আবারও অবৈধভাবে কয়লা মজুদ রাখার অভিযোগ। সূত্রের খবর, রবিবার গভীর রাতে বীরভূমের লোকপুর থানার পুলিস বিশেষ তল্লাশি অভিযান চালিয়ে নাকড়াকোন্দা পঞ্চায়েত এলাকার ঝাড়খণ্ড সীমান্তবর্তী সগড়ভাঙ্গা জঙ্গলে বস্তা ভর্তি প্রায় ১১ টন মজুদ করা অবৈধ কয়লা উদ্ধার করে। পাশাপাশি পাঁচ কয়লা পাচারকারীকে গ্রেফতার করে পুলিস। আজ, সোমবার আজ ধৃতদের দুবরাজপুর আদালতে তোলা হয়।
জানা গিয়েছে, এদিন গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযানে নামে লোকপুর থানার পুলিস। অভিযুক্তদের নাম, বিজ্ঞান গোপ, গণেশ বাগদী, বিকাশ বাউরি, চন্ডী বাউরি ও রাজু ঘোষ। রাজু ভেলাডিহি গ্রামের বাসিন্দা। বাকিরা ঝাড়খণ্ড রাজ্যের মুড়াবেড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা।
উল্লেখ্য, বীরভূম জেলার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে গিয়েছে কয়লা পাচার। এই কয়লা পাচারের সঙ্গে জড়িয়েছে জেলার দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের নাম। যদিও গোরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হয়ে তিনি এখন তিহার জেলে। কিন্তু তাতেও যে কয়লা পাচারে লাগাম পরানো যায়নি, তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল এই ঘটনা।
পুজোর মুখে কয়লা পাচারকাণ্ডে সক্রিয় ইডি (ED)। কয়লা পাচারকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত অনুপ মাঝি (Anup Majhi) ওরফে লালাকে তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। বুধবার ইডির দিল্লির সদর দফতরে তলব করা হয়েছে তাকে। এর আগেও একাধিকবার লালাকে তলব করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এবার ফের ডেকে পাঠানো হল তাঁকে। বুধবার বেলা ১১টার মধ্যে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে পাচারকাণ্ডের অন্যতম চক্রীকে।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালে কয়লা পাচারকাণ্ডের তদন্তভার হাতে নেয় সিবিআই। তারপর থেকে বেশ কয়েকবার তলব করা হয় অনুপ মাঝিকে। কিন্তু বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে সেই হাজিরা এড়িয়ে যান অনুপ মাঝি। তার জেরে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় সিবিআই। তাঁর বিরুদ্ধে জারি হয় লুকআউট নোটিসও। তার মাঝেই সুপ্রিম কোর্টের থেকে রক্ষাকবচ পান লালা। যদিও তদন্তে তাঁকে সহযোগিতা করার নির্দেশ দেওয়া হয়। তারপরেই ২০২১-এ তদন্তকারীদের সামনে হাজিরা দিয়েছিলেন লালা। গত মে মাসেই কয়লা পাচার মামলায় সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার হন বিকাশ মিশ্র। তাকে নিজেদের হেফাজতে পেয়ে টানা জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিবিআই কর্তারা। সেই সময় নিজামে হাজিরা দেন কয়লা পাচার মামলায় মূল অভিযুক্ত অনুপ মাজি ওরফে লালাও। বিকাশ ও লালাকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বলেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর।
