেওয়া বিশেষ পোশাক তৈরি করা হয়েছে। যা নিয়ে শুরু হয়েছে ব্যাপক বিতর্ক। কংগ্রেসের অভিযোগ, সংসদ ভবনের পোশাক তৈরির ক্ষেত্রেও নিজেদের ক্ষমতা প্রয়োগ করে দলীয় প্রতীক ব্যবহার করেছে বিজেপি।
নয়া সংসদ ভবনের কর্মীদের জন্য পোশাক তৈরি করেছে ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ ফ্যাশন টেকনোলজি। নেহেরু জ্যাকেট এবং খাকি রঙের প্যান্ট তৈরি করা হয়েছে। গোলাপি রঙের পোশাকে রয়েছে পদ্মফুলের নকশা। যা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। পাশাপাশি বদল করা হয়েছে মর্শালদের পোশাকও।
পোশাক বিতর্ক নিয়ে মুখ খুলেছে কংগ্রেস। কংগ্রেস সাংসদ মানিকম ঠাকুরের বক্তব্য, সংসদের পোশাকে বাঘ বা ময়ূরের বদলে পদ্মফুলকেই বেছে নেওয়া হয়েছে। বিজেপির প্রতীকের জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।
কখনও অপহরণ, কখনও হুমকি বা খুন। কংগ্রেস কর্মীরা বাধ্য হচ্ছে তৃণমূলে যোগ দিতে। এমনই অভিযোগ করে, পরিস্থিতি বদলানোর দাবি জানিয়ে মমতাকে চিঠি লিখলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ও লোকসভার কংগ্রেস দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী। ২০২৩ পঞ্চায়েত নির্বাচনে জয়ী বিরোধী সদস্যদের বিশেষ করে কংগ্রেসের জয়ী প্রার্থীদের কখনও অপহরণ করা হচ্ছে বা কখনও খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে৷ এমনকী পুলিশ দিয়েও নানাভাবে ভয় দেখানো হচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ তুলেছেন। এই পরিস্থিতির বদলাতে মমতার কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী। রবিবারের চিঠিতে একইসঙ্গে অধীর রঞ্জন চৌধুরী লিখেছেন, 'এই ভয়-ভীতি এবং হুমকির সম্মুখীন হয়ে কংগ্রেসের জয়ী প্রার্থীরা তৃণমূলে যোগ দিতে বাধ্য হচ্ছেন।'
চিঠিতে অধীরের বক্তব্য, পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়নের সময় থেকে ভোটের সময় এবং ভোটের পরে বাংলায় সন্ত্রাস ও রক্তক্ষয়ের ঘটনা সকলের জানা। কিন্তু নির্বাচনের পর ফলাফল ঘোষণার পরে যখন বোর্ড গঠনের সময় আসছে তখনও একই ধরনের সন্ত্রাসের আবহ তৈরি হয়েছে এই রাজ্যে। সে সম্পর্কে ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে পশ্চিমবঙ্গের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা তথা পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেস সম্মানীয় সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী।
চিঠিতে কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী প্রশ্ন তুলেছেন, "এক দশক ধরে মুখ্যমন্ত্রী থাকার পরেও এই রাজ্যে আপনার দল যেভাবে নির্বাচনে জেতার পথ অবলম্বন করছে, তা কি কোনও সভ্য সমাজের পক্ষে উপযুক্ত? " এর পাশাপাশি তিনি চিঠিতে উল্লেখ করেছেন, "এক দশক ধরে মুখ্যমন্ত্রী থাকার পরেও এই রাজ্যে আপনার দল যেভাবে নির্বাচনে জিততে যে ধরণের পথ অবলম্বন করছে, তা কি কোনও সভ্য সমাজের পক্ষে উপযুক্ত?" অধীরবাবু এপ্রসঙ্গে কংগ্রেসের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের যেভাবে সম্পত্তি ও প্রাণহানির ভয় দেখিয়ে পুলিশ প্রশাসন ও তৃণমূল নেতাদের দ্বারা চাপ সৃষ্টি করে, খুনের মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দিয়ে তৃণমূলে যোগদানে বাধ্য করার অপচেষ্টা চলছে সে বিষয়েও মুখ্যমন্ত্রীকে অবহিত করেন তাঁর চিঠিতে।
