প্রয়াত তৃণমূল বিধায়ক ইদ্রিশ আলি। শুক্রবার মাঝরাতে হাওড়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন প্রাক্তন সাংসদ তথা ভগবানগোলার বিধায়ক। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর। জানা গিয়েছে, ক্যানসারে ভুগছিলেন ইদ্রিশ আলি। বিধানসভায় নিয়ে আসা হয় তাঁর মৃতদেহ। সেখানেই শোক জ্ঞাপন করেন মন্ত্রী-বিধায়করা। ইদ্রিশ আলির মৃত্যুতে শোক প্রস্তাব হয়ে শেষ হল বিধানসভার শুক্রবারের অধিবেশন। শোক প্রস্তাব করলেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। শ্রদ্ধা জানালেন অধ্যক্ষ।
সূত্রের খবর, ক্যানসারের পাশাপাশি আরও বেশ কিছু রোগ তাঁর শরীরে বাসা বেধেছিল। অনেকদিন ধরেই বিধায়কের শরীর অসুস্থ ছিল। ইদানিং রাজনীতির জগতেও সক্রিয়তা কমে গিয়েছিল। সম্প্রতি অসুস্থতা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। শুক্রবার রাত আড়াইটে নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয়। এদিনই পার্ক স্ট্রিটে শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে প্রয়াত বিধায়কের।
ইদ্রিশ আলির রাজনৈতিক জীবন শুরু কংগ্রেসে। তাঁর রাজনীতিতে আসা কংগ্রেস নেতা সোমেন মিত্রর হাত ধরে। ২০১১ সালে তিনি ভোটে লড়েন তৃণমূলের হয়ে। সেবার জয় পাননি। ২০১৪ সালে বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্র থেকে তিনি জয়ী হয়ে সাংসদ হন। ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে তিনি ভগবানগোলা আসনে জিতে বিধায়ক হন।
২০২৪-এর লোকসভাকে পাখির চোখ করেই একেবারে জেলা ধরে ধরে প্রস্তুতি বৈঠক শুরু করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার পশ্চিম মেদিনীপুর নেতৃত্বের সঙ্গে প্রস্তুতি বৈঠক শুরু করলেন নিজের বাড়ি কালীঘাট থেকেই। বৈঠকে উপস্থিত অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, ঘাটালের সাংসদ দেব। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার নেতারা রয়েছেন এই বৈঠকে। এছাড়াও আছেন সুব্রত বক্সি, জুন মালিয়া, মানস ভুঁইয়্যা, শিউলি সাহারা। ভোটের আগে দলের রণকৌশল ও মানুষের কাছে পৌঁছানোর বার্তা দিতে আজ, বুধবার জেলাস্তরের তৃণমূল নেতাদের নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বৈঠক।
এদিন কালীঘাটের বৈঠকে কিছু বার্তা দেওয়া হয়েছে।
১) যুবদের প্রচারে ঝাঁঝ বাড়াতে হবে।
২) সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার বাড়াতে হবে।
৩) সুজয় হাজরাকে বলা হয়েছে জুন মালিয়ার সঙ্গে দ্বন্দ্ব মেটাতে।
৪) পঞ্চায়েতের আগে যেভাবে আন্দোলনে ঝাঁঝ বাড়িয়েছিলেন, সেটা কম মনে হচ্ছে, বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
৫) অনেক সাংগঠনিক নির্দেশ মানা হয়নি। চন্দ্রকোনা পঞ্চায়েত সমিতি উদাহরণ। নিয়ম না মানলে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
৬) কেশিয়ারি ব্লকের সভাপতি শ্রীনাথ হেমব্রমকে সরানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
৭) শ্রীকান্ত মাহাতোকে ঝাড়গ্রামে সময় দিতে বলা হয়েছে।
৮) পূর্ব আর পশ্চিম মেদিনীপুরে মানস ভুইয়াকে বেশি করে সময় দিতে বলা হয়েছে।
৯) ঘরে বসে রাজনীতি নয়। মাঠে নামুন। স্পষ্ট বার্তা মমতা-অভিষেকের।
১০) সব ইস্যু নিয়ে বই ছাপানো হবে। সেই বই যাবে কর্মীদের কাছে। অভিষেক বন্দোপাধ্যায়কে দায়িত্ব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
১১) জুন মালিয়ার সাথে দ্বন্দ্ব মেটাও। জেলা সভাপতি সুজর হাজরাকে নির্দেশ।
