রাম সীতা খোদাই করা নকল সোনার কয়েন বিক্রি করতে গিয়ে পুলিসের জালে ধরা পড়ল তিন ব্যক্তি। বুধবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে তারকেশ্বরের মুক্তারপুর এলাকার। তল্লাশি চালিয়ে ওই তিন ব্যক্তির কাছ থেকে উদ্ধার হয় ত্রিশটির বেশি নকল সোনার কয়েন। জানা গিয়েছে, ওই তিন ব্যক্তির বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন দুপুরে তারকেশ্বরের বিভিন্ন এলাকায় কয়েন বিক্রি করছিল ওই তিন ব্যক্তি। সবাইকে এই বলে বিক্রি করছিল যে তারা মাঠে কাজ করতে গিয়ে এই কয়েন কুড়িয়ে পেয়েছে তাই যা দাম দেবেন সেটাই নেবো। এরপর স্থানীযদের নজরে আসতেই ওই তিন ব্যক্তিকে গিয়ে পাকড়াও করে। তারপর নকল সোনার কয়েন বিক্রি করতে আসা তিন ব্যক্তি স্বীকার করেছে যে, তারা এই কয়েন শিয়ালদহ থেকে কুড়ি পঁচিশ টাকায় কিনে বিভিন্ন এলাকায় হাজার হাজার টাকায় বিক্রি করেন। এরপর স্থানীয়রা খবর দেয় পুলিসকে। তারপর ঘটনাস্থলে তারকেশ্বর থানার পুলিস গিয়ে ওই তিনজনকে আটক করে নিয়ে যায়।
জানা গিয়েছে, তারকেশ্বর এলাকায় পূর্বে এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে বহুবার। যারফলে বহু মানুষ নকল সোনার কয়েন কিনে হাজার হাজার টাকা খুইয়েছেন। আর যাতে এই ধরনের ঘটনা না ঘটে সে বিষয়ে নজর রাখছে পুলিস।
২৮ মে অর্থাৎ রবিবার মহাসমারোহে উদ্বোধন করা হয় নয়া সংসদ ভবনের (New Parliament)। আর এই ঐতিহাসিক দিনে অবশেষে প্রকাশ্যে আনা হয় নয়া ৭৫ টাকার কয়েন (Rs 75 Coin)। নয়া সংসদ ভবন উদ্বোধনের স্মারক হিসেবেই ৭৫ টাকার কয়েন বাজারে আনা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। রবিবার নিজে হাতে তা সামনে আনলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। এই দিনটিকে আরও স্মরণীয় করে রাখতে একই সঙ্গে বিশেষ ডাকটিকিটও প্রকাশ করা হয়।
৫০ শতাংশ রুপো, ৪০ শতাংশ তামা, ৫ শতাংশ নিকেল এবং ৫ শতাংশ দস্তার সংমিশ্রণে তৈরি এই ৭৫ টাকার কয়েন। কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, ৪৪ মিলিমিটার ব্যাসযুক্ত স্মারক ৭৫ টাকার কয়েনের ওজন হয়েছে ৩৫ গ্রামের মতো। এই কয়েনের সামনে দিকে অশোক স্তম্ভের সিংহের মুখ আছে। অশোক স্তম্ভের ঠিক নীচে দেবনাগরী হরফে 'সত্যমেব জয়তে' লেখা আছে। সেটার ঠিক নীচে লেখা আছে ইংরেজিতে ৭৫ টাকা। সঙ্গে রুপির চিহ্ন রয়েছে। আর ডানদিকে ইংরেজিতে লেখা আছে 'ইন্ডিয়া' (India)। বাঁ-দিকে দেবনাগরী হরফে 'ভারত' লেখা আছে।
তবে এই স্মারক মুদ্রা বাজারে কেনাবেচার জন্য ব্যবহৃত হবে না। অর্থাৎ লেনদেনের জন্য ব্য়বহার করতে পারবেন না মানুষরা। তবে স্মারক মুদ্রা হিসাবে সেই মুদ্রা নিজেদের কাছে রাখা যাবে। সিকিউরিটিজ অফ প্রিন্টিং অফ মিন্টিং কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া লিমিটেডের ওয়েবসাইট থেকে স্মারক মুদ্রা সংগ্রহ করতে পারবেন।