কয়লা পাচারের (Coal Smuggling) তদন্তে নেমে বড়সড় 'তথ্য' উঠে এল ইডির (ED) হাতে। সূত্রের খবর, বাংলা থেকে প্রায় ২২ বার বিদেশ গিয়েছেন একাধিক প্রভাবশালী। তাও আবার এক বছরে ২২ বার। ২০১৭ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে এই প্রবণতা দেখা গিয়েছে। সরাসরি নাম না করলেও ইডি সূত্র জানিয়েছে, এই প্রভাবশালী তালিকায় এক সাংসদ, তাঁর হিসাবরক্ষক ও দু’জনের পরিবারের সদস্যেরা রয়েছেন। তিন বছরের মধ্যে কেন তাঁদের এত বার বিদেশে যেতে হয়েছে, কয়লা পাচারের কালো টাকা সাদা করার জন্যই ২২ বার বিদেশ ভ্রমণ? খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
কলকাতার একটি ভ্রমণ সংস্থার মাধ্যমে বিদেশে ভ্রমণের টিকিট কাটা হয়েছিল। সেই সংস্থায় অভিযান চালিয়ে বেশ কিছু বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ইডির তদন্তে উঠে এসেছে যে, ২২ বারের মধ্যে ১৫ বারই দুবাই গিয়েছেন প্রভাবশালীরা। আর বাকি তো লন্ডন, তাইল্যাণ্ডও রয়েছে ওই তালিকায়। ইতিমধ্যেই সংস্থার মালিকদের ডেকে পাঠিয়েছে ইডি। তদন্তকারীদের দাবি, ২০১৭ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে কয়েক হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছিল। বিদেশে প্রভাবশালীদের নামে সংস্থা খোলার জন্য পাচারের টাকার বড় অংশ ব্যবহার করা হয়েছিল। পরে সেই টাকাই দেশে প্রভাবশালীদের ঘনিষ্ঠ কয়েক জনের নামে ও বেনামে তৈরি সংস্থায় পাঠানো হয়েছে বলে দাবি ইডির।
তৃণমূলের প্রাক্তন যুব নেতা বিনয় মিশ্রও ইডির আতশকাচের তলায় রয়েছে। ইডি সূত্রে দাবি, একসময় একাধিকবার বিদেশ গিয়েছিলেন তিনিও। শুধু তাই নয়, পাচারকারীদের সঙ্গে প্রভাবশালীদের যোগাযোগের মধ্যস্থতা করতেন বিনয়ই। কয়লা পাচারের মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত অনুপ মাঝির বয়ানে এমন তথ্যই উঠে এসেছে।
কয়লা পাচারকাণ্ডে (Coal Smuggling) ফের মলয় ঘটককে তলব (Summon) ইডির (ED)। দিল্লিতে ইডির সদর দফতরে ২৬ তারিখ হাজিরার নির্দেশ। এর আগে ২১ তারিখ আইনমন্ত্রীকে তলব করেছিল ইডি। মলয় ছাড়াও অনুপ মাঝিকে ২৬ জুন তলব করেছে ইডি। পঞ্চায়েত ভোটের কারণ দেখিয়ে হাজিরা এড়ান মলয়। ইডিকে চিঠি দিয়ে সময় চেয়েছিলেন মলয় ঘটক। কয়লাকাণ্ডে লেনদেনের তথ্য সামনে রেখে মলয়কে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় ইডি।
জানা গিয়েছে, কয়লা পাচারকাণ্ডে এর আগেও একাধিক বার মলয়কে তলব করেছে ইডি। তার বাড়িতে গিয়ে তল্লাশিও করেছেন সিবিআই আধিকারিকরা। ইডির একাধিক বার তলবেও দিল্লি যাননি মলয়। পঞ্চায়েত ভোটের জন্য তাঁকে বিশেষ দায়িত্ব দিয়েছে দল। সেই দায়িত্ব পালনের জন্য বর্তমানে জেলা সফরে রয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, আইনমন্ত্রী মলয় ঘটককে সশরীরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে ইডির দফতরে। এর আগে দিল্লি হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, মলয় ঘটককে সময় দিয়ে ডাকতে হবে। সে ক্ষেত্রে ১৫ দিনের সময় দেওয়ার কথা জানায় দিল্লি হাইকোর্ট। ইডি সূত্রে খবর, আদালতের নির্দেশকে মান্যতা দিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফ থেকে রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটকের কাছে সময় চেয়ে মেল করা হয়েছিল। আইনমন্ত্রীর তরফে একটিও মেলের জবাব দেওয়া হয়নি।
রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক দিল্লি হাইকোর্ট থেকে ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত মৌখিক আশ্বাসে সুরক্ষা কবচে ছিলেন। কিন্তু এখন তাঁর কাছে নেই আদালতের সুরক্ষাকবচও।
একদিকে যখন কয়লা পাচারকাণ্ডে (Coal Smuggling) অভিষেকের স্ত্রী রুজিরাকে (Rujira Banerjee) তলব করেছে ইডি (ED)। ৮ই জুন কলকাতার ইডির দফতরে তাঁকে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছে সিবিআই। ইতিমধ্যে শাসক দলের অস্বস্তি বাড়িয়ে কয়লা পাচারকাণ্ডে মলয় ঘটককে তলব ইডির। ১৯শে জুন আইনমন্ত্রী মলয় ঘটককে সশরীরে হাজিরা নির্দেশ দিয়েছে ইডি। পশ্চিমবঙ্গের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটককে তলব নিয়ে হাইকোর্টের নির্দেশ ছিল হাতে সময় রেখে তাকে তলব করতে হবে। সেজন্যই উনিশে জুন রাজ্যের আইনমন্ত্রীকে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছে ইডি। এর পূর্বেও ২ বার আইন মন্ত্রীকে কয়লাপাচার কাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছিল। যদিও তিনি হাজির হন নি।
ট্রাকে মাঝরাতে ত্রিপলের আড়ালে বেআইনি ভাবে কয়লা পাচার চলছে, এ অভিযোগ বারবার আসছিল দুবরাজপুর থানায় (Dubrajpur PS)। এবার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে আগেভাগেই রাজ্য সড়কে ওৎ পেতে বসে ছিল পুলিস (Police)। বেআইনি কয়লা সহ ওই ট্রাকটিকে দেখে, দাঁড় করিয়ে তল্লাশি চালাতেই চোখ কপালে ওঠে তদন্তকারী আধিকারিকদের। ধরা পড়তেই পালাতে চেষ্টা করেন ওই ট্রাক চালক। যদিও তাঁকে আটক করে পুলিস।
শনিবার রাতে এই ঘটনায় একটি ট্রাক সহ একজনকে আটক করেছে বলে পুলিস সূত্রে খবর। অভিযুক্তকে রবিবার আদালতে তোলা হলে তাঁকে ৬ দিনের পুলিসি হেফাজতের নির্দেশ দেয়। পুলিস আরও জানিয়েছে, ট্রাকটিতে প্রায় ২২ টন অবৈধ কয়লা পাচার করা হচ্ছিল। পুলিস সূত্রে আরও খবর, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পানাগড়-দুবরাজপুর রাজ্য সড়কে ওই ট্রাকটিকে আটক করে পুলিস। ওই ট্রাকে তল্লাশি চালালে বিপুল পরিমাণ কয়লা উদ্ধার হয় বলে জানা গিয়েছে। গ্রেফতার হওয়া ওই চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই বেআইনি কয়লা কোথায় যাচ্ছিল, কোথা থেকে আসছিল তা জানার চেষ্টা করছেন আধিকারিকরা।
সম্প্রতি, ট্রাক্টরের ইটের নিচে অবৈধ কয়লা পাচার করতে গিয়ে দুবরাজপুর থানা পুলিসের হাতে ধরা পড়ে অবৈধ কয়লা সহ ট্রাক্টর। ওই ঘটনায় চারজন অবৈধ কয়লা পাচারকারীকে গ্রেফতার করে পুলিস। বর্তমানে তাঁরা জেল হেফাজতে রয়েছে। ওই ট্র্যাক্টারে ইটের নিচে প্রায় ৩ টন অবৈধ কয়লা প্রচার করা হচ্ছিল। গোপন সূত্রে পুলিশ জানতে পেরে ওই ইট বোঝায় ট্রাক্টারটা ধরে ফেলে এবং ইট সরাতেই বেরিয়ে আসে অবৈধ কয়লা।
কয়লা পাচারকাণ্ডে (Coal Smuggling) ২ অভিযুক্তকে বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করে সিবিআই (CBI)। শুক্রবার তাঁদের আদালতে তোলা হলে আদালত তাঁদের ৪ দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেয়।