১২) সংবাদমাধ্যমে যে কেউ মুখ খুলবে না। কথা বলার জন্য দলের মুখপাত্ররা আছেন।
১৩) মেদিনীপুর পুরসভা দ্বন্দ্ব মেটাতে দায়িত্ব মানস ভুইয়া ও জেলা সভাপতিকে। এক সপ্তাহের মধ্যে সমস্যা মেটানোর নির্দেশ।
১৪) বিজেপি চোর বললে ওদের ডাকাত বলে প্রচার করো বৈঠকে বার্তা দলনেত্রীর। স্লোগান দিতে হবে " গলী গলি মে শোর হায় বিজেপি চোর হায়।"
এছাড়াও জানা গিয়েছে, রাজ্য স্তরের কয়েকজন মুখপাত্রর ভূমিকায় সন্তুষ্ট নন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে কয়েকজন মুখপাত্র বদল করার ইঙ্গিত দিয়েছেন। কারও কোনও ব্যাপারে প্রশ্ন থাকলে, দলের অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র আছে। সেখানে বলতে হবে। যদি কেউ এর পরেও নির্দেশ না মানে তাহলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দলের নির্দেশ না মানলে কার্যত ছেটে ফেলা হবে। রাজ্য সভাপতিকে নির্দেশ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। খড়গপুরে কেন দলীয় কার্যালয় এখনও তৈরি হলো না।বিধায়ককে প্রশ্নও করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়াও তিনি এদিন বলেন, 'আমরা INDIA জোটে আছি থাকব। তবে বাংলায় আমরা একা লড়ার জন্য যথেষ্ট।'
এদিন বৈঠকে প্রথম থেকেই অভিষেক বন্দোপাধ্যায় চুপচাপ থাকলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে কিছু বলতে বলেন। অভিষেক প্রথমে কিছু বলতে চাননি। কিন্তু পরে মমতা বলেন, 'তুই যখন এসেছিস, তুই বল।' তারপর অভিষেক বন্দোপাধ্যায় নবজোয়ার যাত্রার অভিজ্ঞতা বলেন। এছাড়া বলেন, 'দল যা নির্দেশ দেবে তাই করব। সেই দায়িত্ব পালন করব।'
রুটিন চেকআপ করতে শুক্রবার এসএসকেএম হাসপাতালে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, এসএসকেএমে তাঁর কাঁধে ছোট অস্ত্রোপচার হতে পারে। যদিও মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, রুটিন চেকআপ করাতেই হাসপাতালে এসেছেন তিনি।
স্বাস্থ্যপরীক্ষা করাতে শুক্রবার দুপুর পৌনে তিনটে নাগাদ আচমকাই এসএসকেএম হাসপাতালে উপস্থিত হন মমতা। উডবার্নে ওয়ার্ডে ঢোকার মুখে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “সময় হয় না, তাই চেকআপ করাতে এসেছি। পা টা একটু দেখাবো। আমি সুস্থ আছি।। একদম ঠিক আছি।। রোজ হাঁটাহাটি করছি। এক্স রে করাবো।” শেষে সকলকে আগাম নববর্ষের শুভেচ্ছাও জানান মুখ্যমন্ত্রী।
এবারে আসানসোলে তল্লাশি অভিযান শুরু করল কেন্দ্রীয় এজেন্সি। আজ অর্থাৎ বুধবার সকাল থেকে পুরো অ্যাকশনে আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। এদিন ফের এক তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক সোহরাব আলীর বাড়িতে হানা দিল আয়কর দফতর। সূত্রের খবর, তাঁর কলকাতার বাড়িতেও চলছে তল্লাশি। প্রাক্তন বিধায়ক সোহরাব আলীর স্ত্রী বর্তমানে তৃণমূলের কাউন্সিলর। তবে ঠিক কী কারণে এই তল্লাশি তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে আসালসোলে শুধুমাত্র এই প্রাক্তন বিধায়কের বাড়িতেই নয়, আরও কয়েকজনের বাড়িতে ত্ল্লাশি চালাচ্ছে আয়কর দফতর।