ঝালদা পুরসভা ফের তৃণমূলের দখলে। বুধবার রাতে কংগ্রেস থেকে পাঁচজন তৃণমূলে যোগ দেন। তাঁর মধ্যে রয়েছেন নিহত প্রাক্তন কাউন্সিলর তপন কান্দুর ভাইপোও। উল্লেখ্য, পুরসভার ক্ষমতা ফিরে পেতে তৃণমূল মরিয়া হয়ে চেষ্টা চালাচ্ছে বলে আগেই অভিযোগ তুলেছিল কংগ্রেস । এবার সেটাই সত্যি হল। কংগ্রেসের থেকে ঝালদা পুরসভা ছিনিয়ে নিল তৃণমূল।
বুধবার রাতে তৃণমূলে যোগ দেন ঝালদা পুরসভার পুরপ্রধান শীলা চট্টোপাধ্যায়, কংগ্রেস পুরপ্রতিনিধি বিজয় কান্দু, মিঠুন কান্দু, পিন্টু চন্দ্র এবং সোমনাথ কর্মকার। মিঠুন হলেন তপন কান্দুর ভাইপো। এদিন, তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন বাঘমুণ্ডির তৃণমূল বিধায়ক সুশান্ত মাহাতো।
কংগ্রেস থেকে কেন আবার তৃণমূলে ? শীলা চট্টোপাধ্যায় জানাচ্ছেন, উন্নয়নের স্বার্থেই তৃণমূলে যোগদান করেছেন। তপন কান্দুর ভাইপো মিঠুন কান্দু জানাচ্ছেন, তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ হয়নি। পরিবার থেকে যা অভিযোগ জানানোর, তা জানানো হয়েছে। আদালতের নির্দেশে সিবিআই তদন্ত চলছে। তদন্ত তদন্তের মতো চলুক। যারা দোষী, তারা সাজা পাবে।
'ইন্ডিয়া' (INDIA) ও 'ভারত' (BHARAT) এই দুটি নাম নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে। দেশের নাম কি সত্যিই পরিবর্তিত হতে চলেছে, এই নিয়েই মঙ্গলবার সকাল থেকে জল্পনা শুরু জোরকদমে। বিরোধী দলগুলির জোটের নাম 'ইন্ডিয়া' হওয়ার পর থেকেই একাধিক সমালোচনা উঠে আসছে। তবে নতুন করে বিতর্ক উসকে উঠেছে কারণ জি-২০ সম্মেলন উপলক্ষে সব রাজনৈতিক দলকে এক নৈশভোজে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। আর সেই রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণপত্রে ইংরেজি ভাষায়, 'প্রেসিডেন্ট অব ইন্ডিয়া'র (President of India) পরিবর্তে লেখা রয়েছে 'প্রেসিডেন্ট অব ভারত' (President of Bharat)। আর এই নিয়েই জল্পনা শুরু, তবে কি দেশের নাম বদলের জন্যই বিশেষ অধিবেশন ডেকেছে কেন্দ্রীয় সরকার?
আগামী ৯ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু জি-২০ সম্মেলনে অংশ নেওয়া রাষ্ট্রনেতাদের জন্য একটি নৈশভোজের আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন। সেই উপলক্ষে নিমন্ত্রিতদের কাছে আমন্ত্রণপত্রও পাঠানো হচ্ছে। সেটা ঘিরেই তোলপাড় জাতীয় রাজনীতির অন্দরমহল। কারণ ওই চিঠিতে 'প্রেসিডেন্ট অফ ইন্ডিয়া'র পরিবর্তে লেখা রয়েছে 'প্রেসিডেন্ট অফ ভারত'। আর এই কারণেই আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার সকাল থেকে রাজনৈতিক মহলে বিতর্ক তুঙ্গে।
আচমকা দেশের নাম পরিবর্তনের জল্পনা শুরু হতেই প্রশ্ন উঠছে, ঠিক কী কারণে হঠাৎ নাম পরিবর্তন? এ বিষয়ে বিজেপিকে তুমুল আক্রমণ করেছেন কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে বিজেপিকে কটাক্ষ করে লিখেছেন, 'খবর তবে সত্যি। রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে যে জি-২০-এর নৈশভোজের যে আমন্ত্রণপত্র তাঁর কাছে পৌঁছেছে সেখানে 'প্রেসিডেন্ট অফ ইন্ডিয়া'র বদলে লেখা হয়েছে 'প্রেসিডেন্ট অফ ভারত'।'
অন্যদিকে এ বিষয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, 'কেন্দ্রীয় সরকার ইন্ডিয়া নাম পরিবর্তন করে ভারত করছে। ইংরেজিতে আমরা বলি ইন্ডিয়া। এবং বলা হয় ইন্ডিয়ান কনস্টিটিউশন। এবং হিন্দিতে আমরা বলি ভারত কি সংবিধান। আমরা সবাই ভারত বলি। এর মধ্যে নতুন কী আছে? কিন্তু ইন্ডিয়া নাম গোটা পৃথিবীতে চেনে। দেশের নাম হঠাৎ পরিবর্তন করার কী দরকার?'
