
২৮ মে অর্থাৎ রবিবার মহাসমারোহে উদ্বোধন করা হয় নয়া সংসদ ভবনের (New Parliament)। আর এই ঐতিহাসিক দিনে অবশেষে প্রকাশ্যে আনা হয় নয়া ৭৫ টাকার কয়েন (Rs 75 Coin)। নয়া সংসদ ভবন উদ্বোধনের স্মারক হিসেবেই ৭৫ টাকার কয়েন বাজারে আনা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। রবিবার নিজে হাতে তা সামনে আনলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। এই দিনটিকে আরও স্মরণীয় করে রাখতে একই সঙ্গে বিশেষ ডাকটিকিটও প্রকাশ করা হয়।
৫০ শতাংশ রুপো, ৪০ শতাংশ তামা, ৫ শতাংশ নিকেল এবং ৫ শতাংশ দস্তার সংমিশ্রণে তৈরি এই ৭৫ টাকার কয়েন। কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, ৪৪ মিলিমিটার ব্যাসযুক্ত স্মারক ৭৫ টাকার কয়েনের ওজন হয়েছে ৩৫ গ্রামের মতো। এই কয়েনের সামনে দিকে অশোক স্তম্ভের সিংহের মুখ আছে। অশোক স্তম্ভের ঠিক নীচে দেবনাগরী হরফে 'সত্যমেব জয়তে' লেখা আছে। সেটার ঠিক নীচে লেখা আছে ইংরেজিতে ৭৫ টাকা। সঙ্গে রুপির চিহ্ন রয়েছে। আর ডানদিকে ইংরেজিতে লেখা আছে 'ইন্ডিয়া' (India)। বাঁ-দিকে দেবনাগরী হরফে 'ভারত' লেখা আছে।
তবে এই স্মারক মুদ্রা বাজারে কেনাবেচার জন্য ব্যবহৃত হবে না। অর্থাৎ লেনদেনের জন্য ব্য়বহার করতে পারবেন না মানুষরা। তবে স্মারক মুদ্রা হিসাবে সেই মুদ্রা নিজেদের কাছে রাখা যাবে। সিকিউরিটিজ অফ প্রিন্টিং অফ মিন্টিং কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া লিমিটেডের ওয়েবসাইট থেকে স্মারক মুদ্রা সংগ্রহ করতে পারবেন।
চলতি বছরের ২৮ মে, রবিবার নতুন সংসদ ভবন (Parliament) উদ্বোধন হতে চলেছে। এই উদ্বোধন উপলক্ষে আরও এক বিশেষ চমক এনেছে কেন্দ্রীয় সরকার। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক (Finance Ministry) ঘোষণা করেছে, রবিবার সংসদ ভবনের পাশাপাশি ৭৫ টাকার বিশেষ মুদ্রাও (75 Rupee Coin) উদ্বোধন করা হবে। কিছুদিন আগেই ২০০০ টাকা নোট বাজার থেকে তুলে নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া। কিন্তু এরপরই বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রকের তরফে এই ৭৫ টাকার মুদ্রার চালু করার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধনের দিনই এই মুদ্রা প্রকাশ্যে আনা হবে।
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক সূত্রে খবর, ৭৫ টাকার বিশেষ কয়েনটি ৪৪ মিলিমিটার ব্যাসযুক্ত বৃত্তাকার হবে। এই মুদ্রার মাঝখানে অশোক স্তম্ভও থাকবে ও তার পাশে 'ইন্ডিয়া' ও 'ভারত' লেখা থাকবে। নীচেই লেখা থাকবে 'সত্যমেব জয়তে'। এই কয়েনে নতুন সংসদ ভবনের ছবিও থাকবে। আবার নতুন সংসদ ভবনের ছবির নীচে ২০২৩ উল্লেখ করা থাকবে।
জানা গিয়েছে, ৭৫ টাকার বিশেষ মুদ্রাটির ওজন ৩৫ গ্রাম। এই কয়েনটি কয়েকটি ধাতুর সংমিশ্রণে তৈরি করা হবে। ৫০ শতাংশ রূপা, ৪০ শতাংশ কপার, ৫ শতাংশ নিকেল ও ৫ শতাংশ জিঙ্ক দিয়ে তৈরি করা হবে ৭৫ টাকার বিশেষ মুদ্রা। নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধনকে স্মরণীয় করতেই এই বিশেষ মুদ্রা চালু করা হচ্ছে। রবিরার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাত ধরেই এই মুদ্রার উদ্বোধন হবে।