জানা গিয়েছে, বুধবার ভোর থেকে তল্লাশি চলছে তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক সোহরাব আলীর বাড়িতে। ৫টি গাড়ি নিয়ে আসেন আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। আসানসোলের বার্নপুর এলাকায় প্রাক্তন বিধায়কের বাড়ি ছাড়াও আসানসোল দক্ষিণ থানা অন্তর্গত পায়েল এন্টারপ্রাইজ-এর অফিস ও বার্নপুরের পুরানো হাট এলাকাতেও পঙ্কজ আগারওয়াল নামে একজনের বাড়িতে কেন্দ্রীয় এজেন্সির তল্লাশি চলছে বলে খবর। পায়েল এন্টারপ্রাইজ এর মালিকের নাম ইমতিয়াজ বলে জানা গিয়েছে এবং পঙ্কজ পায়েল এর সঙ্গে যুক্ত বলে সূত্রের খবর। আসানসোলের হিরাপুরে পুরানো হাট এলাকায় অরুণ আগারওয়াল-এর বাড়িতে কেন্দ্রীয় এজেন্সির হানা। সূত্রের খবর, রেশনের ব্যবসা রয়েছে তাঁর। সেই বিষয়ে হানা হতে পারে। তাঁর ভাই পঙ্কজ আগারওয়াল চার্টার্ড অ্যাকাউন্টটেন্ট বলে খবর। পায়েল এন্টারপ্রাইজ এর সঙ্গে যোগ রয়েছে বলে সূত্রের খবর। আবার, আসানসোলের নুরুদ্দিন রোড এলাকায় মহেন্দ্র শর্মার অফিসেও হানা দিয়েছে আয়কর দফতর। জানা গিয়েছে, নুন, বালি সহ আরও বেশ কিছু ব্যবসা বাংলা-ঝাড়খণ্ডে রয়েছে তাঁর।
রাজস্থানেও (Rajasthan) বিজেপির চমক। ফের নয়া মুখকেই বেছে নিল গেরুয়া শিবির। বাবা বালকনাথ কিংবা বসুন্ধরা রাজে নয়, রাজস্থানের নয়া মুখ্যমন্ত্রী হলেন ভজনলাল শর্মা। জল্পনার অবসান ঘটিয়ে মঙ্গলবার জয়পুরের সর্দার পটেল মার্গে বিজেপির রাজ্য দফতরে ঘোষণা করা হয় নয়া মুখ্যমন্ত্রীর নাম। প্রথমবার নির্বাচনে লড়ে প্রথমবারই জয়লাভ করেছেন ইনি। ফলে প্রথমবার বিধায়ক হিসেবে জয়ী হয়েছেন ভজনলাল শর্মা।
রাজস্থানের সাঙ্গানের বিধানসভা কেন্দ্র থেকে ভোটে লড়েছিলেন এই ভজনলাল শর্মা। প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেসের পুষ্পেন্দ্র ভরদ্বাজকে ৪৮ হাজার ৮১ ভোটে এবার পরাজিত করেন তিনি। রাজস্থানে চারবারের রাজ্য সভাপতি হিসেবেই দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নাম ঘোষণা হওয়ার পরই এদিন ভজনলাল শর্মাকে দেখা যায় রাজনাথ সিংয়ের পাঁ ছুঁয়ে প্রণাম করতে। মঙ্গলবার শুধুমাত্র রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করা হয়নি, এদিন রাজস্থানের দুজন উপমুখ্যমন্ত্রী নামও ঘোষণা করেছে বিজেপি। দিয়া সিং এবং ডঃ প্রেম চাঁদ বৈরওয়াকে উপমুখ্যমন্ত্রীর পদ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার ছত্তিশগড় সফরে গিয়ে একাধিক কর্মসূচিতে অংশ নিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি। মুখ্যমন্ত্রী গ্রামীণ আবাস ন্যায় যোজনা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী সাধারণ মানুষদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন তিনি।
মূলত গ্রামীণ পরিবারগুলির জন্য উপযুক্ত বাড়ি তৈরির জন্য আর্থিক সহায়তা দিতেই এই প্রকল্প চালু করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ৫০০জন আবেদনকারীকে বাড়ি তৈরির জন্য ১ লাখ টাকা করে দেবে ছত্তিশগড় সরকার। এবিষয়ে ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল আগেই জানিয়েছিলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত অতি দ্রুত অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া পরিবারগুলিকে বাড়ি তৈরির সহায়তা করা। তবে কেন্দ্রের তরফে কোনও সহায়তা না এলে রাজ্য সরকারই তাদের সহায়তা করবে।
এছাড়াও একাধিক যোজনার উদ্বোধন করেন রাহুল গান্ধি। গ্রামীণ মানুষদের সহায়তায় ওই প্রকল্পগুলি তৈরি করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
চিকিৎসার জন্য মেয়ের বাড়িতে এসে খুন হলেন তৃণমূল সমস্যার মা৷ রবিবার ভোররাতে দত্তপুকুর থানা এলাকার ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার নাম বেবি রানি সর্দার। পুলিশ আরও জানিয়েছে, মৃতার মেয়ে অর্থাৎ দেবযানী সর্দার দত্তপুকুর ১ নম্বর গ্রামপঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান। স্বভাবতই এমন ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে৷