কয়লা পাচার কাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া ইসিএলের প্রাক্তন ডিরেক্টর টেকনিক্যাল অপারেশন সুনীল কুমার ঝাঁ ও সিআইএসএফ ইন্সপেক্টর আনন্দ কুমার সিং-কে হেফাজতে নেওয়ার পর ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে কয়লা পাচার নিয়ে একাধিক তথ্য উঠে আসবে বলে মনে করছেন সিবিআই আধিকারিকরা। আগামী ১৬ মে এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে। অন্যদিকে, সিবিআই এদিন হেফাজতে পায় বিনয় মিশ্রকেও। চারদিনের সিবিআই হেফাজত দেওয়া হয়েছে বিনয় মিশ্রকে।
কয়লা পাচার কাণ্ডে অভিযুক্ত অনুপ মাঝি ওরফে লালার সঙ্গে ধৃত ইসিএলের প্রাক্তন কর্তা ও সিআইএসএফ ইন্সপেক্টরের আর্থিক লেনদেন ছিল বলে সিবিআইয়ের তদন্তে উঠে এসেছে। বৃহস্পতিবার ধৃত দু’জনকেই ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই আধিকারিকরা। এরপরেই তাদের গ্রেফতার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কয়লা পাচার কাণ্ডে তদন্ত চলাকালীন এই প্রথম কোনও সিআইএসএফ কর্তাকে গ্রেফতার করা হল।
কয়লা পাচারকাণ্ডে (Coal Smuggling) বুধবার অর্থাৎ চলতি মাসের ২৯ তারিখ মলয় ঘটককে (Malay Ghatak) হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিল ইডি (Ed)। পাশাপাশি তাঁর আপ্ত সহায়কেও হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিল ইডি। সূত্রের খবর, সেই হাজিরা এড়িয়ে যান মলয়ের আপ্ত সহায়ক। আজ অর্থাৎ বুধবার দিল্লির ইডির দফতরে হাজিরে দিতে যাওয়ার কথা রয়েছে তাঁর। ইডি সূত্রে খবর, কয়লা কাণ্ডের তদন্তে বেশ কিছু জায়গায় মন্ত্রী মলয়ের সঙ্গে অভিযুক্তদের যোগসূত্র পেয়েছে ইডি, সে বিষয়েই মলয়কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে খবর। বেলা ১২ টা বেজে গেলেও এখনও দিল্লির অফিসে দেখা যায়নি মলয়কে। মন্ত্রী মলয় ঘটক কি তাঁর আপ্তসহায়কের মত হাজিরা এড়াবেন! উঠছে প্রশ্ন।
পাশাপাশি ইডির দিল্লির অফিসে ফের ডেকে পাঠানো হয়েছে সিউড়ির আইসি মোহাম্মদ আলীকে। গরু পাচারকাণ্ডে বারবার তাঁর নাম খুঁজে পেয়েছে ইডি। সেইমতো লেনদেনেই কিছু তথ্য পাওয়ায় ইডির তরফে তাঁকে তাঁর সম্পত্তির হিসাব দিতে বলা হয়েছিল। সেটা এখনও দেননি আইসি মোহাম্মদ আলী। পাশাপাশি একটি পেট্রোল পাম্পের মাধ্যমে টাকা লেনদেন হয়েছে বলে জেনেছে ইডি।
সূত্রের খবর, যদিও সেই পেট্রোল পাম্পের কথা অস্বীকার করেছে মোহাম্মদ আলী। সোমবারের আগে তাকে একদিন ৯ ঘণ্টা ও একদিন ১২ ঘণ্টা জেরা করেছে ইডির আধিকারিকরা, সূত্রের খবর, জেরায় সাহায্য করছেন না তিনি। সিউড়ির আইসির থেকে আরও তথ্য জানতে, সোমবার আবারও হাজিরার নির্দেশ দিয়েছে ইডি।