প্রসূন গুপ্ত: আর হাতে শনিবার এবং রবিবার বিকেল অবধি প্রচারের সময়সীমা ধার্য রয়েছে, কাজেই শেষ লগ্নে লড়ে যাচ্ছে তিন দল। ধূপগুড়ির মতো প্রায় অনিয়মিত প্রকাশের বিধানসভায় এতো কোমর কষে ভোট প্রচার এর আগে বোধকরি হয় নি। আর হবেই বা না কেন, এই কেন্দ্রের ভোটের ফল তৃণমূল বিজেপি বা কংগ্রেস/সিপিএম জোটের উত্তরবঙ্গের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে।
প্রচারে সব থেকে এগিয়ে নিঃসন্দেহে বিজেপি। ওই এলাকার সমস্ত হোটেল বা গেস্ট হাউস দখল করে রেখে প্রচার চালাচ্ছে তারা বলে দাবি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এই কেন্দ্রে জিততেই হবে বিজেপিকে কারণ বিগত বিধানসভা ভোটে জয় তাদেরই হয়েছিল। দেখা গেলো রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদা, শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষ সহ প্রথম শ্রেণীর তাবড় তাবড় নেতারা মাটি কামড়ে পরে রয়েছেন ধুপগুড়িতে। কেন্দ্রের নাকি কড়া নির্দেশিকা রয়েছে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ভুলে এই কেন্দ্রে জয় আনতেই হবে নতুবা নাকি আসন্ন লোকসভায় এর প্রতিচ্ছবি দেখা যাবে। প্রায় প্রতিদিন সুকান্তবাবু ওখানে থাকাকালীন প্রচার এবং ভোটারদের সঙ্গে কথা চালাচ্ছেন।
প্রচারে পিছিয়ে নেই তৃণমূলও। রাজ্যের মন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদা, যুব তৃণমূল সভাপতি সায়নী ঘোষ সহ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন নেতা ঘরে ঘরে গিয়ে প্রচার করছেন। জনসভা বা পথসভা তো আছেই। শনিবার প্রায় শেষ লগ্নে যাচ্ছেন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বালিগঞ্জ থেকে আসানসোল ইত্যাদি বিভিন্ন উপনির্বাচনে শেষ লগ্নে প্রচার করে অভিষেক বাজিমাত করেছিলেন। এবারেও তার ব্যতিক্রম নেই।
ঘরে ঘরে প্রচার করছে সিপিএমের যুব কর্মী নেতারা। অবিশ্যি তাদের দলে সেলিম বা সুজন চক্রবর্তী ছাড়া তেমন প্রচারের বড় মুখ কোথায়? যদিও শুক্রবার অধীররঞ্জনকে নিয়ে বেশ বড়োসড়ো প্রচার করলো বাম/কং জোট। এই কেন্দ্রে একসময় সিপিএমের দাপট থাকলেও আজ সেই সংগঠন হারিয়েছে সিপিএম। এবারে বাস্তব হচ্ছে এই যে সিপিএম যদি ১০/১৫% ভোট বাক্সবন্দি করতে পারে তবে আখেরে সুবিধা হবে তাদের "ইন্ডিয়া" জোটসঙ্গী তৃণমূলের। মজার বিষয় সারা ভারতের রাজনৈতিক দলগুলির নজর কিন্তু এই কেন্দ্রে। ধূপগুড়ি বিখ্যাত হতে চলেছে।
ভারতের সঙ্গে আমেরিকার এক ঐতিহাসিক চুক্তি! এবারে যৌথ উদ্য়োগে যুদ্ধবিমানের ইঞ্জিন তৈরি করবে ভারত (India) ও আমেরিকা (America)। ভারতের বায়ুসেনার (Indian Air Force) জন্য যুদ্ধবিমানের ইঞ্জিন এবারে দেশেই তৈরি করা হবে তাও আবার আমেরিকার উন্নতমানের প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে। সূত্রের খবর, এরোনটিক্স লিমিটেডের (Hindustan Aeronautics Limited) সঙ্গে আমেরিকার জেনারেল ইলেকট্রিকের (General Electric) চুক্তিকে সবুজ পতাকা দেখাল মার্কিন কংগ্রেস (US Congress)।
