
আরও বিপাকে পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (Imran Khan)। তিনি নাকি মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছেন, এমনটাই দাবি করেছেন পাকিস্তানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী আব্দুল কাদির পাটেল (Abdul Qadir Patel)। তিনি আরও জানিয়েছেন, ইমরানের শারীরিক পরীক্ষায় বেরিয়েছে, তিনি কোকেন নেন। এমনকি তাঁর শরীরে অ্যালকোহলেরও চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগে ইমরানকে গ্রেফতার করার পর থেকেই সেদেশে অশান্তি ছড়িয়ে পড়েছে। যদিও তাঁর জামিন হয়েছে। তবে এবারে তাঁর বিরুদ্ধে পাকিস্তানের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বিস্ফোরক মন্তব্যে হইহই পড়ে গিয়েছে।
শুক্রবার এক সাংবাদিক সম্মেলন করে পাকিস্তানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী আব্দুল কাদির পাটেল জানিয়েছেন, ইমরানের গ্রেফতারির পর পাকিস্তান ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্স-এর ৫ জন চিকিৎসকের দল তাঁর শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছিল। তাঁর প্রস্রাবের স্যাম্পেল নেওয়া হয়েছিল। এরপর রিপোর্ট আসার পরই জানা গিয়েছিল, তাঁর শরীরে বিষাক্ত রাসায়নিক পাওয়া গিয়েছে। আর সেগুলো কোকেন ও অ্যালকোহল। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, 'ইনি আপনাদের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী, যাঁর মানসিক স্থিতি প্রশ্নের মুখে। তাঁর অঙ্গ-ভঙ্গিও অন্যরকমের ছিল।'
আব্দুল কাদির আরও জানিয়েছেন, তাঁর সঙ্গে কথা বলার সময়ও দেখা গিয়েছে, তাঁকে সুস্থ বলে মনে হচ্ছে না। ইমরানের এই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আনা হবে। একেতেই ইমরান খান একাধিক দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত। এবারে তাঁর শরীরে অ্যালকোহল ও কোকেনের উপস্থিতি আরও বিপদে ফেলতে পারে তাঁকে। অন্যদিকে তাঁর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ আনার পরই তেহরিক-ই-ইনসাফ-এর তরফে বলা হয়েছে, ইমরানের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ আনার জন্য স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
আন্তর্জাতিক মাদক পাচার চক্রের বিরুদ্ধে বড়সড় সাফল্য পেল অস্ট্রেলিয়া (Australia) এবং আমেরিকার পুলিস (American Police)। চার মাস ধরে যৌথ অভিযানের পর অবশেষে সাফল্য। দক্ষিণ আমেরিকার উপকূলে অস্ট্রেলিয়াগামী একটি জাহাজ থেকে ২.৪ টন কোকেন (Cocaine) আটক করা হয়েছিল। সূত্রের খবর, ওই কোকেন একটি মেক্সিকান ড্রাগ কার্টেলের সঙ্গে যুক্ত ছিল। যার বাজারমূল্য ৬৬৭ কোটি আমেরিকান ডলার। আর ভারতীয় মুদ্রায় তা প্রায় ৫ হাজার ৫৩২ কোটি টাকা।
পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ান পুলিস শনিবার একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে এবং ঘোষণা করেছে যে, ১২ সন্দেহভাজনকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে। পুলিসের দাবি, ফি বছরে অস্ট্রেলিয়ায় যে পরিমাণ মাদক সেবন করা হয়, ওই জাহাজে উদ্ধার মাদকের পরিমাণ তার অর্ধেক।
শনিবার ওই বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, গত নভেম্বর থেকে এই জাহাজটিকে পাকড়াও করার চেষ্টা শুরু হয়। নকল মাদকের প্যাকেটের সঙ্গে আসল কোকেনভর্তি প্যাকেট অদলবদল করার উদ্দেশ্য ছিল ধৃতদের। ৩০ ডিসেম্বর ১.২ টনের নকল কোকেন-সহ ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ১৩ জানুয়ারির মধ্যে আরও নয়জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। পুলিস জানিয়েছে, ১২ জনের মধ্যে একজন ৩৯ বছর বয়সী মার্কিন নাগরিক ছিলেন।
পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার পুলিস কমিশনার কর্নেল ব্লাঞ্চ "অপারেশন বিচ"-এর সাফল্যের প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেছেন যে, এটি আন্তর্জাতিক মাদক পাচারকারীদের কাছে এর মাধ্যমে এই বার্তা পাঠানো হয়েছে যে, তাঁদের দেশে মাদকের কোনও প্রয়োজনীয়তা নেই।
২৮ কোটি টাকার কোকেন-সহ (Drug Smuggling) এক ব্যক্তি গ্রেফতার মুম্বই বিমানবন্দরে (Mumbai Airport)। সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, এক ব্যাগের নীচে লুকিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল ওই মাদক। সেই যাত্রীর কাছ থেকে প্রায় ৩ কেজি মাদক উদ্ধার করেছে আবগারি দফতর। পুলিস সূত্রে খবর, যে ব্যাগে করে কোকেন (Cocaine) নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, সেই ব্যাগে বেশ কয়েকটি স্তর ছিল। তার নীচে এমন ভাবে লুকিয়ে ওই কোকেন নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল যে, সন্দেহজনক লাগেনি। কিন্তু আবগারি দফতরের কাছে খবর ছিল, কোকেন পাচার হচ্ছে। তারপরই ওই যাত্রীকে মাদক-সহ গ্রেফতার করা হয়।
পুলিস জানিয়েছে গ্রেফতার হওয় ওই যাত্রীর দাবি, তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। এক ব্যক্তির সঙ্গে নেটমাধ্যমে তাঁর আলাপ হয়। তিনিই তাঁকে ব্যাগটি দিয়েছিলেন। যাত্রীর দাবি মতো পুলিস ওই ব্যক্তির সম্পর্কে তথ্য জোগাড়ের চেষ্টা চালাচ্ছে। গত সপ্তাহেও মুম্বই বিমানবন্দর থেকে ৪৭ কোটি টাকার মাদক বাজেয়াপ্ত হয়েছিল। সেই ঘটনায় দুই যাত্রীকে গ্রেফতার করে পুলিস। দুই যাত্রীর কাছ থেকে প্রায় ৫ কেজি মতো হেরোইন এবং ২ কেজি কোকেন উদ্ধার হয়েছিল।