সূত্রের খবর, শনিবার রাতে দেবযানী সর্দারের মা বেবি রানি সর্দার রাতের খাওয়া সেরে শুতে যান ৷ এরপর রবিবার ভোরে বাড়ির লোকজনেরা দেখেন তিনি রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। তিনি কলকাতা থেকে চিকিৎসার জন্য মেয়ে দেবযানী সর্দারের কাছে এসে থাকছিলেন৷ রবিবার এ বিষয়ে প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান দেবযানী সর্দার বলেন, 'এটা একেবারে অপ্রত্যাশিত৷ আমি কোনওদিন কারও ক্ষতি করিনি৷' তিনি জানান, এই ঘটনার সময় তিনি ও তাঁর স্বামী পাশের ঘরে ঘুমিয়েছিলেন৷ তাঁরা কিছু টের পাননি। দেবযানী সন্দেহ করছেন, হয়তো তাঁকেই খুন করতে এসে তাঁর মাকে হত্যা করে চলে গিয়েছেন দুষ্কৃতীরা৷ তবে তিনি জানিয়েছেন, পুরোটাই তদন্তসাপেক্ষ৷
তিনি আরও বলেন, 'মেয়ে মায়ের পাশে শুয়েছিল৷ ও ভয়ে চোখ বন্ধ করেছিল৷ মেয়ের বয়ান অনুযায়ী ভোর সাড়ে ৩টে থেকে ৪টের মধ্যে ঘটনাটি ঘটেছিল।' দেবযানী সর্দারের অনুমান, দুষ্কৃতীরা সিঁড়ি দিয়ে বাড়ির মধ্যে ঢুকেছিল৷ তাঁর মা যে ঘরে শুয়েছিলেন, সেই ঘরের দরজাটি ভেজানো ছিল। এই ঘটনায় হতবাক পঞ্চায়েত সদস্য অমলকুমার বিষ্ণু বলেন, 'দত্তপুকুরের মানুষের কাছে এটা আশ্চর্যের ব্যাপার৷ তিনি ৭-৮ মাস এখানে এসেছেন চিকিৎসার জন্য৷ এই ঘটনা কীভাবে হল, কেন হল তা প্রশাসনই বলতে পারবে৷ তাঁর পাশে মেয়ের মেয়ে শুয়েছিল৷ তাঁর বক্তব্য, রাত ৩টে থেকে সাড়ে ৩টে নাগাদ এই খুন হয়েছে। সে ভয়ে চোখ বুজে ছিল।' পঞ্চায়েত সদস্যেরও প্রশ্ন, কোনও রাজনৈতিক কারণে খুন কিনা, তা বোঝা যাচ্ছে না।
ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে দত্তপুকুর থানার পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ মনে করছে, প্রৌঢ়ার মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে৷ দত্তপুকুর থানার পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে বারাসাত হাসপাতালে নিয়ে যায়। বাড়িটি সিল করে দিয়েছে পুলিশ৷
লোকসভায় (Lok Sabha) পাশ হয়েছে মহিলা সংরক্ষণ বিল (Women Reservation Bill), ফলে খুশির মেজাজ মহিলা মহলে। লোকসভা ভোটের আগেই মোদী সরকার হাসিমুখে ৪৫৪ টি ভোটে পাশ করিয়ে নিলেন বহু প্রতীক্ষিত বিল। এবারে এই বিল রাজ্যসভাতেও পাশ হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। আর লোকসভায় এই বিল পাশ হওয়ার পরই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Modi) এক বিশেষ উদ্যোগ নিলেন। সূত্রের খবর, আগামী শনিবার বারাণসীর কাশীতে শুধুমাত্র মহিলাদের নিয়ে একটি জনসভা করতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
সূত্রের খবর, আগামী শনিবার অর্থাৎ ২৩ সেপ্টেম্বর বারাণসীতে আসতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। শনিবার বারণসীতে প্রধানমন্ত্রীর সফর পূর্বনির্ধারিতই ছিল। কারণ আগামী শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর উত্তরপ্রদেশের কাশীর বারাণসীতে ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করতে চলেছেন তিনি। আনুমানিক ৪০০ কোটি টাকা খরচে তৈরি করা হচ্ছে এটি। আর এই স্টেডিয়ামের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন ছাড়াও আরও বেশ কিছু কর্মসূচি রয়েছে তাঁর। সেই কর্মসূচির সঙ্গেই মহিলাদের নিয়ে পৃথক সভা করার কর্মসূচি যুক্ত করা হয়েছে বলে খবর।