সূত্রের খবর, জুন মাস থেকেই এই চুক্তি আটকে ছিল। তবে এবারে মার্কিন কংগ্রেসের তরফেও এই চুক্তিতে সমর্থন জানানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, নিয়ম অনুযায়ী, মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের তরফে মার্কিন কংগ্রেস এবং সেনেটের বিদেশ বিষয়ক কমিটিকে বিষয়টি জানানো হয়েছিল। এরপর কোনও কংগ্রেস সদস্য আপত্তি না জানানোর দরুণ প্রস্তাবটিকে সমর্থন করা হয়েছে জানা গিয়েছে। ফলে এবার থেকে আমেরিকার সংস্থা জিই-র সহায়তা নিয়ে এ দেশেই এফ-৪১৪ জেট ইঞ্জিন বানাতে পারবে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা 'হিন্দুস্থান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড'।
এই চুক্তি দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কারণ, এই চুক্তিতে মার্কিন কংগ্রেসের তরফে সম্মতি আসায় এবার থেকে এফ-৪১৪ জেট ইঞ্জিন তৈরি করতে জেনারেল ইলেকট্রিকের তরফে ৮০ শতাংশ প্রযুক্তি দেওয়া হবে। আবার এ দেশেই এটি তৈরি করা হবে বলে ভারতও 'মেক ইন ইন্ডিয়া'-এর পথে আরেকটা ধাপ এগিয়ে যাবে। ফলে উন্নত প্রযুক্তির আধুনিক জেট ইঞ্জিন খুব সহজেই তৈরি করা যাবে, যার ফলে দেশের বায়ুসেনা লাভবান হবে। জিই-এর আধুনিক তথ্য ও প্রযুক্তি নিয়ে হালকা ও দ্রুতগামী যুদ্ধবিমান এবারে ভারতেই তৈরি করা খুব সহজ হয়ে যাবে। যা দেশের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রের জন্য অত্যন্ত খুশির খবর। উল্লেখ্য, জানা গিয়েছে, জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের সময় বাইডেন যখন ভারতে আসবেন তখনই এই চুক্তি চূড়ান্ত করা হবে।
২০২৪-এ লোকসভা ভোটে আবারও আমেঠি থেকেই লড়বেন রাহুল গান্ধী। এমনই দাবি করলেন উত্তরপ্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অজয় রাই। ২০১৯-এ ওই কেন্দ্র থেকেই ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন রাহুল। কিন্তু, স্মৃতি ইরানির সামনে মুখ থুবড়ে পড়েছিলেন কংগ্রেস নেতা। কিন্তু, হেরে গিয়ে পিছু হটতে রাজি নন রাহুল। আসন্ন লোকসভায় তিনি যে আমেঠি থেকেই লড়বেন, তা একপ্রকার ঘোষণাই করে দিলেন উত্তর কংগ্রেস সভাপতি।
উত্তরপ্রদেশের কংগ্রেস সভাপতি পদে সদ্য নিযুক্ত অজয় রাই জানিয়েছেন, রাহুল গান্ধী 'অবশ্যই' তাঁর প্রাক্তন নির্বাচনী এলাকা আমেঠি থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। একইসঙ্গে রাহুলের জয়ের বিষয়েও আশাবাদী তিনি।
অন্যদিকে, প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর নির্বাচনী কেন্দ্র নিয়ে জল্পনা জিইয়ে রাখলেন তিনি। জানালেন, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী যে কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চাইবেন, সেখানেই তিনি প্রার্থী হবেন। তিনি যদি প্রধানমন্ত্রী মোদীর বিরুদ্ধে বারাণসী থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চান, তাহলে সেখানেই প্রার্থী হবেন।