কয়লা পাচার-কাণ্ডে (Coal Smuggling) অর্থ তছরুপের অভিযোগে ইডির একটি নোটিশকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মেনকা গম্ভীর (Menoka Gambhir)। সেই নোটিশে তাঁকে তলব করে কেন্দ্রীয় সংস্থা (ED Notice)। সেই তলবের বিরোধিতায় হাইকোর্টে (Calcutta High Court) আবেদন করা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্যালিকাকে আদালত রক্ষাকবচ দিয়েছিলে। সেই রক্ষাকবচে উল্লেখ ছিল, মেনকা গম্ভীরের বিরুদ্ধে কোনও কড়া আইনি পদক্ষেপ নিতে পারবে না ইডি। এবার মেনকার সঙ্গে থাকা সেই রক্ষাকবচ প্রত্যাহার করল কলকাতা হাইকোর্ট। যেহেতু ইডির জারি করা তলব নোটিশের সময়সীমা পেরিয়েছে, তাই এখন আর রক্ষাকবচের দরকার নেই।
এই যুক্তি দেখিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্যালিকার সঙ্গে থাকা রক্ষাকবচ প্রত্যাহার করলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। যতদিন নোটিশের মেয়াদ, ততদিন রক্ষাকবচ। নয়তো সেই রক্ষাকবচের অপব্যবহার হতে পারে। এমনটাই আদালতে সূত্রে খবর।
নতুন করে ইডি যদি তাঁকে কোনও নোটিস পাঠায়, তিনি আদালতে দ্বারস্থ হলে ফের রক্ষাকবচ পেতে পারেন। এমনটাই মেনকা গম্ভীরকে জানান বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। আদালতের এই নির্দেশের পর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্যালিকার সঙ্গে কোনও রক্ষাকবচ রইল না। তাই ইডি তাঁকে নোটিস পাঠিয়ে এই মুহূর্তে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই পারে। সেক্ষেত্রে হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশের বিরোধিতা করে মেনকা গম্ভীর ডিভিশন বেঞ্চে যাবে কিনা সেটা আগামির বিষয়।
কয়লা পাচার-কাণ্ডের (Coal Smuggling) তদন্ত সিবিআই করবে। মঙ্গলবার জিতেন্দ্র তিওয়ারির করা মামলায় জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বড়সড় স্বস্তিতে আসানসোলের প্রাক্তনব মেয়র তথা বর্তমান বিজেপি নেতা। তাঁকে কয়লা পাচার-কাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সমন পাঠিয়েছে সিআইডি। রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থার (CID) সেই প্রক্রিয়ায় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়ে জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে (Jitendra Tiwari) রেহাই দিয়েছে আদালত (High Court)। বিচারপতি রাজশেখর মান্থার বেঞ্চ জানিয়েছে, শুধুমাত্র জিতেন্দ্র তিওয়ারি-সহ অন্য মামলাকারীদের বিরুদ্ধে সিআইডি তদন্ত করতে পারবে না। সেই তদন্ত সিবিআই-ই (CBI) করবে। তবে অন্য কোনও ক্ষেত্রে রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থা তদন্ত করলে বাধা নেই।
এদিন আদালতে জিতেন্দ্র তিওয়ারির পক্ষে সওয়াল করা হয়, 'কয়লা পাচার মামলায় সিবিআই তদন্ত করছে তাহলে সিআইডি তদন্তের কী প্রয়োজন? ২০২০-র ফেব্রয়ারিতে ইসিএল কয়লা পাচার নিয়ে অভিযোগ করে। কিন্তু পুলিস সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে কোনও পদক্ষেপ করেনি। পড়ে কোর্ট নির্দেশে সিবিআই তদন্ত শুরু হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ আছে সিবিআই এই তদন্ত চালিয়ে নিয়ে যানে। এক হাজার কোটি টাকার বেআইনি কয়লা পাচার হয়ছে বলে অভিযোগ। ১০ সেপ্টেম্বর হঠাৎ সিআইডি জিতেন তিওয়ারিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠায়। একই মামলায় সিবিআইয়ের সঙ্গে কীভাবে সিআইডি-ও তদন্ত করতে পারে?'