উলুবেড়িয়ার (Uluberia) ফুলেশ্বরে মাটির নীচ থেকে উদ্ধার হল প্রাচীন মুদ্রা (Ancient Silver Coins)। আর তা স্বচক্ষে দেখতে ভিড় উপচে পড়ল এলাকায়। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার বিকেলে উলুবেড়িয়া থানার অন্তর্গত ২১ নম্বর ওয়ার্ডের ফুলেশ্বর বৈকন্ঠপুরে। মাটির নিচ থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রায় ৭০ টি রূপোর মুদ্রা। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে উলুবেড়িয়া থানার পুলিস (Police) এসে বিষয়টি তদন্ত শুরু করেছে। আপাতত মুদ্রাগুলি যাঁর কাছে আছে, সেখানেই রাখা হয়েছে বলে খবর। পরবর্তী ক্ষেত্রে তদন্তের স্বার্থে ওই মুদ্রাগুলি প্রয়োজন হলে পুলিসি হেফাজতে নেওয়া হবে, এমনটাই জানিয়েছে প্রশাসনের তরফে।
পুলিস সূত্রে খবর, কানাই দাস নামক এক ব্যক্তির বাড়িতে এই ঘটনাটি ঘটে। তাঁর নতুন বাড়ি তৈরির জন্য মাটি কাটার কাজ চলছিল। সেই সময়ই মাটির নীচ থেকে বেরিয়ে এল প্রাচীন রুপোর মুদ্রা। বাড়ি তৈরির জন্য বুধবার সকাল থেকেই কানাই দাসের বাড়িতে মাটি কাটা হচ্ছিল।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মাটি কাটার সময়ই মাটির নীচ থেকে একটি ঢাকনা দেওয়া মাটির হাঁড়ি দেখতে পান শ্রমিকরা। কৌতুহলবশত তাঁরা ওই মাটির হাঁড়ির ঢাকনা খুলতেই ভিতরে একটি কাঁচের বোতল দেখতে পান। তার মধ্যেই রুপোর মুদ্রাগুলি ছিল।
এই ঘটনায় বাড়ির কর্তী বনমালা দাস বলেন, 'বুধবার বাড়ি তৈরীর জন্য মাটি কাটা হচ্ছিল। আর আমি বাড়িতে রান্না করার সময়ই এই রুপোর মুদ্রা উদ্ধারের বিষয়টি জানতে পারি। প্রায় ৭০ টি মুদ্রা পাওয়া গেলেও আমার জামাই কিছু মুদ্রা নিয়ে চলে গিয়েছে। তাই এখন আমার কাছে ২৭টি মুদ্রা আছে।'
অন্যদিকে এই ঘটনায় ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার প্রবীন মান্না জানান, উদ্ধার হওয়া মুদ্রাগুলি শতাধিক বছরের পুরাতন।
রাজস্থানের কারাউলিতে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার (এসবিআই) শাখা (Sbi Branch) থেকে উধাও ১১ কোটি (11 Crores) মূল্যের কয়েন (Coin)। এতগুলো টাকা কীভাবে সবার চোখের সামনে উধাও (Missing) হয়ে গেল, সে ব্যাপারে সকলেই অন্ধকারে। যদিও শেষমেশ আদালতের নির্দেশে এই ঘটনার তদন্তে নেমেছে সিবিআই (CBI)। বৃহস্পতিবার ওই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা দিনভর একযোগে ২৫ টি জায়গায় তল্লাশি অভিযানে (Searching Operation) নামে।
তবে সিবিআই প্রথমেই অভিযানে নেমেছে, এমনটা নয়। ঘটনাটি অনেক আগের। ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে প্রাথমিক তদন্তে কোনও হদিশ না মেলার পর বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ায়। তারপর রাজস্থান হাইকোর্টের নির্দেশে গত ১৩ এপ্রিল তারা একটি কেস রুজু করে। আর এদিন সেই কেসের সূত্র ধরেই দিল্লি, জয়পুর, দউশা, কারাউলি, সোয়াই মাধোপুর, আলওয়ার, উদয়পুর এবং ভিলওয়ারার মতো জায়গায় অভিযান চলে। এর মধ্যে ব্যাঙ্কেরই প্রাক্তন কয়েকজন আধিকারিকের বাড়িও রয়েছে।
