বিতর্ককে সঙ্গে নিয়ে চলেন অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত (Kangana Ranaut)। সামাজিক মাধ্যমে তাঁকে নিয়ে কম চর্চা হয় না। একসময় জমিয়ে সিনেমা করেছেন বলিউডে। পরে সেই সংখ্যা কমতে কমতে তলানিতে ঠেকেছে। পদ্মশ্রী প্রাপ্ত অভিনেত্রী কঙ্গনা এই বিষয়ে সরাসরি তোপ দেগেছেন বলিউডের প্রথম সারির প্রযোজক ও পরিচালক করণ জোহারকে (karan Johar)। এক অনুষ্ঠানে করণের সামনে বসেই তাঁকে 'মুভি মাফিয়া' বলেছিলেন কঙ্গনা। সামাজিক মাধ্যমে সুযোগ পেলেই করণের মুন্ডপাত করে থাকেন অভিনেত্রী। 'প্রিয়াঙ্কা চোপড়া, অনুষ্কা শর্মার কেরিয়ার শেষ করতে চেয়েছেন করণ', এমন অভিযোগ তুলেছেন সম্প্রতি। এবার নাম না করে কঙ্গনাকে জবাব দিলেন করণ।
করণ নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে লেখেন, 'অপবাদ দাও, আমি ঝুঁকব না। মিথ্যের গোলাম হয়ে যাও, আমি কিছু বলব না। যত নীচু দেখাবে, যত আরোপ লাগাবে, আমি পড়ে যাব না। আমার কর্মই আমার জয়। তুমি তলোয়ার তোলো, আমি মরব না।' করণ এই পোস্টে কারও নাম উল্লেখ না করলেও, এই শব্দবাণ ঠিকই বিঁধেছে কঙ্গনা রানাউতকে। করণের মন্তব্যের পাল্টা মন্তব্য করেছেন অভিনেত্রী।
কঙ্গনা নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে করণের এই পোস্ট শেয়ার করে লিখেছেন, 'একটা সময় ছিল যখন চাচা চৌধুরী আমাকে জাতীয় টেলিভিশনে অপমান করতেন আমি ইংরেজি বলতে পারি না বলে। আজ ওঁর হিন্দি দেখে খেয়াল হল, এই তো সবে আমার হিন্দি শুধরেছে । আগে আগে দেখো কি হয়।'
৯১ বছর বয়সে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ (Death) করলেন মিখাইল গর্বাচেভ (Mikhail Gorbachev)। সোভিয়েত ইউনিয়নের (Soviet Union) সর্বশেষ রাষ্ট্রপতি (President) ছিলেন তিনি। মঙ্গলবার মস্কোর হাসপাতালে (Moscow hospital) প্রয়াত হন গর্বাচেভ। দীর্ঘদিন ধরেই একাধিক রোগে ভুগছিলেন। মঙ্গলবার তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। চেষ্টা করেও শান্তিতে নোবেলজয়ীকে আর বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
তাঁর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, শোকবার্তা দিয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জ। প্রসঙ্গত, ১৯৯১-তে ভেঙে যায় সোভিয়েত ইউনিয়ন। সেই ঘটনার ৩১ বছর পর মৃত্যু হল শেষ সোভিয়েত প্রেসিডেন্টের। ঐতিহাসিকদের দাবি, রক্তপাতহীনভাবে ঠান্ডা লড়াই শেষ করার পুরো কৃতিত্বই ছিল তাঁর। যদিও সোভিয়েত ইউনিয়নের ভাঙ্গন রুখতে পারেননি তিনি।
উল্লেখ্য, ঠান্ডা যুদ্ধের অবসান, মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রেগানের সঙ্গে ঐতিহাসিক পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ চুক্তি সই করে আমেরিকা- সোভিয়েত সম্পর্কে উন্নতিতে অবদানের জন্য ১৯৯০ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছিলেন গর্বাচেভ৷ কিন্তু তাঁর শাসনকালেই বিশ্বের অন্যতম প্রধান শক্তির জায়গা হারানোর জন্য আজও বহু রুশ গর্বাচেভকেই দায়ী করেন। যদিও আমেরিকা সহ পশ্চিমের দেশগুলিতে প্রশংসিত হয় গর্বাচেভের ভূমিকা৷