পাল্টা সিআইডি আইনজীবী জানান, এই মামলা শুরু হয়েছে ২০২০-তে। এই অপরাধ এক জায়গায় আটকে নেই। প্রচুর বড় এলাকাজুড়ে কয়লা পাচার হয়েছে। ২৭ জানুয়ারি ২০২১ সাল থেকে সিআইডি তদন্ত করছে। এখনও পর্যন্ত ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এই মামলায়। তদন্তের বাধা দেওয়া হচ্ছে।
এই সওয়াল-জবাবের পর বিচারপতির মন্তব্য, সিআইডি তদন্তের লক্ষ্য কী? সিবিআই তদন্তের নির্দেশ তো আদালত দিয়েছে। দু'টি তদন্ত একসঙ্গে চললে কেন্দ্রীয় সংস্থার মৌলিক অধিকার ক্ষুন্ন হয়। সিবিআই চার্জশিট দিয়ে দিয়েছে, তদন্তে গতি আছে। আপনাদের ভূমিকা কী?' এই মন্তব্যের পরেই কোর্টের নির্দেশ ৪ সপ্তাহ পরেই সিবিআই-সিআইডি দু'জনেই হলফনামা আকারে জানাবে কোর্টকে।
কয়লা পাচার-কাণ্ডে (Coal Smuggling) শুক্রবার সিআইডি (CID) তলব এড়ালেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি (Jitendra Tiwari)। রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থা পত্রপাঠ সেই সিদ্ধান্ত জানান আসানসোলের (Asansol) প্রাক্তন মেয়র। তাঁর হাজিরার এড়ানোর পিছনে কারণ, যেখানে কেন্দ্রীয় সংস্থা একটা তদন্ত করছে, সেখানে আড়াই বছর পরে হঠাৎ করে তাকে কেন তলব? অন্ডালের কয়লা পাচার-কাণ্ডে তাঁকে তলব করা হলেও তিনি ছিলেন পান্ডবেশ্বরের বিধায়ক। এমনকি, আসানসোল পুরনিগমের প্রাক্তন মেয়র হলেও অন্ডালের এই মামলা তাঁর পুর এলাকার বাইরে। তাহলে কেন তিনি হাজিরা দেবেন?
সূত্রের খবর, সিআইডি এই তলবের বিরোধিতায় হাইকোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার সম্ভাবনা জিতেন্দ্রর। এদিকে, গরু পাচার-কাণ্ডে বেন্টিক স্ট্রিটের এক অফিসে চলতি সপ্তাহে তল্লাশি অভিযান চালায় সিআইডি। গোরু পাচার-কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত এনামূল হকের ভাইপোর এই অফিসে বুধবার দীর্ঘ তল্লাশি চালিয়েছে রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থা। বেন্টিক স্ট্রিটের জেএইচএম গ্রুপের ৪০১ এবং ৪০৫ নম্বর অফিস সিল করে সিআইডি। গরু পাচার চক্রের টাকা এই সংস্থার মাধ্যমে অন্য খাতে বিনিয়োগ হয়েছে কিনা, সেটা জানতেই এই তল্লাশি। খতিয়ে দেখা হয়েছে এই সংস্থার ব্যাঙ্কের নথি। গোয়েন্দাদের অনুমান জেএইচএম গ্রুপের এই সংস্থাকে সামনে রেখে পুরো চক্র কাজ করতো। হাওয়ালার মাধ্যমে টাকা পাচারেও এই সংস্থার ভূমিকা রয়েছে। এমনটাই অনুমান সিআইডির।
অপরদিকে, বৃহস্পতিবার ৪০৫ এবং ৪০১ নম্বর ঘরে কাউকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এমনকি যে মূল বিল্ডিংয়ে জেএইচএম গ্রুপের অফিস, সেই বিল্ডিংয়ে প্রবেশেও আইকার্ড দেখাতে হয়েছে অন্য সংস্থার কর্মীদের।
কয়লা-কাণ্ডে (Coal Smuggling) সিবিআইয়ের সঙ্গেই সমান্তরাল তদন্ত চালাচ্ছে রাজ্যের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইডি। সেই তদন্তে এবার ভবানী ভবনে তলব আসানসোলের (Asansol) প্রাক্তন মেয়র তথা বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারীকে। যদিও সিআইডির (CID) তলব চিঠি পাওয়ার কথা অস্বীকার করেছে। পান্ডবেশ্বরের প্রাক্তন বিধায়ক জিতেন্দ্র (Jitendra Tiwari)।