কিন্তু কীভাবে প্রকাশ্যে এল এই কয়েন-উধাও রহস্যের কথা? ব্যাঙ্ক সূত্রেই জানা গিয়েছে, ২০২১ সালের আগাস্টে হিসাবে গরমিলের আভাস পেয়ে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ টাকা গোনার কাজ শুরু করে। এই কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয় একটি বেসরকারি সংস্থাকে। তারাই গণনা শেষে জানায়, ১১ কোটির কয়েন নিখোঁজের কথা।
প্রাথমিক তদন্তের পর সিবিআইয়ের ধারণা, এর সঙ্গে ব্যাঙ্কেরই কেউ না কেউ জড়িত থাকতে পারে। না হলে বাইরের কারও পক্ষে সবার চোখের সামনে ওই বিরাট অঙ্কের কয়েন সরিয়ে ফেলা সম্ভব নয়। যদিও এদিনের ওই অপারেশনের পরেও উধাও রহস্যের পর্দাফাঁস করা সম্ভব হয়নি।
কথায় রয়েছে, কেঁচো খুঁড়তে কেউটে। এবার টয়লেট পিক খননে বেরিয়ে এল ব্রিটিশ আমলে ব্যবহৃত সোনার মুদ্রা। উত্তরপ্রদেশের জৌনপুর জেলার কোতোয়ালি এলাকার মচলি শাহার কাজিয়ানা মহল্লার বাসিন্দা নুর জাহানের বাড়ির ভিতরে একটি টয়লেট পিট খোঁড়ার সময় মুদ্রাগুলি পাওয়া যায়।
ঘটনাটি ঘটে মঙ্গলবার। প্রথমে পরিবারের সদস্য ও শ্রমিকরা এই ঘটনা কাউকে জানাননি। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, শনিবার পুলিস মুদ্রাগুলো বাজেয়াপ্ত করে। জানা গিয়েছে, সমস্ত মুদ্রা ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অন্তর্গত (১৮৮৯-১৯১২ এর মধ্যে)। ইতিমধ্যে পুলিস জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। কয়েকজন শ্রমিক পলাতক রয়েছেন বলেও জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার ইমাম আলি রাইনের স্ত্রী নুর জাহান একটি টয়লেট নির্মাণের জন্য কয়েকজন শ্রমিক নিয়োগ করেন। তাঁরা গর্ত খনন করার পরই কার্যত চক্ষু চড়কগাছ। একটি তামার পাত্রে মেলে সেই পুরোনো আমলের মুদ্রা। এরপরে কে নেবেন সেই মুদ্রাগুলি, তা নিয়ে শ্রমিকরা নিজেদের মধ্যে ঝগড়া শুরু করেন।
পরিবার সূত্রে খবর, এমনকি মাঝপথে কাজ ছেড়ে দেন শ্রমিকরা। পরের দিন শ্রমিকরা ফিরে এসে লোভের বশে আবার খনন শুরু করেন। এরই মধ্যে এক শ্রমিক ভূতের ভয়ে স্বর্ণমুদ্রা পাওয়ার কথা জানান রাইনের ছেলেক। জিজ্ঞাসা শুরু করলে শ্রমিকটি একটি মুদ্রা দেখায় প্রমাণস্বরূপ।
বুধবার সন্ধ্যা নাগাদ ঘটনার খবর পুলিসের কাছে পৌঁছয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেন ইন্সপেক্টর ইনচার্জ। পুলিস রাইনের ছেলেকে নিয়ে শ্রমিকদের কাছে গিয়ে খোঁজ খবর নেয়। শ্রমিকরা প্রথমে এ ধরনের ঘটনা অস্বীকার করলেও পরে তা স্বীকার করে নেন।
শ্রমিকরা পুলিসকে নয়টি স্বর্ণমুদ্রা ফেরত দেন। এবং একটি মুদ্রা ফেরত দেন বাড়ির মালকিন নুর জাহানকে। তামার পাত্রে আসলে কতগুলি মুদ্রা পাওয়া গিয়েছিল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। পুলিস কর্মীরা তার তদন্ত শুরু করেছে।