মোদি পদবি মামলায় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে স্বস্তি পেয়েছেন রাহুল। সাংসদ পদ ফিরে পাওয়ায় চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে লড়াইয়ের ক্ষেত্রেও আর বাধা নেই তাঁর। তাই, আসন্ন লোকসভায় রাহুলের নির্বাচনী লড়াই নিয়ে জল্পনাও শুরু হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যে। তারই মধ্যে উত্তরপ্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির এমন মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিলেন যুব তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক ইয়াসির হায়দার। সূত্রের খবর, ইয়াসির রাজ্যের মন্ত্রী ও কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের জামাই। আজ অর্থাৎ শনিবার প্রদেশ কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরীর উপস্থিতিতেই কংগ্রেসে যোগদান করেন তিনি। কংগ্রেসে যোগদান করে তৃণমূলকে কটাক্ষ করেন স্বয়ং ইয়াসির হায়দার। পাশাপাশি তৃণমূলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি অধীররঞ্জন চৌধুরী। মমতা ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ফিরহাদ হাকিমের জামাইয়ের তৃণমূলে ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দেওয়া নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
সূত্রের খবর, ইয়াসির তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্ব ছাড়াও বিশেষ সমাজকর্মী নামেই পরিচিত। শনিবার একটি সাংবাদিক বৈঠক ডেকে ইয়াসিরের কংগ্রেসে যোগদানের কথা জানায় কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী। তিনিই ইয়াসিরের হাতে কংগ্রেসের পতাকা তুলে দেন। কংগ্রেসে যোগদান করে ইয়াসির বলেন, 'তৃণমূলে থেকে কাজ করার সুযোগ পাই নি। স্বপ্ন ছিল কংগ্রেসের হয়ে কাজ করব। সেজন্যই এই সিদ্ধান্ত।' পাশাপাশি তিনি বলেন, 'আমি কোনও ব্যক্তি দেখে রাজনীতি করি না, মানুষের জন্য কাজ করি, মানুষের কাজ করার জন্য রাজনীতিতে এসেছিলাম।'
সম্প্রতি কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেছেন কংগ্রেসের জয়ী বিধায়ক বায়রন বিশ্বাস। সেসময় অবশ্য বায়রনের মত ছিল, দেশে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই ও মানুষের জন্যই কাজ করার জন্য তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করা। কিন্তু এবার তার পাল্টা কংগ্রেসে যোগদান করলেন ফিরহাদ হাকিমের জামাই ইয়াসির হায়দার। এ বিষয়ে সিএন ডিজিটালের তরফে ফিরহাদ হাকিম ও ইয়াসির হায়দারের সঙ্গে পৃথক ভাবে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁদের ফোনে পাওয়া যায় নি।
মধ্যপ্রদেশের প্রস্রাবকাণ্ডের পর এবারে রাজস্থান (Rajasthan)। এক বৃদ্ধের উপর শারীরিক অত্যাচার ও গায়ে প্রস্রাব করার অভিযোগ উঠল কংগ্রেসের বিধায়ক (Congress MLA) ও এক পুলিস অফিসারের বিরুদ্ধে। এখানেই শেষ নয়, জুতো চাটানোরও অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে। জয়পুরের ঘটনাটি গত জুন মাসের। আদালতের নির্দেশে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।