চলতি বছরের ২৮ মে, রবিবার নতুন সংসদ ভবন (Parliament) উদ্বোধন হতে চলেছে। এই উদ্বোধন উপলক্ষে আরও এক বিশেষ চমক এনেছে কেন্দ্রীয় সরকার। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক (Finance Ministry) ঘোষণা করেছে, রবিবার সংসদ ভবনের পাশাপাশি ৭৫ টাকার বিশেষ মুদ্রাও (75 Rupee Coin) উদ্বোধন করা হবে। কিছুদিন আগেই ২০০০ টাকা নোট বাজার থেকে তুলে নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া। কিন্তু এরপরই বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রকের তরফে এই ৭৫ টাকার মুদ্রার চালু করার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধনের দিনই এই মুদ্রা প্রকাশ্যে আনা হবে।
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক সূত্রে খবর, ৭৫ টাকার বিশেষ কয়েনটি ৪৪ মিলিমিটার ব্যাসযুক্ত বৃত্তাকার হবে। এই মুদ্রার মাঝখানে অশোক স্তম্ভও থাকবে ও তার পাশে 'ইন্ডিয়া' ও 'ভারত' লেখা থাকবে। নীচেই লেখা থাকবে 'সত্যমেব জয়তে'। এই কয়েনে নতুন সংসদ ভবনের ছবিও থাকবে। আবার নতুন সংসদ ভবনের ছবির নীচে ২০২৩ উল্লেখ করা থাকবে।
জানা গিয়েছে, ৭৫ টাকার বিশেষ মুদ্রাটির ওজন ৩৫ গ্রাম। এই কয়েনটি কয়েকটি ধাতুর সংমিশ্রণে তৈরি করা হবে। ৫০ শতাংশ রূপা, ৪০ শতাংশ কপার, ৫ শতাংশ নিকেল ও ৫ শতাংশ জিঙ্ক দিয়ে তৈরি করা হবে ৭৫ টাকার বিশেষ মুদ্রা। নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধনকে স্মরণীয় করতেই এই বিশেষ মুদ্রা চালু করা হচ্ছে। রবিরার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাত ধরেই এই মুদ্রার উদ্বোধন হবে।
উলুবেড়িয়ার (Uluberia) ফুলেশ্বরে মাটির নীচ থেকে উদ্ধার হল প্রাচীন মুদ্রা (Ancient Silver Coins)। আর তা স্বচক্ষে দেখতে ভিড় উপচে পড়ল এলাকায়। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার বিকেলে উলুবেড়িয়া থানার অন্তর্গত ২১ নম্বর ওয়ার্ডের ফুলেশ্বর বৈকন্ঠপুরে। মাটির নিচ থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রায় ৭০ টি রূপোর মুদ্রা। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে উলুবেড়িয়া থানার পুলিস (Police) এসে বিষয়টি তদন্ত শুরু করেছে। আপাতত মুদ্রাগুলি যাঁর কাছে আছে, সেখানেই রাখা হয়েছে বলে খবর। পরবর্তী ক্ষেত্রে তদন্তের স্বার্থে ওই মুদ্রাগুলি প্রয়োজন হলে পুলিসি হেফাজতে নেওয়া হবে, এমনটাই জানিয়েছে প্রশাসনের তরফে।