এদিকে, বুধবার বেন্টিক স্ট্রিটের এক অফিসে তল্লাশি অভিযান চালায় সিআইডি। গোরু পাচার-কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত এনামূল হকের ভাইপোর এই অফিসে বুধবার দীর্ঘ তল্লাশি চালিয়েছে রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থা। বেন্টিক স্ট্রিটের জেএইচএম গ্রুপের ৪০১ এবং ৪০৫ নম্বর অফিস সিল করেছে সিআইডি। গোরু পাচার চক্রের টাকা এই সংস্থার মাধ্যমে অন্য খাতে বিনিয়োগ হয়েছে কিনা, সেটা জানতেই এই তল্লাশি। খতিয়ে দেখা হয়েছে এই সংস্থার ব্যাঙ্কের নথি। গোয়েন্দাদের অনুমান জেএইচএম গ্রুপের এই সংস্থাকে সামনে রেখে পুরো চক্র কাজ করতো। হাওয়ালার মাধ্যমে টাকা পাচারেও এই সংস্থার ভূমিকা রয়েছে। এমনটাই অনুমান সিআইডির।
অপরদিকে, ৪০৫ এবং ৪০১ নম্বর ঘরে কাউকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। এমনকি যে মূল বিল্ডিংয়ে জেএইচএম গ্রুপের অফিস, সেই বিল্ডিংয়ে প্রবেশেও আইকার্ড দেখাতে হচ্ছে।
এবার কয়লা পাচার-কাণ্ডে ১৫ জনের নামে গ্রেফতারি (arrest) পরোয়ানা জারি করল আসানসোল (Asansol) বিশেষ সিবিআই আদালত বলে সূত্রের খবর।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালতে (court) ইসিএল-এর ৮ জন আধিকারিকের শুনানির সময় অভিযুক্তদের আইনজীবীরা প্রশ্ন তোলান, ইসিএল আধিকারিকদের সঙ্গে যাদের নাম রয়েছে, তাঁদের সিবিআই (CBI) জিজ্ঞাসাবাদ করছে না কেন? তাঁরা কি বাইরে থেকে তদন্তে প্রভাবিত করবে না? এরপরেই বিচারকের ভৎসনার মুখে পরে সিবিআইয়ের আইনজীবী। ঘটনায় আদালত ততক্ষণাত্ ১৫ জনের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে।
জানা যায়, চার্জশিটে নাম রয়েছে মোট ৪১ জনের। এরমধ্যে ৮ জন ইতিমধ্যেই সিবিআইয়ের জালে। ৮ কয়লা মাফিয়া জামিনে রয়েছে। লালা রক্ষা কবজে, বিনয় মিশ্র, রোতনেশ ভার্মা ফেরার। বাকি ২৬ জনকেই সমন পাঠানো হয়েছে। এরমধ্যে গতকাল ১৫ জনের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
শুক্রবারের পর সোমবারেও সুপ্রিম কোর্টে স্বস্তি পেলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তৃণমূল সাংসদের রক্ষাকবচের মেয়াদ বাড়াল শীর্ষ আদালত। ইডির দায়ের করা মামলায় প্রধান বিচারপতি ইউইউ ললিতের বেঞ্চের নির্দেশ, 'চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে পারবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিতে পারবে না ইডি।'
শুক্রবার এই মামলার শুনানিতে অভিষেকের রক্ষা কবচ সোমবার অবধি বাড়িয়েছিল শীর্ষ আদালত। সোমবার সেই রক্ষাকবচ বাড়ল ৩০ সেপ্টেম্বর অবধি। এদিন সুপ্রিম কোর্টে অভিষেকের হয়ে সওয়াল করেন কপিল সিব্বল এবং অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, শুক্রবার যখন সুপ্রিম কোর্ট অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে রক্ষাকবচ দেয়, তখন তিনি সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির ডাকেই হাজিরায় দিয়েছেন। প্রায় সাড়ে ৭ ঘণ্টার জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তিনি ইডি দফতর থেকে বেড়িয়ে আসেন। তীব্র আক্রমণ করেন বিজেপি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে।