জানা গিয়েছে, এই সভায় অংশ নেবেন শুধুমাত্র মহিলারাই। পুরুষদের প্রবেশের অনুমতি থাকবে না। সভামঞ্চে থাকবেন শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।
নিপা ভাইরাস (Nipah virus) নিয়ে বড়সড় সতর্কবার্তা দিল কেন্দ্রীয় চিকিৎসা গবেষণা সংস্থা ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ (ICMR)। তাদের তরফে জানানো হয়েছে, কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর হারের তুলনায় নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর হার অনেকটাই বেশি।
এবিষয়ে আইসিএমআর এর ডিরেক্টর জেনারেল রাজীব বহল শুক্রবার জানিয়েছেন, নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর হার প্রায় ৪০ থেকে ৭০ শতাংশ। অন্যদিকে কোভিডের ক্ষেত্রে সেই হার ছিল মাত্র ২ থেকে ৩ শতাংশ। নিপা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধ করতে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে কেরল সরকারের তরফে। কোঝিকোড়ে হাই অ্য়ালার্ট জারি করা হয়েছে। অন্যদিকে ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কেরলের সমস্ত স্কুল বন্ধ রাখারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে।
রেল লাইনের পাশ থেকে উদ্ধার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিরাপত্তাকর্মীর দেহ। পুলিস সূত্রে খবর, নিহত পুলিস কর্মীর নাম ইসরাফিল সাহাজি (৩০)। কল্যাণী ব্লকের মদনপুর জঙ্গল গ্রামের বাসিন্দা। কল্যাণী হাউজিং-এর পুলিস কোয়ার্টারে স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে থাকতেন।
পরিবারের দাবি, তিনি বর্তমানে মুখ্যমন্ত্রী নিরাপত্তা কর্মী হিসেবে কাজ করতেন। জানা গিয়েছে, প্রতিদিনের মতো বুধবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ হাঁটতে বের হন ইসরাফিল। কিন্তু রাত দশটার বেশি বেজে গেলেও তিনি বাড়ি ফেরেন না। পরিবারের তরফ থেকে সম্ভাব্য সমস্ত জায়গায় খোঁজ শুরু করে। বারবার ফোন করতে থাকেন পরিবারের সদস্যরা।
পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, ফোন বেজে গেলেও কেউ তোলেননি। অবশেষে রাত বারোটা নাগাদ কল্যাণী মেনস্টেশনে কর্মরত রেলের এক আধিকারিক ফোনটি তোলেন। এরপরেই এই দুঃসংবাদ জানতে পারেন পরিবারের সদস্যরা। ওই রেল আধিকারিক জানান, কল্যাণী সাহেব বাগান সংলগ্ন রেল লাইনের ধারে পুলিস কর্মীর ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেহ শনাক্ত করেন পরিবারের সদস্যরা।
কল্যাণী মেন স্টেশনে যাওয়ার পর তাঁর পরিবারের সদস্যদের হাতে মোবাইল ফোন তুলে দেন রেলের আধিকারিকেরা এবং মোবাইলে ছবি দেখানো হয়। জানানো হয় তাঁর মৃতদেহ ময়নাতদন্তের উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়েছে রানাঘাটে।
পরিবারের সদস্যরা বুঝতে পারছেন না, আদৌ কি আত্মঘাতী হয়েছেন ইসরাফিল? নাকি তাঁকে খুন করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রানাঘাট থানার পুলিস। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলছেন তদন্তকারীরা। কাজের ক্ষেত্রে কোথাও কোনও সমস্যা ছিল নাকি ব্যক্তিগত জীবনে কোনও সমস্যা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