পুলিস সূত্রে খবর, কানাই দাস নামক এক ব্যক্তির বাড়িতে এই ঘটনাটি ঘটে। তাঁর নতুন বাড়ি তৈরির জন্য মাটি কাটার কাজ চলছিল। সেই সময়ই মাটির নীচ থেকে বেরিয়ে এল প্রাচীন রুপোর মুদ্রা। বাড়ি তৈরির জন্য বুধবার সকাল থেকেই কানাই দাসের বাড়িতে মাটি কাটা হচ্ছিল।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মাটি কাটার সময়ই মাটির নীচ থেকে একটি ঢাকনা দেওয়া মাটির হাঁড়ি দেখতে পান শ্রমিকরা। কৌতুহলবশত তাঁরা ওই মাটির হাঁড়ির ঢাকনা খুলতেই ভিতরে একটি কাঁচের বোতল দেখতে পান। তার মধ্যেই রুপোর মুদ্রাগুলি ছিল।
এই ঘটনায় বাড়ির কর্তী বনমালা দাস বলেন, 'বুধবার বাড়ি তৈরীর জন্য মাটি কাটা হচ্ছিল। আর আমি বাড়িতে রান্না করার সময়ই এই রুপোর মুদ্রা উদ্ধারের বিষয়টি জানতে পারি। প্রায় ৭০ টি মুদ্রা পাওয়া গেলেও আমার জামাই কিছু মুদ্রা নিয়ে চলে গিয়েছে। তাই এখন আমার কাছে ২৭টি মুদ্রা আছে।'
অন্যদিকে এই ঘটনায় ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার প্রবীন মান্না জানান, উদ্ধার হওয়া মুদ্রাগুলি শতাধিক বছরের পুরাতন।
রাজস্থানের কারাউলিতে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার (এসবিআই) শাখা (Sbi Branch) থেকে উধাও ১১ কোটি (11 Crores) মূল্যের কয়েন (Coin)। এতগুলো টাকা কীভাবে সবার চোখের সামনে উধাও (Missing) হয়ে গেল, সে ব্যাপারে সকলেই অন্ধকারে। যদিও শেষমেশ আদালতের নির্দেশে এই ঘটনার তদন্তে নেমেছে সিবিআই (CBI)। বৃহস্পতিবার ওই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা দিনভর একযোগে ২৫ টি জায়গায় তল্লাশি অভিযানে (Searching Operation) নামে।
তবে সিবিআই প্রথমেই অভিযানে নেমেছে, এমনটা নয়। ঘটনাটি অনেক আগের। ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে প্রাথমিক তদন্তে কোনও হদিশ না মেলার পর বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ায়। তারপর রাজস্থান হাইকোর্টের নির্দেশে গত ১৩ এপ্রিল তারা একটি কেস রুজু করে। আর এদিন সেই কেসের সূত্র ধরেই দিল্লি, জয়পুর, দউশা, কারাউলি, সোয়াই মাধোপুর, আলওয়ার, উদয়পুর এবং ভিলওয়ারার মতো জায়গায় অভিযান চলে। এর মধ্যে ব্যাঙ্কেরই প্রাক্তন কয়েকজন আধিকারিকের বাড়িও রয়েছে।
কিন্তু কীভাবে প্রকাশ্যে এল এই কয়েন-উধাও রহস্যের কথা? ব্যাঙ্ক সূত্রেই জানা গিয়েছে, ২০২১ সালের আগাস্টে হিসাবে গরমিলের আভাস পেয়ে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ টাকা গোনার কাজ শুরু করে। এই কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয় একটি বেসরকারি সংস্থাকে। তারাই গণনা শেষে জানায়, ১১ কোটির কয়েন নিখোঁজের কথা।
প্রাথমিক তদন্তের পর সিবিআইয়ের ধারণা, এর সঙ্গে ব্যাঙ্কেরই কেউ না কেউ জড়িত থাকতে পারে। না হলে বাইরের কারও পক্ষে সবার চোখের সামনে ওই বিরাট অঙ্কের কয়েন সরিয়ে ফেলা সম্ভব নয়। যদিও এদিনের ওই অপারেশনের পরেও উধাও রহস্যের পর্দাফাঁস করা সম্ভব হয়নি।