সূত্রের খবর, ৫১ বছরের এক বৃদ্ধ অভিযোগ করেন, ৩০ জুন তিনি তাঁর ক্ষেতে কাজ করছিলেন। সেই সময় কয়েকজন পুলিস আধিকারিক এসে তাঁকে টেনে পাশের এক ঘরে নিয়ে যায় ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বেধড়ক মারধর করেন। সেই ঘরে হাজির ছিল ডেপুটি পুলিস সুপার (ডিএসপি) শিবকুমার ভরদ্বাজ। সে মারধর করেন। তারপর তাঁর গায়ে প্রস্রাব করে দেন বলে অভিযোগ করেন সেই বৃদ্ধ।
আরও অভিযোগ উঠেছে, ডিএসপি কংগ্রেস বিধায়ক গোপাল মীনার নাম করে বৃদ্ধকে হুমকিও দেয়। এরপর সেখানে উপস্থিত হয় বিধায়ক নিজেই। তাঁকে গোপাল মীনাও মারধর করে ও তার জুতো চাটতে বাধ্য করে। এমনকি এইসব ঘটনার জন্য যখন তিনি পুলিস স্টেশনে অভিযোগ দায়ের করতে যান, তখন এই ঘটনা অস্বীকার করা হয়। পরে তিনি বাধ্য হয়ে আদালতের দ্বারস্থ হলে আদালত থেকে এফআইআর দায়েরের নির্দেশ দেওয়া হয়। গত ২৭ জুলাই অবশেষে থানায় এফআইআর দায়ের হয়। বর্তমানে বিষয়টি সিআইডি-এর ক্রাইম ব্রাঞ্চ তদন্ত করছে।
প্রায় চার মাস পর সোমবার সংসদে রি-এন্ট্রি করেছেন রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। এরপর আজ, বুধবারও সংসদে (Parliament) যাওয়ার জন্যই রওনা দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সংসদে পৌঁছনোর আগেই ফের একবার জনগণের নজর কাড়লেন। সম্প্রতি সমাজমাধ্যমে এক ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী সংসদে বক্তৃতা দিতে যাবেন। কিন্তু রাস্তায় ঘটে যায় এক ঘটনা। স্কুটি চালিয়ে এক ব্যক্তি যাচ্ছিলেন, সেসময় তিনি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তায় পড়ে যান। এই দেখেই দৌড়ে যান রাহুল। এই দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করে কংগ্রেসের তরফে টুইট করে তাঁকে 'জননায়ক' বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
সংসদ সূত্রে খবর, আজ সংসদে গিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবে সায় দেন। সেখানে মোদীকে আক্রমণও করেন। কিন্তু সংসদে সেসব কিছু ঘটার আগেই তিনি খবরের শিরোনামে। ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, গাড়ি করে সংসদে যাচ্ছিলেন রাহুল। কিন্তু তাঁর গাড়ির পিছনেই এক ব্যক্তি স্কুটার নিয়ে বেসামাল হলে রাস্তায় পড়ে যান। এই দেখা মাত্রই তাঁর গাড়ি থামান ও তিনি ছুটে যান সেই ব্যক্তির কাছে। ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসা করেন, 'আপনার আঘাত লাগেনি তো?' আর এই দৃশ্যই ক্যামেরাবন্দি করে কংগ্রেসের তরফে টুইট করা হয়েছে। তাঁকে 'জননায়ক' বলে উল্লেখ করে ক্যাপশন লেখা হয়েছে। এই ভিডিও মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল। তবে নেটিজেনদের অনেকাংশই এটিকে 'পাবলিসিটি স্টান্ট' বলেছেন। কিন্তু রাহুলের অনুরাগীরা তাঁর এই ব্যবহারে মুগ্ধ।