মচলি শাহর আধিকারিক আতর সিং বলেন, "আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। শ্রমিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে মোট ১০টি কয়েন পাওয়া যায়। সব কয়েনই সরকারি কোষাগারে জমা করা হয়েছে। শ্রমিকদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।"
এ যেন স্বপ্নপূরণ! দীর্ঘদিন ধরে মায়ের ভিক্ষাবৃত্তির জমানো খুচরো পয়সায় স্কুটি কিনলেন ছেলে। ভাবতে অবাক লাগলেও বাস্তবে এই দৃশ্য দেখামাত্রই চক্ষু চড়কগাছ গাড়ির শো-রুমের মালিক থেকে শুরু করে সকল কর্মচারীর। বুধবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত চলে শো-রুমের ভিতরে খুচরো পয়সা গোনার কাজ। খুচরো গুনতে কালঘাম ছোটে কর্মচারীদের। শেষমেশ ৭০ হাজার টাকার স্কুটি কিনেই ফেললেন নদিয়ার এক যুবক। মায়ের তিল তিল করে জমানো খুচরো পয়সা বালতি করে বুধবার সকালে এনেছিলেন ছেলে রাকেশ পারেখ।
সকলের সন্তানই গাড়ি চালায়। মা বুলু পারেখেরও ইচ্ছা ছিল, তাঁর ছেলে আর পাঁচটা বন্ধু-বান্ধবের মত মোটর সাইকেল চালাবে। আর তাই ভিক্ষাবৃত্তির সমস্ত জমানো পয়সা ছেলেকে দিলেন গাড়ি কিনতে। ভিক্ষাবৃত্তি করে রোজ এক টাকার কয়েন জমিয়ে রাখতেন। অবশেষে স্বপ্নপূরণ। কৃষ্ণনগর পালপাড়ার একটি শো-রুমে চারচাকা গাড়ি ভাড়া করে বালতি ভর্তি খুচরো পয়সা নিয়ে গিয়ে স্কুটি কিনলেন বুলুদেবীর ছোট ছেলে রাকেশ পারেখ। গাড়ি কিনতে পেরে খুব খুশি রাকেশ।
বাড়িতে স্কুটি নিয়েই প্রথমে মাকে চাপাবেন, এমনটাই শখ গুরুদেবের সন্তান রাকেশের। সবশেষে একটা কথাই রাকেশ জানান, "মায়ের কাছে আমি চিরঋণী। আমি ভাবতে পারিনি মা ভিক্ষা করে আমার শখ পূরণ করবে।"
জুলিয়া কার্নির একটি বিখ্যাত কবিতা রয়েছে। সেই কবিতার অন্যতম দুটি লাইন, 'জলের ছোট ছোট ফোঁটা থেকে মহাশক্তিশালী সমুদ্রের সৃষ্টি।' অর্থাৎ বাংলা প্রবাদবাক্য- 'বিন্দু থেকে সিন্ধু'। যার অর্থও অনেকটা একই। আর এই প্রবাদবাক্যকে খনার বচনের মতন পালন করলেন অসমের (Assam Man) এক ব্যক্তি। তবে সেটা খুচরো টাকা জমিয়ে। তাঁর স্বপ্ন ছিল একটি দু'চাকার (Two Wheeler) গাড়ি কিনবেন। যা আর্থিক ভাবে পিছিয়ে থাকা সেই ব্যক্তির কাছে সমুদ্রেরই সমান। কিন্তু তিনি হার না মেনে, প্রতিদিন নিয়ম করে খুচরো টাকা জমিয়ে গেছেন। শেষপর্যন্ত এক বস্তা ভর্তি খুচরো পয়সা জমে যায়। আর সেই বস্তা নিয়েই হাজির হন তাঁর স্বপ্নের দুয়ারে।
তাঁর এই বিস্ময়কর গল্প এখন নেটপাড়ায় ভাইরাল। নেটিজেনদের অনুপ্রেরণা জাগাচ্ছে তাঁর এই জীবনকাহিনী। সম্প্রতি এক ইউটিউবার হীরক জে দাস ফেসবুকে কয়েকটি ছবি পোস্ট করে এই ঘটনাটি প্রকাশ্যে আনেন। তিনি লেখেন, 'স্বপ্নপূরণ করতে অনেক টাকা লাগলেও তা অল্প অল্প করে জমিয়েও পূরণ করা যায়।'