মুখ্যমন্ত্রীর ইউরোপের সফরসঙ্গী হওয়ার অনুমতি পেল কুনাল ঘোষ। সূত্রের খবর, আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার কুনাল ঘোষের আবেদনের শুনানিতে হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী তাকে ইউরোপ যাওয়ার জন্য অনুমতি দেয়। সূত্রের খবর, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী নির্দেশ দেয় কুনাল ঘোষ ১২ই সেপ্টেম্বর থেকে ২৩ সেপ্টেম্বর অবধি ইউরোপে থাকতে পারবেন। সারদা কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত ও বিচারাধীন আসামি হওয়ায় তাঁর বিদেশ যাত্রায় জট তৈরী হয়। এরপর মমতার সঙ্গে স্পেনে অর্থাৎ ইউরোপ মহাদেশে যেতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় তৃণমূল মুখপাত্র।
সূত্রের খবর, স্পেনে একটি অনুষ্ঠানে মমতা বন্দোপাধ্যায়য়ের সঙ্গে আমন্ত্রণ পান কুনাল ঘোষ। এরপরেই কুনাল ঘোষ স্পেনে যাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠেন। ওদিকে বিচারাধীন আসামি হওয়ার দরুন নিন্ম আদালতে তাঁর পাসপোর্ট জমা রাখা ছিল। স্পেনে যাওয়ার অনুমতির পাশাপাশি ওই পাসপোর্ট ফেরত পাওয়ার জন্যও আবেদন করেন তিনি। আবেদনে কুনাল ঘোষ জানান, এরপূর্বে তিনি বিচারাধীন আসামি হওয়া সত্ত্বেও সিঙ্গাপুর যাওয়ার আবেদন করেছিল, অনুমতি নিয়ে সেই যাত্রা সম্পূর্ণ করে আবার ফিরেও আসেন, তবে এখন কেন অনুমতি পাবেন না? সূত্রের খবর, তিনি ওই আবেদনে আরও জানান, তিনি একজন সাংবাদিক ছিলেন, তিনি সিঙ্গাপুর ঘুরে আবার ফিরেও এসেছেন। সেসময় বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী তাকে সিঙ্গাপুর যাওয়ার অনুমতি দেন।
এবারও মমতার ইউরোপের সফরসঙ্গী হওয়ার জন্য কুনাল ঘোষ হাইকোর্টের কাছে আবেদন জানায়, সেই আবেদন মঞ্জুর করা হল। এবং এদিন জয়মাল্য বাগচী নির্দেশ দেয় কুনাল ঘোষকে তাঁর পাসপোর্ট ফিরিয়ে দিতে হবে, পাশাপাশি ২৩ তারিখের পর ফিরে ওই পাসপোর্ট কুনাল ঘোষকে ফের জমা দিয়ে দিতে হবে।
দত্তপুকুরের বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে ইতিমধ্যেই প্রাণ হারিয়েছেন ৮ জন। এ ঘটনায় রীতিমত প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে প্রশাসনের বিরুদ্ধে। সূত্রের খবর, স্থানীয় বাসিন্দারা এই ঘটনায় স্থানীয় পুলিস ও শাসক দলের নেতাদের দায়ী করেছেন। এ ঘটনায় গতকাল অর্থাৎ রবিবার রাতেই মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাড়িতে রাজ্য পুলিসের ডিজিকে নিয়ে জরুরি বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। মমতা বন্দোপাধ্যায়, ডিজি মনোজ মালব্য ছাড়াও এ বৈঠকে ছিলেন রাজ্যসচিব ও অভিষেক বন্দোপাধ্যায়।
চলতি বছরেই এগরার পর মহেশতলা, একের পর এক বাজি কারখানা বিস্ফোরণে প্রাণ গিয়েছে বহু মানুষের। এরপর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় বাজি কারখানা বন্ধে কড়া হতে বলেন রাজ্য পুলিসকে। সেসময় রাজ্য পুলিসকে কড়া হাতে বাজি কারখানা বন্ধের জন্য নির্দেশ দেয় নবান্ন। তার ঠিক ৩ মাস পর দত্তপুকুর থানার নীলগঞ্জের মোচপোলে এমন বিস্ফোরণে স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠেছে প্রশাসনের বিরুদ্ধে। প্রশ্ন উঠছে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও। এ ঘটনায় স্বাভবিকভাবেই ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়।
দত্তপুকুরের বাজি কারখানা বিস্ফোরণে ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল বোস। ঘটনাস্থল থেকে তিনি জানান, 'এটি বড় ঘটনা, এটা কাম্য নয়। পুলিস অপরাধীদের যোগ্য সাজা দেবে।' পাশাপাশি এ ঘটনায় ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন বারাসতের সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার, বিধায়ক ও খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ। এ ঘটনায় আজ অর্থাৎ সোমবার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যেতে পারেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