তিনি বলেন, 'এর আগে দিল্লিতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছিল, এবার আদালতের নির্দেশে কলকাতায় ডেকেছে। এটা আমার নৈতিক জয়। আমি সমনের চিঠি বৃহস্পতিবার হাতে পেয়েছি। যদিও সংবাদ মাধ্যম আগেও খবরটা করেছে। বিজেপির একমাত্র পথের কাঁটা তৃণমূল কংগ্রেস। রাজনৈতিক ভাবে লড়তে পারছে না। তাই বারবার হেনস্থা করা হচ্ছে। তবে তদন্তে সহযোগিতা করব, তিন বার কেন ৩০ বার ডাকলেও আসব। আমার স্ত্রীকেও তিন বার তলব করা হয়েছে। আগেও যে কথা বলেছি, আজকেও বলছি যদি ৫ পয়সাও নিয়ে থাকি প্রমাণ হয়, তাহলে ফাঁসির মঞ্চ তৈরি করে রাখবেন, ফাঁসিকাঠে ঝুলবো। কিন্তু প্রমাণ করুন পাঁচ পয়সা নিয়েছি।'
তিনি জানান, ইডি-সিবিআই জুজু দেখানো হচ্ছে। কিন্তু আমি মাথা নত করার মতো ছেলে নই। দেশপ্রেম, জাতীয়তাবোধ কী আমরা জানি। অনেক বাঙালির রক্তের বিনিময়ে দেশে স্বাধীনতা এসেছে। তাই আগের নিজের ছেলেকে দেশপ্রেমের পাঠ শেখান। আপনার ছেলে বিসিসিআইয়ের সচিব হয়েও দেশের পতাকা হাতে নিতে অস্বীকার করেছেন। এভাবেই অমিত শাহকেও নিশানা বানান অভিষেক।
শেষবারের মতো এবারও ইডি (ED) অফিস থেকে বেড়িয়ে কেন্দ্র-সহ বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। তবে ২০২২-র মার্চে তিনি দাঁড়িয়ে ছিলেন দিল্লিতে আর এবার সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে (CGO Complex)। শুক্রবারও কয়লা-কাণ্ডে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ। প্রায় ৭ ঘণ্টা বাদে ইডি দফতর থেকে বেরোন তিনি। আগের বারের মতোই মুখোমুখি হয়েছিলেন সংবাদ মাধ্যমের। প্রথম থেকেই আক্রমণাত্মক তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।
তিনি বলেন, 'এর আগে দিল্লিতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছিল, এবার আদালতের নির্দেশে কলকাতায় ডেকেছে। এটা আমার নৈতিক জয়। আমি সমনের চিঠি বৃহস্পতিবার হাতে পেয়েছি। যদিও সংবাদ মাধ্যম আগেও খবরটা করেছে। বিজেপির একমাত্র পথের কাঁটা তৃণমূল কংগ্রেস। রাজনৈতিক ভাবে লড়তে পারছে না। তাই বারবার হেনস্থা করা হচ্ছে। তবে তদন্তে সহযোগিতা করব, তিন বার কেন ৩০ বার ডাকলেও আসব। আমার স্ত্রীকেও তিন বার তলব করা হয়েছে। আগেও যে কথা বলেছি, আজকেও বলছি যদি ৫ পয়সাও নিয়ে থাকি প্রমাণ হয়, তাহলে ফাঁসির মঞ্চ তৈরি করে রাখবেন, ফাঁসিকাঠে ঝুলবো। কিন্তু প্রমাণ করুন পাঁচ পয়সা নিয়েছি।'
তিনি জানান, ইডি-সিবিআই জুজু দেখানো হচ্ছে। কিন্তু আমি মাথা নত করার মতো ছেলে নই। দেশপ্রেম, জাতীয়তাবোধ কী আমরা জানি। অনেক বাঙালির রক্তের বিনিময়ে দেশে স্বাধীনতা এসেছে। তাই আগের নিজের ছেলেকে দেশপ্রেমের পাঠ শেখান। আপনার ছেলে বিসিসিআইয়ের সচিব হয়েও দেশের পতাকা হাতে নিতে অস্বীকার করেছেন। এভাবেই অমিত শাহকেও নিশানা বানান অভিষেক।
পাশাপাশি পাচার-কাণ্ডে ফেরার বিনয় মিশ্রের সঙ্গে নাকি ৮ মাস আগে শুভেন্দু অধিকারীর কথা হয়েছে। এই অভিযোগ এদিন তোলেন তৃণমূল সাংসদ। তাঁর দাবি, 'শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন আপনার কেস আমি দেখে নেব। আমার দাবির স্বপক্ষে অডিও ক্লিপ আদালতে দিতেও রাজি, তার ফরেন্সিক পরীক্ষা করা হোক। দ্বীপরাষ্ট্রে নাকি রয়েছেন ফেরার অভিযুক্ত। পাচারের টাকা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর কাছে গিয়েছে।' এদিকে, সুপ্রিম কোর্টেও শুক্রবার অন্তর্বর্তীকালীন রক্ষাকবচ পেয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামি সোমবার পর্যন্ত তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবে না। অভিষেকের দায়ের করা এই মামলায় পরবর্তী শুনানি আগামি সোমবার।