ওই ইউটিউবার একটি ভিডিও পোস্ট করেন। যেখানে দেখা যাচ্ছে, ওই ছোট্ট দোকানদার তাঁর স্বপ্নকে পূরণ করার জন্য অর্থের অভাবে বিচলিত হননি। যদিও ওই ব্যক্তির পরিচয় জানা যায়নি। ওই ব্যক্তি জানিয়েছেন, তিনি একটি টু-হুইলার কেনার জন্য প্রায় সাত থেকে আট মাস ধরে কিছু খুচরো আলাদা করে রাখছিলেন। যত টাকার প্রয়োজন ছিল সেই টাকা জমে যায়।
তারপর তিনি ওই পয়সা ভর্তি বস্তা নিয়ে হাজির হন বাইকের শো-রুমে। সেখানে কর্মরত সকলে মিলে সেই টাকা গুণতে বসেন। এবং সঠিক টাকা থাকায় তাঁর হাতে বাইকের চাবি তুলে দেন। কাগজপত্রও সই করেন। এবং স্বপ্নকে সাথে নিয়ে বাড়ি ফেরেন। ক্লিপটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই চারদিকে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
পুরনো কয়েন, নোট, সংবাদপত্র এবং বেশ কিছু পুরনো আসবাবপত্র নিয়ে প্রদর্শনী শহর বহরমপুরে। শহরে এই প্রথম এই ধরনের প্রদর্শনী, যা দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন অনেকেই। প্রদর্শনীতে দেশ ও বিদেশের পুরনো কয়েন ও নোট রাখা আছে। সেইসঙ্গে ব্রিটিশ আমলের দেশ-বিদেশের দলিল, পেন, ঘড়ি সব কিছুই পাওয়া যাচ্ছে। রয়েছে স্বাধীনতার প্রাক্কাল ও পরবর্তী সময়ের সংবাদপত্র। এককথায়, প্রাচীন ইতিহাস মনে করিয়ে দেওয়ার মতোই জিনিসপত্র রাখা হয়েছে এই প্রদর্শনীতে।
লালগোলা রাজবাড়ির বংশধর কেদার রায় জানান, শহরে এই প্রথম এই ধরনের প্রদর্শনীতে খুশি তাঁরা। প্রতি বছর এইভাবেই প্রদর্শনী হলে আরও ভালো লাগবে তাঁদের। সাধারণ জনগণ আরও জানতে পারবেন মুর্শিদাবাদের ইতিহাস সম্পর্কে। তাঁদের কাছেও অজানা কিছু তথ্য ছিল, যা এই প্রদর্শনীতে এসে জানতে পেরেছেন। বেশ কিছু কয়েন কিনেছেনও তিনি। বাড়িতে রাখা আছে আরও কিছু সংগ্রহ। ব্রিটিশ, মোগল ও পর্তুগিজ সহ একাধিক সময়ের ঐতিহাসিক জিনিসের সম্ভার রয়েছে প্রদর্শনীতে, যা তাঁরা প্রথম দেখছেন।
প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণকারী সহিদুল ইসলাম জানান, মুর্শিদাবাদ একটি ঐতিহাসিক জায়গা। সুলতান, মোগল, ওলন্দাজ সহ আরও অনেকে এই জায়গা থেকেই তাঁদের ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন। এখান থেকেই গোটা ভারতবর্ষ রাজ করেছিলেন। তাই মুর্শিদাবাদ ভারতবর্ষের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান। আর সেই ইতিহাসকে খুঁজে পাওয়া যায় এই প্রাচীনকালের মুদ্রাতেই। মুদ্রা থেকেই সঠিক তথ্য সবার সামনে উঠে আসে।
যেমন, ঔরঙ্গজেবের আমল থেকে এই মুদ্রায় মুর্শিদাবাদ লেখা আছে। সেই সময়, এই জায়গা মার্কসুদাবাদ নামে পরিচিত ছিল। এরপরই কয়েন ছাপানো হলে তাতে মুর্শিদাবাদ নামটি খোদিত হয়।
তিনি আরও জানান, বিভিন্ন সোনার দোকানে কোনও গ্রামের মানুষ কয়েনগুলি দিয়ে গেলে, সেখান থেকেই তাঁরা এগুলি সংগ্রহ করেন। তিনি পেশায় শিক্ষক হলেও তাঁর নেশা এই কয়েন সংগ্রহ করা।
এছাড়াও অন্য এক অংশগ্রহণকারী জানান, এত ভিড় দেখে ভালো লাগছে। প্রদর্শনীতে বিক্রির পাশাপাশি এক্সচেঞ্জ করার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। বিভিন্ন দেশের পুরনো কয়েন ও টাকা যথেষ্ট নজর কেড়েছে বহরমপুরবাসীদের।