সংসদে অনাস্থা বিতর্কে মণিপুর নিয়ে বিজেপিকে আক্রমণ করলেন রাহুল গান্ধী। রাহুলের তোপ, 'কেন্দ্র চাইলে মণিপুরের হিংসা থামাতে পারত। মণিপুরে ভারত মাতাকে হত্যা করেছে বিজেপি। যদি প্রধানমন্ত্রী তাদের আওয়াজ না শোনেন, তা হলে কাদের আওয়াজ শোনেন।' রাহুলের বক্তব্যের পরই উত্তাল হয়ে ওঠে লোকসভা।
রাহুল গান্ধী সংসদে বলেন, 'আমার এক মা এখানে বসে আছেন। যতক্ষণ মণিপুরের হিংসা না থামছে, ততক্ষণ আমার মাকে হত্যা করা হচ্ছে। ভারতীয় সেনা মণিপুরে একদিনে শান্তি আনতে পারে। কিন্তু সেনার ব্যবহার করা হচ্ছে না। ভারতমাতাকে হত্যা করা হচ্ছে। যদি নরেন্দ্র মোদী দেশের আওয়াজ না শোনেন, তা হলে কার আওয়াজ শোনেন।'
মণিপুর হিংসায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে সরাসরি আক্রমণ রাহুল গান্ধীর। প্রধানমন্ত্রী মনে করেন, মণিপুর ভারতের অংশ নয়। বিজেপিকে 'দেশদ্রোহী' বলেও কটাক্ষ রাহুলের। রাহুল গান্ধী বলেন, 'ভারত আমাদের মানুষের আওয়াজ। মানুষের মনের আওয়াজ। ওই আওয়াজের হত্যা মণিপুরে হয়েছে। ভারতমাতার হত্যা হয়েছে মণিপুরে। আপনারা দেশদ্রোহী। আপনারা দেশভক্ত নন।'
প্রসূন গুপ্তঃ ৪ মাসের জন্য যেন বনবাস হয়েছিল রাহুল গান্ধীর। সেই বাধা উতরে সোমবার জিরো আওয়ারে লোকসভায় প্রবেশ করলেন রাহুল। অবিশ্যি এমনটিই হওয়ার কথা ছিল। প্রসঙ্গত চার মাস আগে রাহুলের লোকসভার সাংসদ পদ চলে গিয়েছিলো। বহু বছর আগে ভোটের প্রচার করতে গিয়ে রাহুল দক্ষিণ ভারতের এক সভায় প্রধানমন্ত্রীকে ব্যঙ্গ করে প্রশ্ন তুলেছিলেন যে, দেশের সব মোদীরাই কি এক রকম। তখন এই বিষয়ে বিজেপি আর উচ্চবাচ্য না করলেও সম্প্রতি কোনও এক গুজরাতে বসবাস করা মোদী, একটি নিম্ন আদালতে রাহুলের বিরুদ্ধে মামলা করে।
বিচারক আদেশ দেন যে, রাহুল জাতি বা গোষ্ঠীগত ভাবে অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন। কাজেই তাঁর লোকসভার সদস্য পদ থাকবে না এবং তাঁর দু'বছর জেল হবে। অবিশ্যি রাহুল এই আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে যেতে পারবেন এমন বিকল্পের কথাও বলা হয়েছিল। সেই আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করা হয় এবং গত শুক্রবার উচ্চ আদালত সেই আদেশের উপর স্থগিতাদেশ দেন। কাজেই রাহুলের আর আইনসভায় আস্তে বাধা রইলো না। কিন্তু ভাবনা একটিই ছিল কংগ্রেস তথা 'ইন্ডিয়া' ফ্রন্ট্রের যে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা কি রাহুলকে সভায় অনুমতি দেবেন? সেই ভাবনার কাঁটাতেও সমস্যা থাকলো না যেহেতু ইতিমধ্যে স্পিকারের দফতর থেকে রাহুল গান্ধীর কাছে লোকসভায় আসতে অনুরোধ করা হয়েছে বলেই খবর।
সোমবার সকল থেকেই উৎসবের মেজাজে চলে যায় কংগ্রেস দল। রাহুলকে লোকসভায় এক প্রকার ধরে নিয়েই আসা হয়। রাহুলের আগমনকে টেবিল বাজিয়ে স্বাগতম জানায় বিরোধী দলের প্রতিনিধিরা। উঠে এসে রাহুলের পাশে দেখা যায় তৃণমূলের সদস্যদের। এরপর কংগ্রেসের পক্ষ থেকে মিষ্টি মুখ করানো হয় জোটের বিভিন্ন দলকে। এনডিএর বিজেপি ব্যাতিত অন্য দলের প্রতিনিধিদেরও শুভেচ্ছা বার্তা দিতে দেখা যায়। মোটের উপর বর্ষাকালীন অধিবেশনে রাহুল গান্ধী যে সরকার বিরোধী ভাষণ দেবেন তা নিঃসংকোচে বলে দেওয়া যায়।