৭৭তম স্বাধীনতা দিবসে নারীদের (Women) প্রতি অন্যায় (Crime Against) রুখতে নয়া পদক্ষেপ নিলেন ছত্তীসগঢ় (Chhattisgarh) রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী (CM) ভূপেশ বঘেল। শিশু ও মহিলাদের উপর হওয়া অপরাধ রুখতেই তিনি এই নয়া পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে তিনি এই বিষয়ে একটি বক্তব্যও পেশ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ‘‘ রাজ্যে মহিলাদের সম্মান এবং মর্যাদা রক্ষা করাকেই অগ্রাধিকার দিচ্ছে আমাদের সরকার। শিশুকন্যা এবং মহিলাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, যৌন হেনস্থা এবং অন্যান্য অপরাধে অভিযুক্তদের উপর সরকারি চাকরিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে বলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।’’ এমনকি সরকারি স্কুলের পড়ুয়াদের জন্য বিশেষ সুযোগ-সুবিধারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী বঘেল।
যদিও ‘ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো’ (এনসিআরবি)-র সমীক্ষা অনুযায়ী, ২০১৮ সালে নারী নির্যাতনের ঘটনায় দেশের মধ্যে এই রাজ্য পঞ্চম স্থানে ছিল। তবে ২০২১ সালে সেই নিরিখে ছত্তীসগঢ় ১১তম স্থানে নেমেছে।
আগের থেকে এমনিতে অনেকটাই ভাল আছেন। কিন্তু ছুটি পাবেন কি? কারণ গত সোমবারের পর থেকেই বাড়ি ফেরার জন্য তাঁর চিকিৎসকদের কাছে বারবার অনুরোধ করেছেন। রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে এখনই হাসপাতাল থেকে ছাড়া হবে কিনা, তা ঠিক হয়ে যেতে পারে আজ শনিবার।
গত মঙ্গলবার থেকে চিন্তার মেঘ অনেকটাই কেটে গিয়েছে। চিকিৎসকরাও দাবি করেছেন, অনেকটাই ভালর দিকেই রয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু তখনও বাড়ি ফেরার মতো পরিস্থিতি ছিল না। কারণ, দফায় দফায় তাঁর পরীক্ষা চলছিল। দেখা হচ্ছিল ফুসফুসে সংক্রমণের মাত্রা।
শুক্রবার তাঁকে স্যুপ দেওয়া হয়েছিল। তিনি মুখ দিয়ে তা খেতে পারেন কীনা, তাও দেখা হয়েছিল। কারণ চিকিৎসকরা চাইছেন, ধীরে ধীরে মুখ দিয়ে খাওয়ার চেষ্টা করুন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। এই পরিস্থিতিতে দুপুরেই হয়তো তাঁর ছুটির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন মেডিক্যাল বোর্ডের চিকিৎসকরা।
আগের থেকে এখন ভাল আছে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। হাসপাতাল থেকে জানানো হয়েছে, নিশ্বাস ঠিক রাখতে রাতেই তাঁকে পালমোনারি ফিজিওথেরাপি দেওয়া হয়েছে। সুগার নিয়ন্ত্রণ করতে দেওয়া হচ্ছে ইনস্যুলিনও।
সোমবার পরীক্ষার রিপোর্ট দেখার পর দুপুরেই ভেন্টিলেশন থেকে বার করা হয়েছিল বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে। বেশ রাত পর্যন্ত হাসপাতালে ছিলেন তাঁর মেডিক্যাল বোর্ডের চিকিৎসকরা। তাঁরাই পালমোনারি ফিজিওথেরাপি করার সিদ্ধান্ত নেন।
এর পাশাপাশি কড়া অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে দ্রুত সুস্থ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এই অ্যান্টিবায়োটিক তাঁর কিডনির যাতে কোনও ক্ষতি না করে, সেই ব্যাপারে কড়া নজর রয়েছে হাসপাতালের চিকিৎসকদের। তবে, ভেন্টিলেশন থেকে বার করার পর আর কোনও অবনতি হয়নি বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের শরীরে।